.কল্পলোকের কল্পবাজ একজন ভাল লেখককে সহজেই ভাল মানুষ ভেবে নেয়াটা বোকামী। যেমন একজন ভাল ডাক্তার ভাল মানুষ নাও হতে পারে। বাংলাদেশে যত জন ডাক্তার আছে এরা সবাই যদি ভাল মানুষ হত, যদি প্রত্যেকটা ডাক্তার দিনে তিনটা করে রোগী বিনা পয়সায় দেখত তাহলে আর এদেশে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যেতনা।
Thursday, February 28, 2019
আজ রাতে মুত এফ এম এ যা ঘটবে তার প্রিভিউ,,, জানেন রাস্কেল ভাই।। আমার সাথে যে ঘটনা টা ঘটছে তার কারন আজ ও কেউ জানে না। কথা না বলে আমি সোজা গটনায় চলে যাচ্ছি,,, সেদিন ছিল চইত্তির মাসের এক বরশন্মুখর দিন। আমি আমার ফেসবুক দরসন করছিলাম। যদিও ফেবুতে আগে এক ঘন্টা ও থাকতাম না। না থাকতাম মেসেঞ্জারে। তবে অই দুদিন থেকে একটু থাকা হচ্ছিল বেশি। তো আম্মাজান এই পরিবর্তন দেখে বলতেছে "তা বাবা আপ্নে এত কি করতাছেন মোবাইল টা নিয়া। আমি বললাম চ্যট করি চ্যট। " জানেন রাস্কেল ভাই এরপর জা ঘটছিল তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। তা ভাব্লে এখন ও আমার দউর দিতে ইচ্ছে করে। এরপর এরপর পিছন ফিরে দেখি আম্মাজান আমার একটা ঝারু নিয়ে আমার কাছে দউরে আসতেছে আর বলতেছে। খারা দামড়া খারা তর চ্যট আমি ছুডাইতাছি। তর কত্ত বড় সাহস আমার লগে মজা করিস। জানেন রাস্কেল ভাই এটা দেখে আমি এক দউর দিয়েছিলাম কিন্ত তারপর কি ঘটেছিল তা মনে নেই কারন যখন আমার হুস আসে তখন আমি আমাকে আমাদের গোয়াল ঘরের গোবর ফেলার গর্তে আবিস্কার করি। এই ঘটনা এখনও ভাব্লে গা শিউরে ঊঠে। আর অইদিনের আম্মাজানের অই দউরানির কারন আজ ও অজানা ভাই। তো এই ছিল আজকের আমার কাহানি। রাস্কেল ভাই। আগে রাস্কেল ভাইকে নিয়ে অনেক লিখতাম কিন্ত অনেক দিন লেখা হয়ে ওঠেনি। আজ আবার একটু ইচ্ছে হল লিখতে। #kolpobazz
By kolpobazz
Wednesday, February 27, 2019
মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মত সে শব্দ। ♥♥ আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জামগাছের পাতায় সরসর শব্দ হয়।♥♥ সব মিলিয়ে হৃদয় হাহাকার করে ওঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষণ্নতাই না অনুভব করি। হেই মায়াবতী,,, কেমন আছো? 😁😁😁 হয়তবা অনেকটা ভালো! পরিচয় টা বেশি দিনের নয়! খুব অল্প সময়ে হয়ে গেছেন আপনি নিজের চাইতেও আপন একজন ব্যক্তি! ইদানিং একটা জিনিস নোটিস করতেসি যে 'এক মুহূর্ত আপনাকে ছাড়া চলে না'! কেনো সেইটা নিজেরও জানা নেই! যাই হউক! আপনার চোখে কি রয়েছে? এতো মায়া খুজে পাই কেন? এই মায়াগুলো নিয়েই বেচে থাকার স্বপ্ন বুনি! জানি ত এই কাল্পনিকতা কোনোদিন বাস্তবোচিত