Main Menu

Monday, April 29, 2019

লাইফে প্রথম কাউকে ব্লক দিয়ে মনকে প্রশ্ন করলাম কি রে তুই আজ এত খুশি !! মন উত্তর দিল খুশি আমি এইজন্য যে ,,,, তাকে ব্লক দিয়ে যত টা কষ্ট পেলি না দিলে তার থেকে আর ও বেশি পেতি । #dedicated

By kolpobazz

#৪৮কবিতা দেখ আমার বাবা বিয়ে ঠিক করেছে তুমি এখন একটা কিছু করো !! আমি বললাম কি করব আমি তুমি বরং বিয়েটাই সেরে ফেল । অবাক হয়ে বললে তুমি আমি যদি বিয়েই করি তুমি করবে ... কোন ঘোড়ার ডিমটা ? আমি তখন ছুয়ে হিয়া বললাম তাকে আমার প্রিয়া বিয়ে শুধু তুমিই করবে আর আমি করব পরকিয়া । #সাইকো

By kolpobazz

বড্ড শান্তি শান্তি লাগছে আমার ও

By kolpobazz

Sunday, April 28, 2019

“নীল শাড়ি তে খোলা চুলে আমার হাত ধরে হাটবে তুমি, অনেক বাতাসে যখন তোমার চুল তোমার মুখে এসে পরবে, তখন পরম মমতায় মুখ থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিব আমি। তোমার সুন্দর নিষ্পাপ মুখ টা আলতো করে ছুঁয়ে দিব লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া মুখের পানে । মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকব । আর তুমি আমাকে তোমার অদ্ভুত সুন্দর নিষ্পাপ হাসি উপহার দিবে। যে হাসিতে ফুটবে ফুল আর মুক্তো ঝড়বে । হারিয়ে যাব আমি সেই হাসি তে... আর পরম আদরে নুপুর পড়িয়ে দিব আমি তোমার পায়েতে । তুমি হাঁটবে আর আমি শুনবো তোমার নূপুরের ধ্বনি কান পেতে ! তোমার সুন্দর পা গুলোতে সুন্দর নুপুর বাজবে, আনমনে তাকিয়ে থাকবো আমি। হঠাৎ করেই তুমি জড়িয়ে ধরবে আমায়। আমি বলব এই দেখে ফেলবে তো কেউ করছ এ কেমন পাগলামি ! তোমার শরীরের মিষ্টি গন্ধ আমার নাকে আসবে। আদরে আদরে শিহরিত হবে তুমি... এলোমেলো বাতাসে কোন এক রাজকন্যার শাড়ির আচল উড়ছে, তা দেখে চাঁদ মামা লজ্জায় পালাবে!! পুরো দুনিয়া অন্ধকার হওয়ার আগেই আরো একটা সুন্দর আলো আমার চোখে ভাসবে, তোমার আলোয় আলোকিত হবে পৃথিবী। ফুল ফুটবে, গান গাইবে পাখি, আকাশে সাত রঙা প্রজাপতির মেলা বসবে।!! অবাক পৃথিবী আশ্চর্য হয়ে তোমার পানে তাকিয়ে থাকবে।... গভীর আবেশে তোমার কোলেই ঘুমিয়ে পরবো আমি। হঠাৎ ঘুম ভাঙবে আমার। আমার রাজকন্যা টাও ঘুমিয়ে গেছে তাকিয়ে দেখবো, । তোমার চুল গুলো নেড়ে দিব এই আমি। তখনই তুমি জেগে উঠবে । ঘুম থেকে উঠেই দেখবে তোমার পাশে একটি লাল গোলাপ!! আমার পক্ষ থেকে গোলাপ টা তোমাকে শুভেচ্ছা জানাবে। অবাক হয়ে তাকাবে তুমি। গোলাপ টাকে বলবে, কিগো ফুল, সুগন্ধ নেই কেন তোমার? এই অবস্থা হল কি করে? গোলাপ বলবে, কি করে থাকবে সুবাস এক দেশে কি দুই রানী বাস করে???? #সাইকো

By kolpobazz

Friday, April 26, 2019

এই যে আমায় যখন বলিস, 'ও কলিজা' আলতো করে, ইচ্ছে করে খুন হয়ে যাই, বুকের উপড় আছড়ে পরে। বুকের সাথে বুক মিলিয়ে, মিশিয়ে ফেলি শরীর জুড়ে, 'ও বালিকা' 'গো বালিকা' তোর কি আমার মতই পরাণ পোড়ে? তুইও কি আমার মতন? ওমন ভাঙ্গিস, যেমন আমি? তোরও কি পরলে মনে, নাভীর খাঁজে শিরশিরানি? হাজার প্রজাপতি উড়ে, তোরও কি পেটের উপর? 'ও কলিজা' 'গো কলিজা' তোরও কি শুন্য লাগে বুকের ভিতর? ঝুম বর্ষার সন্ধ্যা বেলায়, দাড়াস কি তুই গ্রীল ধরে? আমায় ভেবে দিস ছুঁয়ে তুই, এমন শ্রাবণ হাত বাড়িয়ে? জল জমে তোর খুব অকারণ, আমার মতই চোখের আঁড়ে? 'কলিজা রে' 'ও কলিজা' তুই ডাকিস এমন জনম ভরে।

By kolpobazz

ধুরু বাল জাস্ট তিক্ত বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি ...। হিমু ভক্তদের বাইরে বের হলে যে কথাটি সবথেকে বেশি শুনতে হয় ...🙄🙄 - কি ভাই গায়ে হলুদে যাচ্ছেন নাকি ? 🤣🤣

By kolpobazz

Wednesday, April 24, 2019

কাকে ম্যাসেজ দিব ।কার কাছে জানতে চাইবো কেমন আছো ? ,, সবাই তো ব্যস্ত ।ভিষন ব্যস্ত । ম্যাসেজ দেখার ই সময় পায় না ।আনসীন ই থেকে যায় প্রতিটি ম্যাসেজ ।শুধু শুধু অন্যকে বিরক্ত করা । ,, কাকে বলবোঃ ফোনটা একটু খোলা রেখো !কয়েক সেকেন্ড কথা বলতে চাই । ,, ফোনটা খোলাই থাকে শুধু কল দিলেই ডিসপ্লে ভেসে আসে ওয়েটিং বা শুনতে হয় সে এখন ব্যস্ত । ,, এখন আর কেউ ফ্রী থাকতে চায় না ।সবাই একটু কথা বলতে চায় ।জমিয়ে আলাপ করতে চায় কিম্বা দিতে চায় অল্প কিছু আড্ডা । ,, কার নরম হাত ধরে একটু ঘুরতে চাইবো ??...

By kolpobazz

“নীল শাড়ি তে খোলা চুলে আমার হাত ধরে হাটবে তুমি, অনেক বাতাসে যখন তোমার চুল তোমার মুখে এসে পরবে, তখন পরম মমতায় মুখ থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিব আমি। ছুঁয়ে দিব তোমার সুন্দর নিষ্পাপ মুখ টা। লজ্জায় তোমার সুন্দর মুখ টা লাল হয়ে যাবে। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকব আমি, আর তুমি আমাকে উপহার দিবে, তোমার অদ্ভুত সুন্দর নিষ্পাপ হাসি টা। যে হাসিতে ঝড়বে মুক্তো আর ফুটবে ফুল, কৃষ্ণচূড়া ফুল !! হারিয়ে যাব আমি সেই হাসি তে... আর তোমার পায়ে নুপুর পড়িয়ে দিব আমি। তুমি হাঁটবে আমি কান পেতে শুনবো তোমার নূপুরের ধ্বনি!! তোমার সুন্দর পা গুলোতে সুন্দর নুপুর বাজবে, আনমনে তাকিয়ে থাকবো আমি। হঠাৎ করেই তুমি জড়িয়ে ধরবে আমায়। তোমার শরীরের মিষ্টি গন্ধ আমার নাকে আসবে। আদরে আদরে শিহরিত হবে তুমি... এলোমেলো বাতাসে কোন এক রাজকন্যার শাড়ির আচল উড়ছে, তা দেখে চাঁদ মামা লজ্জায় পালাবে!! পুরো দুনিয়া অন্ধকার হওয়ার আগেই আরো একটা সুন্দর আলো আমার চোখে ভাসবে, তোমার আলোয় আলোকিত হবে পৃথিবী। ফুল ফুটবে, গান গাইবে পাখি, আকাশে সাত রঙা প্রজাপতির মেলা বসবে।!! অবাক পৃথিবী আশ্চর্য হয়ে তোমার পানে তাকিয়ে থাকবে।... গভীর আবেশে তোমার কোলেই ঘুমিয়ে পরবো আমি। হঠাৎ ঘুম ভাঙবে আমার। তাকিয়ে দেখবো, আমার রাজকন্যা টাও ঘুমিয়ে গেছে। তোমার চুল গুলো নেড়ে দিব আমি। তখনই জেগে উঠবে তুমি। ঘুম থেকে উঠেই দেখবে তোমার পাশে একটি লাল গোলাপ!! আমার পক্ষ থেকে গোলাপ টা তোমাকে শুভেচ্ছা জানাবে। অবাক হয়ে তাকাবে তুমি। গোলাপ টাকে বলবে, কিগো ফুল, সুগন্ধ নেই কেন তোমার??গোলাপ বলবে, এক দেশে কি দুই রানী বাস করে???? এটা যে শুধু ই আমার সপ্ন....

By kolpobazz

ভাল বন্ধুর লিস্ট থেকে মানুষ কমলো... আজ থেকে আর ও একটি । আপনি আর কখনও এই কাতারে আসতে পারবেন না বলে রাখি :) সবসময় ভাল থাকবেন আপি , আশা রাখি :) ৪/২৪/২০১৯ ১১.০৮ রাত্র #সাইকো

By kolpobazz

বাসে উঠলে প্রত্যেকটা ছেলের মনে একটাই আশা ভর করে..... আর তা হল.. ইসস পাশে যদি একটা সুন্দরি মেয়ে বসত 😇😇 কিন্ত সে আশায় গূড়ে বালি দিয়ে সবসময় পাশে বসবেই কোন বুড়ো :p #সাইকো

By kolpobazz

Friday, April 19, 2019

#৪৩কবিতা এই, শোনো! আমায় কি চিনতে পারো? দাড়ি, কমা-ওসব বাদ, কিন্তু-কেনো! তাও ছাড়ো... তাকিয়ে দেখো নাকের উপর...শিশির ভেজা কত্ তো ঘাম.. আমি ঠিক-ই তোমায় চিনি, বলতেও পারি তোমার নাম। মনে আছে? দূর সে রাজ্যে, তুমি ছিলে রাজার মেয়ে!.. আমি তখন রাখাল বালক, লুকিয়ে তোমায় দেখতাম চেয়ে.. কতো-শতো সখী ছিলো! বায়নাও ছিলো পাটে পাটে আমার গল্প অল্প অল্প, ছড়িয়ে দিতাম মাঠে-ঘাটে চলতাম আমি হাঁটি হাঁটি, তোমার দুটি নিটল পায়ে.. থাকতাম দূর বন-পাহাড়ে....নাম না জানা অচীন গাঁয়ে.. জোছনা রাতে চাঁদ দেখতাম, ভাবতাম তুমি চাঁদের বুড়ি ভীষন তোমার রূপের আগুন....আজও দেখো কেমন পুড়ি! ভুলে গেছো চড়ুইভাতি? নেই তো মনে সে সব কথা!.. মন কি আর তোমার আছে? ভুলে যাওয়াই নিজস্বতা... আরে আরে! হাসছো কেনো? টোলও দেখি পড়ছে গালে উড়িয়ে দিলাম আমাকে ফের, বাঁকা হাসির হাওয়ার পালে.. অমন করে চেও নাকো....মরে গেছি সেই সে..কবে! আমার আগেই হাজার জনে...তোমার ছিলো...তোমার হবে.... জন্মাই আমি দেখতে তোমায়, পূজাও করি মাঝে মাঝে বারন যতোই করো জানি, ভাবছি আবার সকাল-সাঁঝে! এভাবেই তো যাচ্ছে জীবন, রাখাল নয়তো চাষার ছেলে.. গরীব তুমি হলে না আর....রাজার ঘরেই ফিরে এলে.. বলেছিলে, "একটু দাঁড়াও, অপেক্ষা আর কয়েকটা কাল... এখনই কেনো হার মেনে যাও? শক্ত করে ধরো তো হাল... সাতটি জনম পরেই দেখো, সত্যি আমি তোমার ঘরে... আমায় নিয়ে লিখবে গান....আবার কোনো জাতিস্বরে"... অপেক্ষা আজো চলছে আমার, জানিনা এর শেষ কবে আদৌ কি তুমি আমার ছিলে? কোনো দিনও আমার হবে? #সাইকো

By kolpobazz

Wednesday, April 17, 2019

হঠাত করে হারিয়ে যাওয়া মেয়েটা আজ হটাত করেই ফিরে এসে পোস্ট করেছে,,,, কিন্ত তার পোস্টে কি রিএক্ট দেব বা দেব কিনা কমেন্ট করব কি করবনা তাই ই ভেবে পাচ্ছিনা। Dedicated to কেউ না 😣😣

By kolpobazz

আমি তোর আকাশ হব, সকাল বেলার সুয্যি হব গলি গলি অন্ধকারের ছাপাইখানার বাত্তি হব...... আমি তোর অ্যালার্ম হব, কলিংবেলের ঘণ্টি হব রাতদুপুরের ছেড়া ছালায় বস্তিবাসির শান্তি হব ! প্রথম বর্ষার কদম হব, দ্বিতীয় শীতের ভোর হব এক দু তিন নামতা আর সব ব্যঞ্জন-স্বর হব ! আমি তোর সিঁথি হব, তোর নাকের ঘাম হব তিন অক্ষরের চিঠির নামে দুই এক খাম হলুদ হব...... আমি একটু বন্য হব, বকুল ফুলের গন্ধ হব ছন্ন পাতায় রাফ খাতায় তোর ভুল অংক হব। আমি তোর হিস্ট্রি হব, বিকালের ঝালমুড়ি হব শেষরাতের শুকনা হাতে তোর সুড়সুড়ি হব...... তোর চোখের কাজল হব, তোর নামের নালিশ হব ঘুম না আসা কালো রাতে তোর মাথার বালিশ হব।। আমি তোর প্যারা হব, তোর দরজার কড়া হব তোর ঘরের ঠিকানাতে বেল তলার ন্যড়া হব আমি তোর ফ্যান হব, দুই এক ঘণ্টার লোডশেডিং হব বাস ট্রাক পুড়িয়ে দেয়া বিরোধীদলের পিকেটিং হব আমি তোর সেলফি হব, তোর ফোনের কভার হব, দুইএকটা রাত না ঘুমিয়ে, তোর আমার ঝগড়া হব আমি এবার সময় হব, তোর কাঁধের ভার হব তোর লাঠির ডান্ডি হয়ে তোর সাথের ক্লান্তি হব এবার আমি শ্রান্ত হব, তোর শেষ উইশ হব প্রথম প্রেমের স্যাকা খাওয়া তোর প্রেমিকের বিষ হব আমি তোর মৃত্যু হব, তোর কবরের বেড়া হব সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে তোর জোনাক-তারা হব !!

