Main Menu

Saturday, March 30, 2019

রাস্তার মধ্যে দাঁড়ায়া কমার্স কলেজের দুই প্রেমিক প্রেমিকা সিরিয়াস লেভেলের ঝগড়া করতেসে। আমি ধৈর্য ধরে স্ট্যাচুর মত দাঁড়িয়ে ঝগড়া দেখতেসি। ভাবছিলাম ব্রেকাপ হলেই একটা চান্স নিবো। কিন্ত একি এখন ও ব্রেকাপ হচ্ছে না। এর মধ্যে দেখলাম মেয়েটা কান্না করছে। আমি আবার নরম দিলের মানুষ। কান্না দেখতে পারিনা। মনে মনে রাগ হল। তাই হাতে থাকা ব্যট টা নিয়ে ছেলের মাথায় একটা বারি মেরে দিলাম। বারি খেয়ে রাস্তায় গরাগরি খাচ্ছে শুয়োরটা। মাথা ফেটে রক্ত বের হয়ে কালো পিচ লাল হয়ে গেছে। মা গো বাবা গো বলে চিল্লাচ্ছে। যাক গোল্লায় যাক হারামির পুত। তাতে আমার কি। আমি আবার মেয়েদের ছাড়া ছেলেদের কস্ট বুঝিনা। এদিক ফিরে মেয়েটার দিকে তাকালাম। মেয়েটা থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হয়ত শক খাইছে রক্ত দেইখা। খাক শক তাতে আমার কি। ভাল কাজ করলে আমার খারাপ লাগে না। রাস্তার পাশে একটা জটলা পরে গেছে। সবাই কইতাছে কি হল মিয়া। আমি কইলাম হালা আমার বউরে রেপ করতে আইছিল। দিসি মাথা ফাটাইয়া। আপ্নারা আমার বউরে দেহেন। আমি যাচ্ছি পুলিশ আননের লাইগা। হ দাদা ঠিক করছেন। হাত পা ভাইংা কেন দিলেন না। ভাবছি সালার জনগন কি আবুইল্লা। এরা এমন যে গু রে পিঠা কইলেও মাইন্না নিব, দিধা করব না। যাউকগা তাতে আমার কি। আমি ত জনগন না। প্রেমিকার প্রেমিকটা বেহুস পরে আছে, কেউ ধরছেও না। আরে ধুর যেখানে অভিজিতরে ধরে নাই সেখানে এই শালা কেডা। আমি এখন মিরপুর ১১ চলে আসছি। রাস্তার পাশে একটা বিরি কিনলাম। টাকা দিব এমন সময় সে রক্তমাখা ব্যটের দিকে তাকাইল কয়েকবার। তারপর,, সালার দোকানদার আর টাকা চাইল না। সালারা ও অদ্ভুত টাকা না থাকলে কোন বাল ও দিব না তয় ভয় পাইলে দেখা জায় পরনে লুনগি খুলে দিতেও টাইম নিবে না। সব শুওর কোথাকার। নাহ এখন এসব ভাব্লে চলবে না। একটা ভাল কাজ করে আসলাম তা ত সালারা বুঝবে না। না বুঝলে কি,, এমন ভাল কাজ সামনে আরও আসলে আমি বার বার করতেও পিছপা হব না। #সাইকো

By kolpobazz

সেবার এক গর্ভবতী মহিলাকে ধরেছিলাম । জননাঙ্গ দিয়ে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম । পেট চিরে দেখলাম , জরায়ু ছিড়ে একটা বাচ্চার মাথা বের হয়ে এসেছে । মহিলার চেয়ে বাচ্চাটাকেই সুস্বাদু মনে হয়েছিল বেশি । প্রায় শখানেক খুন করেছি আমি । কিন্তু ধরা পড়ে গেলাম আজ । হাস্পাতাল থেকে একটা বাচ্চাকে চুরি করে নিয়ে এসেছিলাম । ওহ এখন ও খাওয়া সেশ করতে পারিনি। সিঘ্রই শেষ কর‍তে হবে তা না হলে,,,,, অনেক আগে থেকেই লোকজন আমাকে সন্দেহ করা শুরু করেছিল । আরও সচেতন হওয়া উচিৎ ছিল আমার । ঐ তো ! বারান্দায় লোকদের পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে । সময় আর বেশী নেই । দরজা ভাঙার শব্দ শুনতে পাচ্ছি । #সাইকো ২০১৩

By kolpobazz

ফেসবুকে ছবিতে লাইক কমেন্ট কর‍তে করতে এমন অবস্থা হইছে যে,বেস্ট ফ্রেন্ডের ভাংগা হাতের এক্স-রে রিপোর্ট দেইখা বলছিলাম Wow Nice pic,,enon pic aro chai...👌👌 অত:পর,,,,,,, এখন নিজের পায়ের একটা এক্স-রে করায়া আনলাম 😭😭😭 #সাইকো

By kolpobazz

মায়াবতী,,,, একদিন চকবাজার, বনানির থেকেও ভয়ংকর আগুন লাগিয়ে দেব তোমার অন্তরে। সেদিন বুঝবে তুমি হৃদয় পুড়লে কেমন ব্যথা লাগে। #সাইকো

By kolpobazz

Friday, March 29, 2019

চাইলে লেখাটা ওয়ালে রেখে দিতে পারেন,,,, "মা" মা এখনও অংক বুঝেনা। একটা রুটি চাইলে দুইটা নিয়ে আসে। স্কুল যাওয়ার সময় ও বুঝেনি। ১০টাকা চাইলে ২০টাকা দিয়ে দিত। মা ইংরেজিও বুঝেনা। কেউ যদি I hate u বলে তখনও সে I love u বলে। মা মিথ্যেবাদী । না খেয়ে বলে খেয়েছি। পেটে ক্ষুধা থাকা সত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবারটা সন্তানের জন্য যত্ন করে তুলে রাখে। মা অনকে বোকা। সারাজীবন রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের পিছনে কাটিয়ে দেয়। মা নির্লজ্জ। মা কে কতবার বলি আমার জিনিসে যেনো হাত না দেয়। তবুও মা আমার এলোমেলো পড়ে থাকা জিনিসগুলো নিজ হাতে গুছিয়ে রাখে। মার কোন সাধারণ জ্ঞানটুকুও নেই। আমার প্লেটে খাবার কম দেখলে কেমন জানি করে। বলে এতো কম কেন? এই বলে প্লেটটা ভর্তি করে দেয়। মা যত্ন নিতে জানেনা। নিজের কোমরের ব্যাথা, পিঠের ব্যাথায় ধুকে ধুকে মারা গেলেও কখনও ঔষধের কথা বলেনা। অথচ আমাদের একটু কাশিতে তার দিনটা যেনো উলট পালট হয়ে যায়। ডাক্তার, হাকিম, বৈধ্য সব এক করে বসে। মা ভালো মন্দ বুঝেনা। দামী শাড়ি পরেনা, ভ্যানিটিব্যাগ ঝুলিয়ে, স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘুরতেও যায়না। সারাদিন খালি রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের চিন্তায় দুঃখে কষ্টে জীবনটা কাটিয়ে দেয়। মা স্বার্থপর। নিজের সন্তান ও স্বামীর জন্য মা দুনিয়ার সবকিছু ত্যাগ করতে পারে। সব শেষে মায়েরা পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ। তাই আমরা সন্তানেরা তাদের এতো কষ্ট দেই তবুও তারা পরিবর্তন হয় না। মা আর সন্তানের ভালবাসার মতো। পৃথিবীতে আর কোন ভালবাসা নাই। আসুন না আমরা মাকে ভালবাসি। কেউ যেন মা কে কষ্ট না দিই। এমন কি তারা পৃথিবীতে না থাকলেও যেন নিজের স্বার্থে কুকুরের সাথে তুলনা না করি। আর আল্লাহ্ সকল সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালোবাসা বৃদ্ধি করুক,"বৃদ্ধশ্রম যেন কোন মায়ের ঠিকানা না হয়।" #রিপোস্ট

By kolpobazz

কিরে সাইকো চান কি আজ দিনে উঠছে নাকি,,,?😒 তোর দেখছি মন খারাপ, ভাবা যায়না 😱😱 কি হইছে দেখি ক? ছ্যকা খাইছি দাদা,,,😭😭 ধুরু তরে প্রেম করতেই দেখলাম না জিবনে আর কস খাইসস কিনা ছ্যকা।😒😒 হুর,, আর কইওনা একজনএর উপর ক্রাশ খাইছিলাম। ত কি হইছে?😒😒 আজ প্রপজ করতে যামু এমন সময় সে কয় আমি বিবাহিতা। 😭😭😭😭 ধুরু সালা তরে দিয়া কিচ্ছু হবেনা 👌 #এখন চিন্তা হচ্ছে,,, সত্যি ই কি আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা।। 😩😩 #সাইকো

By kolpobazz

কিরে সাইকো চান কি আজ দিনে উঠছে নাকি,,,?😒 তোর দেখছি মন খারাপ, ভাবা যায়না 😱😱 কি হইছে দেখি ক? ছ্যকা খাইছি দাদা,,, ধুরু তরে প্রেম করতেই দেখলাম না জিবনে আর কস খাইসস কিনা ছ্যকা। হুর,, আর কইওনা একজনএর উপর ক্রাশ খাইছিলাম। ত কি হইছে? আজ প্রপজ করতে জামু

By kolpobazz

Wednesday, March 27, 2019

সত্যি বলতে...... যখন আপনি আপনার সমস্ত ভাবনা চিন্তা আব্দারগুলো একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড এর জন্য জমিয়ে রাখছেন। ☺☺ ওইদিকে সে তখন তার সমস্ত কিছু তার হাজার বন্ধুর কাছে বিলিয়ে দিতে ব্যস্ত।👌👌 #সাইকো

By kolpobazz

ফ্রেন্ডলিস্টের মধ্যে এইবারে বই মেলায় বই বের হইছে কার কার যেটা আমি কিনি নাই। আর পারলে ভাল কিছু বই সাজেস্ট করুন। এই পোষ্টে একটা টোকা মেরে যান । ইনশাল্লাহ ইচ্ছে আছে আর ও কিছু বই কালেকশনে রাখার। আর হ্যা ট্যগ দেবার জন্য দুঃখিত । খারাপ লাগলে রিমুভ করে দিবেন।

By kolpobazz

মায়াবতীরা আসে্‌......☺️☺️ ভালবাসে ......। 💑 কষ্ট দেয় ......। 😭😭 অতঃপর স্বার্থ উদ্ধার হলেই আবার চলে যায় । 🙄🙄 #আসলে মায়াবতী জাতটাই এমন হয় । :) #সাইকো

By kolpobazz

Tuesday, March 26, 2019

“কাপুরুষেরা নিষ্ঠুর হয়; প্রকৃত সাহসীরা ক্ষমা করতে ভালোবাসে।” —জন গে (ইংরেজ কবি) #জি আমি কাপুরুষ :) ☺️☺️☺️

