.কল্পলোকের কল্পবাজ একজন ভাল লেখককে সহজেই ভাল মানুষ ভেবে নেয়াটা বোকামী। যেমন একজন ভাল ডাক্তার ভাল মানুষ নাও হতে পারে। বাংলাদেশে যত জন ডাক্তার আছে এরা সবাই যদি ভাল মানুষ হত, যদি প্রত্যেকটা ডাক্তার দিনে তিনটা করে রোগী বিনা পয়সায় দেখত তাহলে আর এদেশে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যেতনা।
Wednesday, October 30, 2019
আমি রাত থেকে শুষে নিয়েছি বেদনার অসুখ দুঃখী মন ধার করে বিলিয়েছি সুখ। আঘাত পাইয়া তব দিয়াছি যে হাসি। তার দোষে দোষী হয়ে পড়িয়াছি ফাঁসি। আঁধারকে বুকে চেপে জ্বালিয়েছি আলো। সদা মঙ্গিয়াছি মুনাজাতে সে থাকে যেন ভালো । তার তরে লুটাইয়াছি যা ছিল সদা। কুলেতে রাখিয়া তারে মাখিয়াছি কাদা। এমনি করিয়া তাহারে পাখির মতন। পুষিতাম পিঞ্জরে পাখির মতন। বুঝিতে পারিনি পাখি উরে যাবে একদিন। খাঁচায় থাকিবেনা সে হইবে স্বাধীন। যার জন্য করিয়াছিলাম সব বিসর্জন। তবু দিনশেষে দেখি তার মনে আমি নাই আছে অন্যজন। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Tuesday, October 29, 2019
আমাদের দেশে খেলার ইতিহাসে পৃথিবীর অন্যতম বিস্ময়কর বালক এক নম্বর অলরাউন্ডার থেকে শুরু করে রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার কারিগর সাকিব আল হাসান জন্মেছিলো, আমরা তাকেও আজ খেয়ে দিলাম! . আমাদের দেশেও জন্মেছিলো একজন নোবেল লরিয়েট যে কিনা আইডিয়া ক্রিয়েটর জগতের অন্যতম শীর্ষমণি যাকে আমরা সুদী ইউনুস বলে খেয়ে দিয়েছি! . অথচ পুরো বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে এমন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নেই যেটা সুদ বর্জিত, . বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে তুলে ধরার অন্যতম অলোকচিত্রী শহীদুল আলমকে আমরা আড়কোলা করে পিটিয়ে প্যান্ট খুলে দিয়ে অদ্ভুত উন্মাদনায় মেতেছিলাম! . সত্যি বলতে জানি না, কতটা আক্ষেপ নিয়ে ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলে গিয়েছিলেন, 'যে দেশে গুনীর কদর নেই সে দেশে গুনী জন্মাতে পারেনা' . জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি তথা অসংখ্য রূপকারের স্রষ্টা সৈয়দ মাইনুল হোসেনকে ২ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা আয়কর কেটে নেওয়া ছাড়া আমরা আর কি দিতে পেরেছি! . স্টিপেন হকিংয়ের অন্যতম সহচর বাংলাদেশের বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম যখন কোটি টাকার চাকরি ছেড়ে হাজার টাকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন, তখন দেশ তাকে কোন সম্মানটা দিতে পেরেছিলো! . আমরা ভাষার জন্য শহীদ পৃথিবীর একমাত্র জাতি যেদেশে কী বোর্ডে বাংলা লেখার উদ্ভাবক অভ্রর জনক মেহদীকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে সম্মানিত করা হোক বলে গলা ফাটাইয়া কোন লাভ হয়না! . যেখানে কাদের সিদ্দিকী বলে উঠে,বাংলাদেশ এমন হবে জানলে আমি বঙ্গবীর যুদ্ধে যেতাম না! . এগুলো বলে শেষ করা যাবে না, . ক্রিকেটে থাকি সেটা নিরাপদ! সাকিব, মুশফিকরা যার হাত ধরেই জাতীয় দলে এসেছিলেন সেই নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে কেনো বিসিবির অবহেলায় পদত্যাগ করতে হয়েছিলো! . অথচ নব্বইয়ের দশকে তার সাথে প্রশিক্ষণ নেওয়া সঞ্জয় ভরদ্বাজ কিছুদিন আগে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছেন, . ক্রিকেট রক্ষায় সাকিবদের দেশী প্লেয়ার কোচ কিংবা কলা কৌশলীদের মূল্যায়ণের একটা পয়েন্ট জোরালো ছিলো, . এই বিসিবি তো সেই বিসিবি যারা টাকার কুমির হয়েও নারী ক্রিকেটাররা বাসে আসা যাওয়া করতে হতো পরে সেই ছবি ভাইরাল হলে তারা মাইক্রোবাস কিনে দেয়! . বিসিবি বিপিএলেও সাত দলের সবাইকে বিদেশি কোচ রাখতে হবে এমন বাধ্যবাধকতাও দিয়েছিলো, . কোচ সালাউদ্দিন তাই সাহসী উচ্চারণ করে বেয়াদব খ্যাত হয়েছিলেন সাকিবের মতো, সেদিন সত্যিটা বলেছিলেন এভাবে,'বিসিবির পরিচালক পদেও তাহলে বিদেশি আনা হোক!' . কিন্তু পাপন সাহেবরা দেশের কতিপয় মানুষের মতো ক্রিকেটটা কে ও ইজারা নিয়েছেন! যাহ্ শ্লা, দেশটা তোদের, দিয়ে দিলাম shorif vaier timeline theke
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Wednesday, October 23, 2019
যেই শহরে নরম মাটির পরশ পাওয়া দায় সেই শহরে নরম মনের মানুষ পাই কোথায়
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Monday, October 21, 2019
কে কাকে আকরে রাখে কে নেয় কার খোজ কার মায়াতে কে জড়িয়ে হৃদয় পোড়ে রোজ। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Friday, October 18, 2019
তুমি কতখানি ভালোবাসো মোরে আমি কতটা বাসি। নাহয় আজকে ভুলে যাই তাহা চল হাটি না, দুজনে পাশাপাশি । আঙ্গুলের মাঝে আঙ্গুল রাখিয়া চোখের উপর চোখ চলনা আজকে ভুলে যাই সব। যা বলে বলুকনা পাড়ার লোক। একটা দিন ই তো হাতে আছে মোর জানিনা দেখা হবে আর কবে। এরপরে নাহয় কাটাব সময় এদিনের কথা ভেবে। সতের বছর কেটে গেছে তবু হতে পারিনি সুখী সব আছে মোর তবু যেন কেন লাগিত অভাবী। বুঝিনি তো তখন তুমি ছাড়া মোর পৃথিবী হইবে খরা। আজ ভাবিতেছি কতটা আমি ছিলাম কপাল পোড়া। কপালের আর কি দোষ দিব দোষ ছিল যে আমারই। ভেঙ্গ না প্রণয় আমি করিনি কিছুই তুমি বলেছিলে কতবারই। শুনিনি সেদিন তোমার কথা শুনেছিলাম জা বলেছিল বন্ধু আমারই। বুঝিনি তখন বন্ধু আমার তৃতীয় পক্ষ ছিল। যে গাছের আগা কেটে আবার গোড়ায় জল দিচ্ছিল। সেই যে ভুলের মাশুল আমি আজও এখনো দিচ্ছি । প্রিয়জন গেলে প্রিয়জন মেলে না হারে হারে টের আজ পাচ্ছি। আজ বুঝেছি রিলেশনে কভু তৃতীয় কাউকে কখনো রাখতে নেই। হোক না সে কলিজার বন্ধু অথবা কাছের সই । ভালো যারে বাসো বুকে জড়িয়ে তাকে আগলে রেখো সদাই । মনে রেখ এই মানুষটা কভু ছেড়ে যাবেনা তোমায়। যত দূরেই থাকনা তুমি থাকিবে তাহার মনে। ভালোবাসাটা পুষিবে সে যে অন্তরে যতনে। হাজার বছর পরেও যদি দেখা তাহার সহিত হইবে। আর কেউ না চিনিলেও তোমায় সে ঠিকই চিনিয়া লইবে। এটাই হইল ভালোবাসা ভাই এটাই হইল প্রেম। বাকি যাহা আছে সবই চিচিংফাক সময় কাটানোর গেম। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Tuesday, October 15, 2019
আজকাল নিজের মনরে যেইভাবে শান্তনা দেই,,, 1,2,3 ami onek free😊😊 #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Sunday, October 13, 2019
Friday, October 11, 2019
Thursday, October 10, 2019
অথচ দিনশেষে আমি একা পরে রই। ভেবে দেখি সবার প্রয়োজন আমি প্রিয়জন কারো নই।
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Friday, August 23, 2019
চলে যাচ্ছি,,,, নেটওয়ার্ক এর বাইরে। আল বিদা ☺☺ জানা নেই আবার কবে ফিরবো নীল সাদার পৃথিবীতে। ভালো থাকুন সবাই।
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
অথচ তাহারা জানেইনা,,, গরিবেরা ধনিদের চেয়ে পাচশত বছর আগে জান্নাতে যাবে।
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Thursday, August 22, 2019
সদ্য কেনা নতুন গাড়ীটা যখন পরিষ্কার করছিলাম তখন আমার ছয় বছরের ছেলেটা ধাতব কিছু দিয়ে গাড়ীটাতে কিছু লিখছিল । খুব শখের গাড়ী তাই রাগ সামলাতে না পেরে লিখা অবস্হায় ছেলের হাতের উপর আঘাত করলাম । রাগের মাথায় খেয়াল করেনি যা দিয়ে আঘাত করেছি সেটা ছিল লোহার একটা পাইপ! আমার ছোট্ট ছেলেটা হাসপাতালের বেডে শুয়ে ঘুমাচ্ছিল আর আমি ওর পাশে বসে কাঁদছি । লোহার আঘাতে চারটা আঙুল ভেঙে গেছে। আর ঠিক হবে না কখনও । আমার চোখের পানি ওর গালের উপর পড়ে ঘুম ভেঙে যায় ওর । ব্যান্ডেজ করা হাতের দিকে চেয়ে আমায় বলে 'সরি বাবা, আমি আর গাড়ীর উপর লিখব না । আমার আঙুলগুলো কি আবার ফিরে পাব-বাবা?' বাসায় ফিরে পুরো গাড়ীটা দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে ফেলি । তারপর ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ি । আমার চোখ পড়ে গাড়ীর গায়ে ছেলের লিখাটার উপর-' Love u Dad ' ! পরদিন সকালে সেই হতভাগ্য বাবা আর বেঁচে নেই । ভীষণ কষ্টে আত্মহত্যা করেন। তার নিথর দেহের পাশে একটা চিরকুট পড়ে ছিল। তাতে লিখেছিল : 'Anger & love have no limits. The choice is yours!