হবে কিনা!.... না হওয়াটা আমি আমার ব্যর্থতা বলছি না কিন্তু! আবার আপনার কোনো প্রকার দোষের সমতুল্য ও করছি না! কারন ' ভাগ্যে যা আছে তা হবেই! শত চেষ্টা করার পরও সেইটাই হবে' জানেন? খুব ইচ্ছে আপনাকে নিয়ে বৃষ্টি বিলাস দেখবো! বৃষ্টির ফুটার সাথে পায়ে পা মিলিয়ে হাটবো! গ্রীষ্মের কড়া রোদে আপনার ছায়া হয়ে থাকবো! যদি ঘেমে যাই? আচঁল দিয়ে মুছে দিবেন না? আপনি কি জানেন?... কতটুকো ভালোবাসা নিয়ে আপনার কাছে এসেছিলাম? হয়তবা না! জানার প্রয়োজন মনে করেন নি কখনও! ভালোবাসি ত এখনও!... অনেকটা ♥♥♥♥ যাই হউক!... ভালো থাকবেন! আজ এ বৃষ্টি স্নাত দিনে আপনার শূন্যতা অনুভব করছি! এমন কি কখনও হবে না? - ' ছাদে বসে হাতে হাত রেখে জ্যোৎস্নার গান গাইবো! ঠিক তখন মৃদু বাতাসে আপনার চুল গুলোর উড়ে এসে আপনার মায়া মাখা চোখ আর কপাল ঢেকে দিবে! আর আমি আলতো করে সড়িয়ে বলবো! ভালোবাসা বুঝি এমনই হয়? #kolpobazz
By kolpobazz
এই যে,,মায়াবতী,,, তোমাকেই বলছি,, কে বলেছিল তোমাকে আমার এত সযত্নে রাখা হৃদয়টাতে খপ করে ঢুকে পড়তে,,? মেঘলা দিনের বৃষ্টির মত তপ্ত বুকে শীতল পরশ বইয়ে দিতে। হ্যা,তোমাকেই বলছি এতো গোছালো কেন তুমি?? বড্ড বেশী!! ভয়ানক রকম ভালবেসে ফেলেছি তোমায় বুঝতেই পারিনি। এখনতো আমাতে আমার চেয়ে তোমার বেশী অস্তিত্ব। আমার হৃদয়ের সেইখানে তোমার বসবাস যেখানে রক্তের স্রোত তীব্র.. আর আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছ তোমার অনুভূতির মৃদু কম্পনে। এখন আমার সপ্নগুলো তুমি,, আমার হাতের আঙুলের ভাজে রটে যাওয়া হাজারটা কাব্য তুমি। তুমি সেই প্রতিক্ষীত বৃষ্টি যার অপেক্ষায়য় থাকে উষ্নতম শহরটি। তোমারই উষ্নতার আশায় আমি নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি। তোমার সেই..নির্ঘুম রাতের আত্নচিংকার তুমি,,সব কিছুর উর্ধে থাকা সেই চাওয়ার জিনিসটা তুমি। হ্যা ভালোবাসি তোমাকেই,, তোমাকেই ভালবাসি.. তোমার চক্ষুজোড়া যখন আমার চোখে পড়েছিল তখন আমি তোমার চোখে সর্বনাশ দেখিনি,, একরাশ মুগ্ধতা ছাড়া। অনেক খুঁজেছি এই মুগ্ধতা,,কোথাও পাইনি খুঁজে। অন্ধকারেই হোক, তোমাকে অনুভবে যেটুকু পেয়েছি সেটুকুই পাওয়া,,সেসবই পূর্ণতা। তবুও তোমাকে দেখলে মনে হয় আবার শুরু থেকে শুরু করি,, তুমি কি আসলেই আমার সে,,,, নাকি শুধুই মায়াব।।।। #kolpobazz
By kolpobazz
Tuesday, February 26, 2019
Sunday, February 24, 2019
