Main Menu

Tuesday, March 12, 2019

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো নিধির কল এল, ধরতেই -- কুত্তা হারামজাদা, লম্পট, জানোয়ার..!! -- কি হয়েছে ব্যব্বি? তুমি বোকছো কেন? -- শুয়োর, তোরে বলছিলাম ******না.. লুইচ্চা, বেজন্মা, এখন আমার কি হবে..!! -- কি বলো? আমি-তো ভিতরে ফালাইনি.. -- ফালাইসোস, নাইলে আমার পেটে বাচ্চা আইলো ক্যমনে? তুই-তো আর স্বপ্নে দিয়া যাস নাই.. ঢোক গিললাম, হতেও পারে স্বপ্নে ওরে কতবার **** তার হিসাব নাই.. আর শেষ বার যদিও বেলুন ইউজ করছি, তবুও হয়তো বেলুন ফুটো ছিলো... মনে মনে প্যান্থার কোম্পানিরে গালি দিলাম ৷ আবার বলা শুরু করলাম .. -- এখন কি করবো ব্যব্বি? নিধি - কি আর করবা? হসপিটালে আসো যলদি.. এ্যবরেশন ছাড়া উপায় কি? আমি আর কিছু ভাবলাম না, উঠে কিছু টাকা পয়সা ধার করে চললাম হসপিটালের দিকে ৷ যেতেই দেখলাম নিধি বসে আছে, খুব টেনশনে আছে মেয়েটি মায়া হলো ৷ আমার জন্য মেয়েটি একটি জীবনকে ধংস করতে যাচ্ছে.. ডাক্তার সাব আসতেই ওকে নিয়ে ঢুকলো অটিতে.. আমি বাহিরে অপেক্ষা করছি, খুব ভয় হচ্ছে আমার.. হঠাৎ ডক্টর এসে বললো নিধির রক্ত লাগবে, না হলে তাকে বাচানো যাবেনা ৷ আমি রক্ত খুজতে যাবো ডাক্টার বললো আপনার ব্লাড গ্রুপ O+ না? আমি বললাম হ্যাঁ ৷ ডাক্তার বললো আপনি পারবেন রক্ত দিতে ৷ কিন্তু আমার ব্লাড গ্রুপ নিধির ব্লাড গ্রুপ এক না৷ ডাক্তার বললো আপনি সবাইকে রক্ত দিতে পারবেন, আপনি সর্বজনিন দাতা.. সাঁত-পাঁচ না ভেবে আমি ঢুকলাম রক্ত দিতে, ০২ ডাক্তার সাব ইনজেকশন বানাচ্ছেন আমি বসে আছি , কিন্ত খেয়াল করলাম তিনি প্যথেড্রিন রেডি করছেন , ওষুধ বিসয়ে কিছু জানা ছিল বিধায় বুঝতে পারলাম কোন গণ্ডগোল হতে জাচ্ছে । তাই আমি সাত পাচ না ভেবেই ডাক্তার সাব কে বললাম আচ্ছা ডাক্তার সাব রক্ত নিতে কি অজ্ঞান করতে হয় , কি চলছে এখানে । বলেই পকেট থকে চাকুটা বের করে বললাম । চাকু দেখে তিনি ভয় পেয়ে বললেন দেখুন আমার কোন দোষ নেই । অই নিধি ই সব করতে বলছে । ওর নাকি আইফন দরকার কিন্ত আপনি দিচ্ছেন না তাই বল্ল কিডনি নিতে । ডাক্তারের কথা শুনে আমি তব্দা খেয়ে গেলাম। মাথা কাজ করছে না। ইস যদি এখন না বুঝতে পারতাম কি হত তাহলে। মাথার রক্ত গরম হয়ে ফুটছে , আমার সাথে চালাকি , দারাও বেব্বি দেখাচ্ছি মজা । ডক্টরকে বললাম এখন আমি জা বলব আপনি তাই করবেন । উলটা পালটা হলে খবর আছে। বলেই ছুটে গেলাম নিধির কাছে। নিধি আমাকে দেখে ঝটকা খেল ।