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
আমার মনঃ আরেহ এত ভাবিস না সব ঠিক হয়ে যাবে একদিন ☺☺ আমিঃ কবে হবে আর? আমার মনঃ তুই মরলে😇😇 #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Tuesday, August 20, 2019
Monday, August 19, 2019
চাঁদ যেমন একলা একা দূর আকাশে ভেসে রয় আমি তেমন আছি আজও তোমার অপেক্ষায়। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Sunday, August 18, 2019
গার্লফ্রেন্ড আর সাদা কাপড় এর মাঝে খুব মিল। কারন দুইটারই সবসময় দাগ লাগার ভয় থাকেই। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Friday, August 16, 2019
যেখানে মৃত্যু কখন হবে তার গ্যারান্টি নাই। সেখানে নামাজ ছেড়ে কি করে তুমি চায়ের দোকানে আড্ডা মারো ভাই। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
অলীক কল্পনায় যারা কাব্য রচো, ছুটাও শুধু দেহের ঘাম, মনে রেখো তাহা বৃথাই লেখা কানাকড়ি তাহার নেইকো দাম। কবি ও কবিতার বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআনের ঘোষণা-- “বিভ্রান্ত লোকরাই কবিদের অনুসরণ করে থাকে। তুমি কি দেখতে পাও না, তারা প্রতিটি উপত্যকায় উদভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়ায়? তারা মুখে যা বলে বাস্তবে তা করে না। তবে যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে এবং আল্লাহর যিকরে অধিকতর তৎপর রয়েছে এবং অত্যাচারিত হলে আত্মরক্ষায় সচেষ্ট হয়েছে তাদের সম্বন্ধে ও কথা প্রযোজ্য নয়।” (সূরা আশ-শু‘আরা, ২২৪-২২৭) অবশ্য কবিদের মধ্যেও যে ভালো মানুষ নেই তা নয়। এসব কবি বাস্তবতানির্ভর কবিতা লেখেন এবং চিন্তা ও গবেষণালব্ধ ফলাফলই কবিতায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। পবিত্র কুরআনে এ ধরনের কবিদের আলাদা করে বলা হয়েছে: আল্লাহর নেক বান্দা ও মুমিন কবিদের কবিতা মানুষের মনে আল্লাহর স্মরণকে জাগিয়ে তোলে এবং নির্যাতিত জনগোষ্ঠীকে জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উৎসাহিত করে। এ ধরনের কবিতা পড়ে অত্যাচারী ও জালেম ব্যক্তিরা বুঝতে পারে, তাদের শোষণের দিন শেষ হয়ে এসেছে এবং শিগগিরই মুমিনরা তাদের উপর বিজয়ী হবে। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Thursday, August 15, 2019
Friday, August 9, 2019
Thursday, August 8, 2019
বালের সাদা শার্ট,,,, 😠😠 বাল। ময়লা মোটে উঠতেই চায়না। ও বউ কই তুমি,, আমার কষ্ট কবে বুঝবা।😫 #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
প্রতিজ্ঞা রইল,,, সমস্ত অশ্লীলতাকে মন থেকে,,, কুরবানি দেব এই কুরবানিতে। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Tuesday, August 6, 2019
polapaan meyeder kache nudes kemne chai? amar to notes chaiteo lojja lage 🙄🙄🙄
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Monday, August 5, 2019
প্রেম করলে একটা মন ভাঙা মানুষের সাথেই করো। কারন তাতে আর যাই হোক তোমার মন ভাঙার কোন ভয় থাকবে না। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Sunday, August 4, 2019
Saturday, August 3, 2019
সবাইকে বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা। বেশি কিছু বলার নেই। আমি শুধু চাই ভালো থাকুক আমার বন্ধুরা সবসময়, হাসি খুশি থাকুক। বন্ধু দিবসে বন্ধুত্ব নিয়ে ভালো লাগার মত কিছু বিখ্যাত লেখক ,মনিষী ও গুণীজনদের স্বরণীয় নির্বাচিত উক্তি আপনাদের জন্যঃ 1) একটি ভালো বই একশ জন বন্ধুর সমান । কিন্তু একজন ভালো বন্ধু একটি লাইব্রেরীর সমান । - ডক্টর এ.পি.জে আব্দুল কালাম । 2) বন্ধুত্ব হচ্ছে চুইংগামের মতো হৃদয়ের কাছাকাছি, যা একবার মনে স্থান করে নিলেই হলো, ছাড়তে চাইলেও তা সম্ভব হয় না। 3) বন্ধুত্ব তিন ধরনের (১) খাবারের মত, যাদের ছাড়া চলে না। (২) ঔষধের মত, যাদের মাঝে মাঝে দরকার হয়।(৩) অসুখের মত, যাদের কেউ চায় না। 4) অন্ধকারে একজন বন্ধুর সঙ্গে হাঁটা আলোতে একা হাঁটার চেয়েও ভালো।- হেলেন কিলার 5) আমার বন্ধুর জন্যে সবচেয়ে বেশি যা করতে পারি তা হোল শুধু বন্ধু হয়ে থাকা।তাকে দেয়ার মতো কোন সম্পদ আমার নেই। সে যদি জানে যে আমি তাকে ভালবেসেই সুখী, সে আর কোন পুরস্কারই চাইবে না।এক্ষেত্রে বন্ধুত্ব কি স্বর্গীয় নয়?- হেনরি ডেভিড থিওরো 6) আহ্, কী ভালোই না লাগে – পুরনো বন্ধুর হাত।– মেরি এঙলেবাইট 7) একজন বিশ্বাসী বন্ধু দশ হাজার আত্মীয়ের সমান– ইউরিপিদিস [গ্রীক নাট্যকার] 8) একজন সত্যিকারের বন্ধু কখনো বন্ধুর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়না। - চার্লস ল্যাম্ভ বন্ধুদের মধ্যে সব কিছুতেই একতা থাকে।- প্লেটো 9) কখনো কোন বন্ধুকে আঘাত করো না, এমনকি ঠাট্টা করেও না।– সিসেরো 10) কাউকে তোমার সামনে অন্যের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করতে দেখলে তৎক্ষণাৎ তাকে বন্ধুর তালিকা থেকে দূরে সরিয়ে দিও।-মামুনুর রশীদ 11) কোন মানুষই অপ্রয়োজনীয় নয় যতোক্ষন তার একটিও বন্ধু আছে।– রবার্ট লুই স্টিভেন্স 12) কোনো বন্ধু যদি তোমার গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়, তবে সেজন্য তাকে দোষ না দিয়ে নিজেকে শাসন করো। কেননা, নিজের গোপন কথা তুমি তার কাছে প্রকাশ করলে কেন? 13) গোপনীয়তা রক্ষা না করে চললে কোনবন্ধুত্ব টিকে না।– চার্লস হেনরি ওয়েব 14) তুমি আমার কথা মেনে মূর্খের বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকো। মূর্খের বন্ধুত্ব জ্ঞানীকে বরবাদ করে দেয়। মূর্খের সঙ্গে বন্ধুত্বের পরিণামস্বরূপ মানুষ তোমাকে মূর্খ বলে স্মরণ করবে।- হযরত আলী (রা.) 15) দুঃখ নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে পারে, কিন্তু আনন্দের পুরোটা উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই তোমাকে তা কারো সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে।– মার্ক টোয়েন 16) নিয়তি তোমার আত্মীয় বেছে দেয়, আর তুমি বেছে নাও তোমার বন্ধু।– জ্যাক দেলিল [১৭৩৮- ১৮১৩], ফরাসী কবি 17) পার্থিব জীবনে কোনো মানুষই বন্ধু বা সঙ্গীর সাহচর্য বা প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। তাই সঙ্গী যদি ভালো হয়, বন্ধু যদি চরিত্রবান হয়, সাথী যদি আদর্শবান হয়, তবে সহযাত্রী অপর সঙ্গীও ভালো হতে বাধ্য। অপরদিকে সঙ্গী যদি অসৎ হয়, তবে সাথীও চরিত্রহীন হয়ে যাবে।’ 18) প্রকৃতির সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টির নাম বন্ধুত্ব।–এমারসন 19) প্রত্যেক নতুন জিনিসকেই উৎকৃষ্ট মনে হয়। কিন্তু বন্ধুত্ব যতই পুরাতন হয়,ততই উৎকৃষ্ট ও দৃঢ় হয়।–এরিস্টটল 20) লোক তার সঙ্গীর স্বভাব-চরিত্র দ্বারা প্রভাবিত। অতএব সে যেন খেয়াল রাখে কার সঙ্গে সে বন্ধুত্ব করছে।- প্রিয় নবীজি (সা.) 21) বন্ধত্ব একমাত্র সিমেন্ট যা সবসময় পৃথিবীকে একত্র রাখতে পারবে।– উইড্রো উইলসন 22) বন্ধু কি? এক আÍত্মার দুইটি শরীর।– এরিস্টটল 23) বন্ধুত্ব একমাত্র সিমেন্ট যা সবসময় পৃথিবীকে একত্র রাখতে পারবে।- উইড্রো উইলসন 24) বন্ধুত্ব হলো তরমুজের মতো। ভালো একশটিকে পেতে হলে এক কোটি আগে পরীক্ষা করে দেখতে হয়। - ফরাসী প্রবাদ 25) বন্ধুদের মধ্যে সবকিছুতেই একতা থাকে– প্লেটো 26) বিশ্বস্ত বন্ধু হচ্ছে প্রাণরাকারী ছায়ার মতো। যে তা খুঁজে পেলো, সে একটি গুপ্তধন পেলো।–নিটসে 27) বীরের পরীক্ষা হয় যুদ্ধের ময়দানে, বন্ধুর পরীক্ষা হয় বিপদের সময় এবং বুদ্ধিমানের পরীক্ষা হয় ক্রোধান্বিত অবস্থায়।-(ইমাম জমখশরী (রহ.) এর বাণী) 28) যদি তুমি মানুষকে বিচার করতে যাও তাহলে ভালবাসার সময় পাবে না।– মাদার তেরেসা 29) যার ক্রোধ বেশি, এরূপ ব্যক্তির ভাগ্যে অন্যের বন্ধুত্ব কমই জুটে থাকে।-হযরত ফুজায়েল ইবনে আয়াজ (রহ.)। 30) যারা কোনো স্বার্থের বশবর্তী হয়ে তোমার কাছে আসে, পরীক্ষা না করে তাদের বন্ধুত্বের প্রতি আস্থা স্থাপন করো না। যাকে তুমি ঘৃণা করো, তাকে ভয় করে চলো।- বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) 31) যারা বন্ধুদের অপমান করে, বন্ধুদের অপমানিত হতে দেখে কাপুরুষের মতো নীরব থাকে তাদের সঙ্গে সংসর্গ করো না ।- সিনেকা 32) যে ইচ্ছাপূর্বক বন্ধুকে ঠকায়, সে তার খোদাকেও ঠকাতে পারে ।-- লাভাটাব 33) যে ব্যক্তি কথায় কথায় রাগ ঝাড়তে থাকে, তার বন্ধু পাওয়া কঠিন।’- বুআলী সিনা 34) যে ব্যক্তি নির্দোষ বন্ধুর তালাশে থাকে চিরদিন তাকে বন্ধুহীন থাকতে হবে।-কায় সার-খসরু 35) যে ব্যক্তি প্রতিশোধ স্পৃহার আগুনে জ্বলতে থাকে, তার অন্তরের রক্তক্ষরণ কখনো বন্ধ হয় না।-বুআলী সিনা 36) শত্রুর চেয়ে বন্ধুকে হাজার গুণ বেশি ভয় করো। কেননা বন্ধু যদি কখনো শত্রুতে পরিণত হয়, তবে শত্রুতা উদ্ধার করার হাজার পথ তার সমানে খোলা থাকে।-জনৈক বুজুর্গ 37) সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।’ তাই জীবনকে সুন্দর করতে হলে অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। অসৎজনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কখনো ভালো হওয়ার আশা করা যায় না। তা ছাড়া প্রত্যেক ব্যক্তি হাশরের দিন তার বন্ধুর সাহচর্য লাভ করবে।’ 38) সম্পদ বন্ধু আকর্ষণ করে। দরিদ্র মানুষ আত্মীয়ের কাছেও প্রত্যাখ্যাত হয়। গুণের আকর্ষণে যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়, এটাই সাধারণত স্থায়ী হয়ে থাকে। সঙ্গীহীন, নিঃসঙ্গ একাকী জীবনে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তাই তার জন্য চাই বিশ্বস্ত বন্ধু, সহযোগী বা সহ্যাত্রী। তবে এই বন্ধু হতে হবে সৎ মানুষ। সঙ্গী বা বন্ধু না হলে জীবন-জগৎ ও পরকালের সবই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই ইসলামও সঙ্গী নির্বাচনে, সৎসঙ্গ লাভে সৎসঙ্গের সাহচর্যে থাকার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করছে। সৎসঙ্গ মানব জীবনকে চারিত্রিক উৎকর্ষের উচ্চ শিখরে নিয়ে যায়। তেমনি অসৎ সঙ্গ ঢেকে আনে ধ্বংস।- হযরত সুলায়মান (আ.) 39) সম্পর্ক যখন জ্বরে পুড়ে তখন তার নাম হয় ভালবাসা, আর ভালবাসা যখন জ্বরে পুড়ে তার নাম হয় বন্ধুত্ব।–প্রাচিন প্রবাদ 40) সর্বোৎকৃষ্ট আয়না হলো একজন পুরনো বন্ধু।– জর্জ হার্বাট 41) সেই তোমার সত্যিকার বন্ধু, যে তোমার সঙ্গে থাকে। তোমার কল্যাণের জন্য নিজের ক্ষতি করে। হঠাৎ করে তোমার অবস্থা শোচনীয় হলে সে নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে তোমাকে সুখ দান করে।- হযরত আলী (রা.) 42) হে বন্ধু তুমি যদি একশ বছর বেঁচে থাকো, আমি যেনো একদিন কম বাঁচি, যাতে তোমায় একদিনের জন্যেও মিস না করি।