By kolpobazz

Tuesday, April 16, 2019

By kolpobazz

#৪২ কবিতা... আমি তোর আকাশ হব, নতুন দিনের সূর্য হব আধার রাতে সেই আকাশে জোনাক জলা বাত্তি হব । আমি তোর স্বপ্ন হব , রাত্রি বেলার চন্দ্র হব দুইএকটা রাত না ঘুমিয়ে, তোর আর আমার ঝগড়া হব ঘুম না আসা কালো রাতে তোর মাথারই বালিশ হব।। আমি তোর অ্যালার্ম হব, কলিংবেলের ঘণ্টি হব ছন্ন পাতায় রাফ খাতায় তোর ভুল করা এক অংক হব। রাতদুপুরের ছেড়া ছালায় বস্তিবাসির শান্তি হব ! আমি তোর সিঁথি হব, সিথির মাঝে মুকুট হব । তোর চোখেরই কাজল হব, তোর নামেরই নালিশ হব তিন অক্ষরের চিঠির নামে দুই এক খাম হলুদ হব...... আমি তোর হিস্ট্রি হব, ফিজিক্স আর কেমেস্ট্রি হব তোর মনের যাত্রি হয়ে তোর সাথের ক্লান্তি হব আমি প্রথম বর্ষার কদম হব, দ্বিতীয় শীতের ভোর হব শেষরাতের শুকনা হাতে তোর সুড়সুড়ি হব...... আমি তোর প্যারা হব, তোর দরজার কড়া হব তোর ঘরের ঠিকানাতে বেল তলারই ন্যড়া হব আমি তোর ফ্যান হব, কিছু ঘণ্টার লোডশেডিং হব বাস ট্রাক পুড়িয়ে দেয়া বিরোধীদলের পিকেটিং হব আমি তোর সেলফি হব, তোর ফোনের কভার হব, আলতো করে তোর হাতেরি উষ্ণ করা স্পর্শ নেব আমি এবার সময় হব, তোর কাঁধেরই বোঝা হব প্রথম প্রেমের স্যাকা খাওয়া তোর প্রেমিকের বিষ হব আমি তোর মৃত্যু হব, তোর কবরের বেড়া হব সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে তোর জোনাক ভরা -তারা হব !! #সাইকো

By kolpobazz

#৪১কবিতা আগলে রাখিস যতন করে ছেরে যাস না তারে ... যে অনর্গল তোর মনের কথা পড়ে নিতে পারে। ধরে রাখিস হাতটা তাহার দিস না কভু ছেরে যেই হাতটা ছায়া হয়ে আগলে রাখে তোরে । দিস না ভেঙ্গে মায়ার বাধন ওই মানুষটার থেকে নিজে কষ্ট পেয়েও যে তোকে সুখে রাখে । #সাইকো

By kolpobazz

ধুরু মেজাজটাই খারাপ,,, কে যেন স্টোরি তে তার বফের দেয়া শারি চুরি আলতা লিপস্টিক এর পিক আর সাথে দেয়া তার লেখাগুলা আপ দিয়েছিল।কন্সেপ্টটা ভাল লেগেছিল। ভেবেছিলাম তার থেকে পিক গুলি নিব।কিন্ত এখন আর তাকে খুজেই পাচ্ছি না।মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে,,, বাল এখন 😠😠😠😠

By kolpobazz

Monday, April 15, 2019

রাত আর বাকি কি আছে বল? আজ আর নিদ্রা যাবো না বাকি সময়টুকু তোমার হয়েই নাহয় পার করে দিলাম দিবা আলো ফুটলেই তো মুখর হব কোলাহলে তখন এত মুখের ভিড়ে তোমায় স্মরণ করার সময় কোথায় বল? তাই শুধু রাত হলেই তুমি ভর কর আমার মাঝে চারণ কর পুরো হৃদয় জুড়ে, তোমার পদধ্বনি বাজে মৃদু তালে হৃদয় যেন একরাশ বিশুদ্ধ অক্সিজেন পায়, আর সকল ফুলেরা গায় আর এইটুকু বিশুদ্ধতা নিয়েই তাদের দিন গুলো পার হয় দিন শেষ হতেই তাদের হাঁসফাঁস শুরু হয় একফোঁটা বিশুদ্ধ বায়ুর জন্য তাই তারা অপেক্ষারত থাকে অধীর হয়ে, কখন রাত হবে? আচ্ছা তোমার মনের একটুকু জায়গাও কি আলোকিত হয় আমার নামে? বা তোমার হৃদয় কাননে কি নতুন একটা ফুলও ফুটে যে ফুলের নাম আমি? আমি জানি তুমি কি বলবে, যাক ছেড়ে দেও সে কথা- তোমায় বৃথা কেনই বা প্রশ্ন করব, সেদিন কি আর আছে বল? তবুও মনের কোণে একটুকু অধিকার হুংকার ছাড়ে তোমায় ভেবে মাত্রই যে সময়টা বলি দিলাম, সে সময়ের অধিকার সেও শেষবারের মত একটি ইচ্ছাই জ্ঞাপন করে যায় তুমি কি সত্যিই আমায় ভাবো না প্রিয়তমা? একটি বারের জন্যও না? রাত অনেক হল। তুমি হয়তো নিদ্রারত কোন এক সোনেলা স্বপ্নে বিভোর হয়ে আর আমি? তোমায় নিয়েই নাহয় নতুন একটা আলোকিত ভোর দেখব ভোর এলেই আবার তোমায় ভুলে যাবো, নতুন মুখের মায়ায় বিভোর হব আবার রাত আসবে, নিয়ম করে নির্ঘুম রাত বলি দিয়ে যাবো তোমার নামে।

By kolpobazz

আগলে রাখিস যতন করে ছেরে যাস না তারে ... যে অনর্গল তোর মনের কথা পড়ে নিতে পারে।

By kolpobazz

#৪১ কবিতা...। হঠাৎ রাতে বৃষ্টি এলে চুপটি করে থাকিস তুই। তোরে ছাড়া মেঘলা আকাশ একলা আমি কেমনে ছুঁই!! হঠাৎ রাতে বৃষ্টি এলে হাতটি মোর হাতেই রাখ। মেঘলা আকাশ চোখে এঁকে, উড়িয়ে দে পাখির ঝাঁক। হঠাৎ রাতে বৃষ্টি এলে হাত বাড়িয়ে থাকিস ছুঁয়ে। আমি না হয় আসব কাছে। হাজার বর্ষা রাত কাঁপিয়ে হঠাৎ রাতে বৃষ্টি এলে আলতো করে ঠোঁটের ভাজে একটুখানি মুচকি হাসি ছড়িয়ে দিস মনের মাঝে ! হঠাৎ রাতে বৃষ্টি এলে আমায় একটু মনে করিস ভালবাসতে না পারিস তো পারলে একটু ঘৃণা করিস। #সাইকো

By kolpobazz

#৪০কবিতা... থাক না কিছু কথা গোপন থাক না কিছু না বলা, এইতো আছি ভাল হয়তো হোক না একাকী পথচলা !! থাক না হৃদয়ের মাঝে সে নাহয় সে নাই বা জানুক, মনটা একা একা এভাবেই নীরবে তাকে আরও ভাবুক থাকনা সে একটু ভাল আমি পথের কাটা নাইবা হই আর, কিই বা আছে এই জীবনে যেখানে দাম নেই ভালবাসার ? থাক না সে অনেক দূরে আমি থাকবো না হয় পথ চেয়ে, পরুক না আরেকটু গরিয়ে ঝরনাধারা দু'চোখ বেয়ে ।। রাতের পড়ে রাত জেগে যাই সে না হয় স্বপ্ন দেখুক। আমার কথা না না ভাব্লেও হবে সে না হয় ভাল থাকুক। থাক না সে অন্যগ্রহে আমি নাহয় তাকে নাইবা পাবো, পৃথিবীতে আছি যে ক দিন তাকেই নাহয় ভালবেসে যাবো । #সাইকো

By kolpobazz

চ্যট লিস্টে ১৭৭ জন ......... কিন্ত কথা বলার মত কেউ নেই ... কি অদ্ভুত এই রাত তাই না মায়াবতি??

By kolpobazz

#৩৯ কবিতা... তোমাকে তালাবদ্ধ করে রেখেছি আমার হৃদয়ের ভেতরাগত কুঠুরিতে , এবং যার চাবি খানি আমি হরিয়ে ফেলেছি আমার ভালবাসার সুদীর্ঘ রাগ পথে সে চাবি হয়ত কোনদিন পাব না খুঁজে আর খুলতে পারবনা গোপন কুঠুরির দরজা , এবং তুমিও পাবে না মুক্তি কোন কালে সে ঘরেই বদ্ধ রেখে তোমায় দিচ্ছি মধুময় সাজা। তোমার কি ভয় হয় সেই গোপন কুঠুরিতে থাকতে ? আমি তো সঙ্গ দিচ্ছি তোমায় প্রতিটা নি:শ্বাসে , ভয় পেওনা ভেবনা তুমি একলা আমি আছি থাকব আজিবন তোমার পাশে । তাইতো তোমাকে তালাবদ্ধ করে রেখেছি আমার ভালবাসার মহান বিশ্বাসে । #সাইকো

By kolpobazz

#মনের কথা ২০ হতাম যদি ভালবাসার কারিগর, রাখতাম না এই পৃথিবীতে কোন স্বার্থপর ... ভালবাসতাম শুধু ভালবাসাকে, ধ্বংস করতাম ভালবাসা নামে ছলনাকারী সেই সব অপরাধিকে .

By kolpobazz

#মনের কথা ১৯ ভালবাসা শুরু হয় কিন্তূ শেষ হয় না, হয়ত এক সময় ভালবাসার মানুষ টা হারিয়ে যায়... কিন্তূ তার ভালবাসা কখনো হারায় না... মনের ঘরে রয়ে যায় আজীবন....

By kolpobazz

#মনের কথা ১৮ আর কোন চাওয়া নেই, আছে না পাবার যন্ত্রণা ! চোখে কোন স্বপ্ন নেই, আছে বুক ভাঙ্গা কান্না ! আর কোন আশা নেই, আছে শুধু হতাশা ! তবুও তোমার জন্যে কোন ঘৃণা নেই,আছে সীমাহীন ভালোবাসা

By kolpobazz

#মনের কথা ১৭ হঠাৎ করে পাওয়া সুখ আর হঠাৎ করে আসা ভালোবাসা এই দুটো জিনিসের মধ্যে অনেক মিল, কারন দুটো জিনিসই বেশির ভাগ সময় ক্ষণস্থায়ী হয়।যেমনই হঠাৎ করে আসে তেমনি হঠাৎ করে জীবন থেকে হারিয়ে যায়,মাঝে শুধু রেখে কিছু না ভুলতে পারার মত স্বৃতি.

By kolpobazz

#মনের কথা ১৬ কেউ কারো পরিপূরক হতে পারে না, প্রতিটি জীবনই কারো না কারো ভালবাসার মায়ায় বাঁধা।

By kolpobazz

#মনের কথা ১৫ জীবনে কিছু কিছু প্রশ্ন থাকে যার উত্তর কখনো মিলেনা। কিছু কিছু ভুল থাকে যা শুধরানো যায়না। আর কিছু কিছু কষ্ট থাকে যা কাউ কে বলা যায় না.

By kolpobazz

#মনের কথা ১৪ মাঝে মাঝে মনের মানুষটাকে খুব বেশি আপন করে কাছে পেতে ইচ্ছে করে । ইচ্ছে করে মন খুলে বলি তাকে মনের গহিনে লুকিয়ে রাখা প্রতিটা অনুভূতি, ভালবাসার মিষ্টি মধুর প্রলাপ যে কথাগুলো তাকে বলার জন্য সাজিয়ে রেখেছি বুকের ভেতর অনেক যত্ন করে । যে অনুভূতি গুলো আমার স্বপ্ন দিয়ে রচনা করেছি শুধুই তার জন্য |

By kolpobazz

#মনের কথা ১৩ একটি সম্পর্কের মাঝে থাকে মিষ্টি যুদ্ধ, থাকে বিশ্বাস, থাকে স্বপ্ন, থাকে কান্না, থাকে অভিমান, থাকে মিষ্টি হাসি, থাকে যত্ন, থাকে খুনসুঁটি, থাকে ছোটোখাটো ঝগড়া, থাকে ধৈর্য্য, থাকে যোগাযোগ, থাকে না বলেও বঝে নেয়া অনেক অনুভূতি, থাকে ঈর্ষা, আর সবচাইতে প্রয়োজন যা থাকে তা-সেটা হলো ভালোবাসা।

By kolpobazz

#মনের কথা ১২ হয়তো সেই ভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারবো না, তবে এতো টুকু বলতে পারিঃ আমার মতো করে কেউ তোমাকে এতো বেশি ভালোবাসতে পারবে না, এতো বেশি মিস করবে না ।

By kolpobazz

#মনের কথা ১১ আমি তোমাকে সারা জীবন একা একাই ভালবেসে যাব,, আমি কখনো তোমার কাছ থেকে ভালবাসা,, চাইব না..কারণ আমার ভয় হয় যদি তুমি আমায় স্বার্থপর ভাবো

By kolpobazz

Sunday, April 14, 2019

আমি তোর আকাশ হব, সকাল বেলার সুয্যি হব গলি গলি অন্ধকারের ছাপাইখানার বাত্তি হব...... আমি তোর অ্যালার্ম হব, কলিংবেলের ঘণ্টি হব রাতদুপুরের ছেড়া ছালায় বস্তিবাসির শান্তি হব ! প্রথম বর্ষার কদম হব, দ্বিতীয় শীতের ভোর হব এক দু তিন নামতা আর সব ব্যঞ্জন-স্বর হব ! আমি তোর সিঁথি হব, তোর নাকের ঘাম হব তিন অক্ষরের চিঠির নামে দুই এক খাম হলুদ হব...... আমি একটু বন্য হব, বকুল ফুলের গন্ধ হব ছন্ন পাতায় রাফ খাতায় তোর ভুল অংক হব। আমি তোর হিস্ট্রি হব, বিকালের ঝালমুড়ি হব শেষরাতের শুকনা হাতে তোর সুড়সুড়ি হব...... তোর চোখের কাজল হব, তোর নামের নালিশ হব ঘুম না আসা কালো রাতে তোর মাথার বালিশ হব।। আমি তোর প্যারা হব, তোর দরজার কড়া হব তোর ঘরের ঠিকানাতে বেল তলার ন্যড়া হব আমি তোর ফ্যান হব, দুই এক ঘণ্টার লোডশেডিং হব বাস ট্রাক পুড়িয়ে দেয়া বিরোধীদলের পিকেটিং হব আমি তোর সেলফি হব, তোর ফোনের কভার হব, দুইএকটা রাত না ঘুমিয়ে, তোর আমার ঝগড়া হব আমি এবার সময় হব, তোর কাঁধের ভার হব তোর লাঠির ডান্ডি হয়ে তোর সাথের ক্লান্তি হব এবার আমি শ্রান্ত হব, তোর শেষ উইশ হব প্রথম প্রেমের স্যাকা খাওয়া তোর প্রেমিকের বিষ হব আমি তোর মৃত্যু হব, তোর কবরের বেড়া হব সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে তোর জোনাক-তারা হব !!

By kolpobazz

#৩৮ কবিতা ... [ প্রাক্তন ] আজ মনেতে বৈশাখী ঝর নতুন প্রেমের আস্বাদন শাসন বারন মানছো না তাই উড়ছো শুধু পাখির মতন । আজ যে প্রেম লাল সোহাগি কাল হবে তা পরকীয়া... পুড়বে গোলাপ ডায়রির ভাঁজে বুকের ভেতর ভাঙবে হিয়া। নরম গালে মসৃন আদর, বসন্তে ডুববে প্রেমিকের দল... রোদন করবে গহীন অরণ্য দ্বিধা-আড়িতে বৃষ্টি-বাদল। জমবে ধূলো কবির কফিনে, সাদা গোলাপ ফুটবে পাশে... কেউ মনে রাখে না প্রাক্তন ছেঁড়া কবিতা উড়বে বাতাসে।

By kolpobazz

আমি একদিনে একটা না হাজারটা পোস্ট দিব... প্রব্লেম??? 🙄🙄 তাহলে দূরে থাকুন আমার টাইমলাইন আপনার জন্য না :) আমি আমার জন্য লিখি আর কার ও জন্য না ...। mind it ..........

