Main Menu

Saturday, January 5, 2019

আপনার চাহনিতে একটা

--আপনার চাহনিতে একটা
"দেবতা দেবতা" ভাব আছে কখনো খেয়াল করেছেন?"
এমন অদ্ভুত প্রশ্ন শুনে অবাক যে হবে না তার হয় মানুষিক সমস্যা আছে আর না হয় সে বোবাকালা!
আমি অমন কিছুই না তাই অবাক হয়ে বললাম,
--মানে? মেয়েটি আমার অবাক হওয়াতে যে বেশ খুশি হয়েছে তা তার চেহারাতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।সে হাসি মুখেই বললো, --হ্যা ঠিক !
একদম দেবতা দের মত চোখ আপনার! আমি বললাম, --বুঝিয়ে বলোতো! মেয়েটি হড়বড় করে বলতে লাগলো,
--দেবতাদের চোখ কখনো দেখেছেন!
দেখবেন কেমন যেন বড় বড় আর উপর দিকে উঠানো থাকে।যে কেউ কোন দেবী বা দেবতার চোখে চোখ রাখলে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজে থেকে চোখ সরিয়ে নিবে কারন কেউ অমন মূর্তির চোখের মায়াতে পড়তে চাইবে না।" আমি তার এক নাগাড়ে এত কথা শুনে হতবম্ভ। কিভাবে এক নাগাড়ে এত কথা বলতে পারে একজন মানুষ। মেয়েটি এবার ভুরু কুঁচকে বললো,
--আপনি কি আমার কথা বুঝেছেন নাকি আবার বলবো?"
--হ্যা বুঝেছি
--তাহলে কোন রিএকশন দিলেন না যে?
--রিএক্ট করার মত কিছু বলো নাই তাই রিএকশন দেইনি! মেয়েটা আমার কথা শুনে যে পুরাপুরি হতাশ হয়ে পড়লো তা তার চেহারাতেই বিদ্যমান।
কারন ১৬ ১৭ বছরের মেয়েদের চেহারার পরিবর্তন দ্রুত হয় আর দৃষ্টি যদি তিক্ষ্ণ হয় তাহলে সেটা সহজেই ধরা সম্ভব। আমি মেয়েটিকে বললাম,
--আর কিছু বলবে? মেয়েটি হতাশ গলাতে বললো,
--নাহ! আর কিছু নাহ,ভাবলাম অনেক বেশি অবাক হবেন কিন্তু তার কিছুই হল না।
এত কম কৌতূহল থাকা মানুষ পৃথিবীতে থাকা উচিত না।
--ও আচ্ছা
--কি ও আচ্ছা?
আপনার কি ঝগড়া করতেও ইচ্ছা করে না নাকি? এমন খোঁচা মারা কথা আমাকে কেউ বললে তার খবর করে দিতাম!
--ও --আবার ও!! হ্যা হুম ও আচ্ছা ছাড়া কি আর কিছু নাই পৃথিবীতে? মেয়েটি অতিরিক্ত রেগে যাচ্ছে কেন? অদ্ভুত তো!
একে বেশি সময় দেওয়া বিপদজনক।
সরে পড়তে হবে সামনে থেকে এখুনি। আমি বললাম,
--হ্যা আছে! সামান্য চিৎকারের সুরে মেয়েটি বললো,
--তো সেগুলা বলুন,কি তখন দিয়ে হু হ্যা করছেন! স্বাভাবিক ভাবে বললাম,
--আমার কাজ আছে,যাই। মিথ্যাটি বলেই হাটা দিলাম। মিথ্যা কথা বলতে হয় চোখের দিকে না তাকিয়ে এবং মিথ্যা ছড়ানোর পর সেই স্থান দ্রুত ত্যাগ করতে হয় কারন মিথ্যা যত বড়ই হোক প্রকৃতি সেটাকে বেশিক্ষণ ছড়াতে দেয় না।
কিছুক্ষণ, কিছুকাল বা কিছু বছরের ভিতরে সেই মিথ্যার পিছনের সত্যটা আমাদের সামনে আসবেই

No comments:

Post a Comment

Popular Posts