Main Menu

Saturday, March 9, 2019

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ০১ (পর্বঃ০১) #সাইকো তখন আমি খুব ছোট । সবে মাত্র ক্লাস ফোর কি ফাইভ এ পড়ি । ক্লাসে খুব একটা না পারলে ও খারাপ ছিলাম না। তবে কেন জানি ক্লাসের মেয়েদের ঝোঁকটা কেবল আমার ওপর ই ছিল । কিন্ত তাদের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র ও আগ্রহ ছিল না। আমার আগ্রহের বিসয়বস্তু ছিল অন্যরকম । এই যেমন সবাই যখন মাঠে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকত , আমি তখন বেরিয়ে পরতাম নতুন কোন শিকারের খোজে । হয়ত কোন পাখি ধরে জ্যন্ত চামড়া ছারিয়ে তাতে লবন মরিচ দিয়ে দিতাম ।পাখিটা মারা জাবার আগ পর্যন্ত ছটফট করত , আর আমার কেন জানি মনের ভেতর খুশি লাগত।একবার এমন পাশের বাসার বিড়ালটা যখন আমার মাছে টুক্রাটায় হানা দিল,প্রতিজ্ঞা করেছিলাম একে তিল তিল করে কষ্ট না দেয়া পর্যন্ত আর ভাত খাব না। বেশি কষ্ট করতে হয়নি । পরদিন ই শায়েস্তা করেছিলাম শুয়োরটাকে । কত বড় সাহস আমার প্লেট থেকে মাছ নেয়া। চুরি করায় পটু হলে ও সালা আসলে ছিল ছাগল একটা । মাথায় বুদ্ধি সুদ্ধি কিছুই নেই । একটা মাছএর লোভ দেখাআতেই কিছু না ভেবে আমার পেতে রাখা মাছ ধরার কারেন্ট জালের মধ্যে ঢুকে পরল । দেরি করিনি এক্টুও । সোজা বারি বসিয়ে দিয়েছিলাম মাথার উপর । বারি খেয়ে লাট্টুর মত কতখন ঘুরে ফিরে যখন ঠাণ্ডা হয়ে গেল আমি তাহাকে নিয়ে একটা তক্তায় শোয়ালাম । চার পায়ে চারটা পেরেক মারলাম।বেচারা একটু ও শব্দ করেনি।হয়ত আগের বারির শকেই সালা বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল । পেরেক মেরে বাসা থেকে আনা কেরোসিন তার গায়ে ঢাললাম ।সালা তখন ও চোখ মেলে টিপ টিপ[ করে তাকাচ্ছে কিন্ত কিছু বলতে পারছে না।কেরোসিন লাগিয়ে একটা গাছের সঙ্গে উলটা করে বাদলাম । এরপর দিলাম তার গায়ে আগুন লাগিয়ে । আগুন জ্বলছে । আস্তে আস্তে আগুন ছরিয়ে পরছে পুরো গায়ে। বিড়ালটা চি চি করছে । হয়ত বলছে ভাই ভুল হইছে । ক্ষমা করে দেন। কিন্ত কি করব তখন ক্ষমা চেয়ে কি লাভ।তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে । বাতাসে ঘুরছে বেধে রাখা তক্তাটা । আস্তে আস্তে আগুন বারছে । চি চি শব্দটাও আর শোনা জাচ্ছে না ।আহ পথের একটা কাটা দূর হল ভেবেই শান্তি লাগছে। নাহ সন্ধে হয়ে জাচ্ছে বাড়ি জেতে হবে ভাবতে ভাবতে বাড়ির দিকে হাটা ধরলাম আর ভাবতে লাগ্লাম আজকে একটা জম্পেস ঘুম হবে ।

By kolpobazz

No comments:

Post a Comment

Popular Posts