By kolpobazz

দ্যা রেইপ



নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪০ 
দ্যা রেইপ (পর্ব - ০১) 
#সাইকো 
বিছানাতে শুয়ে আছে মেয়েটা । 
নগ্ন শরীর টিউবলাইটের আলোতে চক চক করছে ।
চোখ বোজা, বুকে কামড়ের দাগ । গলার কাছটা লাল হয়ে আছে ।
শেষবারের মত ওদিকে তাকিয়ে ঘরটা থেকে বের হয়ে আসে তারেক । দরজার ঠিক বাইরে দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বন্ধু তিয়াস, তার দিকে তাকিয়ে বোকা বোকা একটা হাসি দিল ও । তারপর জানালার পর্দায় মুছে ছুরিটা ঢুকিয়ে রাখে পকেটে ।
‘চেক অন ইয়োর পেশেন্ট প্লিজ, ডক্টর ।’, টলতে টলতে ফ্রিজের দিকে এগিয়ে যায় তারেক ।
কাঁধ ঝাঁকিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে পড়ে তিয়াস । মেয়েটার দুই হাটু ঝুলে আছে বিছানা থেকে । রক্তে ভেসে যাচ্ছে দুই উরুর মাঝখানটা ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সুবাদে লাশ কম দেখার অভিজ্ঞতা হয় নি তিয়াসের । কলেজের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায় ওর । একবার মর্গে এসেছিল এরকম একটা লাশ । রেপ কেস ।
ভুল ভাবল, রেপ অ্যান্ড মার্ডার কেস ।
লাশটা পাওয়া গেছিল কমলাপুরের দিকে, রাতের বেলাতে কেউ ফেলে দিয়ে গেছে রাস্তাতে । সম্ভবতঃ চলন্ত গাড়ি থেকে ছুঁড়ে মারা হয়েছিল দেহটা, শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে ছিলে যাওয়ার দাগ থেকে এটুকু বোঝা সম্ভব হয়েছিল । তিয়াসের ধারণা অবশ্য আলাদা, মেয়েটাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল সম্ভবতঃ চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ।
বন্ধুরা উড়িয়ে দিয়েছিল ওর কথা, তবে গাড়ি থেকে ফেলা হয়ে থাকলে শুধু কাঁধের কাছে বেশি ক্ষত পাওয়া যাবে না । পুরো শরীরকে বের করে দেওয়া হলে মোটামুটি চাপটা যাওয়ার কথা কোমরের ওপর দিয়ে ।
অথচ, লাশের কোমরের থেকে কাঁধের কাছে ছড়ে যাওয়ার পরিমাণ ছিল সেখানে বেশি ।
‘শালা, তুই ডিটেকটিভ ব্র্যাঞ্চের স্পেশাল মেম্বার না । গাড়ি আর বাইকের পার্থক্য নিয়ে ক্যাচালে যাচ্ছিস কেন ? মরা এসেছে, মরা কাটবি ।’, সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল বন্ধু রশীদ ।
ওই মরাটা কাটার সুযোগ যদিও হয়নি ওদের কারোই ।
বিছানাতে পড়ে থাকা মেয়েটার দিকে নির্বিকারভাবে এগিয়ে যায় ও, বাম হাতটা তুলে নিয়েছে নিজের হাতে ।
পালস পরীক্ষা করার জন্য প্রথম শর্ত, বুড়ো আঙুল ব্যবহার করা যাবে না । তিয়াস তখন পালস পাবে ঠিকই, তবে নিজেরটা । মরার পালস দেখে চোখ উল্টে ফেলে যদি কেউ – নিশ্চিত থাকা চলে ব্যাটা বুড়ো আঙুল ঠেসে ধরেছিল মরাটার হাতে ।
মৃত মেয়েটার কব্জির হাড়ের সাথে আর্টারিটাকে চেপে ধরে ও । তর্জনী আর মধ্যমাকে ব্যবহার করছে, কোন ধরণের কম্পন অনুভব করতে পারল না অবশ্য । এতেই পেশেন্টের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার মত কিছু হয় নি, তারেকের জন্যও বগল বাজানোর মত কোন ঘটনা এটা না ।
ঠাণ্ডা হতে শুরু করা শরীরটার ঘাড়ে হাত রেখে আরেকবার পালস অনুভব করার চেষ্টা করে ও, পালস পাওয়া গেল না ।
নাকি গেল ?
নিজের দুই হাত ঘষে গরম করার চেষ্টা করে তিয়াস । ঠাণ্ডা পড়ছে সেরকম । আরেকবার ঘাড়ে চেপে ধরে হাতটা ।
মৃদু কাঁপছে জায়গাটা ?তবে হরমোনের প্রভাবটা বোঝা যাচ্ছে না । 
সত্যি নাকি মনের ভুল ?
ঝুলে থাকা একটা পা তুলে এনে হাঁটুর বিপরীতে আঙুল ছোঁয়ায় তিয়াস, আর্টারির মৃদু কম্পন স্পষ্ট না হলেও – অনুভব করে এবার ও ।
হতাশ ভঙ্গিতে দুই পাশে মাথা নাড়িয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায় তিয়াস । তারেককে দরকার ।
ছেলেটাকে পাওয়া গেল রান্নাঘরে, ঠাণ্ডা একটা পেপসির বোতল বের করে ঢক ঢক করে গলাতে ঢালছে । অন্যহাতে জ্বলছে সিগারেট ।
মাথার দিকের আগুন প্রায় পেট পর্যন্ত চলে এসেছে । শালার অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস হবে শিওর । জন্তুর মত টানছে একেবারে !
‘শালী মরে নি ।’, ফ্রিজ থেকে আরেকটা বোতল বের করতে করতে বলে তিয়াস ।
ক্লান্ত চোখে তার দিকে তাকায় তারেক, ‘চটকানা মারলেই তো কাজটা হয়ে যায় । আবার আমাকে বলতে আসলি কেন ?’
‘তোর গার্লফ্রেন্ড, তুই চটকানা মার । আমার দায় ওটা না ।’, মুখটা খুলে চুলোর দিকে ছুঁড়ে মারে তিয়াস ।
‘এসেছিস কি করতে তাহলে ?’, বিরক্তিতে গর গর করলেও আবার ঘরটার দিকে ফিরে যেতে থাকে তারেক । যাওয়ার আগে বোতলটা দেওয়ালে আছড়ে ফেলতে ভুলে নি অবশ্য । বিকট শব্দ করে সিংকের ওপর আছড়ে পড়ল ওটা ।
তিয়াসের এখানে আসার দরকারটা ছিল ভিন্নমাত্রার । নিচের যে গার্ডটা পড়ে আছে তার নিজের রুমে – সে আর কোনদিনও তাকাবে না । কাজটা নিশ্চিত করতে তিয়াসকে দরকার ছিল তারেকের ।
দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে লোকটা, মুখ চোখ ফুলে উঠবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই । ইনজেক্ট করে ফসফলিপেজ, হিস্টামিন আর হিলারোনিডেজ ব্যাটার শরীরে ঢুকিয়ে দিয়েছে তিয়াস শুধু ।
‘মার্ডার ! মার্ডার !!’ – বলে চেঁচামেচি করতে পারে এলাকাবাসী, তবে গলাটা একেবারে মাগনাতেই ভাঙবে ওদের সেক্ষেত্রে ।
কজ অফ ডেথ কি তা তিয়াসের খুব ভালো জানা আছেঃ অ্যানাফিলাক্সিস ।
দম আটকে মারা গেছে রোগী, মুখে কোন ধ্বস্তাধস্তির চিহ্নও নেই । বাতাস নেওয়া থেকে শিকারকে ঠেকাতে তিয়াস কোনদিনও হাত ব্যবহার করে না । একফালি কাপড় কাজটা খুব ভালো করতে পারে, কিন্তু কোন রকম দাগ ওটা ফেলে না কখনও ।
পোস্ট মর্টেমের ফলে সিস্টেমে পাওয়া যাবে ফসফলিপেজ, হিস্টামিন আর হিলারোনিডেজ । মৌমাছির হুলে ৮৮% থাকে পানি, আর ১২% বিষ । বিষের কেমিক্যাল ফর্মেশন জানাটা কঠিন, তবে ফসফলিপেজম, হিস্টামিন আর হিলারোনিডেজের আধিক্য আছে ।
এই তিনটে এনজাইম অ্যাক্টিভেট করে দেয় অ্যালার্জিক পেশেন্টের অ্যানাফিলাক্সিস ।
ফলাফল – শ্বাস নিতে না পেরে রোগীর মৃত্যু । সময়মত হাসপাতালে নিতে পারলে বেঁচে যায় অবশ্য রোগী ।
তবে এখানে অ্যানাফিলাক্সিসের কোন ঝামেলা ছিল না । কাজটা করেছে তিয়াসের দুটো হাত ।
ডক্টর আসিবার পরে রোগী মারা গিয়াছে !
তারেক আরেকবারের মত রক্তমাখা ছুরি নিয়ে বের হয়ে আসছে – সেদিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিয়াস । হাল্কাভাবে মনে পড়ে মেয়েটার দুই পায়ের মাঝে ছড়িয়ে থাকা রক্তের ছাপের কথা । এবার অন্য কোথাও মেরেছে তো ?
‘ঝামেলাতে না গিয়ে শালীকে সহই পুড়িয়ে দিতে পারতাম সবকিছু ।’, শান্ত কণ্ঠে বলল ও তিয়াস ।
অন্যদিকে তাকায় তারেক, ‘জ্যান্ত পোড়াতে চাচ্ছি না । জানিস তুই ।’
হারামজাদা !
মরা গার্লফ্রেন্ডের জন্য প্রেম একেবারে উথলে উঠেছে !
খোলা জানালা দিয়ে তারেকের অর্ধসমাপ্ত সিগারেটটা ছুড়ে মারে ও । মেঝের কাছে রাখা ব্যাগ থেকে তুলে নিয়েছে ছোট একটা কুড়াল ।
ওর হাত চেপে ধরে তারেক, ‘আগে গিয়ে তিন্নির ভাইটালস চেক করে আয় ।’
‘আগেই দুর্বল ছিল, স্ট্যাবিং উয়ন্ড সামলানোর মত প্রাণশক্তি থাকার কথা না ।’
‘তবুও ।’, শক্ত হয়ে যায় তারেকের চোয়াল ।
ঘটাং-জাতীয় একটা শব্দের সাথে সাথে দেওয়ালের সাথে থাকা গ্যাসের পাইপটা চুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল । হিস হিস শব্দ হচ্ছে, ছোট্ট রান্না ঘরটা ভরে যাচ্ছে হাল্কা একটা ঝাঁঝালো গন্ধে । ব্যস্ত হাতে জানালা লাগাতে থাকে ও । কুড়ালটা ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে তারেক ।
‘গেলি তুই ?’, হুংকার ছাড়ে পরের মুহূর্তেই ।
‘যাচ্ছি । জানালাগুলো সব দ্রুত লাগিয়ে মেইন গেটে চলে যা তুই ।’, ইশারা করে তিয়াস, ‘TIB, ম্যান !’
‘ইয়েপ… টিআইবি …’, মাথা দোলায় তারেক ।
দিস ইজ বাংলাদেশ ।
গ্যাস সিস্টেম নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলেও একটা অ্যাপার্টমেন্ট পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য যতটা এয়ারটাইট করা দরকার ওটাকে – তা করা সম্ভব নাও হতে পারে ।
হুড়মুড় করে ঘরে চলে আসে তিয়াস, মেয়েটার বাম স্তনের নিচে ছুরির ক্ষতটা দেখে বুঝতে পারে, আর পালস চেক না করলেও চলবে ওর । একেবারে জায়গামত বসিয়েছে বন্ধু, রক্তের স্প্রের বাইরে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিল নিশ্চয় ? তারেকের শরীরে রক্তের ছাপ দেখে নি ও পরে ।
ঘরের কোণে মোমবাতিটা রেখে সাবধানে আগুন ধরায় সালেহ মুহম্মদ শোয়াইব তিয়াস, ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন ইন্টার্নি স্টুডেন্ট ।
তারপর প্রাণপনে ছোটে মেইন গেটের দিকে ।
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪০
দ্যা রেইপ (পর্ব - ০২)
#সাইকো
‘এবার কোথায় ?’, চেঁচিয়ে বলে তারেক, শব্দটার বেশিরভাগ অংশই উড়িয়ে নিয়ে যায় বাতাস ।
মোটরসাইকেলের পেছনে জোরে চেঁচাতে হয় তিয়াসকে, ‘আমার ফ্ল্যাটের দিকে আগা ।’
‘ট্রিনিটি বার খোলা আছে -’, আপত্তি জানাচ্ছিল বন্ধু, মাঝপথে থামিয়ে দেয় তিয়াস ।
‘আমার ঘরে বোতল আছে দুটো । রাশিয়ান জিনিস ।’
পরের মোড়ে সুড়ুৎ করে মোটরসাইকেল ঢুকিয়ে দেয় তারেক ।
বিনা বাক্যব্যয়ে ! about Cialis tablets
*
গরম পানিতে শাওয়ার সেরে এসে ডাইনিং রুম থেকে মাংসভাজার গন্ধ পেতেই মন ভালো হয়ে যায় তারেকের ।
দুইজনই ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র, তবে বন্ধুত্বের গল্পটা শুরু হয়েছিল থার্ড ইয়ারে । একই সংগঠনে ছিল ওরা, ফরেনসিক মেডিসিনের এক লেকচারার খুব বেশি ঝামেলা করছিল তখন । দারুণ একটা চরিত্র বেলাল আহমেদ স্যারের ছিল, অস্বীকার করার কিছু নেই । তবে বামপন্থী মানুষজনের ঘাড় থাকে ত্যাড়া ।
সংগঠনের বড় ভাই যখন খুব সুন্দর করে তারেক আর তিয়াসকে বুঝিয়ে দিলেন, তাদের কি করতে হবে – ওরা ভালো মতই বুঝেছিল । triglyceride metformin 2.5 500mg tabs
বুকে একটা মাত্র গুলির ক্ষত নিয়েই বেলাল স্যার রীতিমত চেঁচাচ্ছিলেন, ‘মারা যাচ্ছি ! মারা যাচ্ছি আমি এখানেই – ওহ গড, আ’ম শট !’
স্যার মোটেও মারা যাচ্ছিলেন না । চেস্ট পেনেট্রেটিং উয়ন্ড ছিল বটে, তবে ফুসফুসকে স্রেফ ন্যাকড়া বানিয়ে দিয়েছিল । এক বাক্যে বলতে দিলে তিয়াস বলবে ওটা ছিল পালমোনারি প্যারেনকাইমাল ল্যাসেরেশন । ট্রিটমেন্ট – টিউব থোরাকস্টমি ।
এক ফুসফুস নিয়ে কিভাবে একটা লোক চেঁচাতে পারে তা নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবতে ইচ্ছে করছিল তিয়াসের । কিন্তু ও জানত, এখন চেক করলে দেখা যাবে স্যারের হার্ট রেট ১২০, শ্বাসপ্রশ্বাসের হার ৪০, ব্লাড প্রেশার ৯০/৬০ । মাসকুলার চেস্ট ওয়াল একেবারে ফুটো হয়ে গেছে, নিশ্চিতভাবে ইন্ট্র্যাথোরেকিক অর্গানগুলোর একাধিকে লাগিয়েছে ও ।
এই মুহুর্তে সার্জারিতে নিয়ে গেলে লোকটা বেঁচে যাবে – কিন্তু সেটা হতে দিতে ওরা পারত না । পারত না স্যারের জন্য টিউব থোরাকস্টমির ব্যবস্থা করতে ।
কাজেই যেটা করা দরকার ছিল – সেটাই করে তারেক – পরের বুলেটটা মাথার পেছন দিক দিয়ে ঢুকিয়ে দেয় নির্বিকারচিত্তে । ব্যাথাতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন তিনি, চেটো দেখতে পেয়ে দেরী করার আর মানে ছিল না ।
দুই দুইটি গুলির শব্দ ক্যাম্পাসকে স্তব্ধ করে দেয় !
এর ঠিক কয়েকদিন পরেই বামদলের রাজীব বাহিনী তিয়াসকে পাল্টা আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে – বিষয়টা তারেকই প্রথম জানতে পারে । হলের গেটে যখন রাজীব-বাহিনী, তারেক যেভাবে তিয়াসকে ছাদে নিয়ে গিয়ে দড়িতে করে নামিয়ে দেয় – উপকারটা তিয়াস কোনদিনও ভুলতে পারে নি ।
কাজেই, বিশ্বাসঘাতিনী গার্লফ্রেন্ড তিন্নিকে সরিয়ে ফেলার সময় তিয়াসের সহায়তা চাইলে মানা করার প্রশ্নই আসে না ।
ছেলেটা ঠাণ্ডা মাথাতে চিন্তা করতে পারে । তারেকের ক্ষেত্রে এ গুণটা বিরল । স্টেলথ তিয়াস বলা হত ওকে ক্যাম্পাসে । এদিকটার সাহায্যও দরকার ছিল আজ রাতে ওদের । আর প্রয়োজন ছিল একটা পারফেক্ট এনভায়রনমেন্ট । বাসা ফাঁকা হতেই কাজ সেরে দিয়েছে ওরা ।
‘মেয়েটার ব্যাপারে ভাবিস না । এটা ওর প্রাপ্য ছিল ।’, ঠাণ্ডা গলাতে উচ্চারণ করে তিয়াস, প্লেট সাজাচ্ছে দুটো ।
তিন্নির সাথে এয়ারফোর্সের ছেলেটার গোপন সম্পর্কের কথা ভাবতে ভাবতে মাথা নাড়ে তারেক, ‘ভাবছিও না ।’
মুচকি হাসে তিয়াস, ‘গুড । খেতে বস ।’
‘আজ রাতে নিশ্চয় লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকবি ?’, তিন টুকরো গরুর গোস্ত প্লেটে তুলে নেয় তারেক ।
একটা ভ্রু উঁচু হয়ে যায় তিয়াসের, ‘কেন মনে হল এ কথা ?’
তারেকের ভ্রুও একটা উঁচু হয়ে গেল, ‘আরেকটা সাইকো স্টোরি লেখার জন্য এনাফ মাল মশলা তো আজকের অভিযানে তোর পেয়ে যাওয়ার কথা ?’
‘আর আমাদের ফাঁসীর দড়িতে ঝুলে পড়াটা একেবারে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যাক, এই তো ? ব্লাডি ইডিয়ট !’
নিশ্চিন্ত মনে গালির সাথে সাথে মুখের ভেতরে এক লোকমা ভাতও তুলে নেয় তারেক ।
অনলাইন আর অফলাইনে তিয়াসের গল্পগুলোর দাম আছে । দারুণ থ্রিলার লেখতে জানে ছেলেটা । রসবোধের অভাব থাকে না সেখানে । তারেক শুধু ভেবে পায় না – এই ছেলে বাস্তব জীবনে এত কঠোর মুখ নিয়ে থাকলেও লেখার সময় এরকম রস কিভাবে পায় ?
একমাত্র ব্যাখ্যা – অসুস্থ একধরণের আনন্দ পায় তিয়াস লেখার সময় । বিষয়টা তাকে করে তোলে সম্পূর্ণ আলাদা একই চরিত্র । এই চরিত্রটি হাসতে জানে ।
‘একটা কথা জানতে পারি ?’, একটু ভেবে প্রশ্নটা করে তারেক ।
‘নিশ্চিন্তে ।’, সব্জির বাটি থেকে আরেক চামচ তুলে নেয় তিয়াস, ‘সব্জি নিবি না ?’
‘না থাকুক । গোস্তটা চমৎকার হয়েছে ।’, চোখ বন্ধ করে একটু উপভোগ করে তারেক, ‘যাই হোক, যেটা বলছিলাম – তোর গল্পগুলোর চরিত্ররা সবাই কি কাল্পনিক ?’
কাঁধ ঝাঁকায় তিয়াস, ‘বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তো থাকেই । তবে শুধু সেটা দিয়ে তো আর গল্প হয় না, কল্পনারও দরকার আছে একজন লেখকের । অবশ্যই দরকার আছে ।’
‘একটা মেয়েকে নিয়ে একটা গল্পে লেখেছিলি, প্রেমে ব্যর্থতার জের ধরে বয়ফ্রেন্ড তাকে রেইপ করে । তারপর খুন । তবে পদ্ধতিগুলো ছিল নিষ্ঠুর । মনে আছে ?’
ঠোঁট হাল্কা বেঁকে যায় তিয়াসের, হাসছে, ‘মেয়েটার দুই হাত কবজি থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল । আলাজিহ্বাতে একটা তের ইঞ্চির পিনের সামনের দিকটা ঢোকানোর সময় মেয়েটার চিৎকার আচমকা থেমে যায় । তারপর ছেলেটা শুরু করে ওর চামড়া ছেলা । গলা থেকে শুরু, পায়ের পাতাতে শেষ ।’
শুকনো গলাতে পানি ঢালে তারেক, ‘হুঁ, বয়ফ্রেন্ডটার -’
অযথাই কাশে ও ।
সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তিয়াস, ‘বয়ফ্রেন্ডটা ?’
‘তুই ছিলি ?’
ঘর কাঁপিয়ে হেসে ফেলে তিয়াস, আরেক টুকরো গোস্ত মুখে তুলে নেয় । ভাজা মাংসের গন্ধে ঘরটা মৌ মৌ করছে ।
বোকা বোকা একটা চাহনি দেয় তারেক তার দিকে ।
‘আরে না ব্যাটা । সব গল্পই কি আমার জীবনের গল্প নিয়ে নাকি ? পানির জগটা এদিকে দে তো ।’
‘তাহলে যে গল্পে মেডিকেলের ছাত্র একজন যুবককে দেখা গেছিল তার বোনের ওপর চড়াও হতে – সে ব্যাপারে কি বলবি ? শুধুই কল্পনা ? নাকি সেটা নিজের জীবনের গল্প ?’
থমথমে মুখে তাকায় তিয়াস ওর দিকে, ‘আমি শুধু যা করি তা থেকেই গল্প লেখি না ।’
‘তারমানে ওটা আমাদের কোন ক্লাসমেটের লাইফ স্টোরি ? তুই না করলেও কেউ করেছিল । জেনেছিস এবং লেখেছিস ।’
‘ওটা ছিল আমার কল্পনা ।’, লাইটের দিকে তাকায় তিয়াস, ‘এখন কম কথা বলে খা । মাথা ধরে যাচ্ছে ।’
কিছুক্ষণ বন্ধুর শীতল মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকে তারেক । তারপর একটু হাসে । ভাতের বাটিটা সামনে নিয়ে আসতে আসতে আস্বস্থ করে ওকে, ‘আমি ভাবছি না সবকিছু তোর রিয়েল লাইফের ঘটনা । অবশ্যই তোর কল্পনাশক্তি আছে । আর বেশ ভালই আছে ।’
‘খাওয়া শেষ করে বোতল নিয়ে রুমে আয় ।’, আস্তে করে উঠে দাঁড়ায় তিয়াস, ‘ফ্রিজে পাবি ।’
প্লেটে অর্ধেক খাবার রেখে বেসিনের দিকে রওনা দেয় তিয়াস ।
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪০
দ্যা রেইপ (পর্ব - ০৩)
#সাইকো
এই নিয়ে চতুর্থবার বাজল কলিং বেল ।
চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসে তিয়াস । হাই ঠেকাতে মুখের সামনে নিয়ে এসেছে একটা হাত ।
গতকালের রাশিয়ান ভদকার ধাক্কা এখনও কাটে নি । টলোমলো পায়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায় ও ।
তিনজন পুলিশ, দুইজনের হাতে পিস্তল, উদ্যত ।
তৃতীয়জন এই মাত্র মাথা থেকে ক্যাপ সরালো । তারপর ঝকঝকে একটা হাসি উপহার দেয় তিয়াসের দিকে তাকিয়ে ।
‘মি. তিয়াস ?’, একবার হাতের কাগজে নামটা দেখে নেয় সে, ‘সালেহ মোহাম্মদ শোয়াইব তিয়াস ?’
কাঁধ ঝাঁকায় তিয়াস, ‘হ্যাঁ-আআআআম ।’
দ্বিতীয়বারের মত মুখের সামনে হাত নিয়ে এসে উদগত তৃতীয় হাইটিকে ঠেকায় ও ।
‘হাতে কি আছে দেখতে পাচ্ছেন তো ?’, চোখের সামনে কাগজ দোলালো মানুষটা ।
‘পরিষ্কার । তুলা রাশি, জন্মলগ্নে গ্রহ দেখতে পাচ্ছি । এই সপ্তাহে একবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন । আয়ু স্বল্প, চল্লিশে পৌঁছানোর আগেই অভিযানে মহাযাত্রা করবেন । প্রেমিকার কাছে ছ্যাঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, বিপদ এড়াতে মধ্যমাতে ঝোলাতে হবে নীলা । বাম হাতের । ’
পিস্তল ধরা পুলিশদের একজন হা হয়ে গেছে ।
আরেকজনও আপাতদৃষ্টিতে হা হল, তারপর হা করার কারণটা বোঝা যায় ।
বাজখাঁই হুংকারটা তিয়াসের কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়, ‘মাদারচো-’
নেতাটি এক হাত তুলতেই থেমে গেছে অবশ্য ছোট পুলিশ ।
‘এটা একটা ওয়ারেন্ট, স্যার । আমরা আপনার বাসাতে সার্চ চালাবো ।’
‘নোপ প্রব –আআম ।’, আরেকটা হাই তুলে বলে তিয়াস ।
সুড় সুড় করে ভেতরে ঢুকে গেল তিন পাপিষ্ঠ ।
দুই পা গিয়েই একজন আবার ফিরে আসে অবশ্য, পিস্তলের নল আবারও ঘুরিয়ে ফেলেছে তিয়াসের দিকে, ‘আপনি আমার সাথে এখানে বসছেন ।’
‘শিওর ।’
ঠিক ত্রিশ মিনিটের মাথাতে পুলিশের গাড়ির পেছনে বসে থানার দিকে রওনা হতে দেখা গেল সালেহ তিয়াসকে । cialis new c 100
*
‘কাল রাতে আপনার সাথে কে ছিল ?’
‘আমি একাই ছিলাম ।’
‘গতকাল সন্ধ্যাতে আপনি কোথায় ছিলেন বলবেন কি ?’
‘উমম, ঠিক কয়টার কথা বলছেন, তখন একটু বাইরে ছিলাম ।’
‘সাতটা ?’
‘মামা চটপটির দোকানে । এটা হল আপনার ওভারব্রীজের গোড়াতে – মালি-’
হাত তুলে তাকে থামায় অফিসার, ‘আমি জানি । ওখানে কেউ আপনাকে দেখেছে ?’
ঘাড় চুলকালো তিয়াস, ‘আর কেউ না দেখলেও মামা তো দেখেছেই ।’
‘আমরা পরে সেটা দেখব । এর পরে আপনি কোথায় ছিলেন ?’
প্যান্টের ভেতরে হাত একটু ঢুকিয়ে ঘ্যাস ঘ্যাস করে চুলকায় তিয়াস, ‘বাসাতে ।’
‘হাত সরান ।’
‘জ্বি ?’
‘পাছার খাঁজ থেকে হাত বের করুন ।’
‘ও – সরি ।’, বাধ্য ছেলের মত হাত বের করে ও ।
‘আপনি বলতে চাইছেন, আপনার সাথে গতকাল আর কেউ ছিল না ?’
সোজা হয়ে বসে তিয়াস প্রথমবারের মত, ‘কি ঘটছে আমাকে কি বলবেন, অফিসার ?’
পাত্তাই দিল না লোকটা, ‘মনে করার চেষ্টা করে দেখুন, আপনার সাথে আর কেউ ছিল কি না ? আমাদের কাছে তথ্য আছে, আপনি আপনার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন ।’
‘আমি গতকাল কারও সাথে দেখা করতে যাই নি । আপনি কার কথা বলছেন ?’
হেলান দিয়ে বসে পুলিশটি, ‘আপনার বন্ধু তারেক আল জাবেরের সাথে দেখা হয়েছে ইদানিং কালের মধ্যে ?’
একটু মনে করার চেষ্টা করে তিয়াস, ‘ছয় বা সাতদিন আগে শেষ দেখা হয়েছে ওর সাথে । কেন, অফিসার ? ওর কোন কিছু হয়েছে ?’
গলাতে উদ্বেগটা ফোটানোর ক্ষেত্রে কোনরকম কমতি ছিল না তিয়াসের, অফিসারকে দেখে অবশ্য মনে হয় না বিন্দুমাত্র প্রভাবিত হয়েছে সে ।
‘তারপরে ? কোথায় ছিলেন চটপটির দোকান থেকে বের হয়ে ?’
‘বাসাতে । আমার দাড়োয়ানকে প্রশ্ন করে দেখলেই পারেন । অযথা বার বার এক প্রশ্ন করার মানে কি ?’, হাল্কা রাগ ফুটে ওঠে তিয়াসের কণ্ঠে এবার ।
দীর্ঘ একটা মুহূর্ত তার দিকে তাকিয়ে থাকে অফিসার, ‘আপনার বাসাতে ভদকার দুটো বোতল পাওয়া গেছে ।’
‘বার থেকে কিনেছি । লিগাল বার । আপনি কি রিসিপ্ট দেখতে চান ?’
‘সার্চ পার্টি আপনার রিসিপ্ট পেয়েছে । আমি বলছি না অবৈধ ওগুলো । কিন্তু আপনার সাথে যে ড্রিংকারটি ছিল তার ব্যাপারে জানতে চাইছি আমি ।’
‘কেউ ছিল না ।’
‘বলতে চাইছেন আপনি একাই দু বোতল মেরে দিয়েছেন ? কংগ্র্যাচুলেশন্স ।’, সন্দেহ ঝরে পড়ে লোকটার কণ্ঠ থেকে ।
‘গাড়ি চালাচ্ছিলাম না গিলে – কাজেই আমাকে আটকানোর কোন অধিকার আপনাদের দেখছি না ।’
‘আপনি কি বলতে চান, আপনার ওপর কিছু মেডিকেল চেক আপ করলে এটাই প্রমাণ হবে এক রাতে দুবোতল ভদকা পান করেছিলেন ?’
সরাসরি তাকায় তার দিকে তিয়াস, ‘এক রাতে ? কখন বলেছি আমি গতকালই দু বোতল ভদকা খেয়েছি ? টাকার গাছ নেই আমার স্যার ! রিসিপ্টের ডেট দেখেছিলেন ?’
সামনের কাগজে একবার চোখ বোলায় অফিসার, ‘ছয় দিন আগে ।’
‘গত পাঁচ দিন আমি বোতল দুটোর পূজো করছিলাম না । এই গ্যারান্টি আপনাকে দিতে পারি ।’
অফিসারের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে ।
‘এখন প্লিজ বলুন আমার ফ্রেন্ড কোথায় আছে ? ও কি কোন ঝামেলাতে জড়িয়েছে ?’
মাথা নাড়ে পুলিশটি, ‘ঝামেলাতে যে সে জড়িয়েছে সে ব্যাপারে আপনার চেয়ে ভাল কে জানে ? কিন্তু অযথাই তাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন আপনি ।’
একে অন্যের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে ওরা । তিয়াস জানে, এই জেরা কেন চলছে ।
গতকাল খুন হয়েছে তারেকের গার্লফ্রেন্ড । একই বিল্ডিংয়ের নিচে গার্ডের লাশ আর ওপরে অগ্নিদগ্ধা আরেকজন তরুণী – কাকতাল বলে মেনে নেবে না পুলিশ । পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্টে আসবে গার্ডের কজ অফ ডেথ অ্যানাফিলাক্সিস । মেয়েটির – অ্যাকসিডেন্ট ।
গ্যাস পাইপ কাটার সময় চুলার অংশে কেটেছে ওরা । বিল্ডিংয়ের মেইন গ্যাস লাইনের যে অংশটা রান্নাঘরে বের হয়ে থাকে – ও জায়গা থেকে শুধু চুলার কাটা অংশটা পেচিয়ে খুলে নিয়েছে । কেউ ধরতে পারবে না কাজটা করা হয়েছে ইচ্ছেকৃতভাবে ।
হ্যাঁ, সন্দেহ হবে ।
সন্দেহ হতেই পারে ।
কিন্তু পৃথিবীতে সন্দেহের রেশ ধরে কাওকে বিচার করা হয় নি কখনও । puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
‘আপনার বন্ধু গতকাল রাতে অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার রাহাত আলমের মেয়েকে খুন করেছে । মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড ছিল সে । আর কারও কোন মোটিভ দেখলাম না কাজটা করার ।’
‘খুন ? তারেক ?’, এবার ঘর কাঁপিয়ে হেসে ওঠে তিয়াস, ‘বিগেস্ট জোক অফ দ্য ডেয়াআআম …’
পরের হাইটা ঠেকায় ও ।
‘আমার বন্ধুটিকে যে চট করে খুনী বলে দিলেন – কোন প্রমাণ আছে ? নাকি শুধুই সন্দেহের তালিকাতে তুলে রেখেছেন বলে এই খেতাব লাগিয়েছেন ? আমি এটাকে অফেন্সিভ দেখতে পাচ্ছি, স্যার ।’
‘হি ইজ আওয়ার প্রাইম সাসপেক্ট ।’
‘প্রমাণ আছে ?’, দ্বিতীয়বারের মত প্রশ্নটা করে তিয়াস ।
চুপ হয়ে থাকে অফিসার ।
‘আমার বিরুদ্ধে যদি এবার আপনাদের কোন অভিযোগ না থাকে তাহলে উঠতে পারি তো ?’, জবাবের অপেক্ষাতে না থেকে উঠে দাঁড়ায় তিয়াস । নির্দ্বিধাতে এগিয়ে যায় দরজার দিকে ।
পেছন থেকে চেয়ার সরিয়ে উঠে দাঁড়ায় অফিসারটিও, ‘এটাও হয়ত আপনার জানা, তবে আপনার বন্ধুটিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।’
তিয়াস ঘুরে তাকায়, ‘তারেকের অভ্যাস আছে মাঝে মাঝে দিন কয়েকের জন্য বাড়ি না ফেরার । চারদিনেও যদি না ফেরে তবে অস্বাভাবিক বলে ধরে নিতে পারেন ।’ irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
হতবুদ্ধি অফিসারের সামনে দিয়ে বের হয়ে দড়াম করে দরজা লাগিয়ে দেয় ও ।
চারপাশে লক্ষ্য করে দেখে, কেউ আটকাতে আসল না ওকে ।
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪০
দ্যা রেইপ (শেষ পর্ব)
#সাইকো
টিমটিমে আলোতে চোখ মেলে তারেক ।
ঘরটা অপরিচিত ।
দেওয়ালগুলো ধূসর ।
ছাতে একটা ধুলো জমা বাল্ব ।
ফ্যানের কোন ব্যবস্থা নেই ।
সামনে টেবিলের ওপর সাজানো আছে নানা সাইজের সার্জিক্যাল ব্লেড ।
আর তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কলেজ ফ্রেন্ড তিয়াস ।
‘হ্যালো ।’, কঠোর চাউনিটা থেকে একটা শব্দই উচ্চারিত হল ।
‘আমি নড়তে পারছি না ।’, মুখ ঘুরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তারেক ।
জবাব না দিয়ে টেবিলের সামনে চলে যায় তিয়াস ।
তারেকের শরীর হাল্কা কেঁপে ওঠে, প্রথমবারের মত খেয়াল করেছে – শরীরে কোন পোষাক নেই তার ।
দুই হাত দু’পাশে ছড়ানো । পা দুটো মোটামুটি পঁয়ত্রিশ ডিগ্রী অ্যাংগেলে ছড়ানো অবস্থাতে আটকে রাখা হয়েছে মেঝের সাথে । ঠিক কি ধরণের মেকানিজম ব্যবহার করা হয়েছে তা অবশ্য দেখতে পাচ্ছে না, চোয়ালের কাছে আটকে রাখা হয়েছে বেল্ট দিয়ে । ঘাড় ঘোরানোর কোন সুযোগ পাচ্ছে না সেজন্য ।
হাতের সার্জিক্যাল নাইফটা ঘুরিয়ে দেখায় তিয়াস, ‘কত নম্বর সাইজ ?’
‘তে-ত্তেইশ ।’
‘লীফ শেপড । শার্পেনড অ্যালং ইট’স লিডিং এজ ।’, দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিয়াস, ‘এই ব্লেডের কাজ কি বলতে পারবি ?’
‘তিয়াস, কি করছিস তুই ?’
‘সার্জিক্যাল ব্লেড, নম্বর টুয়েন্টি থ্রি । হোয়্যার ডু ইউ ইউজ ইট ?’
‘টু- ’
‘হোয়াই ডু ইউ ইউজ ইট ?’
‘টু মেইক লং ইনসিসন্স -’
‘লাইক হোয়াট ?’
‘আপার মিডলাইন ইনসিসন অফ দ্য অ্যাবডোমেন ডিউরিং -’
‘ডেলিভারি ।’, মাথা দোলায় তিয়াস, ‘তিন্নি কি সেই সুযোগ পাবে কখনও ?’
অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তারেক ।
‘কাম অন ! এটা তিন্নিকে নিয়ে – কাম অন, তিয়াস ! তিন্নির ওখানে তুইও ছিলি আমার সাথে !’
মুচকি হাসে তিয়াস, সময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে ব্লেডটার দিকে । প্রেমে পড়েছে যেন ।
তারপর আস্তে করে বলে, ‘ইয়েপ ! তুই বলেছিলি তিন্নিকে তুই খুন করে ফেলবি । তাই সাথে ছিলাম ।’
‘কেন খুন করে ফেলব সেটা তোর মনে আছে ? কাম অন, ট্রাই টু ফোকাস !’
‘তোকে বিট্রে করেছিল মেয়েটা ।’
‘আমার কি উচিত ছিল না -’, দ্রুত বলে ওঠে তারেক ।
‘ছিল ।’, মাথা দোলায় তিয়াস, ‘কিন্তু কে তোকে অনুমতি দিয়েছে মেয়েটাকে ধর্ষণ করার ?’
‘ধর্ষণ করেছি ? মেয়েটা স্বেচ্ছাতে -’
‘আমি তোর সাথে ছিলাম । ঘরে ঢুকেই বলেছিলি তুই শাহাদতের কথা জানিস । মনে পড়ে ?’, ঠাণ্ডা চোখে তাকায় তিয়াস ওর দিকে । তারপর ঘ্যাচ করে হাল্কা একটা টান দেয় ব্লেডটা ধরে । doctorate of pharmacy online
বাম কাঁধ থেকে বুকে চিরে ডান কাঁধ পর্যন্ত চলে গেছে ক্ষতটা । তারেক কিছুই দেখতে পাচ্ছে না – থুতনিই নাড়াতে পারছে না ও !
এক সেকেন্ড পর আসল যন্ত্রণাটা । আগুন ধরে গেছে যেন ওখানে ! দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে ও ব্যাথাটুকু ।
তিয়াসের মুখের দিকে চোখ পড়ছে শুধু, ছেলেটা জ্বলজ্বলে চোখে তাকিয়ে আছে ওর বুকের দিকে । গিলে গিলে খাচ্ছে যেন দৃশ্যটা !
‘ফর গডস সেক, তিয়াস !’, চোখ মুখ ব্যাথাতে কুঁচকে উঠেছে, তার মাঝে বলে তারেক, ‘স্টপ ইট !’
জবাবে সুন্দর করে হাসল তিয়াস, তারেক প্রথমবারের মত তাকে এভাবে প্রাণখুলে হাসতে দেখছে ।
ছেলেটা হাসতে জানে !
‘তোকে এখানে কেন এনেছি জানিস তো ?’, আচমকা গম্ভীর হয়ে জানতে চায় তিয়াস ।
বড় বড় করে দম নেয় শুধু তারেক । যন্ত্রণাটা সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে । বুক বেয়ে নেমে আসছে আঠালো গরম তরল ।
চটচটে ।
ওর নিজেরই রক্ত !
‘জানতে চেয়েছিলি আমার গল্পের কতটুকু সত্য আর কতটুকু বাস্তব ।’
তারেক গুঙিয়ে ওঠে একবার ।
‘না, প্রথমে যে গল্পটার কথা তুই বলেছিলি, রেইপড মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড আমি ছিলাম না । কিন্তু মর্গে একবার একটা রেইপড মেয়ে পেয়েছিলাম আমরা । মনে আছে ?’
‘ওহ – আছে … গড !’, দাঁতে দাঁত চেপে ধরে তারেক, ‘আমাকে নামা তিয়াস । তোর কাহিনী আমি শুনছি -’
‘বলেছিলাম, মোটরসাইকেল থেকে ছুঁড়ে মারা হয়েছে মেয়েটাকে ?’
‘মনে আছে, দোস্ত । নামা আমাকে -’, কেঁপে ওঠে তারেকের শরীর ।
‘তোরা সবাই বলেছিলি গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল মেয়েটাকে ?’
থমকে যায় তারেক । বুকের ব্যাথাটা এখন গ্রাহ্য করার মত কিছু বলে মনে হচ্ছে না আর ।
ওর বিস্ফোরিত চোখের দিকে তাকিয়ে আবারও হাসে তিয়াস ।
‘তুই … তুই কিভাবে জানলি ওকে মোটরসাইকেল থেকে … মেয়েটাকে তুই রেইপ করেছিলি ?’
‘মোটামাথাটা খাটাও, দোস্ত ।’, ডান হাতে ঢুকিয়ে দেয় তিয়াস স্ক্যালপেলের ব্লেডের অংশটা ।
ঘর কাঁপিয়ে চিৎকার করে ওঠে এবার তারেক । নিজেকে ধরে রাখতে পারে নি ।
ট্রাইসেপে ঢুকিয়ে দিয়েছে শালা !
‘রশীদ … ওর সাথে তর্ক করছিলি তুই -’, চারপাশটা ব্যাথাতে ঘোলা দেখছে এখন তারেক ।
‘পাস করে গেলি ।’, থমথমে হয়ে গেছে আবার তিয়াসের মুখ, ‘রশীদ জানত । আর জানার তো একটাই উপায় । তাই না ?’
হাত দুটো শক্ত করে মুষ্ঠিবদ্ধ করে তারেক । আঙুলের নখগুলো ঢুকে যাচ্ছে তালুর মাংস কেটে, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসছে এখন ধীরে ধীরে, ‘রশীদ ফাইনাল ইয়ারে উঠে আর ক্লাস করতে আসে নি !’
‘না । আসতে পারে নি ।’, আরেকবার হাত চালায় তিয়াস, তারেকের মনে হয় বামহাতটা জ্বলে পুড়ে গেল ।
আহত জন্তুর মত গুঙিয়ে ওঠে ও ।
টপ টপ শব্দ হচ্ছে ।
দুই হাত ছড়িয়ে বেঁধে রাখাতে মেঝেতে পড়ছে রক্তের ফোঁটাগুলো সরাসরি ।
‘আমরা আমার বিল্ডিংয়েই এখন ।’, মুচকি হাসে তিয়াস, ‘বলতে ভুলে গেছিলাম, এই ফ্ল্যাটটাই শুধু আমার না, আমার আরেকটা ফ্ল্যাট আছে চারতলাতে । আমরা সেখানেই এখন ।’
‘রশীদকে মেরে ফেলেছিলি কেন ?’, চোখের পাতা জোর করে খুলে রেখে জানতে চায় তারেক ।
‘মর্গে শুয়ে থাকা মেয়েটাকে আমি চিনতাম ।’, পেছন ফিরে তাকায় তিয়াস ।
তারেক কিছু বলে না ।
‘আমার পিঠাপিঠি খালাত বোন ছিল একটা । নিশি । আমার আপন বোন নেই, এমনটা মনে হয় নি কোনদিন । নিশিকে পেয়েছিলাম । বোনের অভাব আমাকে বুঝতে হয় নি কখনও ।’
তারেক টু শব্দটাও করে না । শারীরিক ব্যাথার সাথে মানসিক ধাক্কাটা ওকে একেবারে স্তব্ধ করে দিয়েছে ।
‘মর্গে ওকে ওই অবস্থাতে দেখেছিলাম । সাইকোলজিক্যাল ট্রমার সংজ্ঞাটা বার বার মনে পড়ছিল তখন, বুঝলি ।
রেজাল্ট অফ অ্যান ওভারহোয়েলমিং স্ট্রেস দ্যাট এক্সিডস ওয়ানস অ্যাবিলিটি টু কোপ অর ইন্ট্রিগেট দ্য ইমোশনস ইনভলড উইথ দ্যাট এক্সপেরিয়েন্স । সাইকোলজিক্যাল ট্রমাতে পড়া যাবে না – জানতাম । জানতাম খালাকে খবর দেওয়ার চিন্তাও করা যাবে না । মেয়েকে এ অবস্থাতে দেখার চাইতে চিরকালের জন্য তাকে হারালেই ভালো করবেন খালা । নিরুদ্দেশ মেয়ের চেয়ে রেইপড মেয়ে একজন মায়ের জন্য অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক – জানিস তো ?’
‘সাইকোলজিক্যাল ট্রমা তুই এড়াতে পারিস নি, তিয়াস ।’, দাঁতে দাঁত চেপে বলে তারেক ।
‘পেরেছি ।’
‘তোর কি কোনদিনও মনে হয় নি তোর মাঝে কোন ধরণের মেন্টাল ডিজঅর্ডার আছে ? আগে ছিল না । আমি জানি । তবে এখন কি তোর মনে হয় – মানসিকভাবে তুই সুস্থ ?’
ঘুরে দাঁড়ায় তিয়াস, দু’চোখ জ্বলছে, ‘যে মানুষটা গতকাল একজন মেয়ের ভ্যাজাইনাতে ছুরি মেরেছে তার কাছে আমি সাইকোলজিক্যাল ট্রমা নিয়ে কিছু শুনতে চাই না ।’
‘শোন, বোনের মৃত্যুর পর -’
ঘ্যাচ করে সার্জিক্যাল ব্লেডটা বাম উরুতে গেঁথে গেছে – বাঁধা অবস্থাতেই ছটফট করে ওঠে তারেক ।
‘রশীদকেও এভাবে -’
মুচকি হাসে তিয়াস, ‘রশীদকেও এভাবেই মেরেছি কি না জানতে চাস নে । গতকাল ডিনারের মেনুতে ছিল ও ।’
বাক্যটার অর্থ বুঝতেই কয়েক সেকেন্ড লেগে যায় তারেকের ।
‘বুঝতে পারার কথা । ডীপ ফ্রীজ বলে একটা ইনভেনশন আছে মানুষের ।’, জিভ বের করে সার্জিক্যাল ব্লেড থেকে গড়িয়ে পড়া তারেকের রক্ত চেটে খায় তিয়াস, ‘কিপস আওয়ার মীটস টেস্টি ।’
‘তুই -’
তলপেটে কিছু একটা ঢুকে গেল – তারেক কথাটা শেষ করতে পারে না ।
এক পা এগিয়ে আসে তিয়াস, ‘প্রোডাকশনের দিক দিয়ে কোন সাহায্য করতে পারছে না ওগুলো । তাই না ?’
তারেক শুধু গোঙায় একবার ।
‘শরীরে ঝুলিয়ে রেখে কি লাভ তাহলে ? অন্য কারও প্লেটেই ভালো মানাবে । কি বলিস ?’
তিয়াসের হাত দুটো খুব দ্রুত চলছে এখন । কিছুক্ষণের মাঝেই দেওয়ালে ঝুলন্ত শরীরটার নড়াচড়া থেমে যায় ।
ইন্টার্নির স্টুডেন্টটির হাত তখনও চলছে ।
ব্যস্ত হাতে চামড়া ছাড়াচ্ছে একজন মানুষের ।
যাদের মনে কিছু প্রস্ন উঠতে পারে তাদের জন্য ...
[পরিশিষ্ট ]
কালো টয়োটাটাকে গতিসীমার চেয়ে অনেক জোরে চালিয়ে এনেও কিভাবে ঢাকার অলিগলি পার করে ফেলল – সেটা নিয়ে বিস্মিত না হয়ে পারে না জাফর । পাশে দাঁড়ানো যুবকের দিকে তাকিয়ে অর্থপূর্ণ হাসি দেয় ও
প্রজ্ঞাকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট সাহায্য করেছে ছেলেটা ।
দ্যাট গাই নোজ থিংস ।
মেডিকেল স্টুডেন্ট । ডেডলি ।
বিশ্বাস রাখতে পারে না যে মেয়ে – তাকে সরিয়ে দেওয়াটা বিবেকের কাছে বড় কোন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে না । এটা জাফর আগে থেকেই জানত ।
আর প্রশ্নটা ওদিক থেকে আসেও নি ।
শুধু সামান্য একটু অতৃপ্তি থেকে গেছে ।
শেষবারের মত বিছানাতে মেয়েটাকে সে চেয়েছিল নিজের ইচ্ছাতে ।
কিন্তু প্রজ্ঞা প্রথমেই বুঝে ফেলেছিল ব্যাপারটা । রেপ করা ছাড়া উপায় ছিল না ।
সরাসরি তার দিকে তাকিয়ে আছে নতুন বন্ধু, জাফর মুখ ঘুরিয়ে দেখে একবার ।
‘শুরু করুন ।’, কাঁধ ঝাঁকালো ছেলেটা, মুখ থমথমে । সব সময়ই এমন কি না কে জানে ?
বাটি থেকে নিজের প্লেটে তুলে নেয় জাফর ।
‘চিকেন বলস ।’, আবার বলে সালেহ তিয়াস, ‘ইন্টারনেট থেকে রেসিপি বের করে রান্না করেছি । হোপ ইউ ওন্ট মাইন্ড দ্য টেস্ট ।’
কিছুক্ষণ চুপচাপ চিবোয় জাফর, তারপর তিয়াসের দিকে ফিরে সামান্য হাসে, ‘টেস্টস গুড, ম্যান । ডেলিশিয়াস !’
আর কিছু না বলে দ্বিতীয় বলটা নিজের প্লেটে তুলে নেয় তিয়াস ।
ফ্রিজে আছে ভদকার বোতল ।
আজ রাতে ব্যস্ত থাকতে হবে ওকে ।

