হরিণী আমার না ভীষণ অবাক লাগে,
ভীইইইইষণণণণণ!
কি করে এতটা কাল আমি তুমিহীন আছি?
হরিণীহীন প্রতিটিক্ষণের,প্রতিটি মুহুর্তের,প্রতিটি সেকেন্ডের হিসেব আমি জানি।প্রতিটি সেকেন্ডের অনুভূতি আমার কাছে স্পষ্ট!এতটাই বেশি স্পষ্ট যে,মাঝে মাঝে ভাবি তুমিও আমার কাছে এতটা স্পষ্ট নও।
তুমিহীন আমার দুঃখবোধগুলো এতটাই স্পষ্ট যে তোমাকে বড় আবছা লাগে।তখন তোমার মুখখানি হাজার চেষ্টা করেও মনে করতে পারিনা।
তোমাকে নিয়ে একটি সুখের স্মৃতি মনে করার জন্য আমি স্মৃতিভ্রষ্টের মত আমার মগজের নিউরনগুলো হাতরাতে থাকি।
প্রতিটিক্ষণ আমি রাত নামার জন্য অপেক্ষা করি।কারণ এই সময়টাতে আমি আমার কল্পনায়, আমার অনুভবে নিজের মত করে তোমাকে সুক্ষ্মরূপে পেতে পারি।আমাকে তখন নিউরোনের অলিতে গলিতে তোমাকে খুঁজতে হয়না।তুমি এমনিতেই এসে ধরা দাও।
তোমার স্পষ্ট অবয়ব আমি চোখ বন্ধ করেও দেখতে পাই,তোমার ঘ্রাণ আমি নাক বন্ধ করেও শুঁকতে পাই!রাত্রিগুলো পাড়ি দেয়া আমার জন্য খুব কঠিন কিছু না।তোমার দেয়া আঘাত কিংবা ভালোবাসার এক টুকরা স্মৃতিকে নিয়ে কয়েক হাজার রাত কাটানো কি কঠিন কিছু?
আচ্ছা,হরিণী
শাদা কাশফুলের ভেতর দিয়ে কখনো কি আমরা হাত ধরাধরি করে হেঁটেছিলাম?
তোমাকে খুউব মনে পড়ছে।সারাটি রাত ধরে আমি যে কেবল তোমাকেই ডেকেছি।তুমি কি একবারও শুনেছো?জীবনটা এত জটিল হবে কখনো বুঝিনি।কখনো বুঝিনি কোন এক ছোট্ট চাওয়া এতটা ভোগাবে।প্রচন্ড অস্থিরতায় কেবল তোমার মুখটিই সামনে ভাসে।
কেবল ভাবি একবার যদি তুমি আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে হাতটি ধরতে তবেই বোধহয় সকল অস্থিরতা আর কষ্টের অবসান হত।তুমি জানো তুমিহীন প্রতিটি সেকেন্ড আমি উপলব্ধি করতে পারি।একটি সেকেন্ডের পরে আরেকটি সেকেন্ড আসতে ঠিক কতগুলো
মুহুর্ত লাগে আমার চেয়ে’ ভালো কে জানে?সেকেন্ডের অন্তর্বতী মুহুর্তগুলোতেও আমি তোমাকে ডাকতে থাকি আর কেবল ভাবি “তুমি কি শুনছো?”তুমি কি শুনতে পাও?তোমার বুকের ভেতরটাও কি এমন করে কখনোই কেঁপে ওঠেনা?কখনোই কি তোমার হৃদয়ের কোন এক গলিতে কিছুটা রক্তক্ষরণ হয়না?তুমি একটিবারের জন্যও কি বুঝোনা?
