Main Menu

Thursday, April 4, 2019

কফি শপটার ঠিক সামনেই তার সাথে প্রথম দেখা।সে উদভ্রান্তেরর মতো বসে ছিল। দেখেই বুঝলাম হয়ত ছিনতাইকারীর হাতে খোঁয়া গেছে তার ব্যাগ, মোবাইল ও টাকা-পয়সা। তারপর ও জিজ্ঞেস করলাম ‘আপনার কি কোনো প্রবলেম হয়েছে?’ মেয়েটি কথা বলতে পারছিল না।সুধু ফুপিয়ে ফুপিয়ে প্রচন্ড কান্না করছিলো। তবুও কোনোমতে টলতে টলতে এসে পাসে দাড়াল এরপর খুলে বলল সব। . তারপরই, একটু একটু করে আমাদের হাতে হাত রেখে পথচলা শুরু। পড়ন্ত বিকেলে ওর কাঁধে মাথা রাখার গল্প শুরু। এই মেয়েটাকে কেন যেন আমি খুব বুঝতাম। একটু-আধটু না। অনেক- অনেক বুঝতাম। আর ভালোবাসা? সেটা ছিলো প্রচন্ড রকমের। এবং শেষে, সেই মেয়েটাই একদিন আমার বিশ্বাসের উপর চরম আঘাত হানে। আমার বিশ্বাস, আমার ভালোবাসা সব গুড়িয়ে দিয়েছে। জান্নাত এখন আমার সামনে বসা। নিজ ইচ্ছেতে বসে নেই। আমি জোর করে বসিয়ে রেখেছি। শক্ত মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছি। মুখে ভারী স্কচটেপ পেঁচিয়ে রেখেছি। ওর সামান্যতম নড়বার শক্তিটুকু নেই। আমি খুব ঠান্ডা মাথায় ইস্ত্রী গরম করছিলাম হাই ভোল্টেজে। ওর হাতের তালুতে ভারী গরম আয়রন চেপে ধরলাম। আস্তে আস্তে আয়রন করতে লাগলাম। ওর চিৎকারটা বেরিয়ে আসতে পারছে না মুখে স্কচটেপ দিয়ে বাঁধার কারণে। যেই হাত দিয়ে ও আমার হাতে হাত রেখে সারাজীবন থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, সেই হাত দিয়ে ও অন্য ছেলেদের শরির ছুঁয়েছে, তাদের আলিংগন করেছে,তাদের ভোগের বস্তু হয়েছে। আমার পবিত্র ভালোবাসাকেও পিষে মেরে ফেলেছে। ওর হাতের তালুর মাংস পোড়া গন্ধ বের হচ্ছে। আমি কয়েক সেকেন্ডের জন্য বিরতি দিলাম। ঠান্ডা গলায় বললাম-‘আমি এমনটা করতে চাই নি জান্নাত, বিশ্বাস করো এমনটা করতে চাই নি। তুমি আমাকে বাধ্য করেছো। জান্নাতে’র চোখের কোণ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। তীব্র কষ্টে মনে হয় এ রকমটা ঘটে। আমি ওর চুলে হালকা করে বিলি কেটে দিলাম। “আমাদের ভালোবাসাটা কত নিষ্পাপ ছিলো, তাই না জান্নাত?”-আমি ইস্ত্রী গরম করতে করতে বললাম ওকে। “আমি কতটা সুখী ছিলাম তোমাকে নিয়ে। কত স্বপ্নও দেখে ফেলেছিলাম। আমাদের একটা সংসার হবে। ঘর আলো করে একটা বাচ্চা থাকবে। আমি রাত করে অফিস থেকে বাসায় ফিরলে তুমি অভিমান নিয়ে বসে থাকবে। আমি মিষ্টি করে রাগ ভাঙ্গাবো”। নাহ সব সপ্ন ভেস্তে গেল। আমি আয়রন টা ওর অন্য হাতে চেপে ধরলাম। ও থরথর করে কাঁপতে লাগলো। তীব্র ব্যাথায় ওর শরীর নীল হয়ে যাচ্ছে। আমি হাসছি,, কেননা নিল রঙ আমার অনেক প্রিয়। : কলেজ থেকে পিকনিকে যাওয়ার একটা ডেট পড়লো। আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। জান্নাত’ও