যদি কেউ কোনদিন আমায় জিজ্ঞেস করে জগতে সবথেকে বেশি চুরি করে কারা। আমি চোখ বন্ধ করে আমার লিস্টের মেয়েদের নাম বলে দিব। কারন এদের একটার ও নিজের ছবি দিয়ে আইডি খোলা নেই । সব পিক অন্যের থেকে চুরি করা। #সাইকো

By kolpobazz

সাদা ছাগল , কালো ছাগল , রঙ্গিন ছাগল অনেক দেখেছি । কিন্ত শিক্ষিত ছাগল এই প্রথম দেখলাম। Muntasir R Mahdi যদিও তিনি তাহাকে একজন সবজান্তা শমসের মনে করেন। কারন তিনি লিখেছেন... [ প্রশ্ন করুন তো! দেখি উত্তর দিতে পারি কি না! বিষয়গুলো হচ্ছেঃ সাইকোলজি, ফোবিয়া, প্যারাসাইকোলজি, টেকনোলজি, প্রোগ্রামিং, মার্কেটিং, অন্ট্রাপ্রিনিউয়ারশিপ, বিজনেস ইত্যাদি!] বুঝেন কত কিছু সম্পর্কে জানেন তিনি । তবে আমার কাছে তিনি ছাগলতারই পরিচয় দিলেন মাত্র। #প্রমান তার লাস্ট পোষ্টের কমেন্টে।শট দিলাম না। আর হ্যা তিনি কিন্তুক চুলারবাতি । হয়ত আমার আইডি ও খেয়ে দিতে পারেন।

By kolpobazz

অতঃপর ...।। সারাদিন মিটিং মিছিলে গিয়ে জুতা ক্ষয় করে বাসায় এসে বুঝলাম । আপনি যদি আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর ভাসন না বাজান আর আপনার ফোনে যদি এটা না থাকে তাহলে আপনি রাজাকার। #সাইকো

By kolpobazz

অতঃপর ...।। সারাদিন মিটিং মিছিলে গিয়ে জুতা ক্ষয় করে বাসায় এসে বুঝলাম । আপনি যদি আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর ভাসন না বাজান আর আপনার ফোনে যদি এটা না থাকে তাহলে আপনি রাজাকার। #সাইকো

By kolpobazz

যদি কেউ কোনদিন আমায় জিজ্ঞেস করে জগতে সবথেকে বেশি চুরি করে কারা। আমি চোখ বন্ধ করে আমার লিস্টের মেয়েদের নাম বলে দিব। কারন এদের একটার ও নিজের ছবি দিয়ে আইডি খোলা নেই । সব পিক অন্যের থেকে চুরি করা। #সাইকো

By kolpobazz

অতঃপর নেতা সাহেব... সারাদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানি রাজাকারদের গালাগালি করে এসে , 🙄🙄 রাত বারোটার পর তার রক্ষিতাকে বলল কিরে এইসব বাল ছাল চালাস । 😠 রক্ত গরম হয়না। যাহ পাকিস্তানি চালা। 🤬🤬 #সাইকো পোস্টটা রাত বারোটার আগে দেখতে মানা।

By kolpobazz

Saturday, March 23, 2019

প্রিয় রাত, তুই অপ্রিয় হয়ে থাক। বারবার কেনো মায়ায় জড়িয়ে, সাদাকালোতে বিলিন হয়ে , পুড়ে করছিস আমায় খাক। বিষাদ মাখা আধার মাখিয়ে অন্তর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে একাই কেন অন্তপুরে, হচ্ছিস হতবাক। ভালবাসা করে বিলিন, এই শহরকে করছিস রঙিন! আমার জন্য না হয় তোর অই ঘৃণাটুকুই রাখ। প্রিয় রাত তোকে আবার বলি অপ্রিয় তুই আগে ও ছিল । এখন না হয় নতুন করে আবার অপ্রিয়ই হয়ে থাক । #সাইকো

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (শেষ পর্ব ) আজ নীল শারি পরে এসেছে রিতু। তাই না চাইতেও বার বার তার দিকে তাকাচ্ছি। বিষয়টা ও বুঝতে পেরে বলল কি হচ্ছে শুনি , ওমন করে হ্যংলার মত তাকআচ্ছ যে । আমি ঃ কই না ত হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি। তা এমন করে লুকিয়ে লুকিয়ে জাতে না তাকাতে হয় সেই ব্যবস্থা করলেই পারেন। কথাটা বলেই মুখ নিচু করে ফেল্ল রিতু। হয়ত লজা পেয়েছে। শুনেছি লজ্জা পেলে নাকি মেয়েরা কারো চোখের দিকে তাকাতে পারে না । নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। সারাদিন অনেক ঘুরেছি আজ ওকে নিয়ে। আসলে বলতে গেলে আমার কোন ইচ্ছে ছিল না। কিন্ত আমি চাইছিলাম মেয়েটার শেষ দিনটা যেন ভাল ভাবে কাটে। তাই তো আজ সে যা চেয়েছে তাই পুরন করেছি। তবে মেয়েটা এখন ও বাচ্চা টাইপের । মনেই হয়না এর একটা ছেলে ও আছে। ওর দুরন্তপনা দেখে কেন যেন বার বার ওর মায়ায় পরে যাচ্ছিলাম। কিন্ত অই যে , আমাদের মত মানুষদের আবার মায়া থাকতে নেই । তাই চাইলেও সব ......। ........................... সন্ধ্যে হয়ে আসছে। নাহ আর বেশি ওয়েট করা ঠিক হবে না। রিতু ঘুমিয়ে পরেছে আমার কোলে । তাই তাকে আর জাগালাম না । আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে গারিতে শোয়ালাম । এখন যেন আর ও মায়াবি লাগছে মেয়েটাকে। ঘুমালে হয়ত মেয়েদের রুপ আর ও বেড়ে যায়। বিষয়টা নিয়ে ভাবা হয়নি , তবে ভেবে লাভ নেই , তাহলে হয়ত মায়ায় পরে জেতে হবে। আর একবার কার ও মায়ায় পরে যাওয়া মানে...। না না না ্‌, তা তো হতে দেয়া যাবে যাবে না। মনে মনে এসব যখন ভাবছি্‌,ততক্ষণে গারি এসে বুরিঙ্গঙ্গার কাছাকাছি থামল। রিতু এখহন ও ঘুমিয়ে । আমি আসতে করে নিচে নাম্লাম । এইত সাম্নেই ঘরটা দেখা জাচ্ছে । এই খানটায় আস্লেই কেমন যেন চোখ ভিজে আসে । নিজেকে সাম্লাতে কষ্ট হয়। অইত গাছটা দেখা জাচ্ছে । অই যে অই ডালটায় ঝুলন্ত অবস্থায় ওকে লাস্ট দেখেছিলাম। কতইনা কষ্ট পেয়েছে বন্ধুটা আমার । নাহ আর ভাবতে পারছিনা । যা করার এখন ই করতে হবে । রিতু এখন ও ঘুমিয়ে । ওর কাছে গেলাম। আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে আসলাম জারুল গাছটার নিচে। রশি দিয়ে শক্ত করে হাত পা বাধলাম । কোন বেগ পেতে হয়নি। মেয়েটা এখন ও ঘুমুচ্ছে । যাক ঘুমাক। জিবনের শেষ ঘুমটা একটু আরাম করেই ঘুমিয়ে নিক। যদিও এমন করে ঘুমানোর কথা না। আমি শুধু বুদ্ধি করে ওর দাব বেচা আঙ্কেল্কে বলে দিয়েছিলাম যেন ওকে দেয়া ডাবের পানির মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। যদিও ব্যটা রাজি হতে চাইছিল না তবে যখন হাতে পাচশ টাকা গুজে দিলাম। তখন তার কাজটাও ডাবের পানির মত সরল হয়ে গেল। বাধা শেষ । এখন মেয়েটাকে জাগাতে হবে। তাই তার ওরনাটা নিয় গঙ্গার পানি দিয়ে ভিজিয়ে আনলাম। সালি পানিতে না উঠলেও দুর্গন্ধের ফলে ঠিক ই উঠতে বাধ্য হবে । আহা কেমন যেন একটা অন্য অনুভুতি কাজ করছে । ঠিক লাস্টবারের ভিক্টিম টাকে খুন করার সময় যেমন মনে হয়েছিল। হাত নিসপিস করছে, পকেট থেকে ছুরিটা বের করলাম। লাল হয়ে আছে ছুরিটা , যদিও প্রথম যখন কিনেছিলাম তখন দেখতে সাদা ছিল। ব্যটা রক্ত খেতে খেতে লাল হয়ে গেছে। আজ পূর্ণিমা । যদিও আমার বন্ধুটার মৃত্যুর দিনটায় অমাবস্যা ছিল। পূর্ণিমার আলোয় মেয়েটার চেহারাটা থেকে যেন দ্যুতি বের হচ্ছে। হয়ত কোন কবি তাকে এই মুহূর্তে দেখলে কবিতা রচনা করে ফেলত। কিন্ত আমার আবার ওসবের ধারে কাছে জেতেও মানা। জানেন ই তো খুনিদের আবার আবেগ থাকতে নেই । ওহ ভুলেই গিয়েছিলাম মেয়েটাকে জাগাতে হবে। ওরনাটা ভিজিয়ে নিয়ে মেয়েটার কাছে গেলাম । হালকা পানির ঝাপটা দিতেই রিতু জেগে উঠল। হঠাত ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় মেয়েটা এদিক অদিক করছে। হয়ত বুঝতে পারছে না কোথায় আছে । অবাক চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে যেন আমাকে চিনতে পারছে না। হাতের দিকে তাকাতেই চিৎকার দিয়ে উঠল এই তিয়াস তুমি আমাকে এভাবে বেধে রেখেছ কেন। কি হল বল। আর আমি এখানে কেন। কি হচ্ছে এসব কথা বলছ না কেন। আমি একটু হাস্লাম। আমার হাসি দেখে মেয়েটা চুপ হয়ে আছে। হয়ত ভয় পেয়েছে। হয়ত এমন পৈশাচিক হাসি সে তার জিবনে ও দেখেনি। খানিক বাদে নরম সুরে রিতু বলল । দেখ তিয়াস ভাল হচ্ছে না কিন্ত । আমার খুব ভয় করছে। প্লিজ আমায় ছেরে দাও , এমন ফান কিন্ত ঠিক না। আমি বললাম ছেরে দেব হা হা হা। তুমি কি ছেরে দিয়েছিলে জুবায়ের কে। দিয়েছিলে তাকে বাচতে । দাওনি ... জানো কতটা কষ্ট পেয়ে ও আত্মহত্যা বেছে নিয়েছিল । এই যে এই... এই জারুল গাছটার সাথেই গলায় দরি দিয়েছিল সে। তোমায় কি করে ছেরে দেই বল ???? রিতু অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমার দিকে ...। - তুমি । তুমি জুবায়েরের কে? - আর তুমি জানলে কি করে । - দেখ আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল । আমি কি করতাম আর তাকে ছেরে না দিয়ে। কি করতে মানে।তুমি তাকে সব কিছু বুঝিয়ে বলতে পারতে ।কিন্ত তুমি তা করনি । কি মনে করেছ , আমি জানি কি করে । সে তার ডাইরিতে সব লিখে গিয়েছিল, লিখে গিয়েছিল তোমার সব পাপের কথা। তোমাকে তো ছেরে দিতে পারিনা আমি । রিতু আমতা আমতা করছে। এখন আর ওর কথা শুনতে ইচ্ছে করছে না। ওর কাছে গিয়ে হাতের বাধন্টা আর ও টাইট করে নিলাম। ওরনা দিয়ে মুখটা বেধে নিলাম। না হলে ভেজাল করতে পারে । এরপর আস্তে করে হাতের ঠিক মাঝখান দিয়ে একটা ফুটো করলাম। অমনি গল গল করে রক্ত বের হতে শুরু করল। চাদের আলোয় স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি । মেয়েটা কাদছে । ০৬ কাদুক তাতে কি। আমার এতে মায়া লাগে না বরং মনের মধ্যে প্রশান্তি অনুভব করছি। যাক অবশেষে আমার বন্ধুর আত্মাটা শান্তি পাবে । নাহ এত অল্প কষ্ট দিয়ে তাকে মারা যাবে না। তাই গারির কাছে গেলাম । ডেক থেকে প্লাস আর রডটা নিএ আসলাম। এখন মজা হবে হা হ হা। প্লাস দিয়ে এক একটা নখ তুলছি আর মেয়েটার শরির ঝাকুনি দিয়ে উঠছে । চোখের পানি আস্তে আস্তে এসে বুকের কাপর ভিজিয়ে দিচ্ছে। বাহ কি দারুন সিনারি । এটা কিন্ত হলিউড ছবিকেও হার মানাবে রিতু । তুমি কি বল। রিতু কিছু বলছে না। ওহ বলবে কি করে তার তো মুখ বাধা হা হা হা। মেয়েটা হাপাচ্ছে ,কারন তার হারটবিট আমি দূর থেকেই শুনতে পাচ্ছি। হয়ত কিছু বলতে চাচ্ছে মেয়েটা তাই তার মুখ খুলে দিলাম। ভেবেছিলাম হয়ত গালি দিবে কিন্ত নাহ মেয়েটা কিছুই বলছে না। চারদিকে পিনপতন নিরাবতা । সে নিরবতা ভেঙ্গে হঠাত ই বলে উঠল জানো আমি কিন্ত তোমাকে সত্যি ই ভাল বেশেছিলাম। তোমাকে নিয়ে সারাজিবন ঘর করার স্বপ্ন দেখেছিলাম কিন্ত্‌, কিন্ত্‌্‌ তু.....................। আর কিছু বলতে পারছে না মেয়েটা কাদছে । তবে একটু পরে আবার বলল একটু পানি হবে তোমার কাছে। প্লিজ ্‌্‌ আমিও এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। যাক কাজটা সহজেই হয়ে গেল। গারি থেকে পানির বোতলটা নিয়ে আসলাম। পকেট থেকে আমার সবথেকে প্রিয় জিনিসটা বের করে তা থেকে কিছু পরিমান বোতলের পানির সাথে মিসালাম। এসে দেখি মেয়েটা এখন ও কাদছে । বুঝতে পারছিনা কেন কাদছে । যন্ত্রণায় নাকি অনুশোচনায় । থাক অত ভেবে কি হবে। পানির বোতল হাতে নিয়ে তাকে বললাম নাও পানি খাও। সে কোন কথা না বলে পানি খেল।এরপর হঠাত বলে উঠল জানো আমার কোন কষ্ট হচ্ছে না । কারন আমি যাকে ভালবাসি তার হাতেই মরতে পারছি এর থেকে সুখের আর কি হতে পারে। মনে মনে ভাব্লাম কি অদ্ভুত মেয়েজাতি। কেউ একজন তাকে ভালবেসে মারা গেল তার জন্য তার কোন ভাবনাই ছিল না। আর যে কিনা তাকে মারার জন্য প্রস্তুত তাকেই ভালবেসে বসে আছে। মেয়েটার হাত পা থেকে বের হওয়া লাল রক্ত আস্তে আস্তে নীল রঙ ধারন করছে। আহ আমার প্রিয় রঙ । দেখতেই ভাল লাগছে । নাহ রাত বেশি হয়ে জাচ্ছে , একাহ্নে বেশি ক্ষণ থাকা ঠিক হবে না। তাই গারিতে গিয়ে তারাতারি রশিটা নিয়ে আসলাম এরপর এক প্রান্ত গাছের সাথে বেধে অপ্র প্রান্ত দিয়ে ফাসির গিট্টু দিলাম। বাহ তৈরি হয়ে গেল একটা মিনি ফাসির মঞ্চ। যেখানে আজ সাজা পেতে জাচ্ছে এক মন ভাঙ্গার দায়ে অভিজুক্ত কয়েদি। ভাবতেই কেমন যেন নেশা লাগছে। ওহ আমার আবার মাদকে নেশা হয়না। নেশা হয় কিছু অদ্ভুত ঘটনা দেখে। হয় সেতা আমার তৈরি না হয় অন্য কারো । মঞ্চ বানানো শেষ । এবার রিতুর সাজা গ্রহনের পালা। শেষ বারের মত রিতুকে জিজ্ঞেস করলাম কিছু বলার আছে শেষবারের মত তোমার। সে শুধু অস্পস্ট একটা কথাই বলল “ ভাল থেক” কি অদ্ভুত মেয়ে । যে তাকে মারতে চলেছে তাকেই কিনা বলে ভাল থেক হা হা হা। রশিটা রিতুর গলায় পেচিয়ে টান দিলাম। চেয়ার সহ দোল খেতে খেতে রিতু উপরে উঠে গেল । একটু ও নরাচরা বা শব্দ করল না। করবেই বা কি করে হয়ত বিসের প্রভাবে আগেই তার সব পেশি অচল হয়ে গেছে। নাহ এখন প্রচুর শান্তি লাগছে। আমার বন্ধুর জন্য প্রতিশোধ নেয়া হয়ে গেছে। নাহ যাবার আগে আর একটি কাজ করে জেতে হবে। আমি চাইনা আমার বন্ধুর খুনির কোন চিনহ থাক এই পৃথিবীতে । তাই লাইটারটা বের করে ঝুলন্ত চেয়ারটাতে আগুন ধরিয়ে দিলাম । গারি ছুটে চলেছে ঢাকার দিকে । পেছন দিকে দাউ দাউ করে জলছে আগুন। লুকিং গ্লাসে দেখছি কিছু মানুষ দৌরে জাচ্ছে আগুন নিভাতে । আর আমি স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি আমার বন্ধু উপরে বসে হাসছে .. #সাইকো

