ভালোবেসে কষ্ট পাওয়ার গল্প পাশাপাশি রিকশায় আমরা। এত আড়াল করার পরও চোখে চোখ পড়ে গেল। এত বছর পরেও বুকটা এমন ধুকধুক করে কেন! কথা বলবনা বলবনা করেও মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল, কেমন আছ? - ভালো। তুমি? - ভালো। বাড়ি ফিরছ? - হ্যা। তুমি? - আমিও, এখানে নতুন এসেছ?
আগে দেখিনি তো। - দেখা দিতে চাইনি। - আমিও তো। - ইস কি বিশ্রী জ্যাম! - হ্যা। কখন যে একটু চলতে শুরু করবে! - সেটাই। তোমার শ্বাসকষ্টের অসুখটা কমেছে? - না ঐ এক রকমই আছে। তোমার মাইগ্রেইন? - আগের চেয়ে কিছুটা কম। মনে আছে তোমার? - হ্যা, হেসে বলি আমি। এরপর কোন কথা নেই কিছুক্ষন। জ্যামটাও ছাড়ছেনা। - এখনও প্রতিদিন শাড়ি পর? - তুমিইতো অভ্যাসটা করিয়েছিলে। আর ছাড়তে পারিনি। - অভ্যাসটা ছাড়তে পারনি কিন্তু মানুষটাকে ঠিকই ছেড়ে গেলে। - আহা ওসব থাক না প্লিজ। - হ্যা থাক। আচ্ছা তোমার দিদি ভালো আছে? - দিদি এখন নিজের বাড়িতে, বিয়ে হয়ে গ্যাছে। জ্যাম বুঝি ছাড়ল। যাই। - যাও। শাড়ির আঁচলটা গুটিয়ে নাও রিকশার চাকায় আটকাবে। - তুমিও সানগ্লাস টা পর। রোদে মাথাব্যথা করবে। - এই শোন, ভালো থেক। - তুমিও ভালো থেক । রাত জাগার বিশ্রী অভ্যাসটা বাদ দিও। আর অনেক শুকিয়ে গেছ। নিজের যত্ন নিও। সামনের দিকে তাকালাম। আমার রিক্সা কিছুটা এগিয়ে গেছে। হলুদ শাড়ি পরা আমার চুল বাতাসে উড়ছে। শাড়িটা ওরই দেয়া ছিল। ও কি চিনতে পেরেছে? আজ ১৬-ই জানুয়ারি। এই দিনেই ওর সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল। মনে কি আছে ওর? চুলগুলো বাঁধতে গিয়েও বাঁধলাম না। খোলা চুল ওর খুব প্রিয় ছিল। এত বছর পরে নিজেকেও বড্ড অচেনা লাগে। মানুষ কি সবসময় নিজেকে চিনতে পারে? চোখটা আজ বড় বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করেছে। Email ThisBlogThis!Share to TwitterShare to Facebook
No comments:
Post a Comment