Main Menu

Wednesday, February 13, 2019

কোন নতুন অভ্যাস গড়ে ঊঠতে নাকি একুশ দিন সময় লাগে। আবার কাউকে ভুলে যেতেও নাকি লাগে একুশ দিন। এটা নাকি প্রমানিত। কিন্ত আমি বুঝতে পারছিনা আমার ক্ষেত্রে এমন কেন হল না। আজ একুশ দিন হল মেয়েটির থেকে দূরে আছি। বলতে গেলে সব কিছুই বন্ধ ছিল। ফেবুতেও আসা হয়নি। বন্ধ মেসেঞ্জারটাও। কিন্ত এখনও তাকে ভুলে যাওয়া তো ভাল,তার চিন্তাই মাথা থেকে নামাতে পারছি না। যদিও মেয়েটাকে আমি ভালবাসিনা। দেখিনিও কোনদিন। তারপর ও কেমন একটা অদ্ভুত মায়া যেন তার কথা ভুলতে দিচ্ছে না। আচ্ছা সে কি মানবি।নাকি? মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে। জানিনা এই পোস্ট টা সে দেখতে পাবে কিনা তবে,,, *সত্যি বলছি, জানি হয়ত কোনদিন আমাদের আর দেখা হবে না কথা হবে না, তবে আমি কোনদিন ভুলতে ও তোমায় পারব না। * ভাল থেক আমার (#কেউ না) #ddctd