হয়ত মনে মনে ভাবছে সালা এখন ও ড্যং ড্যং করে হেটে বেরাচ্ছে। কিছুখন বাদে বল্ল তুমি এখন ও রক্ত দাওনি । তুমি কি চাও আমি মরে যাই । আমি বললাম না বেব্বি , তা হবে কেন । আসলে হইছে কি তোমার রক্তের একটু স্যম্পল লাগবে তাই ডক্টর তোমাকে ডাকছে । সে বল্ল দেখ আমি নড়তে পারছি না । আমাকে কোলে তুল না ও । আমিও তাহার কথামত ভদ্র বফের মত তাকে কোলে নিয়ে বেডে শুয়ালাম । ডক্টর কে বললাম আপনি স্যম্পল নিন। ডক্টর কথামত তাহার কাজ কমপ্লিট করল । ০৩ নতুন আইফোন এক্সটা মাত্র কিনলাম । দেখতে হেব্বি , একেবারে নিধির মত হট । ওহ নিধির কথা মনে পরতেই ছুটে গেলাম পশ্চিম পারার ডাস্টবিন্টার কাছে। ময়লার গন্ধে দাঁড়ানো জাচ্ছে না এখানে কিন্ত বেচারি সানন্দে এখনও ঘুমাচ্ছে । হয়ত ঘুমের মদ্ধেও আইফোন এর স্বপ্ন দেখছে। কারন বোঝা জাচ্ছে স্বপ্নটা মজার , চেহারায় তার ছাপ ফুটে উঠছে । হালকা পানি ছিটালাম নিধির মুখে। জেগে উঠল সে, উঠেই অবাক দৃষ্টিতে এদিক অদিক করছে। হয়ত বুঝতে পারছে না জান্নাত নাকি জাহান্নামে আছে সে। আর যখন বুঝতে পারল ওয়াক করে বমি করা শুরু করল। আর বমির সাথে বেড়িয়ে আসতে লাগল রক্ত । রক্ত দেখে ভয়ে কথা বলতে পারছে না মেয়েটা । দেখে মায়া লাগবে যে কারোর ই । তবে আমার লাগছে না। মনের মধ্যে খুব শান্তি লাগছে এক কথায়। একচল্লিশটা খুন করার পর হয়ত এম্নিতে ও কারো মনে মায়া থাকে না। নিধি বিয়াল্লিশ নম্বরে আছে । এইসব কথা যখন ভাবছি দেখলাম নিধি কথা বলতে চাইছে । কিন্ত ফিস ফিস করা ছাড়া আর আওয়াজ বের হচ্ছে না। আমি তার কথা শুনতে তার কানের কাছে মুখ নিলাম। অস্পষ্ট জা শুনতে পেলাম তা হল " জানোয়ার , কি করছিস তুই আমার সাথে।" তোকে আল্লাহ ক্ষমা করবে না বলে দিলাম আমার সাথে খ্রাপ কিছু করলে।আর তুই আমায় এখানে রাখছিস কেন , অই কুত্তা , বজ্জাত । আমি বললাম বেশি কিছুনা বেব্বি । শুধু তোমার কিডনি নিয়েছি । হয়ত তুমি আর বাচবা না তবে তোমার স্বপ্ন আমি পুরন করে দিচ্ছি । এই যে দেখ আইফোন এক্স ।যেহেতু আজ থেকে তুমিও আমার এক্স হবা। তাই এটাই কিনলাম তোমার জন্য । এই নাও তোমার ফোন আর এই যে ক্যমেরা এনে দিলাম সুন্দর করে একটা পিক তুলে আমাকে সেন্ড কর , আমি না হয় তোমাকে ট্যগ করে পোস্ট দিয়ে দিব । নিধি কাদছে।হয়ত ভুল বুঝতে পেরে। হয়ত বা আইফোন পাবার খুশিতে। শুনেছি মেয়েরা ঙ্কি খুশিতেও কাদে। কি জানি ওসব ভাবতে ইচ্ছে করছে না । মেয়েটার এক হাতে আইফোন আর এক হাত দিয়ে কোমর চেপে শুয়ে আছে । উঠতে পারছে না। হয়ত গালি দিচ্ছে এখন ও আমায় । কিন্ত তাতে কি আমার ওতে কিছু আসে যায় না। মেয়েটার ঠোট কাপছে । হয়ত আবার কিছু বলতে চাচ্ছে । আমি আবার কানের কাছে মুখ নিলাম । সে বলছে পানি পানি। পকেট থেকে পানির বোতলটা বের করলাম , নিজ হাতে পানি খাওয়াচ্ছি নিধিকে ।আগে ও তাকে এমন করে অনেক খাইয়েছি । তবে আজকের আর তখনকার মধ্যে অনেক তফাৎ । পানি খেয়েই মেয়েটা আবার ঘুমিয়ে পরল । সন্ধ্যে হয়ে জাচ্ছে । নীল আকাশ ধারন করছে কালো বর্ণ । আর অইদিকে নিধির সাদা শরিরে জমাট বাধছে নীল রক্ত। আমি ডাইরিটা খুললাম , নীল কালি দিয়ে নিধি নামটাকে আন্ডারলাইন করলাম । নিচে লিখলাম অনুশোচনার মৃত্যু । #সাইকো rpst bt edited

By kolpobazz

No comments:

Post a Comment

Popular Posts