Main Menu

Wednesday, May 29, 2019

চার বছর আগে বলেছিল সে ভালোবাসেনা আমাকে । অথচ তার মেয়েকে এখন সে আমার দেয়া নামেই ডাকে । #সাইকো

By kolpobazz

রোজা 22 টা চলে যাওয়ার পরও যদি আপনার মধ্যে ঈদের শপিং করা নিয়ে কোনো আগ্রহ, মাথাব্যথা না থাকে, তাহলে বুঝে নিবেন আপনি বড় হয়ে গেছেন।

By kolpobazz

Attention: Don't read this .... পর্ন স্টার [গল্প - ০৪ (স্লেভারি)] [সাইকো] নিজেকে আরেকবার আয়নায় দেখলো আফিয়া । প্রতিবার দেখে নিজের কাছেই তার অন্য রকম রাগছে । বুকের ভেতরে একটা আলাদা উত্তেজনা কাজ করছে । মাঝে মাঝে আফিয়ার নিজের কাছেই সব কিছু কেমন লাগছে । মনে হচ্ছে সব কিছুই যেন একটা ভ্রম । একটু পরেই সব কেটে যাবে । কিন্তু জানে এই ভ্রমটা কাটবে না । গত দিন থেকে শুরু হয়েছে । আফিয়া এরকম ভাবে কোন দিন পোশাক পরে নি । টাইট পোশাক পছন্দ করে না । কিন্তু আজকে সে টাইট পোশাকই পরেছে । তবে এই টাইট পোশাকের কোন তুলনা নেই । অন্তত কোন দিন যে এমন পোশাক যে পরবে সেটাও ভাবে নি । আফিয়া পায়ে পরেছে লম্বা লেটাক্সের সক্স । একেবারে শরীরের সাথে সেটা লেগে আছে । তার উপর চাপিয়েছে হাই বুট । হাতেও পরেছে কালো লেটাক্সের গ্লোভস । ওর শরীরে আর কিছুই পরা নেই । তবে এর জন্য ও মোটেই এসবই নীল র পছন্দের । আফিয়া সত্যিই ভাবতে পারছে না এসব সে করছে । এই নীল কে সে এইভাবে চিনতে পারে নি । নীল বন্ডেজ পছন্দ করে । এটা সে অনেক আগে থেকেই জানে । তবে একদিন যে নীল ওর নিজের স্লেভ হিসাবে আবির্ভুত হবে সেটা ও কোন ভাবেই আশা করে নি । তাও আবার কন্ট্রাক্ট সাইন করে । কন্ট্রাক্টের কাগজটা এখনও টেবিলের উপর রাখা আছে । সেখানে নীল সাক্ষর দেওয়া । যদিও সেটা লোক লিগ্যাল ডোকুম্যান্ট না তবুও স্লেভারি কন্ট্রাক্টটার ভেতরে একটা অন্য রকম কিছু আছে । কাগজটা নীল র উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে । গতকালকে যে কাজটা ও নীল কে করতে বলেছে সেটাই করেছে । ওর এখন নিজের কোন ইচ্ছে নেই । আফিয়া ওকে যা বলবে সেটাই ও করবে । যখন এই বাসায় প্রথম এসে হাজির হল তখন কেবল পরীক্ষা করার জন্যই আফিয়া নীল কে ওর পায়ে চুমু খেতে বলেছিল । খুব নিশ্চিত হয়ে বলেনি । বেশ কয়েকটা ভিডিও দেখেছিলো যেখানে মিস্ট্রেসের পায়ে তাদের স্লেভরা চুমু খায় । সেটা থেকেই বলেছিলো । ভাবতেও পারে নি নীল ওটা করে ফেলবে । তারপর নীল কেবল তাকে বলেছিলো যে আগামী দুই দিন সে একেবারেই আফিয়ার স্লেভ । এই দুই দিনে নীল আর নিজের ভেতরে নেই । এই দুই দিনে নীল র নিজের কোন অস্তিত্ব নেই । তার কেবল একটা পরিচয় যে সে হচ্ছে আফিয়ার একান্ত স্লেভ । এবং এই ব্যাপারে সে কতখানি সিরিয়াস সেটা আফিয়ার বুঝতে কষ্ট হল না । তারপরই সেও নিজেকে তৈরি করে নিল । নীল যা চায় তাই ওকে দেওয়া হবে । তারপরই নীল কে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাজমেন্টে । গত দিন থেকে সে সেখানেই আছে । আজকে তার পানিশমেন্ট শুরু হবে। স্লেভারি কন্ট্রাক্ট টা যখন আফিয়া পড়ছিলো তখনই ওর শরীরের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছিলো । সেখানে স্পষ্ট করেই বলে দেওয়া আছে সে আসলে কি কি করতে পারবে নীল র সাথে । এক কথায় সব কিছু করা অধিকার দিয়ে দিয়েছে । এমন কি যে সেফওয়ার্ড থাকে সেটাও ব্যবহার করা হয় নি । এটা ব্যবহার করার উপায় থাকলে নাকি মজা কমে যায় অনেক । তারপরই সে নির্দেশ দিল নীল যেন তার শরীরের সব জামাকাপড় খুলে ফেলে । কন্ট্রাক্টে লেখাই ছিল যে একজন স্লেভ কখনই কোন পোশাক পরে থাকতে পারবে না । নীল কোন কথা না বলে সাথে সাথেই নিজের শরীরের সব জামা কাপড় খুলে ফেলল । তারপর হাটু গেড়ে বসলো আফিয়ার সামনে বসলো । আফিয়া টেবিলের উপর থেকে একটা স্টিলের কলার নিয়ে এসে নীল র গলাতে লাগিয়ে দিল । এই কলার এখন নির্দেশ করছে যে নীল হচ্ছে একজন স্লেভ । অন্যের অধীন । ওর নিজের সত্ত্বা বলে কিছু নেই । তারপরই আফিয়া ভাবছিলো ওকে নিয়ে কি করা যায় । কিছু সময় চিন্তা করতেই বুঝে গেল ওকে এখন কি করতে হবে । বন্ডেজের সব উপকরন ওরা সাথে করেই নিয়ে এসেছিলো । সেখান থেকে একটা হ্যান্ডকাফ বের করলো । তারপর সেটা দিয়ে নীল র হাত দুটো পেছন দিক দিয়ে আটকে দিল । তারপর গলার কলারের সাথে আরেকটা চেইন লাগিয়ে নীল কে টানতে টানতে নিয়ে এল বাসার বাইরে । বাইরের আলোতে আফিয়ার মনে একটা দুষ্টু বুদ্ধি এল । নীল কে খোলা আকাশের নিচে হাটিয়ে নিয়ে গিয়ে একটা জায়গাতে দাড় করিয়ে রাখলো । তারপর নিজের মোবাইল বের করে অনেক গুলো ছবি তুলল । এভাবেই সারা বাড়ির বাউন্ডারীতে ওকে দিকে কাজ করালো । বলল যেন সব শুকনো পাতা সে পরিস্কার করে । নীল ঠিক তাই করতে লাগলো । পেছনে হাত বাধা অবস্থায় নীল কে অন্য রকম লাগছিলো । সেই সাথে ওর নগ্ন দেহেটা রোডে কেমন চকচক করছিলো । আফিয়া কেবল এক ভাবে তাকিয়ে ছিলো সেদিকে । বিশেষ ঐ অঙ্গের দিকেও চোখ যাচ্ছিলো বারবার । ওর মনে হচ্ছিলো এমন অবস্থায় নীল এমন শান্ত কেমন করে আছে ! তারপরই ওকে নিয়ে এসে বেজমেন্টে বেঁধে রেখেছিলো । সারা রাতে আসে নি ওকে । থাকুক বন্ধ একটু ! আফিয়া সমস্ত বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে নিচে ব্যাজমেন্টে নেমে এল । আসার আগে ব্যাজমেন্টের দরজাটা ভাল করে বন্ধ করে দিল । যতই চিৎকার করে কেউ এখন আর শোনা যাবে না বাইরে থেকে । অবশ্য এই বাসার আশে পাশে খুব একটা বাসা নেইও । গাজীপুরের একটা বাগান বাড়ি এটা । কেয়ার টেকারকে আগেই বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । বেজমেন্ট টা অন্ধকার হয়ে আছে । আফিয়া একটা সুইচ টিপ দিল । সাথে সাথে ঘোরের এক কোনে একটা একটা ৬০ পাওয়ারের লাইট জ্বলে উঠলো । ঘরটা খুব বেশি বড় নয় । কোন জানালা নেই । ঘরের মাঝ খানে সিলিং থেকে থেকে একটা দড়ি নিচে নেমে এসেছে । সেই সিলিংয়ে দুই হাত উপর দিক দিয়ে বাঁধা একটা মানুষকে দেখা যাচ্ছে । মানুষটার হাত দুটো শক্ত করে বাঁধা রয়েছে । পা দুটোও শক্ত করে বাঁধা রয়েছে । এই মানুষ টা আর কেউ নয় সেটা হচ্ছে নীল । গতকাল রাতে নিজ হাতে এভাবে বেঁধে রেখে গেছে সে । তারপর নিজের মোবাইল দিয়ে অনেক গুলো ছবিও তুলেছে । এই ছবি গুলো চাইলেই সবার সামনে প্রকাশ করতে পারে । এমন কি ফেসবুকে ওকে ট্যাগ দিয়েও পোস্ট করতে পারে । কন্ট্রাক্টে এমন কিছুই লেখা আছে । এই তিন দিনে ও যা ইচ্ছে করতে পারবে । কোন প্রকার বাঁধা দিতে পারবে না । কোন কিছু বলারও নেই ও । আফিয়া আবার তাকালো নীল র দিকে । নীল র মুখে একটা বল গ্যাগ পরানো রয়েছে। ওর চোখ বাঁধা । আফিয়া ঘরের ভেতরে আসায় নীল জেগে উঠলো । ... কন্ট্রাক্টে এমন কিছুই লেখা আছে । এই তিন দিনে ও যা ইচ্ছে করতে পারবে । কোন প্রকার বাঁধা দিতে পারবে না । কোন কিছু বলারও নেই ও । আফিয়া আবার তাকালো নীল র দিকে । নীল র মুখে একটা বল গ্যাগ পরানো রয়েছে। ওর চোখ বাঁধা । আফিয়া ঘরের ভেতরে আসায় নীল জেগে উঠলো । এতোক্ষন ঘুমিয়েই ছিল । পুরোটা দিন এই ভাবেই এখানে বাঁধা রয়েছে । তাকে কিছু খেতে দেওয়া হয় নি বরং সারা দিন শাস্তি দেওয়া হয়েছে । আজকেও দেওয়া হবে । আফিয়া নীল শরীরের চারিপাশ দেখতে লাগলো । ওর পুরো দেহে তেল চটচট করছে । শরীরে তার কিছু নেই । নীল র বুকের কাছে এবং ওর উরুসন্ধিতে একটা তার লাগানো রয়েছে । গত কালকে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে । প্রতিবার শক দেওয়ার সাথে সাথে সাথে নীল চিৎকার করে উঠছিল কিন্তু ওর চিৎকার বের হচ্ছিলো না । মুখে গ্যাগ থাকার কারনে চিৎকার শোনা যাচ্ছিলো না । নীল র এই চিৎকার আফিয়া কেমন যেন উপভোগ করছিলো । কেন করছিলো সেটা ও নিজেও বলতে পারবে না, তবে মজাই লাগছিলো ওর কাছে । নীল নিজেও এটা পছন্দ করে । আজকে আফিয়া নিয়ে এসেছে চাবুক । সে কোন কথা না বলেই নীল কে চাবুক দিয়ে মারতে শুরু করলো । সপাং সপাং আওয়াজ হতে শুরু করলো । আওয়াজটার ভেতরে একটা আলাদা মাদকাতা আছে । আফিয়া সেটা বুঝতে পারলো । নীল র সারা শরীরে লাল দাগ হয়ে গেল । প্রতিটি চাবুকের আঘারের সাথে সাথে ওর শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছিল । নীল নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু ওর কিছুই করার ছিল না । আফিয়া যখন চাবুক মারা বন্ধ করলো তখন নীল আর নিজের ভেতরে নেই । অন্য জগতে চলে গেছে যেন ।। ওর সারা শরীরে লাল দাগ গেছে । পুরো ব্যাপারটা ভিডিও করে করা হয়েছে । এটা পরে নীল কে দেখানো হবে । সেটা দেখেও নিশ্চয়ই নীল তখন মজা পাবে । আফিয়া আস্তে আস্তে নীল কাছে গেল । ওর সারা শরীরে হাত দিতে লাগলো । ওর হাতে ল্যাটাক্সের গ্লোভস তবুও সে ভাল ভাবেই নীল শরীর বুঝতে পারছিল । হাত দিতে দিতে ওর হাত টা ওর উরুসন্ধির কাছে এসে থামলো । আস্তে আস্তে নাড়তে লাগলো । অফিয়ার নিজের কাছে কেমন অবাক লাগছে । ও একটা মানুষের গোপনাঙ্গ নিয়ে খেলছে । হাত দিয়ে নাড়ছে । আস্তে সেটা শক্ত হয়ে আসছে । এমনটা হবে স্বাভাবিক । আফিয়া অনেক ভিডিও তে দেখেছে মেয়েরা এটা মুখে নেয় । ও কোন নেয় নি । কিছুটা সময় সেটার দিকে তাকিয়ে রইলো এক ভাবে । আজকে সে নাড়তে নাড়তে মুখে নিয়ে ফেলল । তারপর সেটা চুসতে লাগলো ! নীল তখন চরম উত্তেজনায় পৌছে গেছে । আর আফিয়া নিজেও যেন আরও মজা পেয়ে গেছে । কত সময় পার হয়ে গেল কেউ বলতে পারবে । একটা সময় আফিয়া উঠে দাড়ালো । তারপর সিড়ির দিকে পা বাড়াতে লাগলো । নীল কিছু বলতে চাইছিলো কিন্তু আফিয়া সেটা শুনতে পেল না । বলগ্যাগের কারনে কোন কথাই ঠিক মত বের হল না । ব্যাজমেন্টের দরজা খুলে, লাইট অফ করে উপরে চলে এল । তারপর দরজা বন্ধ করে দিল । আজকের মত শেষ কাজ । আবার কালকে । এই দিনেও নীল কে কোন কিছু খেতে দেওয়া হবে না । আজকে রাতের পর ওর মুক্ত হয়ে যাবে । ওর কন্ট্রাক্ট শেষ হয়ে যাবে । তখন আর এই কাজ গুলো আর করানো যাবে না । কিন্তু আজকেই যা হল তা যে কোন দিন হবে আফিয়া কোনদিন ভাবতেও পারে নি । এটা ভেবে ভেবে সারা রাত কেটে যাবে আজ । ঘরে এসে শুয়ে পড়লো ।

By kolpobazz

Tuesday, May 28, 2019

Attention: Don't read this .... স্বইচ্ছায় পড়লে আমায় দোষ দিতে পারবেন না। পর্ন স্টার [গল্প - ০৩] [সাইকো] রিয়া কান্না আটকানোর চেষ্টা করছে। খুব চেষ্টা করছে যেন ওর চোখ দিয়ে পানি বের না হতে পারে। কিন্তু সেটা সে কত সময় পারবে রিয়া জানে না। জীবনে ওকে কেউ এভাবে মারে নি যেভাবে সামনের মানুষটা ওকে আঘাত করছে। যদিও সামনের মানুষটাকে ও দেখতে পাচ্ছে না। কারন ওর চোখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা। সেই সাথে ওর হাত দুটোও দুদিকে শক্ত করে গ্রীলের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। ও চাইলেও সামনের মানুষটাকে বাঁধা দিতে পারবে না। বলতেও পারবে না কোন কথা কারন ওর মুখের ভেতরে এক গুচ্ছ কাপড় গুজে দিয়ে তারপর কালো টেপ দিয়ে শক্ত করে পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটি আঘাতের সাথে ওর গোঙ্গানীর আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই বের হচ্ছে না। পায়ের গোড়ালী দুইটো শক্ত করে এক সাথে করে বাঁধা হয়েছে। নিজের এই অবস্থার জন্য ও নিজেই দায়ী। আজকে রিয়া যে এমন হেল্পলেস অবস্থায় রয়েছে সেটা হয়েছে ওর নিজের ইচ্ছেতেই। হঠাৎ রিয়া বুঝতে পারলো সামনের মানুষটা ওর মুখের চেপ খুলতে শুরু করেছে। রিয়ার মনে হল ও কি কোন ভুল করে ফেলেছে। ওর যে কান্না আসছে সেটা কি সামনের মানুষটা বুঝে ফেলেছে। মুখ খুলে ফেলতেও শুনতে পেল -তোমার আম্মু ফোন দিয়েছে। কন্ঠ স্বাভাবিক করে কথা বল। আমি লাউড স্পিকারে দিয়ে দিচ্ছি। রিয়া বুঝতে পারলো যে অন্য কোন কারনে ওর মুখটা খোলা হয় নি। হাতও খোলা হবে না। রিয়া একটা বিপ আওয়াজ শুনলো। তারপরই মায়ের কণ্ঠস্বর শুনতে পেল। -রিও, তুই ঠিক আছিস? রিয়া নিজেকে যথা সম্ভব স্বাভাবিক রেখে বলল -আম্মু আমি ঠিক থাকবো না কেন? আজিব তো? আমি বাসা থেকে পালিয়ে যাই নি। আদিবার বাসায় এসেছি। আম্মু বলল -আরে এমন রাগ করিস কেন? -তুমি এমন প্রশ্ন কেন কর? -আচ্ছা আর করবো না। রাতের খাবার হয়েছে? -হুম। -ভাল ভাবে থাকিস। আর দরকার হলেই ফোন দিস। ফোন রাখার আগে রিয়ার খুব করে ইচ্ছে হল মাকে চিৎকার করে বলে যে ওকে এখান থেকে নিয়ে যায় কিন্তু সেটা বলল না। ইচ্ছেটাকে শক্ত করে দমন করলো। অনেক দিন পর এমন একটা সুযোগ এসেছে আর হয়তো আসবে না কোন দিন। ফোন রাখার আওয়াজ হল। তারপর আবার রিয়ার আবার সেই কান্না আসতে লাগলো। রিয়া শুনতে পেল -পানি খাবে? রিয়া কিছু বলল না কেবল মাথা ঝাঁকালো। কিছু সময় পরে ওর মুখে একটা বোতলের স্পর্শ পেল। বেশ কিছুটা পানি পান করে নিল ও। তারপর আবারও ওর মুখের ভেতরে সেই কাপড়ের দলাটা গুজে দেওয়া হল। এবং তারপর কালো টেপ দিয়ে শক্ত করেই পেঁচানো হল মুখটা যেন কোন আওয়াজ না বের হতে পারে। রিয়া কেমন করে এসবের ভেতরে পরলো ও বলতে পারবে না। ওর শুধু মনে আছে তিন মাস আগে ওর ওয়াটপ্যাডে একটা গল্প খুজে পায় যেখানে একটা মেয়েকে শক্ত করে দড়ি দিয়ে বেঁধে অত্যাচার করা হয়। এবং সেটা করা হয় মেয়েটার ইচ্ছেতেই। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা জানতে পেরে ও অবাকই হয়েছিল। এমনও মানুষও হয় নাকি। তারপর সেই গল্পের লেখকের সাথেই কথা হয়। একটু সংকোচ হচ্ছিলো তবে সব সংকোচ দূর করে কথা গুলো জিজ্ঞেস করেই ফেলল। তখনই সব জানতে পারলো। সেই দিন অনেক কথা হল দুজনের মাঝেই। সেদিনই সে বিডিএসএম, স্যাডিস্ট, বন্ডেজ সম্পর্কে জানতে পারলো। তার আগ্রহ যেন আরও দ্বিগুন বেড়ে গেল তারপর থেকেই রিয়ার মাথার ভেতরে অন্য কিছু ছিল না। গল্প গুলো বারবার পড়তে লাগলো। নিজেকে ঐ গল্পের মেয়ে গুলো হিসাবে কল্পনা করতে লাগলো। রাতে ঘুমানোর সময় নিজের পা শক্ত করে বেঁধে নিয়ে ঘুমাতে লাগলো। চোখ মুখও বেঁধে নিত কিন্তু ঠিক হাত বাঁধতে পারতো না বলে শান্তি পেত না। তারপরই সে ঐ লেখককে আবার নক দিল। তাকে বলল যে সে তার স্লেভ হতে চায়। তার লেখা গুলো তার মাথায় এমন ভাবে ঢুকে গেছে যে সেটা যতক্ষণ না ট্রাই করছে ততক্ষণ তার শান্তি নেই। কিন্তু সেই লেখক কিছুতেই রাজি হচ্ছিলো না। কারন রিয়া সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এসব কিছু আঠারো বছর না হলে কিছুতেই ট্রাই করা যাবে না। কিন্তু নাছোড়বান্দা। সে শুনবেই না। তাকে তার স্লেভ বানাতেই হবে। শেষ এক পর্যায়ে সে রাজি হয়। তবে বলে যে এখন কেবল অনলাইনেই তার মাস্টার হবে সে। তারপর ১৮ পার হওয়ার পরে সরাসরি যোগাযোগ করবে। তারপর থেকেই রিয়ার জীবনটা অন্য রকম হয়ে যায়। আগে একটা সময় ও বুঝতে পারতো যে ওর জীবনে যেন কি এক টা জিনিস মিসিং। কিন্তু সেটা কি সেটা রিয়া বুঝতে পারতো না। এই জীবনট। বেঁছে নেওয়ার পরপরই সে বুঝতে পারে যে এটাই তার জীবনে দরকার ছিল। কিন্তু সেটাতেও যেন মন ভরছিল না ওর। সত্যি কারের বিডিএসএম এক্সপিরিয়েন্স নেওয়ার জন্য ও মুখিয়ে ছিল। ঠিক সেটা বাস্তবে পরিনত করতেই যেন সুযোগ টা চলে এল। ওর কাছের এক বান্ধবীর বাবা মা হঠাৎ করেই ঢাকার বাইরে যাওয়ার দরকার হল। তাই রিয়া কে বলল যেন রাতে গিয়ে থাকে ওর বাসায়। রিয়া সুযোগ পেয়ে গেল। রিয়া বাসা থেকে বের হল কিন্তু গেল তার ডমিনেন্ট লেখকের বাসায় আর আদিবা তার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে এল বাসায়। সবাই খুশি। যদি রিয়ার বাবা মা আদিয়ার বাসাতে ফোনও দেয় তাহলে আদিবা বলবে সে ও সেখানেই আছে। প্রথম প্রথম রিয়ার একটু ভয়ই করছিল। কারন মানুষটার সাথে এর আগে মাত্র একবার দেখা হয়েছে। তবে রিয়া তাকে ১০০ ভাগ বিশ্বাস করে। কারন মাঝে মাঝেই তাদের ভিডিও চ্যাট হত। সেখানে রিয়াকে আসতে হত কোন প্রকার কাপড় ছাড়াই। কারন একজন স্লেভের কোন কাপড় পড়ার অনুমুতি ছিল না। কিন্তু তার পরেও সেগুলো ছিল দূর থেকে। আজকে যা হতে চলেছে তা হবে সরাসরি। তার বাসায় এসে রিয়ার ভয়টা যেন আরও একটু বেড়ে গেল। বারপবার ইচ্ছে করছিলো দৌড়ে চলে যেতে। কিন্তু সেই সাথে সে খুন উত্তেজিত ছিল। কিভাবে তার স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই কথা বার্তা বলছিল সে। রিয়ার মনের ভয় দূর করার চেষ্টা করছিল। যখন সময় আসলো সে বলল -আরেক বার ভেবে দেখ। রিয়ার কিছু সময় চুপ করে থেকে বলল -আমি ভেবেছি। -তোমার যদি কিছু হয়ে যায় আমার কিন্তু খবর আছে। কতদিন জেল খাটবো নিজেও জানি না। রিয়া হাসলো। তারপর বলল -এই জন্য জানি আপনি আমালে দেখে রাখবেন। সে আবার বলল -তাহলে সেফ ওয়ার্ড নিতে চাও না? -না। ওটা নিলে আমি পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করতে পারবো না। কেবল দেখবেন যে এমন কোন জায়গায় কোন দাগ না পড়ে যেটা পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখা না যায়। ঠিক আছে? -তুমি কিন্তু তোমার জীবনটাই আমার হাতে তুলে দিচ্ছো! -আমি জানি। তারপরেই কাজ শুরু হয়। রিয়াকে অন্য একটা ঘরে নিয়ে গেল সে। রিয়া পোশাক বদলে একটা টিশার্ট আর লেগিংস পরেছিল। ও বলেছিল ওর পক্ষে নিজেকে নগ্ন করা সম্ভব হবে না। তাই যখন ওকে বাঁধা হবে তখন কাজটা সেই করে। সে রাজি হয়েছিল। রিয়াকে যে ঘরে নিয়ে এল সে, সেটার ভেতরে কোন আসবার পত্র নেই। নেই কোন ফ্যান। ফ্যান ঝুলানোর স্থান থেকে একটা দড়ি ঝুলছে। রিয়া সেই দড়ির দিকে ভয়ে ভয়ে তাকালো। তারপএ রিয়াকে জানালার গ্রিলের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। ওর হাতটা দুদিকে নিয়ে শক্ত করে টানটান করে বেঁধে ফেলা হল। তারপর পা দুটো শক্ত করে এক সাথে বাঁধা হল। চোখে বাঁধা হল কালো কাপড় এবং মুখে কাপড় গুজে টেপ দিয়ে শক্ত করে পেঁচিয়ে বাঁধা হল। বাঁধা শেষ রিয়াকে কিছু সময় ওভাবেই রেখে দেওয়া হল। তারপরই রিয়া অনুভব করলো একটা কেঁচি দিয়ে ওর শরীরের পোশাকটা কেটে ফেলা হচ্ছে। সম্পূর্ন কাজটা করতে মিনিট খানেক লাগলো। এই সময়ে রিয়ার পুরো শরীর যেন আন্দোলত লাগলো। যখন ওকে পুরো নগ্ন করে ফেলা হল রিয়ার অনুভূতিটা ছিল অন্য রকম। কিছু পরে ওর শরীরে কিছু একটা ঢেলে দিল সে। রিয়া জানে এট। একটা বন্ডেজ ওয়েল। এর ফলে খুব একটা দাগ পরেনা শরীরে তবে ব্যাথা ঠিকউ লাগে। তারপরই সেই সময় এল। ও বেতের আওয়াজ পেল। যেন সেটা বাতাস কেটে আওয়াজটা করছে। জানে এখনই ওর শরীরে আঘাত করবে। ও জানে এখনই আসবে কিন্তু কখন সেটা জানে না। তারপর আঘাত টা এল। ওর পায়ের উপর। তীব্র একটা যন্ত্রনা পুরো শরীরে নয়ে গেল। নিজেকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্ট। করলো কিন্তু কোন কাজ হল না। এরপর বেতের আঘাত একের পর এল আসতেই লাগলো। রিয়ার একটা সময় মনে হল ও আর সহ্য করতে পারবে না। কিন্তু জানে যত সময় না সে সন্তুষ্ট হবে তত সময় এটা চলবেই। একটা সময় বেতের আঘাত শেষ হল। তারপর রিয়াকে আঘাত শুরু জক ফ্লোগার দিয়ে। বুকের স্তন দুটো লাল হয়ে গেল ফ্লোগারের আঘাতে। নিজেকে চরম।পর্যায়ে নিয়ে গেল। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো তারপর চিৎকার করতে চাইলো কিন্তু কিছুই করতে পারলো না। তারপর রিয়ার হাত দুটো খুলে দেওয়া হল। এবং তাকে দেওয়ালের দিকে মুখ করে বাঁধা হল। ফলে রিয়া পিঠ আর নিতম্ব উন্মুক্ত। রিয়া এবার জোরে জোরে দম দিতে লাগলো। ওর সহ্যের সীমায় পৌছে গেছে। আর কত সময় সে সহ্য করতে পারবে সে জানে না। তারপরেই আবারও আঘাত শুরু হল। রিয়া এবার সত্যি সত্যি চাইলো যে সব থামে কিন্তু সেটা আর হল। আঘাতের পর আঘাত চলতেই লাগলো। কয়েক স্থানে কেটে গেল। রক্ত বের হয়ে গেল তবুও থামলো চাবুক। যখন থামলো তখন রিয়া চেতনা হারিয়ে ফেলেছে। সকালে যখন রিয়ার ঘুম ভাঙ্গল তখন বেশ বেলা হয়ে গেছে। রিয়া চোখ মেলে বুঝতে পারলো ও তখনও বেঁচে আছে। একটু নড়তে গিয়েই টের পেল ওর পুরো শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা। পাশ ফিরতেই দেখলো পাশের টেবিলে গরম কফির কাপ থেকে ধোয়া উড়ছে। আর নাস্তা ঢাকা রয়েছে। সেখানে একটা নোট রাখা। রিয়া যত সময় ইচ্ছা থাকতে পারে এখানে সে অফিস যাচ্ছে। আর সবার শেষে লেখা গতকাল সে ছিল আনেইজিং। সে নিজেও আশা করে নি যে রিয়া এতো দূর পর্যন্ত যেতে পারবে। রিয়া সত্যি নিজের আসল সত্ত্বা কে যেন খুজে পেয়েছে। গত কাল রাতের কথা মনে হওয়ার সাথে সাথে বারবার কেঁপে উঠছে। সেই সাথে একটা অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে, যে অনুভূতির কোন তুলনা নেই।