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (শেষ পর্ব ) আজ নীল শারি পরে এসেছে রিতু। তাই না চাইতেও বার বার তার দিকে তাকাচ্ছি। বিষয়টা ও বুঝতে পেরে বলল কি হচ্ছে শুনি , ওমন করে হ্যংলার মত তাকআচ্ছ যে । আমি ঃ কই না ত হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি। তা এমন করে লুকিয়ে লুকিয়ে জাতে না তাকাতে হয় সেই ব্যবস্থা করলেই পারেন। কথাটা বলেই মুখ নিচু করে ফেল্ল রিতু। হয়ত লজা পেয়েছে। শুনেছি লজ্জা পেলে নাকি মেয়েরা কারো চোখের দিকে তাকাতে পারে না । নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। সারাদিন অনেক ঘুরেছি আজ ওকে নিয়ে। আসলে বলতে গেলে আমার কোন ইচ্ছে ছিল না। কিন্ত আমি চাইছিলাম মেয়েটার শেষ দিনটা যেন ভাল ভাবে কাটে। তাই তো আজ সে যা চেয়েছে তাই পুরন করেছি। তবে মেয়েটা এখন ও বাচ্চা টাইপের । মনেই হয়না এর একটা ছেলে ও আছে। ওর দুরন্তপনা দেখে কেন যেন বার বার ওর মায়ায় পরে যাচ্ছিলাম। কিন্ত অই যে , আমাদের মত মানুষদের আবার মায়া থাকতে নেই । তাই চাইলেও সব ......। ........................... সন্ধ্যে হয়ে আসছে। নাহ আর বেশি ওয়েট করা ঠিক হবে না। রিতু ঘুমিয়ে পরেছে আমার কোলে । তাই তাকে আর জাগালাম না । আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে গারিতে শোয়ালাম । এখন যেন আর ও মায়াবি লাগছে মেয়েটাকে। ঘুমালে হয়ত মেয়েদের রুপ আর ও বেড়ে যায়। বিষয়টা নিয়ে ভাবা হয়নি , তবে ভেবে লাভ নেই , তাহলে হয়ত মায়ায় পরে জেতে হবে। আর একবার কার ও মায়ায় পরে যাওয়া মানে...। না না না ্‌, তা তো হতে দেয়া যাবে যাবে না। মনে মনে এসব যখন ভাবছি্‌,ততক্ষণে গারি এসে বুরিঙ্গঙ্গার কাছাকাছি থামল। রিতু এখহন ও ঘুমিয়ে । আমি আসতে করে নিচে নাম্লাম । এইত সাম্নেই ঘরটা দেখা জাচ্ছে । এই খানটায় আস্লেই কেমন যেন চোখ ভিজে আসে । নিজেকে সাম্লাতে কষ্ট হয়। অইত গাছটা দেখা জাচ্ছে । অই যে অই ডালটায় ঝুলন্ত অবস্থায় ওকে লাস্ট দেখেছিলাম। কতইনা কষ্ট পেয়েছে বন্ধুটা আমার । নাহ আর ভাবতে পারছিনা । যা করার এখন ই করতে হবে । রিতু এখন ও ঘুমিয়ে । ওর কাছে গেলাম। আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে আসলাম জারুল গাছটার নিচে। রশি দিয়ে শক্ত করে হাত পা বাধলাম । কোন বেগ পেতে হয়নি। মেয়েটা এখন ও ঘুমুচ্ছে । যাক ঘুমাক। জিবনের শেষ ঘুমটা একটু আরাম করেই ঘুমিয়ে নিক। যদিও এমন করে ঘুমানোর কথা না। আমি শুধু বুদ্ধি করে ওর দাব বেচা আঙ্কেল্কে বলে দিয়েছিলাম যেন ওকে দেয়া ডাবের পানির মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। যদিও ব্যটা রাজি হতে চাইছিল না তবে যখন হাতে পাচশ টাকা গুজে দিলাম। তখন তার কাজটাও ডাবের পানির মত সরল হয়ে গেল। বাধা শেষ । এখন মেয়েটাকে জাগাতে হবে। তাই তার ওরনাটা নিয় গঙ্গার পানি দিয়ে ভিজিয়ে আনলাম। সালি পানিতে না উঠলেও দুর্গন্ধের ফলে ঠিক ই উঠতে বাধ্য হবে । আহা কেমন যেন একটা অন্য অনুভুতি কাজ করছে । ঠিক লাস্টবারের ভিক্টিম টাকে খুন করার সময় যেমন মনে হয়েছিল। হাত নিসপিস করছে, পকেট থেকে ছুরিটা বের করলাম। লাল হয়ে আছে ছুরিটা , যদিও প্রথম যখন কিনেছিলাম তখন দেখতে সাদা ছিল। ব্যটা রক্ত খেতে খেতে লাল হয়ে গেছে। আজ পূর্ণিমা । যদিও আমার বন্ধুটার মৃত্যুর দিনটায় অমাবস্যা ছিল। পূর্ণিমার আলোয় মেয়েটার চেহারাটা থেকে যেন দ্যুতি বের হচ্ছে। হয়ত কোন কবি তাকে এই মুহূর্তে দেখলে কবিতা রচনা করে ফেলত। কিন্ত আমার আবার ওসবের ধারে কাছে জেতেও মানা। জানেন ই তো খুনিদের আবার আবেগ থাকতে নেই । ওহ ভুলেই গিয়েছিলাম মেয়েটাকে জাগাতে হবে। ওরনাটা ভিজিয়ে নিয়ে মেয়েটার কাছে গেলাম । হালকা পানির ঝাপটা দিতেই রিতু জেগে উঠল। হঠাত ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় মেয়েটা এদিক অদিক করছে। হয়ত বুঝতে পারছে না কোথায় আছে । অবাক চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে যেন আমাকে চিনতে পারছে না। হাতের দিকে তাকাতেই চিৎকার দিয়ে উঠল এই তিয়াস তুমি আমাকে এভাবে বেধে রেখেছ কেন। কি হল বল। আর আমি এখানে কেন। কি হচ্ছে এসব কথা বলছ না কেন। আমি একটু হাস্লাম। আমার হাসি দেখে মেয়েটা চুপ হয়ে আছে। হয়ত ভয় পেয়েছে। হয়ত এমন পৈশাচিক হাসি সে তার জিবনে ও দেখেনি। খানিক বাদে নরম সুরে রিতু বলল । দেখ তিয়াস ভাল হচ্ছে না কিন্ত । আমার খুব ভয় করছে। প্লিজ আমায় ছেরে দাও , এমন ফান কিন্ত ঠিক না। আমি বললাম ছেরে দেব হা হা হা। তুমি কি ছেরে দিয়েছিলে জুবায়ের কে। দিয়েছিলে তাকে বাচতে । দাওনি ... জানো কতটা কষ্ট পেয়ে ও আত্মহত্যা বেছে নিয়েছিল । এই যে এই... এই জারুল গাছটার সাথেই গলায় দরি দিয়েছিল সে। তোমায় কি করে ছেরে দেই বল ???? রিতু অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমার দিকে ...। - তুমি । তুমি জুবায়েরের কে? - আর তুমি জানলে কি করে । - দেখ আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল । আমি কি করতাম আর তাকে ছেরে না দিয়ে। কি করতে মানে।তুমি তাকে সব কিছু বুঝিয়ে বলতে পারতে ।কিন্ত তুমি তা করনি । কি মনে করেছ , আমি জানি কি করে । সে তার ডাইরিতে সব লিখে গিয়েছিল, লিখে গিয়েছিল তোমার সব পাপের কথা। তোমাকে তো ছেরে দিতে পারিনা আমি । রিতু আমতা আমতা করছে। এখন আর ওর কথা শুনতে ইচ্ছে করছে না। ওর কাছে গিয়ে হাতের বাধন্টা আর ও টাইট করে নিলাম। ওরনা দিয়ে মুখটা বেধে নিলাম। না হলে ভেজাল করতে পারে । এরপর আস্তে করে হাতের ঠিক মাঝখান দিয়ে একটা ফুটো করলাম। অমনি গল গল করে রক্ত বের হতে শুরু করল। চাদের আলোয় স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি । মেয়েটা কাদছে । ০৬ কাদুক তাতে কি। আমার এতে মায়া লাগে না বরং মনের মধ্যে প্রশান্তি অনুভব করছি। যাক অবশেষে আমার বন্ধুর আত্মাটা শান্তি পাবে । নাহ এত অল্প কষ্ট দিয়ে তাকে মারা যাবে না। তাই গারির কাছে গেলাম । ডেক থেকে প্লাস আর রডটা নিএ আসলাম। এখন মজা হবে হা হ হা। প্লাস দিয়ে এক একটা নখ তুলছি আর মেয়েটার শরির ঝাকুনি দিয়ে উঠছে । চোখের পানি আস্তে আস্তে এসে বুকের কাপর ভিজিয়ে দিচ্ছে। বাহ কি দারুন সিনারি । এটা কিন্ত হলিউড ছবিকেও হার মানাবে রিতু । তুমি কি বল। রিতু কিছু বলছে না। ওহ বলবে কি করে তার তো মুখ বাধা হা হা হা। মেয়েটা হাপাচ্ছে ,কারন তার হারটবিট আমি দূর থেকেই শুনতে পাচ্ছি। হয়ত কিছু বলতে চাচ্ছে মেয়েটা তাই তার মুখ খুলে দিলাম। ভেবেছিলাম হয়ত গালি দিবে কিন্ত নাহ মেয়েটা কিছুই বলছে না। চারদিকে পিনপতন নিরাবতা । সে নিরবতা ভেঙ্গে হঠাত ই বলে উঠল জানো আমি কিন্ত তোমাকে সত্যি ই ভাল বেশেছিলাম। তোমাকে নিয়ে সারাজিবন ঘর করার স্বপ্ন দেখেছিলাম কিন্ত্‌, কিন্ত্‌্‌ তু.....................। আর কিছু বলতে পারছে না মেয়েটা কাদছে । তবে একটু পরে আবার বলল একটু পানি হবে তোমার কাছে। প্লিজ ্‌্‌ আমিও এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। যাক কাজটা সহজেই হয়ে গেল। গারি থেকে পানির বোতলটা নিয়ে আসলাম। পকেট থেকে আমার সবথেকে প্রিয় জিনিসটা বের করে তা থেকে কিছু পরিমান বোতলের পানির সাথে মিসালাম। এসে দেখি মেয়েটা এখন ও কাদছে । বুঝতে পারছিনা কেন কাদছে । যন্ত্রণায় নাকি অনুশোচনায় । থাক অত ভেবে কি হবে। পানির বোতল হাতে নিয়ে তাকে বললাম নাও পানি খাও। সে কোন কথা না বলে পানি খেল।এরপর হঠাত বলে উঠল জানো আমার কোন কষ্ট হচ্ছে না । কারন আমি যাকে ভালবাসি তার হাতেই মরতে পারছি এর থেকে সুখের আর কি হতে পারে। মনে মনে ভাব্লাম কি অদ্ভুত মেয়েজাতি। কেউ একজন তাকে ভালবেসে মারা গেল তার জন্য তার কোন ভাবনাই ছিল না। আর যে কিনা তাকে মারার জন্য প্রস্তুত তাকেই ভালবেসে বসে আছে। মেয়েটার হাত পা থেকে বের হওয়া লাল রক্ত আস্তে আস্তে নীল রঙ ধারন করছে। আহ আমার প্রিয় রঙ । দেখতেই ভাল লাগছে । নাহ রাত বেশি হয়ে জাচ্ছে , একাহ্নে বেশি ক্ষণ থাকা ঠিক হবে না। তাই গারিতে গিয়ে তারাতারি রশিটা নিয়ে আসলাম এরপর এক প্রান্ত গাছের সাথে বেধে অপ্র প্রান্ত দিয়ে ফাসির গিট্টু দিলাম। বাহ তৈরি হয়ে গেল একটা মিনি ফাসির মঞ্চ। যেখানে আজ সাজা পেতে জাচ্ছে এক মন ভাঙ্গার দায়ে অভিজুক্ত কয়েদি। ভাবতেই কেমন যেন নেশা লাগছে। ওহ আমার আবার মাদকে নেশা হয়না। নেশা হয় কিছু অদ্ভুত ঘটনা দেখে। হয় সেতা আমার তৈরি না হয় অন্য কারো । মঞ্চ বানানো শেষ । এবার রিতুর সাজা গ্রহনের পালা। শেষ বারের মত রিতুকে জিজ্ঞেস করলাম কিছু বলার আছে শেষবারের মত তোমার। সে শুধু অস্পস্ট একটা কথাই বলল “ ভাল থেক” কি অদ্ভুত মেয়ে । যে তাকে মারতে চলেছে তাকেই কিনা বলে ভাল থেক হা হা হা। রশিটা রিতুর গলায় পেচিয়ে টান দিলাম। চেয়ার সহ দোল খেতে খেতে রিতু উপরে উঠে গেল । একটু ও নরাচরা বা শব্দ করল না। করবেই বা কি করে হয়ত বিসের প্রভাবে আগেই তার সব পেশি অচল হয়ে গেছে। নাহ এখন প্রচুর শান্তি লাগছে। আমার বন্ধুর জন্য প্রতিশোধ নেয়া হয়ে গেছে। নাহ যাবার আগে আর একটি কাজ করে জেতে হবে। আমি চাইনা আমার বন্ধুর খুনির কোন চিনহ থাক এই পৃথিবীতে । তাই লাইটারটা বের করে ঝুলন্ত চেয়ারটাতে আগুন ধরিয়ে দিলাম । গারি ছুটে চলেছে ঢাকার দিকে । পেছন দিকে দাউ দাউ করে জলছে আগুন। লুকিং গ্লাসে দেখছি কিছু মানুষ দৌরে জাচ্ছে আগুন নিভাতে । আর আমি স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি আমার বন্ধু উপরে বসে হাসছে .. #সাইকো

By kolpobazz

আব্বাজানের ঠেলাঠেলিতে পইরা... এক সফটওয়্যার কম্পানিতে আজ গেছিলাম ইন্টার্ভিউ দিতে। তো সেখানে স্যর মহাদয় আমাকে বললেন মনে কর তুমি এখানে বোর্ড প্রধান আর আমি ইন্টার্ভিউ দিতে আসছি । এখন তুমি আমাকে এমন একটি প্রস্ন কর যার উত্তর আমার জানা নেই। যদি পারো তাহলে চাকরি পাবে। যেহেতু চাকরি করার ইচ্ছা নাই তাই মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি এসে গেল । তাই তাকে প্রস্ন করলাম আচ্ছা বলুন তো HTML এর Elaborate কি ? তিনি বললেন আরেহ এ তো খুব ই সোজা HTML হল Hypertext Markup Language। আমি বললাম নাহ হয়নি HTML মানে হল How To Meet Ladies । আমার উত্তর শুনে তিনি বেহুশ হয়ে গেলেন । আর হুস আসার পর তিনি বললেন ভাই আজ থেকে এই কম্পানি তোমার। আমি এখন গিয়ে টিএসসিতে বাদাম বেচব। :) #সাইকো

By kolpobazz

Friday, March 22, 2019

আচ্ছা সপ্তর্ষি ...। জানো আমার কাছে তোমার কোন জিনিসটা সবথেকে বেশি ভাল লাগে। -কি? 🙄 তোমার চোখ☺️☺️ -কেন ?🙄 কারন একমাত্র তোমার চোখের দিকে তাকালে আমি আমাকে দেখতে পাই । #সাইকো

By kolpobazz

অনুগল্প[০৫] দোস্ত চল নামাজটা পরে আসি। -নারেহ দোস্ত , কাপর খারাপ । তা ছাড়া এখন একটা ইম্পরট্যান্ট কাজ আছে রে। কাল থেকে পরব। :: এই কথাগুলি বলা ছেলেটাকেই পাশে থাকা বন্ধুটি বলল ... চল দোস্ত হোলি খেলে আসি , খাসা মাল আছে কয়েকটা । আর হোলি শেষে পার্টি ওরেখেছি । - আরেহ কি বলিস সালা , আগে বলবি না। উফ না বললে তো মিস ই করতাম চান্সটা। নে চল তারাতারি । #সাইকো

By kolpobazz

Thursday, March 21, 2019

অনুগল্প[৪] মেয়েটি ছেলেটিকে সিগারেট অথবা তাকে ছেড়ে দিতে বলেছিল। ছেলেটি সিগারেট ছেড়ে দিয়েছিল। ফলাফল অপরটি এমনিইতেই তাকে ছেড়ে গেছে। ছেলেটি সিগারেট হাতে নিয়ে এখন ভাবে তার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। #সাইকো

By kolpobazz

-কি করছ? -কলিজা ভুনা খাচ্ছি । ☺️☺️ -কার ? -কলিজায় যে আঘাত দিয়েছে তার 😊😊 #সাইকো

By kolpobazz

প্রিয়... তুমি যখন সুশীলদের তেল মাখাতে ব্যস্ত । আমি ব্যস্ত অশ্লীল হতে। কারন জগত সুশীল খোজে না্‌, অশ্লীলতা খোঁজে । #সাইকো

By kolpobazz

অথচ তুমি হয়ত জানতেই পারবে না,,,,, যে এইডসের চেয়েও মারাত্নক রোগ এর নাম হল। . . . . আমার মন ভাল না। #সাইকো

By kolpobazz

Tuesday, March 19, 2019

অনুগল্প[৩] রেলস্টেশনের কুলি বালকটি বিশ্বাস করে সে জীবনকে যততটুকু দেখে, তার জন্ম তার থেকেও দুরে কোথাও যাবার জন্য। বিশ্বাসটা প্রতি সকালে ঘুম থেকে উঠেই থেমে যায় ঐ রেলস্টেশনেই। কুলিটা থাকে পাশের একটি বস্তীতে, যেখান থেকে রেলস্টেশন দেখা যায়না কিন্তু ট্রেনের বাশি শোনা যায়।

