Main Menu

Tuesday, May 28, 2019

Attention: Don't read this .... স্বইচ্ছায় পড়লে আমায় দোষ দিতে পারবেন না। পর্ন স্টার [গল্প - ০৩] [সাইকো] রিয়া কান্না আটকানোর চেষ্টা করছে। খুব চেষ্টা করছে যেন ওর চোখ দিয়ে পানি বের না হতে পারে। কিন্তু সেটা সে কত সময় পারবে রিয়া জানে না। জীবনে ওকে কেউ এভাবে মারে নি যেভাবে সামনের মানুষটা ওকে আঘাত করছে। যদিও সামনের মানুষটাকে ও দেখতে পাচ্ছে না। কারন ওর চোখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা। সেই সাথে ওর হাত দুটোও দুদিকে শক্ত করে গ্রীলের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। ও চাইলেও সামনের মানুষটাকে বাঁধা দিতে পারবে না। বলতেও পারবে না কোন কথা কারন ওর মুখের ভেতরে এক গুচ্ছ কাপড় গুজে দিয়ে তারপর কালো টেপ দিয়ে শক্ত করে পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটি আঘাতের সাথে ওর গোঙ্গানীর আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই বের হচ্ছে না। পায়ের গোড়ালী দুইটো শক্ত করে এক সাথে করে বাঁধা হয়েছে। নিজের এই অবস্থার জন্য ও নিজেই দায়ী। আজকে রিয়া যে এমন হেল্পলেস অবস্থায় রয়েছে সেটা হয়েছে ওর নিজের ইচ্ছেতেই। হঠাৎ রিয়া বুঝতে পারলো সামনের মানুষটা ওর মুখের চেপ খুলতে শুরু করেছে। রিয়ার মনে হল ও কি কোন ভুল করে ফেলেছে। ওর যে কান্না আসছে সেটা কি সামনের মানুষটা বুঝে ফেলেছে। মুখ খুলে ফেলতেও শুনতে পেল -তোমার আম্মু ফোন দিয়েছে। কন্ঠ স্বাভাবিক করে কথা বল। আমি লাউড স্পিকারে দিয়ে দিচ্ছি। রিয়া বুঝতে পারলো যে অন্য কোন কারনে ওর মুখটা খোলা হয় নি। হাতও খোলা হবে না। রিয়া একটা বিপ আওয়াজ শুনলো। তারপরই মায়ের কণ্ঠস্বর শুনতে পেল। -রিও, তুই ঠিক আছিস? রিয়া নিজেকে যথা সম্ভব স্বাভাবিক রেখে বলল -আম্মু আমি ঠিক থাকবো না কেন? আজিব তো? আমি বাসা থেকে পালিয়ে যাই নি। আদিবার বাসায় এসেছি। আম্মু বলল -আরে এমন রাগ করিস কেন? -তুমি এমন প্রশ্ন কেন কর? -আচ্ছা আর করবো না। রাতের খাবার হয়েছে? -হুম। -ভাল ভাবে থাকিস। আর দরকার হলেই ফোন দিস। ফোন রাখার আগে রিয়ার খুব করে ইচ্ছে হল মাকে চিৎকার করে বলে যে ওকে এখান থেকে নিয়ে যায় কিন্তু সেটা বলল না। ইচ্ছেটাকে শক্ত করে দমন করলো। অনেক দিন পর এমন একটা সুযোগ এসেছে আর হয়তো আসবে না কোন দিন। ফোন রাখার আওয়াজ হল। তারপর আবার রিয়ার আবার সেই কান্না আসতে লাগলো। রিয়া শুনতে পেল -পানি খাবে? রিয়া কিছু বলল না কেবল মাথা ঝাঁকালো। কিছু সময় পরে ওর মুখে একটা বোতলের স্পর্শ পেল। বেশ কিছুটা পানি পান করে নিল ও। তারপর আবারও ওর মুখের ভেতরে সেই কাপড়ের দলাটা গুজে দেওয়া হল। এবং তারপর কালো টেপ দিয়ে শক্ত করেই পেঁচানো হল মুখটা যেন কোন আওয়াজ না বের হতে পারে। রিয়া কেমন করে এসবের ভেতরে পরলো ও বলতে পারবে না। ওর শুধু মনে আছে তিন মাস আগে ওর ওয়াটপ্যাডে একটা গল্প খুজে পায় যেখানে একটা মেয়েকে শক্ত করে দড়ি দিয়ে বেঁধে অত্যাচার করা হয়। এবং সেটা করা হয় মেয়েটার ইচ্ছেতেই। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা জানতে পেরে ও অবাকই হয়েছিল। এমনও মানুষও হয় নাকি। তারপর সেই গল্পের লেখকের সাথেই কথা হয়। একটু সংকোচ হচ্ছিলো তবে সব সংকোচ দূর করে কথা গুলো জিজ্ঞেস করেই ফেলল। তখনই সব জানতে পারলো। সেই দিন অনেক কথা হল দুজনের মাঝেই। সেদিনই সে বিডিএসএম, স্যাডিস্ট, বন্ডেজ সম্পর্কে জানতে পারলো। তার আগ্রহ যেন আরও দ্বিগুন বেড়ে গেল তারপর থেকেই রিয়ার মাথার ভেতরে অন্য কিছু ছিল না। গল্প গুলো বারবার পড়তে লাগলো। নিজেকে ঐ গল্পের মেয়ে গুলো হিসাবে কল্পনা করতে লাগলো। রাতে ঘুমানোর সময় নিজের পা শক্ত করে বেঁধে নিয়ে ঘুমাতে লাগলো। চোখ মুখও বেঁধে নিত কিন্তু ঠিক হাত বাঁধতে পারতো না বলে শান্তি পেত না। তারপরই সে ঐ লেখককে আবার নক দিল। তাকে বলল যে সে তার স্লেভ হতে চায়। তার লেখা গুলো তার মাথায় এমন ভাবে ঢুকে গেছে যে সেটা যতক্ষণ না ট্রাই করছে ততক্ষণ তার শান্তি নেই। কিন্তু সেই লেখক কিছুতেই রাজি হচ্ছিলো না। কারন রিয়া সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এসব কিছু আঠারো বছর না হলে কিছুতেই ট্রাই করা যাবে না। কিন্তু নাছোড়বান্দা। সে শুনবেই না। তাকে তার স্লেভ বানাতেই হবে। শেষ এক পর্যায়ে সে রাজি হয়। তবে বলে যে এখন কেবল অনলাইনেই তার মাস্টার হবে সে। তারপর ১৮ পার হওয়ার পরে সরাসরি যোগাযোগ করবে। তারপর থেকেই রিয়ার জীবনটা অন্য রকম হয়ে যায়। আগে একটা সময় ও বুঝতে পারতো যে ওর জীবনে যেন কি এক টা জিনিস মিসিং। কিন্তু সেটা কি সেটা রিয়া বুঝতে পারতো না। এই জীবনট। বেঁছে নেওয়ার পরপরই সে বুঝতে পারে যে এটাই তার জীবনে দরকার ছিল। কিন্তু সেটাতেও যেন মন ভরছিল না ওর। সত্যি কারের বিডিএসএম এক্সপিরিয়েন্স নেওয়ার জন্য ও মুখিয়ে ছিল। ঠিক সেটা বাস্তবে পরিনত করতেই যেন সুযোগ টা চলে এল। ওর কাছের এক বান্ধবীর বাবা মা হঠাৎ করেই ঢাকার বাইরে যাওয়ার দরকার হল। তাই রিয়া কে বলল যেন রাতে গিয়ে থাকে ওর বাসায়। রিয়া সুযোগ পেয়ে গেল। রিয়া বাসা থেকে বের হল কিন্তু গেল তার ডমিনেন্ট লেখকের বাসায় আর আদিবা তার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে এল বাসায়। সবাই খুশি। যদি রিয়ার বাবা মা আদিয়ার বাসাতে ফোনও দেয় তাহলে আদিবা বলবে সে ও সেখানেই আছে। প্রথম প্রথম রিয়ার একটু ভয়ই করছিল। কারন মানুষটার সাথে এর আগে মাত্র একবার দেখা হয়েছে। তবে রিয়া তাকে ১০০ ভাগ বিশ্বাস করে। কারন মাঝে মাঝেই তাদের ভিডিও চ্যাট হত। সেখানে রিয়াকে আসতে হত কোন প্রকার কাপড় ছাড়াই। কারন একজন স্লেভের কোন কাপড় পড়ার অনুমুতি ছিল না। কিন্তু তার পরেও সেগুলো ছিল দূর থেকে। আজকে যা হতে চলেছে তা হবে সরাসরি। তার বাসায় এসে রিয়ার ভয়টা যেন আরও একটু বেড়ে গেল। বারপবার ইচ্ছে করছিলো দৌড়ে চলে যেতে। কিন্তু সেই সাথে সে খুন উত্তেজিত ছিল। কিভাবে তার স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই কথা বার্তা বলছিল সে। রিয়ার মনের ভয় দূর করার চেষ্টা করছিল। যখন সময় আসলো সে বলল -আরেক বার ভেবে দেখ। রিয়ার কিছু সময় চুপ করে থেকে বলল -আমি ভেবেছি। -তোমার যদি কিছু হয়ে যায় আমার কিন্তু খবর আছে। কতদিন জেল খাটবো নিজেও জানি না। রিয়া হাসলো। তারপর বলল -এই জন্য জানি আপনি আমালে দেখে রাখবেন। সে আবার বলল -তাহলে সেফ ওয়ার্ড নিতে চাও না? -না। ওটা নিলে আমি পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করতে পারবো না। কেবল দেখবেন যে এমন কোন জায়গায় কোন দাগ না পড়ে যেটা পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখা না যায়। ঠিক আছে? -তুমি কিন্তু তোমার জীবনটাই আমার হাতে তুলে দিচ্ছো! -আমি জানি। তারপরেই কাজ শুরু হয়। রিয়াকে অন্য একটা ঘরে নিয়ে গেল সে। রিয়া পোশাক বদলে একটা