By kolpobazz

Monday, May 27, 2019

স্বপ্নে দেখলাম আমার বেস্টু আমারে Eid sopping এর জন্য টাকা দিছে♥ তাই নিয়া আমি লাফাইতাছি,, কিন্ত লাফালাফির ফলে ঘুম ভাঙার পর মনে হইল আমার কোন বেস্টু ই নাই।😭😭😭😭 বালের কফাল,,,

By kolpobazz

Attention: Don't read this .... স্বইচ্ছায় পড়লে আমায় দোষ দিতে পারবেন না। পর্ন স্টার [গল্প - ০২] [সাইকো] ঘরের মাঝে আর কোন আসবার পত্র নেই। কেবল ঘরের মাঝে একটা মেডিক্যাল বেড রাখা। তার উপরে নিশাত শুয়ে আছে। আরও ভাল করে বললে ওকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল বেডের সামনের দুই স্টান্ড থেকে দুটো দড়ির সাথে নিশাতের দুই হাতের কব্জির সাথে বাঁধা এবং এটাতে নিশাতের দুটো হাত দুই দিকে টান টান করে রয়েছে। ও কেবল নিজের কব্জিটা নড়াতে পারছে। দুপায়ের গোড়ালি দুটোও ঠিক একই ভাবে বাঁধা। নিশাত বেডের উপর শুয়ে আছে খানিকটা ইংরেজি এক্স অক্ষরের মত করে। এবার নিশাতের দিকে আরও ভাল করে নজর দেওয়া যাক। নিশাত চোখে কিছু দেখতে পারছে না। কালো টেপ দিয়ে ওর চোখের উপর দিয়ে কয়েক লেভেল প্যাঁচানো হয়েছে। ওর মুখে একটা কালো বল গ্যাগ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। গ্যাগটা খানিকটা রাবার দিয়ে তৈরি। ওর মুখের সাথে শক্ত করে আটকে আছে। এছাড়া নিশাতের শরীরে বাড়তি কিছু নেই। পুরোপুরি নগ্ন হয়ে শুয়ে আছে ও বেডের উপর। জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। হাঁপাচ্ছে। একটু আগে ওর যে ঝড় বয়ে গেছে তাতে শান্ত হতে ওর আরও কিছু সময় লাগবে। নিশাত কোনদিন ভাবে নি ও জীবনে এমন কিছু এক্সপিরিয়েন্স করবে। বাউন্ড গ্যাংব্যাং ওর সাথে একটু আগে ঘটে গেছে। এতোদিন সে এসব দেখেছে ফোন এবং ল্যাপ্টপের স্ক্রিনে আজকে সেটা ঘটেছে তার সাথেই । ওরা মোট চারজন ছিল। একে একে চারজন এসেছে আর গেছে। দুজনের পরেই নিশাতের দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। চিৎকার করে থামতে বলতে চাইছিল কিন্তু মুখ আর চোখ বাঁধা থাকার কারনে কিছুই বলতে পারে নি। সহ্য করে গেছে কেবল। চারজনের একজনকে সে খুব ভাল করেই চিনে। আদিব। ওর খুব কাছের বন্ধু। একই সাথে পড়াশুনা করে। যে ফ্ল্যাটে ও এখন আছে এটা আদিবেরই ফ্ল্যাট। কিন্তু বাকি তিনজন যে কে সেটা ও বলতে পারবে না। আদিবের কয়েকজন বন্ধুর সাথে ওর দেখা হয়েছে তবে বাকি তিনজন যে তাদের ভেতরের কেউ সেটা ও জানে না। নিশাতের এই সব কিছু করার কথা না। মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে সে। এসব কিছু করার কথা চিন্তাও করতে পারার কথা না। কিন্তু ও শুরু থেকেই একটু অন্য রকম। অন্য সব মেয়ের মত করে সে চিন্তা করে না । এসবের শুরু হয়েছিলো যখন ওর হাতে নতুন ফোন আসে। তখন সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। নতুন একটা মোবাইল ফোন এসেছে হাতে। সেটাতেই ব্রাউজ করতে করতে একদিন একটা ছবি দেখতে পেল। ছবিতে একটা মেয়ের হাত পা বেঁধে সেক্স করা হচ্ছে। মুখে একটা গ্যাগ পরানো ছিল। ছবিটার দিকে এক ভাবে তাকিয়ে রইলো কেবল। পুরো শরীর জুড়ে একটা শিহরণ অনুভব করলো। সেই থেকে শুরু এই ব্যাপারটার উপর আগ্রহ। ইন্টারনেতে এই বিডিএসএম, বন্ডেজ সম্পর্কে যা যা পেত সব পড়ে ফেলতো, আস্তে আস্তে এই ব্যাপারে সব কিছু জানতে শুরু করে। ঢাকায় আসার পরে সেই পরিধিটা আরও যেন বেড়ে গেল কিন্তু তখন তার মাঝে একটা সংকোচ কাজ করতো সব সময় । আশে পাশের মানুষ গুলোকে সে দেখতো আর জানতো যে সে যা পছন্দ করে তারা এই দেশের মানুষ পছন্দ করবে না । তাই নিজের ভেতরে সব কিছু লুকিয়ে রেখেছিলো । তবে অনলাইনেই তার কাজ কর্ম চলতো । সে একটা ফেইক আইডি খুলেছিলো তার মনের এই সব কথা লেখার জন্য । সেখানে অনেকেই তার সাথে কথা বলতে চাইতো দেখা করতে চাইতো কিন্তু নিশাত জানতো যে এরা আসলে তার কাছে কি চায় । তাই খুব একটা পাত্তা দিতো না । তখনই তার জীবনে আদিব এল । খুব অল্প দিনেই আদিবের সাথে ওর ভাব হয়ে গেল । ভালবাসা না কারন আদিবের আগে থেকেই একটা গার্লফ্রেন্ড ছিল তবে আদিব ওকে খুব পছন্দ করতো বন্ধু হিসাবে । ও নিজেও আদিবকে পছন্দ করতো । সেইদিনটার কথা ওর পরিস্কার মনে আছে । সেদিন ওর জন্মদিন ছিল । আদিব ওকে ডেকে নিয়ে যায় ওর ফ্ল্যাটে । ঢাকাতে নিজের একটা ফ্ল্যাটেই থাকতো সে একা । ওর বাবা মা দুইজনেই দেশের বাইরে থাকে । সেও কদিন পরে চলে যাবে সেখানে । সেদিন নিশাত পরেছিলো একটা সাদা রঙের লেগিংস আর শর্ট কামিজ । সাথে লাল ওড়না । আদিবের বাসায় গিয়ে দেখে সেখানে সে ছাড়া আর কেউ নেই । ওর জন্য কেকের ব্যবস্থা করা হয়েছে । দুজন মিলে কেক কাটলো । তারপর আদিব ওর জন্য একটা গিফট প্যাকেট বের করে দিলো । সেটা খুলতেই নিশাতের পুরো শরীর কেঁপে উঠলো । সেখানে ছিল একটা লাল রঙের বল গ্যাগ একটা স্লেভ কলার আর একটা হ্যান্ডকাফ । ও কেবল অবাক হয়ে তাকালো আদিবের দিকে । আদিব তখন মিটমিট করে হাসছে ওর দিকে তাকিয়ে । নিশাত কোন দিন আদিবকে ওর এই গোপন পছন্দের কথা বলে নি লজ্জায় । তাহলে ও কিভাবে জানলো ? যেন ওর মুখের কথাই বুঝতে পারলো । বলল, জানি তুমি আমাকে কিছুই বল নি তবুও আমি কিভাবে জানলাম ? একদিন তোমার ফোনে দেখেছিলাম । একটা গ্যালারি ভর্তি কেবল এই সব ছবি । তখনই বুঝতে পেরেছিলাম । ভাবছিলাম তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেব ! নিশাত কি বলবে বুঝতে পারলো না । খুব সংকোচ নিয়ে বলল, সো তুমি মনে কর না যে আমি অদ্ভুদ কিংবা উইয়ার্ড ? আদিব বলল, কেন ? তুমি এই বন্ডেজ পছন্দ কর বলে ? মোটেই না । আমাদের সবারই নিজেস্ব পছন্দ আছে আর সেটা আমাদের শ্রদ্ধা করা উচিৎ । নিশার কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না । হঠাৎ করেই আদিবকে জড়িয়ে ধরলো । আদিব হাসলো তারপর বলল, কি ট্রাই করতে চাও না ? নিশাত বলল, আমার লজ্জা লাগবে ! আরে রাখো তোমার লজ্জা । দেখি আমি পরিয়ে দেই । এই বলে প্রথমেই গলাতে পরালো স্লেভ কলারটা । তারপর হাতটা পেছন দিক দিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে দিলো । এর পর ওর মুখে বলগ্যাগ দিয়ে আটকে দিলো । তারপর ওকে নিয়ে গেল আয়নার সামনে । টান দিয়ে ওর ওড়ণাটা সরিয়ে ওকে দাড় কড়াল আয়নার সামনে । নিশাত কি করবে ঠিক বুঝতে পারছিল না । ওর পুরো শরীর জুড়ে একটা তীব্র উতলা ভাব কাজ করছে । প্রথম বারের মত এসব পরেছে । নিজকে ঠিক রাখতে পারছে না । তীব্র একটা লজ্জাও লাগছে আদিবের সামনে । মুখ লাল হয়ে গেছে । তাকাতে পারছে না আদিবের দিকে । আদিব বলল, এতো লজ্জা পাচ্ছো কেন শুনি ? আজকে তোমাকে আমি মজা দেখাবো । নিশাত কিছু বলতে গেল কিন্তু সেটা পারলো না বলগ্যাগ মুখে থাকার কারনে । আদিব বলল, শুনো আমি এখন একটা বাইরে যাবো । তোমাক এখানে এভাবেই রেখে যাবো । একা একা থাকো কিছু সময় । তাহলে নিজের ভেতরে কিছুটা শান্ত হয়ে যাবে । তবে আজকে তোমাকে আর ছাড়বো না । সারা রাতই তোমাকে এইভাবে থাকতে হবে । বুঝেছো । আর আজকে তুমি হচ্ছো আমার স্লেভ । আমি যা বলবো তাই করতে হবে । নিশাত কেবল তাকিয়ে রইলো । আদিব নিজের মোবাইল বের করে বেশ কিছু ছবি তুললও ওর । তারপর ওকে রেখে বের হয়ে গেল । দরজাতে তালা দেওয়ার আওয়াজ পেল ও । আদিব যাওয়ার পরেই নিশাত বুঝতে পারলো এতোদিন ও যা চেয়েছে তাই হচ্ছে ওর সাথে । ও এখন একটা ঘরে বন্দি ওর হাত বাঁধা, মুখে বলগ্যাগ দেওয়া এবং ওর গলাতে কলার পরানো । মুখের বলল গ্যাগটা একটা টাইট করে পরানো হয়েছে । একটু ব্যাথা করছে । তবে সেটার থেকেও অনুভূতিটা ওর কাছে বেশি বড় । ফ্ল্যাটের মাঝে কিছু সময় ও হাটাহাটি করলো । কি করবে বুঝতে পারছে না । আয়নায় নিজেকে আরও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলো আরও কিছু সময় । তখনই ওর মনে হল এখন যদি ওর শরীরে কিছু না থাকতো তাহলে হয়তো ব্যাপারটা অন্য রকম হত ! চিন্তা মনে হতেই নিজের শরীরের ভেতরে আরও একটা তীব্র একটা শিহরণ বয়ে গেল । নিশাত এইবার ঐ অবস্থায় খুব ধীরে বারান্দার দিকে গেল । একটু গিয়েই আবার ফিরে এল সাথে সাথে । যদি কেউ দেখে ফেলে ওকে এইভাবে তাহলে । এই দেখে ফেলার অনুভূতিটা আরও বেশি তীব্র । মানুষের নগ্ন হওয়ার থেকেও কেউ তাকে নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলবে এই ভাবনা বেশি দোলা দেয় । নিশাতকেও দিলো তাই । আদিব এলো আরও ঘন্টা দুয়েক পরে । -কেমন কাটলো ? নিশাত বলতে গেল কিছু কিন্তু বলতে পারলো না । মুখে বলগ্যাগ দেওয়া রয়েছে । আদিব খুলতে গিয়েও খুললো না । তারপর বলল, আজকে তোমার জন্মদিন যেহেতু আজকে তোমার জন্য আলাদা ট্রিটমেন্ট ! নিশাত বলতে চাইলো, মানে ? কিন্তু বলতে পারলো না । আদিব ওকে ধরে বিছায় বসিয়ে দিল তারপর ওর ঠিক পা দুটো ধরে ওকে বিছানায় শুইয়ে দিল । নিশাত বুঝতে পারলো ওর সাথে এখন কি হতে চলেছে । একবার মনে হল ও প্রোটেস্ট করবে কিন্তু বুঝতে পারলো যে ওর প্রোটেস্ট করার কোন উপায় নেই। ওর হাত পেছন দিয়ে আটকানো, চাইলেও পারবে না । মুখে গ্যাগ আছে কিন্তু চিৎকার করতে পারবে না । লেগিংসটা খুলে ফেলল । নিশাত জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো । তারপর আসল কাজটা করলো । নিশারের জামাটা খুলে ফেলল । নিশাত চুপ করে রইলো চোখ বন্ধ করে । ও কি করবে বুঝতে পারলো না । আদিব তখন ওর কানের কাছে এসে বলল, এখন কি চাও আমি আগে যাই, যদি না চাও সব থেমে যাবে এখন । চাও ? নিশাত কি বলবে বুঝতে পারলো না । কিন্তু আপনাআপনিই ওর মাথাটা ডানে বাঁয়ে চলে কয়েকবার । ও থামতে চায় না। জীবনে প্রথম বারের মত সেক্স করলো আদিবের সাথে । হাত বাঁধা অবস্থায় এবং মুখে গ্যাগ থাকা অবস্থায় । এটা যেন ওর স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেল । সকালে যখন নিশাতের ঘুম ভাঙ্গলো দেখতে পেল ও ঠিক একই ভাবেই রয়েছে। রাতের পরে ওকে আর খুলে দেয় নি। ওভাবেই ছিল। সকালে উঠে প্রথমে নিজেকে আয়নাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে লাগলো। ওর নিজের কাছে অদ্ভুদ লাগছে। ও কোনদিন ভাবে নি এরকম ওর কাছে কোনদিন কিছু হবে। কিন্তু হয়েছে। তারপর থেকেই আদিবের বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু হল ওর। সপ্তাহে অন্তত একদিন নয়তো সে আসতোই। আর যতই দিন যেতে লাগলো নিশাতের সাহস ততই বেড়ে চলল। একটা সময় ও আদিবের বাসায় এসে আর কোন কাপড় গায়ে রাখতো না। একই ভাবে হাতে হ্যান্ডকাফ আর পায়ে লেগ কাগ পরতো। গলায় কলার আর বল গ্যাগ। একদিন আদিব ওকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখলো। ঐদিন ওর খুব বেশি ভয় লাগছিলো যদি কেউ ওকে দেখে ফেলে। সেদিনও ওর মনে আলাদা একটা অনুভূতি হয়েছিলো। উত্তেজনাকর অনুভূতি। তারপরই একদিন আদিবকে বলল যে আরও ভয়ংকর কিছু করতে চায়। তারপরই ওকে আজকে এখানে এই কাজটা করলো। ওকে বেডের সাথে বেঁধে রাখার পর আদিবরা মোট চার জন একে একে এসে ওর সাথে সেক্স করেছে। নিশাত এসবই ভাবছিল। এতো সময়ে ওর মন একটু শান্ত হয়ে এসেছে। ঠিক এমন সময় দরজা খুলার আওয়াজ হল। আবারও শুরু করবে নাকি? নিশাত কিছু বলতে চাইলো কিন্তু ওর কিছু বলার উপায় নেই। একটু নড়াচড়া করলো বটে কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হল না। নিশাত অনুভব করলো কেউ ওর শরীরের উপরে উঠে বসেছে। ওর চোখ আগে থেকেই বাঁধা সে কিছুই দেখতে পারছে না। তবে এটা বুঝতে পারলো যে ওর উপরে নতুন করে উঠেছে সে একজন মেয়ে। মেয়েটি কে নিশাত জানে না। তবে নিশ্চয়ই আদিবের পরিচিত। নিশাত অনুভূব করলো মেয়েটির হাত ওর পুরো শরীরের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে হাতের অনুভূতি টা ঠিক চামড়ার মত নয়। নিশাত বুঝতে পারলো মেয়েটা লেটাক্সের গ্লোভস পরে আছে। পায়ের দিক থেকেও একই অনুভূতি হচ্ছে। তার মানে মেয়েটি পায়েও লেটাক্সের লম্বা লেটাক্সের সকস পরে আছে। একেবারে মুভিতে দেখা মিস্ট্রেসদের মত। মেয়েটি এবার নিশাতের মুখের বলগ্যাগ খুলে দিল। তবে মুখে হাত দিয়ে কিছু বলতে নিষেধ করলো। নিশাত কিছুই বললো না। কেবল জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। নিশাত অনুভব করলো এরপর মেয়েটি ওর উপর শুয়ে পরলো। পায়ের উপরে পা, শরীরের উপরে শরীর, ওর ব্রেস্টের উপর মেয়েটির ব্রেস্ট এসে পরেছে। তারপর ওর হাত দুটোর উপর মেয়েটির হাত দুটো রাখলো। আঙ্গুলের ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে মেয়েটি ওর হাত চেপে ধরলো। তারপর নিশাতকে চুমু খেতে লাগলো। নিশাত নিজের মেয়েটির হাত শক্ত করে ধরেছে। কাঁপছে। সে নিজেও মেয়েটিকে চুমু খেতে শুরু করেছে। নিজের উত্তেজনার সর্বোচ্চ পৌছে গেছে সে। পরিশিষ্ট ঘন্টা দুয়েক পরে। নিশাতকে আনা হয়েছে ড্রয়িং রুমে। নিশাত এখন অনেকটাই শান্ত। তবে এখন ওর খুব বেশি লজ্জা লাগছে। কারন এখনও ওর শরীর কোন কাপড় নেই। ঘরে ও ছাড়াও আরও পাঁচ জন মানুষ আছে। সবাই আড্ডা দিচ্ছে, হাসি ঠাট্টা করছে। ওর অস্বস্তি লাগছে। ওর হাতটা এখন পেছন দিক দিয়ে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকানো। গলাতে কলারটা লাগানো আছে। -নিশাত কেমন লাগছে? কথাটা বলল আশিরা। আদিবের বন্ধু। মেয়েটাকে দেখে নিশাত অবাকই হয়েছে। এখনো মেয়েটা লম্বা লেটাক্সের গ্লোভস পরে আছে। টপস আর স্কার্ট পরে আছে। নিশাত বলল, আমি কোন দিন ভাবি নি এইকাজটা আমি করতে পারবো। কিন্তু তুমি পেরেছো আর খুব ভাল ভাবেই। আদিব বলল, শুনো তোমার পুরো ভিডিওটা আমরা এখন নেটে ছেড়ে দিব। নিশাত অবাক হয়ে বলল, কি বলছ? না না না। আশিরা বলল, আরে চিন্তা কর না, তোমার চোখে কালো টেপ দিয়ে আটকানো ছিল, মুখে গ্যাগ, কেউ চিনবে না। আর যখন ভিডিও করা হয় তখন এমন ভাবেই করা হয়েছে যাতে চেনা না যায়। সো টেনশন নিও না। নিশাত একটু অবাক হল। তার মানে সব সময়ই ঐ রুমে কেউ ছিল। নিশাত বলল -কিন্তু তোমাদেরকে চেনা যাবে যে। -না। ওরা সবাই মাস্ক পরেছিল তাই সমস্যা হবে না। শুনো তোমাকে নিয়ে আমাদের আরও প্লান আছে। এরপর তোমাকে নিয়ে গাজিপুরে যাবো। খোলা স্থানে কিছু স্যুট করবো। বুঝেছো? নিশাত মাথা নাড়ালো। ও যে এমন কিছু করবে জীবনে কি ভেবেছিলো। যেদিন প্রথম এই বন্ডেজের উপর আগ্রহ জন্মেছিল সেদিন কি ঘুরাক্ষণেও টের পেয়েছিল এমন কিছু তার জীবনে ঘটবে! এমন ভাবে কল্পনা বাস্তব হয়ে যাবে ভাবতে পেরেছিলো কি! জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটে যা কল্পনাকেও হার মানায়। নিশাতের জীবনেও তেমন কিছু হয়েছে, সামনে আরও হতে চলেছে। তবে সেটা অন্য কোন গল্প।