By kolpobazz

আবার ও ছ্যকা[০৬] আমার তিনি আমাকে মেসেজ করে বললেন আচ্ছা বাবু তোমার মেসেঞ্জারে কি ডার্ক মুড অন করেছ ।😋😋 আমিঃ নাহ 😞 সেঃকেন 😡 আমিঃআসলে কেন জানি আমার ফোনে ডার্ক মুড অন হচ্ছে না।😔😔 সেঃ যা সালা তোর সাথে ব্রেকাপ । 🤬🤬 যে ছেলে ফোনে সামান্য ডার্ক মুড আনতে পারে না তার আমার সাথে কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। #সাইকো

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (০৪) #সাইকো আমার সামনে বসে আছে রিতু । বাদাম খাচ্ছে , এই মুহুরতে আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে মনে হচ্ছে তার থেকে নিস্পাপ মেয়ে আর দ্বিতীয়টি নেই । কে বলবে এই মেয়ের জন্যই মারা গেছে একটি সহজ সরল ছেলে। কে বলবে এই মেয়েটি ই হয়ত প্লান করে বসে আছে আ,মাকেও ঠকানোর। ওহ বলা হয়নি ্‌, রিতু নামের এই মেয়েটি এখন আমার গার্লফ্রেন্ড। আমাদের সম্পর্কের বয়স মাত্র ছয় মাস। এর মদ্ধেই নাকি আমি ওর পৃথিবী হয়ে গেছি । যদিও ঘড়ে তার জামাই ও আর এক ছেলে আছে । হয়ত তার জামাই ও তাকে ত্তার [পৃথিবী ভেবে বসে আছে । এই মুহুরতে অই লোকটার জন্য আমার মায়া হচ্ছে । সে হয়ত জানেও না এই মেয়েটা তাকে তিন বছর ধরে ধোঁকা দিয়ে আসছে। জগতের নিওম ই এইটা , তুমি যাকে তোমার সব ভেবে বসে আছ , দেখবে তার কাছে হয়ত তুমি হয়ত কেউ ই না। যা বলছিলাম, রিতুকে লাইনে আনতে যদিও আমার একটু বেগ পেতে হইছে, কারন যেহেতু তার বিয়ে হয়ে গেছে, তাই তাকে পটানোর জন্য তার সম্পর্কে । তার দুর্বলতা সম্পর্কে তার পছন্দ অপছন্দ সব কিছু জেনে তারপর তার পিছনে নামতে হয়েছে। আর তারপরও বাধা ছিল তার দুরন্তপনা। টানা দুইমাস ঘুরিয়েছে নাকে দরি দিয়ে সে আমায় । এমন গেছে চার পাচ রাত ঘুমাতেও পারিনি । তাতে কি ,আমার কলিজার বন্ধুর জন্য এমন সেক্রিফাইস কোন ব্যাপারই না আমার কাছে। আর সে সেক্রিফাইস বিফলে জায়নি । এখন রিতু আমার প্রেমে অন্ধ প্রায়। এইত কাল ফোন দিয়ে বললাম জানুটা আমার তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে কিছু পিক দাও তো । সে পিক দিল , আমি বললাম এমন করে দেখব না সোনা , তাহলে কি ভাবে দেখবে । অই যে অইভাবে । অইভাবে মানে। আরে বুঝনা কেন হুম বুঝছি কি বুঝছ অনেক দুস্ট হইছ তুমি, হুম শুধু তোমার জন্য আমি দুশ্তু কেন ,আর কিছু থাকলে তা ও হতে পারি। হইছে হইছে এখন ঘুমাও ও আসার সময় হয়ে গেছে। তাহলে তুমি দিবা না । নাহ , দুস্টুদের সব কথা শুনতে নেই । দেখ তুমি যদি না দেও তাহলে কিন্ত আমি আজ থেকে আর কিছু খাব না, এই বলে ফোন অফ করে দিলাম। রাত তিন্টায় ফোন খুলে দেখি তার ৪৩ টা মেসেজ । আর ইমতে পঞ্চাশের অধিক নুড পিক। সাথে লেখা দেখ প্লিজ রাগ করনা । আমি তো ফান করছিলাম। প্লিজ তোমার জেভাবে মনে হয় সেভাবে দেখ তবুও রাগ করে থেক না, মনে মনে হেসে নিলাম কিছুখন , যাক ইমোশনাল ব্লাক্মেইলটা তাহলে ভালই কাজে লেগেছে। সকালেই ফোন দিয়ে বললাম দেখ সোনা তুমি ছাড়া কে আছে আমার । তোমার সাথে কি রাগ করতে পারি। বিকালে দেখা করো । আজ আমি অনেক খুশি তুমি যা খাইতে চাইবে তাই খাওয়াব। রিতুকে নিয়ে আজ একটা অনেক বড় প্লান করেছি । প্লান মোতাবেক ই আগাতে হবে । না হলে তো .........

By kolpobazz

Sunday, March 17, 2019

অনুগল্প [০১] যেই হাত আজ সকালে বাসের ভিড়ে পাশে দাড়ানো রুপসীর স্তনে কাঙ্খিত অনাকাঙ্খার দংসন বারংবার বসাচ্ছিল, সেই হাতই রাতে রুমে ফিরে স্ত্রীকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিল। #সাইকো

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (০৩) #সাইকো এভাবে শান্ত আর রিতুর বন্ধুত্বের সূচনা। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব গভীর হতে লাগল। দিন হতে মাস, মাস হতে বছর। দুইজন একসাথে সবসময় চলে, একে অপরের পারস্পরিকতায় তাদের বন্ধুত্ব। আর রিতুর স্বভাবের সাথে শান্তর অনেক মিল আছে। দুইজনই ঠান্ডা স্বভাবের আর সাদামাটা জীবন যাপন পছন্দ করে। তাই তারা একে অপরকে খুব পছন্দ করে। দুষ্টুমি, হাসি-ঠাট্টা, রাগ, ভালবাসা এই মিলিয়ে তাদের বন্ধুত্ব...... . প্রায় এক বছর কেটে গেল শান্ত আর রিতুর বন্ধুত্বের... ঠিক এমন সময় একদিন হঠাৎ খুব সকালে রিতু শান্তকে ফোন দেয়...... - কি ব্যাপার রিতু এত সকালে ফোন দিলি যে? - শান্ত তুই এখনি ঐ জায়গায়টায় আয় যেখানে আমরা প্রথম বন্ধুত্ব করি। - এত সকালে?? এত সকালে?? কেন? ৮টা বাজে মাত্র। - (উত্তেজিত সুরে) তুই আসবি কিনা বল! - আচ্ছা আসছি ওয়েট। - হুম জলদি আয়... এই বলে ফোন রেখে দেয় রিতু।শান্ত চিন্তায় পরে গেল। কি হল মেয়েটার! মনে হচ্ছে বেশ চিন্তায় আছে আর বিরাট বড় সমস্যায় পড়েছে। যাক দেরি না করে বেরিয়ে পড়ল। . সকাল ৮টা ১৫ বেজে গেল ঐদিকে রিতু অপেক্ষা করতে করতে অস্থির। হঠাৎ দূর থেকে দেখে শান্ত দৌড়ে আসছে। আর এসেই হাঁপাতে হাঁপাতে বলল... - কিহ! বল... - শান্ত আমায় নিয়ে চল! (রিতু শান্তর হাত ধরে বলল)[যদিও এটা ছিল রিতুর বানানো মিত্থা গল্প ] - কোথায়?? - যেথায় ইচ্ছা। বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। কিন্তু আমি তোকে ভালবাসি। - কি বলছিস এসব? - আমি ঠিকই বলছি। তুই প্লিজ আমাকে কোথাও নিয়ে চল। আমাকে বিয়ে কর। - পাগলামি করিস না। (রিতুর হাত ছেড়ে দিয়ে।) - বিশ্বাস কর আমি তোকে ভালবাসি। আই লাভ ইউ শান্ত। আমি থাকতে পারব না তোকে ছাড়া। - তুই বাড়ি যা। - না যাবনা। - তবে আমিই যাচ্ছি। আমি তোকে ভালবাসিনা। সো ইম্পসিবল। এই বলে শান্ত পিছনে ফিরে সজোরে হাটা দিল। রিতু অনেক জোরে চিৎকার করে ডাকছে তাও শুনলো না। হতাশ মনে রিতু বাড়ি গেল। শান্তর নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ করেনা। এরকম বারবার কল দিয়ে যায় রিতু। হঠাৎ রিতুর নাম্বারে একটা ম্যাসেজ আসে। আর সেটা শান্তর দেয়া। তাতে লেখা..... "পাগলি আমিও তোকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি। তবে বলতে পারি নাই বন্ধুত্বটা যেন না হারিয়ে যায়। আই লাভ ইউ রিতু....... . তখন রিতু যে কত খুশি হয়ছে তা বলা অসম্ভব। শুরু হলো তাদের বন্ধু থেকে প্রেম। মাস খানিক হওয়ার পর রিতু শান্তকে বলল সেই বট গাছটার নিচে আসতে। শান্ত এসে দেখল যে রিতু অন্য একটি ছেলের সাথে হাত ধরে বসে আছে। কাছে যেতেই রিতু বলে উঠল দেখ শান্ত এই আমার হবু বর। বাবা তার সাথেই আমার বিয়ে ঠিক করেছে । শান্ত তখন কি বলবে বুঝে উঠতে পারছিল না। আসলে তার মনে কোন কুটিলতা ছিল না । সরল মনে সে ভাল বেসেছিল রিতুকে। কিন্ত রিতু এমন করবে সে কল্পনাতে ও ভাবতে পারে নি / বাসায় গিয়েই শান্ত ফোন করে রিতুকে “এই সত্যি বলতো ছেলেটা কে তুমি ফান করছ তাই না। -ফান করতে যাব কেন । অইটাই আমার জামাই হবে ।কাল আমার বিয়ে। -তাহলে আমার সাথে যে এতদিন… -হা হা ওটা ছিল টাইম্পাস তা ও বুঝনা বকা ছেলে তোমাকে বিয়ে করলে তো আমার না খেয়ে থাকতে হবে । তোমার কি আছে হুম। শান্ত কিছু বলতে পারছে না । তার দম বন্ধ হয়ে আসছে । মানুষ এত খারাপ হয় কি করে বির বির করতে লাগল সে । এর পরের দিন ই শান্তর লাশ পাওয়া যায় তার ঘরে ফ্যনের সাথে ঝুলানো । ডাইরিটা শেষ করে সেইদিন ই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে আমার বন্ধুর মৃত্যুর জন্য দায়ি তাকে ছার দেয়া যাবে না । ওহ বলা হয়নি …। শান্ত আমার এক্মাত্র বন্দু ছিল। ওর সব কিছু আমার সাথে শেয়ার করত । কিন্ত এই প্রেমের কথাটা সে কখনোই বলে নি । তবে তার ডাইরি লেখার সখ ছিল। তাই সব কিছু তার ডাইরিতে লিখে রাখত । ও মারা যাবার প্পর ওর রুমে ওর ডাইরিটা পাই , সেখান থেকেই সব কিছু জানতে পারলাম ।

By kolpobazz

Saturday, March 16, 2019

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (০২) #সাইকো পরেরদিন ক্লাস শেষে বাড়ি যাবার পথে শান্তর সাথে রিতুর দেখা হয়। দেখামাত্রই শান্তকে ডাক দেয়...... - এইযে শুনুন...(রিতু) - (হঠাৎ থেমে পিছনে তাকিয়ে) আমাকে বলছেন? (শান্ত) - হ্যাঁ। গতকাল তো হুট করে চলে গেলেন। আজও যাচ্ছেন। ব্যাপার কি? - না মানে...এমনি আর কি। - তাড়া আছে? - নাহ! কিছু বলবেন? - চলেন এক জায়গায় যাব। - কোথায়? - আহ চলুন না! - আচ্ছা চলুন। এক বট গাছের সামনে রিতু শান্তকে নিয়ে গেল। তারা দুইজন সেখানে বসল। চারদিকে হালকা শীতল হাওয়া এসে বইছে। বেশ নিরিবিলি আর সুন্দর একটা জায়গা। ফ্রি টাইমে রিতু প্রায়ই এখানে আসে। আজ সে শান্তকে নিয়ে বসল। শান্তর একটু নার্ভাস ফিল হচ্ছে কারন সে সহজে মেয়েদের সাথে কথা বলেনা। ভয় পায়। এই প্রথম একটা মেয়ে তার সাথে এমন ভাবে হেসে খেলে কথা বলছে যেন মেয়েটি তার অনেক দিনের চেনা। সত্যিই রিতু মেয়েটা বড় অদ্ভুত মনে মনে ভাবছে শান্ত । - নার্ভাস লাগছে? (রিতু) - কই নাতো! (শান্ত) - ভয়ের কিছু নাই। আমি ফ্রেন্ডলি সবার সাথে। - না না তেমন কিছুনা। - তারপর আপনার বন্ধু আছে কে কে? - আছে বর্তমানে দুইজন মেসের রুমমেট। - আর কেউনা! (অবাক হয়ে রিতু) - আমার বাবাই বড় বন্ধু। - হুমম... আরেকটা যে নতুন বন্ধু যোগ হতে যাচ্ছে। তাকে কি এক্সেপ্ট করা যাবে? - বলেন কি? কে সে? - আমি... কি বন্ধু হিসেবে কি নেয়া যায় এই হতভাগীকে! - কি যে বলেন! আমার মত ছেলের সাথে বন্ধুত্ব! - দেখুন এটা ঠিক না! (রাগান্বিত সুরে) - আচ্ছা আচ্ছা। আপনার বন্ধুত্ব গ্রহন করলাম। - তবে এখন হতে আর আপনি নয়। তুই করে বলতে হবে। আমিও বলব। - আচ্ছা ম্যাডাম তাই হবে। (দুষ্টুমির সুরে বলে উঠে শান্ত) - হাহাহা... .

By kolpobazz

এক বাক্যে যদি হাজারটা অনুভুতি প্রকাশ করতে বলা হয় আমার কাছে শুধু একটা জবাব ই আছে.....। ____ভাল থেক____ #সাইকো

By kolpobazz

I wish .... আমিও ঠিক একদিন তাহাকে অই জঙ্গিটার মত গুলি করে মারব । বুকের ঠিক ওইখানটায় গুলি করব যেখানটায় ছলনারা বাস করে। একটা নয় দুইটা নয় হাজারটা গুলি ভেদ করে যাবে অই হৃদপিণ্ড । হয়ত তখন তুমিও বুঝতে পারবে ...। কলিজার ভেতর পুষে রাখা ভালোবাসাটা হারিয়ে গেলে । মানুষ কতটা পাষাণ হতে পারে। #সাইকো

By kolpobazz

Thursday, March 14, 2019

আমি মেসেঞ্জার তেকে বালের পো বলছি ।আপনি কি দিঘল কালো বালের অদিকারি ,যদি হন তাহলে এই মেসেজটি গুলে পানি খান আর ২৫ জনকে ফরোয়ার্ড করুন ,🙃🙃 যদি না খান তাহলে আজ ই আপনার সব বাল ঝরে জেতে পারে । এক জন করেনি তাই সে এখন বালের শোকে পাগল ।🙄 #অসহ্য_বালের_মেসেজে #সাইকো

By kolpobazz

এই ভেবেই শান্তি লাগে যে ...।। মেয়েটা দিনে আমায় হাজার বার মনে করে।☺️☺️ ভালবেসে না হোক । ঘৃণার তরে হলেও তো আমি বেচে আছি তার অন্তরে । 😊 #সাইকো

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (০১) #সাইকো এখানে বসতে পারি??? (মেয়ে) - জ্বি,বসেন। (ছেলে) - ধন্যবাদ ... একটু ভয় ভয় লাগছে শান্তর। এই প্রথম শহরের কোন মেয়ের সাথে কথা বলছে। তার জানা মতে শহরের মেয়েরা অহংকারী হয় আর সহজে ছেলেদের সাথে কথা বলেনা। আচরনেও হয় রাগী... এজন্য সে শহরের মেয়েদের সাথে কথা বলতে একটু ভয় পায়।কারন সে গ্রামের ছেলে। শহরে এসেছে পড়াশোনা করতে। আজ নতুন ভর্তি হয়েছে ভার্সিটিতে। - আমি রিতু । মিরপুরে থাকি। আপনি? - জ্বি আমি শান্ত । গ্রাম থেকে শহরে এসছি।পড়াশোনার জন্য। - বেশ ভাল। পরিচিত হয়ে ভাল লাগলো।(হেসে) - জ্বি ধন্যবাদ। আমিও খুশি হলাম। রিতুকে দেখে তার শহরের মেয়েদের প্রতি চিন্তাধারা একটু ঘুরে গেল। রিতু ঐরকম নয়। হেসেখেলে কথা বলে। আচরনও বেশ মার্জিত । একটা মেয়ে এত ভাল হয় কি করে। একটু খটকা লাগছে শান্তর কাছে ।. ক্লাস শেষে শান্ত সরাসরি বাসায় আসলো। বাসা বলতে সে মেসে থাকে তার দুই বন্ধু রুমমেটের সাথে। গ্রাম ছেড়ে শহরে পড়াশোনার জন্য তাকে মেসে ভাড়া করে থাকতে হয়। শান্তর মা নেই। যখন সে ক্লাসসিক্সে পড়ে তখন তার মা ক্যান্সারে মারা যায়। এরপর বাবাই ছেলের ভরনপোষনের দায়িত্ব নেয়। বাবা ছোটখাটো মুদির দোকানদার। যদিও পরিবারে শান্তর কোন ভাই বোন নেই। সে একাই বাবার সাথে থাকে। তবুও শুধু মুদি দোকান দ্বারা অনেক সময় তার চাহিদা পুরন করা তার বাবার পক্ষে সম্ভব হয়না। এমনও গেছে বাবা না খেয়ে ছেলেকে খাইয়েছে। এমন অভাবে চলতো বাপ ছেলের সংসার। বাবা সামান্য মুদি দোকানদার হওয়া সত্বেও ছেলের প্রতি ছিলেন খুব দায়িত্বশীল। পড়াশোনার একমাত্র ছেলেকে সে শহরে পাঠাবে, ছেলে বড় হয়ে মানুষ হবে এই আশায়। ছেলে হিসেবে শান্ত ছিল নম্র ভদ্র, আচরন ছিল খুব ভাল। পড়াশোনায় ছিল মেধাবী ছাত্র। তাই তার গ্রামের গুরুজন তাকে বেশ স্নেহ করতো আর ভালবাসতো। শান্ত তার বাবার কথা মতোই সবসময় চলতো। বাবা স্বপ্ন পুরনেও সে কর্তব্যপরায়ন। এজন্যই শান্তর বাবা তার একমাত্র ছেলেকে খুব ভালবাসতো। ছেলেও বাবাকে ভীষন ভালবাসতো। আর মা মারা যাবার পর তার বাবা কখনোই ছেলেকে মায়ের অভাব উপলব্ধি করতে দেন নি। তাই বাবাই ছিল তার কাছে সব। . ঐদিকে রিতু তার বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবা শহরের বড় ব্যবসায়ী, নিজস্ব গাড়ি, বাড়ি আছে। আর মা কলেজের প্রফেসর। আর আছে ছোট ভাই। ছোট বেলা হতেই বড় আদরে মানুষ হয়েছে রিতু। আর খুব ভাল, ভদ্র মেয়ে। চাল-চলন যেমন ছিল সুন্দর তেমনি দেখতেও... .