By kolpobazz

আজ নাকি ভালবাসা দিবস। সেদিন একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ চোখে পড়ে দোকানের সামনে একটি ব্যানার টাঙ্গানো। দু’টি ছেলে মেয়ে একে অপরকে গভীরভাবে আলিঙ্গন করে কিস করছে। আমি দৃশ্যটা ভালো করে দেখতে পারি না। কেন পারি না। তা জানি না। আমার কেমন জঘন্য লাগে। ব্যানারে নিচের দিকে সারিবদ্ধভাবে কয়েকটি লাইন লিপিবদ্ধ আছে। প্রতিটি লাইনে ফেব্রুয়ারী মাসের কয়েকটি তারিখ আর এই তারিখে কী দিবস তা লেখা। আমি লেখাগুলো হালকা নজরে পড়তে থাকি। এখন পুরোপুরি পড়ছে না। যেটুকু মনে পড়ছে তা অগোছালো। কোন ডে’তে কী তা মনে নেই, তবে নামটুকু মনে আছে। যেমন, হাগ ডে, কিস ডে, প্রপোজ ডে, চকোলেট ডে, রোজ ডে, সর্বোপরি ভ্যালেন্টাইনস ডে এইসব। আমি আপন মনে হাসতে থাকি। দুনিয়ায় কত ধান্ধা বিরাজমান। কেউ রাজনীতির ধান্ধা করছে। কেউ ধার্মিকতার লেবাসে ধান্ধা করছে। কেউ সমাজের উন্নতি, অগ্রগতির জন্য ধান্ধা করছে। তাদেরকে কথাবার্তা শুনলে মনে হবে মানব হয়ে জন্ম গ্রহণ করে মহান সৃষ্টিকর্তার সকল অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলছে। আমার প্রায় পুরোপুরি বিশ্বাস, এই ধান্ধাবাজরা সবচেয়ে সুখে আছে। কারণ, তার যখন যেটা দরকার, ধান্ধায় মশগুল হয়ে যায়। ভালবাসা নিয়ে সবচেয়ে গভীরভাবে গবেষণা করেছে যারা তারা হলো, কবি-সাহিত্যিকরা। এটা আমার ধারণা। আমি টুকটাক সাহিত্য সাধনা করি। এই জন্য কবিতা-উপন্যাস পড়তে হয়। কবিতা-উপন্যাস আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি পড়াশুনা শিখেছি, মানুষের সাথে আচার-আচরণের ভঙ্গিমা শিখেছি, কিছুটা হলেও মনের আবেগ প্রকাশ করতে শিখেছি। সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি শিখেছি, প্রেম-ভালবাসার স্বরূপতা। ভালবাসা আসলেই একটি অপার্থিব বিষয়। যেটা হৃদয়ে ধারণ করে। আমরা ভালবাসাকে ঘোলাটে করে ফেলেছি। একটা নোংরা বস্তুতে পরিণত করেছি। যেটা কাম্য নয়। আমি আমার মাকে ভালবাসি। আমার শ্রদ্ধেয় পিতাকে ভালবাসি। ভাই-বোনকে ভালবাসি। সর্বোপরি একটি সঙ্গীকে ভালবাসি, যার সাথে সারাজীবন সুখে-দুঃখে কাটাব। ভালবসার আসল স্বরূপতা এখানেই নিহিত আছে। এটা সম্পূর্ণ আমার মত। বলা যায়, এই অনুভূতিটা সাহিত্য আমাকে শিখিয়েছে। সোশ্যাল সাইটগুলোতে অনেকে অনেক কিছু লেখে। কেউ ভালবাসা দিবসকে একটি সুন্দর, আনন্দঘন দিন হিসেবে বিবেচিত করে। কেউ এটাকে অত্যন্ত খারাপ, জঘন্য একটি দিন হিসাবে প্রচার করে। আমি কোনটাকে ভাল-মন্দ বলতে পারব না। কেউ যদি খারাপ কাজ করে, সে যেমন পার্কে, কলেজ-ভার্সিটির কোনায় কানায় দিব্যি সবার চোখকে মোটেই পাত্তা না দিয়ে আরামসে করতে পারে তেমনি মসজিদে কিংবা মাদরাসায় বসে নেহায়ত কাবিলিয়্যতের সাথে কাজটা আঞ্জাম করতে পারে। নোংরা মন-মানসিকতাকে স্থান-কাল-ভেদ কেউ কখনো ঠেকাতে পারে নি। হররোজ এইসব কাজ চলছে। ভালবাসা দিবস আলাদা কিছু না। ওরাই করে। হয়তো একটু রঙ-চঙ থাকবে। এই যা। একটি ধর্মের দু’চারজন অনুসারী নিন্দনীয় কাজ করলে ধর্ম খারাপ হয় না। এভাবেও বলা যায়, কোন রাজনৈতিক দলের কিছু সংখ্যক মন্দ কর্মীর জঘন্য কাজকে দলের কাজ হিসেবে বিবেচ্য হয় না। ঠিক তেমনি মানব সমাজের কিছু অসভ্য লোকের অসভ্যতামীর দ্বারা একটি অপার্থিব আনন্দময় বিষয়কে অসভ্যতামী বলা যায় না। ভালবাসা আসলেই একটি মহান বিষয়। যেটা সবার হৃদয়ে ধারণ করে না। সবাইকে মোহিত করে না। যাদেরকে করে শুধু তারাই বুঝতে পারে এটার গভীরতম উচ্ছাস। ভালবাসা বলতে আমরা বুঝি, একটি ছেলে একটি মেয়েকে প্রপোজ করে, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কিংবা ইমু-হোয়াটসঅ্যাপে ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাট করা। নির্ধারিত দিনে পার্কে ঘোরা, রিক্সার হুড তোলে কাছাকাছি বসা। আরেকটু অ্যাডভান্স হলে কিস করা। এভাবে হয়তো অ্যাডভান্সের ধাপটা আরো উপরের দিকে উঠতে থাকে। এটাকে কখনো ভালবাসা বলা যায় না। জগতে সবচেয়ে রহস্যময় জিনিষ হলো, মানুষের মন। বছরের পর বছর একসঙ্গে পাশাপাশি থাকার পরও একজন আরেকজনের মনের গতিবিধি বুঝতে পারে না। এই অসম্ভব কাজটা যে দু’জনের মাঝে সম্ভব হবে তাদেরকে প্রেমিক-প্রেমিকা বলা যায়। আরেকভাবে বলা যায়, তাদের মধ্যখানে যে কারবারটা হয় বা হচ্ছে তা-ই ভালবাসা। বর্তমানে পুরো বিশ্বে যে হারে দিবস প্রবর্তন হচ্ছে। আমার পুরোপুরি বিশ্বাস আরো দু’চার বছর পর দেখা যাবে, প্রতিদিন একটি করে দিবস উদযাপন হচ্ছে। হয়তো এখনই চালু আছে। আমি জানি না। এই দিবসগুলো মানব সমাজকে কতটুকু উপকৃত করছে তা আমার মত অদম মাথা চুলকে চুলকে সব চুল বিনাশ সাধন করলেও মাথা টাক হবে কিন্তু অনুধাবন করতে পারব বলে সাহস করতে পারছি না। #rpst 2017

By kolpobazz

Popular Posts