.কল্পলোকের কল্পবাজ একজন ভাল লেখককে সহজেই ভাল মানুষ ভেবে নেয়াটা বোকামী। যেমন একজন ভাল ডাক্তার ভাল মানুষ নাও হতে পারে। বাংলাদেশে যত জন ডাক্তার আছে এরা সবাই যদি ভাল মানুষ হত, যদি প্রত্যেকটা ডাক্তার দিনে তিনটা করে রোগী বিনা পয়সায় দেখত তাহলে আর এদেশে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যেতনা।
Saturday, March 23, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (শেষ পর্ব ) আজ নীল শারি পরে এসেছে রিতু। তাই না চাইতেও বার বার তার দিকে তাকাচ্ছি। বিষয়টা ও বুঝতে পেরে বলল কি হচ্ছে শুনি , ওমন করে হ্যংলার মত তাকআচ্ছ যে । আমি ঃ কই না ত হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি। তা এমন করে লুকিয়ে লুকিয়ে জাতে না তাকাতে হয় সেই ব্যবস্থা করলেই পারেন। কথাটা বলেই মুখ নিচু করে ফেল্ল রিতু। হয়ত লজা পেয়েছে। শুনেছি লজ্জা পেলে নাকি মেয়েরা কারো চোখের দিকে তাকাতে পারে না । নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। সারাদিন অনেক ঘুরেছি আজ ওকে নিয়ে। আসলে বলতে গেলে আমার কোন ইচ্ছে ছিল না। কিন্ত আমি চাইছিলাম মেয়েটার শেষ দিনটা যেন ভাল ভাবে কাটে। তাই তো আজ সে যা চেয়েছে তাই পুরন করেছি। তবে মেয়েটা এখন ও বাচ্চা টাইপের । মনেই হয়না এর একটা ছেলে ও আছে। ওর দুরন্তপনা দেখে কেন যেন বার বার ওর মায়ায় পরে যাচ্ছিলাম। কিন্ত অই যে , আমাদের মত মানুষদের আবার মায়া থাকতে নেই । তাই চাইলেও সব ......। ........................... সন্ধ্যে হয়ে আসছে। নাহ আর বেশি ওয়েট করা ঠিক হবে না। রিতু ঘুমিয়ে পরেছে আমার কোলে । তাই তাকে আর জাগালাম না । আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে গারিতে শোয়ালাম । এখন যেন আর ও মায়াবি লাগছে মেয়েটাকে। ঘুমালে হয়ত মেয়েদের রুপ আর ও বেড়ে যায়। বিষয়টা নিয়ে ভাবা হয়নি , তবে ভেবে লাভ নেই , তাহলে হয়ত মায়ায় পরে জেতে হবে। আর একবার কার ও মায়ায় পরে যাওয়া মানে...। না না না ্, তা তো হতে দেয়া যাবে যাবে না। মনে মনে এসব যখন ভাবছি্,ততক্ষণে গারি এসে বুরিঙ্গঙ্গার কাছাকাছি থামল। রিতু এখহন ও ঘুমিয়ে । আমি আসতে করে নিচে নাম্লাম । এইত সাম্নেই ঘরটা দেখা জাচ্ছে । এই খানটায় আস্লেই কেমন যেন চোখ ভিজে আসে । নিজেকে সাম্লাতে কষ্ট হয়। অইত গাছটা দেখা জাচ্ছে । অই যে অই ডালটায় ঝুলন্ত অবস্থায় ওকে লাস্ট দেখেছিলাম। কতইনা কষ্ট পেয়েছে বন্ধুটা আমার । নাহ আর ভাবতে পারছিনা । যা করার এখন ই করতে হবে । রিতু এখন ও ঘুমিয়ে । ওর কাছে গেলাম। আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে আসলাম জারুল গাছটার নিচে। রশি দিয়ে শক্ত করে হাত পা বাধলাম । কোন বেগ পেতে হয়নি। মেয়েটা এখন ও ঘুমুচ্ছে । যাক ঘুমাক। জিবনের শেষ ঘুমটা একটু আরাম করেই ঘুমিয়ে নিক। যদিও এমন করে ঘুমানোর কথা না। আমি শুধু বুদ্ধি করে ওর দাব বেচা আঙ্কেল্কে বলে দিয়েছিলাম যেন ওকে দেয়া ডাবের পানির মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। যদিও ব্যটা রাজি হতে চাইছিল না তবে যখন হাতে পাচশ টাকা গুজে দিলাম। তখন তার কাজটাও ডাবের পানির মত সরল হয়ে গেল। বাধা শেষ । এখন মেয়েটাকে জাগাতে হবে। তাই তার ওরনাটা নিয় গঙ্গার পানি দিয়ে ভিজিয়ে আনলাম। সালি পানিতে না উঠলেও দুর্গন্ধের ফলে ঠিক ই উঠতে বাধ্য হবে । আহা কেমন যেন একটা অন্য