By kolpobazz

Attention: Don't read this .... স্বইচ্ছায় পড়লে আমায় দোষ দিতে পারবেন না। পর্ন স্টার [গল্প - ০২] [সাইকো] ঘরের মাঝে আর কোন আসবার পত্র নেই। কেবল ঘরের মাঝে একটা মেডিক্যাল বেড রাখা। তার উপরে নিশাত শুয়ে আছে। আরও ভাল করে বললে ওকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল বেডের সামনের দুই স্টান্ড থেকে দুটো দড়ির সাথে নিশাতের দুই হাতের কব্জির সাথে বাঁধা এবং এটাতে নিশাতের দুটো হাত দুই দিকে টান টান করে রয়েছে। ও কেবল নিজের কব্জিটা নড়াতে পারছে। দুপায়ের গোড়ালি দুটোও ঠিক একই ভাবে বাঁধা। নিশাত বেডের উপর শুয়ে আছে খানিকটা ইংরেজি এক্স অক্ষরের মত করে। এবার নিশাতের দিকে আরও ভাল করে নজর দেওয়া যাক। নিশাত চোখে কিছু দেখতে পারছে না। কালো টেপ দিয়ে ওর চোখের উপর দিয়ে কয়েক লেভেল প্যাঁচানো হয়েছে। ওর মুখে একটা কালো বল গ্যাগ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। গ্যাগটা খানিকটা রাবার দিয়ে তৈরি। ওর মুখের সাথে শক্ত করে আটকে আছে। এছাড়া নিশাতের শরীরে বাড়তি কিছু নেই। পুরোপুরি নগ্ন হয়ে শুয়ে আছে ও বেডের উপর। জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। হাঁপাচ্ছে। একটু আগে ওর যে ঝড় বয়ে গেছে তাতে শান্ত হতে ওর আরও কিছু সময় লাগবে। নিশাত কোনদিন ভাবে নি ও জীবনে এমন কিছু এক্সপিরিয়েন্স করবে। বাউন্ড গ্যাংব্যাং ওর সাথে একটু আগে ঘটে গেছে। এতোদিন সে এসব দেখেছে ফোন এবং ল্যাপ্টপের স্ক্রিনে আজকে সেটা ঘটেছে তার সাথেই । ওরা মোট চারজন ছিল। একে একে চারজন এসেছে আর গেছে। দুজনের পরেই নিশাতের দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। চিৎকার করে থামতে বলতে চাইছিল কিন্তু মুখ আর চোখ বাঁধা থাকার কারনে কিছুই বলতে পারে নি। সহ্য করে গেছে কেবল। চারজনের একজনকে সে খুব ভাল করেই চিনে। আদিব। ওর খুব কাছের বন্ধু। একই সাথে পড়াশুনা করে। যে ফ্ল্যাটে ও এখন আছে এটা আদিবেরই ফ্ল্যাট। কিন্তু বাকি তিনজন যে কে সেটা ও বলতে পারবে না। আদিবের কয়েকজন বন্ধুর সাথে ওর দেখা হয়েছে তবে বাকি তিনজন যে তাদের ভেতরের কেউ সেটা ও জানে না। নিশাতের এই সব কিছু করার কথা না। মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে সে। এসব কিছু করার কথা চিন্তাও করতে পারার কথা না। কিন্তু ও শুরু থেকেই একটু অন্য রকম। অন্য সব মেয়ের মত করে সে চিন্তা করে না । এসবের শুরু হয়েছিলো যখন ওর হাতে নতুন ফোন আসে। তখন সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। নতুন একটা মোবাইল ফোন এসেছে হাতে। সেটাতেই ব্রাউজ করতে করতে একদিন একটা ছবি দেখতে পেল। ছবিতে একটা মেয়ের হাত পা বেঁধে সেক্স করা হচ্ছে। মুখে একটা গ্যাগ পরানো ছিল। ছবিটার দিকে এক ভাবে তাকিয়ে রইলো কেবল। পুরো শরীর জুড়ে একটা শিহরণ অনুভব করলো। সেই থেকে শুরু এই ব্যাপারটার উপর আগ্রহ। ইন্টারনেতে এই বিডিএসএম, বন্ডেজ সম্পর্কে যা যা পেত সব পড়ে ফেলতো, আস্তে আস্তে এই ব্যাপারে সব কিছু জানতে শুরু করে। ঢাকায় আসার পরে সেই পরিধিটা আরও যেন বেড়ে গেল কিন্তু তখন তার মাঝে একটা সংকোচ কাজ করতো সব সময় । আশে পাশের মানুষ গুলোকে সে দেখতো আর জানতো যে সে যা পছন্দ করে তারা এই দেশের মানুষ পছন্দ করবে না । তাই নিজের ভেতরে সব কিছু লুকিয়ে রেখেছিলো । তবে অনলাইনেই তার কাজ কর্ম চলতো । সে একটা ফেইক আইডি খুলেছিলো তার মনের এই সব কথা লেখার জন্য । সেখানে অনেকেই তার সাথে কথা বলতে চাইতো দেখা করতে চাইতো কিন্তু নিশাত জানতো যে এরা আসলে তার কাছে কি চায় । তাই খুব একটা পাত্তা দিতো না । তখনই তার জীবনে আদিব এল । খুব অল্প দিনেই আদিবের সাথে ওর ভাব হয়ে গেল । ভালবাসা না কারন আদিবের আগে থেকেই একটা গার্লফ্রেন্ড ছিল তবে আদিব ওকে খুব পছন্দ করতো বন্ধু হিসাবে । ও নিজেও আদিবকে পছন্দ করতো । সেইদিনটার কথা ওর পরিস্কার মনে আছে । সেদিন ওর জন্মদিন ছিল । আদিব ওকে ডেকে নিয়ে যায় ওর ফ্ল্যাটে । ঢাকাতে নিজের একটা ফ্ল্যাটেই থাকতো সে একা । ওর বাবা মা দুইজনেই দেশের বাইরে থাকে । সেও কদিন পরে চলে যাবে সেখানে । সেদিন নিশাত পরেছিলো একটা সাদা রঙের লেগিংস আর শর্ট কামিজ । সাথে লাল ওড়না । আদিবের বাসায় গিয়ে দেখে সেখানে সে ছাড়া আর কেউ নেই । ওর জন্য কেকের ব্যবস্থা করা হয়েছে । দুজন মিলে কেক কাটলো । তারপর আদিব ওর জন্য একটা গিফট প্যাকেট বের করে দিলো । সেটা খুলতেই নিশাতের পুরো শরীর কেঁপে উঠলো । সেখানে ছিল একটা লাল রঙের বল গ্যাগ একটা স্লেভ কলার আর একটা হ্যান্ডকাফ । ও কেবল অবাক হয়ে তাকালো আদিবের দিকে । আদিব তখন মিটমিট করে হাসছে ওর দিকে তাকিয়ে । নিশাত কোন দিন আদিবকে ওর এই গোপন পছন্দের কথা বলে নি লজ্জায় । তাহলে ও কিভাবে জানলো ? যেন ওর মুখের কথাই বুঝতে পারলো । বলল, জানি তুমি আমাকে কিছুই বল নি তবুও আমি কিভাবে জানলাম ? একদিন তোমার ফোনে দেখেছিলাম । একটা গ্যালারি ভর্তি কেবল এই সব ছবি । তখনই বুঝতে পেরেছিলাম । ভাবছিলাম তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেব ! নিশাত কি বলবে বুঝতে পারলো না । খুব সংকোচ নিয়ে বলল, সো তুমি মনে কর না যে আমি অদ্ভুদ কিংবা উইয়ার্ড ? আদিব বলল, কেন ? তুমি এই বন্ডেজ পছন্দ কর বলে ? মোটেই না । আমাদের সবারই নিজেস্ব পছন্দ আছে আর সেটা আমাদের শ্রদ্ধা করা উচিৎ । নিশার কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না । হঠাৎ করেই আদিবকে জড়িয়ে ধরলো । আদিব হাসলো তারপর বলল, কি ট্রাই করতে চাও না ? নিশাত বলল, আমার লজ্জা লাগবে ! আরে রাখো তোমার লজ্জা । দেখি আমি পরিয়ে দেই । এই বলে প্রথমেই গলাতে পরালো স্লেভ কলারটা । তারপর হাতটা পেছন দিক দিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে দিলো । এর পর ওর মুখে বলগ্যাগ দিয়ে আটকে দিলো । তারপর ওকে নিয়ে গেল আয়নার সামনে । টান দিয়ে ওর ওড়ণাটা সরিয়ে ওকে দাড় কড়াল আয়নার সামনে । নিশাত কি করবে ঠিক বুঝতে পারছিল না । ওর পুরো শরীর জুড়ে একটা তীব্র উতলা ভাব কাজ করছে । প্রথম বারের মত এসব পরেছে । নিজকে ঠিক রাখতে পারছে না । তীব্র একটা লজ্জাও লাগছে আদিবের সামনে । মুখ লাল হয়ে গেছে । তাকাতে পারছে না আদিবের দিকে । আদিব বলল, এতো লজ্জা পাচ্ছো কেন শুনি ? আজকে তোমাকে আমি মজা দেখাবো । নিশাত কিছু বলতে গেল কিন্তু সেটা পারলো না বলগ্যাগ মুখে থাকার কারনে । আদিব বলল, শুনো আমি এখন একটা বাইরে যাবো । তোমাক এখানে এভাবেই রেখে যাবো । একা একা থাকো কিছু সময় । তাহলে নিজের ভেতরে কিছুটা শান্ত হয়ে যাবে । তবে আজকে তোমাকে আর ছাড়বো না । সারা রাতই তোমাকে এইভাবে থাকতে হবে । বুঝেছো । আর আজকে তুমি হচ্ছো আমার স্লেভ । আমি যা বলবো তাই করতে হবে । নিশাত কেবল তাকিয়ে রইলো । আদিব নিজের মোবাইল বের করে বেশ কিছু ছবি তুললও ওর । তারপর ওকে রেখে বের হয়ে গেল । দরজাতে তালা দেওয়ার আওয়াজ পেল ও । আদিব যাওয়ার পরেই নিশাত বুঝতে পারলো এতোদিন ও যা চেয়েছে তাই হচ্ছে ওর সাথে । ও এখন একটা ঘরে বন্দি ওর হাত বাঁধা, মুখে বলগ্যাগ দেওয়া এবং ওর গলাতে কলার পরানো । মুখের বলল গ্যাগটা একটা টাইট করে পরানো হয়েছে । একটু ব্যাথা করছে । তবে সেটার থেকেও অনুভূতিটা ওর কাছে বেশি বড় । ফ্ল্যাটের মাঝে কিছু সময় ও হাটাহাটি করলো । কি করবে বুঝতে পারছে না । আয়নায় নিজেকে আরও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলো আরও কিছু সময় । তখনই ওর মনে হল এখন যদি ওর শরীরে কিছু না থাকতো তাহলে হয়তো ব্যাপারটা অন্য রকম হত ! চিন্তা মনে হতেই নিজের শরীরের ভেতরে আরও একটা তীব্র একটা শিহরণ বয়ে গেল । নিশাত এইবার ঐ অবস্থায় খুব ধীরে বারান্দার দিকে গেল । একটু গিয়েই আবার ফিরে এল সাথে সাথে । যদি কেউ দেখে ফেলে ওকে এইভাবে তাহলে । এই দেখে ফেলার অনুভূতিটা আরও বেশি তীব্র । মানুষের নগ্ন হওয়ার থেকেও কেউ তাকে নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলবে এই ভাবনা বেশি দোলা দেয় । নিশাতকেও দিলো তাই । আদিব এলো আরও ঘন্টা দুয়েক পরে । -কেমন কাটলো ? নিশাত বলতে গেল কিছু কিন্তু বলতে পারলো না । মুখে বলগ্যাগ দেওয়া রয়েছে । আদিব খুলতে গিয়েও খুললো না । তারপর বলল, আজকে তোমার জন্মদিন যেহেতু আজকে তোমার জন্য আলাদা ট্রিটমেন্ট ! নিশাত বলতে চাইলো, মানে ? কিন্তু বলতে পারলো না । আদিব ওকে ধরে বিছায় বসিয়ে দিল তারপর ওর ঠিক পা দুটো ধরে ওকে বিছানায় শুইয়ে দিল । নিশাত বুঝতে পারলো ওর সাথে এখন কি হতে চলেছে । একবার মনে হল ও প্রোটেস্ট করবে কিন্তু বুঝতে পারলো যে ওর প্রোটেস্ট করার কোন উপায় নেই। ওর হাত পেছন দিয়ে আটকানো, চাইলেও পারবে না । মুখে গ্যাগ আছে কিন্তু চিৎকার করতে পারবে না । লেগিংসটা খুলে ফেলল । নিশাত জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো । তারপর আসল কাজটা করলো । নিশারের জামাটা খুলে ফেলল । নিশাত চুপ করে রইলো চোখ বন্ধ করে । ও কি করবে বুঝতে পারলো না । আদিব তখন ওর কানের কাছে এসে বলল, এখন কি চাও আমি আগে যাই, যদি না চাও সব থেমে যাবে এখন । চাও ? নিশাত কি বলবে বুঝতে পারলো না । কিন্তু আপনাআপনিই ওর মাথাটা ডানে বাঁয়ে চলে কয়েকবার । ও থামতে চায় না। জীবনে প্রথম বারের মত সেক্স করলো আদিবের সাথে । হাত বাঁধা অবস্থায় এবং মুখে গ্যাগ থাকা অবস্থায় । এটা যেন ওর স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেল । সকালে যখন নিশাতের ঘুম ভাঙ্গলো দেখতে পেল ও ঠিক একই ভাবেই রয়েছে। রাতের পরে ওকে আর খুলে দেয় নি। ওভাবেই ছিল। সকালে উঠে প্রথমে নিজেকে আয়নাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে লাগলো। ওর নিজের কাছে অদ্ভুদ লাগছে। ও কোনদিন ভাবে নি এরকম ওর কাছে কোনদিন কিছু হবে। কিন্তু হয়েছে। তারপর থেকেই আদিবের বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু হল ওর। সপ্তাহে অন্তত একদিন নয়তো সে আসতোই। আর যতই দিন যেতে লাগলো নিশাতের সাহস ততই বেড়ে চলল। একটা সময় ও আদিবের বাসায় এসে আর কোন কাপড় গায়ে রাখতো না। একই ভাবে হাতে হ্যান্ডকাফ আর পায়ে লেগ কাগ পরতো। গলায় কলার আর বল গ্যাগ। একদিন আদিব ওকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখলো। ঐদিন ওর খুব বেশি ভয় লাগছিলো যদি কেউ ওকে দেখে ফেলে। সেদিনও ওর মনে আলাদা একটা অনুভূতি হয়েছিলো। উত্তেজনাকর অনুভূতি। তারপরই একদিন আদিবকে বলল যে আরও ভয়ংকর কিছু করতে চায়। তারপরই ওকে আজকে এখানে এই কাজটা করলো। ওকে বেডের সাথে বেঁধে রাখার পর আদিবরা মোট চার জন একে একে এসে ওর সাথে সেক্স করেছে। নিশাত এসবই ভাবছিল। এতো সময়ে ওর মন একটু শান্ত হয়ে এসেছে। ঠিক এমন সময় দরজা খুলার আওয়াজ হল। আবারও শুরু করবে নাকি? নিশাত কিছু বলতে চাইলো কিন্তু ওর কিছু বলার উপায় নেই। একটু নড়াচড়া করলো বটে কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হল না। নিশাত অনুভব করলো কেউ ওর শরীরের উপরে উঠে বসেছে। ওর চোখ আগে থেকেই বাঁধা সে কিছুই দেখতে পারছে না। তবে এটা বুঝতে পারলো যে ওর উপরে নতুন করে উঠেছে সে একজন মেয়ে। মেয়েটি কে নিশাত জানে না। তবে নিশ্চয়ই আদিবের পরিচিত। নিশাত অনুভূব করলো মেয়েটির হাত ওর পুরো শরীরের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে হাতের অনুভূতি টা ঠিক চামড়ার মত নয়। নিশাত বুঝতে পারলো মেয়েটা লেটাক্সের গ্লোভস পরে আছে। পায়ের দিক থেকেও একই অনুভূতি হচ্ছে। তার মানে মেয়েটি পায়েও লেটাক্সের লম্বা লেটাক্সের সকস পরে আছে। একেবারে মুভিতে দেখা মিস্ট্রেসদের মত। মেয়েটি এবার নিশাতের মুখের বলগ্যাগ খুলে দিল। তবে মুখে হাত দিয়ে কিছু বলতে নিষেধ করলো। নিশাত কিছুই বললো না। কেবল জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। নিশাত অনুভব করলো এরপর মেয়েটি ওর উপর শুয়ে পরলো। পায়ের উপরে পা, শরীরের উপরে শরীর, ওর ব্রেস্টের উপর মেয়েটির ব্রেস্ট এসে পরেছে। তারপর ওর হাত দুটোর উপর মেয়েটির হাত দুটো রাখলো। আঙ্গুলের ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে মেয়েটি ওর হাত চেপে ধরলো। তারপর নিশাতকে চুমু খেতে লাগলো। নিশাত নিজের মেয়েটির হাত শক্ত করে ধরেছে। কাঁপছে। সে নিজেও মেয়েটিকে চুমু খেতে শুরু করেছে। নিজের উত্তেজনার সর্বোচ্চ পৌছে গেছে সে। পরিশিষ্ট ঘন্টা দুয়েক পরে। নিশাতকে আনা হয়েছে ড্রয়িং রুমে। নিশাত এখন অনেকটাই শান্ত। তবে এখন ওর খুব বেশি লজ্জা লাগছে। কারন এখনও ওর শরীর কোন কাপড় নেই। ঘরে ও ছাড়াও আরও পাঁচ জন মানুষ আছে। সবাই আড্ডা দিচ্ছে, হাসি ঠাট্টা করছে। ওর অস্বস্তি লাগছে। ওর হাতটা এখন পেছন দিক দিয়ে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকানো। গলাতে কলারটা লাগানো আছে। -নিশাত কেমন লাগছে? কথাটা বলল আশিরা। আদিবের বন্ধু। মেয়েটাকে দেখে নিশাত অবাকই হয়েছে। এখনো মেয়েটা লম্বা লেটাক্সের গ্লোভস পরে আছে। টপস আর স্কার্ট পরে আছে। নিশাত বলল, আমি কোন দিন ভাবি নি এইকাজটা আমি করতে পারবো। কিন্তু তুমি পেরেছো আর খুব ভাল ভাবেই। আদিব বলল, শুনো তোমার পুরো ভিডিওটা আমরা এখন নেটে ছেড়ে দিব। নিশাত অবাক হয়ে বলল, কি বলছ? না না না। আশিরা বলল, আরে চিন্তা কর না, তোমার চোখে কালো টেপ দিয়ে আটকানো ছিল, মুখে গ্যাগ, কেউ চিনবে না। আর যখন ভিডিও করা হয় তখন এমন ভাবেই করা হয়েছে যাতে চেনা না যায়। সো টেনশন নিও না। নিশাত একটু অবাক হল। তার মানে সব সময়ই ঐ রুমে কেউ ছিল। নিশাত বলল -কিন্তু তোমাদেরকে চেনা যাবে যে। -না। ওরা সবাই মাস্ক পরেছিল তাই সমস্যা হবে না। শুনো তোমাকে নিয়ে আমাদের আরও প্লান আছে। এরপর তোমাকে নিয়ে গাজিপুরে যাবো। খোলা স্থানে কিছু স্যুট করবো। বুঝেছো? নিশাত মাথা নাড়ালো। ও যে এমন কিছু করবে জীবনে কি ভেবেছিলো। যেদিন প্রথম এই বন্ডেজের উপর আগ্রহ জন্মেছিল সেদিন কি ঘুরাক্ষণেও টের পেয়েছিল এমন কিছু তার জীবনে ঘটবে! এমন ভাবে কল্পনা বাস্তব হয়ে যাবে ভাবতে পেরেছিলো কি! জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটে যা কল্পনাকেও হার মানায়। নিশাতের জীবনেও তেমন কিছু হয়েছে, সামনে আরও হতে চলেছে। তবে সেটা অন্য কোন গল্প।