আমাকে বললো-‘হ্যাঁ, যাও। একটু ঘুরে আসা উচিত। সারাদিন তো কত ব্যস্ত থাকো পড়াশোনা নিয়ে। একদিন সবার সাথে না হয় একটু ঘুরে আসো। মনটাও ফ্রেশ হবে” আমি মন খারাপ করে বললাম-তোমাকে ছাড়া যেতে একদম ভালো লাগছে না। ও মুচকি হেসে বললো-‘আর তো কয়েকটা বছর। তারপরই তো আমরা সারাজীবন একসাথে থাকবো।” যাওয়ার দিন আমার প্রচন্ড মাইগ্রেনের ব্যাথা উঠলো। আমি উঠতে পারছিলাম না ব্যাথায়। যতক্ষণে কিছুটা স্বস্তি ফিল করলাম ততক্ষণে পিকনিক বাস মিস করে ফেলেছিলাম। খুব মন খারাপ হলো। তৎক্ষণাৎ ভাবলাম, থাক ও আছে তো। ওর বাসায় চলে যাই। ওকে নিয়ে সারাটা দিন থাকি। জান্নাতের’র বাসায় গিয়ে ওর রুমের দরজা আমাকে নক করতে হয় নি। জানালা দিয়ে যখন ওকে ডাকতে যাবো তখন এক মুহর্তের জন্য রুমের ভেতরের দৃশ্য দেখে আমি পাথর হয়ে গেলাম। আমার জান্নাত তো এটা? হ্যাঁ, আমার জান্নাত অন্য একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে পাগলের মতো ঘন চুম্বনে নিজেদের আবদ্ধ করে রেখেছে।ছেলেটা জান্নাতকে মনে হচ্ছে হিংস্র জন্তুর মত খাব্লে খাবলে খাচ্ছে।আর জান্নাত.. জান্নাতের হাত ছেলেটার পিঠ খামচে ধরে আছে -উফফ, আমি আর এ দৃশ্যটা সহ্য করতে পারছি না। টলতে টলতে কোনোমতে বাসায় আসলাম। কি আশ্চর্য! মাথা ব্যাথাটা যেনো নিমেষে উধাও হয়ে গেলো। : আমি শান্ত চোখে জান্নাতের’র দিকে তাকালাম। তীব্র মাংস পোড়া গন্ধ বের হচ্ছে। হাতের রগ পুড়ে কালশিটে হয়ে গেছে। হাড়ের নরম মাংস উঁকি দিচ্ছে। যাক…পুড়ে যাক। ওর এ দু’হাতে ও আমার দু’হাত ছুঁয়েছিলো। আমার স্পর্শটা মুছে দিতে হবে তো। একটা আয়না এনে ওর সামনে রাখলাম। কাঁটা চামচ দিয়ে ওর ডান চোখটা খুব সযতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেললাম। আয়নাটা রাখলাম যাতে আরেক চোখ দিয়ে ও এই বীভৎস দৃশ্যটা দেখতে পারে। ও হিস্টরিয়া রোগীর মতো কাঁপতে লাগলো। আমি ওর মুখ থেকে স্কচটেপ টা সরিয়ে দিলাম। জান্নাত পাগলের মতো বলতে লাগলো-‘আমাকে মেরে ফেলো শান্ত। আমাকে মেরে ফেলো। এভাবে কষ্ট না দিয়ে আমাকে মেরে ফেলো।” কি আশ্চর্য! এই মেয়েটার সাথে না আমার সারাজীবন পাশাপাশি চলার কথা ছিলো। একটা পৃথিবী গড়ার কথা ছিলো। আর, এ মেয়েটাই এখন আমার কাছে মৃত্যু চাচ্ছে। . আমি ও’র চিবুকে হাত ছোঁয়ালাম। গলগল করে রক্ত পড়ছে। সেই রক্তে আমার হাত ভিজে চপচপ হয়ে গেছে। একটা আঙ্গুল আলতো করে ওর গালে ছুঁইয়ে বললাম-‘এত তাড়া কিসের, ডার্লিং। একটু শান্ত হও’ একটা ফল কাটার ধারালো ছুরি আনলাম। ওর আঙ্গুলগুলোর ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটা নিখুঁত পোচ দিলাম। ওর এই আঙ্গুলগুলোর ফাঁকে আমার আঙ্গুল ছিলো। মাঝে অন্য কারো স্পর্শ কি করে থাকতে পারে। প্লাস দিয়ে আমি ওর নখগুলো উপড়ে ফেলতে ফেলতে বললাম- ‘মনে আছে পাগলি, এই হাত, এই আঙ্গুল আমাকে কত শান্তনা দিতো। কত ভরসা দিতো। মনে আছে, মনে আছে তোমার? বলো না…. ছলনাময়ীরা সহজে জ্ঞান হারায় না।