অনুভুতি কাজ করছে । ঠিক লাস্টবারের ভিক্টিম টাকে খুন করার সময় যেমন মনে হয়েছিল। হাত নিসপিস করছে, পকেট থেকে ছুরিটা বের করলাম। লাল হয়ে আছে ছুরিটা , যদিও প্রথম যখন কিনেছিলাম তখন দেখতে সাদা ছিল। ব্যটা রক্ত খেতে খেতে লাল হয়ে গেছে। আজ পূর্ণিমা । যদিও আমার বন্ধুটার মৃত্যুর দিনটায় অমাবস্যা ছিল। পূর্ণিমার আলোয় মেয়েটার চেহারাটা থেকে যেন দ্যুতি বের হচ্ছে। হয়ত কোন কবি তাকে এই মুহূর্তে দেখলে কবিতা রচনা করে ফেলত। কিন্ত আমার আবার ওসবের ধারে কাছে জেতেও মানা। জানেন ই তো খুনিদের আবার আবেগ থাকতে নেই । ওহ ভুলেই গিয়েছিলাম মেয়েটাকে জাগাতে হবে। ওরনাটা ভিজিয়ে নিয়ে মেয়েটার কাছে গেলাম । হালকা পানির ঝাপটা দিতেই রিতু জেগে উঠল। হঠাত ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় মেয়েটা এদিক অদিক করছে। হয়ত বুঝতে পারছে না কোথায় আছে । অবাক চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে যেন আমাকে চিনতে পারছে না। হাতের দিকে তাকাতেই চিৎকার দিয়ে উঠল এই তিয়াস তুমি আমাকে এভাবে বেধে রেখেছ কেন। কি হল বল। আর আমি এখানে কেন। কি হচ্ছে এসব কথা বলছ না কেন। আমি একটু হাস্লাম। আমার হাসি দেখে মেয়েটা চুপ হয়ে আছে। হয়ত ভয় পেয়েছে। হয়ত এমন পৈশাচিক হাসি সে তার জিবনে ও দেখেনি। খানিক বাদে নরম সুরে রিতু বলল । দেখ তিয়াস ভাল হচ্ছে না কিন্ত । আমার খুব ভয় করছে। প্লিজ আমায় ছেরে দাও , এমন ফান কিন্ত ঠিক না। আমি বললাম ছেরে দেব হা হা হা। তুমি কি ছেরে দিয়েছিলে জুবায়ের কে। দিয়েছিলে তাকে বাচতে । দাওনি ... জানো কতটা কষ্ট পেয়ে ও আত্মহত্যা বেছে নিয়েছিল । এই যে এই... এই জারুল গাছটার সাথেই গলায় দরি দিয়েছিল সে। তোমায় কি করে ছেরে দেই বল ???? রিতু অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমার দিকে ...। - তুমি । তুমি জুবায়েরের কে? - আর তুমি জানলে কি করে । - দেখ আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল । আমি কি করতাম আর তাকে ছেরে না দিয়ে। কি করতে মানে।তুমি তাকে সব কিছু বুঝিয়ে বলতে পারতে ।কিন্ত তুমি তা করনি । কি মনে করেছ , আমি জানি কি করে । সে তার ডাইরিতে সব লিখে গিয়েছিল, লিখে গিয়েছিল তোমার সব পাপের কথা। তোমাকে তো ছেরে দিতে পারিনা আমি । রিতু আমতা আমতা করছে। এখন আর ওর কথা শুনতে ইচ্ছে করছে না। ওর কাছে গিয়ে হাতের বাধন্টা আর ও টাইট করে নিলাম। ওরনা দিয়ে মুখটা বেধে নিলাম। না হলে ভেজাল করতে পারে । এরপর আস্তে করে হাতের ঠিক মাঝখান দিয়ে একটা ফুটো করলাম। অমনি গল গল করে রক্ত বের হতে শুরু করল। চাদের আলোয় স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি । মেয়েটা কাদছে । ০৬ কাদুক তাতে কি। আমার এতে মায়া লাগে না বরং মনের মধ্যে প্রশান্তি অনুভব করছি। যাক অবশেষে আমার বন্ধুর আত্মাটা শান্তি পাবে । নাহ এত অল্প কষ্ট দিয়ে তাকে মারা যাবে না। তাই গারির কাছে গেলাম । ডেক থেকে প্লাস আর রডটা নিএ আসলাম। এখন মজা হবে হা হ হা। প্লাস দিয়ে এক একটা নখ তুলছি আর মেয়েটার শরির ঝাকুনি দিয়ে উঠছে । চোখের পানি আস্তে আস্তে এসে বুকের কাপর ভিজিয়ে দিচ্ছে। বাহ কি দারুন সিনারি । এটা কিন্ত হলিউড ছবিকেও হার মানাবে রিতু । তুমি কি বল। রিতু কিছু বলছে না। ওহ বলবে কি করে তার তো মুখ বাধা হা হা হা। মেয়েটা হাপাচ্ছে ,কারন তার হারটবিট আমি দূর থেকেই শুনতে