By kolpobazz

এই শহরের সস্তা আবেগে ভেসে গেছি আজ আমি পথে পরে থাকা টিস্যু ও আজ আমার থেকে দামি।

By kolpobazz

আমি অশ্লিল,,,আর খারাপ জিনিসটা আমার রক্তে মিশে আছে। এ নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। আমার টাইমলাইনে আমি যা ইচ্ছে পোস্ট করব। ভাল না লাগ্লে নিজ দায়িত্বে বিদায় হবেন। প্রতিদিন পনের বিশটা ব্লক খাওয়া আমার নেশা হয়ে গেছে। আপনার মত দু একজন সুশিল চলে গেলে আমার বাল ও বাকা হবে না। আর শুনেন কে কোন চ্যটের বাল তা রাত বারোটার পর পর্ন সাইটের ট্রাফিক রেট দেখলেই বোঝা যায়। মাইন্ড ইট আমি,,, আমিই। আপনি না☺☺☺

By kolpobazz

Sunday, May 26, 2019

পর্ন স্টার [সাইকো] under 18 not allow মিমি চৌধুরী অনেক টা নিজের গ্রিন রুমের ভেতরে বসে আছে । আজকে সে একটা ভ্যংকর কাজ করতে যাচ্ছে । কাজটা সে কেন করতে যাচ্ছে তার কাছে সেটা এখনও পরিস্কার না তবে এটা না করলে তার মনে হচ্ছে সে কিছুতেই শান্তি পাবে না । যখন থেকে সে নিজের চোখের নিজের স্বামীর কাজ কর্ম দেখেছে তখন থেকে মনে হয়েছে তার কিছু করা উচিৎ । সে কেবল চেয়েছে তার স্বামী তার সাথে ঠিক যে কাজটা করেছে সেও সেটাই করবে । কি করবে সে কিছুতেই বুঝতে পারছিলো না । তখনই সে গেম অব থ্রোনের আরিয়া স্টার্ককে দেখতে পেল । এতোদিন ধরে সে সবার ছোট্ট মেয়েটি হিসাবে পরিচিত ছিল কিন্তু শেষ সিজনের দ্বিতীয় পর্বেই এক লাফে বড় হয়ে গেল । দৃশ্যটা ওর চোখে এখনো লেগে আছে । তখনই মিমির মনে কথাটা এল । সাথে সাথেই রিয়াদকে ফোন দিল সে । মিমি নিজেকে শান্ত করে গ্রিন রুম থেকে বেরিয়ে এল । মুভি সেট আজকে অন্য রকম লাগছে মিমির কাছে। খুব বেশি মানুষ আজকে রাখা হয় নি। কেন রাখা হয় নি সেটাও মিমি জানে । সবাইকেই মিমি ভাল করে চেনে । তার সাথেই কাজ করে । এর আগেও মিমি তেমন কোন সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে নি। তাকে সবাই শান্ত আর লজ্জাবতী নায়িকা হিসাবে চেনে । আরিয়াকে দেখে সে সাহস পেয়েছে । আজকের দৃশ্যটা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিবে। পরিচালক রিয়াদ বলেছে মানুষ কেবল এটা দেখার জন্যই হলে আসবে। মিমি নিজেও জানে এমনই আসলে হবে। পরিচালক রিয়াদ ওর অনেক দিনের বন্ধু । তার সাথে সে অনেক কিছু বলতে পারে নিশ্চিন্তে । তার মুভিতে অনেক কিছুই সে করতে পারে । রিয়াদ যখন প্রথম দৃশ্যটার কথা মিমিকে বলেছিলো তখন দৃশ্যটা খানিকটা অন্য রকম ছিল। দৃশ্যটা ছিল যে মিমি নিজের স্বামীর কাছ থেকে প্রতারিত হওয়ার পর ঠিক করলো সেও আর ভাল থাকবে না। নিজে দুজন স্কোট বয় খুজে নিয়ে সেক্স করবে। তবে এই সেক্সের দৃশ্যে মিমির চোখ থাকবে বাঁধা। এই ছিল দৃশ্যের মূল থিম। এই মুভির দৃশ্যই যেন তার বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি । সেও ঠিক করেছে সে একই কাজ করবে । মিমি দৃশ্যটা শুনে সেটার সাথে আরেকটু কিছু সংযোজন করলো। রিয়াদকে বলল যে চোখ বাঁধার সাথে সাথে ওর হাত দুটোও যেন বাঁধা হয় শক্ত করে। এমন একটা দৃশ্য কদিন আগেই সে একটা মুভিতে দেখেছিল। তখন মনে ইচ্ছে হল এমন কিছু যদি করা যেত কিন্তু তখন সেই পরিস্থিতি ছিল না । কিন্তু এখন মিমির মনের অবস্থা এমন হয়েছে যে সে এখন আর কিছুই কেয়ার করে না । যা হবার হবে । তার মনের ইচ্ছে অনুযায়ী যা ইচ্ছে তাই করবে না । পরিচালক রিয়াদ প্রথমে অবাক হলেও পরে খুবই খুশি হল। কারন এই রকম একটা দৃশ্য যদি মুভিতে থাকে তাহলে সেটা দেখার জন্য দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়বে। সেট সব তৈরি। মিমির মেকাপ নেওয়া শেষে ওর হাত বাধা হচ্ছে। তার আগে ওর শরীর থেকে সব পোশাক খুলে নেওয়া হয়েছে। একটা পাতলা তোয়ালে কোন রকমে পেঁচিয়ে রাখা হিতেছে। হাত দুটো একটু হালকা করে বাঁধা হতেই মিমি বলল -কি ব্যাপার এতো কম টাইট করে কেন বাঁধছো? যে বাঁধছিল সে বলল -আরও টাইট করবো? -হ্যা। যখন মিমির হাত আর পা বাঁধা শেষ হল তখন ও বুঝতে পারলো আসলেই বাঁধন গুলো বেশ শক্ত হয়েছে। তারপর থেকেই ওর বুকের ভেতরে একটা আলাদা অনভুতি হতে লাগলো । ওর শরীরের কোন কাপড় পরা নেই । কেবল একটা তোয়ালে পেঁচানো আছে । সেটাও কিছু সময় পরে খুলে নেওয়া হবে । অদ্ভুদ একটা অনুভূতি হচ্ছে পুরো শরীর জুড়ে । একটু পরেই দুটো ছেলে এসে হাজির হল। দুই জনেরই বডি সিক্স প্যাক। পরনে কেবল টাইট আন্ডারওয়্যার৷ আর পুরো শরীর দেখা যাচ্ছে। এদের সাথে দৃশ্যটা স্যুট করা হবে। দুজনেই এগিয়ে এল। তারপর মিমির দিকে তাকিয়ে একজন বলল -ম্যাম আপনার বড় ফ্যান আমরা দুজনেই। আসলে আমরা ভাবতেও পারি নি এই সুযোগ আসবে। মিম হাসলো। তারপর বলল, ভাল করে অভিনয় করবে । একজন বলল, আমরা কি শুধুই অভিনয় করবো ? মানে ...... মিমি বলল, না । আসলে আমার কিছুই করার থাকবে না । আমার হাত এবং পা অলরেডি বাঁধা হয়ে গেছে । একটু পরে চোখও বাঁধা হবে । আমি তোমাদের বাঁধা দিতে পারবো না । আমি কিছু দেখতেও পারবো না । সব কিছু তোমাদের উপরে । এবং আমি বলেছি যে তোমাদের কোন বাঁধা দেওয়া হবে না । মোটামুটি এক ঘন্টার একটা স্যুট । কেটে কুটে হয়তো মিনিট পাঁচ সাত রাখা হবে তবে কোন টুক রাখবে সেটা পরিচালক বুঝবে । তোমাদের কাজ হবে আমাকে পরিপূর্ণ ভাবে ব্যবহার করা । ওকে ? ছেলে দুটো হাসলো । এবার মিমির চোখ বাঁধা হল । "এন্ড একশান" রিয়াদের কন্ঠস্বরটা শুনতে পেল মিমি । মিমিকে শোয়ানো হয়েছে একটা প্রস্বস্ত বেঞ্চের উপর । মিমি উপুর হয়ে শুয়ে আছে । ওর হাত পেছন দিক দিয়ে বাঁধা । পায়ের গোড়ালীর কাছে এক সাথে শক্ত করে বাঁধা । চোখটা বাঁধা এবং সেই সাথে মুখে একটা বলগ্যাগ পরানো আছে । ওর শরীরে কোন কাপড় নেই । ওর পুরো শরীরের উপর একবার ক্যামেরা চলে গেল । সব কিছু দেখানো হল । তবে কিছু সরাসরি দেখানো হল না । মুভিতে এসব সরাসরি দেখানোর কোন উপায় নেই । তবে সব কিছু ঘটছে বাস্তবেই । মিমি সেটা সরাসরি এক্সপিরিয়েন্স করছে । মিমির কাছে মনে হল ও যেন কত সময় ধরে অপেক্ষা করে যাচ্ছে । তারপর দুইজন রুমে ঢুকলো । মিমি তাদের পায়ের আওয়াজটা শুনতে পারলো । ছেলে দুজনের একজন মিমির সামনে গিয়ে দাড়াল তারপর একজন গিয়ে দাড়াল পেছনে । মিমির মুখ থেকে বলগ্যাগ টা খুলে নিল অন্য দিকে একজন মিমির বাঁধা হাতটা একটু উপর তুলে ওর নিতম্বের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দিল একই সাথে মিমির মুখে ভেতরে সামনে ছেলেটা তার যৌনাঙ্গ ঢুকিয়ে দিলো । মিমির পুরো শরীর যেন কেঁপে উঠলো । এর আগে ও এমন কাজ করে নি । ও কেন কেউই করেনি । ও এইকাজ টা করে একেবারে পুরো পুরী নিজেকে পর্নস্টার পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে । কোন ভাবে যদি এই র ভিডিও বাইরে লিক হয়ে যায় তাহলে তখন কি হবে সেটা ভাবতেই ওর পুরো শরীর কেপে উঠলো । তবে এখন এই সব চিন্তা করার কথা না । এখনকার বর্তমান পরিস্থির দিকে নজর দিলো ও । পেছনের জন ওর শরীরের উপরে উঠে পড়েছে । তারপর নিজের নিজেকে ওর কাছে অদ্ভুদ মনে হল । এসব কেন করছে ও ? কেবল মাত্র ওর হাজব্যান্ড ওর সাথে বিট্রে করেছে বলে ? এসব ভাবার সময় নেই এখন মিমির কাছে । এখন অন্য কিছু করার সময় । এর আগে মিমি এই কাজ আর করে নি। মিমি অনুভব করছে দুইটা মানুষের দন্ডই সময়ের সাথে যেন আরও শক্তই হচ্ছে। একই সাথে ব্লোজব এবং একই সাথে এনাল সেক্স। মিমির মাথাটা ছেলেটা দুই হাত দিয়ে ধরে রেখেছে। আর বারবার নিজের অঙ্গটা মিমির মুখের ভেতর দিচ্ছে এবং বের করছে। ঠিক একই ভাবে মিমির শরীরের উপর যে ছেলেটা বসে আছে সেও একই কাজ করছে। একটা সময় ছেলে দুটো স্থান পরিবর্তন করলো। মিমির নিজের অসহায়ত্বটা ঠিক ঠিক বুঝতে পারছে। কিন্তু এটাই যেন ওর উত্তেজনা কে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রতিটা মুহুর্তে সে যেন দৃশ্যের আরও ভেতরে চলে যাচ্ছে। এরপর মিমিকে উপুর করা হল। একজন মিমির স্তনের উপর বেশ কয়েকটা থাপ্পড় দিলো। মিমি ব্যাথায় চিৎকার করে উঠতে যাওয়ার আগেই ছেলেটা আবার মিমির মুখে নিজের অঙ্গটা ঢুকিয়ে দিল। অন্যদিকে পেছনের জন একই কাজ শুরু করে দিয়েছে ওর দুই পায়ের মাঝের ছিদ্র দিয়ে। একটা সময়ে দুইজনই মিমিকে ছেড়ে দিল। তখন মিমির অবস্থা দেখার মত। হাত পা আর চোখ বাঁধা অবস্থায় মিমি কোন মতে বেঞ্চের উপর পড়ে আছে। ওর পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। মিমি ভেবেছিল সুটিং বুঝি এখানেই শেষ। কিন্তু ওর জন্য আরও কিছু অপেক্ষা করছিলো। মিমির পায়ের বাঁধন খুলে দেওয়া হল। তারপর পরই ওর মুখে আবারও বল গ্যাগটা দিয়ে আটকে দেওয়া হল। মিমি বুঝতে পারলো না আবার ওর মুখে কেন বল গ্যাগটা পরানো হল। কিন্তু কিছু যে জিজ্ঞেস করবে বলগ্যাগটা মুখে থাকার কারনে পারলো না। কিন্তু কারন টা বুঝতে পারলো কিছু পরেই। এবার একজন বেঞ্চের উপর শুয়ে পড়লো চিত হয়ে। মিমিকে তোলা হল তার উপর। তার এক ছিদ্রের ভেতরে ছেলেটার তার যৌনাঙ্গ ঢুকিয়ে দিল। তারপরপরই মিমির বুঝতে পারলো আসলে ওরা কি করতে চলেছে। বাউন্ড বিপি। দুইজন একজন সাথে ওর সাথে সেক্স করবে, দুই পায়ের দুই ছিদ্র দুটো একসাথে ব্যস্থ থাকবে। মিমি এটার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না। একবার মনে করলো ও প্রটেস্ট করবে কিন্তু সেটা করার কোন উপায় ওর নেই। হাত আর চোখ আগে থেকেই বাঁধা, মুখ খোলা ছিল কিন্তু সেটার ভেতরেও এখন গ্যাগ ঢুকানো। দুটো অঙ্গ যখন দুদিক থেকে মিমির ভেতরে প্রবেশ করলো, মিমির মনে হল এখনই বুঝি উত্তেজনায় ও বিস্ফোরিত হবে। আরেকটু চেষ্টা করলো ও নিজেকে ছাড়ানোর জন্য কিন্তু কোন লাভ হল না। এভাবে বেশ কিছু সময় ছেলে দুটো ইচ্ছে মত মিলির সাথে খেললো। তারপর ওর শান্ত হল। মিমিকে ধরে বসিয়ে দিল মেঝেতে। তারপর মিমির চুলের ঝুটি চেপে ধরে ধরলো একজন। বলল, হা কর মিমির মনে হল একবার বলে যে কে কিছু করবে না । এখনই তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক । তাই হয়তো করা হবে কিন্তু সেটা সে করলো না । হা করলো কথা মত । তারপর ওর পুরো মুখ জুড়ে গরম কামজুস ছড়িয়ে পড়ল । মিমি প্রথম কিছু সময় কেবল চুপ করে বসে রইলো । তার বুকটা এখনও জোড়ে জোড়ে ওঠানামা করছে । এমন সময় রিয়াদের কন্ঠস্বর শোনা গেল । সে বলল "কাট' । মিমি চুপ করে বসে আছে বেঞ্চের উপরে । নিজেকে এখন অনেকটা শান্ত লাগছে । একটা শান্তি চলে এসেছে ওর মাঝে । এতোদিন যে অশান্তির কাজ করছিলো সেটা এখন অনেকটাই শান্ত । ওর চোখের বাঁধন খুলে নেওয়া হয়েছে । মুখের কামসট মুছে ফেলা হয়েছে । কেবল মাত্র মিমির হাতের বাঁধন এখনও খুলা হয় নি । রিয়াদ বলছিল যে কিছু ছবি তুলতে হবে এই জন্য বাঁধন টা থাকুক আরও কিছু সময়ের জন্য । রিয়াদ এসে বসলো ওর পাশে । বলল, আর ইউ ওকে ? মিমি বলল, হ্যা ভাল আছি । ইনফ্যাক্ট ভাল লাগছে । -তুমি যা আজকে দেখালে, আমি কোন দিন ভাবতেও পারি নি এমন কিছু কোন দিন করতে পারবে ! -আমি নিজেও জানতাম না যে আমি পারবো । কিন্তু এখন মনে হচ্ছে শান্তি লাগছে । -যাই হোক তোমার সাথে সবাই ছবি তুলতে চাইছে । কিন্তু ভয়ে আসতে পারছে না । ডাক দিবো ? মিমি হাসলো । তারপর বলল, সবাইকে ডাক দাও আজকে সবার সাথে ছবি তুলবো । সত্যি সত্যি সেট এ যারা যারা ছিল সবার সাথে ছবি তুললো ও । ওর হাত পেছন দিক দিয়ে বাঁধা, শরীরে কোন কাপড় নেই । তারপর সবাইকে বলল তারা এই ছবি যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই ব্যবহার করতে পারে । কোন কার্টেসী নেই । কোন সমস্যা নেই । ঐদিন রাতেই পুরো ইন্টারেন্টে মিমি চৌধুরীর ঐ বন্ডেজ নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়ল । মিমি কেবল হাসল মনে মনে । মিমির হাজব্যন্ড একজন রেপুটেড বিজনেসম্যান । এই ছবির কারনেই তার এই রেপুটেশন একেবারে শেষ হয়ে যাবে । ভাল প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে । মুভি মুক্তির সাথে সাথে দর্শক সেটা দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়লো । আর এই বিশেষ দৃশ্যের জন্য যেন সবাই মুকিয়ে ছিল । সবাই কেবল হা হয়ে গেল এই ভেবে যে মিমি চৌধুরীর মত একজন এই রকম দৃশ্য অভিনয় করতে পারলো কিভাবে । কেউ কেউ তাকে পর্ণ তারকা আখ্যা দিল । তাতে অবশ্য মিমি কিছুই মনে করলো না । কেবল মনে মনে হাসলো । দেখার বেলাতে তো খুব দেখছো আবার সেটা নিয়ে কথাও বলছো । দেখো না তোমাদের তো কেউ দেখতে বলছে না । রিয়াদ বলেছে আরও একটা ভাল থিমের মুভি ওর মাথায় এসেছে । এই মুভিতে এই রকম বেশ কিছু দৃশ্য রাখা হবে । মিমির চোখটা চক চক করে উঠলো । সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেল । তবে সেটা অন্য কোন গল্প । মিমির এডভেঞ্চারের গল্প এখানেই শেষ । repost

By kolpobazz

এই শহরের সস্তা আবেগে ভেসে গেছি আজ আমি পথে পরে থাকা টিস্যু ও আজ আমার থেকে দামি

By kolpobazz

চার বছর আগে বলেছিল সে ভালোবাসেনা আমাকে । অথচ তার মেয়েকে এখন সে আমার দেয়া নামেই ডাকে । #সাইকো

By kolpobazz

প্রিয়,, তুমি কি বলতে পারো? কতটা অশ্রু ঝড়লে পরে তাকে কান্না বলে? বল

By kolpobazz

Saturday, May 25, 2019

আর ও একটি ক্লান্ত রাত জেগে জেগে অস্থির ডিপ্রেশনে জেগে আছে একটি ছেলে হাতে থাকা ব্লেড কাপছে থরোথরো দূর থেকে ভেসে আসা আজানের ধ্বনি যেন আঘাত করছে হৃদয় ঠেলে । উঠে দাড়াল ছেলেটা গিয়ে অযু করে আসলো ধুলো পরা সেই যায়নামাজটা বিছালো আরালে। নামাজ শেষ হল তবুও ছেলেটা যায়ানামাজে

By kolpobazz

দিনরাত ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকা মানুষগুলো আসলে আত্মহত্যা করেনা, এদের খুন করা হয়। আপনি করেন। আপনার মতো কিছু অমানুষ করে। হুম, এপারে বন্ধুর স্বরণে একটা লম্বা পোষ্ট লিখে পার পেয়ে যাবেন, কিন্তু ওপারে খুনের দায়ে আপনারও যে ফাঁসির রায় হয়ে গেছে তা জানেন কি?