–তানবীর 43) বন্ধুত্ব আমাদের নানান প্রয়োজনে, যেমন নানান প্রয়োজনের আমারা নানান পোষাক পরিধান করি। বিয়ের পাগড়ীতে, বিয়ের শাড়ীতে দ্বিতীয় বার সাজতে চাই না, বিয়ের পাগড়ী, বিয়ের শাড়ী এগুলি প্রেমের পোষাক একবারেই পরিধান করতে হয় আর বন্ধুত্বের পোশাক সারাজীবন পরা যায়। কারো সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব করতে চান..........................., তা পরিবার, স্কুল, রাজনীতি যেখানেই হোক না কেন তাদের প্রতি সেরা পরামর্শ হলো ✮ প্রথমে সেই মানুষের মনে যা চায় সে সম্পর্কে আগ্রহ জাগিয়ে তোলা। এ কাজ যে করতে পারে সারা দুনিয়া তার সঙ্গে থাকবে। আর যে না পারবে তাকে একাই চলতে হবে। ✮ আপনি কোথাও নিজেকে এমনভাবে প্রকাশ করবেন না যেন কেউ বলতে না পারে আপনার মাঝে কিছু নেই। কারণ সস্তা দরের মানুষের সঙ্গে কেউ মিশতে চায় না। ✮ কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে তার কাজকর্মের বেশি ভুল ধরবেন না। এতে সে আপনাকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করবে। ✮ কারও সঙ্গে অযথা তর্কে জড়াবেন না। কারণ তর্কবাজ লোকদের সঙ্গে কেউ মিশতে চায় না। তর্কের ফলে বন্ধুত্ব হারাতে হয়। তর্ক হলো দু’টি মনের লড়াই। অতঃপর এ কাজটি করা থেকে বিরত থাকুন। ✮ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শিষ্টাচার হল গর্ব বা অহমিকা পরিহার করা। অসম মানসিক অনুভূতি সুসম্পর্কের অন্তরায়। যদি এক বন্ধু অপর বন্ধু অপেক্ষা নিজেকে বড় মনে করে তাহলে তাদের মধ্যে এক অদৃশ্য অসমতা বিরাজ করে। আর এই অসমতার ফলে অপরের সম্মান যেমন নষ্ট হয় তেমনি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এতটাই হালকা হয়ে পড়ে যে তা রাখা আর না রাখা একই সমান। স্বার্থপর বন্ধু চিনার উপায়ঃ স্বার্থপরতা বিভিন্ন রকমের হয়। কিছু কিছু স্বার্থপরতা এতই সূক্ষ্ণ যে হুট করে বুঝা যায় না, যদিনা এ বিষয়ে পূর্ব জ্ঞান না থাকে। তাই একজন স্বার্থপর ব্যক্তির বিভিন্ন লক্ষণ সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া জরুরীঃ ✮বাস ভাড়া, ফটোকপির টাকা, খাওয়ার টাকা কিংবা এটা-ওটা বলে নানা রকম খরচ সবসময় বন্ধুর উপর চাপিয়ে দেয়াই এই ধরনের মানুষের বৈশিষ্ট্য। এঁদের আর একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সবসময় কৃত্রিম সমস্যা দেখানো। যাআদৌ সত্য নয় কিংবা অল্প হলে বাড়িয়ে বলা। এঁরা কখনো বন্ধুর আর্থিক ও পারিপাশ্বিক অবস্থার কথা চিন্তা করেনা। স্বার্থপরতা যে সকল বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে গঠিত এটা তার মধ্যে অন্যতম। একজন ব্যক্তি যখন বন্ধুত্ব সম্পর্কে আবদ্ধ হয় এবং যদি এই ভালবাসাটা সত্যি হয় তখন উক্ত ব্যক্তি যুক্তি তর্কের বোধশক্তি হারিয়ে ফেলে। তখন তার কাছে ভালবাসার মানুষটিকেই অতি মূল্যবান মনে হয় এবং তার সমস্ত চিন্তা ভাবনার কেন্দবিন্দুতে ঐ ভালবাসার মানুষটিই অবস্থান করে। মোঘল সম্রাট হুমায়ুন এর একটি শের এরকম, ‘যুক্তির উপর হৃদয়ের অবস্থান।’ আর এই যুক্তি তর্কের উপর থাকা হৃদয়ের দুর্বলতার সুযোগ একতরফা ভালবাসার প্রেমিক-প্রেমিকারাই নিয়ে থাকে। এটা একতরফা ভালবাসা চিহ্নিত করার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায়। মনে রাখবেন এই ধরনের বন্ধু বা বান্ধবী কখনোই আপনাকে ভালবাসে না; ভালবাসে তার প্রয়োজনকে। আপনার সামনে যে উষ্ণ ভালবাসার নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে তা প্রয়োজন মেটানোর জন্য। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে নাটকীয়তারও অবসান ঘটবে। মঞ্চের পর্দা নেমে যাবে; সেই সাথে আপনার চোখের পর্দা সরে যাবে। যদিও নাটক শেষ, সময়ও নেই, সেই সাথে অভিনেতা বা অভিনেত্রী লাপাত্তা। ✮কিছু স্বার্থপর ব্যক্তি এরকম যে সবসময় তারা চেষ্টা করেন আলোচনার সব বিষয়বস্তু নিজের দিকে টেনে আনতে। এঁরা সকলের মধ্য থেকে নিজেদেরকে বড় করার জন্য নানা রকম বড় বড় কথা বলেন। তাদের কথাগুলো নিজেদের ব্যাপারে খুবই ইতিবাচক হয় যেন তার নিজের কোন ভুল থাকতেই পারে না। ✮লাজুক এবং শান্ত প্রকৃতির স্বার্থপর আগ বাড়িয়ে নিজেকে বড় করে দেখাতে আসে না এবং বেশি কথা বলে না। তবে যখন তাদের সঙ্গে কেউ কথা বলতে আসে এবং কম কথার মাঝে যে দু-চারটে কথাই তারা বলে, সে কথাগুলোর মাধ্যমে নিজেকে বড় করে জাহির করতে চেষ্টার কমতি থাকে না। ✮সফল না হলেও তারা নিজেকে সর্বদা নেতৃত্বের পর্যায়ে রাখতে তৎপরতা দেখায়। তাক লাগানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভন্ন রকম ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা এঁদের কৌশল। এমন কি এসকল লোকের সাথে তার ব্যাক্তিগত যোগাযোগের কথাও বলে থাকে বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়ার জন্য। ✮এক ধরনের স্বার্থপর নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বকে জাহির করতে নানা রকম পছন্দের কথা বলে থাকে। বলে আমার ফেরারি গাড়ি খুব পছন্দ, ঐ দোকানের পোশাক তার পছন্দ, সে দামি দোকানের খাবার ছাড়া খায় না ইত্যাদি। ✮সব স্থানে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়ার একটা প্রবল তৎপরতা দেখায়। তারা নিজেকে অন্যের কাছে আকর্ষণ করতে শারীরিকভাবেও তৎপরতা দেখায়। যেমন: তারা বিভিন্ন স্টাইলের চুল, নখ প্রভৃতি দিয়ে অন্যের আকর্ষণের কারণ হতে চায়। সবার মধ্য থেকে ভিন্ন কোন কথা বা কাজ করার চেষ্টা করে যাতে সবাই তার দিকে তাকিয়ে থাকে। ✮এক ধরনের স্বার্থপর এরকম যে তারা অন্যের সমালোচনা করলেও নিজেদের সমালোচনা সহ্য করতে পারেনা। ✮এরা নিজেরা কাউকে সহজে বিশ্বাস করেনা। কারণ তাদের মানসিকতায় সবসময় প্রতারণার মনোভাব বিচরণ করে। ✮নিজেকে কখনো স্বার্থপর হিসেবে মনে করেনা। বরং বলে আমি তো ঠিকই আছি, তাহলে সবাই কেন আমাকে ছেড়ে চলে যায়? প্রযুক্তির কল্যাণে এখন মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। অভাব হয় প্রকৃত বন্ধুর। যতোই আমরা প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছি, ততোই আমাদের মাঝে রোবটিকতা কাজ করছে। আর কমে যাচ্ছে প্রকৃত বন্ধু। সঙ্কুচিত হচ্ছে আমাদের আবেগ।
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
সেঃ তোমায় না পেলে আমি মরে যাবো😭 -মরলে গুতার লগে জাহান্নাম ও ফ্রি পাইবা। সেঃ আরেহ কে মরতে যাবে। 🤔 আমি তো মজা করে বলছিলাম। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Friday, August 2, 2019
ধুর বাল,,, মাইয়ারা এত কাম কেম্নে করে। আমি তো খালি কাপর ধুইতে যাইয়াই বেহুস হইয়া যাই প্রতি সুক্কুরবার 😫😫 #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Thursday, August 1, 2019
স্বার্থপরে ভরে গেছে রাতের শহর। ঠোঁটে ঠোঁট চেপে আছে তবু দুজন পর। মায়াবতী নামে শুধু ছলনার ভাগার। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
মায়াবতীর মিনিংটা আমি হারে হারে টের পাচ্ছি,,, তাহার তরেই ভাসছি আমি। তাহার তরেই ডুবছি।
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Mtv দেখে না এমন মেয়েকে চোখ বন্ধ করে বিয়ে করা যায় 😋😋। কারন এরা অনেক ____ হয়। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
ফেইক প্রোফাইল থেকে না হয় দূরে থাকতে পারবে৷ কিন্ত ফেইক মন থেকে কি করে দূরে থাকবে।
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Wednesday, July 31, 2019
Tuesday, July 30, 2019
Monday, July 29, 2019
মেয়েদেরকে নষ্টা বলো না নষ্টা তোমার মন । সারা রাতি বেশ্যালয়ে থেকে সকাল বেলা কেম্নে সাজো তুমি সাধুজন । পুরুষ তুমি ঘেন্না লাগে ডাকতে তোমায় এই আমারি আরে যে মেয়েকে তুমি নষ্টা বলো সেই মেয়েকে নষ্টা বানায় তোমার মতই কিছু মুখশধারি । ভাবছো তোমার সতীত্ব নেই কি হবে তোমার ত ভয় নাই কুলাঙ্গারের মনঃটা যে তোর ভেবে দেখেছিস কখনো কি তাই কেমন করে যাকে মা বলে ডাকিস সেই নারিকে দিস সতীত্বের দোহাই । আরেহ পাপি তুই অমানুষ কেমন করে বুঝবি প্রসব জ্বালা বলি নষ্টা মনের মুখোশ খুলে তাকিয়ে দেখ সৃষ্টিকুলে কোন নারি ই নষ্টা নয়রে তোর মনে ছিল মারা তালা। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Sunday, July 28, 2019
অথচ রোজ চোখ দিয়েই ধর্ষন হচ্ছে কত শত তরুনি। আমরা শুধু দেহ ই দেখি মনের খবর কি রাখি?
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Saturday, July 27, 2019
নতুনের আড়ালে পুরনো সবসময় চাপা পরে যায়। চ্যট লিস্টের উপরে থাকা নামটা একসময় সবথেকে নিচে পরে রয়। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Friday, July 26, 2019
Thursday, July 25, 2019
তোমরা মানুষ তাই কষ্ট তোমাদের পিছু কখনো ছাড়ে না। আমি অমানুষ তাই কষ্ট আমার,,, দোরগোড়ায়ও আসেনা। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
মেয়ে,,, জাহান্নামি হবার জন্য বেশি কিছুনা। একটা টিকটক ভিডিও ই যথেষ্ট। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Life is so boring without girls,,,,, Can you deny it,,, you can't,,☺☺
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
আমি শুখনের ভাষন শুনিনি,, কিন্ত আজ ইন্টারে পড়ুয়া মেয়ের মোটিভেশনের চো*ন শুনেছি,,
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Wednesday, July 24, 2019
পুতুল খেলা পুতুল মেয়েটাও কোন একদিন কোন হিংস্র পশুর লালসার শিকার হয়। বড় হবার স্বপ্নে থাকা বিভোর মেয়েটাও কোন একদিন কোন প্রভু নামক পিশাচ মানুষের কাছে নত হয়ে রয়। আর এভাবেই প্রতিদিন পতিত শহরের অলিতে গলিতে , বড়ো বড়ো ইমারতের ভীড়ে কেউ বধূ রুপে পুরুষের খাদ্য হয়। আবারও বা কোনো ললিতা কোনো অন্ধ কুঠুরির বেশ্যালয়ে যৌবনের সুবাস হারায়। #সাইকো কবিতাংশঃ লালসা
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Tuesday, July 23, 2019
মেয়েদেরকে নষ্টা বলো না নষ্টা তোমার মন । সারা রাতি বেশ্যালয়ে থেকে সকাল বেলা কেম্নে সাজো তুমি সাধুজন । পুরুষ তুমি ঘেন্না লাগে ডাকতে তোমায় এই আমারি আরে যে মেয়েকে তুমি নষ্টা বলো সেই মেয়েকে নষ্টা বানায় তোমার মতই কিছু মুখশধারি । ভাবছো তোমার সতীত্ব নেই কি হবে তোমার ত ভয় নাই কুলাঙ্গারের মনঃটা যে তোর ভেবে দেখেছিস কখনো কি তাই কেমন করে যাকে মা বলে ডাকিস সেই নারিকে দিস সতীত্বের দোহাই । আরেহ পাপি তুই অমানুষ কেমন করে বুঝবি প্রসব জ্বালা বলি নষ্টা মনের মুখোশ খুলে তাকিয়ে দেখ সৃষ্টিকুলে কোন নারি ই নষ্টা নয়রে তোর মনে ছিল মারা তালা। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
সুন্দরি মাইয়া গুলা এক একেকটা জাউরার হাফেজ হয় হাফেয। বিশ্বাস হয়না নিজেই যাচাই করে দেখো । #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
আমি চাই আমার ও একটা আপনি থাকুক। সবসময় না হোক মাঝে মদ্ধে এই আপনি রাত জাগেন কেন জিজ্ঞেস করুক।
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Monday, July 22, 2019
চন্দ্র আজো একাকী ... ধুসর প্রান্তরে..। কেদে যায় শুধু তোমায় মনে করে.।
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
যার জন্য করি চুরি সে বলে চোর।। ফকিন্নি তোর সাথে আর প্রেম করতামনা। গুষ্ঠি কিলাই তোর,,,, #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
ধুর বাল,,, কারো পোষ্টে লাইক কমেন্ট করতে গেলে খালি পকাত পকাত শব্দ হয়। বালের ফেসবুক ও দেখি অশ্লিল অইগেছে। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Sunday, July 21, 2019
তাকে বলে দিও,,,, তার জামাই এখন পতিতালয়ে বেশ্যাদের সাথে মাখামাখি করে।
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
একদিন আমি ফার্মেসি বয় হব,,, আর তোমার জামাই এর কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ কনডম বিক্রি করে তোমার বারোটা বাজাবো। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Saturday, July 20, 2019
কিছু মানুষ তাদের কষ্টগুলো তাদের মনের মধ্যেই পুষে রাখে। আর রাতের বেলা ঐ চাদটাকে তার দুঃখের কথাগুলো বলে যায়। বড় একাকী এই মানুষগুলো।কিন্ত দেখে বোঝার উপায় নেই। সূক্ষ্ম হাসির আরালে লুকিয়ে রাখে কষ্টগুলো। দেখে যাই তাদের আর শুধু ভাবি কি বিচিএ এ জগৎ সংসার। একই রাত তবু কেউ কাদে কেউ হাসে কেউ করে হাহাকার । #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
প্রেমে পড়াটা ভাল । তবে ভুল মানুষের প্রেমে পড়টা ভাল নয়। আমরা অনেক সময় ভুল করে ভুল মানুষের প্রেমে পড়ে যাই। আর যখন বুঝতে পারি ভুল করেছি তখনো ভুলটাকে শোধরাইনা। মানূষটাকে আরো বেশি ভালবেসে ফেলি। তাকে পাবনা জেনেও তাকে আরো কাছে টানতে চাই।আসলে একটা অন্ধ মোহ আকরে ধরে তখন।চারপাশের কিছুই তখন খেয়ালে আসেনা। মরীচিকার পেছনে ছূটে যখন কপালে জোটে শুন্য। তখন আর কিছুঈ করার থাকেনা । শুধু আফসোস করা ছাড়া।
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Friday, July 19, 2019
একটা প্রস্ন মাথায় কেবলই ঘুরছে... সমস্ত লেখা ই তো বানোয়াট মিথ্যে... তাহলে কবিরাও কি জাহান্নামি হবে?