By kolpobazz

Saturday, April 13, 2019

অতঃপর কাল আবার অবতারনা হতে যাচ্ছে একটি ধর্ষণমুখর রাতের। যেখানে স্বইচ্ছায় ধর্ষিত হবে কিছু মেয়ে নামক বেশ্যা । যারা তাদের বয়ফ্রেন্ডের কাছেই খদ্দের :) #সাইকো

By kolpobazz

ধুরু সব পারি বাল.. কিন্ত নামাজটাই পড়তে পারিনা :(

By kolpobazz

#৩৭ কবিতা ... তুমি আমার ত্রিসিমানায় আসলেই আমি জেনে যাই, হয়তো তুমি যানতেও পারবে না কোনোদিন। তোমার পদধনি, বহুদুরে ভেসে আসা তোমার কণ্ঠস্বর, সব, সবই আমার মুখস্ত। তাই চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি তুমি কোথায় আছো কি করছ হয়তো তোমায় কাছে পাইনি কখনও। হয়ত ভালবাসি বলিনি কোন দিনও। হয়ত বা বলা ও হবেনা। -_- তবুও তুমি থাকবে আমার হৃদয় জুড়ে তোমায় হয়ত ভোলা যাবে না প্রিয়তমা :) #সাইকো

By kolpobazz

Friday, April 12, 2019

- কি হল এখনও ঘুমান নি? আমি রাতের পাখি । আর রাতের পাখিদের ঘুমাতে নেই :) :) :) #সাইকো

By kolpobazz

Someone will love you ... someone will love you... But someone isn't me ☺️☺️

By kolpobazz

ধুর বাল... 🙄🙄 কষ্ট লাগে এইভেবে যে ...... সবার অনেক গুলা এক্স আছে আমার একটা ও নাই 😭😭😭😭 #সাইকো

By kolpobazz

হেব্বি মন ভাল//// তাই সারারাত আজ ফেভারিট গান চলবে , সাথে .... গেমিং, রোস্টেড চিকেন , আর ... BLACK RUSSIAN ,

By kolpobazz

#৩৬ ভালোবাসার সম্পর্ক গুলোর মাঝে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক হল ঐ দুটি মানুষের ... যারা থাকে দুনিয়ার দুই প্রান্তে ... দুজনের মাঝে হয়না দেখা সামনা সামনি ...... হাত ধরে বসে থাকা হয়না ... একটু ছুঁয়ে দেখা হয়না ... বৃষ্টি পরলে দুটি মন ব্যাকুল হয়ে যায় এক সাথে ভিজবে বলে ... অনেক ইচ্ছে অপূরণ থেকে যায় ... কোনও চাওয়া পাওয়া থাকেনা ... তারপরেও দিনের পর দিন মাসের পর মাস একে অপরের জন্য মরিয়া উন্মাদ হয়ে থাকে ... শুধু মাত্র একটি আশার উপর একদিন তাদের সব স্বপ্ন বাস্তব হবে একে অপরের খুব কাছে থাকবে .... ...!! #সাইকো

By kolpobazz

হুট করেই,,,, মরে যাব একদিন? 😴😴 হয়ত সেদিনই এই সাদাকালো পৃথিবিটা লাগবে রঙিন ☺☺ #সাইকো

By kolpobazz

জ্বি,,,,,, আমি জাহান্নামি 😊☺😊😊

By kolpobazz

Thursday, April 11, 2019

#মনের কথা ১০ মিথ্যা ভালোবাসা মাটির পুতুলের মত, অল্প আঘাতে ভেঙে যায় । কিন্তু খাঁটি ভালোবাসা হল পানির মত, যা শত শত আঘাতের পরও আবার মিলে যায়।

By kolpobazz

#মনের কথা ৯ তুমি নেই বলে, রাত আসে চাঁদ হাসে না। তুমি নেই বলে, ফুল ফোটে ভ্রোমর আসেনা। তুমি নেই বলে, ভোর হয় পাখি ডাকে না। তুমি নেই বলে, একা একা কিছু ভালো লাগে না |

By kolpobazz

#মনের কথা ৮ যখন কেউ কাঁদে, সেটা হলোঃ আবেগ । যখন কেউ কাঁদায়, সেটা হলোঃ প্রতারণা । আর যখন কেউ অন্য কে কাঁদিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলে, সেটা হলোঃ ভালোবাসা ।

By kolpobazz

#মনের কথা ৭ সময় তো চলে যায় , কতো হাসি বেদনায় ... জীবন চলে যায় , দুঃখ জ্বালা যন্ত্রনায় ... স্বপ্ন আসে চুপি চুপি , কল্পনায় ভেসে যায় ... বসে থাকি নিরবে , শুধু তোমার'ই অপেক্ষায় !

By kolpobazz

#মনের কথা ৬ আমি হয়তো দেখতে কালো, তবুও তোমায় বেসেছি ভালো । তুমি হয়তো অনেক ধনী, যা আমি হতে পারবোনা কোনো দিনৈ । তবুও যদি আমায় বাসো ভালো , আধারে থেকেও তোমায় দিবো সুখের আলো

By kolpobazz

#মনের কথা ৫ হয়তো আমি ভেবে ছিলাম তুমি আমার হবে, তাই তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম । সেটাই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো । কিন্তু , তোমাকে ভালো না বাসলে, আমি ভালোবাসার কষ্ট টাই অনুভব করতে পারতাম না । তবুও তোমার জীবনকে অভিশাপ্ত করবো না, কারন, আমি আজ ও তোমায় ভালোবাসি, আমার সব টুকু সুখ কেঁড়ে নিয়েছো, কিন্তু , আমার মনে লুকানো ভালোবাসা গুলো তুমি নিতে পারো নি । এটাই যে আমার বেঁচে থাকার সম্ভল । তাই নিয়ে বেচে আছি :)

By kolpobazz

#মনের কথা ৪ চোঁখের যত জল,মনের ব্যাথা ভয় তুমি দাও আজ করে উজার আমি নেবো আপন করে''' যেন সেই সবই ছিল আমার যত দিন আছি আমি খুজবো তোমায়''' দেখবো এর শেষ কোথায় যত আমি পাশাপাশি সীমানা দুরে দেখা যায়'''

By kolpobazz

যখনই একটু মন ভাল রাখার চেষ্টা করি ... তখনই মনটাখারাপ করে দেবার জন্য হাজির হয়ে যায় কিছু বন্ধু নামক মুখোশধারি ।

By kolpobazz

#মনের কথা ৩ সারাটা দিন যেভাবে সেভাবে কেটে যায় ... শত কষ্টের পরও তোমাকে ভুলিয়ে রাখি নিজের মাঝে! কিন্তু জানো ??... যখনি দিন শেষে বালিশে মাথাটা লাগিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করি ,আমি জানিনা ঠিক তখনই কোত্থেকে সেই কয়েক মুহুর্তে যেনো তুমি কিভাবে চলে আসো ! আমি আসলেই বুঝিনা আর এক মুহুর্ত ও পারিনা তোমাকে ছাড়া থাকতে এক নিমিষেই মনে হয় ছুটে যাই তোমার কাছে ...

By kolpobazz

Wednesday, April 10, 2019

দিনরাত ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকা মানুষগুলো আসলে আত্মহত্যা করেনা, এ দের খুন করা হয়। আপনি করেন। আপনার মতো কিছু অমানুষ করে। হুম, এপারে বন্ধুর স্বরণে একটা লম্বা পোষ্ট লিখে পার পেয়ে যাবেন, কিন্তু ওপারে খুনের দায়ে আপনারও যে ফাঁসির রায় হয়ে গেছে তা জানেন কি? #সাইকো

By kolpobazz

#৩৪ কবিতা... জানো আজ মধ্যরাতে তোমাকে আমি আবারো স্বপ্নে দেখেছি। জানিনা কেনো আমি তোমাকে বার বার স্বপ্নে দেখছি? হয়তোবা তোমার কথা সারাদিন ভাবি বলে। জানিনা তুমি ঘুমের মাঝে কখন চলে আসো? তবে জানো মাঝে মাঝে বুকের মাঝে একটা স্পর্শ অনুভব করি ঠিক যেন সেই হাতের ছোঁয়া।এখন আমি জানিনা সত্যি কি আমি তোমার স্পর্শ আনুভব করেছি নাকি শুধু স্বপ্নেই দেখেছি? হয়তোবা এই স্পর্শটাই আমার কাছে তোমার ভালোবাসা।সবাই ভালোবাসতে পারেনা, আমিও পারিনা। ভালোবাসতে পারলে হয়তো আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারতেনা? তবে আমি শুধু জানি আমি তোমাকে ভালোবাসি। জানো এটা ভাবতে খুব খারাপ লাগে তুমি আমার পাশে নেই। তবে এমন দিনে তোমার হাতে হাতটা রেখে বলতে ইচ্ছে করছে আমি তোমাকে আজও ভালোবাসি, সত্যিই ভালোবাসি, অনেক বেশি ভালোবাসি……… #সাইকো

By kolpobazz

#৩৩ কবিতা... আমি আছি... থাকবো শেষ দিন পর্যন্ত... তোর পাশে, তোর সাথে, তোর মাঝে...! হয়তো কখনো সকালের রদ্দুর হয়ে তোর ঘুম ভাঙ্গাবো.., হয়তো তোর চায়ের কাপে ছোট্ট একটা পিপড়ে হয়ে ভেসে থাকবো...! কখনো হয়তো লাল মেহেদী হয়ে তোর হাতের মাঝে থাকবো..., হয়তো কখনো বাতাস হয়ে তোর এলো চুল গুলোকে ছুঁয়ে যাব...! কখনো হয়তো চশমার গ্লাস হয়ে তোর চোঁখটা জুড়ে থাকবো..., হয়তো কখনো নূপূর হয়ে তোর পাঁয়ের মাঝে বাঁজবো...! প্রখর রোঁদে হয়তো এক বিন্দু ঘাম হয়ে তোর নাকের ডগা বেঁয়ে গড়িয়ে পড়বো.., হয়তোবা কোঁয়াশা ঢাকা ভোঁরে শিঁশির হয়ে তোর পথ ভিঁজিয়ে যাব..., আর নাহয় এক পশলা বৃষ্টি হয়ে তোকেই ভিজিয়ে দিয়ে যাবো! আমি আছি,.. আমি থাকবো.... হয়তো অনেক গোপনে খুব যতনে আগলে রাখা স্মৃতি হয়ে আসবো..., হয়তোবা তোর নীল আকাশে এক টুকরো মেঘ হয়ে ভাঁসবো...! হয়তোবা খুব ক্লান্তিতে তোর চোঁখের পাতায় পরশ হয়ে তোকে ঘুঁম পাড়িয়ে দিয়ে যাব..., হয়তোবা খুব নীরবে তোর অগোচরে তোর স্বঁপ্নটাকে সাজিয়ে দিয়ে যাব...! আমি আছি,... থাকবো শেষ দিন পর্যন্ত তোর পাশে, তোর সাথে, তোরই মাঝে!!...

By kolpobazz

মনের কথা ৩ সারাটা দিন যেভাবে সেভাবে কেটে যায় ... শত কষ্টের পরও তোমাকে ভুলিয়ে রাখি নিজের মাঝে! কিন্তু জানো ??... যখনি দিন শেষে বালিশে মাথাটা লাগিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করি ,আমি জানিনা ঠিক তখনই কোত্থেকে সেই কয়েক মুহুর্তে যেনো তুমি কিভাবে চলে আসো ! আমি আসলেই বুঝিনা আর এক মুহুর্ত ও পারিনা তোমাকে ছাড়া থাকতে এক নিমিষেই মনে হয় ছুটে যাই তোমার কাছে ... মনের কথা ৪ চোঁখের যত জল,মনের ব্যাথা ভয় তুমি দাও আজ করে উজার আমি নেবো আপন করে''' যেন সেই সবই ছিল আমার যত দিন আছি আমি খুজবো তোমায়''' দেখবো এর শেষ কোথায় যত আমি পাশাপাশি সীমানা দুরে দেখা যায়''' মনের কথা ৫ হয়তো আমি ভেবে ছিলাম তুমি আমার হবে, তাই তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম । সেটাই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো । কিন্তু , তোমাকে ভালো না বাসলে, আমি ভালোবাসার কষ্ট টাই অনুভব করতে পারতাম না । তবুও তোমার জীবনকে অভিশাপ্ত করবো না, কারন, আমি আজ ও তোমায় ভালোবাসি, আমার সব টুকু সুখ কেঁড়ে নিয়েছো, কিন্তু , আমার মনে লুকানো ভালোবাসা গুলো তুমি নিতে পারো নি । এটাই যে আমার বেঁচে থাকার সম্ভল । মনের কথা ৬ আমি হয়তো দেখতে কালো, তবুও তোমায় বেসেছি ভালো । তুমি হয়তো অনেক ধনী, যা আমি হতে পারবোনা কোনো দিনৈ । তবুও যদি আমায় বাসো ভালো , আধারে থেকেও তোমায় দিবো সুখের আলো মনের কথা ৭ সময় তো চলে যায় , কতো হাসি বেদনায় ... জীবন চলে যায় , দুঃখ জ্বালা যন্ত্রনায় ... স্বপ্ন আসে চুপি চুপি , কল্পনায় ভেসে যায় ... বসে থাকি নিরবে , শুধু তোমার'ই অপেক্ষায় ! মনের কথা ৮ যখন কেউ কাঁদে, সেটা হলোঃ আবেগ । যখন কেউ কাঁদায়, সেটা হলোঃ প্রতারণা । আর যখন কেউ অন্য কে কাঁদিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলে, সেটা হলোঃ ভালোবাসা । মনের কথা ৯ তুমি নেই বলে, রাত আসে চাঁদ হাসে না। তুমি নেই বলে, ফুল ফোটে ভ্রোমর আসেনা। তুমি নেই বলে, ভোর হয় পাখি ডাকে না। তুমি নেই বলে, একা একা কিছু ভালো লাগে না | মনের কথা ১০ মিথ্যা ভালোবাসা মাটির পুতুলের মত, অল্প আঘাতে ভেঙে যায় । কিন্তু খাঁটি ভালোবাসা হল পানির মত, যা শত শত আঘাতের পরও আবার মিলে যায়। মনের কথা ১১ আমি তোমাকে সারা জীবন একা একাই ভালবেসে যাব,, আমি কখনো তোমার কাছ থেকে ভালবাসা,, চাইব না..কারণ আমার ভয় হয় যদি তুমি আমায় স্বার্থপর ভাবো মনের কথা ১২ হয়তো সেই ভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারবো না, তবে এতো টুকু বলতে পারিঃ আমার মতো করে কেউ তোমাকে এতো বেশি ভালোবাসতে পারবে না, এতো বেশি মিস করবে না । মনের কথা ১৩ একটি সম্পর্কের মাঝে থাকে মিষ্টি যুদ্ধ, থাকে বিশ্বাস, থাকে স্বপ্ন, থাকে কান্না, থাকে অভিমান, থাকে মিষ্টি হাসি, থাকে যত্ন, থাকে খুনসুঁটি, থাকে ছোটোখাটো ঝগড়া, থাকে ধৈর্য্য, থাকে যোগাযোগ, থাকে না বলেও বঝে নেয়া অনেক অনুভূতি, থাকে ঈর্ষা, আর সবচাইতে প্রয়োজন যা থাকে তা-সেটা হলো ভালোবাসা। মনের কথা ১৪ জীবনে যদি কাওকে সত্যিইমন থেকে ভালবাসো, তাহলে তাকেহারিয়ে যেতে দিওনা।কারণ চোখের জল হয়তো মুছতে পারবে,কিন্তু হৃদয়ের কান্নারজল কোনোভাবেই মুছতে পারবেনা। মনের কথা ১৫ মাঝে মাঝে মনের মানুষটাকে খুব বেশি আপন করে কাছে পেতে ইচ্ছে করে । ইচ্ছে করে মন খুলে বলি তাকে মনের গহিনে লুকিয়ে রাখা প্রতিটা অনুভূতি, ভালবাসার মিষ্টি মধুর প্রলাপ যে কথাগুলো তাকে বলার জন্য সাজিয়ে রেখেছি বুকের ভেতর অনেক যত্ন করে । যে অনুভূতি গুলো আমার স্বপ্ন দিয়ে রচনা করেছি শুধুই তার জন্য | মনের কথা ১৬ জানি কেউ আমাকে আমার মতো করে ভাবে না ,, তাই নিজেকে আড়াল করে রাখি ..কেননা আমি কারো কষ্টের কারণ হয়ে চাই না ..কষ্ট পেতে ভালবাসি কষ্ট দিতে নয় মনের কথা ১৭ যাকে তুমি পাবে না, তাকে নিয়ে ভেব না, সে শুধু দিয়ে যাবে,দুঃখ,কষ্ট আর বেদনা | কারন, ভালবাসা বড়ইস্বার্থপর আর ভাল না বাসাই উত্তম কেননা ভালবাসার পূর্ন্য সংজ্ঞা কেউ জানে না...... মনের কথা ১৮ জীবনে কিছু কিছু প্রশ্ন থাকে যার উত্তর কখনো মিলেনা। কিছু কিছু ভুল থাকে যা শুধরানো যায়না। আর কিছু কিছু কষ্ট থাকে যা কাউ কে বলা যায় না. মনের কথা ১৯ ভালবাসা শুরু হয় কিন্তূ শেষ হয় না, হয়ত এক সময় ভালবাসার মানুষ টা হারিয়ে যায়... কিন্তূ তার ভালবাসা কখনো হারায় না... মনের ঘরে রয়ে যায় আজীবন.... মনের কথা ২০ হতাম যদি ভালবাসার কারিগর, রাখতাম না এই পৃথিবীতে কোন স্বার্থপর ... ভালবাসতাম শুধু ভালবাসাকে, ধ্বংস করতাম ভালবাসা নামে ছলনাকারী সেই সব অপরাধিকে . মনের কথা ২১ আসলে জীবনটাকে রঙিন করে রাঙাতে কোন রঙ তুলির প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন হয় একজন ভালো সঙ্গীর। মনের কথা ২২ সত্যিকারের ভালোবাসার জন্য সুন্দর চেহারা বা অঢেল টাকার প্রয়োজন নেই.., একটি সুন্দর আর পবিত্র মনই এর জন্য যথেষ্ঠ. মনের কথা ২৩ কেউ কারো পরিপূরক হতে পারে না, প্রতিটি জীবনই কারো না কারো ভালবাসার মায়ায় বাঁধা। মনের কথা ২৪ হঠাৎ করে পাওয়া সুখ আর হঠাৎ করে আসা ভালোবাসা এই দুটো জিনিসের মধ্যে অনেক মিল, কারন দুটো জিনিসই বেশির ভাগ সময় ক্ষণস্থায়ী হয়।যেমনই হঠাৎ করে আসে তেমনি হঠাৎ করে জীবন থেকে হারিয়ে যায়,মাঝে শুধু রেখে কিছু না ভুলতে পারার মত স্বৃতি. মনের কথা ২৫ অন্যের কাছে তুমি কেমন সেটা ভেবনা, তুমি নিজের কাছে কেমন সেটা ভাব ... তাহলেই বুঝবে তুমি ভাল না খারাপ ... জীবনে সুন্দর মানুস নয়, ভাল মানুষ প্রয়োজন মনের কথা ২৬ আর কোন চাওয়া নেই, আছে না পাবার যন্ত্রণা ! চোখে কোন স্বপ্ন নেই, আছে বুক ভাঙ্গা কান্না ! আর কোন আশা নেই, আছে শুধু হতাশা ! তবুও তোমার জন্যে কোন ঘৃণা নেই,আছে সীমাহীন ভালোবাসা

By kolpobazz

#মনের কথা ২ জীবনে কাউকে পাওয়াটা বড় কথা না। আপনি যাকে পেয়েছেন তাকে জীবনের শেষ পর্যন্ত কাছে পাওয়াটাই বড় কথা...