By kolpobazz

সেঃ কাউকে ভালোবাসো? - হুম সেঃ ভুলেও তা প্রকাশ করবে না। -কেন ? সেঃতাহলে অবহেলা বেড়ে যাবে - আর না প্রকাশ করলে , একদিন সে অন্যের হয়ে যাবে । সেঃ😶😶😶😶 #সাইকো

By kolpobazz

Friday, May 24, 2019

অতঃপর প্রতিরাতেই ইচ্ছেগুলোর সাথে ঝগড়া হয়, আক্ষেপে অনুশোচনা হয়, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব হয়। প্রতিরাতেই নিজের অনুভুতির মৃত্যু হয়, বাস্তবতার সাথে স্বপ্নগুলোর যুদ্ধ হয়, যুদ্ধ শেষে স্বপ্নগুলো হেরে যায় অনুভুতিগুলোর জানাজা ছাড়া দাফন হয়। প্রতিরাতেই আত্মউপলদ্ধির ঝড় হয়, ঝড়ের সাথে আকাশ জুড়ে বৃষ্টি হয় বৃষ্টি শেষে নতুন শুরুর প্রতিজ্ঞা হয়, প্রতিরাতেই আত্মাটার নির্বাক সৎকার হয় খানিক বাদে দুরের মিনারে আজান হয় ফযর শেষে সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া হয়, অতঃপর প্রশান্তির ঘুম হয়।

By kolpobazz

আলহামদুলিল্লাহ,,,,, সব গ্রুপ থেকে লিভ ডান,,,,, ☺☺☺

By kolpobazz

Thursday, May 23, 2019

সবার দিন শুরু হয়, জানু সোনা ভালোবাসা দিয়া আর আমার,,,,,,ব্লক!!!!!! বালের কপাল🙄🙄

By kolpobazz

অতঃপর প্রতিরাতেই নিজের ইচ্ছেগুলোর সাথে ঝগড়া হয়, আক্ষেপে অনুশোচনা হয়, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব হয়। প্রতিরাতেই নিজের অনুভুতির মৃত্যু হয়, বাস্তবতার সাথে অনুভুতির যুদ্ধ হয়, অনুভুতিগুলোর জানাজা ছাড়া দাফন হয়। প্রতিরাতেই আত্মউপলদ্ধির ঝড় হয়, নতুন শুরুর প্রতিজ্ঞা হয়, সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া হয়, অতঃপর প্রশান্তির ঘুম হয়।

By kolpobazz

কেউ জানেনা, "হাতের উপর হাত রাখা সহজ কিন্ত , সারাজীবন বইতে পারা সহজ নয়!

By kolpobazz

কয়েক ফোটা রক্ত দেখে ভয় পেলে বুঝি? ভয় নেই অরদ্ধি। রক্ত নয় সব ভালোবাসা! গুলিবিদ্ধ ছিদ্র বুকের লাশ দেখে ভয় পেলে বুঝি! ভয় নেই অরু এ এক তুফানে ভেসে আসা মিছিলের শেষ দৃশ্য, এগুলো ভালোবাসার আন্দোলন মিছিল। তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতে শব্দ ছিনিয়ে আনার আন্দোলন, এতো ভাবছো কি? ক্ষুদ্র পাতা নড়ার শব্দ এ নয় সব না না ধ্বনির মিশ্রিত প্রতিরোধ । ক্ষুদ্র পাখির কিচির মিচির নয় এগুলো প্রেমিক জাতির এক হয়ে জোটবদ্ধ, প্রেমিকাকে নিয়ে কবিতা লিখতে পারার তীব্র আকাঙ্খা। . সব বিকৃত মস্তিষ্কের পোশাকি মানুষের টনক নাড়িয়ে দেবার জন্য জোটবদ্ধ প্রেমিকদের অমর যুদ্ধ ছিল। আর আমরা ছিনিয়ে এনেছি অসংখ্য শব্দমালা যার প্রতি বর্ণই প্রতিরোধ , আর একটি বাক্য আমরণ ভালোবাসার প্রকাশ। অরদ্ধি আবার ভয় পেলে বুঝি? শুদ্ধরা মরে গেছে কি না ? না অরু না একটি শুদ্ধও মারা যাইনি, শুধু তোমার ভালোবাসার একগুচ্ছ ফুল পাবার আশায়, শ্যামলীর এখানে ওখানে হৃদয় মন্দিরে চির অমর হয়ে দাড়িয়ে আছে।

By kolpobazz

Wednesday, May 22, 2019

"কারো জিনিস চুরি করা আমার ডায়েরি তে নেই" শুধুমাত্র,,,, এত দিন এক জনকে অনুসরণ করতাম। তার কবিতা থেকে অনুপ্রানিত হয়েছিলাম, তাই তার থেকে টুকিটাকি কিছু নিয়ে জোরাতালি দিচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম সে হয়ত আমায় হেল্প করবে। কিন্ত দেখা যায় দিন শেষে সবাই স্বার্থপর। যাই হোক আজ থেকে নিজের মত লিখব। যা মনে আসে তাই লিখব। কাউকে অনুসরণ, অনুকরণ নয়। মানুষ একি জায়গায় চিরকাল থাকেনা। পরিবর্তন হয়,,, পাহাড় থেকে সমতল, সমতল থেকে নদী সবি হয়েছে পরিবর্তন বাদ থাকেনি কিছু আজ অবধি। ইচ্ছে ছিল মিট করব কিন্ত,,, যতদিন না নিজে কিছু তৈরি করতে পারব ততদিন অবধি তার সামনে যাব না আজ শপথ নিলাম। ইনশল্লাহ,,, #dedicated-only

By kolpobazz

ফেসবুকের বন্ধুত্ব আর কচু পাতার পানি একি রকম। এই আছে তো এই নেই। অত:পর একদিনে তিন জনকে বিদায় দিলাম। তারা ভাল থাকুক।

By kolpobazz

Friday, May 17, 2019

রাত বাড়ছে,,, সাথে বাড়ছে মন খারাপের অসুখ। ভালোবাসা দরকার নেই ,,,, শুধু চাইছি কেউ একজন। একটু মন্দ বাসুক। কবিতাংশঃমন্দবাসা #সাইকো

By kolpobazz

আজ একটা ভাইভা ছিল,,, তো সেখানে বলল আপনি কোন কাজে সবথেকে সফল? আমিঃ সম্পর্ক ভাঙার কাজে 😂😂 অত:পর চাকরিটা হয়েই গেল। #সাইকো

By kolpobazz

কোথায় থাকো ? কি তোমার নাম? কেন আবেগে জড়াও অবিরাম?

By kolpobazz

-নিশি??? -হুম, -যাবি আমার সাথে??? -কোথায়?? -যেখানে নিয়ে যাবো... -তুই যা। -একা যাব না।তুই চল সাথে.... -কিন্তু কোথায় সেটা বলবি তো.... -সারপ্রাইজ আছে,গেলে বুঝবি। -কিসের সারপ্রাইজ?? -বলা যাবেনা।গেট রেডি ম্যাম.... -অপদার্থ। তোকে বলছি না আমার মুড অফ থাকলে হেয়ালি করবিনা। -সত্যি বলছি।চল।গেলে বুঝবি। ★সামনে লঞ্চ, ট্রলার যাচ্ছে,প্রবল ঢেউ।এটা নিশির প্রিয় জায়গা।নদীর পাড়।পানি দেখলে নাকি তার মন ভালো হয়ে যায়। তাই শেস বার দেখাতে নিয়ে এলাম। -এটা তোর সারপ্রাইজ ?? -কেন তোর পছন্দ হয়নি?? -সারপ্রাইজ না কচুপ্রাইজ দিলা তুমি আমার।এ তুই সারপ্রাইজ এর মানে কি বলতো... -ধুরর আরো আছে,এটা তো তোর মন ভালো করলাম। -অহ আচ্ছা,। -চোখ বন্ধ কর.... -পারব না।অন্যদিকে ফিরে তাকাচ্ছি,... প্লিজ চোখ বন্ধ কর। -আচ্ছা, নিশি চোখ বন্ধ করল। আমি তার পেছন গিয়ে আলতো করে তাকে ধাক্কা দিলাম । আচমকা ধক্কায় সে নদিতে পরে গেল। আমার সামনে হাবুডুবু খাচ্ছে মেয়েটা। হয়ত কিছু বলার চেস্টা করছে সে। নাহ হয়ত গালি দিচ্ছে। আমি তাকিয়ে দেখছি। তার ডুবে যাওয়া দেখে আমার হাসি পাচ্ছে। কারন আমার পথের কাটা এখনই শেষ হবে। এই মেয়েটার জন্য ই আমি শশীর সাথে কথা, দেখা কিছুই করতে পারতাম না। সবসময় লেগে থাক্ত আমার পিছনে। নাও এবার বুঝো মজা। শশী কে ফোন দিয়েছিলাম, বলেছিলাম এখানে আসতে। এত দেরি করছে কেন মেয়েটা। ভাবতে ভাবতেই শসি চলে আস্লো। এসে দেখে পানিতে হাবুডুবে খাচ্ছে নিশি। সে বল্ল কি হল মরে যাবে তো ওকে কেন তুলছ না। আমি হাসিমুখে বললাম।দেখ জানু তোমাকে বলেছিলাম না একটা মেয়ে তোমার আর আমার ভালবাসা চায়না। এই যে এই হল।সেই মেয়েটা। আমার কথা শুনে মনে হল।শশী খুসি হয়েছে। একটূ ভেবে সে বল্ল।ঠিক করেছ সোনা। আমাদের মাঝের বাধা তো দুনিয়াতে বেচে থাকতে পারে না। এই বলে সে ডুবে জাওয়া মেয়েটার দিকে তাকাল।আর বলতে লাগ্ল কি।হল।এখন ও মরেনা কেন আপদটা। #এডিটেড #সাইকো

By kolpobazz

Thursday, May 16, 2019

কেউ একজন বলেছিল সেদিন,,, আচ্ছা আমি কি জানতে পারি আপনার এত কষ্ট কিসের,কিসের এত ব্যথা। এমন করে থাকেন কি করে,একা লাগেনা? তার প্রশ্ন শুনে অবাক হলাম, এক্টুখানি থমকে দাড়ালাম। খানিক বাদে মনে পড়ল,, কিছু কথা কিছু মুহুর্ত অনলি মি করে রাখাই ভাল, শেয়ার করতে হয়না। #সাইকো

By kolpobazz

কারো প্রেমিক হওয়া টাও অত কঠিন নয়। যতটা কঠিন....... কারো ভালো বন্ধু হওয়া। #সাইকো

By kolpobazz

সে যে আপনাকে চাইছেনা তার তিনটি লক্ষনঃ- ০১.The number is busy now. ০২.The number you calling is in waiting ০৩.The number you are calling is currently switched off #সাইকো

By kolpobazz

#dedicated_sobar_jonno_noy_post_ta বহুদিন আগে ... কেউ একজন বলেছিল এত কেন মনে হয় আপনাকে কি হইছে আপনার ? সেদিন উত্তর দিতে পারিনি , এরিয়ে গিয়েছিলাম । বলেছিলাম অপেক্ষা করুন । পালিয়ে যাচ্ছি না তো আর আজ অনেক দিন বাদে সেই একই প্রস্ন করে বসল কেউ একজন আবার নাহ আজ আর ফিরিয়ে দিব না। জেনে নিন , বলে দিচ্ছি আজ । আমার ফোনবুকে মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় নামে কোন কন্টাক্ট নেই । সব গুলিই আননোন নাম্বার । কবিতাংশঃ সম্পর্ক এন এম শান্ত #সাইক 5/5/2014

By kolpobazz

#dedicated_sobar_jonno_noy_post_ta বহুদিন আগে ... কেউ একজন বলেছিল এত কেন মনে হয় আপনাকে কি হইছে আপনার ? সেদিন উত্তর দিতে পারিনি , এরিয়ে গিয়েছিলাম । বলেছিলাম অপেক্ষা করুন । পালিয়ে যাচ্ছি না তো আর আজ অনেক দিন বাদে সেই একই প্রস্ন করে বসল কেউ একজন আবার নাহ আজ আর ফিরিয়ে দিব না। জেনে নিন , বলে দিচ্ছি আজ । আমার ফোনবুকে মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় নামে কোন কন্টাক্ট নেই । সব গুলিই আননোন নাম্বার । কবিতাংশঃ সম্পর্ক এন এম শান্ত #সাইক 5/5/2014

By kolpobazz

Saturday, May 11, 2019

আমি শুধু চাই- কেউ একজন আমাকে বলুক; যদি আপনি আমায় ভালবাসেন তবে 'সেহেরির পর আপনি ফজরের নামাজ না পড়ে ঘুমাবেন না।" কেননা সেহেরি খেলেই আমার চোখে রাজ্যের ঘুম নেমে আসে ঘুম থেকে নিজেকে বিরত রাখতেই পারিনা। #সাইকো আইডিয়াঃসালমান ভাই

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৩৫ [সাইকো থ্রিলার] গোলকধাঁধা লিখাঃএন এম শান্ত রক্তিম সূর্য উঠার সাথে সাথে আমি উঠে পড়লাম। চাদর এলোমেলো ভাবেই পড়ে রইল। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে পড়লাম। আজ অনেক কাজ। কাজে দেরি করে গেলে বস আবার রাগ করতে পারেন। বাসে উঠে গন্তব্যস্থানে পৌছাতে বেশী সময় লাগল না। বাসা থেকে বেশী দূরে নয় আমার অফিস। অফিসের সামনে গিয়ে দেখি লোহা-লক্করে চারিদিক একাকার হয়ে আছে। তার মানে কেউ এখনও আসে নি। আমিই প্রথম। যাক বস আজ কিছু বলতে পারবে না। গতকালের নষ্ট গাড়ির দিকে গেলাম। এটাকে ঠিক করতে পারলে বেশ ভাল উপরি ইনকাম হবে। মনোযোগ দিয়ে গাড়ি ঠিক করতে আড়ম্ভ করলাম। খুটখাট শব্দ করে কাজ করছি। আশে-পাশে কেউ নাই। এক সকালে লোকজনের চলাচল নেই বললেই চলে যেন কোন কবরস্থানে আছি। কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ি'র মৃদু শব্দ শুনতে পেলাম। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকাতেই দেখলাম একটা টয়াটো গাড়ি এসে হাজির। কেউ আসার আগে কোন গাড়ি ঠিক করে দিতে পারলে টাকাটা নিজের হবে ভেবে খুব আনন্দ হচ্ছিল। আবার দুঃখিতও হতে পারি যদি এই অসময়ে কেউ এসে পড়ে। ভাবলাম ৫০০ টাকার কমে তো এটাকে ছাড়বই না। গাড়ির কাছে গিয়ে লম্বা করে সালাম দিলাম। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে কেউ সালামের উত্তর দিল না। একটু যেন অস্বস্থি লাগল। তাহলে কেউ কি নেই ভিতরে। ভয়ে গা শিরশির করে ‍উঠল। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে গাড়ি থেকে এক বৃদ্ধ নেমে আসল। মাঝারি আকৃতি, মাথা ভর্তি চুল বেশ আটসাট চেহাড়া। একটু অবাক না হয়ে পারলাম না তাকে দেখে ততটা সুখি মনে হল না। গেটআপে তো মনে হয় বেশ টাকা-পয়সার মালিক। সে একটু কেশে আমায় বলল, তুমি কি এই গ্যারেজের মালিক? জ্বি না, স্যার। আমাকে স্যার বলার দরকার নেই। বরং আমাকে তুমি বল। ইয়ে য়ে...মানে আপনাকে তুমি। লোকটি হেসে বলল, আরে সমস্যা কি আমিই তো তুমি। মানে.. জানতাম এটা জিজ্ঞাসা করবে কিন্তু আমার কাছে উত্তর নেই। এখন তাড়াতাড়ি গাড়িটাকে যেভাবে পাড় ঠিক করো আমি বসলাম। আমি গাড়ির সামনের অংশ খুলে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছি। কিন্তু কোন সমস্যা খুজে পেলাম না। তারপরও তার কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য ভাব নিলাম গাড়ির কতবড় সমস্যাই না হয়েছে। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে গাড়ি ঠিক করার অভিনয় করে ক্ষ্যান্ত দিলাম। স্যার, আপনার গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে। এত তাড়াতাড়ি। আচ্ছা বল কতটাকা। আমি কিছুটা ইতস্ততা করে বললাম, ৫০০। সে আমার দিকে মৃদু হাসল তারপর পকেট থেকে ৫০০ টাকার কচকচা নোট বের করে দিল। আর যাওয়ার সময় বলে গেল, আমিই তুমি। ধীরে ধীরে তোমাকে সব জানানো হবে। বলে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ধীরে ধীরে চালিয়ে চলে গেল। আমি বোকার মত দাড়িয়ে রইলাম। তার কথার আগামাথা কিছুই বুঝলাম না। ধীরে ধীরে সবাই চলে এল। কোলাহলে ভরে গেল আমাদের কর্মস্থল। সেদিন বস আর কিছু বলে নি। আমিও খুশি ছিলাম। অতিরিক্ত ৫০০ টাকা পেয়ে। রাতে ভাবনাকে খবর দিয়ে বললাম আজ তোকে ঘুরতে নিয়ে যাবো। ভাবনাও খুশি। সন্ধ্যার পরে ভাবনাকে রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে থাকতে বললাম। আমি সেখানে গিয়ে দেখি ও দাড়িয়ে আছে। বললাম, বেশি দেরি করে ফেললাম নাতো। আরে না। আমিও মাত্র আসলাম। একটা রিক্সা ডেকে উঠে পড়লাম। রিক্সাটা খানিক ছোটই মনে হল। এতদিন যত রিক্সায় উঠেছি এত চাপাচাপি হয় নাই। নাকি ভাবনা মুটিয়ে গেছে। যাই হোক আমার ভালই লাগল। রাস্তা খারাপ হওয়ায় একটু পর পর ঝাঁকুনিতে ওর সাথে আমার শরীর লেগে যাচ্ছিল। ও কি অস্বস্থি বোধ করছে কিনা কে জানে অন্ধকারে তো ভাল করে দেখা যাচ্ছে না। ওর একটি স্তনের সাথে আমার দেহের ঘর্ষনে আমি খানিক উত্তেজিতই হয়ে উঠেছি। ও কিছু বলছে না। আমি আমার এক হাত ওর ঘাড়ের উপর দিয়ে রাখলাম। এখন ওর শরীরের সাথে আমার শরীর লেপটে আছে। যেন কাদা দিয়ে বানানো দুটো শরীর জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ওর গালে আলতো করে এক চুমু দিলাম। ও বলল, সমস্যা কি? কিছু না। তুমিও চাইলে দিতে পারো। মনে মনে ভাবছি রাগ করে কিনা। কিন্তু না। সত্যি সত্যি ও আমার গলা ধরে ঠোটে এক দীর্ঘ চুম্বন বসিয়ে দিল। আমি একটু হতবম্ভ হয়ে গেলাম। ভাগ্যিস নির্জন রাস্তা। নির্জন রাস্তা পার হয়ে আমরা মেইন রাস্তায় চলে আসলাম। আলো নিভে যাওয়ায় হলের সামনে আমাদের রিক্সা দাড়িয়ে পড়ল। ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে হলের টিকিট সংগ্রহ করলাম। হলের মধ্যে ভাবনাকে বললাম, আমার বাসা আজ ফাঁকা। ও কিছু বলল না। শুধু হাসল। সেদিন রাতে আমরা দুইজনে হোটেলে খেয়ে-দেয়ে আমার বাসায় আসি। বাসায় ঢুকেই ওকে জাপটে ধরে বিছানায় শুয়ে পড়ি। তারপর কখন যে রাত শেষ হয়ে গেছে বলতে পারব না। ঘুম ভাঙ্গলে দেখি ভাবনা আমার বুকের উপর শুয়ে আছে নিশ্চিতে। আমি ও ডেকে তুললাম। ও কাপড়গুলো পড়তে পড়তে আমাকে বলল, তুমি ভাল একটা চাকড়ি করতে পারো না। এত বড় পাস দিয়ে কেউ মেকানিক্স হয়? আমি শুধুই হাসলাম। ও চলে গেল। আমিও ফ্রেশ হয়ে আমার কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। গতকাল এই সময়ে গিয়ে একজন কাস্টমার পেয়েছিলাম। সেই লোভে আজও ছুটলাম। আজও পৌছে দেখি কেউ নেই। কারো থাকার কথাও না। কয়েকটা পার্টস নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি। তখন আবার গাড়ির মৃদু আওয়াজ কানে এল। গতকালের সেই গাড়িটা আবার এসেছে। আমি গাড়ির সামনে যেতেই বৃদ্ধ লোকটি নামল। আমি বললাম, আবার কি সমস্যা হয়েছে? সেই একই সমস্যা। বলে হাসল। ঠিক আছে আপনি বসুন, আমি দেখছি কি করা যায়? সে বসল। কিন্তু একটু অবাক হলাম তাকে দেখে, আজ তাকে একটু অন্য রকম লাগছে। গতকালের চেয়ে বয়স কম কম মনে হচ্ছে। দূর চোখের ভুলও হতে পারে। আবার গাড়ির দিকে মনোযোগ দিলাম। আধ ঘন্টা ধরে গাড়ি ঠিক করার অভিনয় করতে হল। স্যার, ঠিক হয়ে গেছে। তুমি আবার আমাকে স্যার বলছ। আমি তো তুমি। আপনার কথা বুঝতে পারলাম না। বুঝবে সময় হলে। এখন বলুন। কয়েকটা কাজ সম্পন্ন করে তারপর বলব। কি কাজ আমাকে বলুন। করে দিব, কিন্তু রহস্য করবেন না দয়া করে। রহস্যের কি আছে তুমিই বুঝতে পারছো না। আমি কি করতে পারি। সে আবার ৫০০ টাকার একটা নোট আমাকে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেল। আমি আজও পথের দিকে বোকার মত তাকিয়ে রইলাম। আজ টাকা পেয়ে বেশী খুশি হতে পারলাম না। তার কথাগুলো আমার কানে আটকে আছে। আমিই তুমি। এর মানে কি? সে যদি আমি হই...দূর ছাই চুলায় যাক। এসব ভেবে আমার কাজ নেই। বাসায় ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হল। খাওয়া দাওয়া করে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম । উঠে দেখি ভোর হয়ে গেছদে । তাই দেরি না করে তারাতারি শার্ট টি পড়ে দৌড়াতে লাগ্লাম গ্যরেজের দদিকে এই ভেবে যদি আজ তাকে মিস করে ফেলি। এই নিয়ে কয়েকদিন হল সেই লোকটা আসছে আর আমার হাতে পাঁচশ টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছে । বিনিময়ে শুধু একটি কথাই বলে যাচ্ছে “আমি মানে তুমি”। এইটা নিয়ে টেনশন লাগছে তবু ও টাকার লোভে কিছু মাথায় আনতে পারছিনা। আজ পৌছাতে একটু দেরি হল । কিন্ত লোকটি দেখি গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে । কাছে যেতেই বলল কি হে ইয়াং ম্যন ঘুম থেকে দেরিতে উঠা ঠিক নয় জানো । লোকটার কথা শুনে ঘার বাকিয়ে তার দিকে তাকালাম , কিন্ত তাকে দেখে আশ্চর্য হলাম , আজ তাকে মনে হচ্ছে বিশ বছরের টগবগে তরুন । আমি কোন পাত্তা না দিয়ে আমার কাজ করতে লাগলাম । আর সেইম আধা ঘন্টা পর বললাম হয়ে গেছে। টাকার কথা বলার আগেই সে দেখি টাকা বের করে বসে আছে । যথারিতি সে গাড়ি নিয়ে চলে গেল । কিন্ত যাবার সময় বলে গেল “সময় হলে সব বুঝতে পারবে “ তার কথায় অবাক হচ্ছি প্রতিদিন । তবু ও ওসব ফালতু ব্যপার বলে উরিয়ে দিলাম। আজ ও ফিরতে রাত হল । বাসায় ফিরে রান্না করছি এমন সময় ভাবনা'র ফোন এল। হ্যা, জানু বল। আমি জানু না। ছোটবোন। ও তুমি, কেমন আছো? জ্বি, ভাল। আপনাকে একটা খবর দিতে ফোন দিলাম। দাও। আপুর আজ বিয়ে। আপনাকে কষ্ট পেতে নিষেধ করেছেন। আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। এই দুইদিন আগেই ওর সাথে এক বিছানায় রাত কাটালাম আজ বিয়ে। কই তখন তো কিছু বলল না। আমি আর কথা বলতে পারলাম না। সব কিছু ভুলে গেলাম। কিন্তু ভাবনাকে ভুলতে পারছি না। বেশ কিছুদিন কেটে গেছে ভাবনার বিয়ের। কিন্তু এখনও ওকে ভুলতে পারি নি। জানি চাইলেও ভুলতে পারব না। এক বন্ধু বলেছিল গাজা খেলে নাকি সব কিছু ভুলে থাকতে পারব সে চেষ্টাও করেছি কিন্তু কাজ হয় নি। জানি কোন নেশাই আমাকে ভাবনা'র ভাবনা থেকে মুক্ত করতে পারবে না। আজ সকালে আবার গ্যারেজে এলাম। সেদিনের পর থেকে প্রায় দীর্ঘ একমাস এখানে আসি নি। বস সব কিছু জানেন তাই কিছু বলেন নি। সকালে উঠার অভ্যেস হয়ে গেছে তাই সকাল সকাল আসতে পেরেছি। একটা পরিচিত গাড়ির আওয়াজ কানে এল। বুঝলাম সেই বৃদ্ধ। গাড়ির দিকে ঘুরতেই দেখি যা ভেবেছি তাই। সামনে গেলাম। দীর্ঘ এক সালাম দিলাম। কিন্তু কেউ বের হয় না। একটু পর একজন যুবক বের হয়ে আসল। তাকে দেখে আমি কি বলব ভাষা খুজে পেলাম না। দেখি আমার সামনে আমি দাড়িয়ে আছি। যেন আয়নার সামনে। আমি আমতা আমতা করে বললাম, সেই-ই-ই বৃদ্ধ লোকটি? সে বিদঘুটে হাসি হেসে বলল, আমিই সে, আমিই তুমি। আমি বিশ্বাস করি না। আপনি কোন কিছু লুকাচ্ছেন। বলেন সেটা কি? লোকটি বলল, বলবার নয় তোমাকে দেখাবো সেটা কি? আমি চুপ করে থাকলাম। জানি না সে কি দেখাতে পারবে। চোখ বন্ধ কর সব কিছু দেখতে পাবে। আমি চোখ বন্ধ করলাম। মনে হয় এক সেকেন্ড হবে চেয়ে দেখি সে নেই। গাড়ি আছে কিন্তু লোকটি নেই। আমার মাথা ঘুরতে থাকে। সবকিছু ঝাঁপছা লাগছে। লোহা-লক্কড় স্তূপকে পাহাড়ের মত মনে হচ্ছে। চেয়ারে বসে পড়লাম সবকিছু পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি। কিছুই বুঝে উঠার আগে লোকটি উধাও কেন হল? সে আমাকে দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু দেখালো না। আমারও মনে হল, হ্যা আমিই তো সে। তাকে কেন অযথা খুজছি। গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলাম। ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে বাসার দিকে চলে গেলাম। গাড়ি চালাতে চালাতে মনে হল আরে কোন দিকে যাচ্ছি আমার বাড়ি তো ধানমন্ডি। গাড়ি ঘুড়িয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। একটা ছয়-তলা বিল্ডিংয়ের গেটের ভিতর দিয়ে ঢুকে পড়লাম। গাড়িটা পার্কিং লটে পার্ক করে সিড়ি দিয়ে দুই-তলায় চলে আসলাম। এটাই আমার বাড়ি। সবগুলো ভাড়া দিয়ে আমি দুই-তলায় থাকি। কলিং বেলের সুইজ টিপতেই এক বৃদ্ধ লোক দরজা খুলে দিল। এই লোকটিকে আমি চিনি। তিনি আমার বাবা। গুড মর্নিং বাবা। বাবাও আমাকে গুড মর্নিং জানালো। তারপর বলল, নাস্তা খেয়ে নে। আমরা বেড়াতে যাবো। শুনে খুশি হলাম। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্রেশ হয়ে নাস্তা টেবিলে বসলাম। ভাবনা খাবার নিয়ে এল। ওকে বললাম, ভাবনা তুমি খেয়েছো? সেই আগের মত লাজুক কন্ঠে বলল, হ্যা। আমি খেয়ে বেডরুমে ঢুকে নতুন প্যান্ট, শার্ট পড়তে পড়তে আয়না দেখছি। কিন্তু আয়নায় একি দেখছি। আমি চল্লিশ বছর বয়সীদের মত হয়ে গেছি। মাত্র বাসায় ফিরলাম ত্রিশ বছর বয়সী হয়ে ভাবতে পারছি না। কি হচ্ছে এইসব প্রথম থেকে সব কিছু আবার মনে পড়তে থাকল। কিন্তু কিছুতেই কিছু মিলাতে পারছি না। তাহলে কি কেউ আমার অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে? এটা কি স্বপ্ন নাকি হ্যালুসিনেশন ? #সাইকো

