.কল্পলোকের কল্পবাজ একজন ভাল লেখককে সহজেই ভাল মানুষ ভেবে নেয়াটা বোকামী। যেমন একজন ভাল ডাক্তার ভাল মানুষ নাও হতে পারে। বাংলাদেশে যত জন ডাক্তার আছে এরা সবাই যদি ভাল মানুষ হত, যদি প্রত্যেকটা ডাক্তার দিনে তিনটা করে রোগী বিনা পয়সায় দেখত তাহলে আর এদেশে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যেতনা।
Sunday, March 17, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (০৩) #সাইকো এভাবে শান্ত আর রিতুর বন্ধুত্বের সূচনা। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব গভীর হতে লাগল। দিন হতে মাস, মাস হতে বছর। দুইজন একসাথে সবসময় চলে, একে অপরের পারস্পরিকতায় তাদের বন্ধুত্ব। আর রিতুর স্বভাবের সাথে শান্তর অনেক মিল আছে। দুইজনই ঠান্ডা স্বভাবের আর সাদামাটা জীবন যাপন পছন্দ করে। তাই তারা একে অপরকে খুব পছন্দ করে। দুষ্টুমি, হাসি-ঠাট্টা, রাগ, ভালবাসা এই মিলিয়ে তাদের বন্ধুত্ব...... . প্রায় এক বছর কেটে গেল শান্ত আর রিতুর বন্ধুত্বের... ঠিক এমন সময় একদিন হঠাৎ খুব সকালে রিতু শান্তকে ফোন দেয়...... - কি ব্যাপার রিতু এত সকালে ফোন দিলি যে? - শান্ত তুই এখনি ঐ জায়গায়টায় আয় যেখানে আমরা প্রথম বন্ধুত্ব করি। - এত সকালে?? এত সকালে?? কেন? ৮টা বাজে মাত্র। - (উত্তেজিত সুরে) তুই আসবি কিনা বল! - আচ্ছা আসছি ওয়েট। - হুম জলদি আয়... এই বলে ফোন রেখে দেয় রিতু।শান্ত চিন্তায় পরে গেল। কি হল মেয়েটার! মনে হচ্ছে বেশ চিন্তায় আছে আর বিরাট বড় সমস্যায় পড়েছে। যাক দেরি না করে বেরিয়ে পড়ল। . সকাল ৮টা ১৫ বেজে গেল ঐদিকে রিতু অপেক্ষা করতে করতে অস্থির। হঠাৎ দূর থেকে দেখে শান্ত দৌড়ে আসছে। আর এসেই হাঁপাতে হাঁপাতে বলল... - কিহ! বল... - শান্ত আমায় নিয়ে চল! (রিতু শান্তর হাত ধরে বলল)[যদিও এটা ছিল রিতুর বানানো মিত্থা গল্প ] - কোথায়?? - যেথায় ইচ্ছা। বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। কিন্তু আমি তোকে ভালবাসি। - কি বলছিস এসব? - আমি ঠিকই বলছি। তুই প্লিজ আমাকে কোথাও নিয়ে চল। আমাকে বিয়ে কর। - পাগলামি করিস না। (রিতুর হাত ছেড়ে দিয়ে।) - বিশ্বাস কর আমি তোকে ভালবাসি। আই লাভ ইউ শান্ত। আমি থাকতে পারব না তোকে ছাড়া। - তুই বাড়ি যা। - না যাবনা। - তবে আমিই যাচ্ছি। আমি তোকে ভালবাসিনা। সো ইম্পসিবল। এই বলে শান্ত পিছনে ফিরে সজোরে হাটা দিল। রিতু অনেক জোরে চিৎকার করে ডাকছে তাও শুনলো না। হতাশ মনে রিতু বাড়ি গেল। শান্তর নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ করেনা। এরকম বারবার কল দিয়ে যায় রিতু। হঠাৎ রিতুর নাম্বারে একটা ম্যাসেজ আসে। আর সেটা শান্তর দেয়া। তাতে লেখা..... "পাগলি আমিও তোকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি। তবে বলতে পারি নাই বন্ধুত্বটা যেন না হারিয়ে যায়। আই লাভ ইউ রিতু....... . তখন রিতু যে কত খুশি হয়ছে তা বলা অসম্ভব। শুরু হলো তাদের বন্ধু থেকে প্রেম। মাস খানিক হওয়ার পর রিতু শান্তকে বলল সেই বট গাছটার নিচে আসতে। শান্ত এসে দেখল যে রিতু অন্য একটি ছেলের সাথে হাত ধরে বসে আছে। কাছে যেতেই রিতু বলে উঠল দেখ শান্ত এই আমার হবু বর। বাবা তার সাথেই আমার বিয়ে ঠিক করেছে । শান্ত তখন কি বলবে বুঝে উঠতে পারছিল না। আসলে তার মনে কোন কুটিলতা ছিল না । সরল মনে সে ভাল বেসেছিল রিতুকে। কিন্ত রিতু এমন করবে সে কল্পনাতে ও ভাবতে পারে নি / বাসায় গিয়েই শান্ত ফোন করে রিতুকে “এই সত্যি বলতো ছেলেটা কে তুমি ফান করছ তাই না। -ফান করতে যাব কেন । অইটাই আমার জামাই হবে ।কাল আমার বিয়ে। -তাহলে আমার সাথে যে এতদিন… -হা হা ওটা ছিল টাইম্পাস তা ও বুঝনা বকা ছেলে তোমাকে বিয়ে করলে তো আমার না খেয়ে থাকতে হবে । তোমার কি আছে হুম। শান্ত কিছু বলতে পারছে না । তার দম বন্ধ হয়ে আসছে । মানুষ এত খারাপ হয় কি করে বির বির করতে লাগল সে । এর পরের দিন ই শান্তর লাশ পাওয়া যায় তার ঘরে ফ্যনের সাথে ঝুলানো । ডাইরিটা শেষ করে সেইদিন ই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে আমার বন্ধুর মৃত্যুর জন্য দায়ি তাকে ছার দেয়া যাবে না । ওহ বলা হয়নি …। শান্ত আমার এক্মাত্র বন্দু ছিল। ওর সব কিছু আমার সাথে শেয়ার করত । কিন্ত এই প্রেমের কথাটা সে কখনোই বলে নি । তবে তার ডাইরি লেখার সখ ছিল। তাই সব কিছু তার ডাইরিতে লিখে রাখত । ও মারা যাবার প্পর ওর রুমে ওর ডাইরিটা পাই , সেখান থেকেই সব কিছু জানতে পারলাম ।
By kolpobazz
Labels:
Kolpobazz
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Popular Posts
-
সাইকো ডায়েরি https://ift.tt/3297LcL
-
রুপাকে নিয়ে অনেক গল্প হয়, অনেক কথা, কিন্তু কেউ তাকে প্রকাশ্যে কিছু বলে না। যেন কী এক গোপন শলাপরামর্শের মতো—কেবলই ফিসফাস, কেবলই কানাকানি, ...
No comments:
Post a Comment