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Thursday, July 18, 2019
Wednesday, July 17, 2019
বিঃ দ্রঃ নতুন একটা বেষ্ট ফ্রেন্ড লাগবে।😣😣 পুরনো গুলায় ফোন ধরে না এখন আর।😫😫
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
'আই হেইট লাভ' বলা ছেলেটাও একদিন প্রেমে পড়ে। ভুলে গেছি বলার পরও হুট করেই কারো জন্য হৃদয় পোড়ে। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Tuesday, July 16, 2019
সারাদিন হাশি খুশি থাকা মানুষটাও দিন শেষে চুপচাপ হয়ে যায়। কেউ জানেনা কোন মায়াতে কুরে কুরে তারে খায়। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
আঘাত, তাও প্রিয়.. তোমার দেওয়া তাই। কান্না গুলি হাসির মাঝে এভাবেই লুকাই। #সাইকো
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Monday, July 15, 2019
বালের ফেস এপ,,, বাঙালি বাল একটা পাইলে হইসে। লাফালাফি শুরু করে দেয়। ছাগলামি যতসব,,,
Kolpobazz https://ift.tt/2ld6xMf
Tuesday, June 4, 2019
Wednesday, May 29, 2019
Attention: Don't read this .... পর্ন স্টার [গল্প - ০৪ (স্লেভারি)] [সাইকো] নিজেকে আরেকবার আয়নায় দেখলো আফিয়া । প্রতিবার দেখে নিজের কাছেই তার অন্য রকম রাগছে । বুকের ভেতরে একটা আলাদা উত্তেজনা কাজ করছে । মাঝে মাঝে আফিয়ার নিজের কাছেই সব কিছু কেমন লাগছে । মনে হচ্ছে সব কিছুই যেন একটা ভ্রম । একটু পরেই সব কেটে যাবে । কিন্তু জানে এই ভ্রমটা কাটবে না । গত দিন থেকে শুরু হয়েছে । আফিয়া এরকম ভাবে কোন দিন পোশাক পরে নি । টাইট পোশাক পছন্দ করে না । কিন্তু আজকে সে টাইট পোশাকই পরেছে । তবে এই টাইট পোশাকের কোন তুলনা নেই । অন্তত কোন দিন যে এমন পোশাক যে পরবে সেটাও ভাবে নি । আফিয়া পায়ে পরেছে লম্বা লেটাক্সের সক্স । একেবারে শরীরের সাথে সেটা লেগে আছে । তার উপর চাপিয়েছে হাই বুট । হাতেও পরেছে কালো লেটাক্সের গ্লোভস । ওর শরীরে আর কিছুই পরা নেই । তবে এর জন্য ও মোটেই এসবই নীল র পছন্দের । আফিয়া সত্যিই ভাবতে পারছে না এসব সে করছে । এই নীল কে সে এইভাবে চিনতে পারে নি । নীল বন্ডেজ পছন্দ করে । এটা সে অনেক আগে থেকেই জানে । তবে একদিন যে নীল ওর নিজের স্লেভ হিসাবে আবির্ভুত হবে সেটা ও কোন ভাবেই আশা করে নি । তাও আবার কন্ট্রাক্ট সাইন করে । কন্ট্রাক্টের কাগজটা এখনও টেবিলের উপর রাখা আছে । সেখানে নীল সাক্ষর দেওয়া । যদিও সেটা লোক লিগ্যাল ডোকুম্যান্ট না তবুও স্লেভারি কন্ট্রাক্টটার ভেতরে একটা অন্য রকম কিছু আছে । কাগজটা নীল র উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে । গতকালকে যে কাজটা ও নীল কে করতে বলেছে সেটাই করেছে । ওর এখন নিজের কোন ইচ্ছে নেই । আফিয়া ওকে যা বলবে সেটাই ও করবে । যখন এই বাসায় প্রথম এসে হাজির হল তখন কেবল পরীক্ষা করার জন্যই আফিয়া নীল কে ওর পায়ে চুমু খেতে বলেছিল । খুব নিশ্চিত হয়ে বলেনি । বেশ কয়েকটা ভিডিও দেখেছিলো যেখানে মিস্ট্রেসের পায়ে তাদের স্লেভরা চুমু খায় । সেটা থেকেই বলেছিলো । ভাবতেও পারে নি নীল ওটা করে ফেলবে । তারপর নীল কেবল তাকে বলেছিলো যে আগামী দুই দিন সে একেবারেই আফিয়ার স্লেভ । এই দুই দিনে নীল আর নিজের ভেতরে নেই । এই দুই দিনে নীল র নিজের কোন অস্তিত্ব নেই । তার কেবল একটা পরিচয় যে সে হচ্ছে আফিয়ার একান্ত স্লেভ । এবং এই ব্যাপারে সে কতখানি সিরিয়াস সেটা আফিয়ার বুঝতে কষ্ট হল না । তারপরই সেও নিজেকে তৈরি করে নিল । নীল যা চায় তাই ওকে দেওয়া হবে । তারপরই নীল কে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাজমেন্টে । গত দিন থেকে সে সেখানেই আছে । আজকে তার পানিশমেন্ট শুরু হবে। স্লেভারি কন্ট্রাক্ট টা যখন আফিয়া পড়ছিলো তখনই ওর শরীরের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছিলো । সেখানে স্পষ্ট করেই বলে দেওয়া আছে সে আসলে কি কি করতে পারবে নীল র সাথে । এক কথায় সব কিছু করা অধিকার দিয়ে দিয়েছে । এমন কি যে সেফওয়ার্ড থাকে সেটাও ব্যবহার করা হয় নি । এটা ব্যবহার করার উপায় থাকলে নাকি মজা কমে যায় অনেক । তারপরই সে নির্দেশ দিল নীল যেন তার শরীরের সব জামাকাপড় খুলে ফেলে । কন্ট্রাক্টে লেখাই ছিল যে একজন স্লেভ কখনই কোন পোশাক পরে থাকতে পারবে না । নীল কোন কথা না বলে সাথে সাথেই নিজের শরীরের সব জামা কাপড় খুলে ফেলল । তারপর হাটু গেড়ে বসলো আফিয়ার সামনে বসলো । আফিয়া টেবিলের উপর থেকে একটা স্টিলের কলার নিয়ে এসে নীল র গলাতে লাগিয়ে দিল । এই কলার এখন নির্দেশ করছে যে নীল হচ্ছে একজন স্লেভ । অন্যের অধীন । ওর নিজের সত্ত্বা বলে কিছু নেই । তারপরই আফিয়া ভাবছিলো ওকে নিয়ে কি করা যায় । কিছু সময় চিন্তা করতেই বুঝে গেল ওকে এখন কি করতে হবে । বন্ডেজের সব উপকরন ওরা সাথে করেই নিয়ে এসেছিলো । সেখান থেকে একটা হ্যান্ডকাফ বের করলো । তারপর সেটা দিয়ে নীল র হাত দুটো পেছন দিক দিয়ে আটকে দিল । তারপর গলার কলারের সাথে আরেকটা চেইন লাগিয়ে নীল কে টানতে টানতে নিয়ে এল বাসার বাইরে । বাইরের আলোতে আফিয়ার মনে একটা দুষ্টু বুদ্ধি এল । নীল কে খোলা আকাশের নিচে হাটিয়ে নিয়ে গিয়ে একটা জায়গাতে দাড় করিয়ে রাখলো । তারপর নিজের মোবাইল বের করে অনেক গুলো ছবি তুলল । এভাবেই সারা বাড়ির বাউন্ডারীতে ওকে দিকে কাজ করালো । বলল যেন সব শুকনো পাতা সে পরিস্কার করে । নীল ঠিক তাই করতে লাগলো । পেছনে হাত বাধা অবস্থায় নীল কে অন্য রকম লাগছিলো । সেই সাথে ওর নগ্ন দেহেটা রোডে কেমন চকচক করছিলো । আফিয়া কেবল এক ভাবে তাকিয়ে ছিলো সেদিকে । বিশেষ ঐ অঙ্গের দিকেও চোখ যাচ্ছিলো বারবার । ওর মনে হচ্ছিলো এমন অবস্থায় নীল এমন শান্ত কেমন করে আছে ! তারপরই ওকে নিয়ে এসে বেজমেন্টে বেঁধে রেখেছিলো । সারা রাতে আসে নি ওকে । থাকুক বন্ধ একটু ! আফিয়া সমস্ত বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে নিচে ব্যাজমেন্টে নেমে এল । আসার আগে ব্যাজমেন্টের দরজাটা ভাল করে বন্ধ করে দিল । যতই চিৎকার করে কেউ এখন আর শোনা যাবে না বাইরে থেকে । অবশ্য এই বাসার আশে পাশে খুব একটা বাসা নেইও । গাজীপুরের একটা বাগান বাড়ি এটা । কেয়ার টেকারকে আগেই বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । বেজমেন্ট টা অন্ধকার হয়ে আছে । আফিয়া একটা সুইচ টিপ দিল । সাথে সাথে ঘোরের এক কোনে একটা একটা ৬০ পাওয়ারের লাইট জ্বলে উঠলো । ঘরটা খুব বেশি বড় নয় । কোন জানালা নেই । ঘরের মাঝ খানে সিলিং থেকে থেকে একটা দড়ি নিচে নেমে এসেছে । সেই সিলিংয়ে দুই হাত উপর দিক দিয়ে বাঁধা একটা মানুষকে দেখা যাচ্ছে । মানুষটার হাত দুটো শক্ত করে বাঁধা রয়েছে । পা দুটোও শক্ত করে বাঁধা রয়েছে । এই মানুষ টা আর কেউ নয় সেটা হচ্ছে নীল । গতকাল রাতে নিজ হাতে এভাবে বেঁধে রেখে গেছে সে । তারপর নিজের মোবাইল দিয়ে অনেক গুলো ছবিও তুলেছে । এই ছবি গুলো চাইলেই সবার সামনে প্রকাশ করতে পারে । এমন কি ফেসবুকে ওকে ট্যাগ দিয়েও পোস্ট করতে পারে । কন্ট্রাক্টে এমন কিছুই লেখা আছে । এই তিন দিনে ও যা ইচ্ছে করতে পারবে । কোন প্রকার বাঁধা দিতে পারবে না । কোন কিছু বলারও নেই ও । আফিয়া আবার তাকালো নীল র দিকে । নীল র মুখে একটা বল গ্যাগ পরানো রয়েছে। ওর চোখ বাঁধা । আফিয়া ঘরের ভেতরে আসায় নীল জেগে উঠলো । ... কন্ট্রাক্টে এমন কিছুই লেখা আছে । এই তিন দিনে ও যা ইচ্ছে করতে পারবে । কোন প্রকার বাঁধা দিতে পারবে না । কোন কিছু বলারও নেই ও । আফিয়া আবার তাকালো নীল র দিকে । নীল র মুখে একটা বল গ্যাগ পরানো রয়েছে। ওর চোখ বাঁধা । আফিয়া ঘরের ভেতরে আসায় নীল জেগে উঠলো । এতোক্ষন ঘুমিয়েই ছিল । পুরোটা দিন এই ভাবেই এখানে বাঁধা রয়েছে । তাকে কিছু খেতে দেওয়া হয় নি বরং সারা দিন শাস্তি দেওয়া হয়েছে । আজকেও দেওয়া হবে । আফিয়া নীল শরীরের চারিপাশ দেখতে লাগলো । ওর পুরো দেহে তেল চটচট করছে । শরীরে তার কিছু নেই । নীল র বুকের কাছে এবং ওর উরুসন্ধিতে একটা তার লাগানো রয়েছে । গত কালকে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে । প্রতিবার শক দেওয়ার সাথে সাথে সাথে নীল চিৎকার করে উঠছিল কিন্তু ওর চিৎকার বের হচ্ছিলো না । মুখে গ্যাগ থাকার কারনে চিৎকার শোনা যাচ্ছিলো না । নীল র এই চিৎকার আফিয়া কেমন যেন উপভোগ করছিলো । কেন করছিলো সেটা ও নিজেও বলতে পারবে না, তবে মজাই লাগছিলো ওর কাছে । নীল নিজেও এটা পছন্দ করে । আজকে আফিয়া নিয়ে এসেছে চাবুক । সে কোন কথা না বলেই নীল কে চাবুক দিয়ে মারতে শুরু করলো । সপাং সপাং আওয়াজ হতে শুরু করলো । আওয়াজটার ভেতরে একটা আলাদা মাদকাতা আছে । আফিয়া সেটা বুঝতে পারলো । নীল র সারা শরীরে লাল দাগ হয়ে গেল । প্রতিটি চাবুকের আঘারের সাথে সাথে ওর শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছিল । নীল নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু ওর কিছুই করার ছিল না । আফিয়া যখন চাবুক মারা বন্ধ করলো তখন নীল আর নিজের ভেতরে নেই । অন্য জগতে চলে গেছে যেন ।। ওর সারা শরীরে লাল দাগ গেছে । পুরো ব্যাপারটা ভিডিও করে করা হয়েছে । এটা পরে নীল কে দেখানো হবে । সেটা দেখেও নিশ্চয়ই নীল তখন মজা পাবে । আফিয়া আস্তে আস্তে নীল কাছে গেল । ওর সারা শরীরে হাত দিতে লাগলো । ওর হাতে ল্যাটাক্সের গ্লোভস তবুও সে ভাল ভাবেই নীল শরীর বুঝতে পারছিল । হাত দিতে দিতে ওর হাত টা ওর উরুসন্ধির কাছে এসে থামলো । আস্তে আস্তে নাড়তে লাগলো । অফিয়ার নিজের কাছে কেমন অবাক লাগছে । ও একটা মানুষের গোপনাঙ্গ নিয়ে খেলছে । হাত দিয়ে নাড়ছে । আস্তে সেটা শক্ত হয়ে আসছে । এমনটা হবে স্বাভাবিক । আফিয়া অনেক ভিডিও তে দেখেছে মেয়েরা এটা মুখে নেয় । ও কোন নেয় নি । কিছুটা সময় সেটার দিকে তাকিয়ে রইলো এক ভাবে । আজকে সে নাড়তে নাড়তে মুখে নিয়ে ফেলল । তারপর সেটা চুসতে লাগলো ! নীল তখন চরম উত্তেজনায় পৌছে গেছে । আর আফিয়া নিজেও যেন আরও মজা পেয়ে গেছে । কত সময় পার হয়ে গেল কেউ বলতে পারবে । একটা সময় আফিয়া উঠে দাড়ালো । তারপর সিড়ির দিকে পা বাড়াতে লাগলো । নীল কিছু বলতে চাইছিলো কিন্তু আফিয়া সেটা শুনতে পেল না । বলগ্যাগের কারনে কোন কথাই ঠিক মত বের হল না । ব্যাজমেন্টের দরজা খুলে, লাইট অফ করে উপরে চলে এল । তারপর দরজা বন্ধ করে দিল । আজকের মত শেষ কাজ । আবার কালকে । এই দিনেও নীল কে কোন কিছু খেতে দেওয়া হবে না । আজকে রাতের পর ওর মুক্ত হয়ে যাবে । ওর কন্ট্রাক্ট শেষ হয়ে যাবে । তখন আর এই কাজ গুলো আর করানো যাবে না । কিন্তু আজকেই যা হল তা যে কোন দিন হবে আফিয়া কোনদিন ভাবতেও পারে নি । এটা ভেবে ভেবে সারা রাত কেটে যাবে আজ । ঘরে এসে শুয়ে পড়লো ।
By kolpobazz
Tuesday, May 28, 2019