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৩৬ [সাইকো থ্রিলার] গোলকধাঁধা লিখাঃএন এম শান্ত রক্তিম সূর্য উঠার সাথে সাথে আমি উঠে পড়লাম। চাদর এলোমেলো ভাবেই পড়ে রইল। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে পড়লাম। আজ অনেক কাজ। কাজে দেরি করে গেলে বস আবার রাগ করতে পারেন। বাসে উঠে গন্তব্যস্থানে পৌছাতে বেশী সময় লাগল না। বাসা থেকে বেশী দূরে নয় আমার অফিস। অফিসের সামনে গিয়ে দেখি লোহা-লক্করে চারিদিক একাকার হয়ে আছে। তার মানে কেউ এখনও আসে নি। আমিই প্রথম। যাক বস আজ কিছু বলতে পারবে না। গতকালের নষ্ট গাড়ির দিকে গেলাম। এটাকে ঠিক করতে পারলে বেশ ভাল উপরি ইনকাম হবে। মনোযোগ দিয়ে গাড়ি ঠিক করতে আড়ম্ভ করলাম। খুটখাট শব্দ করে কাজ করছি। আশে-পাশে কেউ নাই। এক সকালে লোকজনের চলাচল নেই বললেই চলে যেন কোন কবরস্থানে আছি। কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ি'র মৃদু শব্দ শুনতে পেলাম। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকাতেই দেখলাম একটা টয়াটো গাড়ি এসে হাজির। কেউ আসার আগে কোন গাড়ি ঠিক করে দিতে পারলে টাকাটা নিজের হবে ভেবে খুব আনন্দ হচ্ছিল। আবার দুঃখিতও হতে পারি যদি এই অসময়ে কেউ এসে পড়ে। ভাবলাম ৫০০ টাকার কমে তো এটাকে ছাড়বই না। গাড়ির কাছে গিয়ে লম্বা করে সালাম দিলাম। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে কেউ সালামের উত্তর দিল না। একটু যেন অস্বস্থি লাগল। তাহলে কেউ কি নেই ভিতরে। ভয়ে গা শিরশির করে ‍উঠল। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে গাড়ি থেকে এক বৃদ্ধ নেমে আসল। মাঝারি আকৃতি, মাথা ভর্তি চুল বেশ আটসাট চেহাড়া। একটু অবাক না হয়ে পারলাম না তাকে দেখে ততটা সুখি মনে হল না। গেটআপে তো মনে হয় বেশ টাকা-পয়সার মালিক। সে একটু কেশে আমায় বলল, তুমি কি এই গ্যারেজের মালিক? জ্বি না, স্যার। আমাকে স্যার বলার দরকার নেই। বরং আমাকে তুমি বল। ইয়ে য়ে...মানে আপনাকে তুমি। লোকটি হেসে বলল, আরে সমস্যা কি আমিই তো তুমি। মানে.. জানতাম এটা জিজ্ঞাসা করবে কিন্তু আমার কাছে উত্তর নেই। এখন তাড়াতাড়ি গাড়িটাকে যেভাবে পাড় ঠিক করো আমি বসলাম। আমি গাড়ির সামনের অংশ খুলে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছি। কিন্তু কোন সমস্যা খুজে পেলাম না। তারপরও তার কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য ভাব নিলাম গাড়ির কতবড় সমস্যাই না হয়েছে। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে গাড়ি ঠিক করার অভিনয় করে ক্ষ্যান্ত দিলাম। স্যার, আপনার গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে। এত তাড়াতাড়ি। আচ্ছা বল কতটাকা। আমি কিছুটা ইতস্ততা করে বললাম, ৫০০। সে আমার দিকে মৃদু হাসল তারপর পকেট থেকে ৫০০ টাকার কচকচা নোট বের করে দিল। আর যাওয়ার সময় বলে গেল, আমিই তুমি। ধীরে ধীরে তোমাকে সব জানানো হবে। বলে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ধীরে ধীরে চালিয়ে চলে গেল। আমি বোকার মত দাড়িয়ে রইলাম। তার কথার আগামাথা কিছুই বুঝলাম না। ধীরে ধীরে সবাই চলে এল। কোলাহলে ভরে গেল আমাদের কর্মস্থল। সেদিন বস আর কিছু বলে নি। আমিও খুশি ছিলাম। অতিরিক্ত ৫০০ টাকা পেয়ে। রাতে ভাবনাকে খবর দিয়ে বললাম আজ তোকে ঘুরতে নিয়ে যাবো। ভাবনাও খুশি। সন্ধ্যার পরে ভাবনাকে রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে থাকতে বললাম। আমি সেখানে গিয়ে দেখি ও দাড়িয়ে আছে। বললাম, বেশি দেরি করে ফেললাম নাতো। আরে না। আমিও মাত্র আসলাম। একটা রিক্সা ডেকে উঠে পড়লাম। রিক্সাটা খানিক ছোটই মনে হল। এতদিন যত রিক্সায় উঠেছি এত চাপাচাপি হয় নাই। নাকি ভাবনা মুটিয়ে গেছে। যাই হোক আমার ভালই লাগল। রাস্তা খারাপ হওয়ায় একটু পর পর ঝাঁকুনিতে ওর সাথে আমার শরীর লেগে যাচ্ছিল। ও কি অস্বস্থি বোধ করছে কিনা কে জানে অন্ধকারে তো ভাল করে দেখা যাচ্ছে না। ওর একটি স্তনের সাথে আমার দেহের ঘর্ষনে আমি খানিক উত্তেজিতই হয়ে উঠেছি। ও কিছু বলছে না। আমি আমার এক হাত ওর ঘাড়ের উপর দিয়ে রাখলাম। এখন ওর শরীরের সাথে আমার শরীর লেপটে আছে। যেন কাদা দিয়ে বানানো দুটো শরীর জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ওর গালে আলতো করে এক চুমু দিলাম। ও বলল, সমস্যা কি? কিছু না। তুমিও চাইলে দিতে পারো। মনে মনে ভাবছি রাগ করে কিনা। কিন্তু না। সত্যি সত্যি ও আমার গলা ধরে ঠোটে এক দীর্ঘ চুম্বন বসিয়ে দিল। আমি একটু হতবম্ভ হয়ে গেলাম। ভাগ্যিস নির্জন রাস্তা। নির্জন রাস্তা পার হয়ে আমরা মেইন রাস্তায় চলে আসলাম। আলো নিভে যাওয়ায় হলের সামনে আমাদের রিক্সা দাড়িয়ে পড়ল। ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে হলের টিকিট সংগ্রহ করলাম। হলের মধ্যে ভাবনাকে বললাম, আমার বাসা আজ ফাঁকা। ও কিছু বলল না। শুধু হাসল। সেদিন রাতে আমরা দুইজনে হোটেলে খেয়ে-দেয়ে আমার বাসায় আসি। বাসায় ঢুকেই ওকে জাপটে ধরে বিছানায় শুয়ে পড়ি। তারপর কখন যে রাত শেষ হয়ে গেছে বলতে পারব না। ঘুম ভাঙ্গলে দেখি ভাবনা আমার বুকের উপর শুয়ে আছে নিশ্চিতে। আমি ও ডেকে তুললাম। ও কাপড়গুলো পড়তে পড়তে আমাকে বলল, তুমি ভাল একটা চাকড়ি করতে পারো না। এত বড় পাস দিয়ে কেউ মেকানিক্স হয়? আমি শুধুই হাসলাম। ও চলে গেল। আমিও ফ্রেশ হয়ে আমার কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। গতকাল এই সময়ে গিয়ে একজন কাস্টমার পেয়েছিলাম। সেই লোভে আজও ছুটলাম। আজও পৌছে দেখি কেউ নেই। কারো থাকার কথাও না। কয়েকটা পার্টস নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি। তখন আবার গাড়ির মৃদু আওয়াজ কানে এল। গতকালের সেই গাড়িটা আবার এসেছে। আমি গাড়ির সামনে যেতেই বৃদ্ধ লোকটি নামল। আমি বললাম, আবার কি সমস্যা হয়েছে? সেই একই সমস্যা। বলে হাসল। ঠিক আছে আপনি বসুন, আমি দেখছি কি করা যায়? সে বসল। কিন্তু একটু অবাক হলাম তাকে দেখে, আজ তাকে একটু অন্য রকম লাগছে। গতকালের চেয়ে বয়স কম কম মনে হচ্ছে। দূর চোখের ভুলও হতে পারে। আবার গাড়ির দিকে মনোযোগ দিলাম। আধ ঘন্টা ধরে গাড়ি ঠিক করার অভিনয় করতে হল। স্যার, ঠিক হয়ে গেছে। তুমি আবার আমাকে স্যার বলছ। আমি তো তুমি। আপনার কথা বুঝতে পারলাম না। বুঝবে সময় হলে। এখন বলুন। কয়েকটা কাজ সম্পন্ন করে তারপর বলব। কি কাজ আমাকে বলুন। করে দিব, কিন্তু রহস্য করবেন না দয়া করে। রহস্যের কি আছে তুমিই বুঝতে পারছো না। আমি কি করতে পারি। সে আবার ৫০০ টাকার একটা নোট আমাকে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেল। আমি আজও পথের দিকে বোকার মত তাকিয়ে রইলাম। আজ টাকা পেয়ে বেশী খুশি হতে পারলাম না। তার কথাগুলো আমার কানে আটকে আছে। আমিই তুমি। এর মানে কি? সে যদি আমি হই...দূর ছাই চুলায় যাক। এসব ভেবে আমার কাজ নেই। বাসায় ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হল। খাওয়া দাওয়া করে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম । উঠে দেখি ভোর হয়ে গেছদে । তাই দেরি না করে তারাতারি শার্ট টি পড়ে দৌড়াতে লাগ্লাম গ্যরেজের দদিকে এই ভেবে যদি আজ তাকে মিস করে ফেলি। এই নিয়ে কয়েকদিন হল সেই লোকটা আসছে আর আমার হাতে পাঁচশ টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছে । বিনিময়ে শুধু একটি কথাই বলে যাচ্ছে “আমি মানে তুমি”। এইটা নিয়ে টেনশন লাগছে তবু ও টাকার লোভে কিছু মাথায় আনতে পারছিনা। আজ পৌছাতে একটু দেরি হল । কিন্ত লোকটি দেখি গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে । কাছে যেতেই বলল কি হে ইয়াং ম্যন ঘুম থেকে দেরিতে উঠা ঠিক নয় জানো । লোকটার কথা শুনে ঘার বাকিয়ে তার দিকে তাকালাম , কিন্ত তাকে দেখে আশ্চর্য হলাম , আজ তাকে মনে হচ্ছে বিশ বছরের টগবগে তরুন । আমি কোন পাত্তা না দিয়ে আমার কাজ করতে লাগলাম । আর সেইম আধা ঘন্টা পর বললাম হয়ে গেছে। টাকার কথা বলার আগেই সে দেখি টাকা বের করে বসে আছে । যথারিতি সে গাড়ি নিয়ে চলে গেল । কিন্ত যাবার সময় বলে গেল “সময় হলে সব বুঝতে পারবে “ তার কথায় অবাক হচ্ছি প্রতিদিন । তবু ও ওসব ফালতু ব্যপার বলে উরিয়ে দিলাম। আজ ও ফিরতে রাত হল । বাসায় ফিরে রান্না করছি এমন সময় ভাবনা'র ফোন এল। হ্যা, জানু বল। আমি জানু না। ছোটবোন। ও তুমি, কেমন আছো? জ্বি, ভাল। আপনাকে একটা খবর দিতে ফোন দিলাম। দাও। আপুর আজ বিয়ে। আপনাকে কষ্ট পেতে নিষেধ করেছেন। আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। এই দুইদিন আগেই ওর সাথে এক বিছানায় রাত কাটালাম আজ বিয়ে। কই তখন তো কিছু বলল না। আমি আর কথা বলতে পারলাম না। সব কিছু ভুলে গেলাম। কিন্তু ভাবনাকে ভুলতে পারছি না। বেশ কিছুদিন কেটে গেছে ভাবনার বিয়ের। কিন্তু এখনও ওকে ভুলতে পারি নি। জানি চাইলেও ভুলতে পারব না। এক বন্ধু বলেছিল গাজা খেলে নাকি সব কিছু ভুলে থাকতে পারব সে চেষ্টাও করেছি কিন্তু কাজ হয় নি। জানি কোন নেশাই আমাকে ভাবনা'র ভাবনা থেকে মুক্ত করতে পারবে না। আজ সকালে আবার গ্যারেজে এলাম। সেদিনের পর থেকে প্রায় দীর্ঘ একমাস এখানে আসি নি। বস সব কিছু জানেন তাই কিছু বলেন নি। সকালে উঠার অভ্যেস হয়ে গেছে তাই সকাল সকাল আসতে পেরেছি। একটা পরিচিত গাড়ির আওয়াজ কানে এল। বুঝলাম সেই বৃদ্ধ। গাড়ির দিকে ঘুরতেই দেখি যা ভেবেছি তাই। সামনে গেলাম। দীর্ঘ এক সালাম দিলাম। কিন্তু কেউ বের হয় না। একটু পর একজন যুবক বের হয়ে আসল। তাকে দেখে আমি কি বলব ভাষা খুজে পেলাম না। দেখি আমার সামনে আমি দাড়িয়ে আছি। যেন আয়নার সামনে। আমি আমতা আমতা করে বললাম, সেই-ই-ই বৃদ্ধ লোকটি? সে বিদঘুটে হাসি হেসে বলল, আমিই সে, আমিই তুমি। আমি বিশ্বাস করি না। আপনি কোন কিছু লুকাচ্ছেন। বলেন সেটা কি? লোকটি বলল, বলবার নয় তোমাকে দেখাবো সেটা কি? আমি চুপ করে থাকলাম। জানি না সে কি দেখাতে পারবে। চোখ বন্ধ কর সব কিছু দেখতে পাবে। আমি চোখ বন্ধ করলাম। মনে হয় এক সেকেন্ড হবে চেয়ে দেখি সে নেই। গাড়ি আছে কিন্তু লোকটি নেই। আমার মাথা ঘুরতে থাকে। সবকিছু ঝাঁপছা লাগছে। লোহা-লক্কড় স্তূপকে পাহাড়ের মত মনে হচ্ছে। চেয়ারে বসে পড়লাম সবকিছু পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি। কিছুই বুঝে উঠার আগে লোকটি উধাও কেন হল? সে আমাকে দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু দেখালো না। আমারও মনে হল, হ্যা আমিই তো সে। তাকে কেন অযথা খুজছি। গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলাম। ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে বাসার দিকে চলে গেলাম। গাড়ি চালাতে চালাতে মনে হল আরে কোন দিকে যাচ্ছি আমার বাড়ি তো ধানমন্ডি। গাড়ি ঘুড়িয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। একটা ছয়-তলা বিল্ডিংয়ের গেটের ভিতর দিয়ে ঢুকে পড়লাম। গাড়িটা পার্কিং লটে পার্ক করে সিড়ি দিয়ে দুই-তলায় চলে আসলাম। এটাই আমার বাড়ি। সবগুলো ভাড়া দিয়ে আমি দুই-তলায় থাকি। কলিং বেলের সুইজ টিপতেই এক বৃদ্ধ লোক দরজা খুলে দিল। এই লোকটিকে আমি চিনি। তিনি আমার বাবা। গুড মর্নিং বাবা। বাবাও আমাকে গুড মর্নিং জানালো। তারপর বলল, নাস্তা খেয়ে নে। আমরা বেড়াতে যাবো। শুনে খুশি হলাম। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্রেশ হয়ে নাস্তা টেবিলে বসলাম। ভাবনা খাবার নিয়ে এল। ওকে বললাম, ভাবনা তুমি খেয়েছো? সেই আগের মত লাজুক কন্ঠে বলল, হ্যা। আমি খেয়ে বেডরুমে ঢুকে নতুন প্যান্ট, শার্ট পড়তে পড়তে আয়না দেখছি। কিন্তু আয়নায় একি দেখছি। আমি চল্লিশ বছর বয়সীদের মত হয়ে গেছি। মাত্র বাসায় ফিরলাম ত্রিশ বছর বয়সী হয়ে ভাবতে পারছি না। কি হচ্ছে এইসব প্রথম থেকে সব কিছু আবার মনে পড়তে থাকল। কিন্তু কিছুতেই কিছু মিলাতে পারছি না। তাহলে কি কেউ আমার অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে? এটা কি স্বপ্ন নাকি হ্যালুসিনেশন ? #সাইকো

By kolpobazz

Friday, May 10, 2019

#০৪কবিতা পরবাসি প্রেম লিখাঃএন এম শান্ত কিছু রাতে ... কেন জানি মনটা উদাস হয়ে যায় , আর সে রাতে যদি আকাশে চাঁদ থাকে তবে তো কথাই নেই , তখন নদীর পাশের ভেজা মাটিতে ভেজা ঘাসের উপর শুয়ে থাকতে ভাল লাগে , প্রকৃতির সাথে নিজে কে একাকার করে দেওয়ার মাঝে অনেক আনন্দ পাই তখন , আহ ! ভেজা মাটি আর ঘাস এর কি সুবাস । অজান্তেই কিছু স্মৃতি হাতরে বেড়ায় মন। আকাশ থেকে একটু একটু শিশির ঝরে পড়ে সাথে এক ফোটা দু ফোটা করে অশ্রু গড়িয়ে পরে চোখের কোনা বেয়ে , বুকের কোথাও চিমটি দিয়ে উঠে , ভাবি এত কষ্ট কেন , কেনই তারে মনে পড়ে ? ঠিক করেছি আর স্বপ্ন দেখবনা , স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার কষ্ট থেকে স্বপ্ন না দেখেই কিছু পাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি , হোক না সেটা ছোট কিছু হোক না সে অলিক কল্পনা তাতে কি যায় আসে ? যেখানে প্রেমের রাজ্যে আমি পরবাসি । আজ থেকে আমি স্বপ্ন ছাড়া মানুষ , এই দু চোখ আর স্বপ্ন দেখবেনা । কিন্তু মন থেকে একটা কথা কোনও দিন মুছতে পারবনা । আর তা হল - '' ভালবাসি তোমায় ,ভুলতে পারবনা '' #সাইকো