By kolpobazz

Wednesday, March 13, 2019

এখানে বসতে পারি??? (মেয়ে) - জ্বি,বসেন। (ছেলে) - ধন্যবাদ ... খুব ভয় ভয় লাগছে জুবায়েরের। এই প্রথম শহরের কোন মেয়ে তার সাথে কথা বলছে। তার জানা মতে শহরের মেয়েরা অহংকারী হয় আর সহজে ছেলেদের সাথে কথা বলেনা। আচরনেও হয় রাগী...এজন্য সে শহরের মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পায়। আর তাছাড়া সে গ্রামের ছেলে। শহরে এসেছে পড়াশোনা করতে। আজ নতুন হয়েছে ভর্তি ভার্সিটিতে। - আমি রিতু । মিরপুরে থাকি। আপনি? - জ্বি আমি জুবায়ের। গ্রাম থেকে শহরে এসছি। পড়াশোনার জন্য। - বেশ ভাল। পরিচিত হয়ে ভাল লাগলো। (হেসে) - জ্বি ধন্যবাদ। আমিও খুশি হলাম। . রিতুকে দেখে তার শহরের মেয়েদের প্রতি চিন্তাধারা একটু ঘুরে গেল। রিতু ঐরকম নয়। হেসেখেলে কথা বলে। আচরনও বেশ মার্জিত। স্যার ক্লাসে আসার সময় হয়ে গেছে। ছেলেমেয়ে সবাই প্রস্তুত হয়ে বসলো। কিছুক্ষন বাদেই স্যার ক্লাসে প্রবেশ করল। . ক্লাস শেষে জুবায়ের সরাসরি বাসায় আসলো। বাসা বলতে সে মেসে থাকে তার দুই বন্ধু রুমমেটের সাথে। গ্রাম ছেড়ে শহরে পড়াশোনার জন্য তাকে মেসে ভাড়া করে থাকতে হয়। . জুবায়েরের মা নেই। যখন সে ক্লাস সিক্সে পড়ে তখন তার মা ক্যান্সারে মারা যায়। এরপর বাবাই ছেলের ভরনপোষনের দায়িত্ব নেয়। বাবা ছোটখাটো মুদির দোকানদার। যদিও পরিবারে জুবায়েরের কোন ভাই বোন নেই। সে একাই বাবার সাথে থাকে। তবুও শুধু মুদি দোকান দ্বারা অনেক সময় তার চাহিদা পুরন করা তার বাবার পক্ষে সম্ভব হয়না। এমনও গেছে বাবা না খেয়ে ছেলেকে খাইয়েছে। এমন অভাবে চলতো বাপ ছেলের সংসার। বাবা সামান্য মুদি দোকানদার হওয়া সত্বেও ছেলের প্রতি ছিলেন খুব দায়িত্বশীল। পড়াশোনার একমাত্র ছেলেকে সে শহরে পাঠাবে, ছেলে বড় হয়ে মানুষ হবে এই আশায়। ছেলে হিসেবে জুবায়ের ছিল নম্র ভদ্র, আচরন ছিল খুব ভাল। পড়াশোনায় ছিল মেধাবী ছাত্র। তাই তার গ্রামের গুরুজন তাকে বেশ স্নেহ করতো আর ভালবাসতো।জুবায়ের তার বাবার কথা মতোই সবসময় চলতো। বাবা স্বপ্ন পুরনেও সে কর্তব্যপরায়ন। এজন্যই জুবায়েরের বাবা তার একমাত্র ছেলেকে খুব ভালবাসতো। ছেলেও বাবাকে ভীষন ভালবাসতো। আর মা মারা যাবার পর তার বাবা কখনোই ছেলেকে মায়ের অভাব উপলব্ধি করতে দেন নি। তাই বাবাই ছিল তার কাছে সব। . ঐদিকে রিতু তার বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবা শহরের বড় ব্যবসায়ী, নিজস্ব গাড়ি, বাড়ি আছে। আর মা গৃহিনীই। আর আছে ছোট ভাই। ছোট বেলা হতেই বড় আদরে মানুষ হয়েছে রিতু। আর খুব ভাল, ভদ্র মেয়ে। চাল-চলন যেমন ছিল সুন্দর তেমনি দেখতেও... . পরেরদিন ক্লাস শেষে বাড়ি যাবার পথে জুবায়েরের সাথে রিতুর দেখা হয়। দেখামাত্রই জুবায়েরকে ডাক দেয়...... - এইযে শুনুন...(রিতু) - (হঠাৎ থেমে পিছনে তাকিয়ে) আমাকে বলছেন? (জুবায়ের) - হ্যাঁ। গতকাল তো হুট করে চলে গেলেন। আজও যাচ্ছেন। ব্যাপার কি? - না মানে...এমনি আর কি। - তাড়া আছে? - নাহ! কিছু বলবেন? - চলেন এক জায়গায় যাব। - কোথায়? - আহ চলুন না! - আচ্ছা চলুন। এক বট গাছের সামনে রিতু জুবায়ের কে নিয়ে গেল। তারা দুইজন সেখানে বসল। চারদিকে হালকা শীতল হাওয়া এসে বইছে। বেশ নিরিবিলি আর সুন্দর একটা জায়গা। ফ্রি টাইমে রিতু প্রায়ই এখানে আসে। আজ সে জুবায়েরকে নিয়ে বসল। জুবায়েরের একটু নার্ভাস ফিল হচ্ছে কারন সে সহজে মেয়েদের সাথে কথা বলেনা। ভয় পায়। এই প্রথম একটা মেয়ে তার সাথে এমন ভাবে হেসে খেলে কথা বলছে যেন মেয়েটি তার অনেক দিনের চেনা। সত্যিই রিতু মেয়েটা বড় অদ্ভুত মনে মনে ভাবছে জুবায়ের । - নার্ভাস লাগছে? (রিতু) - কই নাতো! (জুবায়ের) - ভয়ের কিছু নাই। আমি ফ্রেন্ডলি সবার সাথে। - না না তেমন কিছুনা। - তারপর আপনার বন্ধু আছে কে কে? - আছে বর্তমানে দুইজন মেসের রুমমেট। - আর কেউনা! (অবাক হয়ে রিতু) - আমার বাবাই বড় বন্ধু। - হুমম... আরেকটা যে নতুন বন্ধু যোগ হতে যাচ্ছে। তাকে কি এক্সেপ্ট করা যাবে? - বলেন কি? কে সে? - আমি... কি বন্ধু হিসেবে কি নেয়া যায় এই হতভাগীকে! (কবি কন্ঠে বলে উঠল সিমি) - কি যে বলেন! আমার মত ছেলের সাথে বন্ধুত্ব! (মাথা চুলকিয়ে সিফাত) - দেখুন এটা ঠিক না! (রাগান্বিত সুরে) - আচ্ছা আচ্ছা। আপনার বন্ধুত্ব গ্রহন করলাম। - তবে এখন হতে আর আপনি নয়। তুই করে বলতে হবে। আমিও বলব। - আচ্ছা ম্যাডাম তাই হবে। (দুষ্টুমির সুরে বলে উঠে জুবায়ের) - হাহাহা... . এভাবে জুবায়ের আর রিতুর বন্ধুত্বের সূচনা। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব গভীর হতে লাগল। দিন হতে মাস, মাস হতে বছর। দুইজন একসাথে সবসময় চলে, একে অপরের পারস্পরিকতায় তাদের বন্ধুত্ব। আর রিতুর স্বভাবের সাথে জুবায়েরের অনেক মিল আছে। দুইজনই ঠান্ডা স্বভাবের আর সাদামাটা জীবন যাপন পছন্দ করে। তাই তারা একে অপরকে খুব পছন্দ করে। দুষ্টুমি, হাসি-ঠাট্টা, রাগ, ভালবাসা এই মিলিয়ে তাদের বন্ধুত্ব...... . প্রায় এক বছর কেটে গেল জুবায়ের আর রিতুর বন্ধুত্বের... ঠিক এমন সময় একদিন হঠাৎ খুব সকালে রিতু জুবায়েরকে ফোন দেয়...... - কি ব্যাপার রিতু এত সকালে ফোন দিলি যে? - জুবায়ের তুই এখনি ঐ জায়গায়টায় আয় যেখানে আমরা প্রথম বন্ধুত্ব করি। - এত সকালে?? এত সকালে?? কেন? ৮টা বাজে মাত্র। - (উত্তেজিত সুরে) তুই আসবি কিনা বল! - আচ্ছা আসছি ওয়েট। - হুম জলদি আয়... এই বলে ফোন রেখে দেয় রিতু।জুবায়ের চিন্তায় পরে গেল। কি হল মেয়েটার! মনে হচ্ছে বেশ চিন্তায় আছে আর বিরাট বড় সমস্যায় পড়েছে। যাক দেরি না করে বেরিয়ে পড়ল জুবায়ের। . সকাল ৮টা ১৫ বেজে গেল ঐদিকে রিতু অপেক্ষা করতে করতে অস্থির। হঠাৎ দূর থেকে দেখে জুবায়ের দৌড়ে আসছে। আর এসেই হাঁপাতে হাঁপাতে বলল... - কিহ! বল... - জুবায়ের আমায় নিয়ে চল! (রিতু জুবায়েরের হাত ধরে বলল) - কোথায়?? - যেথায় ইচ্ছা। বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। কিন্তু আমি তোকে ভালবাসি। - কি বলছিস এসব? - আমি ঠিকই বলছি। তুই প্লিজ আমাকে কোথাও নিয়ে চল। আমাকে বিয়ে কর। - পাগলামি করিস না। (রিতুর হাত ছেড়ে দিয়ে।) - বিশ্বাস কর আমি তোকে ভালবাসি। আই লাভ ইউ জুবায়ের। আমি থাকতে পারব না তোকে ছাড়া। - তুই বাড়ি যা। - না যাবনা। - তবে আমিই যাচ্ছি। আমি তোকে ভালবাসিনা। সো ইম্পসিবল। এই বলে জুবায়ের পিছনে ফিরে সজোরে হাটা দিল। রিতু অনেক জোরে চিৎকার করে ডাকছে তাও শুনলো না। হতাশ মনে রিতু বাড়ি গেল। জুবায়েরের নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ করেনা। এরকম বারবার কল দিয়ে যায় রিতু। হঠাৎ রিতুর নাম্বারে একটা ম্যাসেজ আসে। আর সেটা জুবায়েরের দেয়া। তাতে লেখা..... "পাগলি আমিও তোকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি। তবে বলতে পারি নাই বন্ধুত্বটা যেন না হারিয়ে যাই।আই লাভ ইউ রিতু....... . তখন রিতু যে কত খুশি হয়ছে তা বলা অসম্ভব। শুরু হলো তাদের বন্ধু থেকে প্রেম। মাস হানিক হওয়ার পর।জুবায়ের রিতুকে বলতেছে তারা কোনো এক নদীর পাড় ঘুরতে যাবে।তো রিতুও রাজি হলো। একদিন বিকেল বেলা দুজনে গেল নদীর পাড় ঘুরতে। অনেক্ষন যাবত দুইজনে বসে গল্প করতেছে।সন্ধা ঘনিয়ে আসতেছে...চারদিক ে নির্জন আবাস..জনবহুল বলতে নেই। হঠাৎ জুবায়ের রিতু কে ধাক্কা মেরে দূরে ঠেলে দেই।রিতু কিছুই বুঝতেছে না।দুইজনেই দাঁড়িয়ে যাই।সাথে সাথে জুবায়ের তার পিছন থেকে একটা দাড়ালো ছুরি বের করে। ছুরি দেখে রিতু বলতেছে... -জুবায়ের ছুরি বের করছ কেন,আর আমাকেই বা ধাক্কা মারলা কেন -তকে খুন করব -কি বলতেছ এসব -হুম,সত্যি বলতেছি তকে খুন করব (জুবায়েরের মাঝে এক ভয়ালি রুপ ধারণ করেছে।মনে হয় সত্যিই রিতুকে খুন করবে) -কিন্তু কেন আমাকে খুন করবে,তুমি বলে আমাকে ভালোবাস,তাহলে -আমি তকে ভালোবাসতে যাব কোন দুঃখে,আমি তো তর সাথে এতদিন যাবত অভিনয় করে আসছি শুধু আজকের দিনটার জন্য।তকে খুন করব বলে আমি সেই দিন থেকে অপেক্ষা করে আসছি।যেই দিন আমার বন্ধু রিফাত মারা গেছিল। (রিফাতের নাম শুনে রিতু চমকে ওঠল। জুবায়ের তাহলে কি রিফাতের বন্ধু। রিতুর আর বুঝতে বাকি রইল না) . জুবায়ের আবার বলতে লাগল... -তুই চমকে ওঠলি কেন।রিফাত তকে অনেক ভালোবাসত।যেই দিন তুই রিফাতকে দূরে ঠেলে দিয়েছিলি,সেই দিন রিফাতে অনেক কাঁদছে।শেষ পর্যন্ত আমার বন্ধুটা আত্মহত্যা করে।তকে তো ও অনেক ভালোবাসত। তাহলে তুই কেন ওর সাথে এমন করলি।কি দুষ ছিল ওর।আর আমার উপরোক্ত যে পরিচয় দিছি সবগুলো বানোয়াট। একমাত্র আমার প্রেমে তকে ঝড়ানোর জন্য। এসব অভিনয় করছি।যেই দিন রিফাতে মারা যাই।সেই দিন আমি অনেক কাঁদছি।আর প্রতিজ্ঞা করছিলাম।তকে আমি নিজ হাতে খুন করব।আর আজকে আমার সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে।আমি আজও আমার বন্ধু রিফাতের কথা ভেবে রাত্রে চোখের অশ্রু ঝড়াই। তকে ও অনেক ভালোবাসত। কিন্তু তুই ওরে বাঁচতে দিলি না।এরকম আর কয়টা ছেলের সাথে তুই করছত।আমি এতদিন যাবত ভাল ছেলের অভিনয় করে আসছি তকে খুন করব বলে।তকে খুন করে আমি আমার বন্ধুর আত্মার শান্তি দিতে চাই। . এই বলে জুবায়ের কাঁদতে লাগল।আর রিতু হতবম্ব। কি হতে যাচ্ছে তার সাথে। অবশেষে জুবায়ের রিতুকে ছুড়ি দিয়ে তার গলাটা কেটে ফেলে। আর জোরে জোরে হাসতে থাকে,আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে... -বন্ধু আমি পেরেছি তর আত্মহত্যার প্রতিশোধ নিতে।তর আত্মা শান্তি পাচ্ছে। আর সাথে কান্নারও আওয়াজ আসতেছে। রিতুর লাশটাকে নদীতে ফেলে। জুবায়ের হাটা শুরু করে তার গন্তব্যে।সন্ধায় আধার করে আসল চারদিকে। . এই গল্পে জুবায়েরের যে পরিচয় দেওয়া হয়ছে সবগুলো বানোয়াট।কারণ এটার মাধ্যমেই জুবায়ের রিতুকে খুন করতে পারে। তাই মিথ্যে পরিচয় দিয়ে রিতুর সাথে ভালোবাসার অভিনয়টা করে। জুবায়ের এর অনেক কাছের বন্ধু ছিল রিফাত।বছর হানিক আগে রিফাতের সাথে রিতুর রিলেশন হয়। কি এক কারণে রিফাতকে দূরে ঠেলে দেয় রিতু।সেই সুখে রিফাত আত্মহত্যা করে। আর জুবায়ের তার প্রতিশোধ নেয়। ভালোবাসার নামে সাইকো বেশে। . ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন "সবাইকে ধন্যবাদ"

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো (শেষ ) নতুন আইফোন এক্সটা মাত্র কিনলাম । দেখতে হেব্বি , একেবারে নিধির মত হট । ওহ নিধির কথা মনে পরতেই ছুটে গেলাম পশ্চিম পারার ডাস্টবিন্টার কাছে। ময়লার গন্ধে দাঁড়ানো জাচ্ছে না এখানে কিন্ত বেচারি সানন্দে এখনও ঘুমাচ্ছে । হয়ত ঘুমের মদ্ধেও আইফোন এর স্বপ্ন দেখছে। কারন বোঝা জাচ্ছে স্বপ্নটা মজার , চেহারায় তার ছাপ ফুটে উঠছে । হালকা পানি ছিটালাম নিধির মুখে। জেগে উঠল সে, উঠেই অবাক দৃষ্টিতে এদিক অদিক করছে। হয়ত বুঝতে পারছে না জান্নাত নাকি জাহান্নামে আছে সে। আর যখন বুঝতে পারল ওয়াক করে বমি করা শুরু করল। আর বমির সাথে বেড়িয়ে আসতে লাগল রক্ত । রক্ত দেখে ভয়ে কথা বলতে পারছে না মেয়েটা । দেখে মায়া লাগবে যে কারোর ই । তবে আমার লাগছে না। মনের মধ্যে খুব শান্তি লাগছে এক কথায়। একচল্লিশটা খুন করার পর হয়ত এম্নিতে ও কারো মনে মায়া থাকে না। নিধি বিয়াল্লিশ নম্বরে আছে । এইসব কথা যখন ভাবছি দেখলাম নিধি কথা বলতে চাইছে । কিন্ত ফিস ফিস করা ছাড়া আর আওয়াজ বের হচ্ছে না। আমি তার কথা শুনতে তার কানের কাছে মুখ নিলাম। অস্পষ্ট জা শুনতে পেলাম তা হল " জানোয়ার , কি করছিস তুই আমার সাথে।" তোকে আল্লাহ ক্ষমা করবে না বলে দিলাম আমার সাথে খ্রাপ কিছু করলে।আর তুই আমায় এখানে রাখছিস কেন , অই কুত্তা , বজ্জাত । আমি বললাম বেশি কিছুনা বেব্বি । শুধু তোমার কিডনি নিয়েছি । হয়ত তুমি আর বাচবা না তবে তোমার স্বপ্ন আমি পুরন করে দিচ্ছি । এই যে দেখ আইফোন এক্স ।যেহেতু আজ থেকে তুমিও আমার এক্স হবা। তাই এটাই কিনলাম তোমার জন্য । এই নাও তোমার ফোন আর এই যে ক্যমেরা এনে দিলাম সুন্দর করে একটা পিক তুলে আমাকে সেন্ড কর , আমি না হয় তোমাকে ট্যগ করে পোস্ট দিয়ে দিব । নিধি কাদছে।হয়ত ভুল বুঝতে পেরে। হয়ত বা আইফোন পাবার খুশিতে। শুনেছি মেয়েরা ঙ্কি খুশিতেও কাদে। কি জানি ওসব ভাবতে ইচ্ছে করছে না । মেয়েটার এক হাতে আইফোন আর এক হাত দিয়ে কোমর চেপে শুয়ে আছে । উঠতে পারছে না। হয়ত গালি দিচ্ছে এখন ও আমায় । কিন্ত তাতে কি আমার ওতে কিছু আসে যায় না। মেয়েটার ঠোট কাপছে । হয়ত আবার কিছু বলতে চাচ্ছে । আমি আবার কানের কাছে মুখ নিলাম । সে বলছে পানি পানি। পকেট থেকে পানির বোতলটা বের করলাম , নিজ হাতে পানি খাওয়াচ্ছি নিধিকে ।আগে ও তাকে এমন করে অনেক খাইয়েছি । তবে আজকের আর তখনকার মধ্যে অনেক তফাৎ । পানি খেয়েই মেয়েটা আবার ঘুমিয়ে পরল । সন্ধ্যে হয়ে জাচ্ছে । নীল আকাশ ধারন করছে কালো বর্ণ । আর অইদিকে নিধির সাদা শরিরে জমাট বাধছে নীল রক্ত। আমি ডাইরিটা খুললাম , নীল কালি দিয়ে নিধি নামটাকে আন্ডারলাইন করলাম । নিচে লিখলাম অনুশোচনার মৃত্যু । #সাইকো

By kolpobazz

Tuesday, March 12, 2019

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো ০২ ডাক্তার সাব ইনজেকশন বানাচ্ছেন আমি বসে আছি , কিন্ত খেয়াল করলাম তিনি প্যথেড্রিন রেডি করছেন , ওষুধ বিসয়ে কিছু জানা ছিল বিধায় বুঝতে পারলাম কোন গণ্ডগোল হতে জাচ্ছে । তাই আমি সাত পাচ না ভেবেই ডাক্তার সাব কে বললাম আচ্ছা ডাক্তার সাব রক্ত নিতে কি অজ্ঞান করতে হয় , কি চলছে এখানে । বলেই পকেট থকে চাকুটা বের করে বললাম । চাকু দেখে তিনি ভয় পেয়ে বললেন দেখুন আমার কোন দোষ নেই । অই নিধি ই সব করতে বলছে । ওর নাকি আইফন দরকার কিন্ত আপনি দিচ্ছেন না তাই বল্ল কিডনি নিতে । ডাক্তারের কথা শুনে আমি তব্দা খেয়ে গেলাম। মাথা কাজ করছে না। ইস যদি এখন না বুঝতে পারতাম কি হত তাহলে। মাথার রক্ত গরম হয়ে ফুটছে , আমার সাথে চালাকি , দারাও বেব্বি দেখাচ্ছি মজা । ডক্টরকে বললাম এখন আমি জা বলব আপনি তাই করবেন । উলটা পালটা হলে খবর আছে। বলেই ছুটে গেলাম নিধির কাছে। নিধি আমাকে দেখে ঝটকা খেল ।হয়ত মনে মনে ভাবছে সালা এখন ও ড্যং ড্যং করে হেটে বেরাচ্ছে। কিছুখন বাদে বল্ল তুমি এখন ও রক্ত দাওনি । তুমি কি চাও আমি মরে যাই । আমি বললাম না বেব্বি , তা হবে কেন । আসলে হইছে কি তোমার রক্তের একটু স্যম্পল লাগবে তাই ডক্টর তোমাকে ডাকছে । সে বল্ল দেখ আমি নড়তে পারছি না । আমাকে কোলে তুল না ও । আমিও তাহার কথামত ভদ্র বফের মত তাকে কোলে নিয়ে বেডে শুয়ালাম । ডক্টর কে বললাম আপনি স্যম্পল নিন। ডক্টর কথামত তাহার কাজ কমপ্লিট করল ।

By kolpobazz

একটা ডাবল মাইয়ার পোষ্টে দুইদিন ধরে উরাধুরা কমেন্ট করছি কিন্ত কিরে এখন ও কেউ ওয়ারেন্ট জারি করে না ক্যন । এই ভেবে ঘুম আসছিল না। ভাবতে না ভাবতেই সদ্য একভাই এসে "অই বুইঝা শুইনা কমেন্ট করিস , আর লাভ রিএক্ট কম দিস বুঝলি । নইলে ব্লা ব্লা ব্লা বলে গেল । আমি এখন সেই মেয়ের সব পোষ্টে গিয়ে আই লেবু আর লাভ রিএক্ট দিয়ে আসছি । আলহামদুলিল্লাহ । এখন আমার প্রচুর ঘুম হবে ।🙃🙃🙃 #সাইকো

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো ০১ নিধির কল এল, ধরতেই -- কুত্তা হারামজাদা, লম্পট, জানোয়ার..!! -- কি হয়েছে ব্যব্বি? তুমি বোকছো কেন? -- শুয়োর, তোরে বলছিলাম ******না.. লুইচ্চা, বেজন্মা, এখন আমার কি হবে..!! -- কি বলো? আমি-তো ভিতরে ফালাইনি.. -- ফালাইসোস, নাইলে আমার পেটে বাচ্চা আইলো ক্যমনে? তুই-তো আর স্বপ্নে দিয়া যাস নাই.. ঢোক গিললাম, হতেও পারে স্বপ্নে ওরে কতবার **** তার হিসাব নাই.. আর শেষ বার যদিও বেলুন ইউজ করছি, তবুও হয়তো বেলুন ফুটো ছিলো... মনে মনে প্যান্থার কোম্পানিরে গালি দিলাম ৷ আবার বলা শুরু করলাম .. -- এখন কি করবো ব্যব্বি? নিধি - কি আর করবা? হসপিটালে আসো যলদি.. এ্যবরেশন ছাড়া উপায় কি? আমি আর কিছু ভাবলাম না, উঠে কিছু টাকা পয়সা ধার করে চললাম হসপিটালের দিকে ৷ যেতেই দেখলাম নিধি বসে আছে, খুব টেনশনে আছে মেয়েটি মায়া হলো ৷ আমার জন্য মেয়েটি একটি জীবনকে ধংস করতে যাচ্ছে.. ডাক্তার সাব আসতেই ওকে নিয়ে ঢুকলো অটিতে.. আমি বাহিরে অপেক্ষা করছি, খুব ভয় হচ্ছে আমার.. হঠাৎ ডক্টর এসে বললো নিধির রক্ত লাগবে, না হলে তাকে বাচানো যাবেনা ৷ আমি রক্ত খুজতে যাবো ডাক্টার বললো আপনার ব্লাড গ্রুপ O+ না? আমি বললাম হ্যাঁ ৷ ডাক্তার বললো আপনি পারবেন রক্ত দিতে ৷ কিন্তু আমার ব্লাড গ্রুপ নিধির ব্লাড গ্রুপ এক না৷ ডাক্তার বললো আপনি সবাইকে রক্ত দিতে পারবেন, আপনি সর্বজনিন দাতা.. সাঁত-পাঁচ না ভেবে আমি ঢুকলাম রক্ত দিতে

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো ০১ নিধির কল এল, ধরতেই -- কুত্তা হারামজাদা, লম্পট, জানোয়ার..!! -- কি হয়েছে ব্যব্বি? তুমি বোকছো কেন? -- শুয়োর, তোরে বলছিলাম ******না.. লুইচ্চা, বেজন্মা, এখন আমার কি হবে..!! -- কি বলো? আমি-তো ভিতরে ফালাইনি.. -- ফালাইসোস, নাইলে আমার পেটে বাচ্চা আইলো ক্যমনে? তুই-তো আর স্বপ্নে দিয়া যাস নাই.. ঢোক গিললাম, হতেও পারে স্বপ্নে ওরে কতবার **** তার হিসাব নাই.. আর শেষ বার যদিও বেলুন ইউজ করছি, তবুও হয়তো বেলুন ফুটো ছিলো... মনে মনে প্যান্থার কোম্পানিরে গালি দিলাম ৷ আবার বলা শুরু করলাম .. -- এখন কি করবো ব্যব্বি? নিধি - কি আর করবা? হসপিটালে আসো যলদি.. এ্যবরেশন ছাড়া উপায় কি? আমি আর কিছু ভাবলাম না, উঠে কিছু টাকা পয়সা ধার করে চললাম হসপিটালের দিকে ৷ যেতেই দেখলাম নিধি বসে আছে, খুব টেনশনে আছে মেয়েটি মায়া হলো ৷ আমার জন্য মেয়েটি একটি জীবনকে ধংস করতে যাচ্ছে.. ডাক্তার সাব আসতেই ওকে নিয়ে ঢুকলো অটিতে.. আমি বাহিরে অপেক্ষা করছি, খুব ভয় হচ্ছে আমার.. হঠাৎ ডক্টর এসে বললো নিধির রক্ত লাগবে, না হলে তাকে বাচানো যাবেনা ৷ আমি রক্ত খুজতে যাবো ডাক্টার বললো আপনার ব্লাড গ্রুপ O+ না? আমি বললাম হ্যাঁ ৷ ডাক্তার বললো আপনি পারবেন রক্ত দিতে ৷ কিন্তু আমার ব্লাড গ্রুপ নিধির ব্লাড গ্রুপ এক না৷ ডাক্তার বললো আপনি সবাইকে রক্ত দিতে পারবেন, আপনি সর্বজনিন দাতা.. সাঁত-পাঁচ না ভেবে আমি ঢুকলাম রক্ত দিতে