তুমিহীন আমি কিছু ছাড়া ছাড়া আত্মা কাঁপানো দুঃস্বপ্ন ছাড়া র্যাপিড আই মুভমেন্টে কোন স্বপ্নও দেখিনা।এইতো সেইদিন দেখলাম আমি সিএনজির মধ্যে বাসের চাপায় পৃষ্ট হয়ে পড়ে আছি।তোমাকে ভেবে ভেবে কষ্ট পাওয়া ছাড়া আমি কিছুই পাই না।
তোমাকে ভাববো না ভাববো না ভেবেও তোমাকে ভেবেই আমার প্রহর শেষ হয়।আমি পাগলের মত করে তোমায় ভালোবেসে মরে যেতে থাকি।এ এক বিষাদময় অনুভূতি।ভীষণ একলা লাগে।
নির্জনতার ভিড়ে আমি আরো বেশি নির্জন হতে থাকি।কোন এক জটিল রোগের যন্ত্রণায় আমি কাতরাতে থাকি।মাঝেমাঝে এটা সেটা কত কিছু নিয়েই না তোমার সাথে গল্পে মেতে উঠি আমি।
এই যেমন ভরদুপুরে স্নান সেরে এসে টাওয়ালটা বারান্দায় রাখতে গিয়েই দৃষ্টি আঁটকে যায় একটা দোয়েল পাখির দিকে।আমি খুব করেই জানি এই দোয়েল পাখিটা তুমি!আমি কেমন আছি দেখতে চলে এসেছো!
এই সময়টায় আমি তোমাকে “তুই” বলে সম্বোধন করি।তোমাকে আমার বেশ আপন লাগে তখন!কি রে? কেমন আছিস? ভালো তো?এমন শুকিয়ে গেছিস কেন রে?দুপুরে এখনও খাওয়া হয়নি বুঝি?
তুই এমন ক্যান বলতো?আমাকে আর কত জ্বালাবি?কি ভেবেছিস?দোয়েল পাখি হয়ে এসেছিস বলে আমি তোকে চিনতে পারবো না?তোর গন্ধ আমি চিনতে পারবো না, না?”
এমন শত সহস্র ছেলেমানুষী কথায় আমার এক একটি প্রহর শেষ হয়।আমি তোমাকে ফোন করি না।আমি জানতেও চাইনা তুমি খেয়েছো কি না?শুধু বিড়বিড়িয়ে দোয়েল পাখিটাকে বলি “খেয়ে নিস, অনিয়ম করিস না।
অসুখ বাঁধালে কে দেখবে তোকে?” দোয়েল পাখিটা উড়ে চলে যায়।আমি তোমাকে জানতেও দেই না আমি মরে যাচ্ছি তোমাকে ছাড়া!
নাইবা জানলে তুমি!
ভালোবাসার মানে তো তুমি আমার চাইতে ঢের বেশি জানো!আমি বেশ আছি তোমাকে নিয়ে!!!
পৃথিবীর বুকে আমার চাইতে ভালো বোধ করি আর কেউ নেই।তুমি যেমন করে আমার সাথে আছো,পাশে থাকলেও এমন করে থাকা হতো না তোমার!এরচেয়ে তুমি দূরেই থাকো,অনেক দূরে!যেখানে আমার স্পর্শ পৌঁছায় না,
আমার দৃষ্টি পৌঁছায় না, আমার অশ্রু পৌঁছায় না!
শুধু ভালো থেকো!আগের মত এখন আর জানতে ইচ্ছে হয় না “তোমার আকাশেও কি আমার চাঁদটা উঠে কিনা?”
আমি এখন আর কিছুই জানতে চাই না।
আমি জানি আমার চাঁদটিই তোমার আকাশে এখনো ভাসমান।আমি এও জানি সেই চাঁদ দেখার সময় তোমার নেই।সময় নেই শুকতারাটিকে খুঁজার।তবু আমি রাতের পর রাত;দিনের পর দিন সীমাহীন অপেক্ষা করি।
আমার অপেক্ষার যে কোন বিরামচিহ্ন নেই।
.কল্পলোকের কল্পবাজ একজন ভাল লেখককে সহজেই ভাল মানুষ ভেবে নেয়াটা বোকামী। যেমন একজন ভাল ডাক্তার ভাল মানুষ নাও হতে পারে। বাংলাদেশে যত জন ডাক্তার আছে এরা সবাই যদি ভাল মানুষ হত, যদি প্রত্যেকটা ডাক্তার দিনে তিনটা করে রোগী বিনা পয়সায় দেখত তাহলে আর এদেশে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যেতনা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Popular Posts
-
সাইকো ডায়েরি https://ift.tt/3297LcL
-
রুপাকে নিয়ে অনেক গল্প হয়, অনেক কথা, কিন্তু কেউ তাকে প্রকাশ্যে কিছু বলে না। যেন কী এক গোপন শলাপরামর্শের মতো—কেবলই ফিসফাস, কেবলই কানাকানি, ...
No comments:
Post a Comment