.কল্পলোকের কল্পবাজ একজন ভাল লেখককে সহজেই ভাল মানুষ ভেবে নেয়াটা বোকামী। যেমন একজন ভাল ডাক্তার ভাল মানুষ নাও হতে পারে। বাংলাদেশে যত জন ডাক্তার আছে এরা সবাই যদি ভাল মানুষ হত, যদি প্রত্যেকটা ডাক্তার দিনে তিনটা করে রোগী বিনা পয়সায় দেখত তাহলে আর এদেশে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যেতনা।
Sunday, March 3, 2019
ফেসবুকে নিউজফিড স্ক্রল করছিলাম এমন সময় ইনবক্সে পকাত করে একটা মেসেজ এর শব্দ হলো।মেসেজ চেক করে দেখি একটা মেয়ে মেসেজ দিয়েছে, ---আমিও আপনাকে ভাবলোবাসি(লজ্জার ইমোজি) মেসেজ টা দেখে সাধারনত আমার খুশিতে গদগদ হওয়ার কথা ছিলো।কারণ আমি জন্ম-জন্মাতরের সিঙ্গেল।কিন্তু আমি মেসেজ টা দেখে কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখালাম না।তার কারণ আজকাল মেয়েরা ইনবক্সে এরকম আমিও ভালোবাসি মেসেজ দিয়ে প্রথমে খুশি করায় তারপর "সরি ভাইয়া ভুল করে আপনার কাছে চলে গেছে" নামক জাতীয় বাক্য শুনিয়ে মন ভেঙে কাঁচের টুকরা বানিয়ে দেয়।তাই আমি শান্তভাবে মেয়েটিকে মেসেজ দিলাম, ---- সমস্যা নেই আপু।আমি জানি এটা ভুলে আমার কাছে চলে এসেছে।আপনার বিএফ কে দেওয়ার কথা ছিলো।কোনো ব্যাপার না।মানুষের দ্বারা ভুল হতেই পারে। ---আরে তুমি এতো লজ্জা পাও কেনো?ইনবক্সে সরাসরি বলতে পারো না তুমি আমাকে ভালোবাসো? ---আপু বুঝতে পেরেছি।আপনার হয়তো বারবার ভুল হচ্ছে।কোনো সমস্যা নেই। ---আচ্ছা শোনো আমরা কিন্তু হানিমুনে সুইজারল্যান্ডে যাবো। এবার আমার টনক নড়ে উঠলো।মনে হচ্ছে মেয়েটি সত্যি সত্যি আমাকেই বলছে।মেয়েটিকে রিপ্লাই দিলাম, ---আপনি কি সিরিয়াসলি আমাকে বলছেন?আপনি ভুলে মেসেজ দেননি তো? ---জানু শোনো আমরা কিন্তু অনেকগুলো বাচ্চা নিবো।তুমি কিন্তু আমাকে অনেক ভালোবাসবা বিয়ের পর। মেসেজটা সিন করতে পারলাম না
By kolpobazz
তিনি বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য। তার ভাষায় ছাত্র জীবন থেকেই তিনি দেশ সেবার লক্ষ্যে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছিলেন, এবং এভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে দেশের সেবা করে আসছেন। পর্যায়ক্রমে-৩ বার পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সে হিসেবে বলাই যায়, দেশ সেবার কাজে তিনি ওতপ্রোত ভাবে কাজ করেছেন। . কিন্তু আদৌ কি তা-ই? . আজ রবিবার সকাল ৭টায় তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে প্রায় মৃত্যুশয্যায় আছেন বলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষনা দেয়। জরুরি ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অতঃপর দেশের সবকটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ সংবাদ প্রচারিত হতে থাকে। অথচ অদ্ভুত এক দৃশ্য প্রতিটি নিউজ পোর্টালের কমেন্ট সেকশানে দৃশ্যত হয়। দেশের সাধারণ জনগন তার মৃত্যু কামনা করে দোয়া করছে, তার জুলুম সমূহের বর্ণনা দিয়ে তার কঠিন মৃত্যু কামনায় দোয়া করছে। একজন মুমূর্ষু রোগীর সুস্থতার জন্য দো’য়া না করে অজস্র মানুষ তার মৃত্যু কামনা করছে, তার অসুস্থতা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছে। . একটাবার চিন্তা করুন তো? জীবনের তিন চতুর্থাংশ যিনি এদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে গেছেন, অথচ তার