.কল্পলোকের কল্পবাজ একজন ভাল লেখককে সহজেই ভাল মানুষ ভেবে নেয়াটা বোকামী। যেমন একজন ভাল ডাক্তার ভাল মানুষ নাও হতে পারে। বাংলাদেশে যত জন ডাক্তার আছে এরা সবাই যদি ভাল মানুষ হত, যদি প্রত্যেকটা ডাক্তার দিনে তিনটা করে রোগী বিনা পয়সায় দেখত তাহলে আর এদেশে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যেতনা।
Thursday, March 14, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (০১) #সাইকো এখানে বসতে পারি??? (মেয়ে) - জ্বি,বসেন। (ছেলে) - ধন্যবাদ ... একটু ভয় ভয় লাগছে শান্তর। এই প্রথম শহরের কোন মেয়ের সাথে কথা বলছে। তার জানা মতে শহরের মেয়েরা অহংকারী হয় আর সহজে ছেলেদের সাথে কথা বলেনা। আচরনেও হয় রাগী... এজন্য সে শহরের মেয়েদের সাথে কথা বলতে একটু ভয় পায়।কারন সে গ্রামের ছেলে। শহরে এসেছে পড়াশোনা করতে। আজ নতুন ভর্তি হয়েছে ভার্সিটিতে। - আমি রিতু । মিরপুরে থাকি। আপনি? - জ্বি আমি শান্ত । গ্রাম থেকে শহরে এসছি।পড়াশোনার জন্য। - বেশ ভাল। পরিচিত হয়ে ভাল লাগলো।(হেসে) - জ্বি ধন্যবাদ। আমিও খুশি হলাম। রিতুকে দেখে তার শহরের মেয়েদের প্রতি চিন্তাধারা একটু ঘুরে গেল। রিতু ঐরকম নয়। হেসেখেলে কথা বলে। আচরনও বেশ মার্জিত । একটা মেয়ে এত ভাল হয় কি করে। একটু খটকা লাগছে শান্তর কাছে ।. ক্লাস শেষে শান্ত সরাসরি বাসায় আসলো। বাসা বলতে সে মেসে থাকে তার দুই বন্ধু রুমমেটের সাথে। গ্রাম ছেড়ে শহরে পড়াশোনার জন্য তাকে মেসে ভাড়া করে থাকতে হয়। শান্তর মা নেই। যখন সে ক্লাসসিক্সে পড়ে তখন তার মা ক্যান্সারে মারা যায়। এরপর বাবাই ছেলের ভরনপোষনের দায়িত্ব নেয়। বাবা ছোটখাটো মুদির দোকানদার। যদিও পরিবারে শান্তর কোন ভাই বোন নেই। সে একাই বাবার সাথে থাকে। তবুও শুধু মুদি দোকান দ্বারা অনেক সময় তার চাহিদা পুরন করা তার বাবার পক্ষে সম্ভব হয়না। এমনও গেছে বাবা না খেয়ে ছেলেকে খাইয়েছে। এমন অভাবে চলতো বাপ ছেলের সংসার। বাবা সামান্য মুদি দোকানদার হওয়া সত্বেও ছেলের প্রতি ছিলেন খুব দায়িত্বশীল। পড়াশোনার একমাত্র ছেলেকে সে শহরে পাঠাবে, ছেলে বড় হয়ে মানুষ হবে এই আশায়। ছেলে হিসেবে শান্ত ছিল নম্র ভদ্র, আচরন ছিল খুব ভাল। পড়াশোনায় ছিল মেধাবী ছাত্র। তাই তার গ্রামের গুরুজন তাকে বেশ স্নেহ করতো আর ভালবাসতো। শান্ত তার বাবার কথা মতোই সবসময় চলতো। বাবা স্বপ্ন পুরনেও সে কর্তব্যপরায়ন। এজন্যই শান্তর বাবা তার একমাত্র ছেলেকে খুব ভালবাসতো। ছেলেও বাবাকে ভীষন ভালবাসতো। আর মা মারা যাবার পর তার বাবা কখনোই ছেলেকে মায়ের অভাব উপলব্ধি করতে দেন নি। তাই বাবাই ছিল তার কাছে সব। . ঐদিকে রিতু তার বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবা শহরের বড় ব্যবসায়ী, নিজস্ব গাড়ি, বাড়ি আছে। আর মা কলেজের প্রফেসর। আর আছে ছোট ভাই। ছোট বেলা হতেই বড় আদরে মানুষ হয়েছে রিতু। আর খুব ভাল, ভদ্র মেয়ে। চাল-চলন যেমন ছিল সুন্দর তেমনি দেখতেও... .
By kolpobazz
Subscribe to:
Posts (Atom)
Popular Posts
-
সাইকো ডায়েরি https://ift.tt/3297LcL
-
রুপাকে নিয়ে অনেক গল্প হয়, অনেক কথা, কিন্তু কেউ তাকে প্রকাশ্যে কিছু বলে না। যেন কী এক গোপন শলাপরামর্শের মতো—কেবলই ফিসফাস, কেবলই কানাকানি, ...