Attention: Don't read this .... স্বইচ্ছায় পড়লে আমায় দোষ দিতে পারবেন না। পর্ন স্টার [গল্প - ০৩] [সাইকো] রিয়া কান্না আটকানোর চেষ্টা করছে। খুব চেষ্টা করছে যেন ওর চোখ দিয়ে পানি বের না হতে পারে। কিন্তু সেটা সে কত সময় পারবে রিয়া জানে না। জীবনে ওকে কেউ এভাবে মারে নি যেভাবে সামনের মানুষটা ওকে আঘাত করছে। যদিও সামনের মানুষটাকে ও দেখতে পাচ্ছে না। কারন ওর চোখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা। সেই সাথে ওর হাত দুটোও দুদিকে শক্ত করে গ্রীলের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। ও চাইলেও সামনের মানুষটাকে বাঁধা দিতে পারবে না। বলতেও পারবে না কোন কথা কারন ওর মুখের ভেতরে এক গুচ্ছ কাপড় গুজে দিয়ে তারপর কালো টেপ দিয়ে শক্ত করে পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটি আঘাতের সাথে ওর গোঙ্গানীর আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই বের হচ্ছে না। পায়ের গোড়ালী দুইটো শক্ত করে এক সাথে করে বাঁধা হয়েছে। নিজের এই অবস্থার জন্য ও নিজেই দায়ী। আজকে রিয়া যে এমন হেল্পলেস অবস্থায় রয়েছে সেটা হয়েছে ওর নিজের ইচ্ছেতেই। হঠাৎ রিয়া বুঝতে পারলো সামনের মানুষটা ওর মুখের চেপ খুলতে শুরু করেছে। রিয়ার মনে হল ও কি কোন ভুল করে ফেলেছে। ওর যে কান্না আসছে সেটা কি সামনের মানুষটা বুঝে ফেলেছে। মুখ খুলে ফেলতেও শুনতে পেল -তোমার আম্মু ফোন দিয়েছে। কন্ঠ স্বাভাবিক করে কথা বল। আমি লাউড স্পিকারে দিয়ে দিচ্ছি। রিয়া বুঝতে পারলো যে অন্য কোন কারনে ওর মুখটা খোলা হয় নি। হাতও খোলা হবে না। রিয়া একটা বিপ আওয়াজ শুনলো। তারপরই মায়ের কণ্ঠস্বর শুনতে পেল। -রিও, তুই ঠিক আছিস? রিয়া নিজেকে যথা সম্ভব স্বাভাবিক রেখে বলল -আম্মু আমি ঠিক থাকবো না কেন? আজিব তো? আমি বাসা থেকে পালিয়ে যাই নি। আদিবার বাসায় এসেছি। আম্মু বলল -আরে এমন রাগ করিস কেন? -তুমি এমন প্রশ্ন কেন কর? -আচ্ছা আর করবো না। রাতের খাবার হয়েছে? -হুম। -ভাল ভাবে থাকিস। আর দরকার হলেই ফোন দিস। ফোন রাখার আগে রিয়ার খুব করে ইচ্ছে হল মাকে চিৎকার করে বলে যে ওকে এখান থেকে নিয়ে যায় কিন্তু সেটা বলল না। ইচ্ছেটাকে শক্ত করে দমন করলো। অনেক দিন পর এমন একটা সুযোগ এসেছে আর হয়তো আসবে না কোন দিন। ফোন রাখার আওয়াজ হল। তারপর আবার রিয়ার আবার সেই কান্না আসতে লাগলো। রিয়া শুনতে পেল -পানি খাবে? রিয়া কিছু বলল না কেবল মাথা ঝাঁকালো। কিছু সময় পরে ওর মুখে একটা বোতলের স্পর্শ পেল। বেশ কিছুটা পানি পান করে নিল ও। তারপর আবারও ওর মুখের ভেতরে সেই কাপড়ের দলাটা গুজে দেওয়া হল। এবং তারপর কালো টেপ দিয়ে শক্ত করেই পেঁচানো হল মুখটা যেন কোন আওয়াজ না বের হতে পারে। রিয়া কেমন করে এসবের ভেতরে পরলো ও বলতে পারবে না। ওর শুধু মনে আছে তিন মাস আগে ওর ওয়াটপ্যাডে একটা গল্প খুজে পায় যেখানে একটা মেয়েকে শক্ত করে দড়ি দিয়ে বেঁধে অত্যাচার করা হয়। এবং সেটা করা হয় মেয়েটার ইচ্ছেতেই। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা জানতে পেরে ও অবাকই হয়েছিল। এমনও মানুষও হয় নাকি। তারপর সেই গল্পের লেখকের সাথেই কথা হয়। একটু সংকোচ হচ্ছিলো তবে সব সংকোচ দূর করে কথা গুলো জিজ্ঞেস করেই ফেলল। তখনই সব জানতে পারলো। সেই দিন অনেক কথা হল দুজনের মাঝেই। সেদিনই সে বিডিএসএম, স্যাডিস্ট, বন্ডেজ সম্পর্কে জানতে পারলো। তার আগ্রহ যেন আরও দ্বিগুন বেড়ে গেল তারপর থেকেই রিয়ার মাথার ভেতরে অন্য কিছু ছিল না। গল্প গুলো বারবার পড়তে লাগলো। নিজেকে ঐ গল্পের মেয়ে গুলো হিসাবে কল্পনা করতে লাগলো। রাতে ঘুমানোর সময় নিজের পা শক্ত করে বেঁধে নিয়ে ঘুমাতে লাগলো। চোখ মুখও বেঁধে নিত কিন্তু ঠিক হাত বাঁধতে পারতো না বলে শান্তি পেত না। তারপরই সে ঐ লেখককে আবার নক দিল। তাকে বলল যে সে তার স্লেভ হতে চায়। তার লেখা গুলো তার মাথায় এমন ভাবে ঢুকে গেছে যে সেটা যতক্ষণ না ট্রাই করছে ততক্ষণ তার শান্তি নেই। কিন্তু সেই লেখক কিছুতেই রাজি হচ্ছিলো না। কারন রিয়া সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এসব কিছু আঠারো বছর না হলে কিছুতেই ট্রাই করা যাবে না। কিন্তু নাছোড়বান্দা। সে শুনবেই না। তাকে তার স্লেভ বানাতেই হবে। শেষ এক পর্যায়ে সে রাজি হয়। তবে বলে যে এখন কেবল অনলাইনেই তার মাস্টার হবে সে। তারপর ১৮ পার হওয়ার পরে সরাসরি যোগাযোগ করবে। তারপর থেকেই রিয়ার জীবনটা অন্য রকম হয়ে যায়। আগে একটা সময় ও বুঝতে পারতো যে ওর জীবনে যেন কি এক টা জিনিস মিসিং। কিন্তু সেটা কি সেটা রিয়া বুঝতে পারতো না। এই জীবনট। বেঁছে নেওয়ার পরপরই সে বুঝতে পারে যে এটাই তার জীবনে দরকার ছিল। কিন্তু সেটাতেও যেন মন ভরছিল না ওর। সত্যি কারের বিডিএসএম এক্সপিরিয়েন্স নেওয়ার জন্য ও মুখিয়ে ছিল। ঠিক সেটা বাস্তবে পরিনত করতেই যেন সুযোগ টা চলে এল। ওর কাছের এক বান্ধবীর বাবা মা হঠাৎ করেই ঢাকার বাইরে যাওয়ার দরকার হল। তাই রিয়া কে বলল যেন রাতে গিয়ে থাকে ওর বাসায়। রিয়া সুযোগ পেয়ে গেল। রিয়া বাসা থেকে বের হল কিন্তু গেল তার ডমিনেন্ট লেখকের বাসায় আর আদিবা তার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে এল বাসায়। সবাই খুশি। যদি রিয়ার বাবা মা আদিয়ার বাসাতে ফোনও দেয় তাহলে আদিবা বলবে সে ও সেখানেই আছে। প্রথম প্রথম রিয়ার একটু ভয়ই করছিল। কারন মানুষটার সাথে এর আগে মাত্র একবার দেখা হয়েছে। তবে রিয়া তাকে ১০০ ভাগ বিশ্বাস করে। কারন মাঝে মাঝেই তাদের ভিডিও চ্যাট হত। সেখানে রিয়াকে আসতে হত কোন প্রকার কাপড় ছাড়াই। কারন একজন স্লেভের কোন কাপড় পড়ার অনুমুতি ছিল না। কিন্তু তার পরেও সেগুলো ছিল দূর থেকে। আজকে যা হতে চলেছে তা হবে সরাসরি। তার বাসায় এসে রিয়ার ভয়টা যেন আরও একটু বেড়ে গেল। বারপবার ইচ্ছে করছিলো দৌড়ে চলে যেতে। কিন্তু সেই সাথে সে খুন উত্তেজিত ছিল। কিভাবে তার স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই কথা বার্তা বলছিল সে। রিয়ার মনের ভয় দূর করার চেষ্টা করছিল। যখন সময় আসলো সে বলল -আরেক বার ভেবে দেখ। রিয়ার কিছু সময় চুপ করে থেকে বলল -আমি ভেবেছি। -তোমার যদি কিছু হয়ে যায় আমার কিন্তু খবর আছে। কতদিন জেল খাটবো নিজেও জানি না। রিয়া হাসলো। তারপর বলল -এই জন্য জানি আপনি আমালে দেখে রাখবেন। সে আবার বলল -তাহলে সেফ ওয়ার্ড নিতে চাও না? -না। ওটা নিলে আমি পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করতে পারবো না। কেবল দেখবেন যে এমন কোন জায়গায় কোন দাগ না পড়ে যেটা পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখা না যায়। ঠিক আছে? -তুমি কিন্তু তোমার জীবনটাই আমার হাতে তুলে দিচ্ছো! -আমি জানি। তারপরেই কাজ শুরু হয়। রিয়াকে অন্য একটা ঘরে নিয়ে গেল সে। রিয়া পোশাক বদলে একটা টিশার্ট আর লেগিংস পরেছিল। ও বলেছিল ওর পক্ষে নিজেকে নগ্ন করা সম্ভব হবে না। তাই যখন ওকে বাঁধা হবে তখন কাজটা সেই করে। সে রাজি হয়েছিল। রিয়াকে যে ঘরে নিয়ে এল সে, সেটার ভেতরে কোন আসবার পত্র নেই। নেই কোন ফ্যান। ফ্যান ঝুলানোর স্থান থেকে একটা দড়ি ঝুলছে। রিয়া সেই দড়ির দিকে ভয়ে ভয়ে তাকালো। তারপএ রিয়াকে জানালার গ্রিলের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। ওর হাতটা দুদিকে নিয়ে শক্ত করে টানটান করে বেঁধে ফেলা হল। তারপর পা দুটো শক্ত করে এক সাথে বাঁধা হল। চোখে বাঁধা হল কালো কাপড় এবং মুখে কাপড় গুজে টেপ দিয়ে শক্ত করে পেঁচিয়ে বাঁধা হল। বাঁধা শেষ রিয়াকে কিছু সময় ওভাবেই রেখে দেওয়া হল। তারপরই রিয়া অনুভব করলো একটা কেঁচি দিয়ে ওর শরীরের পোশাকটা কেটে ফেলা হচ্ছে। সম্পূর্ন কাজটা করতে মিনিট খানেক লাগলো। এই সময়ে রিয়ার পুরো শরীর যেন আন্দোলত লাগলো। যখন ওকে পুরো নগ্ন করে ফেলা হল রিয়ার অনুভূতিটা ছিল অন্য রকম। কিছু পরে ওর শরীরে কিছু একটা ঢেলে দিল সে। রিয়া জানে এট। একটা বন্ডেজ ওয়েল। এর ফলে খুব একটা দাগ পরেনা শরীরে তবে ব্যাথা ঠিকউ লাগে। তারপরই সেই সময় এল। ও বেতের আওয়াজ পেল। যেন সেটা বাতাস কেটে আওয়াজটা করছে। জানে এখনই ওর শরীরে আঘাত করবে। ও জানে এখনই আসবে কিন্তু কখন সেটা জানে না। তারপর আঘাত টা এল। ওর পায়ের উপর। তীব্র একটা যন্ত্রনা পুরো শরীরে নয়ে গেল। নিজেকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্ট। করলো কিন্তু কোন কাজ হল না। এরপর বেতের আঘাত একের পর এল আসতেই লাগলো। রিয়ার একটা সময় মনে হল ও আর সহ্য করতে পারবে না। কিন্তু জানে যত সময় না সে সন্তুষ্ট হবে তত সময় এটা চলবেই। একটা সময় বেতের আঘাত শেষ হল। তারপর রিয়াকে আঘাত শুরু জক ফ্লোগার দিয়ে। বুকের স্তন দুটো লাল হয়ে গেল ফ্লোগারের আঘাতে। নিজেকে চরম।পর্যায়ে নিয়ে গেল। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো তারপর চিৎকার করতে চাইলো কিন্তু কিছুই করতে পারলো না। তারপর রিয়ার হাত দুটো খুলে দেওয়া হল। এবং তাকে দেওয়ালের দিকে মুখ করে বাঁধা হল। ফলে রিয়া পিঠ আর নিতম্ব উন্মুক্ত। রিয়া এবার জোরে জোরে দম দিতে লাগলো। ওর সহ্যের সীমায় পৌছে গেছে। আর কত সময় সে সহ্য করতে পারবে সে জানে না। তারপরেই আবারও আঘাত শুরু হল। রিয়া এবার সত্যি সত্যি চাইলো যে সব থামে কিন্তু সেটা আর হল। আঘাতের পর আঘাত চলতেই লাগলো। কয়েক স্থানে কেটে গেল। রক্ত বের হয়ে গেল তবুও থামলো চাবুক। যখন থামলো তখন রিয়া চেতনা হারিয়ে ফেলেছে। সকালে যখন রিয়ার ঘুম ভাঙ্গল তখন বেশ বেলা হয়ে গেছে। রিয়া চোখ মেলে বুঝতে পারলো ও তখনও বেঁচে আছে। একটু নড়তে গিয়েই টের পেল ওর পুরো শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা। পাশ ফিরতেই দেখলো পাশের টেবিলে গরম কফির কাপ থেকে ধোয়া উড়ছে। আর নাস্তা ঢাকা রয়েছে। সেখানে একটা নোট রাখা। রিয়া যত সময় ইচ্ছা থাকতে পারে এখানে সে অফিস যাচ্ছে। আর সবার শেষে লেখা গতকাল সে ছিল আনেইজিং। সে নিজেও আশা করে নি যে রিয়া এতো দূর পর্যন্ত যেতে পারবে। রিয়া সত্যি নিজের আসল সত্ত্বা কে যেন খুজে পেয়েছে। গত কাল রাতের কথা মনে হওয়ার সাথে সাথে বারবার কেঁপে উঠছে। সেই সাথে একটা অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে, যে অনুভূতির কোন তুলনা নেই।
By kolpobazz
Monday, May 27, 2019