পাচ্ছি। হয়ত কিছু বলতে চাচ্ছে মেয়েটা তাই তার মুখ খুলে দিলাম। ভেবেছিলাম হয়ত গালি দিবে কিন্ত নাহ মেয়েটা কিছুই বলছে না। চারদিকে পিনপতন নিরাবতা । সে নিরবতা ভেঙ্গে হঠাত ই বলে উঠল জানো আমি কিন্ত তোমাকে সত্যি ই ভাল বেশেছিলাম। তোমাকে নিয়ে সারাজিবন ঘর করার স্বপ্ন দেখেছিলাম কিন্ত্, কিন্ত্্ তু.....................। আর কিছু বলতে পারছে না মেয়েটা কাদছে । তবে একটু পরে আবার বলল একটু পানি হবে তোমার কাছে। প্লিজ ্্ আমিও এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। যাক কাজটা সহজেই হয়ে গেল। গারি থেকে পানির বোতলটা নিয়ে আসলাম। পকেট থেকে আমার সবথেকে প্রিয় জিনিসটা বের করে তা থেকে কিছু পরিমান বোতলের পানির সাথে মিসালাম। এসে দেখি মেয়েটা এখন ও কাদছে । বুঝতে পারছিনা কেন কাদছে । যন্ত্রণায় নাকি অনুশোচনায় । থাক অত ভেবে কি হবে। পানির বোতল হাতে নিয়ে তাকে বললাম নাও পানি খাও। সে কোন কথা না বলে পানি খেল।এরপর হঠাত বলে উঠল জানো আমার কোন কষ্ট হচ্ছে না । কারন আমি যাকে ভালবাসি তার হাতেই মরতে পারছি এর থেকে সুখের আর কি হতে পারে। মনে মনে ভাব্লাম কি অদ্ভুত মেয়েজাতি। কেউ একজন তাকে ভালবেসে মারা গেল তার জন্য তার কোন ভাবনাই ছিল না। আর যে কিনা তাকে মারার জন্য প্রস্তুত তাকেই ভালবেসে বসে আছে। মেয়েটার হাত পা থেকে বের হওয়া লাল রক্ত আস্তে আস্তে নীল রঙ ধারন করছে। আহ আমার প্রিয় রঙ । দেখতেই ভাল লাগছে । নাহ রাত বেশি হয়ে জাচ্ছে , একাহ্নে বেশি ক্ষণ থাকা ঠিক হবে না। তাই গারিতে গিয়ে তারাতারি রশিটা নিয়ে আসলাম এরপর এক প্রান্ত গাছের সাথে বেধে অপ্র প্রান্ত দিয়ে ফাসির গিট্টু দিলাম। বাহ তৈরি হয়ে গেল একটা মিনি ফাসির মঞ্চ। যেখানে আজ সাজা পেতে জাচ্ছে এক মন ভাঙ্গার দায়ে অভিজুক্ত কয়েদি। ভাবতেই কেমন যেন নেশা লাগছে। ওহ আমার আবার মাদকে নেশা হয়না। নেশা হয় কিছু অদ্ভুত ঘটনা দেখে। হয় সেতা আমার তৈরি না হয় অন্য কারো । মঞ্চ বানানো শেষ । এবার রিতুর সাজা গ্রহনের পালা। শেষ বারের মত রিতুকে জিজ্ঞেস করলাম কিছু বলার আছে শেষবারের মত তোমার। সে শুধু অস্পস্ট একটা কথাই বলল “ ভাল থেক” কি অদ্ভুত মেয়ে । যে তাকে মারতে চলেছে তাকেই কিনা বলে ভাল থেক হা হা হা। রশিটা রিতুর গলায় পেচিয়ে টান দিলাম। চেয়ার সহ দোল খেতে খেতে রিতু উপরে উঠে গেল । একটু ও নরাচরা বা শব্দ করল না। করবেই বা কি করে হয়ত বিসের প্রভাবে আগেই তার সব পেশি অচল হয়ে গেছে। নাহ এখন প্রচুর শান্তি লাগছে। আমার বন্ধুর জন্য প্রতিশোধ নেয়া হয়ে গেছে। নাহ যাবার আগে আর একটি কাজ করে জেতে হবে। আমি চাইনা আমার বন্ধুর খুনির কোন চিনহ থাক এই পৃথিবীতে । তাই লাইটারটা বের করে ঝুলন্ত চেয়ারটাতে আগুন ধরিয়ে দিলাম । গারি ছুটে চলেছে ঢাকার দিকে । পেছন দিকে দাউ দাউ করে জলছে আগুন। লুকিং গ্লাসে দেখছি কিছু মানুষ দৌরে জাচ্ছে আগুন নিভাতে । আর আমি স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি আমার বন্ধু উপরে বসে হাসছে .. #সাইকো
By kolpobazz
Labels:
Kolpobazz
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Popular Posts
-
সাইকো ডায়েরি https://ift.tt/3297LcL
-
রুপাকে নিয়ে অনেক গল্প হয়, অনেক কথা, কিন্তু কেউ তাকে প্রকাশ্যে কিছু বলে না। যেন কী এক গোপন শলাপরামর্শের মতো—কেবলই ফিসফাস, কেবলই কানাকানি, ...
No comments:
Post a Comment