জান্নাত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। ওরা চিৎকার ও দেয় না। এই যে আমি আমার ও’র হাতের আঙ্গুলগুলো এত যত্নে কুঁচিকুঁচি করে কেটে ফেললাম, হাতের কবজি টা আলাদা করে ফেললাম কই আমার পড়িটা তো একটুর জন্যও চেঁচায়নি। কত্ত ভালোবাসে আমায়, তাই না?। ওহ, শীট! চেঁচাবে কি করে, আমি যে ওর মুখে কাপড় ঠেসে গুঁজে রেখেছি। কি বোকা আমি! : বিকেলে আমি জান্নাত’কে বাসায় আসতে বললাম। ও অবাক হয়ে বললো-‘শান্ত,তুমি পিকনিকে যাও নি?’ আমি মুচকি হেসে বললাম-‘মাথাব্যথা করছিলো, মিস করে ফেলেছি’ ও ব্যস্ত কণ্ঠে বললো-বাসায় তুমি? আমি এক্ষুণি আসছি। আর, আগে বলো নি কেন। তাহলে তাড়াতাড়ি চলে আসতাম। কত চিন্তা হয় তোমার জন্য বুঝো তুমি?’ ইশ! কুত্তিটা কি নিঁখুত অভিনয়ই না করে। আচ্ছা, আমি কেনো পারলাম না? আমি কেনো নিজের সবটা দিয়ে ওকে ভালোবাসতে গেলাম। আমি কেনো আমার আত্মার সাথে ওকে মিশিয়ে ফেললাম। হা হা,,,,, what a fool I am! aren’t I? : আমি ওর চুল খামচে ধরে বললাম-কফিটা কেমন ছিলো? ওকে আমি কড়া ডোজের ওষুধ দিয়ে কফি দিয়েছিলাম। ব্যস…খেল খতম। তারপর, খুব যত্ন করে ওকে বেঁধে ফেললাম আমি। ওকে হুট করে মারলে চলবে না। তোমাকে বাঁচতে হবে ডার্লিং, you have to sarvive……..for me,, জান্নাতের’র চোখ বুজে আসছে, আমার ভালোবাসা বুজে যাচ্ছে নাহ। আর কষ্ট দেওয়া যাবে না মেয়েটাকে, অনেক হয়েছে। আমি ওর মাথার খুলিটা গোল করে কাটলাম। স্ক্যাল্পটা সরিয়ে মগজ বের করে আনলাম, ওর শরীর থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে নিথর হয়ে গেলো। শ্বাস নিচ্ছে না, নড়চে না আহারে বেচারা!! ওর মগজটা হাতে নিলাম, একদম ছোট একটা মগজ,,। এত স্বল্প মগজে ও কি করে এত ছেলেকে কাবু করে!? নাহ আমার জানুটা’র বুদ্ধি আছে বলতে হবে।। আমি খুব শান্তভাবে পুলিশকে ফোন দিলাম। ঘটনা সব খুলে বললাম। পুলিশ জানালো তারা আসছে। আমাকে পালাতে বারন করা হয়েছে। আমি ততক্ষনে ফ্রেশ হতে ডুকলাম ওয়াশরুমে। হাতে ঘিলুটা নিয়ে ফরমালড্রিহাইড্রেটের নিল দ্রবনে রাখলাম যত্ন করে। হলদেটে ঘিলুটা নিল দ্রবনে মিশে আস্তে আস্তে গাড় নিল রঙ ধারন করেছে,,,, আমার ভিসন হাসি পাচ্ছে,,, আর ভাবছি,,,, জান্নাত তুমি এভাবেই বেচে থাকবে,,, পঁঁচবে না গলবে না,,,, তোমার চিন্তাগুলিকে মরে যেতে দেই কি করে। ঝরনা ছেরে দিলাম,,,,,, ইশ!! আমার শরীরটা একজন বিশ্বাসঘাতকিনীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে,,,,, #সাইকো

By kolpobazz

No comments:

Post a Comment

Popular Posts