পৃথিবীর অন্যতম দুর্লভ জিনিস হলো ভালোবাসা … আর যাই হোক, ওটা অত সহজে পাওয়া যায় না … হাজার হাজার মানুষের ভীড়েও তোমাকে কেউ একজন ভালোবাসে, ব্যাপারটা মোটেও সস্তা না … কিন্তু সেই মানুষটার প্রতি তোমার কোন অনুভূতি কাজ না করলে, নিশ্চিতভাবেই তার ভালোবাসাকে তোমার কাছে মূল্যহীন মনে হবে !! একমুখী ভালোবাসা বড্ড নিষ্ঠুর … একটা মানুষ দিনের পর দিন্ রাতের পর রাত কাঁদতে থাকে, কিন্তু সেই চোখের পানি অন্য মানুষটাকে একদমই স্পর্শ করে না … একটা মানুষ প্রতিদিন দাঁতে দাঁত চেপে অপেক্ষা করে যায় অন্য মানুষটার জন্য, অন্য মানুষটার কাছে সেই অপেক্ষার কোনই মূল্য থাকে না !! পরিণতি জেনেও কেউ কেউ ভুলতে পারে না, সরতে পারে না, আশা ছাড়তে পারে না … বুকের ভেতর জন্ম নেয়া ভালোবাসাটা একটা নিষ্পাপ শিশুর মত … যত যাই হোক, একবার জন্মে গেলে, তাকে কিছুতেই ফেলে দেয়া যায় না … ফেরত যেতে হবে জেনেও সে তাই বারবার ভালোবাসার মানুষটার দুয়ারে কড়া নাড়তে থাকে !! বড্ড স্বার্থপর মানুষ … সে অন্যের ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে ভালোবাসে … কিন্তু নিজে ভালোবাসা নিয়ে ফেরত যেতে একদমই ভালোবাসে না !! #kolpobazz
By kolpobazz
Saturday, February 23, 2019
Thursday, February 14, 2019
এই শুনো? _হ্যাঁ বলো- _না, কিছু না। _কিছু বলবা? _সাবধানে যাবে কেমন। _আচ্ছা ঠিক আছে। _এই শুনো? _বলো- _বাহিরে অনেক রোদ, প্লিজ ছাতাটা নিয়ে যাও। _আচ্ছা ছাতা নিয়ে আসো। _ওয়েট . একমিনিট পর- _এই নাও ছাতা। _আচ্ছা তাহলে এখন যাই, অফিসের টাইম হয়ে গেছে। _আচ্ছা যাও, কিন্তু? _কিন্তু কি? _আমার হাতে বানানো রুমাল’টা নিয়ে যাও প্লিজ। ক্লান্ত হয়ে ঘামিয়ে গেলে ঘাম গুলো মুছে নিবা। _আচ্ছা দাও। . আবার একমিনিট পর। _এই নাও। _তাহলে যাই আল্লাহ হাফেজ। _আল্লাহ হাফেজ, সাবধানে যাও। _আচ্ছা- _দুপুরে ঠিক টাইমে খাবার খেয়ে নিবা। _আচ্ছা- _বাহিরে একদম কিছু খাবা না। _আচ্ছা ঠিক আছে। _সন্ধ্যা একটু তাড়াতাড়ি আসার চেষ্টা করো প্লিজ। _আচ্ছা ঠিক আছে কাজ শেষ করে চলে আসবো। _যাও তাহলে, _ওকে, _ছাতাটা খুলে মাথার উপরে ধরো না। _আচ্ছা খুলে নিলাম। _যাও তাহলে। _ঠিক আছে, বাই। _একবার ও জড়িয়ে ধরবে না হুমম। _আচ্ছা এ দেখো জড়িয়ে ধরলাম, এখন হ্যাপি তো? _হ্যাঁ অনেক হ্যাপি, যাও তাড়াতাড়ি অফিসে না হয় গাড়ি পাবে না। _অাল্লাহ হাফেজ। . দুপুর ঠিক ১.৩০ মিনিট এর পর- _হ্যালো – _হ্যাঁ হ্যালো – _আসসালামুআলাইকুম। _ওয়ালাইকুমসালাম। _তুমি আমাকে একটু ও ভালোবাসো না হু। _হঠাৎ এ কথা কেন? সত্যি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। _যদি ভালোবাসতা তাহলে সকালে অফিসে গিয়ে মেসেজ করতা। _সরি, আসলে সকালে আসার সাথে সাথে অনেক কাজ করতে হয়েছে। _সত্যি তাই? _হুম- _জোহরের নামাজ অাদায় করছো। _না- _কেন, অাজান’তো