Attention: Don't read this .... স্বইচ্ছায় পড়লে আমায় দোষ দিতে পারবেন না। পর্ন স্টার [গল্প - ০২] [সাইকো] ঘরের মাঝে আর কোন আসবার পত্র নেই। কেবল ঘরের মাঝে একটা মেডিক্যাল বেড রাখা। তার উপরে নিশাত শুয়ে আছে। আরও ভাল করে বললে ওকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল বেডের সামনের দুই স্টান্ড থেকে দুটো দড়ির সাথে নিশাতের দুই হাতের কব্জির সাথে বাঁধা এবং এটাতে নিশাতের দুটো হাত দুই দিকে টান টান করে রয়েছে। ও কেবল নিজের কব্জিটা নড়াতে পারছে। দুপায়ের গোড়ালি দুটোও ঠিক একই ভাবে বাঁধা। নিশাত বেডের উপর শুয়ে আছে খানিকটা ইংরেজি এক্স অক্ষরের মত করে। এবার নিশাতের দিকে আরও ভাল করে নজর দেওয়া যাক। নিশাত চোখে কিছু দেখতে পারছে না। কালো টেপ দিয়ে ওর চোখের উপর দিয়ে কয়েক লেভেল প্যাঁচানো হয়েছে। ওর মুখে একটা কালো বল গ্যাগ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। গ্যাগটা খানিকটা রাবার দিয়ে তৈরি। ওর মুখের সাথে শক্ত করে আটকে আছে। এছাড়া নিশাতের শরীরে বাড়তি কিছু নেই। পুরোপুরি নগ্ন হয়ে শুয়ে আছে ও বেডের উপর। জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। হাঁপাচ্ছে। একটু আগে ওর যে ঝড় বয়ে গেছে তাতে শান্ত হতে ওর আরও কিছু সময় লাগবে। নিশাত কোনদিন ভাবে নি ও জীবনে এমন কিছু এক্সপিরিয়েন্স করবে। বাউন্ড গ্যাংব্যাং ওর সাথে একটু আগে ঘটে গেছে। এতোদিন সে এসব দেখেছে ফোন এবং ল্যাপ্টপের স্ক্রিনে আজকে সেটা ঘটেছে তার সাথেই । ওরা মোট চারজন ছিল। একে একে চারজন এসেছে আর গেছে। দুজনের পরেই নিশাতের দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। চিৎকার করে থামতে বলতে চাইছিল কিন্তু মুখ আর চোখ বাঁধা থাকার কারনে কিছুই বলতে পারে নি। সহ্য করে গেছে কেবল। চারজনের একজনকে সে খুব ভাল করেই চিনে। আদিব। ওর খুব কাছের বন্ধু। একই সাথে পড়াশুনা করে। যে ফ্ল্যাটে ও এখন আছে এটা আদিবেরই ফ্ল্যাট। কিন্তু বাকি তিনজন যে কে সেটা ও বলতে পারবে না। আদিবের কয়েকজন বন্ধুর সাথে ওর দেখা হয়েছে তবে বাকি তিনজন যে তাদের ভেতরের কেউ সেটা ও জানে না। নিশাতের এই সব কিছু করার কথা না। মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে সে। এসব কিছু করার কথা চিন্তাও করতে পারার কথা না। কিন্তু ও শুরু থেকেই একটু অন্য রকম। অন্য সব মেয়ের মত করে সে চিন্তা করে না । এসবের শুরু হয়েছিলো যখন ওর হাতে নতুন ফোন আসে। তখন সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। নতুন একটা মোবাইল ফোন এসেছে হাতে। সেটাতেই ব্রাউজ করতে করতে একদিন একটা ছবি দেখতে পেল। ছবিতে একটা মেয়ের হাত পা বেঁধে সেক্স করা হচ্ছে। মুখে একটা গ্যাগ পরানো ছিল। ছবিটার দিকে এক ভাবে তাকিয়ে রইলো কেবল। পুরো শরীর জুড়ে একটা শিহরণ অনুভব করলো। সেই থেকে শুরু এই ব্যাপারটার উপর আগ্রহ। ইন্টারনেতে এই বিডিএসএম, বন্ডেজ সম্পর্কে যা যা পেত সব পড়ে ফেলতো, আস্তে আস্তে এই ব্যাপারে সব কিছু জানতে শুরু করে। ঢাকায় আসার পরে সেই পরিধিটা আরও যেন বেড়ে গেল কিন্তু তখন তার মাঝে একটা সংকোচ কাজ করতো সব সময় । আশে পাশের মানুষ গুলোকে সে দেখতো আর জানতো যে সে যা পছন্দ করে তারা এই দেশের মানুষ পছন্দ করবে না । তাই নিজের ভেতরে সব কিছু লুকিয়ে রেখেছিলো । তবে অনলাইনেই তার কাজ কর্ম চলতো । সে একটা ফেইক আইডি খুলেছিলো তার মনের এই সব কথা লেখার জন্য । সেখানে অনেকেই তার সাথে কথা বলতে চাইতো দেখা করতে চাইতো কিন্তু নিশাত জানতো যে এরা আসলে তার কাছে কি চায় । তাই খুব একটা পাত্তা দিতো না । তখনই তার জীবনে আদিব এল । খুব অল্প দিনেই আদিবের সাথে ওর ভাব হয়ে গেল । ভালবাসা না কারন আদিবের আগে থেকেই একটা গার্লফ্রেন্ড ছিল তবে আদিব ওকে খুব পছন্দ করতো বন্ধু হিসাবে । ও নিজেও আদিবকে পছন্দ করতো । সেইদিনটার কথা ওর পরিস্কার মনে আছে । সেদিন ওর জন্মদিন ছিল । আদিব ওকে ডেকে নিয়ে যায় ওর ফ্ল্যাটে । ঢাকাতে নিজের একটা ফ্ল্যাটেই থাকতো সে একা । ওর বাবা মা দুইজনেই দেশের বাইরে থাকে । সেও কদিন পরে চলে যাবে সেখানে । সেদিন নিশাত পরেছিলো একটা সাদা রঙের লেগিংস আর শর্ট কামিজ । সাথে লাল ওড়না । আদিবের বাসায় গিয়ে দেখে সেখানে সে ছাড়া আর কেউ নেই । ওর জন্য কেকের ব্যবস্থা করা হয়েছে । দুজন মিলে কেক কাটলো । তারপর আদিব ওর জন্য একটা গিফট প্যাকেট বের করে দিলো । সেটা খুলতেই নিশাতের পুরো শরীর কেঁপে উঠলো । সেখানে ছিল একটা লাল রঙের বল গ্যাগ একটা স্লেভ কলার আর একটা হ্যান্ডকাফ । ও কেবল অবাক হয়ে তাকালো আদিবের দিকে । আদিব তখন মিটমিট করে হাসছে ওর দিকে তাকিয়ে । নিশাত কোন দিন আদিবকে ওর এই গোপন পছন্দের কথা বলে নি লজ্জায় । তাহলে ও কিভাবে জানলো ? যেন ওর মুখের কথাই বুঝতে পারলো । বলল, জানি তুমি আমাকে কিছুই বল নি তবুও আমি কিভাবে জানলাম ? একদিন তোমার ফোনে দেখেছিলাম । একটা গ্যালারি ভর্তি কেবল এই সব ছবি । তখনই বুঝতে পেরেছিলাম । ভাবছিলাম তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেব ! নিশাত কি বলবে বুঝতে পারলো না । খুব সংকোচ নিয়ে বলল, সো তুমি মনে কর না যে আমি অদ্ভুদ কিংবা উইয়ার্ড ? আদিব বলল, কেন ? তুমি এই বন্ডেজ পছন্দ কর বলে ? মোটেই না । আমাদের সবারই নিজেস্ব পছন্দ আছে আর সেটা আমাদের শ্রদ্ধা করা উচিৎ । নিশার কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না । হঠাৎ করেই আদিবকে জড়িয়ে ধরলো । আদিব হাসলো তারপর বলল, কি ট্রাই করতে চাও না ? নিশাত বলল, আমার লজ্জা লাগবে ! আরে রাখো তোমার লজ্জা । দেখি আমি পরিয়ে দেই । এই বলে প্রথমেই গলাতে পরালো স্লেভ কলারটা । তারপর হাতটা পেছন দিক দিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে দিলো । এর পর ওর মুখে বলগ্যাগ দিয়ে আটকে দিলো । তারপর ওকে নিয়ে গেল আয়নার সামনে । টান দিয়ে ওর ওড়ণাটা সরিয়ে ওকে দাড় কড়াল আয়নার সামনে । নিশাত কি করবে ঠিক বুঝতে পারছিল না । ওর পুরো শরীর জুড়ে একটা তীব্র উতলা ভাব কাজ করছে । প্রথম বারের মত এসব পরেছে । নিজকে ঠিক রাখতে পারছে না । তীব্র একটা লজ্জাও লাগছে আদিবের সামনে । মুখ লাল হয়ে গেছে । তাকাতে পারছে না আদিবের দিকে । আদিব বলল, এতো লজ্জা পাচ্ছো কেন শুনি ? আজকে তোমাকে আমি মজা দেখাবো । নিশাত কিছু বলতে গেল কিন্তু সেটা পারলো না বলগ্যাগ মুখে থাকার কারনে । আদিব বলল, শুনো আমি এখন একটা বাইরে যাবো । তোমাক এখানে এভাবেই রেখে যাবো । একা একা থাকো কিছু সময় । তাহলে নিজের ভেতরে কিছুটা শান্ত হয়ে যাবে । তবে আজকে তোমাকে আর ছাড়বো না । সারা রাতই তোমাকে এইভাবে থাকতে হবে । বুঝেছো । আর আজকে তুমি হচ্ছো আমার স্লেভ । আমি যা বলবো তাই করতে হবে । নিশাত কেবল তাকিয়ে রইলো । আদিব নিজের মোবাইল বের করে বেশ কিছু ছবি তুললও ওর । তারপর ওকে রেখে বের হয়ে গেল । দরজাতে তালা দেওয়ার আওয়াজ পেল ও । আদিব যাওয়ার পরেই নিশাত বুঝতে পারলো এতোদিন ও যা চেয়েছে তাই হচ্ছে ওর সাথে । ও এখন একটা ঘরে বন্দি ওর হাত বাঁধা, মুখে বলগ্যাগ দেওয়া এবং ওর গলাতে কলার পরানো । মুখের বলল গ্যাগটা একটা টাইট করে পরানো হয়েছে । একটু ব্যাথা করছে । তবে সেটার থেকেও অনুভূতিটা ওর কাছে বেশি বড় । ফ্ল্যাটের মাঝে কিছু সময় ও হাটাহাটি করলো । কি করবে বুঝতে পারছে না । আয়নায় নিজেকে আরও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলো আরও কিছু সময় । তখনই ওর মনে হল এখন যদি ওর শরীরে কিছু না থাকতো তাহলে হয়তো ব্যাপারটা অন্য রকম হত ! চিন্তা মনে হতেই নিজের শরীরের ভেতরে আরও একটা তীব্র একটা শিহরণ বয়ে গেল । নিশাত এইবার ঐ অবস্থায় খুব ধীরে বারান্দার দিকে গেল । একটু গিয়েই আবার ফিরে এল সাথে সাথে । যদি কেউ দেখে ফেলে ওকে এইভাবে তাহলে । এই দেখে ফেলার অনুভূতিটা আরও বেশি তীব্র । মানুষের নগ্ন হওয়ার থেকেও কেউ তাকে নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলবে এই ভাবনা বেশি দোলা দেয় । নিশাতকেও দিলো তাই । আদিব এলো আরও ঘন্টা দুয়েক পরে । -কেমন কাটলো ? নিশাত বলতে গেল কিছু কিন্তু বলতে পারলো না । মুখে বলগ্যাগ দেওয়া রয়েছে । আদিব খুলতে গিয়েও খুললো না । তারপর বলল, আজকে তোমার জন্মদিন যেহেতু আজকে তোমার জন্য আলাদা ট্রিটমেন্ট ! নিশাত বলতে চাইলো, মানে ? কিন্তু বলতে পারলো না । আদিব ওকে ধরে বিছায় বসিয়ে দিল তারপর ওর ঠিক পা দুটো ধরে ওকে বিছানায় শুইয়ে দিল । নিশাত বুঝতে পারলো ওর সাথে এখন কি হতে চলেছে । একবার মনে হল ও প্রোটেস্ট করবে কিন্তু বুঝতে পারলো যে ওর প্রোটেস্ট করার কোন উপায় নেই। ওর হাত পেছন দিয়ে আটকানো, চাইলেও পারবে না । মুখে গ্যাগ আছে কিন্তু চিৎকার করতে পারবে না । লেগিংসটা খুলে ফেলল । নিশাত জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো । তারপর আসল কাজটা করলো । নিশারের জামাটা খুলে ফেলল । নিশাত চুপ করে রইলো চোখ বন্ধ করে । ও কি করবে বুঝতে পারলো না । আদিব তখন ওর কানের কাছে এসে বলল, এখন কি চাও আমি আগে যাই, যদি না চাও সব থেমে যাবে এখন । চাও ? নিশাত কি বলবে বুঝতে পারলো না । কিন্তু আপনাআপনিই ওর মাথাটা ডানে বাঁয়ে চলে কয়েকবার । ও থামতে চায় না। জীবনে প্রথম বারের মত সেক্স করলো আদিবের সাথে । হাত বাঁধা অবস্থায় এবং মুখে গ্যাগ থাকা অবস্থায় । এটা যেন ওর স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেল । সকালে যখন নিশাতের ঘুম ভাঙ্গলো দেখতে পেল ও ঠিক একই ভাবেই রয়েছে। রাতের পরে ওকে আর খুলে দেয় নি। ওভাবেই ছিল। সকালে উঠে প্রথমে নিজেকে আয়নাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে লাগলো। ওর নিজের কাছে অদ্ভুদ লাগছে। ও কোনদিন ভাবে নি এরকম ওর কাছে কোনদিন কিছু হবে। কিন্তু হয়েছে। তারপর থেকেই আদিবের বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু হল ওর। সপ্তাহে অন্তত একদিন নয়তো সে আসতোই। আর যতই দিন যেতে লাগলো নিশাতের সাহস ততই বেড়ে চলল। একটা সময় ও আদিবের বাসায় এসে আর কোন কাপড় গায়ে রাখতো না। একই ভাবে হাতে হ্যান্ডকাফ আর পায়ে লেগ কাগ পরতো। গলায় কলার আর বল গ্যাগ। একদিন আদিব ওকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখলো। ঐদিন ওর খুব বেশি ভয় লাগছিলো যদি কেউ ওকে দেখে ফেলে। সেদিনও ওর মনে আলাদা একটা অনুভূতি হয়েছিলো। উত্তেজনাকর অনুভূতি। তারপরই একদিন আদিবকে বলল যে আরও ভয়ংকর কিছু করতে চায়। তারপরই ওকে আজকে এখানে এই কাজটা করলো। ওকে বেডের সাথে বেঁধে রাখার পর আদিবরা মোট চার জন একে একে এসে ওর সাথে সেক্স করেছে। নিশাত এসবই ভাবছিল। এতো সময়ে ওর মন একটু শান্ত হয়ে এসেছে। ঠিক এমন সময় দরজা খুলার আওয়াজ হল। আবারও শুরু করবে নাকি? নিশাত কিছু বলতে চাইলো কিন্তু ওর কিছু বলার উপায় নেই। একটু নড়াচড়া করলো বটে কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হল না। নিশাত অনুভব করলো কেউ ওর শরীরের উপরে উঠে বসেছে। ওর চোখ আগে থেকেই বাঁধা সে কিছুই দেখতে পারছে না। তবে এটা বুঝতে পারলো যে ওর উপরে নতুন করে উঠেছে সে একজন মেয়ে। মেয়েটি কে নিশাত জানে না। তবে নিশ্চয়ই আদিবের পরিচিত। নিশাত অনুভূব করলো মেয়েটির হাত ওর পুরো শরীরের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে হাতের অনুভূতি টা ঠিক চামড়ার মত নয়। নিশাত বুঝতে পারলো মেয়েটা লেটাক্সের গ্লোভস পরে আছে। পায়ের দিক থেকেও একই অনুভূতি হচ্ছে। তার মানে মেয়েটি পায়েও লেটাক্সের লম্বা লেটাক্সের সকস পরে আছে। একেবারে মুভিতে দেখা মিস্ট্রেসদের মত। মেয়েটি