By kolpobazz

#মনের কথা ১ তুমি নেই, জানি তুমি ফিরে আসবেনা কখনো, হইতো অনেক কষ্টের মাঝে পাবোনা তোমার সান্তনা, তোমার হাসিতে লুকানো থাকবেনা_ খুব গোপনে লালন করা আমার কষ্ট গুলো, তবু আমি জানি,আমি তোমাকে ভালোবেসে যাব ,কারন তুমি না থাকলেও তোমার ভালবাসা আমার সাথে থাকবে প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিতি সময় #সাইকো

By kolpobazz

#৩২ কবিতা ... ধর্ষক ধর্ষণে ধর্ষণে .. একটি ফুলের মতো নরম শরীরকে শুধু রক্তাক্ত করে না, রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত করে তার স্বপ্ন আশা, ভালোবাসা আর ভরসা। তার ফুলের মতো গন্ধময় জীবনটা হয়ে ওঠে পঙ্কিল গন্ধময় । বিপরীত লিঙ্গের প্রতি শ্রদ্ধাবোধকে সে চিরতরে হারায় । শরীরের রক্তটা মুছে যায়, ক্ষতটাও শুকিয়ে যায় । ব্যথাটাও মুছে যায় একসময়। কিন্তু, তারপরেও গোটা জীবনধরে মনের মধ্যে রক্তপ্রবাহের ধারা বইতে থাকে সবসময় । থামে না কিছুতেই কুরে কুরে খায় সে ক্ষণে ক্ষণে। ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দিয়ে, না বলা অনেক অভিশাপ আর আভিযোগ লিখতে থাকে সে মনে মনে। এই দায়ভার কে নিবে? কেউ নিবেনা ,কেউ না। আমি তুমি লিখেই যাব , উপরে উপরে বলেই যাব। কিন্ত সুযোগ পেলে তুমি আমিও নারীর মনে , শরীর জুরে কামর দিতে ছাড়ব না। #সাইকো

By kolpobazz

#৩২ কবিতা ... ধর্ষক ধর্ষণে ধর্ষণে .. একটি ফুলের মতো নরম শরীরকে শুধু রক্তাক্ত করে না, রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত করে তার স্বপ্ন আশা, ভালোবাসা আর ভরসা। তার ফুলের মতো গন্ধময় জীবনটা হয়ে ওঠে পঙ্কিল গন্ধময় । বিপরীত লিঙ্গের প্রতি শ্রদ্ধাবোধকে সে চিরতরে হারায় । শরীরের রক্তটা মুছে যায়, ক্ষতটাও শুকিয়ে যায় । ব্যথাটাও মুছে যায় একসময়। কিন্তু, তারপরেও গোটা জীবনধরে মনের মধ্যে রক্তপ্রবাহের ধারা বইতে থাকে সবসময় । থামে না কিছুতেই কুরে কুরে খায় সে ক্ষণে ক্ষণে। ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দিয়ে, না বলা অনেক অভিশাপ আর আভিযোগ লিখতে থাকে সে মনে মনে। এই দায়ভার কে নিবে? কেউ নিবেনা ,কেউ না। আমি তুমি লিখেই যাব , উপরে উপরে বলেই যাব। কিন্ত সুযোগ পেলে তুমি আমিও নারীর মনে , শরীর জুরে কামর দিতে ছাড়ব না। #সাইকো

By kolpobazz

মায়াবতী..☺️☺️ -হুম বোলো ভালবাস ? -হুম ভালবাসি 😍 তোমার কলিজার থেকেও বেশি -হুম অন্নেক বেশি 😍😍 : তাহলে ধরো এমন ই এক রাতে যদি তোমার কলিজা কেটে তোমার সামনে নিয়ে বলি দেখ এই যে আমি আর তোমার কলিজা তোমার সামনে । এখান থেকে একটাকে বেছে নাও যেটা সবথেকে ভালবাস তুমি বেশি। তখন তুমি আমায় বেছে নিতে পারবে কি ? 🙄🙄 -মায়াবতী চুপ হয়ে আছে উত্তর দিচ্ছে না । : হয়ত নিজের কাছে পরাজিত আজ আমার মায়াবতী :) : সত্যি বলতে দিনশেষে হিসেব মিলিয়ে দেখি প্রত্যেকেই আমরা আসলে নিজেকেই সবথেকে ভাল বাসি :) #সাইকো

By kolpobazz

Friday, April 5, 2019

মনে হচ্ছে দিন দিন একটু একটু করে বাড়ছে পাগল হবার ডোজটা । :( [ বউ বিভ্রাট ] #সাইকো ঘুম থেকে উঠেই মনে হল আজ শুক্রবার ...। তারাতারি গোসল করা দরকার ।☺️ ওয়াশরুমে যেতেই দেখি ভিতরে ঝর্না ছাড়া , তাই ভাবলাম বউ হয়ত গোসল করছে , উফ আজ তাহলে জম্পেস হবে গোসলটা 😍😍😍 এই জন্য বউ বউ করে ডাকছি আধা ঘন্টা ধরে কিন্ত কোন সাড়া পাচ্ছি না। প্রচুর চিন্তা হল ্‌,😔😔 কি হল বউটার ্‌, আবার মাথা ঘুরে পড়ে টরে গেল কিনা।😟 দরজাটাও লক করা , ভিতরে কি হচ্ছে বুঝতেও পারছিনা। নাহ আর ভাবতে পারছিনা । তাই ভেঙ্গেই ফেললাম দরজাটা ।🤠 কিন্ত একি ্‌,🧐🧐 দরজা ভেঙ্গে দেখি ঝর্না থেকে পানি পরছে কিন্ত ভিতরে ফাকা।😱😱 আশেপাশে বউ ত ভাল ব এর ছিটে ফোটাও নাইক্কা। কি হছে আমার সাথে বুঝতে পারছিলাম না তাই ... 🥺🥺 আমার কলিজার দুস্ত Tajrian রে ফোন দিয়া কইলাম দোস্ত বল তো কেমন হইল ব্যপারটা। আমার বউ গোসল করতেছিল কিন্ত এখন দেখি গোসলখানা ফাকা।😭😭 আমার কথা শুইনা ও কইল আরে ছাগল গোসল খানায় তোর বউ আসবে কইত্তে তুই তো বিয়াই করস নাই বলদটা।😂😂 ওর কথা শুনে মনে হল হ কথা তো সত্যি ।।😳😳 আমি তো বিয়াই করলাম না বউ আসবে কোত্থেকে। আর এরপর ই মনে পরল ধুরু ... রাতে ওয়াশরুম লক কইরা রাখছিলাম গোসল কইরা। কিন্ত ঝর্না আর বন্ধ করি নাইকা। ভাবছিলাম বউরে নিয়া আরামসে একটু গোসল করুম তা আর হলনা। 😭😭 আইজ শুক্রবার দিন্টাও ছ্যকা খেয়েই কাটিইয়ে দিতে হল ... প্রেম পাওয়া আর হল না। #এই সব দোষ আপনার সুবাহ কাল রাতে আপ্নে দুলাইভাই দুলাইভাই না করলে আজ এমন হত ই না 🤬🤬🤬🤬🤬

By kolpobazz

মনে হচ্ছে দিন দিন একটু একটু করে বাড়ছে পাগল হবার ডোজটা । :( [ বউ বিভ্রাট ] #সাইকো ঘুম থেকে উঠেই মনে হল আজ শুক্রবার ...। তারাতারি গোসল করা দরকার ।☺️ ওয়াশরুমে যেতেই দেখি ভিতরে ঝর্না ছাড়া , তাই ভাবলাম বউ হয়ত গোসল করছে , উফ আজ তাহলে জম্পেস হবে গোসলটা 😍😍😍 এই জন্য বউ বউ করে ডাকছি আধা ঘন্টা ধরে কিন্ত কোন সাড়া পাচ্ছি না। প্রচুর চিন্তা হল ্‌,😔😔 কি হল বউটার ্‌, আবার মাথা ঘুরে পড়ে টরে গেল কিনা।😟 দরজাটাও লক করা , ভিতরে কি হচ্ছে বুঝতেও পারছিনা। নাহ আর ভাবতে পারছিনা । তাই ভেঙ্গেই ফেললাম দরজাটা ।🤠 কিন্ত একি ্‌,🧐🧐 দরজা ভেঙ্গে দেখি ঝর্না থেকে পানি পরছে কিন্ত ভিতরে ফাকা।😱😱 আশেপাশে বউ ত ভাল ব এর ছিটে ফোটাও নাইক্কা। কি হছে আমার সাথে বুঝতে পারছিলাম না তাই ... 🥺🥺 আমার কলিজার দুস্ত Tajrian রে ফোন দিয়া কইলাম দোস্ত বল তো কেমন হইল ব্যপারটা। আমার বউ গোসল করতেছিল কিন্ত এখন দেখি গোসলখানা ফাকা।😭😭 আমার কথা শুইনা ও কইল আরে ছাগল গোসল খানায় তোর বউ আসবে কইত্তে তুই তো বিয়াই করস নাই বলদটা।😂😂 ওর কথা শুনে মনে হল হ কথা তো সত্যি ।।😳😳 আমি তো বিয়াই করলাম না বউ আসবে কোত্থেকে। আর এরপর ই মনে পরল ধুরু ... রাতে ওয়াশরুম লক কইরা রাখছিলাম গোসল কইরা। কিন্ত ঝর্না আর বন্ধ করি নাইকা। ভাবছিলাম বউরে নিয়া আরামসে একটু গোসল করুম তা আর হলনা। 😭😭 আইজ শুক্রবার দিন্টাও ছ্যকা খেয়েই কাটিইয়ে দিতে হল ... প্রেম পাওয়া আর হল না। #এই সব দোষ আপনার সুবাহ কাল রাতে আপ্নে দুলাইভাই দুলাইভাই না করলে আজ এমন হত ই না 🤬🤬🤬🤬🤬

By kolpobazz

Thursday, April 4, 2019

নীল ডাইরির পাতায় যোগ হল আজ আর এক নতুন ব্যক্তি,,,,, মৃত্যু তাহার কেমন হবে তাই ভেবেই শিহরিত হচ্ছি,,,,,, যদিও তার মৃত্যুতে থাকবে কিছু অভিমান,,, তাতে কি আমি ছারিনি,ছারবনা,,,, যে করেছে আমায় অপমান। ৪/৪/১৯ ১১:১১ রাত্রি। R....👣......r Just Dont Forget it.... Forget it,,,,, 😂😂😂 #সাইকোপ্যথ