টিশার্ট আর লেগিংস পরেছিল। ও বলেছিল ওর পক্ষে নিজেকে নগ্ন করা সম্ভব হবে না। তাই যখন ওকে বাঁধা হবে তখন কাজটা সেই করে। সে রাজি হয়েছিল। রিয়াকে যে ঘরে নিয়ে এল সে, সেটার ভেতরে কোন আসবার পত্র নেই। নেই কোন ফ্যান। ফ্যান ঝুলানোর স্থান থেকে একটা দড়ি ঝুলছে। রিয়া সেই দড়ির দিকে ভয়ে ভয়ে তাকালো। তারপএ রিয়াকে জানালার গ্রিলের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। ওর হাতটা দুদিকে নিয়ে শক্ত করে টানটান করে বেঁধে ফেলা হল। তারপর পা দুটো শক্ত করে এক সাথে বাঁধা হল। চোখে বাঁধা হল কালো কাপড় এবং মুখে কাপড় গুজে টেপ দিয়ে শক্ত করে পেঁচিয়ে বাঁধা হল। বাঁধা শেষ রিয়াকে কিছু সময় ওভাবেই রেখে দেওয়া হল। তারপরই রিয়া অনুভব করলো একটা কেঁচি দিয়ে ওর শরীরের পোশাকটা কেটে ফেলা হচ্ছে। সম্পূর্ন কাজটা করতে মিনিট খানেক লাগলো। এই সময়ে রিয়ার পুরো শরীর যেন আন্দোলত লাগলো। যখন ওকে পুরো নগ্ন করে ফেলা হল রিয়ার অনুভূতিটা ছিল অন্য রকম। কিছু পরে ওর শরীরে কিছু একটা ঢেলে দিল সে। রিয়া জানে এট। একটা বন্ডেজ ওয়েল। এর ফলে খুব একটা দাগ পরেনা শরীরে তবে ব্যাথা ঠিকউ লাগে। তারপরই সেই সময় এল। ও বেতের আওয়াজ পেল। যেন সেটা বাতাস কেটে আওয়াজটা করছে। জানে এখনই ওর শরীরে আঘাত করবে। ও জানে এখনই আসবে কিন্তু কখন সেটা জানে না। তারপর আঘাত টা এল। ওর পায়ের উপর। তীব্র একটা যন্ত্রনা পুরো শরীরে নয়ে গেল। নিজেকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্ট। করলো কিন্তু কোন কাজ হল না। এরপর বেতের আঘাত একের পর এল আসতেই লাগলো। রিয়ার একটা সময় মনে হল ও আর সহ্য করতে পারবে না। কিন্তু জানে যত সময় না সে সন্তুষ্ট হবে তত সময় এটা চলবেই। একটা সময় বেতের আঘাত শেষ হল। তারপর রিয়াকে আঘাত শুরু জক ফ্লোগার দিয়ে। বুকের স্তন দুটো লাল হয়ে গেল ফ্লোগারের আঘাতে। নিজেকে চরম।পর্যায়ে নিয়ে গেল। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো তারপর চিৎকার করতে চাইলো কিন্তু কিছুই করতে পারলো না। তারপর রিয়ার হাত দুটো খুলে দেওয়া হল। এবং তাকে দেওয়ালের দিকে মুখ করে বাঁধা হল। ফলে রিয়া পিঠ আর নিতম্ব উন্মুক্ত। রিয়া এবার জোরে জোরে দম দিতে লাগলো। ওর সহ্যের সীমায় পৌছে গেছে। আর কত সময় সে সহ্য করতে পারবে সে জানে না। তারপরেই আবারও আঘাত শুরু হল। রিয়া এবার সত্যি সত্যি চাইলো যে সব থামে কিন্তু সেটা আর হল। আঘাতের পর আঘাত চলতেই লাগলো। কয়েক স্থানে কেটে গেল। রক্ত বের হয়ে গেল তবুও থামলো চাবুক। যখন থামলো তখন রিয়া চেতনা হারিয়ে ফেলেছে। সকালে যখন রিয়ার ঘুম ভাঙ্গল তখন বেশ বেলা হয়ে গেছে। রিয়া চোখ মেলে বুঝতে পারলো ও তখনও বেঁচে আছে। একটু নড়তে গিয়েই টের পেল ওর পুরো শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা। পাশ ফিরতেই দেখলো পাশের টেবিলে গরম কফির কাপ থেকে ধোয়া উড়ছে। আর নাস্তা ঢাকা রয়েছে। সেখানে একটা নোট রাখা। রিয়া যত সময় ইচ্ছা থাকতে পারে এখানে সে অফিস যাচ্ছে। আর সবার শেষে লেখা গতকাল সে ছিল আনেইজিং। সে নিজেও আশা করে নি যে রিয়া এতো দূর পর্যন্ত যেতে পারবে। রিয়া সত্যি নিজের আসল সত্ত্বা কে যেন খুজে পেয়েছে। গত কাল রাতের কথা মনে হওয়ার সাথে সাথে বারবার কেঁপে উঠছে। সেই সাথে একটা অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে, যে অনুভূতির কোন তুলনা নেই।

By kolpobazz

Popular Posts