By kolpobazz

[সাইকো থ্রিলার] শোধ (শেষ পর্ব) লিখাঃএন এম শান্ত মাইশা খুন হবার প্রায় এক মাস হয়ে গেছে। খুনিটা এতদিনে একবারও ফোন করেনি। তবে ইনভেস্টিগেশন পুরোদমে চালিয়ে গেছে মুহিবুল, সাথে ছিল আকাশ । রাতে বোধহয় ঘুমাতে পারে না ছেলেটা, চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। হঠাৎই একদিন মুষড়ে পড়া আকাশ কে নিয়ে জার্মান অ্যাম্বেসীতে হাজির হল মুহিবুল। জার্মানীতে যেতে ইচ্ছুক এমন লোকদের জন্য ত্রৈমাসিক জার্মান ভাষার একটা কোর্স করায় তারা। গত দশ বছরে যারা যারা এই কোর্স করেছে প্রত্যেকের ইনফরমেশন নেয়াটাই ছিল উদ্দেশ্য। রিসিপশনে কথাটা বলতেই, অন ডিউটিতে থাকা মেয়েটা এমনভাবে তাকালো যেন মুহিবুল অ্যাম্বেসীতে বোমা ফিট করার জন্য সিকিউরড একটা জায়গা খুঁজছে। বেশ কিছুক্ষণ তদবীর করে শেষ পর্যন্ত ডাটাবেস রুমে যাবার অনুমতি পেল তারা। বেশি না, প্রায় শতক বারোর মত ফাইল ঘাটতে হবে। মুহিবুলের লজিক, ছেলেটা আগে থেকেই জার্মান ভাষা জানত। কেননা প্রতিশোধ নিতে জার্মান ভাষা শিখবে তার কোনো লজিক নেই। তারপরও সব ফোল্ডার সে চেক করবে। শুরু থেকেই শুরু করল ওরা। টানা দুই ঘন্টার ম্যারাথন গরু খোঁজা চালিয়ে অবশেষে পাঁচজনকে বের করা গেল, যাদের ফোল্ডারে থাকা ছবির সাথে খুনির চেহারা অনেকাংশে মেলে। কিন্তু আকাশ অ্যাকিউরেট কোনোটা বাছতে পারছে না। পাঁচজনের ফোল্ডার নিয়েই অফিসে ফিরে এল মুহিবুল। সীমান্তকে অর্ডার করল, “খুঁজে বের কর এদের মধ্যে কে মিসিং।” খুন করে নিশ্চই ঘরে বসে মুভি দেখবে না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য খুঁজে বের করতে হয়নি। ছেলেটা নিজেই ফোন করেছে আকাশ কে। লাউডস্পীকারে শুনছে মুহিবুল। “আকাশ , তোমার ডিটেকটিভের মাথার তারিফ করতেই হয়। জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিক। তোমার কি ধারণা? যাকে খুন করার জন্য পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষা করছি, তার প্রতিটি স্টেপ সম্পর্কে আমি খোঁজ রাখি। এমনকি তুমি যে পর্ন এডিক্টেড সেটাও আমি জানি।” আকাশ এখনও চুপচাপ শুনছে। এদিকে মুহিবুল মনে মনে ভাবছে, ছেলেটা যেই হোক না কেন, দুর্ধর্ষ চালাক। “আমি যদি তোমার কাছে ধরা না দেই, তুমি কোনোভাবেই আমার খোঁজ পাবে না। যে পাঁচজনের ফোল্ডার তোমার হাতে আছে, ভালো করে খেয়াল করে দেখ, একজনও আমি নই।” মুহিবুল হাত দিয়ে টেবিলে মৃদু বাড়ি দিয়ে নিজের চেয়ারে হেলান দিয়ে বসল। “তোমার মনে আছে? আজ থেকে বছর তিনেক আগে মাইশা এক বছরের জন্য ইটালি গিয়েছিল?” “হ্যাঁ। মনে আছে।” এতক্ষনে মুখ খুলল আকাশ । “কেন গিয়েছিল জানো?” “পড়াশুনার জন্য।” “না। ও কোথাও যায় নি। ও দেশেই ছিল। শি ওয়াজ প্রেগনেন্ট। এই ব্যাপারটা তোমার কাছ থেকে লুকানোর জন্যই সে ইটালি যাবার কথা বলেছিল।” আকাশ স্মৃতিচারণ করছে এক রাতের কথা। মাইশা এতবড় একটা ব্যাপার কিভাবে লুকিয়ে গেল? “এই একবছর ও নিজের সন্তানকে একটু একটু করে বড় করেছে, নিজের ভেতর। তারপর ওকে রেখেছে একটি অরফানেজে। প্রতিদিন গিয়ে দেখা করে আসত তোমার মেয়ের সাথে। ও হ্যাঁ। তুমি একটা মেয়ের বাবা।” আকাশ ভীষণ চমকে গেছে। ছেলেটা এ কেমন কথা শোনাচ্ছে তাকে। এ কিসের ইঙ্গিত? “তোমার মেয়ের নাম কি জানো? সারা। কথা বলবে তোমার মেয়ের সাথে?” আঁতকে উঠল মুহিবুল। কানে তালা লেগে গেছে আকাশের । ভয় এবং আশঙ্কার সংমিশ্রণের কালো একটা ছায়া ফুটেছে তার মুখে। মাথায় ঘুরছে, সব শেষ করে দেবে সে। প্রচন্ড কাঁপুনি দিয়ে কেঁদে উঠল আকাশ । “দেখতে চাও তোমার মেয়েকে? চলে এসো তোমার ফ্ল্যাটে। একাই এসো। নয়ত আমি একা এখান থেকে চলে যাব।” কেটে গেল ফোন। ঝড়ের বেগে উঠে গেল আকাশ । পিছু পিছু মুহিবুল আসতে চাইল, আকাশ হাতজোড় করে নিজের মেয়ের জীবন ভিক্ষা চাইল মুহিবুলের কাছে। প্রথমবারের মত নির্মম এক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তরুন এই গোয়েন্দা। পুরো ফ্ল্যাট অন্ধকার, ইলেক্ট্রিসিটি নেই। বুক কাঁপছে আকাশের । বারবার মাথা থেকে কুচিন্তাটা দুর করে দিতে চাইছে। ভাবছে, যত বড় ক্ষতিই করুক না কেন, একটা বাচ্চা মেয়ে কেন নির্মমতার শিকার হবে। হঠাৎ কানে একটা ঝুনঝুনির আওয়াজ পেল। যেন নতুন জীবন ফিরে পেল আকাশ । নিজের রুমে ঢুকতেই দমকা হাওয়ায় খুশির মোমবাতি নিভে গেল যখন দেখল ঝুনঝুনিটি ছেলেটার হাতে। ভরা জোছনা বারান্দার কাঁচ ভেদ করে ঘরে ঢুকছে। “আমার মেয়ে কোথায়?” জানতে চাইল আকাশ । “হুশশশ”, মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করতে বলল ছেলেটা। এক কোণের দোলনাটা দেখিয়ে বলল, “সারা ঘুমুচ্ছে।” টালমাটাল আকাশ দোলনার কাছে গিয়ে ছোট্ট পরীটাকে একনজর দেখল। চোখ ভেঙে অশ্রু বেয়ে পড়ছে দুগাল বেয়ে। কিচ্ছু করার নেই। “বসো আকাশ । কিছু কথা বলি।” ছেলেটার কথায় বিছানায় বসে দোলনার দিকে তাকিয়ে থাকল আকাশ । “তোমাকে একটা গল্প বলি। আজ থেকে ছয় বছর আগের ঘটনা। একটা মেয়েকে খুব ভালোবাসতো একজন। তার নাম জান্নাত । পরিবারের ছোট মেয়ে ছিল সে। আমার একমাত্র স্বপ্ন ছিল জান্নাত । তখন আমি মাত্র কলেজ শেষ করেছি, ও পড়ত ক্লাস টেনে। দিনটি ছিল ১৭ই ফেব্রুয়ারী ২০০৯, যেদিন তুমি নিজ হাতে গলা টিপে মেরে ফেলেছিলে আমার স্বপ্নকে। কিছু মনে পড়ছে তোমার?” আকাশ এখনও দোলনার দিকে তাকিয়ে আছে। অপলক। কিচ্ছু মনে নেই ওর। শুধু ১৭২ সংখ্যাটার অর্থ বুঝতে পারল। “তুমি সেদিন ছিলে বদ্ধ মাতাল। পর্নোগ্রাফি আর মদ ছাড়া তোমার জীবনে আনন্দ বলতে কিছু ছিলনা তখন। আমার জান্নাত কে রেপ করলে তুমি, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে। মনে পড়ছে?” মাথা নিচু করে শুনছে আকাশ । হঠাৎই সব মনে পড়ে গেছে তার। সম্মোহন অবস্থাটা নিমিষেই কেটে গেল। স্পষ্ট চোখের সামনে ভাসছে সেই দিনের কথা। “জান্নাত ” শব্দটাই ট্রাম্প করে তোমাকে হিপনোটাইজড করেছিলেন ডঃ ফখরুল আলম,তোমার বাবা। “জান্নাত র আর্তনাদ, সেই করুণ আকুতি মাখা চিৎকার আমি শুনতে পারছিলাম একশ কিলোমিটার দুর থেকে। এটাকে কি বলে জানো? মনের টান। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলে তুমি। সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছোট্ট মেয়েটা।” স্তব্ধ হয়ে শুনছে আকাশ । কথা বলার মত অবশিষ্ট শক্তি নেই তার। “সেই রাতেই ঘটনা জানতে পারেন তোমার বাবা। সম্মানী একজন ব্যক্তির ছেলে এতটা নিচে নামতে পারে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল তার। তোমার স্মৃতি মুছে দিতে নিজেও ব্যবহার করেন অতি নিম্নমানের কৌশল। এমনভাবে হিপনোটাইজড করে ফেলেন তোমাকে, যেন সেটাকে অ্যামনেসিয়া বলে চালিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু তিনি পারেননি। ভোর হবার আগেই ঝামেলা শেষ করতে চাইছিলেন তোমার বাবা। কিন্তু জান্নাত তো অজ্ঞান। তাকে কিভাবে হিপনোটাইজড করবেন? জ্ঞান ফিরলেও তো শান্ত করা যাবে না তাকে। মনে পড়ে তোমার বাবা কি করেছিলেন সেই রাতে? তিনি এখন কোথায় জানো? বেঁচে আছেন কিনা জানিনা, গতবছর যখন শেষ তার সাথে দেখা হয়েছিল, উনি জার্মানিতে ছিলেন। হাত দুটো ার জিহবা কেটে নিয়ে এসেছিলাম।” আকাশ নিরুত্তর। যেন কোনও কথাই কান দিয়ে ঢুকছে না। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আওড়াতে থাকে, “মেরে ফেল আমাকে, আমার মেয়েটাকে বাঁচতে দাও।” চিৎকার করে ওঠে ছেলেটা। “তুমি আমার সবচেয়ে কাছের মানুষটাকে মেরে ফেলেছিলে। দাফন, জানাজা ছাড়া জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছিল জান্নাত কে। তারপরও কিভাবে বলছ তোমার মেয়েকে ছেড়ে দেব?” তবে হ্য তোমার পরিবারের অন্য সবাইকে যে শাস্তি দিয়েছি তোমাকে তা দেব না । জান্নাত মারা যাবার তিন মাস পর একি রাতে তোমার পরিবারের সবাইকে মেরেছিলাম । শুধু তোমাকে ার তোমার বাবাকে তখন পাইনি । তোমার বোনের কথা মনে আছে । সেবার সে গর্ভবতী ছিল । জননাঙ্গ দিয়ে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম । পেট চিরে দেখলাম , জরায়ু ছিড়ে একটা বাচ্চার মাথা বের হয়ে এসেছে । তাদের সব মাংস গুলি একটা হোটেলে চালান করে দিয়েছিলাম। হোটেল ম্যনেজার পড়ে বলেছিল ফোন করে... মহিলার চেয়ে বাচ্চাটাকেই নাকি সবার সুস্বাদু মনে হয়েছিল বেশি। কাঁদছে আকাশ । একটু পরেই সব শেষ হয়ে যাবে তার। সব। দোলনা থেকে সারাকে কোলে তুলে নিল ছেলেটা। এখন সে চলে যাবে। “আমি আমার সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেছি। তোমাকে আমি মারব না। সারাটা জীবনে অনুতাপের আগুনে পুড়বে তুমি। তোমাকে আত্মহত্যাও করতে দেবনা আমি। আর তোমার মেয়েকে আমি বড় করব। তোমার থেকে অনেক দুরে নিয়ে যাব ওকে। বাজারি বানাবো মেয়েটাকে। প্রতিদিন রেপড হবে এই মেয়েটা। তোমার চোখের সামনে ওকে বেচব আমি। এটাই তোমার শাস্তি। জান্নাত যদি তোমারই পরিবারে জন্মে এতটা জঘন্য পরিনতির শিকার হয়, তোমার শাস্তি তো এর তুলনায় নগন্য। ভালো থেকো আকাশ ।” কঠিন এক শাস্তির মুখোমুখি আকাশ । আজ থেকে শুরু হল দিনগণনা। প্রতিটি সেকেন্ডকে মনে হবে একেকটি আলোকবর্ষ। দুঃসহ এক জীবনের নবসূচনা শুরু হল আজ। #সাইকো

By kolpobazz

Thursday, May 9, 2019

#০৩কবিতা তবুও ভাল থাকুক সে লিখাঃ এন এম শান্ত একটা সময় ছিলো যখন একটা নির্দিষ্ট ফোন নাম্বার সবসময়ই কল লিস্টের প্রথমে থেকে দ্বিতীয়তে যেত না । নাম্বারটা খুজতে কন্টাক্ট লিস্টে বা ফোন বুকে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো না। . সেই একই নাম্বার একটা সময় চলে যায় মনে না থাকার লিস্টে। নাম্বার টা কন্টাক্ট বা ফোন বুকে ঘুমিয়ে থাকে এভাবে একটা সময় আর ডায়াল, রিসিভ বা মিস কল লিস্টেও নাম্বারটা থাকে না। . তবে হঠাৎ হঠাৎ নাম্বারটাতে কল দিতে ইচ্ছে করে। খুঁজে বের করে কল দিবো-কি দিবো না, এই নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে কিছুক্ষণ সময় পার করে "না থাক " এটা বলে আর কল দেওয়া হয়ে ওঠে না। তারপর একটা সময় আসে যখন হঠাৎ আর কল দিতেও ইচ্ছে করেনা। . স্মৃতি তে ধুলো জমে,,, ঝাপসা হয়ে যায় সব অতীত। তারও অনেক পরে একটা সময় আসে যখন দেখা যায় সেই নাম্বারটাই খুঁজে পাওয়া যায় না, যে নাম্বারটা এত ভালো করে মুখস্ত ছিলো, সেই নাম্বারটার শেষের বা মাঝের এক-দুইটা সংখ্যা মনেই পড়ছেনা ! . কোন এক সন্ধ্যায় হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যায়, বুকের মধ্যে হঠাৎ মোচড় দিয়ে উঠে, একটা হাহাকার জেগে উঠে । হয়তোবা সেদিন একটু একটু বৃষ্টি পড়ে, নাম্বারটা যে মানুষটার তার ছবি মনে ভেসে উঠে। আচ্ছা,, মানুষটা এখন কোথায় আছে, কেমন আছে.? হাত বাড়ালেই যাকে ছোঁয়া যেত,, চোখ মেললেই যাকে দেখা যেত, সে এখন যোজন যোজন দূরে। . জীবনের ঘাত--প্রতিঘাতে বাস্তবতাকে আমি অস্বীকার করতে পারিনা। তবুও শত অভিমান বুকে চেপে আমি বেঁচে থাকি। হয়ত এভাবেই একদিন সব শেষ করে হারিয়ে যাব বিষন্ন মেঘমালার ভীড়ে অভিযোগ নেই কোন তাহার তরে ... শুধু আরশের অধিপতির কাছে একটাই আর্জি ভালো থাকুক হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষ টি । ভাল থাকুক অন্য কারো ঘরে। #সাইকো