By kolpobazz

কফি শপটার ঠিক সামনেই তার সাথে প্রথম দেখা।সে উদভ্রান্তেরর মতো বসে ছিল। দেখেই বুঝলাম হয়ত ছিনতাইকারীর হাতে খোঁয়া গেছে তার ব্যাগ, মোবাইল ও টাকা-পয়সা। তারপর ও জিজ্ঞেস করলাম ‘আপনার কি কোনো প্রবলেম হয়েছে?’ মেয়েটি কথা বলতে পারছিল না।সুধু ফুপিয়ে ফুপিয়ে প্রচন্ড কান্না করছিলো। তবুও কোনোমতে টলতে টলতে এসে পাসে দাড়াল এরপর খুলে বলল সব। . তারপরই, একটু একটু করে আমাদের হাতে হাত রেখে পথচলা শুরু। পড়ন্ত বিকেলে ওর কাঁধে মাথা রাখার গল্প শুরু। এই মেয়েটাকে কেন যেন আমি খুব বুঝতাম। একটু-আধটু না। অনেক- অনেক বুঝতাম। আর ভালোবাসা? সেটা ছিলো প্রচন্ড রকমের। এবং শেষে, সেই মেয়েটাই একদিন আমার বিশ্বাসের উপর চরম আঘাত হানে। আমার বিশ্বাস, আমার ভালোবাসা সব গুড়িয়ে দিয়েছে। জান্নাত এখন আমার সামনে বসা। নিজ ইচ্ছেতে বসে নেই। আমি জোর করে বসিয়ে রেখেছি। শক্ত মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছি। মুখে ভারী স্কচটেপ পেঁচিয়ে রেখেছি। ওর সামান্যতম নড়বার শক্তিটুকু নেই। আমি খুব ঠান্ডা মাথায় ইস্ত্রী গরম করছিলাম হাই ভোল্টেজে। ওর হাতের তালুতে ভারী গরম আয়রন চেপে ধরলাম। আস্তে আস্তে আয়রন করতে লাগলাম। ওর চিৎকারটা বেরিয়ে আসতে পারছে না মুখে স্কচটেপ দিয়ে বাঁধার কারণে। যেই হাত দিয়ে ও আমার হাতে হাত রেখে সারাজীবন থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, সেই হাত দিয়ে ও অন্য ছেলেদের শরির ছুঁয়েছে, তাদের আলিংগন করেছে,তাদের ভোগের বস্তু হয়েছে। আমার পবিত্র ভালোবাসাকেও পিষে মেরে ফেলেছে। ওর হাতের তালুর মাংস পোড়া গন্ধ বের হচ্ছে। আমি কয়েক সেকেন্ডের জন্য বিরতি দিলাম। ঠান্ডা গলায় বললাম-‘আমি এমনটা করতে চাই নি জান্নাত, বিশ্বাস করো এমনটা করতে চাই নি। তুমি আমাকে বাধ্য করেছো। জান্নাতে’র চোখের কোণ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। তীব্র কষ্টে মনে হয় এ রকমটা ঘটে। আমি ওর চুলে হালকা করে বিলি কেটে দিলাম। “আমাদের ভালোবাসাটা কত নিষ্পাপ ছিলো, তাই না জান্নাত?”-আমি ইস্ত্রী গরম করতে করতে বললাম ওকে। “আমি কতটা সুখী ছিলাম তোমাকে নিয়ে। কত স্বপ্নও দেখে ফেলেছিলাম। আমাদের একটা সংসার হবে। ঘর আলো করে একটা বাচ্চা থাকবে। আমি রাত করে অফিস থেকে বাসায় ফিরলে তুমি অভিমান নিয়ে বসে থাকবে। আমি মিষ্টি করে রাগ ভাঙ্গাবো”। নাহ সব সপ্ন ভেস্তে গেল। আমি আয়রন টা ওর অন্য হাতে চেপে ধরলাম। ও থরথর করে কাঁপতে লাগলো। তীব্র ব্যাথায় ওর শরীর নীল হয়ে যাচ্ছে। আমি হাসছি,, কেননা নিল রঙ আমার অনেক প্রিয়। : কলেজ থেকে পিকনিকে যাওয়ার একটা ডেট পড়লো। আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। জান্নাত’ও আমাকে বললো-‘হ্যাঁ, যাও। একটু ঘুরে আসা উচিত। সারাদিন তো কত ব্যস্ত থাকো পড়াশোনা নিয়ে। একদিন সবার সাথে না হয় একটু ঘুরে আসো। মনটাও ফ্রেশ হবে” আমি মন খারাপ করে বললাম-তোমাকে ছাড়া যেতে একদম ভালো লাগছে না। ও মুচকি হেসে বললো-‘আর তো কয়েকটা বছর। তারপরই তো আমরা সারাজীবন একসাথে থাকবো।” যাওয়ার দিন আমার প্রচন্ড মাইগ্রেনের ব্যাথা উঠলো। আমি উঠতে পারছিলাম না ব্যাথায়। যতক্ষণে কিছুটা স্বস্তি ফিল করলাম ততক্ষণে পিকনিক বাস মিস করে ফেলেছিলাম। খুব মন খারাপ হলো। তৎক্ষণাৎ ভাবলাম, থাক ও আছে তো। ওর বাসায় চলে যাই। ওকে নিয়ে সারাটা দিন থাকি। জান্নাতের’র বাসায় গিয়ে ওর রুমের দরজা আমাকে নক করতে হয় নি। জানালা দিয়ে যখন ওকে ডাকতে যাবো তখন এক মুহর্তের জন্য রুমের ভেতরের দৃশ্য দেখে আমি পাথর হয়ে গেলাম। আমার জান্নাত তো এটা? হ্যাঁ, আমার জান্নাত অন্য একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে পাগলের মতো ঘন চুম্বনে নিজেদের আবদ্ধ করে রেখেছে।ছেলেটা জান্নাতকে মনে হচ্ছে হিংস্র জন্তুর মত খাব্লে খাবলে খাচ্ছে।আর জান্নাত.. জান্নাতের হাত ছেলেটার পিঠ খামচে ধরে আছে -উফফ, আমি আর এ দৃশ্যটা সহ্য করতে পারছি না। টলতে টলতে কোনোমতে বাসায় আসলাম। কি আশ্চর্য! মাথা ব্যাথাটা যেনো নিমেষে উধাও হয়ে গেলো। : আমি শান্ত চোখে জান্নাতের’র দিকে তাকালাম। তীব্র মাংস পোড়া গন্ধ বের হচ্ছে। হাতের রগ পুড়ে কালশিটে হয়ে গেছে। হাড়ের নরম মাংস উঁকি দিচ্ছে। যাক…পুড়ে যাক। ওর এ দু’হাতে ও আমার দু’হাত ছুঁয়েছিলো। আমার স্পর্শটা মুছে দিতে হবে তো। একটা আয়না এনে ওর সামনে রাখলাম। কাঁটা চামচ দিয়ে ওর ডান চোখটা খুব সযতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেললাম। আয়নাটা রাখলাম যাতে আরেক চোখ দিয়ে ও এই বীভৎস দৃশ্যটা দেখতে পারে। ও হিস্টরিয়া রোগীর মতো কাঁপতে লাগলো। আমি ওর মুখ থেকে স্কচটেপ টা সরিয়ে দিলাম। জান্নাত পাগলের মতো বলতে লাগলো-‘আমাকে মেরে ফেলো শান্ত। আমাকে মেরে ফেলো। এভাবে কষ্ট না দিয়ে আমাকে মেরে ফেলো।” কি আশ্চর্য! এই মেয়েটার সাথে না আমার সারাজীবন পাশাপাশি চলার কথা ছিলো। একটা পৃথিবী গড়ার কথা ছিলো। আর, এ মেয়েটাই এখন আমার কাছে মৃত্যু চাচ্ছে। . আমি ও’র চিবুকে হাত ছোঁয়ালাম। গলগল করে রক্ত পড়ছে। সেই রক্তে আমার হাত ভিজে চপচপ হয়ে গেছে। একটা আঙ্গুল আলতো করে ওর গালে ছুঁইয়ে বললাম-‘এত তাড়া কিসের, ডার্লিং। একটু শান্ত হও’ একটা ফল কাটার ধারালো ছুরি আনলাম। ওর আঙ্গুলগুলোর ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটা নিখুঁত পোচ দিলাম। ওর এই আঙ্গুলগুলোর ফাঁকে আমার আঙ্গুল ছিলো। মাঝে অন্য কারো স্পর্শ কি করে থাকতে পারে। প্লাস দিয়ে আমি ওর নখগুলো উপড়ে ফেলতে ফেলতে বললাম- ‘মনে আছে পাগলি, এই হাত, এই আঙ্গুল আমাকে কত শান্তনা দিতো। কত ভরসা দিতো। মনে আছে, মনে আছে তোমার? বলো না…. ছলনাময়ীরা সহজে জ্ঞান হারায় না।জান্নাত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। ওরা চিৎকার ও দেয় না। এই যে আমি আমার ও’র হাতের আঙ্গুলগুলো এত যত্নে কুঁচিকুঁচি করে কেটে ফেললাম, হাতের কবজি টা আলাদা করে ফেললাম কই আমার পড়িটা তো একটুর জন্যও চেঁচায়নি। কত্ত ভালোবাসে আমায়, তাই না?। ওহ, শীট! চেঁচাবে কি করে, আমি যে ওর মুখে কাপড় ঠেসে গুঁজে রেখেছি। কি বোকা আমি! : বিকেলে আমি জান্নাত’কে বাসায় আসতে বললাম। ও অবাক হয়ে বললো-‘শান্ত,তুমি পিকনিকে যাও নি?’ আমি মুচকি হেসে বললাম-‘মাথাব্যথা করছিলো, মিস করে ফেলেছি’ ও ব্যস্ত কণ্ঠে বললো-বাসায় তুমি? আমি এক্ষুণি আসছি। আর, আগে বলো নি কেন। তাহলে তাড়াতাড়ি চলে আসতাম। কত চিন্তা হয় তোমার জন্য বুঝো তুমি?’ ইশ! কুত্তিটা কি নিঁখুত অভিনয়ই না করে। আচ্ছা, আমি কেনো পারলাম না? আমি কেনো নিজের সবটা দিয়ে ওকে ভালোবাসতে গেলাম। আমি কেনো আমার আত্মার সাথে ওকে মিশিয়ে ফেললাম। হা হা,,,,, what a fool I am! aren’t I? : আমি ওর চুল খামচে ধরে বললাম-কফিটা কেমন ছিলো? ওকে আমি কড়া ডোজের ওষুধ দিয়ে কফি দিয়েছিলাম। ব্যস…খেল খতম। তারপর, খুব যত্ন করে ওকে বেঁধে ফেললাম আমি। ওকে হুট করে মারলে চলবে না। তোমাকে বাঁচতে হবে ডার্লিং, you have to sarvive……..for me,, জান্নাতের’র চোখ বুজে আসছে, আমার ভালোবাসা বুজে যাচ্ছে নাহ। আর কষ্ট দেওয়া যাবে না মেয়েটাকে, অনেক হয়েছে। আমি ওর মাথার খুলিটা গোল করে কাটলাম। স্ক্যাল্পটা সরিয়ে মগজ বের করে আনলাম, ওর শরীর থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে নিথর হয়ে গেলো। শ্বাস নিচ্ছে না, নড়চে না আহারে বেচারা!! ওর মগজটা হাতে নিলাম, একদম ছোট একটা মগজ,,। এত স্বল্প মগজে ও কি করে এত ছেলেকে কাবু করে!? নাহ আমার জানুটা’র বুদ্ধি আছে বলতে হবে।। আমি খুব শান্তভাবে পুলিশকে ফোন দিলাম। ঘটনা সব খুলে বললাম। পুলিশ জানালো তারা আসছে। আমাকে পালাতে বারন করা হয়েছে। আমি ততক্ষনে ফ্রেশ হতে ডুকলাম ওয়াশরুমে। হাতে ঘিলুটা নিয়ে ফরমালড্রিহাইড্রেটের নিল দ্রবনে রাখলাম যত্ন করে। হলদেটে ঘিলুটা নিল দ্রবনে মিশে আস্তে আস্তে গাড় নিল রঙ ধারন করেছে,,,, আমার ভিসন হাসি পাচ্ছে,,, আর ভাবছি,,,, জান্নাত তুমি এভাবেই বেচে থাকবে,,, পঁঁচবে না গলবে না,,,, তোমার চিন্তাগুলিকে মরে যেতে দেই কি করে। ঝরনা ছেরে দিলাম,,,,,, ইশ!! আমার শরীরটা একজন বিশ্বাসঘাতকিনীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে,,,,, #সাইকো

By kolpobazz

নির্দিষ্ট লেখকগন,,,, একটা কথা মনে রাখবা।।। আমি কারো কাছ থেকে হাত পাইত্তা বই নিয়া বই পরিনা। নিজে কিনে পড়তে ইচ্ছে হলে পরি আর না হলে না। আর একটা কথা,,,, আমার লাইব্রেরিতে তোমার মত দুই ডজন লেখক এক মাস বই পরলেও বই শেষ করতে পারবা না। mind it... আমি পাগল কিন্ত মুর্খ না। #ddctd

By kolpobazz

#ব্লকনামা আচ্ছা আপি আপনি কি করছেন? -খাচ্ছি ☺ ওহ,,, খান কি? 😅 -সালা তুই খানকি তোর চৌদ্ধ গুস্টি খানকি 😠😠😠 আমি কিছু বলার আগেই। you cannt.. টুট টুট টুট,, 😣😣😣 #সাইকো আর এভাবেই কিছু অনুর্বর মস্তিস্কের ভুল বুঝার কারনে আজিবন সিংগেল থেকে যায় কিছু অসহায় প্রানি।

By kolpobazz

Wednesday, April 3, 2019

#ক্রাশ কাকে বলে ? কত প্রকার ও কি কি? এর উপকারিতা ও অপকারিতা সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করা হলো:- #ক্রাশ বর্তমানে একটি অন্যতম খাদ্য। যা ছেলে ও মেয়ে ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় খায়। মূলত ক্রাশ বলতে মুর্হুতের ভাল লাগাকে বোঝায়। এটা ৩ প্রকার, যথা:- ১. #নরমালি_ক্রাশ - এটা সাধারনত আমরা প্রতিদিনই খাই। যেমন, বাসে বা অটোতে বা অন্য কোথাও চলাচলের সময় হঠাৎ কাউকে একমুহুর্তের জন্য দেখে ক্রাশ। ২. #মিডিয়াম_ক্রাশ - এ ক্রাশ খেলে তার বিষয়ে জানতে ইচ্ছা করে, কিন্তু কয়দিন পর মনে থাকেনা তারকথা। ৩. #হার্ডলি ক্রাশ- এ ক্রাশ খেলে আপনার ভিতরে প্রবল আবেগ কাজ করবে। আপনি তাকে জীবনসঙ্গী করার চেষ্টা করবেন। # উপকারিতা - ক্রাশ খেলে মনের ভিতরে আলাদা ফিলিংস হয়। কিছুদিন ভাত খাবার প্রয়োজন পড়ে না। তাই ভাতের ওপর কম প্রেশার পড়ে। # অপকারিতা - মাত্রাতিরিক্ত ক্রাশ আপনার রাতের ঘুম হারামের পক্ষে যথেষ্ট!!

By kolpobazz

ইচ্ছে,,,,, প্রচুর ইচ্ছে,,,,,, কলিজাতে আঘাত করা,,, প্রত্যেকটা মানুষের কলিজা ভুনা করে খাব।☺☺!!! মায়াবতী,,, সেই লিস্টে থাকতে পারো তুমিও। #সাইকো

By kolpobazz

ডাক্তার নামক এক কসাইয়ের কাছে গেছিলাম রক্ত পরিক্ষা করাইতে😩😩।যেখানে রক্ত লাগে ৪ সিসি সালা সেখানে এক সিরিঞ্জ রক্ত নিয়ে নিল হুদাই।😡😡 সালা আমারেও চিনে নাই। সাথে সাথে সালার হাতে কামর দিয়া রগ ছিরা দিলাম। 😂😂 নে সালা এবার পারলে তর শরির থেকে এক ব্যগ রক্ত পড়া থামা।👌👌 #সাইকো

By kolpobazz

শুনলাম জি বাংলা বন্ধ হইছে।😲😲 হোক তাতে কি,,,😇😇 আমি তো হটস্টার দেখি।😍😍 #সাইকো

By kolpobazz

সত্যি বলতে,,,,, খুন করলে যদি পাপ না হত,,,,,,, তাহলে আমি আমার প্রথম খুনটা আমার বোনকে দিয়েই শুরু করতাম।☺☺ #সাইকো

By kolpobazz

Tuesday, April 2, 2019

তা ভাই আপনি আমার সব পোস্টে প্রেম প্রেম কমেন্ট করেন ক্যন।😡😡 -কি করব বলেন আপনার ১৮+ পোস্ট দেখে আমার ফোন টা কেন যানি হট হয়ে যায়,ওর মাথা ঠিক থাকে না।😂😂 আর জানেনই ত হট হয়ে গেলে কোন কিছুই সামলানো সম্ভব না। হ বুঝছি।😠😠 -কি বুঝলেন। তুই আর তোর ফোন দুইটাই এক। তর টাইম হইছে,,নে সালা ব্লক খা।#সাইকো নাহ সত্যের ভাত নাই।বুঝছি অহন এইডা।

By kolpobazz

আমি কবি নই তবে শতশত কবি আমায় নিয়ে কবিতা লেখে। শতশত শিল্পী আমার ছবি আঁকে আঁকা বাকা স্বপ্নে যেন আমি মেঘ থেকে নেমা আসা পরী। হায় আল্লাহ কি করি