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো ০১ নিধির কল এল, ধরতেই -- কুত্তা হারামজাদা, লম্পট, জানোয়ার..!! -- কি হয়েছে ব্যব্বি? তুমি বোকছো কেন? -- শুয়োর, তোরে বলছিলাম ******না.. লুইচ্চা, বেজন্মা, এখন আমার কি হবে..!! -- কি বলো? আমি-তো ভিতরে ফালাইনি.. -- ফালাইসোস, নাইলে আমার পেটে বাচ্চা আইলো ক্যমনে? তুই-তো আর স্বপ্নে দিয়া যাস নাই.. ঢোক গিললাম, হতেও পারে স্বপ্নে ওরে কতবার **** তার হিসাব নাই.. আর শেষ বার যদিও বেলুন ইউজ করছি, তবুও হয়তো বেলুন ফুটো ছিলো... মনে মনে প্যান্থার কোম্পানিরে গালি দিলাম ৷ আবার বলা শুরু করলাম .. -- এখন কি করবো ব্যব্বি? নিধি - কি আর করবা? হসপিটালে আসো যলদি.. এ্যবরেশন ছাড়া উপায় কি? আমি আর কিছু ভাবলাম না, উঠে কিছু টাকা পয়সা ধার করে চললাম হসপিটালের দিকে ৷ যেতেই দেখলাম নিধি বসে আছে, খুব টেনশনে আছে মেয়েটি মায়া হলো ৷ আমার জন্য মেয়েটি একটি জীবনকে ধংস করতে যাচ্ছে.. ডাক্তার সাব আসতেই ওকে নিয়ে ঢুকলো অটিতে.. আমি বাহিরে অপেক্ষা করছি, খুব ভয় হচ্ছে আমার.. হঠাৎ ডক্টর এসে বললো নিধির রক্ত লাগবে, না হলে তাকে বাচানো যাবেনা ৷ আমি রক্ত খুজতে যাবো ডাক্টার বললো আপনার ব্লাড গ্রুপ O+ না? আমি বললাম হ্যাঁ ৷ ডাক্তার বললো আপনি পারবেন রক্ত দিতে ৷ কিন্তু আমার ব্লাড গ্রুপ নিধির ব্লাড গ্রুপ এক না৷ ডাক্তার বললো আপনি সবাইকে রক্ত দিতে পারবেন, আপনি সর্বজনিন দাতা.. সাঁত-পাঁচ না ভেবে আমি ঢুকলাম রক্ত দিতে,

By kolpobazz

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো নিধির কল এল, ধরতেই -- কুত্তা হারামজাদা, লম্পট, জানোয়ার..!! -- কি হয়েছে ব্যব্বি? তুমি বোকছো কেন? -- শুয়োর, তোরে বলছিলাম ******না.. লুইচ্চা, বেজন্মা, এখন আমার কি হবে..!! -- কি বলো? আমি-তো ভিতরে ফালাইনি.. -- ফালাইসোস, নাইলে আমার পেটে বাচ্চা আইলো ক্যমনে? তুই-তো আর স্বপ্নে দিয়া যাস নাই.. ঢোক গিললাম, হতেও পারে স্বপ্নে ওরে কতবার **** তার হিসাব নাই.. আর শেষ বার যদিও বেলুন ইউজ করছি, তবুও হয়তো বেলুন ফুটো ছিলো... মনে মনে প্যান্থার কোম্পানিরে গালি দিলাম ৷ আবার বলা শুরু করলাম .. -- এখন কি করবো ব্যব্বি? নিধি - কি আর করবা? হসপিটালে আসো যলদি.. এ্যবরেশন ছাড়া উপায় কি? আমি আর কিছু ভাবলাম না, উঠে কিছু টাকা পয়সা ধার করে চললাম হসপিটালের দিকে ৷ যেতেই দেখলাম নিধি বসে আছে, খুব টেনশনে আছে মেয়েটি মায়া হলো ৷ আমার জন্য মেয়েটি একটি জীবনকে ধংস করতে যাচ্ছে.. ডাক্তার সাব আসতেই ওকে নিয়ে ঢুকলো অটিতে.. আমি বাহিরে অপেক্ষা করছি, খুব ভয় হচ্ছে আমার.. হঠাৎ ডক্টর এসে বললো নিধির রক্ত লাগবে, না হলে তাকে বাচানো যাবেনা ৷ আমি রক্ত খুজতে যাবো ডাক্টার বললো আপনার ব্লাড গ্রুপ O+ না? আমি বললাম হ্যাঁ ৷ ডাক্তার বললো আপনি পারবেন রক্ত দিতে ৷ কিন্তু আমার ব্লাড গ্রুপ নিধির ব্লাড গ্রুপ এক না৷ ডাক্তার বললো আপনি সবাইকে রক্ত দিতে পারবেন, আপনি সর্বজনিন দাতা.. সাঁত-পাঁচ না ভেবে আমি ঢুকলাম রক্ত দিতে, ০২ ডাক্তার সাব ইনজেকশন বানাচ্ছেন আমি বসে আছি , কিন্ত খেয়াল করলাম তিনি প্যথেড্রিন রেডি করছেন , ওষুধ বিসয়ে কিছু জানা ছিল বিধায় বুঝতে পারলাম কোন গণ্ডগোল হতে জাচ্ছে । তাই আমি সাত পাচ না ভেবেই ডাক্তার সাব কে বললাম আচ্ছা ডাক্তার সাব রক্ত নিতে কি অজ্ঞান করতে হয় , কি চলছে এখানে । বলেই পকেট থকে চাকুটা বের করে বললাম । চাকু দেখে তিনি ভয় পেয়ে বললেন দেখুন আমার কোন দোষ নেই । অই নিধি ই সব করতে বলছে । ওর নাকি আইফন দরকার কিন্ত আপনি দিচ্ছেন না তাই বল্ল কিডনি নিতে । ডাক্তারের কথা শুনে আমি তব্দা খেয়ে গেলাম। মাথা কাজ করছে না। ইস যদি এখন না বুঝতে পারতাম কি হত তাহলে। মাথার রক্ত গরম হয়ে ফুটছে , আমার সাথে চালাকি , দারাও বেব্বি দেখাচ্ছি মজা । ডক্টরকে বললাম এখন আমি জা বলব আপনি তাই করবেন । উলটা পালটা হলে খবর আছে। বলেই ছুটে গেলাম নিধির কাছে। নিধি আমাকে দেখে ঝটকা খেল ।হয়ত মনে মনে ভাবছে সালা এখন ও ড্যং ড্যং করে হেটে বেরাচ্ছে। কিছুখন বাদে বল্ল তুমি এখন ও রক্ত দাওনি । তুমি কি চাও আমি মরে যাই । আমি বললাম না বেব্বি , তা হবে কেন । আসলে হইছে কি তোমার রক্তের একটু স্যম্পল লাগবে তাই ডক্টর তোমাকে ডাকছে । সে বল্ল দেখ আমি নড়তে পারছি না । আমাকে কোলে তুল না ও । আমিও তাহার কথামত ভদ্র বফের মত তাকে কোলে নিয়ে বেডে শুয়ালাম । ডক্টর কে বললাম আপনি স্যম্পল নিন। ডক্টর কথামত তাহার কাজ কমপ্লিট করল । ০৩ নতুন আইফোন এক্সটা মাত্র কিনলাম । দেখতে হেব্বি , একেবারে নিধির মত হট । ওহ নিধির কথা মনে পরতেই ছুটে গেলাম পশ্চিম পারার ডাস্টবিন্টার কাছে। ময়লার গন্ধে দাঁড়ানো জাচ্ছে না এখানে কিন্ত বেচারি সানন্দে এখনও ঘুমাচ্ছে । হয়ত ঘুমের মদ্ধেও আইফোন এর স্বপ্ন দেখছে। কারন বোঝা জাচ্ছে স্বপ্নটা মজার , চেহারায় তার ছাপ ফুটে উঠছে । হালকা পানি ছিটালাম নিধির মুখে। জেগে উঠল সে, উঠেই অবাক দৃষ্টিতে এদিক অদিক করছে। হয়ত বুঝতে পারছে না জান্নাত নাকি জাহান্নামে আছে সে। আর যখন বুঝতে পারল ওয়াক করে বমি করা শুরু করল। আর বমির সাথে বেড়িয়ে আসতে লাগল রক্ত । রক্ত দেখে ভয়ে কথা বলতে পারছে না মেয়েটা । দেখে মায়া লাগবে যে কারোর ই । তবে আমার লাগছে না। মনের মধ্যে খুব শান্তি লাগছে এক কথায়। একচল্লিশটা খুন করার পর হয়ত এম্নিতে ও কারো মনে মায়া থাকে না। নিধি বিয়াল্লিশ নম্বরে আছে । এইসব কথা যখন ভাবছি দেখলাম নিধি কথা বলতে চাইছে । কিন্ত ফিস ফিস করা ছাড়া আর আওয়াজ বের হচ্ছে না। আমি তার কথা শুনতে তার কানের কাছে মুখ নিলাম। অস্পষ্ট জা শুনতে পেলাম তা হল " জানোয়ার , কি করছিস তুই আমার সাথে।" তোকে আল্লাহ ক্ষমা করবে না বলে দিলাম আমার সাথে খ্রাপ কিছু করলে।আর তুই আমায় এখানে রাখছিস কেন , অই কুত্তা , বজ্জাত । আমি বললাম বেশি কিছুনা বেব্বি । শুধু তোমার কিডনি নিয়েছি । হয়ত তুমি আর বাচবা না তবে তোমার স্বপ্ন আমি পুরন করে দিচ্ছি । এই যে দেখ আইফোন এক্স ।যেহেতু আজ থেকে তুমিও আমার এক্স হবা। তাই এটাই কিনলাম তোমার জন্য । এই নাও তোমার ফোন আর এই যে ক্যমেরা এনে দিলাম সুন্দর করে একটা পিক তুলে আমাকে সেন্ড কর , আমি না হয় তোমাকে ট্যগ করে পোস্ট দিয়ে দিব । নিধি কাদছে।হয়ত ভুল বুঝতে পেরে। হয়ত বা আইফোন পাবার খুশিতে। শুনেছি মেয়েরা ঙ্কি খুশিতেও কাদে। কি জানি ওসব ভাবতে ইচ্ছে করছে না । মেয়েটার এক হাতে আইফোন আর এক হাত দিয়ে কোমর চেপে শুয়ে আছে । উঠতে পারছে না। হয়ত গালি দিচ্ছে এখন ও আমায় । কিন্ত তাতে কি আমার ওতে কিছু আসে যায় না। মেয়েটার ঠোট কাপছে । হয়ত আবার কিছু বলতে চাচ্ছে । আমি আবার কানের কাছে মুখ নিলাম । সে বলছে পানি পানি। পকেট থেকে পানির বোতলটা বের করলাম , নিজ হাতে পানি খাওয়াচ্ছি নিধিকে ।আগে ও তাকে এমন করে অনেক খাইয়েছি । তবে আজকের আর তখনকার মধ্যে অনেক তফাৎ । পানি খেয়েই মেয়েটা আবার ঘুমিয়ে পরল । সন্ধ্যে হয়ে জাচ্ছে । নীল আকাশ ধারন করছে কালো বর্ণ । আর অইদিকে নিধির সাদা শরিরে জমাট বাধছে নীল রক্ত। আমি ডাইরিটা খুললাম , নীল কালি দিয়ে নিধি নামটাকে আন্ডারলাইন করলাম । নিচে লিখলাম অনুশোচনার মৃত্যু । #সাইকো rpst bt edited

By kolpobazz

দিনে হাজারবার ভিজিট করা প্রোফাইলটা যখন লক দেখায় ...... কষ্ট হয়, বুকের বা পাশটায় খুব কষ্ট হয় । #সাইকো

By kolpobazz

Saturday, March 9, 2019

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ০১ (পর্বঃ০১) #সাইকো তখন আমি খুব ছোট । সবে মাত্র ক্লাস ফোর কি ফাইভ এ পড়ি । ক্লাসে খুব একটা না পারলে ও খারাপ ছিলাম না। তবে কেন জানি ক্লাসের মেয়েদের ঝোঁকটা কেবল আমার ওপর ই ছিল । কিন্ত তাদের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র ও আগ্রহ ছিল না। আমার আগ্রহের বিসয়বস্তু ছিল অন্যরকম । এই যেমন সবাই যখন মাঠে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকত , আমি তখন বেরিয়ে পরতাম নতুন কোন শিকারের খোজে । হয়ত কোন পাখি ধরে জ্যন্ত চামড়া ছারিয়ে তাতে লবন মরিচ দিয়ে দিতাম ।পাখিটা মারা জাবার আগ পর্যন্ত ছটফট করত , আর আমার কেন জানি মনের ভেতর খুশি লাগত।একবার এমন পাশের বাসার বিড়ালটা যখন আমার মাছে টুক্রাটায় হানা দিল,প্রতিজ্ঞা করেছিলাম একে তিল তিল করে কষ্ট না দেয়া পর্যন্ত আর ভাত খাব না। বেশি কষ্ট করতে হয়নি । পরদিন ই শায়েস্তা করেছিলাম শুয়োরটাকে । কত বড় সাহস আমার প্লেট থেকে মাছ নেয়া। চুরি করায় পটু হলে ও সালা আসলে ছিল ছাগল একটা । মাথায় বুদ্ধি সুদ্ধি কিছুই নেই । একটা মাছএর লোভ দেখাআতেই কিছু না ভেবে আমার পেতে রাখা মাছ ধরার কারেন্ট জালের মধ্যে ঢুকে পরল । দেরি করিনি এক্টুও । সোজা বারি বসিয়ে দিয়েছিলাম মাথার উপর । বারি খেয়ে লাট্টুর মত কতখন ঘুরে ফিরে যখন ঠাণ্ডা হয়ে গেল আমি তাহাকে নিয়ে একটা তক্তায় শোয়ালাম । চার পায়ে চারটা পেরেক মারলাম।বেচারা একটু ও শব্দ করেনি।হয়ত আগের বারির শকেই সালা বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল । পেরেক মেরে বাসা থেকে আনা কেরোসিন তার গায়ে ঢাললাম ।সালা তখন ও চোখ মেলে টিপ টিপ[ করে তাকাচ্ছে কিন্ত কিছু বলতে পারছে না।কেরোসিন লাগিয়ে একটা গাছের সঙ্গে উলটা করে বাদলাম । এরপর দিলাম তার গায়ে আগুন লাগিয়ে । আগুন জ্বলছে । আস্তে আস্তে আগুন ছরিয়ে পরছে পুরো গায়ে। বিড়ালটা চি চি করছে । হয়ত বলছে ভাই ভুল হইছে । ক্ষমা করে দেন। কিন্ত কি করব তখন ক্ষমা চেয়ে কি লাভ।তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে । বাতাসে ঘুরছে বেধে রাখা তক্তাটা । আস্তে আস্তে আগুন বারছে । চি চি শব্দটাও আর শোনা জাচ্ছে না ।আহ পথের একটা কাটা দূর হল ভেবেই শান্তি লাগছে। নাহ সন্ধে হয়ে জাচ্ছে বাড়ি জেতে হবে ভাবতে ভাবতে বাড়ির দিকে হাটা ধরলাম আর ভাবতে লাগ্লাম আজকে একটা জম্পেস ঘুম হবে ।

By kolpobazz

সারাদিন ইসলাম নিয়ে পরে থাকা নর/নারীদের ইনবক্সটাও রাত বারোটার পর এক একটা পতিতালয়ে পরিনত হয়। হয়ত তারা ভাবে আল্লাহর দৃষ্টি ওখানে প্রবেশযোগ্য নয়। #সাইকো