By kolpobazz

[সাইকো থ্রিলার] শোধ (পর্বঃ০২) লিখাঃএন এম শান্ত পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যথারীতি ব্রেকফাস্ট আনতে দরজা খুলল আকাশ । ওপাশে কেউ হয়ত দাঁড়িয়ে ছিল, সজোরে বুকে একটা লাথি মেরে ছিটকে কয়েক মিটার দুরে ফেলল আকাশ কে। প্রচন্ড ব্যাথায় কুকড়ে গেছে সে। ধুসর রঙের জ্যাকেট পরা ছেলেটা ভেতরে ঢুকল ব্রেকফাস্ট আর পেপার হাতে নিয়ে। কাছে এসে কষিয়ে আরেকটা লাথি মারল আকাশের মাথার পেছনে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলল সে। কতক্ষণ কেটে গেছে কোনো হুশ নেই। কোনোরকম চোখ খুলে দেখল ছেলেটা কফির কাপে দুধ মেশাচ্ছে। একটা চেয়ারের সাথে হাত পা বেঁধে রেখেছে আকাশের । গোঙানির আওয়াজ শুনতেই আকাশের দিকে তাকালো ছেলেটা। “ও তুমি জেগে গেছ? ধ্যাৎ! আজকাল কি যে হয়েছে, পায়ে একদম জোর পাই না। বছরখানেক আগে ওরকম একটা লাথিতে মানুষ মারা যেত”, চামুচ দিয়ে নাড়তে নাড়তে কথাগুলো বলছে ছেলেটা। “কে তুমি?” আকাশের প্রশ্ন। “আমি? আমি কে তা এখনই বলতে চাচ্ছি না। ” শীতল কণ্ঠে ছেলেটা জবাব দিল। “কি চাও?” “তেমন কিছু না। আপাতত কফিটা শেষ করতে চাই। স্পেসিফিকালি, তোমাকে খুন করতে চাই।” চমকে উঠল আকাশ । “মানে?” খানিক চুপ করে বিকট শব্দে হেসে উঠল ছেলেটা। রসিকতার সুরে বলল, “কেন খুন করতে চাই তা সময় হলেই জানতে পারবে।” আকাশ আর কিছু বলল না। ও স্পষ্ট বুঝে গেছে, গতকাল এই ছেলেটাই ঐ তিনজনকে খুন করেছিল। তাকেও করবে। কিন্তু কেন? কি করেছে ও? “বুঝলে আকাশ , তোমাকে চাইলে এখনই মেরে ফেলতে পারি। কিন্তু তাতে কোনো মজা নেই। আমি তোমাকে বাঁচিয়ে রাখব। তোমাকে বোঝাবো, জীবন কতটা কঠিন। তারপর তোমাকে শেষ করে দেব। তুমি চাইলে পালাতে পার। লাভ নেই। তোমাকে ঠিক আমার কাছে ফিরে আসতে হবে।” কোনো কথা বলছে না আকাশ । এখনও ব্যাথার ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। “যাই হোক। তোমাকে আজকে জাস্ট আমার পরিচয়টা দিয়ে গেলাম যেন ভবিষ্যতের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে থাকতে পার। তোমার হাতে সময় বেশি নেই।” পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে টেবিলে রাখল ছেলেটা। “এই কাগজটা আসা করি তোমার একটু কাজে আসতে পারে। তোমার পায়ের কাছে একটা ছুড়ি রাখা আছে। ওটা দিয়ে নিজেকে মুক্ত কর। এই বলে চলে গেল ছেলেটা। সাথে করে কফির কাপটাও নিয়ে গেল। বিছানায় শুয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মনে করছে আকাশ । কাগজটায় ঠিক কি লেখা তা বুঝতে পারছে না। ভাবছে গোয়েন্দা বিভাগের অফিসে একবার যেতে হবে। মুহিবুল হাসানকে সবকিছু জানানো উচিত। নয়ত দেরি হয়ে যেতে পারে। দুপুরের দিকে মুহিবুল হাসানের অফিসে হাজির হল আকাশ । পুরো ঘটনা বর্ণনা করল। গোয়েন্দাকে কেমন চিন্তিত দেখাচ্ছে। “আচ্ছা, আপনি কি এমন করেছেন যার জন্য লোকটা আপনাকে খুন করতে চায়?” আকাশ চুপ করে আছে। কিছু একটা বলতে চাইছে, কিন্তু কিভাবে শুরু করবে তা বুঝতে পারছে না। “আপনাকে আমার একটা বিষয় জানানোর আছে।” মুহিবুল শুরু করতে বলল। “আমি আমার অতীত সম্পর্কে কিছু জানি না। আমি কে, কি আমার পরিচয়, আমার বাবা মা কে, কোথায় আমার জন্ম, এরকম আরো অনেক প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুরপাক খায়। অথচ কোনো উত্তর নেই। ২২শে ফেব্রুয়ারী ২০০৯ এর আগে আমার জীবনে কি ঘটেছে তার কিছুই আমার মনে নেই। আমি একজন স্মৃতিভ্রষ্ট মানুষ।” আকাশ খানিক থামল। কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে আছে মুহিবুল। কিছুই বুঝতে পারেনি সে। “ব্যাপারটা ঠিক একটা রিসাইকেল্ড কম্পিউটারের মত, যার হার্ডডিস্ক সম্পুর্ন ফর্ম্যাটেড। আমি আমার কাজ সম্পর্কে অবহিত, কিন্তু আমার মেমরি সম্পুর্ন শুণ্য। আমার জীবন থেকে চব্বিশটি বছর স্রেফ বাতাসে মিলিয়ে গেছে। আমি হয়ত এমন কিছু করেছি যার প্রতিশোধ নিচ্ছে ছেলেটা। কিন্তু. . . ” আর বলতে পারল না আকাশ । যেন স্পীচ জ্যামার দিয়ে ওকে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। মুহিবুলকে এবার বেশ বিভ্রান্ত দেখাচ্ছে। টেবিলের নিচে রাখা ভদকার বোতলটার দিকে চোখ পড়ছে বারবার। এই মুহুর্তে এক ঢোক বেশ প্রয়োজন। “আপনি ডাক্তার দেখিয়েছেন? অ্যামনেশিয়া হতে পারে।” “না। এই পাঁচ বছর ডাক্তার আর পুলিশ, এই দুটো জিনিস থেকে দুরে ছিলাম। তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।” ভ্রু কুচকে কি যেন ভাবল মুহিবুল, “ঠিক আছে। আপনি এখন বাসায় যান। আমাকে একটু সময় দিন। কাল সকালে আমি আপনার ফ্ল্যাটে যাব।” আকাশ কোনো কথা বলল না। যেতে যেতে আবার ফিরে আসল। পকেট থেকে কাগজটা বের করে মুহিবুলের দিকে বাড়িয়ে দিল। “যাবার আগে ছেলেটা এই কাগজটা রেখে গেছে। কিন্তু এতে কি লেখা তা বুঝতে পারছি না। আপনি একটু চেষ্টা করে দেখুন।” মুহিবুল কাগজটা হাতে নিয়ে দেখল কিসব আকিবুকি করা। কোনো কোড হতে পারে। কাগজটা দিয়েই চলে গেল আকাশ । মুহিবুলের এখন দুটো কাজ। একজন হিউম্যান সাইকোলজি স্পেশালিস্টের সাথে দেখা করতে হবে আর এই কাগজের লেখার মর্মার্থ বের করতে হবে। “ক্রিটিকাল কেস!” রকিং চেয়ারে বসে পুরো ঘটনা শোনার পর দেশের সেরা একজন মনোবিজ্ঞানী ডঃ আব্দুল্লাহ মাহদী ছোট্ট করে উত্তর দিলেন। “খুবই স্ট্রং হিপনোটাইজিং করে এরকমটা ঘটানো সম্ভব।” টেবিলের অপর প্রান্তে বসে আছে মুহিবুল হাসান। “এধরনের হিপনোটাইজিং দ্বারা একজন মানুষকে খুনি বানানো যায়। এমনকি আপনার দেহ থেকে যদি আপনার একটি পা বিচ্ছিন্ন করা হয় তাতেও আপনি কোনো ব্যাথা পাবেন না। ব্রেইনকে পুরো বাইপাস করে দেয়া হয় অন্য কারো ইশারার সাথে। একটা ট্রাম্প কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়, যেটা শুনলে হিপনোটাইজিড অবস্থা পুরো কেটে যাবে। বাইরের দেশে অপারেশনের সময় সাইড এফেক্ট এড়ানোর জন্য পেইন কিলারের পরিবর্তে এরকম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।” “আপনি করতে পারবেন? ” ঝট করে প্রশ্ন ছুড়ল মুহিবুল। ডঃ আব্দুল্লাহকে খানিকটা অপ্রস্তুত দেখাল। “আমি আসলে ইচ্ছে করেই অ্যাডভান্স হিপনোটিজমে আগ্রহ দেখাইনি। একজন মানুষকে সহজেই সম্মোহিত করা যায়, তবে এতটা হাই লেভেলের কাজ আমি করতে পারব না। তবে আমার স্যার এই ট্রিক্সটা জানতেন।” “কিছু মনে করবেন না,” ইতস্তত করে বলল মুহিবুল, “আপনাদের কোন শিক্ষক নি নিখোঁজ হয়েছেন, মানে অনেকদিন ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এমন কেউ আছেন?” চশমার ফাঁক দিয়ে মুহিবুলের দিকে তাকিয়ে উদ্দেশ্যটা বোঝার চেষ্টা করলেন ডঃ আব্দুল্লাহ। নেহাত পুলিশী ঝামেলা না হলে বলতেন না এমন ভাব করে উত্তর দিলেন, “জী আছেন। উনার নাম ডঃ ফখরুল আলম। প্রায় পাঁচবছর যাবৎ উনি স্বপরিবারে নিখোঁজ। মাফ করবেন, এর বেশি আমি আর কিছু জানাতে পারব না আপনাকে।” মুহিবুল বিদায় নিয়ে গাড়িতে এসে বসল। আকাশের বিষয়টা এখন পানির মত স্বচ্ছ। কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর জানাটা এখনও বাকি। কেন এরকমটা একটা ঘটনা ঘটালেন তিনি? কেন? এর সাথে ঐ সিরিয়াল কিলারের সম্পর্কটা কি? পাঁচ বছর আগে আকাশ , তার বাবা এবং কিলার এই তিনজনের মধ্যে ঠিক কি ঘটেছিল? মনে মনে ভাবছে মুহিবুল, আরেকটা প্যাঁচ খুলতে পারলেই জোড়া লাগাতে পারবে প্রত্যেকটা ছেঁড়া সুতো। পকেট থেকে চ্যাপ্টা ড্রিংক পট বের করে একদফা সাবাড় করল মুহিবুল। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটা ফোন আসল মুহিবুলের নামে। ডিসপ্লেতে তাকিয়ে দেখল অ্যাসিসট্যান্টের নাম্বার। রিসিভ করল কলটা, “হুম বল।” “স্যার, ঐ কাগজটায় জার্মান ভাষায় একটা অ্যাম্বিগ্রাম করা ছিল। কিন্তু লেখাটার ঠিক মাঝবরাবর ফ্লুইড দিয়ে ফটোকপি করা হয়েছিল যেটা সাসপেক্ট দিয়ে গিয়েছিল আকাশের হাতে। শালা একটা জিনিয়াস।” উত্তেজিতভাবে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলল সীমান্ত। শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন মুহিবুল, “কি লেখা ছিল তাতে?” “কাগজটায় লেখা ছিল ‘ক্যান্টনমেন্ট’।” “ঠিক আছে।” ফোনটা কেটে দিয়ে আকাশের নাম্বারে ডায়াল করল মুহিবুল। “ক্যান্টনমেন্ট” নামটা শুনতেই বুকের ভেতরটা ছ্যাঁত করে উঠল আকাশের । চোখদুটো ঝাপসা হয়ে আসছে। মুখ দিয়ে একটা নামই উচ্চারণ করতে পারল আকাশ । “মাইশা।” মাইশা। দুর্বিষহ এই পাঁচ বছরের জীবনে আকাশের একমাত্র সঙ্গী ছিল মাইশা। গত তিনমাস কোনো যোগাযোগ নেই মেয়েটার সাথে। অনেকটা অভিমান করেই আকাশের সাথে কথা বন্ধ করে দিয়েছিল সে। আকাশ ট্যাক্সিতে বসে নিজেকে হাজারবার দোষ দিচ্ছে, তারই জন্য নিষ্পাপ মেয়েটা আজ মারা পড়বে। নাকি ইতোমধ্যে মরেই গেছে? মাইশার নম্বর বন্ধ। যত দ্রুত সম্ভব ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছাতে হবে তাকে। ও জানে, মাইশাকে বাঁচাতে পারবে না। তারপরও শেষ আশা বলেও তো কিছু থাকে। মহাখালি ক্রস করার সময় আকাশের ফোনটা বেজে উঠল। “দেরি করে ফেলেছ আকাশ । এসে শেষবারের দেখে যেতে পার তোমার প্রেয়সীকে। আমি বলেছিলাম না, সব শেষ করে দেব।” নির্বাক আকাশ কোনো জবাব দিতে পারল না। কলটা কেটে যেতেও ফোন কানে চেপে বসে থাকল। খুনিটা মত পাল্টাতেও তো পারে। পুরো ফ্ল্যাট বেশ পরিপাটি করে সাজানোই আছে। শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা মাইশার দেহটা পড়ে আছে মাটিতে। চোখ দুটো যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসবে। হাতে ছুড়ির আঁচড়ে ১৭২ লেখাটার চারপাশ লাল দাগ। বাচ্চাদের মত দুহাতে মুখ চেপে কাঁদছে আকাশ । পাশে দাঁড়িয়ে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে আছে মুহিবুল। ক্ষমতার অভাব নেই তার, কিন্তু কাজে লাগাতে পারছে না। যেন ব্যস্ত শহরে মরীচিকার সন্ধান।

By kolpobazz

Tuesday, May 7, 2019

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৩৭ স্কেলেটন (শেষ পর্ব) লিখাঃএন এম শান্ত লাল আলোতে চারিদিক ঢাকা একটা ঘরে হুশ ফিরে আসে রাফিদের। মাথা যন্ত্রণায় তাকানো মুস্কিল। উঠতে গিয়ে সে বুঝল তার হাত-পা চেয়ারের সাথে শক্ত করে বাধা। নড়ার কোন উপায় পেলনা সে। কাছে কোন ধারাল জিনিষও পেলনা সে। এদিকে ওদিকে তাকাতেই দেখে একটা স্টীলের বড় পাত্র, অনায়াসে তাতে একটা মানুষ ধরে যাবে ওতে। উপরে সিলিং এর সাথে বাধা নোরার লাশ। অবাকভাবে তাকিয়ে আছে শরীরসর্বস্ব বস্তুটা।কোনার দরজা দিয়ে ধাতব কিছুর যেন টেনে আনার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করল রাফিদ কিন্তু সে অপারগ। কিভাবে কি হল হিসাব মেলাতে পারেনা সে। ঘরের চারিদিকে এবার ৬০ ওয়াটের বাল্ব জ্বলে উঠল। আলোতে স্পষ্ট হল আকাশের চেহারা। বিষ্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে রাফিদ। “আকাশ! কি এসব! ঐ পাত্রে কি? আমার এ অবস্থা কেন? তুই এভাবে কি করতেছিস? কিছুই মাথায় আসছেনা” চেচিয়ে বলে রাফিদ। “আস্তে,আস্তে, একটা করে প্রশ্ন কর। নাহলে গুলিয়ে যাবে” বিয়ার শুড বি সার্ভড চিল্ড। সেই চিল্ডের থেকেও বেশি ঠান্ডা আকাশের গলা। “আমি এখন কোথায় এবং কেন?” জিজ্ঞাসা করে রাফিদ। “তুই নিজের ইচ্ছাতেই এখানে। প্রাইভেট ডেটিং এ এসেছিলি। বলতে ভুলে গেছিলাম, আমার বাড়িতে আন্ডারগ্রাউন্ড আছে, তুই সেখানে। উত্তর পরেরটা আগে দিলাম, কিছু মনে করিসনা” নির্লিপ্তভাবে বলে আকাশ “ঐ পাত্রে কি?” ভয়ার্ত কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে রাফিদ। “স্লাকেড লাইম। ক্যালসিয়াম অক্সাইডের সাথে পানি যোগ করলে উৎপন্ন হয়। বাংলাভাষায় চুনের পানিও বলতে পারিস” চেয়ার টানতে টানতে উত্তর দেয় আকাশ। “কি হবে ওটা দিয়ে? আর নোরার লাশ ওরকম ঝুলানো অবস্থায় কেন?” ভয়ের মাত্রা কয়েক ডিগ্রী বাড়িয়ে কাপতে কাপতে প্রশ্ন করে রাফিদ। “ওতে মানুষের দেহ দিলে মাংশ,চামড়া খুলে শুধুই হাড় অর্থাৎ কঙ্কাল থাকে” সোজাসুজি বলে আকাশ। “মানে তুই…………!” “হ্যা আমি এভাবেই কঙ্কাল পাই” রাফিদকে কথা শেষ করতে না দিয়ে বলে আকাশ। “ঠিক আছে, বুঝলাম। কিন্তু আমাকে বেধে রেখেছিস কেন? আমি কি করলাম ভাই?” একরাশ জিজ্ঞাসুদৃষ্টি ছুড়ে তাকিয়ে থাকে রাফিদ। “একটা মেয়েকে খুন করে জিজ্ঞাসা করছিস কি করেছিস?” বলতে বলতে উঠে যায় আকাশ আর দড়ি বেয়ে স্লাকেড লাইম দ্রবণে ডুবিয়ে দেয় নোরার লাশটা। ধোয়া উঠা দ্রবণে নেমে যাওয়ার পর সেটা কেমন হয় তা জানেনা রাফিদ। ঘটনা দেখে রাফিদ চুপ করে থাকে কিছুক্ষণ। “তুই তো বলেছিলি কোন খারাপ কাজ করে স্কেলেটন আনিস না তুই” ভয় কাটিয়ে জিজ্ঞাসা করে রাফিদ। “ঠিকই তো। খারাপ কিছুই করিনি আর করছিনা আমি। আর কোন ব্যাখ্যা পেতে চাইনা তোর থেকে এ ব্যাপারে” ঠান্ডা গলাটা এবার প্রথমই ঝাঝের সাথে শব্দ বের করল। “জানিস ঐ পাত্রে কি আছে?” জিজ্ঞাসা করে আকাশ। “স্লা………” বলে রাফিদ। “ট্যালেন্টেড! ইয়াপ,সেইম সল্যুশন বাডি! স্লাকেড লাইম” হেসে বলে আকাশ। “মানে?” ভয়ার্ত কন্ঠে বলে ওঠে রাফিদ। “মানে তোর পরিণতির ট্রায়াল হল নোরার পরিণতি” হিংস্র বাঘের মত বলে ওঠে আকাশ। সামনে নিজের মৃত্যুকে দেখতে পায় রাফিদ। কান্নাজড়িত কন্ঠটা একবার শুধু বলে ওঠে,“কেন এরকম করছিস?” “ভাল প্রশ্ন! তাহলে শোন, আমার পরিবার সম্পর্কে কিছু জানিস?” বলে আকাশ! “না তো। জিজ্ঞাসা করলেই এড়িয়ে গেছিস তুই” রাফিদ বলে। “হুম। আমার বাবা-মা মারা গেছেন ছোটবেলাতেই। আমি পিকচারাইজ করতে পারিনা এতটাই ছোট ছিলাম। টাকা-পয়সার অভাব কখনোই ছিলনা। ছিল আপন মানুষের অভাব। আমার স্কুল জীবনের একটা বন্ধু ছিল ফারদিন। ওরা গ্রাম থেকে এসেছিল। ওর বাবা ছিল সরকারী চাকুরে। ওর মা অনেক ভাল ছিলেন। আমাকে নিজের ছেলের মত দেখতেন। মাতৃস্নেহের কিছুটা পূরণ করে দিতেন তিনি। এতেই আমি খুশি ছিলাম। ওর একটা বোন ছিল, নিজের বোনের মতই দেখতাম তাকে। আমার বোন ছিলনা কিনা! তাই। শহরে এসেই সে শহুরে সংস্কৃতি ভালবেসে ফেলে। আপডেটেড সোসাইটিতে মিশত সে। আমাদেরই এক ফ্রেন্ড সৌমিকের প্রেমে পড়ে সে। আমি জানতাম। কিন্তু ফারদিনকে জানায়নি। এরকম এক নিউ ইয়ার পার্টিতেই সৌমিক তাকে খুন করে ফেলে, নিজে পালিয়ে যায়। যেরকমটা তুই করেছিস নোরার সাথে। মেয়েটার লাশ দেখে তার বাবা হার্ট ফেইল করে। ফারদিন যখন জানতে পারে এটা সৌমিকের কাজ তখন সে বাসা থেকে বের হয় প্রতিশোধ নিতে কিন্তু রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে মারা যায়। আন্টি পাগলের মত হয়ে যায়। সেদিন সিদ্ধান্ত নিই, আমার সামনে থেকে যে আমার এই পরিবারকে কেড়ে নিল তাকে ছাড়ব না। প্রতিশোধ নিলামও। কিভাবে জানিস?” একটানা বলে গেল আকাশ। “কিভাবে?” প্রশ্ন করে আকাশ। “যেভাবে তুই এখানে অপেক্ষা করছিস মারা যাওয়ার জন্য, যেভাবে তুই মারা যাবি, সেভাবে। সৌমিক ছিল ফার্স্ট টার্গেট। তারপর থেকে এভাবেই প্রত্যেক বছর চলে আসছে এরকম মৃত্যুর খেলা। কিছুদিন তোর মত কুলাঙ্গার খুজি, নজরে রাখি, বন্ধু হই, টাকা উড়াই, তারপর………… বুঝতেই পারছিস” জবাব দেয় আকাশ। “কিন্তু যে মেয়েরা মারা যায়না? মানে স্বেচ্ছায় যারা……… তাদের ক্ষেত্রে কি হয়” আবার প্রশ্ন করে রাফিদ। “আসলেই তুই অনেক ট্যালেন্ডেড দোস্ত! তাদের আমি মারি। আমি চাইনা তাদের কুকর্মের জন্য একটা পরিবার ধ্বংস হোক। তাদের কথা জেনে আরও বাবা-মা কষ্ট পাক। আর এভাবে মারার পর লাশ সেটেলমেন্ট করা একটা ঝামেলা। তাই স্লাকেড লাইমই ভরসা। কাজও হয়, টাকাও হয়” ঠান্ডাভাবে বলে আকাশ। “পুলিশ খুজলে?” আশা খুজে পাওয়ার ভঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করল রাফিদ। “ও কাম অন ম্যান! কত খাবে? এসব আজাইরা পয়েন্ট সামনে আনবিনা প্লিজ” উত্তেজিত হয়ে জবাব দেয় আকাশ। “দোস্ত আমাকে মাফ……” বলার আগেই গলার জুগুলার শিরায় আবার একটা লোকাল এনেস্থেসিয়া পুশ করে আকাশ। তারপর দেহের দড়িগুলো কেটে ফেলে চেয়ার থেকে। মাটিতে শুইয়ে এবার পা আর হাতের সাথে দড়ি বাধে সে। অপেক্ষা করে ৩০ মিনিট হওয়ার। ২৮ মিনিট পর কপিকল ইউজ করে স্লাকেড লাইমে আরো পানি আর চুন মিশায় সে। রাফিদের জ্ঞান ফিরে আসছে। তাই এবার আকাশ তার সেই প্রিয় নীল বস্তুটা প্রয়োগ করে রাফিদের বাম শিরায়। দেখতে দেখেতে রাফিদের পুরো শরীর নীল হয়ে যায় । কথা বলতে পারছে না রাফিদ ।তারপর ও চেষ্টা করে যাচ্ছে। নাহ আর সময় দেয়া যায় না' মনে মনে ভাব্ল আকাশ। এবার কপিকল ব্যবহার করে উলটা করে ঝুলায় তাকে আকাশ। রাফিদ কথা বলার চেস্টা করেই যাচ্ছে কিন্তু আকাশের কানে তা ঢুকছে না। সে এখন উন্মাদ, সে এখন মত্ত, প্রতিশোধের নেশায় মত্ত। আস্তে আস্তে নামিয়ে দেয় সে দড়িটা। রাফিদের বিষ্ফোরিত চোখের দিকে শেষবারের মত তাকিয়ে পুরো দেহটাকে নামিয়ে দেয় চুনগোলা পানিতে। চিৎকারও যে কতটা শান্তি এনে দিতে পারে তা আকাশের চেহারা দেখলে বোঝা অসম্ভব। তীব্র তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় তৈরী হয়ে যায় নতুন দুইটা স্কেলেটন। একবছর পর আবার আকাশকে দেখা যাচ্ছে একটা ছেলের সাথে, অবশ্যই সেটা রাফিদ নয় , এটা তার নতুন বন্ধু।নতুন লিস্ট । “স্কেলেটনটা ভাল দামেই গেল তাই না?” প্রশ্ন করে বাধন, আকাশের নতুন বন্ধু। নির্লিপ্তভঙ্গিতে মাথা নেড়ে হ্যা সূচক উত্তর দেয় আকাশ। “চল, মলে যাব। আমার তো খরচের যায়গা নাই। তাই নিউ ইয়ার উপলক্ষে তোর জন্য ড্রেস আর তোর প্রেমিকার জন্য গিফট কিনব” ঠান্ডা গলায় বলে আকাশ। “চল” বলে দাঁড়ায় বাধন। দুই বন্ধু হাটা শুরু করে। পেছনের যায়গাটা, যেখানে তারা বসে একটু আগে একটা স্কেলেটন বিক্রি করেছে, সেটা জন্ম দেয় একটা নতুন কাহিনীর, নতুন সত্যের বা দাড়ি টানে এক পুরোনো ইতিহাসের……………………………। #সাইকো

By kolpobazz

আমি চাই, নামাজ পড়ে আসার পর কপালের ঘাম মুছে দেবার জন্যও কেউ কেউ অপেক্ষায় থাকুক, কারো রোজকার মুনাজাতে আমায় ভেবে একটুখানি দুয়া করুক। #সাইকো

By kolpobazz

Friday, May 3, 2019

গভীর রাতে সারা শহর যখন ঘুমে আত্তমগ্ন তখন এর মাঝেও জেগে থাকে কিছু মানুষ। নিস্তব্ধ নির্জন অন্ধকার ঘরে বিছানাই শুয়ে শুধু এপাশ ওপাশ করে। এরা ঘুমকে চোখে লালন করে বশ করে দিনের পরে দিন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলে নিজের সাথে। জীবন যুদ্ধে পরাজিত এসব সৈনিকের হৃদয়ের রক্তক্ষরণে চলে বোবা কান্না। অথচ ঝিঁঝিঁ পোকাদের আওয়াজে প্রায় নিশ্চুপ রকমের এই কান্নাগুলো শোনা যায় না। রাতের পর রাত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নির্ঘুম চোখে এপাশ ওপাশ করতে থাকা মানুষগুলোর বাকি গল্পটুকু কেউ জানে না! জানতেও পারেনা। তবে তপ্ত অশ্রুজলে সিক্ত হয়ে নরম বালিশটা সব টের পেয়ে যায় মাঝে মাঝে। তাতে অবশ্য ক্ষতি নেই। সকাল হওয়ার আগেই শুকিয়ে যায় অশ্রু। শুধু ক্ষতটাই শুকায় না, জেগে থাকে রাতের পর রাত!

By kolpobazz

Thursday, May 2, 2019

আমি জানিনা ভালবাসার মানে কি ... শুধু জানি , এ মন ব্যাকুল হয়ে থাকে তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখার জন্য এ চোখ জোড়া চেয়ে থাকে অপলক এক নজর তোমায় দেখবে বলে এ কান যেন অস্থির , কখন শুনবে তোমার মায়া ভরা ডাক কখন আসবে তুমি , কখন বলব '' তোমায় মিস করছিলাম ভীষণ '' আমি জানিনা কষ্টের মানে কি ... শুধু জানি তুমি কষ্ট পেলে আমার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরে কিছুক্ষন তুমি বেখবর থাকলে এ মন অস্থির হয়ে উঠে চোখ দুটো এদিক অদিক তোমায় খোঁজা খুজি করে আমি জানিনা সুখ কাকে বলে ... শুধু জানি যখন তোমার মুখের হাসি দেখি , চোখ জুড়িয়ে যায় যখন তুমি আদর করে নাম ধরে ডাকো , মন জুড়িয়ে যায় যখন আলত করে গাল ছুয়ে দাও , যেন স্বর্গের ছোঁওয়া পাই আমি জানিনা এর মানেই কি ভালোবাসা কিনা??...

By kolpobazz

Popular Posts