By kolpobazz

এইটা কিন্ত রোমান্টিক গল্প,,, পড়তে ভুলবেন না,,,,😂😂 #সাইকো --- এই যে শুনুন? --- জ্বী আমাকে বলছেন? --- প্রতিদিন তো আপনিই ফলো করেন আমাকে, তাহলে নিশ্চয়ই আপনাকেই বলছি। (আমি একটু অবাক হয়ে আমতা আমতা করতে লাগলাম) --- না মানে ইয়ে, আসলে.... --- থাক আর ইয়ে মানে করা লাগবে না। ছাতাটা ধরুন। --- মানে? --- মানে বুঝেন না, বৃষ্টি পড়ছে ছাতাটা ধরুন, দেখছেন না আমি ছাতা নিয়ে আসেনি? (আমি বুঝতেই পারছি না, মেয়েটা সব কীভাবে বুঝে গেলো) --- এতো বড় ছাতা, তাও আবার ফুটো? --- আসলে অনেকদিন ব্যবহার করা হয় নাতো তাই। --- হুমম, তা বৃষ্টির দিনেও আমাকে ফলো করতে আসতে হলো কেনো? আজকে একটু বিশ্রাম নিতে পারতেন। --- না মানে, তোমাকে মানে আপনাকে একদিন না দেখলে আমার মনের মধ্যে শূন্যতা বিরাজ করে, তাই....? --- থাক হইছে হইছে, আর পাম দিতে হবে না, সব ছেলেদের চেনা আছে। --- আমি সবার মত না। --- সবাই একই কথা বলে, আমি সবার মত না। আর হ্যা আপনাকে আর যাওয়া লাগবে না, সামনেই আমার বাসা, এতটুকু আমি একাই যাবো। --- জ্বী ঠিক আছে। --- আর শুনুন আগামীকাল থেকে ছোট ছাতা নিয়ে আসবেন। --- মানে? --- মানে বোঝা লাগবে না। যেটা বলছি সেটা করবেন। কথাটা বলেই মেয়েটা চলে গেলো। এতক্ষন তার সাথে একই ছাতার মধ্যে হাটছিলাম। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না যাকে এতদিন ফলো করছি সে হঠাৎ-ই আমাকে এভাবে অবাক করে দিবে। যখন হাটছিলাম তখন তার শরীর থেকে মাতাল করা ঘ্রান বের হচ্ছিলো। যেটা হাজার পারফিউম কেও হার মানায়। আমি শোভন; বাবা-মার বড় ছেলে আর মায়ের আদরের লক্ষী ছেলে। বাবার বিরাট বড় ব্যবসা আছে তাই আর নিজের কোন চিন্তা নেই। তবে এলাকায় মাঝে মধ্যে দাদাগিরি করি, সেই সুবাদে কিছুটা পরিচিতিও আছে। আর ঠিক একদিন.... --- দোস্ত সিগারেটটা ধরিয়ে দে তো? --- এই নে টানতে থাক। --- কিরে আজকে তো কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। সব মেয়েরা কোন পথ দিয়ে যাচ্ছে এখন। --- আমাদের ভয়তে মনে হয় অন্য পথ ধরেছে। (ঠিক এমন সময় একটা ছেলে এসে বলল) --- ভাইয়ারা আপনারা এখানে দাড়িয়ে ডিস্ট্রার্ব করেন এটা কী ঠিক বলেন। --- এই কে রে তুই আমাদের জ্ঞান দিতে আসছিস? তারপরেই আমরা সবাই মিলে ছেলেটা কে মারতে লাগলাম, কিন্তু এমন সময় পাশ দিয়ে একটা মেয়ে গেলো, সেখান থেকেই দাদাগিরি করার সময় পাই না, ফলো করতে করতেই সময় শেষ। পরের দিন.... --- ছাতাটা মনে হচ্ছে নতুন কিনেছেন? (সুষমা) --- না আসলে, হুমম। (আমি) --- তা আমাকে ফলো করেন কেনো? --- সত্যি বলতে ভালবাসি। --- কতজন কে ভালবাসেন? --- মানে,আমি শুধু তোমাকেই মানে আপনাকেই বাসি। --- তো যারা এলাকায় দাদাগিরি করে, মেয়েদের বিরক্ত করে তেমন ছেলে আমার পছন্দ না। --- আমি সব কমিয়ে দিয়েছি। ঐসব আর তেমন করি না। --- কমালে হবে না, একদম ছেড়ে দিতে হবে। --- আচ্ছা ছেড়ে দিবো, তোমার জন্য মানে আপনার জন্য সব ছেড়ে দিবো। --- ঠিক আছে তুমি করে বলতে পারেন। কিন্তু আপনার বন্ধুরা তো করে, তাদের নিষেধ করে দিবেন। --- হুমম, মাথা নেড়ে হ্যা সূচক জবাব দিলাম। কথাটা বলেই সুষমা আমার ছাতাটা নিয়ে চলে গেলো। এতক্ষন লেকের পাশেই দুজনে এক ছাতার মধ্যে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম। আমার নিজেরই বিশ্বাস হয় না আমি দাদাগিরি করেছি, কারন এই মেয়ের সামনে আসলেই কেমন নিজেকে বিড়াল মনে হয়। তারপর থেকে বন্ধুদেরও বলে দিলাম যাতে এমন দাদাগিরি না করে। আমার এমন পরিবর্তন দেখে আমার বাবা-মাও আমাকে চিনতে পারে না। আর বন্ধুদের কথা নাই বা বললাম। সবাই কী যে ভাবে আমাকে বুঝতেছি না। সুষমাকে প্রথম দেখায় ভাল লেগে গেছিলো, তারপর ভাল লাগা থেকেই ভালবাসা। --- কী ব্যাপার বলে ছিলাম না তাড়াতাড়ি আসতে? (সুষমা) --- আসলে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তাই....? (আমি) --- হইছে হইছে আর বলা লাগবে না। --- সুষমা তুমি আমাকে ভালবাসো? --- হঠাৎ এই প্রশ্ন। --- না আসলে আমি তো বলেছি কিন্তু তুমি তো মুখ ফুটে কিছু বলোনি তাই শুনতে চাচ্ছিলাম আর কী। --- সময় হলেই সব জানতে পারবেন। --- আমাকে তুমি করে বলতে পারো না। --- না পারি না। --- তাহলে আমিও আপনি করে বলবো। --- একদম খুন করে ফেলবো। --- কেনো? --- আমি আপনি করেই বলবো, আর আপনি আমাকে তুমি করেই। (সুষমার কথার কোন আগা মাথায় বুঝতেছি না। ঠিক ভালবাসে কিনা সেটাও বুঝতে পারছি না) --- এই যে কী ভাবছেন। --- নাহ কিছু না। --- শোনেন আগামীকাল থেকে আপনার বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করবেন। --- আমি ব্যবসা....? --- জ্বী আপনিই ব্যবসা, না হলে আর দেখা করব না। --- না,না,না....তোমার কথাই হবে। সুষমা চলে গেলো, অবশ্য আজ বৃষ্টি নেই। কিন্তু প্রতিদিন কোন একটা কাজ ধরিয়ে দিয়ে যাবে।কিভাবে যে বলব বাবাকে, কতদিন ধরে বলেছে তার ব্যবসা দেখাশোনা করতে, কিন্তু সেই সব কথা তখন কানেই তুলিনি, কিন্তু আজ। বাড়ীতে গিয়েই.... --- বাবা আমার একটা কথা ছিলো? --- হ্যা বল। --- আমি তোমার ব্যবসা দেখাশোনা করতে রাজি। কথাটা বাবা শোনার পরেই কেমন চোঁখ করে দেখছে। মনে হচ্ছে চোঁখ দুটো বেড়িয়ে আসবে। --- তা হঠাৎ এমন মনোভাব কিভাবে হলো জানতে পারি। --- এমনিই তো, ভেবে দেখলাম আর কত ঘুরে বেড়াবো, তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম। বাবা আর কিছু বলল না। এরপর থেকেই বাবার ব্যবসা দেখছি এখন। কী আর করব সুষমার ভালবাসা পাওয়ার জন্য সব কিছু করতে পারি।কিন্তু সুষমা আমাকে ভালবাসে তো, সেটাই বুঝতে পারছি না। সুষমার কথা ভাবতে ভাবতেই সুষমার ফোন.... --- এই যে শোভন সাহেব আমার কথা বুঝি আর মনে নেই আপনার। --- কী যে বলো, তোমার কথায় ভাবছিলাম। --- আমার কথা ভাবলে ঠিকই খোঁজ নিতে। --- আসলে ব্যবসার কাজের অনেক চাপ তাই সুযোগ করে উঠতে পারিনি। --- হুম বুঝি তো,আর কিছুদিন পর তো ঠিকই ভুলে যাবেন। --- কখনোই না, যাকে ভালবাসি তাকে এতো সহজে ভুলি কী করে। --- জ্বী হইছে, আর শোনেন ঠিকমত নামাজ পড়বেন। --- আচ্ছা পড়বো তো। --- আর আপনি ভাল আছেন তো? --- হুমম, তুমি? (আমি সুষমার নিঃশ্বাসটা অনুভব করতে পারছি, অনুভুতিটা বোঝানোর মত না) --- হুমম, এখন রাখছি আম্মু ডাকতেছে। আর আগামীকাল বিকাল পাঁচটায় দেখা করবেন কথা আছে। আর আসার সময় পাঞ্জাবি পড়ে আসবেন। কথাটা বলেই সুষমা ফোন কেটে দিলো। পাগলী একটা, এই পাগলীটা এসেই আমার জীবনটা কেমন জানি বদলে দিলো। সুষমা আমার জীবনে না আসলে আমার জীবনটা যে কেমন হতো, হয়তো অন্ধকারে চলে যেতো, হয়তো না। সুষমা আর আমি পাশাপাশি একই ছাতার মধ্যে বসে আছি। একটা সবুজ রঙ্গের পাঞ্জাবি পড়ে আসছি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। আর সুষমা স্বাভাবিক ভাবেই বসে আছে। দুজনেই চুপ এখন, কিন্তু কথাটা আমি শুরু করলাম.... --- সুষমা তুমি আমাকে ভালবাসো? --- জানি না। --- সত্যি জানো না? --- তাও জানি না। চুপ করে বৃষ্টি দেখেন তো। --- সেটা তো দেখবো। কিন্তু কেনো ডেকেছো জানতে পারি? --- তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছিলো তাই ডেকেছি। (আমি ভাবছি এই মেয়েটাকে ঠিক বুঝতে পারছি না, সত্যি আমাকে ভালবাসে তো) --- বলো না ভালবাসো কিনা? --- বললাম তো জানি না। আমি ছাতার মধ্য থেকে বের হয়ে দাড়িয়ে পড়লাম, চলে যাওয়ার উপক্রম, কিন্তু কেউ আমার হাতের একটা আঙ্গুল ধরে বলতে লাগল.... ---- বাসা থেকে ছেলে দেখছে। কী করব আমি? --- কী, তুমি একবার বলো আমাকে ভালবাসো কিনা, বাকিটা আমি দেখছি। (সুষমা ছাতার মধ্যে দাড়িয়ে, আর আমি ভিজছি ছাতার বাইরে দাড়িয়ে) --- গাধারাম সেই একই কথা আবার, তোমাকে ভাল না বাসলে কেনো তোমার সাথে দেখা করব? কেনো তোমাকে শাসন করব? কেনো তোমাকে আমার মনের মত করে গুছিয়ে নিলাম। এসব বোঝনা তুমি, ভালবাসি তাই করেছি, সব কী মুখে বলতে হয়? হ্যা ভালবাসি অনেক ভালবাসি। (কথাগুলো একেবারে বললো সুষমা) আমি কিছু বললাম না,শুধু ছাতাটা উড়িয়ে দিয়ে চেচিয়ে বললাম, আমিও অনেক ভালবাসি। আগামীকাল বিয়ের প্রস্তাব যাবে তোমাদের বাড়ী। --- কীহহ, যদি বাসা থেকে না মানে? --- দাদাগিরি দেখিয়ে তুলে নিয়ে আসবো তাহলে। সুষমা আর কিছু বলল না, আমি আর সুষমা দুজনে দুজনার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজছি, আর বৃষ্টিটা কে উপভোগ করছি,, এর মদ্ধেই হঠাৎ করে বিকট এক শব্দ হল। শব্দের তীব্রতায় কখন বেহুস হয়ে গেছি মনে নেই। তবে যখন হুস ফিরে পেলাম তখন সুষমার কথা মনে হতেই দেখি খাম্বার মত দারিয়ে আছে মেয়েটা। নড়ছেও না, চড়ছে ও না। ভয়ে ভয়ে গায়ে হাত দিতেই,,, ছাইয়ে পরিনত হল সুষমা। সেদিন থেকে আমি আর ভয়ে বৃস্টিতে ভিজি না। বৃষ্টি হলেই ঘরে লেপ মুরি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকি। বাইরেও বের হই না। কেননা আমার জীবন আমার কাছে অনেক প্রিয়। হুদাই ঠাডা পরে মরতে আমি চাইনা।☺ #সাইকো

By kolpobazz

arrow_backবৃষ্টি ভেজা ভালোবাসা arrow_drop_downsettingsmore_vert close বৃষ্টি ভেজা ভালোবাসা বৃষ্টি ভেজা ভালোবাসা Rikto Mahmud Shovon person_addঅনুসরণ রেটিং শেয়ার করুন বৃষ্টি ভেজা ভালোবাসা --- এই যে শুনুন? --- জ্বী আমাকে বলছেন? --- প্রতিদিন তো আপনিই ফলো করেন আমাকে, তাহলে নিশ্চয়ই আপনাকেই বলছি। (আমি একটু অবাক হয়ে আমতা আমতা করতে লাগলাম) --- না মানে ইয়ে, আসলে.... --- থাক আর ইয়ে মানে করা লাগবে না। ছাতাটা ধরুন। --- মানে? --- মানে বুঝেন না, বৃষ্টি পড়ছে ছাতাটা ধরুন, দেখছেন না আমি ছাতা নিয়ে আসেনি? (আমি বুঝতেই পারছি না, মেয়েটা সব কীভাবে বুঝে গেলো) --- এতো বড় ছাতা, তাও আবার ফুটো? --- আসলে অনেকদিন ব্যবহার করা হয় নাতো তাই। --- হুমম, তা বৃষ্টির দিনেও আমাকে ফলো করতে আসতে হলো কেনো? আজকে একটু বিশ্রাম নিতে পারতেন। --- না মানে, তোমাকে মানে আপনাকে একদিন না দেখলে আমার মনের মধ্যে শূন্যতা বিরাজ করে, তাই....? --- থাক হইছে হইছে, আর পাম দিতে হবে না, সব ছেলেদের চেনা আছে। --- আমি সবার মত না। --- সবাই একই কথা বলে, আমি সবার মত না। আর হ্যা আপনাকে আর যাওয়া লাগবে না, সামনেই আমার বাসা, এতটুকু আমি একাই যাবো। --- জ্বী ঠিক আছে। --- আর শুনুন আগামীকাল থেকে ছোট ছাতা নিয়ে আসবেন। --- মানে? --- মানে বোঝা লাগবে না। যেটা বলছি সেটা করবেন। কথাটা বলেই সুষমা চলে গেলো। এতক্ষন সুষমার সাথে একই ছাতার মধ্যে হাটছিলাম। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না যাকে এতদিন ফলো করছি সে হঠাৎ-ই আমাকে এভাবে অবাক করে দিবে। যখন হাটছিলাম তখন সুষমার শরীর থেকে মাতাল করা ঘ্রান বের হচ্ছিলো। যেটা হাজার পারফিউম কেউ হার মানাই। আর আমি শোভন; বাবা-মার বড় ছেলে আর মায়ের আদরের লক্ষী ছেলে। বাবার বিরাট বড় ব্যবসা আছে তাই আর নিজের কোন চিন্তা নেই। তবে এলাকায় মাঝে মধ্যে দাদাগিরি করি, সেই সুবাদে কিছুটা পরিচিতিও আছে। আর ঠিক একদিন.... --- দোস্ত সিগারেটটা ধরিয়ে দে তো? --- এই নে টানতে থাক। --- কিরে আজকে তো কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। সব মেয়েরা কোন পথ দিয়ে যাচ্ছে এখন। --- আমাদের ভয়তে মনে হয় অন্য পথ ধরেছে। (ঠিক এমন সময় একটা ছেলে এসে বলল) --- ভাইয়ারা আপনারা এখানে দাড়িয়ে ডিস্ট্রার্ব করেন এটা কী ঠিক বলেন। --- এই কে রে তুই আমাদের জ্ঞান দিতে আসছিস? তারপরেই আমরা সবাই মিলে ছেলেটা কে মারতে লাগলাম, কিন্তু এমন সময় পাশ দিয়ে একটা মেয়ে গেলো, সেখান থেকেই দাদাগিরি করার সময় পাই না, ফলো করতে করতেই সময় শেষ। পরের দিন.... --- ছাতাটা মনে হচ্ছে নতুন কিনেছেন? (সুষমা) --- না আসলে, হুমম। (আমি) --- তা আমাকে ফলো করেন কেনো? --- সত্যি বলতে ভালবাসি। --- কতজন কে ভালবাসেন? --- মানে,আমি শুধু তোমাকেই মানে আপনাকেই বাসি। --- তো যারা এলাকায় দাদাগিরি করে, মেয়েদের বিরক্ত করে তেমন ছেলে আমার পছন্দ না। --- আমি সব কমিয়ে দিয়েছি। ঐসব আর তেমন করি না। --- কমালে হবে না, একদম ছেড়ে দিতে হবে। --- আচ্ছা ছেড়ে দিবো, তোমার জন্য মানে আপনার জন্য সব ছেড়ে দিবো। --- ঠিক আছে তুমি করে বলতে পারেন। কিন্তু আপনার বন্ধুরা তো করে, তাদের নিষেধ করে দিবেন। --- হুমম, মাথা নেড়ে হ্যা সূচক জবাব দিলাম। কথাটা বলেই সুষমা আমার ছাতাটা নিয়ে চলে গেলো। এতক্ষন লেকের পাশেই দুজনে এক ছাতার মধ্যে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম। আমার নিজেরই বিশ্বাস হয় না আমি দাদাগিরি করেছি, কারন এই মেয়ের সামনে আসলেই কেমন নিজেকে বিড়াল মনে হয়। তারপর থেকে বন্ধুদেরও বলে দিলাম যাতে এমন দাদাগিরি না করে। আমার এমন পরিবর্তন দেখে আমার বাবা-মাও আমাকে চিনতে পারে না। আর বন্ধুদের কথা নাই বা বললাম। সবাই কী যে ভাবে আমাকে বুঝতেছি না। সুষমাকে প্রথম দেখায় ভাল লেগে গেছিলো, তারপর ভাল লাগা থেকেই ভালবাসা। --- কী ব্যাপার বলে ছিলাম না তাড়াতাড়ি আসতে? (সুষমা) --- আসলে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তাই....? (আমি) --- হইছে হইছে আর বলা লাগবে না। --- সুষমা তুমি আমাকে ভালবাসো? --- হঠাৎ এই প্রশ্ন। --- না আসলে আমি তো বলেছি কিন্তু তুমি তো মুখ ফুটে কিছু বলোনি তাই শুনতে চাচ্ছিলাম আর কী। --- সময় হলেই সব জানতে পারবেন। --- আমাকে তুমি করে বলতে পারো না। --- না পারি না। --- তাহলে আমিও আপনি করে বলবো। --- একদম খুন করে ফেলবো। --- কেনো? --- আমি আপনি করেই বলবো, আর আপনি আমাকে তুমি করেই। (সুষমার কথার কোন আগা মাথায় বুঝতেছি না। ঠিক ভালবাসে কিনা সেটাও বুঝতে পারছি না) --- এই যে কী ভাবছেন। --- নাহ কিছু না। --- শোনেন আগামীকাল থেকে আপনার বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করবেন। --- আমি ব্যবসা....? --- জ্বী আপনিই ব্যবসা, না হলে আর দেখা করব না। --- না,না,না....তোমার কথাই হবে। সুষমা চলে গেলো, অবশ্য আজ বৃষ্টি নেই। কিন্তু প্রতিদিন কোন একটা কাজ ধরিয়ে দিয়ে যাবে।কিভাবে যে বলব বাবাকে, কতদিন ধরে বলেছে তার ব্যবসা দেখাশোনা করতে, কিন্তু সেই সব কথা তখন কানেই তুলিনি, কিন্তু আজ। বাড়ীতে গিয়েই.... --- বাবা আমার একটা কথা ছিলো? --- হ্যা বল। --- আমি তোমার ব্যবসা দেখাশোনা করতে রাজি। কথাটা বাবা শোনার পরেই কেমন চোঁখ করে দেখছে। মনে হচ্ছে চোঁখ দুটো বেড়িয়ে আসবে। --- তা হঠাৎ এমন মনোভাব কিভাবে হলো জানতে পারি। --- এমনিই তো, ভেবে দেখলাম আর কত ঘুরে বেড়াবো, তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম। বাবা আর কিছু বলল না। এরপর থেকেই বাবার ব্যবসা দেখছি এখন। কী আর করব সুষমার ভালবাসা পাওয়ার জন্য সব কিছু করতে পারি।কিন্তু সুষমা আমাকে ভালবাসে তো, সেটাই বুঝতে পারছি না। সুষমার কথা ভাবতে ভাবতেই সুষমার ফোন.... --- এই যে শোভন সাহেব আমার কথা বুঝি আর মনে নেই আপনার। --- কী যে বলো, তোমার কথায় ভাবছিলাম। --- আমার কথা ভাবলে ঠিকই খোঁজ নিতে। --- আসলে ব্যবসার কাজের অনেক চাপ তাই সুযোগ করে উঠতে পারিনি। --- হুম বুঝি তো,আর কিছুদিন পর তো ঠিকই ভুলে যাবেন। --- কখনোই না, যাকে ভালবাসি তাকে এতো সহজে ভুলি কী করে। --- জ্বী হইছে, আর শোনেন ঠিকমত নামাজ পড়বেন। --- আচ্ছা পড়বো তো। --- আর আপনি ভাল আছেন তো? --- হুমম, তুমি? (আমি সুষমার নিঃশ্বাসটা অনুভব করতে পারছি, অনুভুতিটা বোঝানোর মত না) --- হুমম, এখন রাখছি আম্মু ডাকতেছে। আর আগামীকাল বিকাল পাঁচটাই দেখা করবেন কথা আছে। আর আসার সময় পাঞ্জাবি পড়ে আসবেন। কথাটা বলেই সুষমা ফোন কেটে দিলো। পাগলী একটা, এই পাগলীটা এসেই আমার জীবনটা কেমন জানি বদলে দিলো। সুষমা আমার জীবনে না আসলে আমার জীবনটা যে কেমন হতো, হয়তো অন্ধকারে চলে যেতো, হয়তো না। সুষমা আর আমি পাশাপাশি একই ছাতার মধ্যে বসে আছি। একটা সবুজ রঙ্গের পাঞ্জাবি পড়ে আসছি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। আর সুষমা স্বাভাবিক ভাবেই বসে আছে। দুজনেই চুপ এখন, কিন্তু কথাটা আমি শুরু করলাম.... --- সুষমা তুমি আমাকে ভালবাসো? --- জানি না। --- সত্যি জানো না? --- তাও জানি না। চুপ করে বৃষ্টি দেখেন তো। --- সেটা তো দেখবো। কিন্তু কেনো ডেকেছো জানতে পারি? --- তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছিলো তাই ডেকেছি। (আমি ভাবছি এই মেয়েটাকে ঠিক বুঝতে পারছি না, সত্যি আমাকে ভালবাসে তো) --- বলো না ভালবাসো কিনা? --- বললাম তো জানি না। আমি ছাতার মধ্য থেকে বের হয়ে দাড়িয়ে পড়লাম, চলে যাওয়ার উপক্রম, কিন্তু কেউ আমার হাতের একটা আঙ্গুল ধরে বলতে লাগল.... ---- বাসা থেকে ছেলে দেখছে। কী করব আমি? --- কী, তুমি একবার বলো আমাকে ভালবাসো কিনা, বাকিটা আমি দেখছি। (সুষমা ছাতার মধ্যে দাড়িয়ে, আর আমি ভিজছি ছাতার বাইরে দাড়িয়ে) --- গাধারাম সেই একই কথা আবার, তোমাকে ভাল না বাসলে কেনো তোমার সাথে দেখা করব? কেনো তোমাকে শাসন করব? কেনো তোমাকে আমার মনের মত করে গুছিয়ে নিলাম। এসব বোঝনা তুমি, ভালবাসি তাই করেছি, সব কী মুখে বলতে হয়? হ্যা ভালবাসি অনেক ভালবাসি। (কথাগুলো একেবারে বললো সুষমা) আমি কিছু বললাম না,শুধু ছাতাটা উড়িয়ে দিয়ে চেচিয়ে বললাম, আমিও অনেক ভালবাসি। আগামীকাল বিয়ের প্রস্তাব যাবে তোমাদের বাড়ী। --- কীহহ, যদি বাসা থেকে না মানে? --- দাদাগিরি দেখিয়ে তুলে নিয়ে আসবো তাহলে। সুষমা আর কিছু বলল না, আমি আর সুষমা দুজনে দুজনার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজছি, আর বৃষ্টিটা কে উপভোগ করছি। শুরু হলো আমাদের বৃষ্টি ভেজা ভালবাসার নতুন জীবন। (সমাপ্ত