দিয়ে দিছে। _হুম, এখন পড়তে যাবো। _তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ে নাও, পরে অামার হাতে বানানো রান্না গুলো খাবা কেমন? _আচ্ছা ঠিক আছে। _আল্লাহ হাফেজ, নামাজ পড়ে নাও। _ওকে। . সত্যি বলতে কি মেয়েরা যাকে মন থেকে ভালোবাসে থাকে এমন করে তার খেয়াল রাখে। ছেলেরা হয়ত মেয়েদের মত এমন করে বলে না, তবে তার প্রিয়তমকে অনেক ভালোবাসে।হয়ত ফোনে বলে না – __আচ্ছা তোমার জন্য আসার সময় কি নিয়ে আসতাম? যদিও এটা বলে না তবে ঠিকে তার প্রিয়তমা বউয়ের জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসে।আর সেগুলো হচ্ছে সে মেয়েটার ফেভারিট জিনিস। ফেভারিট জিনিস গুলোর কথাতো একজনে জানবে আর সে মানুষটি হচ্ছে- →তার সবচেয়ে কাছের মানুষ সবার থেকে প্রিয় তার স্বামী। . সব মেয়েরা কিন্তু চায় তার স্বামী বাহিরে কোথাও যাওয়ার সময় এমন করে বলতে। কিন্তু কেউ কেউ বলে না যদি তার স্বামী বিরক্তবোধ করে, তাই বলে না। তবে আমার মতে এমন করে যখন মেয়েরা বলে, ছেলেরা শুধু উওরে যদি বলে- *আচ্ছা ঠিক আছে। *হুম মনে থাকবে। *না একদম ভুলে যাবো না, ইত্যাদি ইত্যাদি। . তখন কিন্তু মেয়েরা এ কথাগুলো শুনলে সবচেয়ে বেশি খুশি হয় যা কোনো কিছুর সাথে তুলনা করা যাবে না। স্বামী চায় নিজে রাজা না হলেও তার স্ত্রীকে রাণী করে রাখতে তবে সব স্ত্রী রাণী হয়ে থাকতে চায় না। আবার সব স্ত্রী চায় তার স্বামীর কাছে রাণী হয়ে থাকতে তবে সব স্বামী রাণীর মতো রাখতে চায় না। . ছুটির দিনে স্ত্রী আবাদার এই না যে – → আজকে তুমি ফ্রি আছো চলো পার্কে ঘুরাফেরা করবো এরপর বড় কোনো রেস্টুরেন্ট এ খাবো। . ছুটির দিনে স্ত্রী অাবদার হচ্ছে- →আজকে তুমি ফ্রি আছো ফজরের নামাজ পড়ে নিভো নিভো অন্ধকারে তোমার হাত ধরে হাঁটবো। এরপরে দুইজন মিলে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার বানাবো। এমন আবাদার যে মেয়ে করে তারা সত্যি খুব ভাগ্যবতী। আর সে মেয়েগুলোর আবদার ও স্বামীরা রাখে।
By kolpobazz
Wednesday, February 13, 2019
কোন নতুন অভ্যাস গড়ে ঊঠতে নাকি একুশ দিন সময় লাগে। আবার কাউকে ভুলে যেতেও নাকি লাগে একুশ দিন। এটা নাকি প্রমানিত। কিন্ত আমি বুঝতে পারছিনা আমার ক্ষেত্রে এমন কেন হল না। আজ একুশ দিন হল মেয়েটির থেকে দূরে আছি। বলতে গেলে সব কিছুই বন্ধ ছিল। ফেবুতেও আসা হয়নি। বন্ধ মেসেঞ্জারটাও। কিন্ত এখনও তাকে ভুলে যাওয়া তো ভাল,তার চিন্তাই মাথা থেকে নামাতে পারছি না। যদিও মেয়েটাকে আমি ভালবাসিনা। দেখিনিও কোনদিন। তারপর ও কেমন একটা অদ্ভুত মায়া যেন তার কথা ভুলতে দিচ্ছে না। আচ্ছা সে কি মানবি।নাকি? মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে। জানিনা এই পোস্ট টা সে দেখতে পাবে কিনা তবে,,, *সত্যি বলছি, জানি হয়ত কোনদিন আমাদের আর দেখা হবে না কথা হবে না, তবে আমি কোনদিন ভুলতে ও তোমায় পারব না। * ভাল থেক আমার (#কেউ না) #ddctd