By kolpobazz

Friday, March 8, 2019

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪৩ #সাইকো মেয়েটা গর্বিত ভঙ্গিতে বললো, ‘এখন পর্যন্ত আমার জন্য তেরোজন ছেলে সুইসাইড করেছে। তার মধ্যে আবার দুইজন ভার্সিটি পড়ুয়া আর একজন ডাক্তার।’ এই কথা শুনে আমার ঠিক কোন ধরনের রিয়্যাকশন দেয়া উচিত আমি বুঝতে পারলাম না। হাসবো, দুঃখ পাবো, নাকি অবাক হবো? আমি অবিশ্বাসের ভঙ্গি করে বললাম, ‘সিরিয়াসলি? এতোজন ছেলে?’ মেয়েটা কিছুক্ষণ চুপ করে আমার দিকে চেয়ে রইলো। তারপর ব্যাগ থেকে ডায়েরী মতো কিছু একটা বের করে খুলে আমার সামনে রেখে বললো, দেখেন। আমি দেখলাম একটা লিস্ট। এক থেকে তেরো পর্যন্ত তেরোজনের নাম লেখা। আমি চোখ বুলালাম। লিস্টের এক নাম্বার নাম, আসিফ ইকবাল। পাশে লেখা, সুইসাইডের কারন- ‘তিনমাস প্রেম করার পর ছ্যাকা।’ তার পাশে লেখা, সুইসাইডের মাধ্যম- ‘ঘুমের ঔষধ খেয়ে মৃত্যু।’ লিস্টের দুই নাম্বারে, সঞ্জয় সরকার। সুইসাইডের কারণ, ‘হিন্দু বলে কয়েকমাস ঘুরিয়ে তার প্রেমে শেষ অবধি সাড়া না দেয়া।’ সুইসাইডের মাধ্যম- ‘গলায় দড়ি।’ এইভাবে মোট তেরজনের ব্যাপারে সুন্দরভাবে বিস্তারিত লিখে রাখা। মাঝে আট আর এগারো নাম্বার নীল কালিতে লেখা, তের নাম্বার লেখা সবুজ কালিতে। আমি প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে চাইতেই মেয়েটা বললো, নীল কালিতে লেখা দুজন ভার্সিটি পড়ুয়া। একজন ডিইউ আরেকজন চিটাগাং ইউনি। আর সবুজ কালিতে যে জনের নাম লেখা সে ডাক্তার ছিলো। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের। তারপর একটু আফসোস করে বললো, বুয়েট আর কুয়েটের দুইজনও আমার জন্য এটেম্পট করেছিলো কিন্তু শেষপর্যন্ত বেঁচে যায়। বুয়েটের জন তো চারতলা থেকে লাফ দিয়ে টানা তিনদিন আইসিইউতে ছিল। ডাক্তার বলেছে তার বেঁচে ফেরাটা মিরাকল। ইস! ০২ আমি ভালোভাবে মেয়েটার দিকে চাইলাম। রেস্টুরেন্টের মৃদু আলোতেও বেশ স্পষ্ট টের পাওয়া যাচ্ছে। অনিন্দ্য সুন্দরী। এরকম কোনো মেয়েকে দেখেই বুঝি কবি বলেছিলেন, ‘মুনিগণ ধ্যান ভাঙি দেয় পদে তপস্যার ফল।’ মেয়েটার সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে। আমার লেখা গল্পের নাকি খুব ফ্যান ও। একদিন রাতে ইনবক্সে নক করে বলে, আমাকে একটা ইন্টারেস্টিং গল্প শোনাতে চায়। মেসেঞ্জারে বা ফোনে না, সামনাসামনি। প্রোপিকে ডল পুতুল আর কভারে লতাপাতার ছবি দেয়া প্রায় ফেক আইডির মতো কারো এই টাইপ আহবানে সাড়া দেয়ার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিলোনা। আমি না বলে দেই সরাসরি। মেয়েটা তখন মেসেঞ্জারে একটা ভয়েস এসএমএস পাঠায়। মেয়েলী কন্ঠের অনুরোধ, ‘সোহাইল প্লিজ, আমার সাথে একটা বার দেখা করেন। প্লিজ প্লিজ প্লিজ।’ আমি কন্ঠ শুনে টানা বিশ মিনিট সোজা বাংলায় যাকে বলে তব্দা খেয়ে বসে থাকি। এতো সুন্দর, আইমিন এতো এতো সুন্দর কন্ঠ একটা মানুষের কিভাবে হতে পারে? উফ! যেকোনো বিখ্যাত গায়িকা এই মেয়ের কাছে জাস্ট ডালভাত। আমি তখনই সিদ্ধান্ত নেই এই অদ্ভুত সুন্দর কন্ঠের মালকীনকে যেভাবেই হোক সামনাসামনি দেখতেই হবে আমার। আর আজ তার গল্প শুনতে এসে মেয়েটাকে দেখে আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসলো। বুকের মধ্যে এতো জোরে জোরে ধুকপুক শব্দ শুরু হলো যে আমি ভয়ই পেয়ে গেলাম রেস্টুরেন্টের মানুষজন বাইর থেকে আমার হৃদযন্ত্রের ধুকপুকানি শুনে না ফেলে। শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়া গলা ভেজাতে এক চুমুকে সামনে রাখা গ্লাসের পানি শেষ করে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আমি মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেছি। ০৩ মেয়েটা বলে আর কতক্ষণ চালাবো এবারে একটা নাম দেই। আসলা নামটা বলা যাবেনা, তাই একটা ফেক নাম দিয়ে দেই গল্প এগিয়ে নেয়ার খাতিরে। আচ্ছা ধরি ওর নাম তৃষা। আমাকে চুপ করে থাকা দেখে তৃষা বললো, ‘আপনি কিছু ভাবছেন?’ ওর কথায় বাস্তবে ফিরলাম। আমতা আমতা করে বললাম, ‘তোমার গল্পটা বললা না তো। কি গল্প যেন শুনাতে চাইছিলা।’ হ্যা, হ্যা, তৃষা ভুলে গেছিলো এখন মনে পড়েছে টাইপ ভঙ্গি করে হাসলো। হাসি দেখে আমার হার্ট অলমোস্ট আরো কয়েকটা বিট মিস করলো। তৃষা বললো, ‘গল্পটা আসলে লাস্ট যে ছেলে সুইসাইড করেছে আমার জন্য তাকে নিয়ে। ঐ যে বললাম না ডাক্তার যে জন। নাম রাফি আহমেদ। ওর সাথে আমার পরিচয় হয় একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে। আমার কাজিনরা ওকে দেখে কানাঘুষা করছিলো। ছেলেটা ডাক্তার, তার উপরে খুবই হ্যান্ডসাম, সব মেয়েদের ক্রাশ, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি ওদের কথা শুনেই ঠিক করে ফেলি রাফি নেক্সট টার্গেট। কারন আমার অনেকদিনের স্বপ্ন কোনো ডাক্তার ছেলেকে ফাঁসানো। ডাক্তার ছেলে ছাড়া আমার লিস্টটা কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগছিলো। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে এরকম অনেককেই সুইসাইডের চেষ্টা পর্যন্ত তো অন্তত নিতে পেরেছি, কিন্তু এখন অবধি কোনো ডাক্তারের সাথেই আমার প্রেম করা হয়নি। হ্যা, আপনাকে বলে রাখি যে আমি নিজে একজন মেডিকেল পড়ুয়া। সুতরাং ডাক্তার ছেলে বিহীন আমার লিস্টটা থাকা আমার জন্য অপমানেরও বটে। তো যেই ভাবা সেই কাজ, আমি কাজিনকে বলি ছেলেটার সাথে আমার যেন পরিচয় করিয়ে দেয়। কাজিন রাজি হয়। রাফিকে ডেকে এনে আমার সাথে পরিচয় করায়। আমিও ডাক্তারি পড়ছি শুনে খুব ইমপ্রেস হয়ে যায় ও। আমরা ঘন্টাখানেক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করে ফিরে যাওয়ার সময় একে অন্যের ফোন নাম্বার নিয়ে রাখি। ০৪ পরদিন রাতে কল দেয় রাফি। তার পরদিন আবার। তার পরদিন আবার। ঠিক দুইসপ্তাহ হর আমাকে প্রপোজ করে ছেলেটা। আমি ভেবেছিলাম এক সপ্তাহতেই কাজ হবে। কিন্তু আমার ধারনা ভুল প্রমাণিত হওয়ায় আমার ভীষণ রাগ হয়। আমি ঠিক করি, আমাকে এতোদিন ঘুরানোর জন্য কঠিন প্রতিশোধ নিবো। সুইসাইড করাবো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। অন্যদের মতো দীর্ঘদিন অপেক্ষা করবো না। সেইমত আমি একটা প্লান ঠিক করি। তারপর ওর প্রপোজ একসেপ্ট করি। পরবর্তী দশদিন আমরা টানা পাগলের মতন প্রেম করি। পুরা সখি ধর ধর অবস্থা। গল্পের মাঝে তৃষা হাসে হি হি করে। হাসি থামিয়ে বলতে থাকে, আমি এমন ভাব করি যেন এক মুহুর্ত ওকে ছাড়া থাকতে পারিনা টাইপ। একটু পর পর ফোন দেয়া, ডেইলি ওর হোস্টেলের সামনে এসে দাঁড়ায়ে থাকা, ওকে বাসা থেকে রান্না করে নিয়ে গিয়ে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি যখন বুঝতে পারলাম ছেলেটা আমার প্রেমে পাগলপ্রায় তখন ঠিক দশদিন পর ওকে বলি তুমি আজ এক্ষুণি আমাকে বিয়ে করবা। আমি তোমাকে আমার ভেতরে ধারণ করতে চাই। কিন্তু ইউ নো, বিয়ে ছাড়া শারিরীক সম্পর্ক হারাম। সো তুমি আজই বিয়ে করবা আমাকে কাজি অফিসে। রাফি আমতা আমতা করে। বলে, ‘বিয়ে করলে খাওয়াবো কি? আমাদের ফ্যামিলি কি বলবে? হ্যান ত্যান।’ আমি সমাধান দেই। দেখ, আমরা বিয়ে করে রাখবো কিন্তু কাউকে বলবো না। মাঝে মাঝে একসাথে রাতে থাকবো শুধু। দুজনই যেহেতু হোস্টেলে থাকি সেহেতু প্রবলেম হবে না। তারপর কয়েক বছর পর আমাদের লেখাপড়া শেষ হলে ফ্যামিলিকে সব জানাবো। রাফি খুশি হয়ে রাজি হয়। আমরা সেদিনই কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করি। রাতে একটা হোটেলে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে কাবিননামা দেখিয়ে রুম ভাড়া করি। আমাদের বাসর হয় হোটেল কক্ষে। ফিজিকাল রিলেশন করি আমি আর রাফি। ‘হোয়াট! এইবার আমি ছোটখাটো একটা চিৎকার দেই। তুমি সিরিয়াসলি ওর সাথে সেক্স করেছিলে?’ ‘হ্যা, করেছিলাম। এগুলো নিয়ে আমার তেমন কোনো এলার্জী নেই। আগেও বহুবার করেছি। তুমি গল্প শুনো।’ আমি লক্ষ্য করলাম সে আমাকে আপনি থেকে তুমিতে নামিয়ে এনেছে। আমি গল্প শুনতে আগ্রহী ছিলাম। চোখমুখ শক্ত করে বললাম, ‘তারপর কি হলো বলো।’ ‘তারপরের গল্প খুব বেশি না। পরদিন সকালে আমি হোটেল থেকে চলে আসি। দুইদিন ওর সাথে কোনো যোগাযোগ রাখিনা। ও প্রায় পাগল হয়ে যায় আমার কোনো খোজ না পেয়ে। তৃতীয় দিন আমি ওকে বলি আমার ডিভোর্স চাই। কারণ হিসাবে বলি, তুমি শারীরিক ভাবে অক্ষম। আমাকে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারোনি। তোমার সাথে সম্পর্ক রাখা সম্ভব না।’ ০৫ ইউ নো, তোমার জানার কথা একটা ছেলের কাছে এই জিনিস কতটা অপমানের। রাফি উত্তরে কিছুই বলতে পারেনা। চুপচাপ চলে যায় সামনে থেকে। পুরোপুরি ভেঙে পড়ে ও। ড্রাগ নেয়া শুরু করে। আমি তখন ওকে আরো জ্বালিয়ে দিতে দুইদিন পরই অন্য এক ছেলের সাথে রিলেশনে যাই। ফেসবুকে ইন এ রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেই। আমাদের কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ওকে পাঠাই। বলি তুমি যেটা পারোনি এই ছেলে সেটা আমাকে নিয়মিত দিতে পারছে। রাফি আর সহ্য করতে পারেনা। প্রচন্ড ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আমি ওকে আরো নানাভাবে অপমান করতে থাকি। মেসেজ দেই, আজ আমার বাবু পুরো বিশ মিনিট করেছে। আর তুমি তো ছিলে পুরুষত্বহীন। ভাগ্যিস তোমাকে ছেড়েছিলাম টাইম মতো। ফাইনালি সহ্যের ক্ষমতা বুঝি শেষ হয় ওর। পরদিন ঘুম থেকে উঠে আমি কাঙ্ক্ষিত খবর পাই। তখনই সবুজ কালিতে ডায়েরীর পাতায় লিস্টটা বারো থেকে তের করি। গল্প শেষ করে তৃষা আমার দিকে তাকায়। আমি সামনে রাখা ডায়েরী দেখি। নাম্বার তের, রাফি আহমেদ। বিয়ে, ডিভোর্স, পুরুষত্বহীনতার অপবাদ। ছয়তলার ছাদ থেকে লাফ দেয়া। ০৬ শুরুতেই ধারনা করেছিলাম, এবার শিওর হলাম। তৃষা নামের এই অতি সুন্দরী মেয়েটা একজন সাইকো। কিন্তু আমি তারপরও সিদ্ধান্ত নিলাম প্রেম আমার এর সাথেই করতে হবে। আমার নিজের উপর ভরসা অনেক। এই সাইকো মেয়েকে আমি ঠিক সুস্থ করে তুলবো। আমি তৃষার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি। আসার সময় নাম্বার চাই। ও দেয়। আমিও আমার নাম্বার দিই। তৃষা বাসায় গিয়ে ডায়েরীটা বের করে। লাল কালী দিয়ে বড় বড় করে লেখে, ‘নেক্সট টার্গেট সোহাইল রহমান- একজন লেখক।’ আমি পরদিন ওকে ফোন দিয়ে বিকালে দেখা করতে বলি। রেস্টুরেন্টে আবারো আমার মুখোমুখি তৃষা। আমি কথা বলি, ‘দেখ, আমি খুব স্ট্রেইট কাট একজন মানুষ। যা বলার সরাসরিই বলি। আমি তোমার গল্প শুনেই বুঝেছি তুমি মানসিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু তারপরও আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। আমি আমার লাইফে তোমাকে চাই। সারা জীবনের জন্য। আমি তোমার অতীতের সবকিছু ভুলে যেতে রাজি আছি। তোমার বাকি জীবনের জন্য তুমি আমাকে একমাত্র পুরুষ বানাও, আমি তোমাকে সুস্থ করে তুলবো। আই লাভ ইউ, ডু ইউ লাভ মি? হ্যা অথবা না বলো। যদি হ্যা বলো, তো আমি প্রমিজ করছি তোমার জীবন বদলে দেব একদম। তোমার জন্য আর কোনোদিন কোনো ছেলে সুইসাইড করবে না। তবে, তুমি এটা ভেবেও হ্যা বলতে পারো যে আমি তোমার নেক্সট টার্গেট। সেক্ষেত্রে আমি তোমাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। চলো প্রেম করি। দেখি কে সাকসেসফুল হয়। আমি তোমাকে ঠিক করে ফেলি, নাকি তোমার জন্য আমিই সুইসাইড করি। ধরবা বাজি? লাগবা চ্যালেঞ্জ?’ তৃষা অনেক্ষণ চোখ সরু করে রেখে বলে, ‘লাভ ইউ টু। আমিও আসলে ভালো হয়ে যেতে চাই সোহাইল। প্লিজ হেল্প মি।’ মনে মনে অবশ্য কুৎসিত একটা হাসি দিয়ে বলে, ‘চ্যালেঞ্জ একসেপ্টেড।’ ০৭ তৃষা আমার প্রেমিকা। আমরা এখন বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড। মাত্র চার পাঁচ দিনেই আমি বুঝে ফেলি পাগলের মতো প্রেম বলতে আসলে কি বুঝায়! তৃষা যেন একদম বদলে গেছে। আমাকে একটা রুটিন করে দিয়েছে, যেটা ও আর আমি দুজনই মানবো এখন থেকে। রুটিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আছে, ঠিকমতো খাওয়া আছে, ফেসবুকিং করার জন্য সময় আছে, ওর সাথে কতক্ষণ ফোনে কথা হবে আর কতক্ষণের জন্য দেখা হবে ডেইলি, সেটাও লেখা আছে। আমি রুটিন মেনে চলি। দিনগুলো কাটে স্বপ্নের মতন। তারপর ঠিক এক সপ্তাহ পর তৃষা আমাকে মেসেজ পাঠায়, ‘তোমাকে এক্ষুণি হাগ করতে ইচ্ছা করতেছে আমার। এক্ষুণি এক্ষুণি এক্ষুণি। তুমি ব্যবস্থা করো।’ আমি এক বন্ধুর ফ্লাটের চাবি নিয়ে বন্ধুকে পাঠিয়ে দেই সিনেমা দেখতে। আসতে বলি তৃষাকে। তৃষা আসে। কপট ঢং করে বলে, ‘শুধু হাগ হবে কিন্তু, আর কিচ্ছুনা, ওকে?’ আমি আচ্ছা বলে জড়িয়ে ধরি ওকে। হাগ আস্তে আস্তে কিস অবধি গডায়। কিস সেক্স অবধি। তৃষা আমার পাশে শুয়ে জামা পরতে পরতে বলে, কাজটা তুমি কিন্তু একদম ঠিক করলা না। আমি ভেবেছিলাম ভালো হয়ে যাবো। তোমার জন্য পারলাম না। ফাজিল কোথাকার। আচ্ছা স্যরি, আমি প্রমিজ করি, এই ভুল আর কক্ষণো হবে না। তুমি বসো আমি কফি বানিয়ে আনছি। ক্যাপুচিনো না এক্সপ্রেসো? বাসায় কফি মেকার আছে। তৃষা মুচকি হেসে বলে, ‘আমি ডায়েট করছি। সিম্পিল ব্লাক।’ ব্লাক কফি খেয়ে তৃষা নীল হয়ে যায়। আমি চাদর দিয়ে ওর শরীর ঢেকে নিজের ব্যাগ থেকে ডায়েরী বের করি। নীল কলম বের করে লিখি তেতাল্লিশ। ফারজানা হাসান মিম। সেক্স প্লাস খুন; দুটোই কমপ্লিট। হ্যা, ওর আসল নাম এইটা। আমার মিশন কমপ্লিট, এখন আর ফেক নাম দিয়ে কি হবে। আর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের পার্থক্য নেই, সবার জন্যই আমি নীল ব্যবহার করি। কেন, কে জানে! হয়তো বিষের রঙ নীল এজন্য। অথবা হয়তো কারনটা নীল- বেদনার রঙ বলে! নীল ডায়েরির সব গল্পগুলি এখন থেকে নিয়মিত পোষ্ট করব।

By kolpobazz

Thursday, March 7, 2019

আজ শুক্রবার সবার ছুটি, আজকের রাত টা একটু লম্বা হবে, সকাল টা একটু দেরীতে হবে। অনেক গুলি পছন্দের খাবার থাকবে টেবিলে সাঁজানো। আমি নিশ্চিত আমি যখন পোস্ট টা লিখছি তখন সবার ছুটি হলেও, একটা মানুষের আজীবনে কোনো ছুটি নেই। আজ সে মানুষ টার ছুটি থাকলে, রাত টা আরো ছোট হত, সকাল টা আরো সকালে হত। হ্যা আমি তার কথাই বলছি যে মানুষ টা জেগে উঠে বলেই সবার জীবনে ছুটি আসে। আমি আমার আম্মার কথা বলছি, আমি তোমাদের আম্মার কথা বলছি। আজ মা দিবস না, বিশ্ব নারী দিবস। তবু কেন মায়ের কথা বলছি? আমার কাছে মা দিবস আর নারী দিবস একই মনে হয়। পানি যেমন যত রুপেই দেখ আদতে সে পানি, নারীও তেমন যত রুপে দেখ আদতে সে একজন মা। আজ যে মা, সেও একজন মেয়ে, সেও একজন বউ। মায়েরা মা হয়ে জন্মায় না, মেয়ে হয়েই জন্মায়। এখন যে মেয়েটাকে মেয়ে ভেবে যা খুশি করছ সেই একদিন তোমার সন্তানের জননী হবে। পৃথিবীর অনেক নারী খারাপ হতে পারে কিন্তু মায়েরা কখনো খারাপ হতে পারেনা। প্রতিটা মেয়ের মাঝে একজন মা থাকে, দোষ ত্রুটি সামলে নিয়ে একদিন সে মা হয়ে ঋন মুক্ত হয়ে যায়। সব নারী বেহেশতে যাবেনা, অথচ স্বর্গ সব নারীর পদতলে, যাকে তুমি প্রেমিকা ভেবে ঠকাচ্ছ বা বউ করে পিটাচ্ছ তার দুটি পায়ের নিচে তোমার সন্তানের ঠাঁই! #আচ্ছা নারী দিবস টা নারীদের ইচ্ছা পূরনের দিন হতে পারেনা? আজ তো শুক্রবার ছুটির দিন, আজ যার যার ঘরের নারীদের একটা ইচ্ছা পূরন করা যায়না? কিছু না হোক হাতে এক গুচ্ছ ফুল তুলে দিয়ে বলা যায়না আজ তোমার ছুটি!! crtsy asiq vai

By kolpobazz

০২ এইত সকাল থেকে অঝর বৃষ্টি নামের মাত্র ১০০ আইডিতে রিকু দিছি ।🤓🤓 ভাবছি অহন আর ও ২০০ টারে রিকু দিমু । 😌😌 এর মধ্যে তারে পাইলে পামু না পাইলে না ।🧐 আমি আবার কিন্ত তারে খোজার জন্য পাগল না। 🙄🙄 #সাইকো

By kolpobazz

০১ কখনও বাস/গাড়িতে পাশের ছিটে বসা সুন্দরি মেয়ের প্রেমে পড়তে নেই । কারন এদের মনটা গাড়ির মত ই হয়। এই স্টপেজে একজন কে জায়গা দেবে তো অন্য স্টপেজে আরেকজনকে। #সাইকো

By kolpobazz

Monday, March 4, 2019

বিশ্বাষঘাতকদের চেনা বড় কঠিন, এরা ভালো মানুষের আবরনে নিজেদের এমন ভাবে আবৃত করে রাখে যেনো ওরা এই দুনিয়ার সব থেকে ইনোসেন্ট। সব কিছুর একটা লিমিট থাকে বাট বেঈমানদের বেঈমানীর কোন লিমিটেশন থাকে না। আর এই বেইমানিটা করবে আপনার সব থেকে কাছের মানুষটাই। আর যখন আপনি তা বুঝতে পারবেন তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে। আপনার হাতে কিছুই করার থাকবে না। #kolpobazz

By kolpobazz

বিশ্বাষঘাতকদের চেনা বড় কঠিন, ভালো মানুষের আবরনে নিজেদের এমন ভাবে আবৃত করে রাখে যেনো ওরা এই দুনিয়ার সব থেকে ইনোসেন্ট। সব কিছুর একটা লিমিট থাকে বাট বেঈমানদের বেঈমানীর কোন লিমিটেশন থাকে না। আর এই বেইমানিটা করবে আপনার সব থেকে কাছের মানুষটাই। #kolpobazz

By kolpobazz

Sunday, March 3, 2019

ফেসবুকে নিউজফিড স্ক্রল করছিলাম এমন সময় ইনবক্সে পকাত করে একটা মেসেজ এর শব্দ হলো।মেসেজ চেক করে দেখি একটা মেয়ে মেসেজ দিয়েছে, ---আমিও আপনাকে ভাবলোবাসি(লজ্জার ইমোজি) মেসেজ টা দেখে সাধারনত আমার খুশিতে গদগদ হওয়ার কথা ছিলো।কারণ আমি জন্ম-জন্মাতরের সিঙ্গেল।কিন্তু আমি মেসেজ টা দেখে কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখালাম না।তার কারণ আজকাল মেয়েরা ইনবক্সে এরকম আমিও ভালোবাসি মেসেজ দিয়ে প্রথমে খুশি করায় তারপর "সরি ভাইয়া ভুল করে আপনার কাছে চলে গেছে" নামক জাতীয় বাক্য শুনিয়ে মন ভেঙে কাঁচের টুকরা বানিয়ে দেয়।তাই আমি শান্তভাবে মেয়েটিকে মেসেজ দিলাম, ---- সমস্যা নেই আপু।আমি জানি এটা ভুলে আমার কাছে চলে এসেছে।আপনার বিএফ কে দেওয়ার কথা ছিলো।কোনো ব্যাপার না।মানুষের দ্বারা ভুল হতেই পারে। ---আরে তুমি এতো লজ্জা পাও কেনো?ইনবক্সে সরাসরি বলতে পারো না তুমি আমাকে ভালোবাসো? ---আপু বুঝতে পেরেছি।আপনার হয়তো বারবার ভুল হচ্ছে।কোনো সমস্যা নেই। ---আচ্ছা শোনো আমরা কিন্তু হানিমুনে সুইজারল্যান্ডে যাবো। এবার আমার টনক নড়ে উঠলো।মনে হচ্ছে মেয়েটি সত্যি সত্যি আমাকেই বলছে।মেয়েটিকে রিপ্লাই দিলাম, ---আপনি কি সিরিয়াসলি আমাকে বলছেন?আপনি ভুলে মেসেজ দেননি তো? ---জানু শোনো আমরা কিন্তু অনেকগুলো বাচ্চা নিবো।তুমি কিন্তু আমাকে অনেক ভালোবাসবা বিয়ের পর। মেসেজটা সিন করতে পারলাম না

By kolpobazz

যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর 😕 যার জন্য পুরো রাত্রি জাগলাম। তার কাছে যে এখনও হয়নি ভোর। #kolpobazz

By kolpobazz

তিনি বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য। তার ভাষায় ছাত্র জীবন থেকেই তিনি দেশ সেবার লক্ষ্যে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছিলেন, এবং এভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে দেশের সেবা করে আসছেন। পর্যায়ক্রমে-৩ বার পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সে হিসেবে বলাই যায়, দেশ সেবার কাজে তিনি ওতপ্রোত ভাবে কাজ করেছেন। . কিন্তু আদৌ কি তা-ই? . আজ রবিবার সকাল ৭টায় তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে প্রায় মৃত্যুশয্যায় আছেন বলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষনা দেয়। জরুরি ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অতঃপর দেশের সবকটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ সংবাদ প্রচারিত হতে থাকে। অথচ অদ্ভুত এক দৃশ্য প্রতিটি নিউজ পোর্টালের কমেন্ট সেকশানে দৃশ্যত হয়। দেশের সাধারণ জনগন তার মৃত্যু কামনা করে দোয়া করছে, তার জুলুম সমূহের বর্ণনা দিয়ে তার কঠিন মৃত্যু কামনায় দোয়া করছে। একজন মুমূর্ষু রোগীর সুস্থতার জন্য দো’য়া না করে অজস্র মানুষ তার মৃত্যু কামনা করছে, তার অসুস্থতা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছে। . একটাবার চিন্তা করুন তো? জীবনের তিন চতুর্থাংশ যিনি এদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে গেছেন, অথচ তার মৃত্যু কামনায় পুরো দেশ যেন এক হয়ে গেছে! . আপনি কি বুঝতে পারছেন, মানুষটার কর্ম বা আমল এর ব্যাপারে নিজ দেশের মানুষ সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে! এমন একজন ব্যক্তি যদি মারা যান, তবে পুরো জীবনের সমস্ত আমল কি ভেলায় ভেসে গেল না? দেশ সেবার নমূনা মানুষ সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করছে। আমরা কি জানি, এটা কতোটা ভয়ংকর একটি ব্যাপার? এব্যাপারে নিম্নে দু'টি হাদিস উল্লেখ করছি- . হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “কিছু সাহাবা ও রাসূল ﷺ একটি জানাযার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছু সংখ্যক লোক; তারা মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির ভাল গুণাবলী আলোচনা করছিলেন, তখন প্রিয় নবী ﷺ বললেন, (তোমাদের ভাল প্রশংসার দ্বারা) ওয়াজিব হয়ে গেল। অপর আরেকটি জানাযার পাশ দিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে লোকেরা মৃত ব্যক্তিদের মন্দ বিষয়াদি আলোচনা করছিলেন, তখন প্রিয় নবী ﷺ বলেন, (তোমাদের মন্দ আলোচনার দ্বারা) ওয়াজিব হয়ে গেল। হযরত উমর (রা.) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কী চূড়ান্ত বা ওয়াজিব হয়ে গেল? প্রিয় নবী ﷺ বললেন, যে মৃত ব্যক্তিটির (ব্যাপারে) তোমরা ভাল গুণাবলী আলোচনা করেছ, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। আর যে মৃত ব্যক্তির মন্দ আলোচনা করেছ তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেল। কেননা তোমরা জমিনে আল্লাহর সাক্ষী স্বরূপ।” [১] . রাসূল ﷺ বলেন, চার জন ঈমানদার ব্যক্তি যদি একজন মুসলমানকে ভাল ঈমানদার বলে সাক্ষ্য দেয়, তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি (বর্ণনাকারী) জিজ্ঞাসা করলাম, যদি তিনজন হয়? রাসূল ﷺ বললেন, তাহলেও। তারপর জিজ্ঞাসা করলাম, যদি দুই জন সাক্ষ্য দেয়? রাসূল ﷺ বললেন, তাহলেও। বর্ণনাকারী (উমর রা.) বলেন, তারপর একজনের ব্যাপারে আমি আর প্রশ্ন করিনি।” [২] . যেখানে মাত্র চারজন ঈমানদারের সাক্ষ্য আল্লাহ কবুল করে নিবেন, তবে আমরা কি আমাদের আমলের ব্যাপারে সতর্ক হব না? আমাদের মু’য়ামালাত, মু’য়াশারাত, আমানত, ওয়াদা এসব ঠিকাছে তো? আল্লাহর অবাধ্যতা, পাপ-জুলুমে দিন-রাত অতিবাহিত করা এই আমরা কি চিন্তিত, আমাদের মৃত্যুর পর লোকেদের দেয়া সাক্ষ্য নিয়ে? আর এটাই ধ্রুব সত্য; তাই জীবিত অবস্থায় যতোটুকু পারি আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে নিজেদের বিরত রাখি, ভালো আমল, সদকা, পরোপকারে নিজেদের ব্রত রাখি, হয়তো কাল কঠিন কিয়ামাহর দিনে এসবই আমার জান্নাতকে আমার জন্য ওয়াজিব করে দেবে, ইনশা’আল্লাহ। . . ❒ তথ্যসূত্রঃ _________ . [১] সহীহ বুখারী, জানাযা অধ্যায়: হাদিস: ১৩৬৭। সহীহ মুসলিম, জানাযা অধ্যায়: হাদিস : ৯৪৯। [২] সহীহ বুখারী, জানাযা অধ্যায়: হাদিস: ১০৬১। সুনানে নাসায়ী, হাদিস: ১৯৩৪। ▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂ সংগৃহীত

By kolpobazz

-ইচ্ছে -প্রচুর ইচ্ছে 😊 -সাথে আকাশচুম্বি স্বপ্ন 😍😍 -একদিন আমার পিছনে দারিয়ে নামাজ পড়বে তুমি। আর ইমাম আমি হব। #kolpobazz

By kolpobazz

বেশি কিছু না। হঠাৎ করে টুং করে বেজে ওঠা মেসেঞ্জারের একটা শব্দই বুকটা ধুক করে কাপিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট। #kolpobazz

By kolpobazz

Friday, March 1, 2019

মায়াবতি,,, - কি? ভালবাসতে হবে না আমায়। 😔 -তাহলে??? পারলে আমার আজকের এক্সামটার জন্য একটু দুয়া কোরো😭😭😭😭 #kolpobazz

By kolpobazz

আমার কপালটাই এমন। দোষ করে একজন। আর সে দোষের দায় এসে পরে আমার উপর। রাগ করে একজনের উপর আর সে রাগ এসে ঝারে আমার উপর। তাকে ব্লক দেয় একজনে আর সে এসে ব্লক দেয় আমাকে। তাকে গালি দেয় একজন আর সে এসে গালি দেয় আমারে। বলতে গেলে আমি এখন রিলিফের চাল ডালের মত হয়ে গেছি। যে পারে নিয়ে নেয়। টিস্যু পেপারের মত হয়ে গেছি জেন। চাইলে ইউজ করে,, সেশে ফেলে দেয়। (চলুক,, চলতে থাকুক,, যে যত আমায় চায় বাজাতে। বাজাতে থাকুক। হয়ত আমি এখন তাদের কাছে,, জং ধরা অই লোহার মত। পিটাতে পিটাতে হয়ত একদিন,, ঠিক ই খাটি হব।) #kolpobazz

By kolpobazz

হুম,,,,, কোন একসময় তোমাদের মত আমার ও একজন ক্রাশ ছিল। যাকে এখন আমি কামের বেডি বলে ডাকি। #কারন কওয়া যাইব না। #kolpobazz

By kolpobazz

Popular Posts