By kolpobazz

Monday, April 1, 2019

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৩৯ রাতগল্প (পর্ব-০৩ ) নিতু কে একদিন দেখলাম নতুন কারো গাড়িতে একই ভাবে, একই সাজে, একই হাসি তে। সবই ঠিক আছে শুধু কয়েক মূহুর্তের ব্যবধানে পাশের মানুষটির আমূল পরিবর্তন। হয়তো নতুন কারো আঙ্গুলে আঙ্গুল গুঁজে তাকে বৃথা স্বপ্ন দেখানো। যে স্বপ্নে ভবিষ্যৎ বাড়ির ব্যালকনির ডিজাইন পর্যন্ত আঁকা হয়ে যাবে। এঘটনার পর দু একজন কাছের বন্ধু ছাড়া, কোনোরূপ গাঢ় সম্পর্কের পথ আর মাড়াই নি। দুঃখ ভুলে থাকতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ শুরু করলাম। এখনো মাঝেমাঝে হুটহাট বেরিয়ে পড়ি। একবার অবশ্য আত্নহননের চেষ্টাও করেছিলাম। পারিনি বলবো না; আসলে মরিনি। সৃষ্টিকর্তা মারেননি। “কিন্তু এ গল্প আমাকে শোনালেন কেন?” “শোনালাম এজন্য যে আপনারা প্রস্টিটিউট পেটের তাগিদে আর নিতুরা বিলাসিতায়। আর আমি নিতুকে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছিলাম, তবে অনেক কস্টে ধাক্কাটা কাটিয়েছি বলতে পারেন” জরি খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে বলে, “ওমা, তাইলে তো আপনে ভালোই ছ্যাঁক খাইসেন দেখতেসি” “মজা নিচ্ছেন বুঝি! আসলে ওটা একটা মোহ ছিলো, ছ্যাঁক তো খেয়েছি তার আরো পরে, আর সেটা দমাতেই তো এখানে আসা আমার, যখন শুনলাম…। “কি?” “না, থাক” “ক্যান, আপনের ছলনার গল্প শুনলাম, আপনের মায়ার গল্পটাও বলেন” আবির মৃদু হেসে বললো,”অবশ্যই বলবো, বলবো বলেই তো এসেছি। কিন্তু তার আগে তো আমাকে আপনার গল্পটাও শুনতে হবে তাইনা” “আমার গল্প?” “হুমমম, আপনার গল্প! আপনার এ জীবনে আসার গল্প, এপথে আসার গল্প, আপনার দুঃখ দুর্দশার গল্প। যারাই এপথে আসে তাদের প্রত্যেকেরই কারো না কারো কোনো না কোনো গল্প থাকে?” “সে বিরাট হিশটিরি, আপনে শুইনে কি করবেন?” “আহা বললাম তো, কিছু শুনবো এবং কিছু শোনাবো বলেই তো এসেছি, এত ইতস্ততঃ না করে বলে ফেলুন” “বড় দুঃখের কাহিনী সাব, সেই কথা মনে পড়লে আমার এখনো চোখের পানি আসে।” তারপর, খানিকক্ষন দুজনই বেশ নিশ্চুপ, নীরবতা ভেঙে জরিই প্রথম মুখ খোলে.. “ঠিক আছে, শুনতে যখন চাইলেন তখন বলি…চোখে জল নিয়ে জরি বলতে শুরু করলো, ইতিমধ্যেই গলায় স্বরও কেমন কাঁদো কাঁদো শোনাচ্ছে ..মনে হচ্ছে অনেককালের জমেথাকা কোনো কষ্টের মেঘ আজ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ার অপেক্ষায় …… জরিদের গ্রামের নাম ছিলো ফুলপুর। ছ সাত বছর আগেও সে গ্রামের রাস্তাঘাটের চেহারা ছিলো কংকালসার শরীরে চিমসানো গালভাঙা বুড়োদের মতো। একেবারে বেহাল দশা যাকে বলে। মাইল কয়েক দূরে আধাপাকা বিদ্যালয়ই ছিলো ছ সাত গ্রামের শিক্ষা ব্যাবস্থার একমাত্র অবলম্বন। এ অঞ্চলে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে ছিলো হাজী করিম উচ্চ বিদ্যালয়। পায়ে হাটা কাচা পথ পেরিয়েই বিদ্যালয়ে ছুটতে হতো জরিকে। মাঝেমধ্যে এর ওর কাছ থেকে চেয়েচিন্তে বই টই পড়ে টেনেটুনে যখন সপ্তম শ্রেণীতে তখন অকালেই জরির মা মরলো কলেরায়। যাতায়াত ব্যাবস্থা, অন্ধবিশ্বাসের মায়াজাল টপকানো কিংবা যে কোনো অযুহাতেই হোক ডাক্তার হসপিটালের ছিটেফোঁটাও দেখা মিললো না। ধোলু ফকিরের তাবিজ কবচ, অল্পবিস্তর ঝাড়ফুঁক-পানিপড়া কোনরুপ সদগতি করতে না পারায় জরির মাকে বেশ অকালেই দুনিয়া ছাড়তে হলো। জরিকে ছাড়তে হলো মায়ের ভালবাসা। আর জরির বাবা নয়া ভালবাসার খোঁজে ঘরে তুললো জরির নতুন মা কে। প্রথম দিকে নতুন মা মিষ্টি মিষ্টি কথা শোনালেও ধীরে ধীরে সে মিষ্টি তেতো তে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি। মাস কয়েক যেতে না যেতেই সে বুঝতে শুরু করে নতুন মা আর নতুন নেই; বেশ পুরোনো হয়ে গেছে, সেটা তার সৎ মা। দিন গড়াতে লাগলো আর জগৎসংসারে একলা জরির চোখের সামনে সৎমায়ের আসল অবয়বটা ধীরে ধীরে ফুটে বেরুতে লাগলো। তারপরেও মানসিক কিংবা শারীরিক অত্যাচারে জর্জরিত হয়েও কোনরকমে খেয়ে পড়ে বেশ টিকেই ছিলো। কিন্তু সেই টিকে থাকার দৌড়ে আচমকাই একটা দূর্ঘটনায় যেন অকস্মাৎ ই মাথায় বজ্রপাত ঘটলো। বছরের মাঝামাঝি তখন সবে অষ্টম শ্রেণীতে। হাসিখুশি মেয়েটি আচমকা এমন কান্ড বাধিয়ে বসবে তা বোধহয় কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। মাঝে মাঝেই ক্লাসের একটা ছেলে বেশ ইয়ার্কি করেই ক্ষ্যাপাতো, “তুই আমার বউ হবি”…ক্লাসেও অনেকেই তাকে ভাবী বলে ক্ষ্যাপাতো। একদিন মাঠে খেলতে খেলতে আচমকাই ছেলেটা তাকে বলে বসলো “তুই আমার বউ হবি”… আর অমনিই ও রেগে গিয়ে ছেলেটিকে সজোরে ধাক্কা মেরে বসে। তার হয়তো খেয়ালেই ছিলো না একদম ইঞ্চি কয়েক পাশেই গভীর পুকুর। ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেরে ছেলেটি পুকুরে গিয়ে পড়ে। সাঁতার না জানা ছেলেটি গভীর জলে হাবুডুবু খেতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আতংকিত মনে ছুটে সেখান থেকে পালিয়ে আসে সে। গ্রামের চেয়ারম্যান সাহেবের ছোটভাইয়ের ছেলে হওয়ায় জরির পরিবারের ভয় ও উৎকন্ঠাও তখন তুঙ্গে। সেটা পুরোদস্তুর মাত্রা ছাড়ায়, যখন রাতের বেলা রহিম মিয়া ফিসফিসিয়ে খবর দিলো, “বাঁচতে চাইলে মাইয়ারে লইয়া তাড়াতাড়ি পলাও, অবস্থা তো সুবিধার না, পোলা তো শুনলাম মইরা গেছে”… সে রাতেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে জরির পরিবার গ্রাম ছাড়লো। দু দিন বাদে তাদের আশ্রয় হলো ঐ গ্রামেরই নিকটবর্তী মাইল কয়েক দূরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এক গ্রামে। এর মাসকয়েক পরেই জরির বাবা ভারতে চলে যায়। সেই যে গেলো আর ফিরে এলো না। দেখতে দেখতে একবছর পেরিয়ে গেলো কিন্তু জরির বাবার কোনো হদিশ মিললো না। এদিকে তার উপর নেমে এলো সৎমায়ের অত্যাচারের খড়গ। তবে সদ্য কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা দেয়া মেয়েটির চোখ একদিন আনন্দে জ্বলজ্বল করে উঠলো। তবে তা আনন্দ ছিলো নাকি আশার ধোঁয়াশা তা বুঝতে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল … “জরি মা, এদিকে আয়” “কি চাচা?” “আরে জব্বর খবর আছে” “কি?” “আমি যেইডা দেখছি, শুনলে তুই বিশ্বাস করতে পারবি না” “কি??” “আরে, তর বাপের সাথে আমার দেখা হইসিলো তো?? তর কথা জিগাইলো?” “সত্যি!!!” জরির চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে! হয়তো এতোদিনে তার কষ্ট ঘুচবে এই আশায়। “কোনহানে” “কোনহানে আবার? ভারতে” “ক্যামনে?” “তুই তো জানোস আমি মাঝেসাঝে ভারতে যাই, জিনিস-পাতি আনি, আমার আবার গরুর ব্যাবসাটাও দেখতে হয়। গত সপ্তায় গেলাম ভারতে, ওইখানে বাজারে এক লোকেরে দেইখা মনে হইলো ইনারে কই জানি দেখছি মনে হয়, এই বইলা কাছে যাইয়া জিজ্ঞেস করতেই.. আরে বদরুল ভাই না? বইলে আমারে বুকে জড়ায় ধরলো, আমি তো অবাক। যার কথা কইতাছি, এইটাই তর বাপ” “সত্যি” “সত্যি না তো, আমি বানায় কইতেছি নাকি” “তারপর” “তারপর আমার সেকি খাতির যত্ন, এমন যত্ন বিদেশে নিজের লোকরেই মাইনসে করে।” “আব্বা আমার কথা কিছু কইছে”, আনন্দমাখা জলে জরির চোখ চিকচিক করে ওঠে। “আরে কইছে মানে, সেই কথা বলতেই তো এইখানে আসলাম রে পাগলী” “কি কইসে?” “তোকে ঐখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়া যাইতে বলসে” জরি অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, “আমি যাবো??” “নয়তো কি? তোর বাপে আসবে? তোর বাপের কাজ ফালাইয়া এক চুল নড়নের টাইম নাই ঐখানে” উত্তরে জরি নিশ্চুপ থাকে। “কি রে কথা কস না ক্যান, কি চিন্তা করোস” “কিন্তু আমি যাবো ক্যামনে, ঐদেশে যাইতে গেলে শুনসি পাসপোর্ট না কি জানি লাগে?” “আরে ধুর!! পাগলী কয় কি? কিচ্ছু লাগবে না, আরে তর বাপে গেছে না, আমি যাইনা, আরে.. আমারে দেখলে ঐ বিডিআর দেখছস?, খাড়াইয়া ছ্যালুট দেয়, সব হইতেছে গিয়া ট্যাকা, বুঝলি!” “আমি ট্যাকা পাবো কই?” “আমি আছি কি জন্যে, তর বাপেরে কথা দিসি। একবার যখন দায়িত্ব নিছি, তখন যাওয়ার সব দায় দায়িত্ব আমার।” “কবে যাইবেন?” “আমি যাবোনা, আমার অতি বিশ্বস্ত এক লোক আছে, সে নিয়ে যাবে! পরশু রাইত ১২টার পর রেডি থাকবি” “রাইতে?” “হ, রাইতে। আরে বিনা টাকায় চুরি কইরা যাবো, রাইতে নাতো কি দিনে নাকি? তবে বিডিআররে খালি চা পান বাবদ কিছু দিতে হবে। ঐটা আমি দিয়ে দিবোনে” গল্প বলার মাঝে আচমকাই কয়েকবার দরজার খটখট্ শব্দটায় সম্বিত ফেরে আবির ও জরির। তন্ময় হয়ে গল্প শুনছিলো আবির। জরির গল্প বলায় বাধা পড়ে। আবির খানিকটা চমকে ওঠে। “কে এলো দরজায় এতো রাতে” জরি বিরক্ত হয়ে উত্তর দেয়, “আমার এইখানে বদমাইশ মানুষ ছাড়া আর কে আসতে পারে” আবির মৃদু হেসে জিজ্ঞাসা করে,”আমাকেও কি আপনার বদমায়েশ মনে হয়” জরি মুচকি হেসে বলে,”এখন তক তো কোনো বদমাইশি দেখি নাই, হিহিহি দেখি কতক্ষন ভদ্রলোক থাকেন?” “আপনার হাসি টা না বেশ রহস্যময়” “তাই বুঝি?” “হুমমম!” এই কে রে দরজায়? এত রাইতে কে?, হাঁক ছাড়ে জরি। “আমি!”, দরকার ওপারে পুরুষের কন্ঠস্বর। “সকালের আগে দরজা খোলা যাবে না, নিষেধ আছে, রুমে লোক আছে” কিছুক্ষণ পরে আর কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। হঠাৎই আবির বলে, “বেশ ডুবে গিয়েছিলাম আপনার জীবনের ভেতরে, আপনার কষ্টটা অনুভব করতে পারছি” “চা খাবেন!” “যদি বিষটিষ বা ঔষধ না মিশিয়ে দেন তবে চলতে পারে এক কাপ, অবশ্যই চিনি ছাড়া”