By kolpobazz
আজ নাকি ভালবাসা দিবস। সেদিন একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ চোখে পড়ে দোকানের সামনে একটি ব্যানার টাঙ্গানো। দু’টি ছেলে মেয়ে একে অপরকে গভীরভাবে আলিঙ্গন করে কিস করছে। আমি দৃশ্যটা ভালো করে দেখতে পারি না। কেন পারি না। তা জানি না। আমার কেমন জঘন্য লাগে। ব্যানারে নিচের দিকে সারিবদ্ধভাবে কয়েকটি লাইন লিপিবদ্ধ আছে। প্রতিটি লাইনে ফেব্রুয়ারী মাসের কয়েকটি তারিখ আর এই তারিখে কী দিবস তা লেখা। আমি লেখাগুলো হালকা নজরে পড়তে থাকি। এখন পুরোপুরি পড়ছে না। যেটুকু মনে পড়ছে তা অগোছালো। কোন ডে’তে কী তা মনে নেই, তবে নামটুকু মনে আছে। যেমন, হাগ ডে, কিস ডে, প্রপোজ ডে, চকোলেট ডে, রোজ ডে, সর্বোপরি ভ্যালেন্টাইনস ডে এইসব। আমি আপন মনে হাসতে থাকি। দুনিয়ায় কত ধান্ধা বিরাজমান। কেউ রাজনীতির ধান্ধা করছে। কেউ ধার্মিকতার লেবাসে ধান্ধা করছে। কেউ সমাজের উন্নতি, অগ্রগতির জন্য ধান্ধা করছে। তাদেরকে কথাবার্তা শুনলে মনে হবে মানব হয়ে জন্ম গ্রহণ করে মহান সৃষ্টিকর্তার সকল অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলছে। আমার প্রায় পুরোপুরি বিশ্বাস, এই ধান্ধাবাজরা সবচেয়ে সুখে আছে। কারণ, তার যখন যেটা দরকার, ধান্ধায় মশগুল হয়ে যায়। ভালবাসা নিয়ে সবচেয়ে গভীরভাবে গবেষণা করেছে যারা তারা হলো, কবি-সাহিত্যিকরা। এটা আমার ধারণা। আমি টুকটাক সাহিত্য সাধনা করি। এই জন্য কবিতা-উপন্যাস পড়তে হয়। কবিতা-উপন্যাস আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি পড়াশুনা শিখেছি, মানুষের সাথে আচার-আচরণের ভঙ্গিমা শিখেছি, কিছুটা হলেও মনের আবেগ প্রকাশ করতে শিখেছি। সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি শিখেছি, প্রেম-ভালবাসার স্বরূপতা। ভালবাসা আসলেই একটি অপার্থিব বিষয়। যেটা হৃদয়ে ধারণ করে। আমরা ভালবাসাকে ঘোলাটে করে ফেলেছি। একটা নোংরা বস্তুতে পরিণত করেছি। যেটা কাম্য নয়। আমি আমার মাকে ভালবাসি। আমার শ্রদ্ধেয় পিতাকে ভালবাসি। ভাই-বোনকে ভালবাসি। সর্বোপরি একটি সঙ্গীকে ভালবাসি, যার সাথে সারাজীবন সুখে-দুঃখে কাটাব। ভালবসার আসল স্বরূপতা এখানেই নিহিত আছে। এটা সম্পূর্ণ আমার মত। বলা যায়, এই অনুভূতিটা সাহিত্য আমাকে শিখিয়েছে। সোশ্যাল সাইটগুলোতে অনেকে অনেক কিছু লেখে। কেউ ভালবাসা দিবসকে