মৃত্যু কামনায় পুরো দেশ যেন এক হয়ে গেছে! . আপনি কি বুঝতে পারছেন, মানুষটার কর্ম বা আমল এর ব্যাপারে নিজ দেশের মানুষ সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে! এমন একজন ব্যক্তি যদি মারা যান, তবে পুরো জীবনের সমস্ত আমল কি ভেলায় ভেসে গেল না? দেশ সেবার নমূনা মানুষ সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করছে। আমরা কি জানি, এটা কতোটা ভয়ংকর একটি ব্যাপার? এব্যাপারে নিম্নে দু'টি হাদিস উল্লেখ করছি- . হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “কিছু সাহাবা ও রাসূল ﷺ একটি জানাযার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছু সংখ্যক লোক; তারা মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির ভাল গুণাবলী আলোচনা করছিলেন, তখন প্রিয় নবী ﷺ বললেন, (তোমাদের ভাল প্রশংসার দ্বারা) ওয়াজিব হয়ে গেল। অপর আরেকটি জানাযার পাশ দিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে লোকেরা মৃত ব্যক্তিদের মন্দ বিষয়াদি আলোচনা করছিলেন, তখন প্রিয় নবী ﷺ বলেন, (তোমাদের মন্দ আলোচনার দ্বারা) ওয়াজিব হয়ে গেল। হযরত উমর (রা.) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কী চূড়ান্ত বা ওয়াজিব হয়ে গেল? প্রিয় নবী ﷺ বললেন, যে মৃত ব্যক্তিটির (ব্যাপারে) তোমরা ভাল গুণাবলী আলোচনা করেছ, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। আর যে মৃত ব্যক্তির মন্দ আলোচনা করেছ তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেল। কেননা তোমরা জমিনে আল্লাহর সাক্ষী স্বরূপ।” [১] . রাসূল ﷺ বলেন, চার জন ঈমানদার ব্যক্তি যদি একজন মুসলমানকে ভাল ঈমানদার বলে সাক্ষ্য দেয়, তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি (বর্ণনাকারী) জিজ্ঞাসা করলাম, যদি তিনজন হয়? রাসূল ﷺ বললেন, তাহলেও। তারপর জিজ্ঞাসা করলাম, যদি দুই জন সাক্ষ্য দেয়? রাসূল ﷺ বললেন, তাহলেও। বর্ণনাকারী (উমর রা.) বলেন, তারপর একজনের ব্যাপারে আমি আর প্রশ্ন করিনি।” [২] . যেখানে মাত্র চারজন ঈমানদারের সাক্ষ্য আল্লাহ কবুল করে নিবেন, তবে আমরা কি আমাদের আমলের ব্যাপারে সতর্ক হব না? আমাদের মু’য়ামালাত, মু’য়াশারাত, আমানত, ওয়াদা এসব ঠিকাছে তো? আল্লাহর অবাধ্যতা, পাপ-জুলুমে দিন-রাত অতিবাহিত করা এই আমরা কি চিন্তিত, আমাদের মৃত্যুর পর লোকেদের দেয়া সাক্ষ্য নিয়ে? আর এটাই ধ্রুব সত্য; তাই জীবিত অবস্থায় যতোটুকু পারি আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে নিজেদের বিরত রাখি, ভালো আমল, সদকা, পরোপকারে নিজেদের ব্রত রাখি, হয়তো কাল কঠিন কিয়ামাহর দিনে এসবই আমার জান্নাতকে আমার জন্য ওয়াজিব করে দেবে, ইনশা’আল্লাহ। . . ❒ তথ্যসূত্রঃ _________ . [১] সহীহ বুখারী, জানাযা অধ্যায়: হাদিস: ১৩৬৭। সহীহ মুসলিম, জানাযা অধ্যায়: হাদিস : ৯৪৯। [২] সহীহ বুখারী, জানাযা অধ্যায়: হাদিস: ১০৬১। সুনানে নাসায়ী, হাদিস: ১৯৩৪। ▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂ সংগৃহীত
By kolpobazz
Subscribe to:
Posts (Atom)
Popular Posts
-
সাইকো ডায়েরি https://ift.tt/3297LcL
-
রুপাকে নিয়ে অনেক গল্প হয়, অনেক কথা, কিন্তু কেউ তাকে প্রকাশ্যে কিছু বলে না। যেন কী এক গোপন শলাপরামর্শের মতো—কেবলই ফিসফাস, কেবলই কানাকানি, ...