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৩৯ রাতগল্প (পর্ব-০২ ) নিতু কে একদিন দেখলাম নতুন কারো গাড়িতে একই ভাবে, একই সাজে, একই হাসি তে। সবই ঠিক আছে শুধু কয়েক মূহুর্তের ব্যবধানে পাশের মানুষটির আমূল পরিবর্তন। হয়তো নতুন কারো আঙ্গুলে আঙ্গুল গুঁজে তাকে বৃথা স্বপ্ন দেখানো। যে স্বপ্নে ভবিষ্যৎ বাড়ির ব্যালকনির ডিজাইন পর্যন্ত আঁকা হয়ে যাবে। এঘটনার পর দু একজন কাছের বন্ধু ছাড়া, কোনোরূপ গাঢ় সম্পর্কের পথ আর মাড়াই নি। দুঃখ ভুলে থাকতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ শুরু করলাম। এখনো মাঝেমাঝে হুটহাট বেরিয়ে পড়ি। একবার অবশ্য আত্নহননের চেষ্টাও করেছিলাম। পারিনি বলবো না; আসলে মরিনি। সৃষ্টিকর্তা মারেননি। “কিন্তু এ গল্প আমাকে শোনালেন কেন?” “শোনালাম এজন্য যে আপনারা প্রস্টিটিউট পেটের তাগিদে আর নিতুরা বিলাসিতায়। আর আমি নিতুকে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছিলাম, তবে অনেক কস্টে ধাক্কাটা কাটিয়েছি বলতে পারেন” জরি খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে বলে, “ওমা, তাইলে তো আপনে ভালোই ছ্যাঁক খাইসেন দেখতেসি” “মজা নিচ্ছেন বুঝি! আসলে ওটা একটা মোহ ছিলো, ছ্যাঁক তো খেয়েছি তার আরো পরে, আর সেটা দমাতেই তো এখানে আসা আমার, যখন শুনলাম…। “কি?” “না, থাক” “ক্যান, আপনের ছলনার গল্প শুনলাম, আপনের মায়ার গল্পটাও বলেন” আবির মৃদু হেসে বললো,”অবশ্যই বলবো, বলবো বলেই তো এসেছি। কিন্তু তার আগে তো আমাকে আপনার গল্পটাও শুনতে হবে তাইনা” “আমার গল্প?” “হুমমম, আপনার গল্প! আপনার এ জীবনে আসার গল্প, এপথে আসার গল্প, আপনার দুঃখ দুর্দশার গল্প। যারাই এপথে আসে তাদের প্রত্যেকেরই কারো না কারো কোনো না কোনো গল্প থাকে?” “সে বিরাট হিশটিরি, আপনে শুইনে কি করবেন?” “আহা বললাম তো, কিছু শুনবো এবং কিছু শোনাবো বলেই তো এসেছি, এত ইতস্ততঃ না করে বলে ফেলুন” “বড় দুঃখের কাহিনী সাব, সেই কথা মনে পড়লে আমার এখনো চোখের পানি আসে।” তারপর, খানিকক্ষন দুজনই বেশ নিশ্চুপ, নীরবতা ভেঙে জরিই প্রথম মুখ খোলে.. “ঠিক আছে, শুনতে যখন চাইলেন তখন বলি…চোখে জল নিয়ে জরি বলতে শুরু করলো, ইতিমধ্যেই গলায় স্বরও কেমন কাঁদো কাঁদো শোনাচ্ছে ..মনে হচ্ছে অনেককালের জমেথাকা কোনো কষ্টের মেঘ আজ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ার অপেক্ষায় …… জরিদের গ্রামের নাম ছিলো ফুলপুর। ছ সাত বছর আগেও সে গ্রামের রাস্তাঘাটের চেহারা ছিলো কংকালসার শরীরে চিমসানো গালভাঙা বুড়োদের মতো। একেবারে বেহাল দশা যাকে বলে। মাইল কয়েক দূরে আধাপাকা বিদ্যালয়ই ছিলো ছ সাত গ্রামের শিক্ষা ব্যাবস্থার একমাত্র অবলম্বন। এ অঞ্চলে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে ছিলো হাজী করিম উচ্চ বিদ্যালয়। পায়ে হাটা কাচা পথ পেরিয়েই বিদ্যালয়ে ছুটতে হতো জরিকে। মাঝেমধ্যে এর ওর কাছ থেকে চেয়েচিন্তে বই টই পড়ে টেনেটুনে যখন সপ্তম শ্রেণীতে তখন অকালেই জরির মা মরলো কলেরায়। যাতায়াত ব্যাবস্থা, অন্ধবিশ্বাসের মায়াজাল টপকানো কিংবা যে কোনো অযুহাতেই হোক ডাক্তার হসপিটালের ছিটেফোঁটাও দেখা মিললো না। ধোলু ফকিরের তাবিজ কবচ, অল্পবিস্তর ঝাড়ফুঁক-পানিপড়া কোনরুপ সদগতি করতে না পারায় জরির মাকে বেশ অকালেই দুনিয়া ছাড়তে হলো। জরিকে ছাড়তে হলো মায়ের ভালবাসা। আর জরির বাবা নয়া ভালবাসার খোঁজে ঘরে তুললো জরির নতুন মা কে। প্রথম দিকে নতুন মা মিষ্টি মিষ্টি কথা শোনালেও ধীরে ধীরে সে মিষ্টি তেতো তে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি। মাস কয়েক যেতে না যেতেই সে বুঝতে শুরু করে নতুন মা আর নতুন নেই; বেশ পুরোনো হয়ে গেছে, সেটা তার সৎ মা। দিন গড়াতে লাগলো আর জগৎসংসারে একলা জরির চোখের সামনে সৎমায়ের আসল অবয়বটা ধীরে ধীরে ফুটে বেরুতে লাগলো। তারপরেও মানসিক কিংবা শারীরিক অত্যাচারে জর্জরিত হয়েও কোনরকমে খেয়ে পড়ে বেশ টিকেই ছিলো। কিন্তু সেই টিকে থাকার দৌড়ে আচমকাই একটা দূর্ঘটনায় যেন অকস্মাৎ ই মাথায় বজ্রপাত ঘটলো। বছরের মাঝামাঝি তখন সবে অষ্টম শ্রেণীতে। হাসিখুশি মেয়েটি আচমকা এমন কান্ড বাধিয়ে বসবে তা বোধহয় কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। মাঝে মাঝেই ক্লাসের একটা ছেলে বেশ ইয়ার্কি করেই ক্ষ্যাপাতো, “তুই আমার বউ হবি”…ক্লাসেও অনেকেই তাকে ভাবী বলে ক্ষ্যাপাতো। একদিন মাঠে খেলতে খেলতে আচমকাই ছেলেটা তাকে বলে বসলো “তুই আমার বউ হবি”… আর অমনিই ও রেগে গিয়ে ছেলেটিকে সজোরে ধাক্কা মেরে বসে। তার হয়তো খেয়ালেই ছিলো না একদম ইঞ্চি কয়েক পাশেই গভীর পুকুর। ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেরে ছেলেটি পুকুরে গিয়ে পড়ে। সাঁতার না জানা ছেলেটি গভীর জলে হাবুডুবু খেতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আতংকিত মনে ছুটে সেখান থেকে পালিয়ে আসে সে। গ্রামের চেয়ারম্যান সাহেবের ছোটভাইয়ের ছেলে হওয়ায় জরির পরিবারের ভয় ও উৎকন্ঠাও তখন তুঙ্গে। সেটা পুরোদস্তুর মাত্রা ছাড়ায়, যখন রাতের বেলা রহিম মিয়া ফিসফিসিয়ে খবর দিলো, “বাঁচতে চাইলে মাইয়ারে লইয়া তাড়াতাড়ি পলাও, অবস্থা তো সুবিধার না, পোলা তো শুনলাম মইরা গেছে”… সে রাতেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে জরির পরিবার গ্রাম ছাড়লো। দু দিন বাদে তাদের আশ্রয় হলো ঐ গ্রামেরই নিকটবর্তী মাইল কয়েক দূরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এক গ্রামে। এর মাসকয়েক পরেই জরির বাবা ভারতে চলে যায়। সেই যে গেলো আর ফিরে এলো না। দেখতে দেখতে একবছর পেরিয়ে গেলো কিন্তু জরির বাবার কোনো হদিশ মিললো না। এদিকে তার উপর নেমে এলো সৎমায়ের অত্যাচারের খড়গ। তবে সদ্য কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা দেয়া মেয়েটির চোখ একদিন আনন্দে জ্বলজ্বল করে উঠলো। তবে তা আনন্দ ছিলো নাকি আশার ধোঁয়াশা তা বুঝতে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল … “জরি মা, এদিকে আয়” “কি চাচা?” “আরে জব্বর খবর আছে” “কি?” “আমি যেইডা দেখছি, শুনলে তুই বিশ্বাস করতে পারবি না” “কি??” “আরে, তর বাপের সাথে আমার দেখা হইসিলো তো?? তর কথা জিগাইলো?” “সত্যি!!!” জরির চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে! হয়তো এতোদিনে তার কষ্ট ঘুচবে এই আশায়। “কোনহানে” “কোনহানে আবার? ভারতে” “ক্যামনে?” “তুই তো জানোস আমি মাঝেসাঝে ভারতে যাই, জিনিস-পাতি আনি, আমার আবার গরুর ব্যাবসাটাও দেখতে হয়। গত সপ্তায় গেলাম ভারতে, ওইখানে বাজারে এক লোকেরে দেইখা মনে হইলো ইনারে কই জানি দেখছি মনে হয়, এই বইলা কাছে যাইয়া জিজ্ঞেস করতেই.. আরে বদরুল ভাই না? বইলে আমারে বুকে জড়ায় ধরলো, আমি তো অবাক। যার কথা কইতাছি, এইটাই তর বাপ” “সত্যি” “সত্যি না তো, আমি বানায় কইতেছি নাকি” “তারপর” “তারপর আমার সেকি খাতির যত্ন, এমন যত্ন বিদেশে নিজের লোকরেই মাইনসে করে।” “আব্বা আমার কথা কিছু কইছে”, আনন্দমাখা জলে জরির চোখ চিকচিক করে ওঠে। “আরে কইছে মানে, সেই কথা বলতেই তো এইখানে আসলাম রে পাগলী” “কি কইসে?” “তোকে ঐখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়া যাইতে বলসে” জরি অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, “আমি যাবো??” “নয়তো কি? তোর বাপে আসবে? তোর বাপের কাজ ফালাইয়া এক চুল নড়নের টাইম নাই ঐখানে” উত্তরে জরি নিশ্চুপ থাকে। “কি রে কথা কস না ক্যান, কি চিন্তা করোস” “কিন্তু আমি যাবো ক্যামনে, ঐদেশে যাইতে গেলে শুনসি পাসপোর্ট না কি জানি লাগে?” “আরে ধুর!! পাগলী কয় কি? কিচ্ছু লাগবে না, আরে তর বাপে গেছে না, আমি যাইনা, আরে.. আমারে দেখলে ঐ বিডিআর দেখছস?, খাড়াইয়া ছ্যালুট দেয়, সব হইতেছে গিয়া ট্যাকা, বুঝলি!” “আমি ট্যাকা পাবো কই?” “আমি আছি কি জন্যে, তর বাপেরে কথা দিসি। একবার যখন দায়িত্ব নিছি, তখন যাওয়ার সব দায় দায়িত্ব আমার।” “কবে যাইবেন?” “আমি যাবোনা, আমার অতি বিশ্বস্ত এক লোক আছে, সে নিয়ে যাবে! পরশু রাইত ১২টার পর রেডি থাকবি” “রাইতে?” “হ, রাইতে। আরে বিনা টাকায় চুরি কইরা যাবো, রাইতে নাতো কি দিনে নাকি? তবে বিডিআররে খালি চা পান বাবদ কিছু দিতে হবে। ঐটা আমি দিয়ে দিবোনে” গল্প বলার মাঝে আচমকাই কয়েকবার দরজার খটখট্ শব্দটায় সম্বিত ফেরে আবির ও জরির। তন্ময় হয়ে গল্প শুনছিলো আবির। জরির গল্প বলায় বাধা পড়ে। আবির খানিকটা চমকে ওঠে। “কে এলো দরজায় এতো রাতে” জরি বিরক্ত হয়ে উত্তর দেয়, “আমার এইখানে বদমাইশ মানুষ ছাড়া আর কে আসতে পারে” আবির মৃদু হেসে জিজ্ঞাসা করে,”আমাকেও কি আপনার বদমায়েশ মনে হয়” জরি মুচকি হেসে বলে,”এখন তক তো কোনো বদমাইশি দেখি নাই, হিহিহি দেখি কতক্ষন ভদ্রলোক থাকেন?” “আপনার হাসি টা না বেশ রহস্যময়” “তাই বুঝি?” “হুমমম!” এই কে রে দরজায়? এত রাইতে কে?, হাঁক ছাড়ে জরি। “আমি!”, দরকার ওপারে পুরুষের কন্ঠস্বর। “সকালের আগে দরজা খোলা যাবে না, নিষেধ আছে, রুমে লোক আছে” কিছুক্ষণ পরে আর কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। হঠাৎই আবির বলে, “বেশ ডুবে গিয়েছিলাম আপনার জীবনের ভেতরে, আপনার কষ্টটা অনুভব করতে পারছি” “চা খাবেন!” “যদি বিষটিষ বা ঔষধ না মিশিয়ে দেন তবে চলতে পারে এক কাপ, অবশ্যই চিনি ছাড়া”

By kolpobazz

Popular Posts