একটি সুন্দর, আনন্দঘন দিন হিসেবে বিবেচিত করে। কেউ এটাকে অত্যন্ত খারাপ, জঘন্য একটি দিন হিসাবে প্রচার করে। আমি কোনটাকে ভাল-মন্দ বলতে পারব না। কেউ যদি খারাপ কাজ করে, সে যেমন পার্কে, কলেজ-ভার্সিটির কোনায় কানায় দিব্যি সবার চোখকে মোটেই পাত্তা না দিয়ে আরামসে করতে পারে তেমনি মসজিদে কিংবা মাদরাসায় বসে নেহায়ত কাবিলিয়্যতের সাথে কাজটা আঞ্জাম করতে পারে। নোংরা মন-মানসিকতাকে স্থান-কাল-ভেদ কেউ কখনো ঠেকাতে পারে নি। হররোজ এইসব কাজ চলছে। ভালবাসা দিবস আলাদা কিছু না। ওরাই করে। হয়তো একটু রঙ-চঙ থাকবে। এই যা। একটি ধর্মের দু’চারজন অনুসারী নিন্দনীয় কাজ করলে ধর্ম খারাপ হয় না। এভাবেও বলা যায়, কোন রাজনৈতিক দলের কিছু সংখ্যক মন্দ কর্মীর জঘন্য কাজকে দলের কাজ হিসেবে বিবেচ্য হয় না। ঠিক তেমনি মানব সমাজের কিছু অসভ্য লোকের অসভ্যতামীর দ্বারা একটি অপার্থিব আনন্দময় বিষয়কে অসভ্যতামী বলা যায় না। ভালবাসা আসলেই একটি মহান বিষয়। যেটা সবার হৃদয়ে ধারণ করে না। সবাইকে মোহিত করে না। যাদেরকে করে শুধু তারাই বুঝতে পারে এটার গভীরতম উচ্ছাস। ভালবাসা বলতে আমরা বুঝি, একটি ছেলে একটি মেয়েকে প্রপোজ করে, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কিংবা ইমু-হোয়াটসঅ্যাপে ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাট করা। নির্ধারিত দিনে পার্কে ঘোরা, রিক্সার হুড তোলে কাছাকাছি বসা। আরেকটু অ্যাডভান্স হলে কিস করা। এভাবে হয়তো অ্যাডভান্সের ধাপটা আরো উপরের দিকে উঠতে থাকে। এটাকে কখনো ভালবাসা বলা যায় না। জগতে সবচেয়ে রহস্যময় জিনিষ হলো, মানুষের মন। বছরের পর বছর একসঙ্গে পাশাপাশি থাকার পরও একজন আরেকজনের মনের গতিবিধি বুঝতে পারে না। এই অসম্ভব কাজটা যে দু’জনের মাঝে সম্ভব হবে তাদেরকে প্রেমিক-প্রেমিকা বলা যায়। আরেকভাবে বলা যায়, তাদের মধ্যখানে যে কারবারটা হয় বা হচ্ছে তা-ই ভালবাসা। বর্তমানে পুরো বিশ্বে যে হারে দিবস প্রবর্তন হচ্ছে। আমার পুরোপুরি বিশ্বাস আরো দু’চার বছর পর দেখা যাবে, প্রতিদিন একটি করে দিবস উদযাপন হচ্ছে। হয়তো এখনই চালু আছে। আমি জানি না। এই দিবসগুলো মানব সমাজকে কতটুকু উপকৃত করছে তা আমার মত অদম মাথা চুলকে চুলকে সব চুল বিনাশ সাধন করলেও মাথা টাক হবে কিন্তু অনুধাবন করতে পারব বলে সাহস করতে পারছি না। #rpst 2017
By kolpobazz
Subscribe to:
Posts (Atom)
Popular Posts
-
সাইকো ডায়েরি https://ift.tt/3297LcL
-
রুপাকে নিয়ে অনেক গল্প হয়, অনেক কথা, কিন্তু কেউ তাকে প্রকাশ্যে কিছু বলে না। যেন কী এক গোপন শলাপরামর্শের মতো—কেবলই ফিসফাস, কেবলই কানাকানি, ...