এবার নিশাতের মুখের বলগ্যাগ খুলে দিল। তবে মুখে হাত দিয়ে কিছু বলতে নিষেধ করলো। নিশাত কিছুই বললো না। কেবল জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। নিশাত অনুভব করলো এরপর মেয়েটি ওর উপর শুয়ে পরলো। পায়ের উপরে পা, শরীরের উপরে শরীর, ওর ব্রেস্টের উপর মেয়েটির ব্রেস্ট এসে পরেছে। তারপর ওর হাত দুটোর উপর মেয়েটির হাত দুটো রাখলো। আঙ্গুলের ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে মেয়েটি ওর হাত চেপে ধরলো। তারপর নিশাতকে চুমু খেতে লাগলো। নিশাত নিজের মেয়েটির হাত শক্ত করে ধরেছে। কাঁপছে। সে নিজেও মেয়েটিকে চুমু খেতে শুরু করেছে। নিজের উত্তেজনার সর্বোচ্চ পৌছে গেছে সে। পরিশিষ্ট ঘন্টা দুয়েক পরে। নিশাতকে আনা হয়েছে ড্রয়িং রুমে। নিশাত এখন অনেকটাই শান্ত। তবে এখন ওর খুব বেশি লজ্জা লাগছে। কারন এখনও ওর শরীর কোন কাপড় নেই। ঘরে ও ছাড়াও আরও পাঁচ জন মানুষ আছে। সবাই আড্ডা দিচ্ছে, হাসি ঠাট্টা করছে। ওর অস্বস্তি লাগছে। ওর হাতটা এখন পেছন দিক দিয়ে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকানো। গলাতে কলারটা লাগানো আছে। -নিশাত কেমন লাগছে? কথাটা বলল আশিরা। আদিবের বন্ধু। মেয়েটাকে দেখে নিশাত অবাকই হয়েছে। এখনো মেয়েটা লম্বা লেটাক্সের গ্লোভস পরে আছে। টপস আর স্কার্ট পরে আছে। নিশাত বলল, আমি কোন দিন ভাবি নি এইকাজটা আমি করতে পারবো। কিন্তু তুমি পেরেছো আর খুব ভাল ভাবেই। আদিব বলল, শুনো তোমার পুরো ভিডিওটা আমরা এখন নেটে ছেড়ে দিব। নিশাত অবাক হয়ে বলল, কি বলছ? না না না। আশিরা বলল, আরে চিন্তা কর না, তোমার চোখে কালো টেপ দিয়ে আটকানো ছিল, মুখে গ্যাগ, কেউ চিনবে না। আর যখন ভিডিও করা হয় তখন এমন ভাবেই করা হয়েছে যাতে চেনা না যায়। সো টেনশন নিও না। নিশাত একটু অবাক হল। তার মানে সব সময়ই ঐ রুমে কেউ ছিল। নিশাত বলল -কিন্তু তোমাদেরকে চেনা যাবে যে। -না। ওরা সবাই মাস্ক পরেছিল তাই সমস্যা হবে না। শুনো তোমাকে নিয়ে আমাদের আরও প্লান আছে। এরপর তোমাকে নিয়ে গাজিপুরে যাবো। খোলা স্থানে কিছু স্যুট করবো। বুঝেছো? নিশাত মাথা নাড়ালো। ও যে এমন কিছু করবে জীবনে কি ভেবেছিলো। যেদিন প্রথম এই বন্ডেজের উপর আগ্রহ জন্মেছিল সেদিন কি ঘুরাক্ষণেও টের পেয়েছিল এমন কিছু তার জীবনে ঘটবে! এমন ভাবে কল্পনা বাস্তব হয়ে যাবে ভাবতে পেরেছিলো কি! জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটে যা কল্পনাকেও হার মানায়। নিশাতের জীবনেও তেমন কিছু হয়েছে, সামনে আরও হতে চলেছে। তবে সেটা অন্য কোন গল্প।
By kolpobazz
Attention: Don't read this .... স্বইচ্ছায় পড়লে আমায় দোষ দিতে পারবেন না। পর্ন স্টার [গল্প - ০২] [সাইকো] ঘরের মাঝে আর কোন আসবার পত্র নেই। কেবল ঘরের মাঝে একটা মেডিক্যাল বেড রাখা। তার উপরে নিশাত শুয়ে আছে। আরও ভাল করে বললে ওকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল বেডের সামনের দুই স্টান্ড থেকে দুটো দড়ির সাথে নিশাতের দুই হাতের কব্জির সাথে বাঁধা এবং এটাতে নিশাতের দুটো হাত দুই দিকে টান টান করে রয়েছে। ও কেবল নিজের কব্জিটা নড়াতে পারছে। দুপায়ের গোড়ালি দুটোও ঠিক একই ভাবে বাঁধা। নিশাত বেডের উপর শুয়ে আছে খানিকটা ইংরেজি এক্স অক্ষরের মত করে। এবার নিশাতের দিকে আরও ভাল করে নজর দেওয়া যাক। নিশাত চোখে কিছু দেখতে পারছে না। কালো টেপ দিয়ে ওর চোখের উপর দিয়ে কয়েক লেভেল প্যাঁচানো হয়েছে। ওর মুখে একটা কালো বল গ্যাগ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। গ্যাগটা খানিকটা রাবার দিয়ে তৈরি। ওর মুখের সাথে শক্ত করে আটকে আছে। এছাড়া নিশাতের শরীরে বাড়তি কিছু নেই। পুরোপুরি নগ্ন হয়ে শুয়ে আছে ও বেডের উপর। জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। হাঁপাচ্ছে। একটু আগে ওর যে ঝড় বয়ে গেছে তাতে শান্ত হতে ওর আরও কিছু সময় লাগবে। নিশাত কোনদিন ভাবে নি ও জীবনে এমন কিছু এক্সপিরিয়েন্স করবে। বাউন্ড গ্যাংব্যাং ওর সাথে একটু আগে ঘটে গেছে। এতোদিন সে এসব দেখেছে ফোন এবং ল্যাপ্টপের স্ক্রিনে আজকে সেটা ঘটেছে তার সাথেই । ওরা মোট চারজন ছিল। একে একে চারজন এসেছে আর গেছে। দুজনের পরেই নিশাতের দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। চিৎকার করে থামতে বলতে চাইছিল কিন্তু মুখ আর চোখ বাঁধা থাকার কারনে কিছুই বলতে পারে নি। সহ্য করে গেছে কেবল। চারজনের একজনকে সে খুব ভাল করেই চিনে। আদিব। ওর খুব কাছের বন্ধু। একই সাথে পড়াশুনা করে। যে ফ্ল্যাটে ও এখন আছে এটা আদিবেরই ফ্ল্যাট। কিন্তু বাকি তিনজন যে কে সেটা ও বলতে পারবে না। আদিবের কয়েকজন বন্ধুর সাথে ওর দেখা হয়েছে তবে বাকি তিনজন যে তাদের ভেতরের কেউ সেটা ও জানে না। নিশাতের এই সব কিছু করার কথা না। মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে সে। এসব কিছু করার কথা চিন্তাও করতে পারার কথা না। কিন্তু ও শুরু থেকেই একটু অন্য রকম। অন্য সব মেয়ের মত করে সে চিন্তা করে না । এসবের শুরু হয়েছিলো যখন ওর হাতে নতুন ফোন আসে। তখন সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। নতুন একটা মোবাইল ফোন এসেছে হাতে। সেটাতেই ব্রাউজ করতে করতে একদিন একটা ছবি দেখতে পেল। ছবিতে একটা মেয়ের হাত পা বেঁধে সেক্স করা হচ্ছে। মুখে একটা গ্যাগ পরানো ছিল। ছবিটার দিকে এক ভাবে তাকিয়ে রইলো কেবল। পুরো শরীর জুড়ে একটা শিহরণ অনুভব করলো। সেই থেকে শুরু এই ব্যাপারটার উপর আগ্রহ। ইন্টারনেতে এই বিডিএসএম, বন্ডেজ সম্পর্কে যা যা পেত সব পড়ে ফেলতো, আস্তে আস্তে এই ব্যাপারে সব কিছু জানতে শুরু করে। ঢাকায় আসার পরে সেই পরিধিটা আরও যেন বেড়ে গেল কিন্তু তখন তার মাঝে একটা সংকোচ কাজ করতো সব সময় । আশে পাশের মানুষ গুলোকে সে দেখতো আর জানতো যে সে যা পছন্দ করে তারা এই দেশের মানুষ পছন্দ করবে না । তাই নিজের ভেতরে সব কিছু লুকিয়ে রেখেছিলো । তবে অনলাইনেই তার কাজ কর্ম চলতো । সে একটা ফেইক আইডি খুলেছিলো তার মনের এই সব কথা লেখার জন্য । সেখানে অনেকেই তার সাথে কথা বলতে চাইতো দেখা করতে চাইতো কিন্তু নিশাত জানতো যে এরা আসলে তার কাছে কি চায় । তাই খুব একটা পাত্তা দিতো না । তখনই তার জীবনে আদিব এল । খুব অল্প দিনেই আদিবের সাথে ওর ভাব হয়ে গেল । ভালবাসা না কারন আদিবের আগে থেকেই একটা গার্লফ্রেন্ড ছিল তবে আদিব ওকে খুব পছন্দ করতো বন্ধু হিসাবে । ও নিজেও আদিবকে পছন্দ করতো । সেইদিনটার কথা ওর পরিস্কার মনে আছে । সেদিন ওর জন্মদিন ছিল । আদিব ওকে ডেকে নিয়ে যায় ওর ফ্ল্যাটে । ঢাকাতে নিজের একটা ফ্ল্যাটেই থাকতো সে একা । ওর বাবা মা দুইজনেই দেশের বাইরে থাকে । সেও কদিন পরে চলে যাবে সেখানে । সেদিন নিশাত পরেছিলো একটা সাদা রঙের লেগিংস আর শর্ট কামিজ । সাথে লাল ওড়না । আদিবের বাসায় গিয়ে দেখে সেখানে সে ছাড়া আর কেউ নেই । ওর জন্য কেকের ব্যবস্থা করা হয়েছে । দুজন মিলে কেক কাটলো । তারপর আদিব ওর জন্য একটা গিফট প্যাকেট বের করে দিলো । সেটা খুলতেই নিশাতের পুরো শরীর কেঁপে উঠলো । সেখানে ছিল একটা লাল রঙের বল গ্যাগ একটা স্লেভ কলার আর একটা হ্যান্ডকাফ । ও কেবল অবাক হয়ে তাকালো আদিবের দিকে । আদিব তখন মিটমিট করে হাসছে ওর দিকে তাকিয়ে । নিশাত কোন দিন আদিবকে ওর এই গোপন পছন্দের কথা বলে নি লজ্জায় । তাহলে ও কিভাবে জানলো ? যেন ওর মুখের কথাই বুঝতে পারলো । বলল, জানি তুমি আমাকে কিছুই বল নি তবুও আমি কিভাবে জানলাম ? একদিন তোমার ফোনে দেখেছিলাম । একটা গ্যালারি ভর্তি কেবল এই সব ছবি । তখনই বুঝতে পেরেছিলাম । ভাবছিলাম তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেব ! নিশাত কি বলবে বুঝতে পারলো না । খুব সংকোচ নিয়ে বলল, সো তুমি মনে কর না যে আমি অদ্ভুদ কিংবা উইয়ার্ড ? আদিব বলল, কেন ? তুমি এই বন্ডেজ পছন্দ কর বলে ? মোটেই না । আমাদের সবারই নিজেস্ব পছন্দ আছে আর সেটা আমাদের শ্রদ্ধা করা উচিৎ । নিশার কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না । হঠাৎ করেই আদিবকে জড়িয়ে ধরলো । আদিব হাসলো তারপর বলল, কি ট্রাই করতে চাও না ? নিশাত বলল, আমার লজ্জা লাগবে ! আরে রাখো তোমার লজ্জা । দেখি আমি পরিয়ে দেই । এই বলে প্রথমেই গলাতে পরালো স্লেভ কলারটা । তারপর হাতটা পেছন দিক দিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে দিলো । এর পর ওর মুখে বলগ্যাগ দিয়ে আটকে দিলো । তারপর ওকে নিয়ে গেল আয়নার সামনে । টান দিয়ে ওর ওড়ণাটা সরিয়ে ওকে দাড় কড়াল আয়নার সামনে । নিশাত কি করবে ঠিক বুঝতে পারছিল না । ওর পুরো শরীর জুড়ে একটা তীব্র উতলা ভাব কাজ করছে । প্রথম বারের মত এসব পরেছে । নিজকে ঠিক রাখতে পারছে না । তীব্র একটা লজ্জাও লাগছে আদিবের সামনে । মুখ লাল হয়ে গেছে । তাকাতে পারছে না আদিবের দিকে । আদিব বলল, এতো লজ্জা পাচ্ছো কেন শুনি ? আজকে তোমাকে আমি মজা দেখাবো । নিশাত কিছু বলতে গেল কিন্তু সেটা পারলো না বলগ্যাগ মুখে থাকার কারনে । আদিব বলল, শুনো আমি এখন একটা বাইরে যাবো । তোমাক এখানে এভাবেই রেখে যাবো । একা একা থাকো কিছু সময় । তাহলে নিজের ভেতরে কিছুটা শান্ত হয়ে যাবে । তবে আজকে তোমাকে আর ছাড়বো না । সারা রাতই তোমাকে এইভাবে থাকতে হবে । বুঝেছো । আর আজকে তুমি হচ্ছো আমার স্লেভ । আমি যা বলবো তাই করতে হবে । নিশাত কেবল তাকিয়ে রইলো । আদিব নিজের মোবাইল বের করে বেশ কিছু ছবি তুললও ওর । তারপর ওকে রেখে বের হয়ে গেল । দরজাতে তালা দেওয়ার আওয়াজ পেল ও । আদিব যাওয়ার পরেই নিশাত বুঝতে পারলো এতোদিন ও যা চেয়েছে তাই হচ্ছে ওর সাথে । ও এখন একটা ঘরে বন্দি ওর হাত বাঁধা, মুখে বলগ্যাগ দেওয়া এবং ওর গলাতে কলার পরানো । মুখের বলল গ্যাগটা একটা টাইট করে পরানো হয়েছে । একটু ব্যাথা করছে । তবে সেটার থেকেও অনুভূতিটা ওর কাছে বেশি বড় । ফ্ল্যাটের মাঝে কিছু সময় ও হাটাহাটি করলো । কি করবে বুঝতে পারছে না । আয়নায় নিজেকে আরও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলো আরও কিছু সময় । তখনই ওর মনে হল এখন যদি ওর শরীরে কিছু না থাকতো তাহলে হয়তো ব্যাপারটা অন্য রকম হত ! চিন্তা মনে হতেই নিজের শরীরের ভেতরে আরও একটা তীব্র একটা শিহরণ বয়ে গেল । নিশাত এইবার ঐ অবস্থায় খুব ধীরে বারান্দার দিকে গেল । একটু গিয়েই আবার ফিরে এল সাথে সাথে । যদি কেউ দেখে ফেলে ওকে এইভাবে তাহলে । এই দেখে ফেলার অনুভূতিটা আরও বেশি তীব্র । মানুষের নগ্ন হওয়ার থেকেও কেউ তাকে নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলবে এই ভাবনা বেশি দোলা দেয় । নিশাতকেও দিলো তাই । আদিব এলো আরও ঘন্টা দুয়েক পরে । -কেমন কাটলো ? নিশাত বলতে গেল কিছু কিন্তু বলতে পারলো না । মুখে বলগ্যাগ দেওয়া রয়েছে । আদিব খুলতে গিয়েও খুললো না । তারপর বলল, আজকে তোমার জন্মদিন যেহেতু আজকে তোমার জন্য আলাদা ট্রিটমেন্ট ! নিশাত বলতে চাইলো, মানে ? কিন্তু বলতে পারলো না । আদিব ওকে ধরে বিছায় বসিয়ে দিল তারপর ওর ঠিক পা দুটো ধরে ওকে বিছানায় শুইয়ে দিল । নিশাত বুঝতে পারলো ওর সাথে এখন কি হতে চলেছে । একবার মনে হল ও প্রোটেস্ট করবে কিন্তু বুঝতে পারলো যে ওর প্রোটেস্ট করার কোন উপায় নেই। ওর হাত পেছন দিয়ে আটকানো, চাইলেও পারবে না । মুখে গ্যাগ আছে কিন্তু চিৎকার করতে পারবে না । লেগিংসটা খুলে ফেলল । নিশাত জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো । তারপর আসল কাজটা করলো । নিশারের জামাটা খুলে ফেলল । নিশাত চুপ করে রইলো চোখ বন্ধ করে । ও কি করবে বুঝতে পারলো না । আদিব তখন ওর কানের কাছে এসে বলল, এখন কি চাও আমি আগে যাই, যদি না চাও সব থেমে যাবে এখন । চাও ? নিশাত কি বলবে বুঝতে পারলো না । কিন্তু আপনাআপনিই ওর মাথাটা ডানে বাঁয়ে চলে কয়েকবার । ও থামতে চায় না। জীবনে প্রথম বারের মত সেক্স করলো আদিবের সাথে । হাত বাঁধা অবস্থায় এবং মুখে গ্যাগ থাকা অবস্থায় । এটা যেন ওর স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেল । সকালে যখন নিশাতের ঘুম ভাঙ্গলো দেখতে পেল ও ঠিক একই ভাবেই রয়েছে। রাতের পরে ওকে আর খুলে দেয় নি। ওভাবেই ছিল। সকালে উঠে প্রথমে নিজেকে আয়নাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে লাগলো। ওর নিজের কাছে অদ্ভুদ লাগছে। ও কোনদিন ভাবে নি এরকম ওর কাছে কোনদিন কিছু হবে। কিন্তু হয়েছে। তারপর থেকেই আদিবের বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু হল ওর। সপ্তাহে অন্তত একদিন নয়তো সে আসতোই। আর যতই দিন যেতে লাগলো নিশাতের সাহস ততই বেড়ে চলল। একটা সময় ও আদিবের বাসায় এসে আর কোন কাপড় গায়ে রাখতো না। একই ভাবে হাতে হ্যান্ডকাফ আর পায়ে লেগ কাগ পরতো। গলায় কলার আর বল গ্যাগ। একদিন আদিব ওকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখলো। ঐদিন ওর খুব বেশি ভয় লাগছিলো যদি কেউ ওকে দেখে ফেলে। সেদিনও ওর মনে আলাদা একটা অনুভূতি হয়েছিলো। উত্তেজনাকর অনুভূতি। তারপরই একদিন আদিবকে বলল যে আরও ভয়ংকর কিছু করতে চায়। তারপরই ওকে আজকে এখানে এই কাজটা করলো। ওকে বেডের সাথে বেঁধে রাখার পর আদিবরা মোট চার জন একে একে এসে ওর সাথে সেক্স করেছে। নিশাত এসবই ভাবছিল। এতো সময়ে ওর মন একটু শান্ত হয়ে এসেছে। ঠিক এমন সময় দরজা খুলার আওয়াজ হল। আবারও শুরু করবে নাকি? নিশাত কিছু বলতে চাইলো কিন্তু ওর কিছু বলার উপায় নেই। একটু নড়াচড়া করলো বটে কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হল না। নিশাত অনুভব করলো কেউ ওর শরীরের উপরে উঠে বসেছে। ওর চোখ আগে থেকেই বাঁধা সে কিছুই দেখতে পারছে না। তবে এটা বুঝতে পারলো যে ওর উপরে নতুন করে উঠেছে সে একজন মেয়ে। মেয়েটি কে নিশাত জানে না। তবে নিশ্চয়ই আদিবের পরিচিত। নিশাত অনুভূব করলো মেয়েটির হাত ওর পুরো শরীরের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে হাতের অনুভূতি টা ঠিক চামড়ার মত নয়। নিশাত বুঝতে পারলো মেয়েটা লেটাক্সের গ্লোভস পরে আছে। পায়ের দিক থেকেও একই অনুভূতি হচ্ছে। তার মানে মেয়েটি পায়েও লেটাক্সের লম্বা লেটাক্সের সকস পরে আছে। একেবারে মুভিতে দেখা মিস্ট্রেসদের মত। মেয়েটি এবার নিশাতের মুখের বলগ্যাগ খুলে দিল। তবে মুখে হাত দিয়ে কিছু বলতে নিষেধ করলো। নিশাত কিছুই বললো না। কেবল জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। নিশাত অনুভব করলো এরপর মেয়েটি ওর উপর শুয়ে পরলো। পায়ের উপরে পা, শরীরের উপরে শরীর, ওর ব্রেস্টের উপর মেয়েটির ব্রেস্ট এসে পরেছে। তারপর ওর হাত দুটোর উপর মেয়েটির হাত দুটো রাখলো। আঙ্গুলের ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে মেয়েটি ওর হাত চেপে ধরলো। তারপর নিশাতকে চুমু খেতে লাগলো। নিশাত নিজের মেয়েটির হাত শক্ত করে ধরেছে। কাঁপছে। সে নিজেও মেয়েটিকে চুমু খেতে শুরু করেছে। নিজের উত্তেজনার সর্বোচ্চ পৌছে গেছে সে। পরিশিষ্ট ঘন্টা দুয়েক পরে। নিশাতকে আনা হয়েছে ড্রয়িং রুমে। নিশাত এখন অনেকটাই শান্ত। তবে এখন ওর খুব বেশি লজ্জা লাগছে। কারন এখনও ওর শরীর কোন কাপড় নেই। ঘরে ও ছাড়াও আরও পাঁচ জন মানুষ আছে। সবাই আড্ডা দিচ্ছে, হাসি ঠাট্টা করছে। ওর অস্বস্তি লাগছে। ওর হাতটা এখন পেছন দিক দিয়ে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকানো। গলাতে কলারটা লাগানো আছে। -নিশাত কেমন লাগছে? কথাটা বলল আশিরা। আদিবের বন্ধু। মেয়েটাকে দেখে নিশাত অবাকই হয়েছে। এখনো মেয়েটা লম্বা লেটাক্সের গ্লোভস পরে আছে। টপস আর স্কার্ট পরে আছে। নিশাত বলল, আমি কোন দিন ভাবি নি এইকাজটা আমি করতে পারবো। কিন্তু তুমি পেরেছো আর খুব ভাল ভাবেই। আদিব বলল, শুনো তোমার পুরো ভিডিওটা আমরা এখন নেটে ছেড়ে দিব। নিশাত অবাক হয়ে বলল, কি বলছ? না না না। আশিরা বলল, আরে চিন্তা কর না, তোমার চোখে কালো টেপ দিয়ে আটকানো ছিল, মুখে গ্যাগ, কেউ চিনবে না। আর যখন ভিডিও করা হয় তখন এমন ভাবেই করা হয়েছে যাতে চেনা না যায়। সো টেনশন নিও না। নিশাত একটু অবাক হল। তার মানে সব সময়ই ঐ রুমে কেউ ছিল। নিশাত বলল -কিন্তু তোমাদেরকে চেনা যাবে যে। -না। ওরা সবাই মাস্ক পরেছিল তাই সমস্যা হবে না। শুনো তোমাকে নিয়ে আমাদের আরও প্লান আছে। এরপর তোমাকে নিয়ে গাজিপুরে যাবো। খোলা স্থানে কিছু স্যুট করবো। বুঝেছো? নিশাত মাথা নাড়ালো। ও যে এমন কিছু করবে জীবনে কি ভেবেছিলো। যেদিন প্রথম এই বন্ডেজের উপর আগ্রহ জন্মেছিল সেদিন কি ঘুরাক্ষণেও টের পেয়েছিল এমন কিছু তার জীবনে ঘটবে! এমন ভাবে কল্পনা বাস্তব হয়ে যাবে ভাবতে পেরেছিলো কি! জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটে যা কল্পনাকেও হার মানায়। নিশাতের জীবনেও তেমন কিছু হয়েছে, সামনে আরও হতে চলেছে। তবে সেটা অন্য কোন গল্প।
By kolpobazz
আমি অশ্লিল,,,আর খারাপ জিনিসটা আমার রক্তে মিশে আছে। এ নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। আমার টাইমলাইনে আমি যা ইচ্ছে পোস্ট করব। ভাল না লাগ্লে নিজ দায়িত্বে বিদায় হবেন। প্রতিদিন পনের বিশটা ব্লক খাওয়া আমার নেশা হয়ে গেছে। আপনার মত দু একজন সুশিল চলে গেলে আমার বাল ও বাকা হবে না। আর শুনেন কে কোন চ্যটের বাল তা রাত বারোটার পর পর্ন সাইটের ট্রাফিক রেট দেখলেই বোঝা যায়। মাইন্ড ইট আমি,,, আমিই। আপনি না☺☺☺
By kolpobazz
Sunday, May 26, 2019
পর্ন স্টার [সাইকো] under 18 not allow মিমি চৌধুরী অনেক টা নিজের গ্রিন রুমের ভেতরে বসে আছে । আজকে সে একটা ভ্যংকর কাজ করতে যাচ্ছে । কাজটা সে কেন করতে যাচ্ছে তার কাছে সেটা এখনও পরিস্কার না তবে এটা না করলে তার মনে হচ্ছে সে কিছুতেই শান্তি পাবে না । যখন থেকে সে নিজের চোখের নিজের স্বামীর কাজ কর্ম দেখেছে তখন থেকে মনে হয়েছে তার কিছু করা উচিৎ । সে কেবল চেয়েছে তার স্বামী তার সাথে ঠিক যে কাজটা করেছে সেও সেটাই করবে । কি করবে সে কিছুতেই বুঝতে পারছিলো না । তখনই সে গেম অব থ্রোনের আরিয়া স্টার্ককে দেখতে পেল । এতোদিন ধরে সে সবার ছোট্ট মেয়েটি হিসাবে পরিচিত ছিল কিন্তু শেষ সিজনের দ্বিতীয় পর্বেই এক লাফে বড় হয়ে গেল । দৃশ্যটা ওর চোখে এখনো লেগে আছে । তখনই মিমির মনে কথাটা এল । সাথে সাথেই রিয়াদকে ফোন দিল সে । মিমি নিজেকে শান্ত করে গ্রিন রুম থেকে বেরিয়ে এল । মুভি সেট আজকে অন্য রকম লাগছে মিমির কাছে। খুব বেশি মানুষ আজকে রাখা হয় নি। কেন রাখা হয় নি সেটাও মিমি জানে । সবাইকেই মিমি ভাল করে চেনে । তার সাথেই কাজ করে । এর আগেও মিমি তেমন কোন সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে নি। তাকে সবাই শান্ত আর লজ্জাবতী নায়িকা হিসাবে চেনে । আরিয়াকে দেখে সে সাহস পেয়েছে । আজকের দৃশ্যটা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিবে। পরিচালক রিয়াদ বলেছে মানুষ কেবল এটা দেখার জন্যই হলে আসবে। মিমি নিজেও জানে এমনই আসলে হবে। পরিচালক রিয়াদ ওর অনেক দিনের বন্ধু । তার সাথে সে অনেক কিছু বলতে পারে নিশ্চিন্তে । তার মুভিতে অনেক কিছুই সে করতে পারে । রিয়াদ যখন প্রথম দৃশ্যটার কথা মিমিকে বলেছিলো তখন দৃশ্যটা খানিকটা অন্য রকম ছিল। দৃশ্যটা ছিল যে মিমি নিজের স্বামীর কাছ থেকে প্রতারিত হওয়ার পর ঠিক করলো সেও আর ভাল থাকবে না। নিজে দুজন স্কোট বয় খুজে নিয়ে সেক্স করবে। তবে এই সেক্সের দৃশ্যে মিমির চোখ থাকবে বাঁধা। এই ছিল দৃশ্যের মূল থিম। এই মুভির দৃশ্যই যেন তার বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি । সেও ঠিক করেছে সে একই কাজ করবে । মিমি দৃশ্যটা শুনে সেটার সাথে আরেকটু কিছু সংযোজন করলো। রিয়াদকে বলল যে চোখ বাঁধার সাথে সাথে ওর হাত দুটোও যেন বাঁধা হয় শক্ত করে। এমন একটা দৃশ্য কদিন আগেই সে একটা মুভিতে দেখেছিল। তখন মনে ইচ্ছে হল এমন কিছু যদি করা যেত কিন্তু তখন সেই পরিস্থিতি ছিল না । কিন্তু এখন মিমির মনের অবস্থা এমন হয়েছে যে সে এখন আর কিছুই কেয়ার করে না । যা হবার হবে । তার মনের ইচ্ছে অনুযায়ী যা ইচ্ছে তাই করবে না । পরিচালক রিয়াদ প্রথমে অবাক হলেও পরে খুবই খুশি হল। কারন এই রকম একটা দৃশ্য যদি মুভিতে থাকে তাহলে সেটা দেখার জন্য দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়বে। সেট সব তৈরি। মিমির মেকাপ নেওয়া শেষে ওর হাত বাধা হচ্ছে। তার আগে ওর শরীর থেকে সব পোশাক খুলে নেওয়া হয়েছে। একটা পাতলা তোয়ালে কোন রকমে পেঁচিয়ে রাখা হিতেছে। হাত দুটো একটু হালকা করে বাঁধা হতেই মিমি বলল -কি ব্যাপার এতো কম টাইট করে কেন বাঁধছো? যে বাঁধছিল সে বলল -আরও টাইট করবো? -হ্যা। যখন মিমির হাত আর পা বাঁধা শেষ হল তখন ও বুঝতে পারলো আসলেই বাঁধন গুলো বেশ শক্ত হয়েছে। তারপর থেকেই ওর বুকের ভেতরে একটা আলাদা অনভুতি হতে লাগলো । ওর শরীরের কোন কাপড় পরা নেই । কেবল একটা তোয়ালে পেঁচানো আছে । সেটাও কিছু সময় পরে খুলে নেওয়া হবে । অদ্ভুদ একটা অনুভূতি হচ্ছে পুরো শরীর জুড়ে । একটু পরেই দুটো ছেলে এসে হাজির হল। দুই জনেরই বডি সিক্স প্যাক। পরনে কেবল টাইট আন্ডারওয়্যার৷ আর পুরো শরীর দেখা যাচ্ছে। এদের সাথে দৃশ্যটা স্যুট করা হবে। দুজনেই এগিয়ে এল। তারপর মিমির দিকে তাকিয়ে একজন বলল -ম্যাম আপনার বড় ফ্যান আমরা দুজনেই। আসলে আমরা ভাবতেও পারি নি এই সুযোগ আসবে। মিম হাসলো। তারপর বলল, ভাল করে অভিনয় করবে । একজন বলল, আমরা কি শুধুই অভিনয় করবো ? মানে ...... মিমি বলল, না । আসলে আমার কিছুই করার থাকবে না । আমার হাত এবং পা অলরেডি বাঁধা হয়ে গেছে । একটু পরে চোখও বাঁধা হবে । আমি তোমাদের বাঁধা দিতে পারবো না । আমি কিছু দেখতেও পারবো না । সব কিছু তোমাদের উপরে । এবং আমি বলেছি যে তোমাদের কোন বাঁধা দেওয়া হবে না । মোটামুটি এক ঘন্টার একটা স্যুট । কেটে কুটে হয়তো মিনিট পাঁচ সাত রাখা হবে তবে কোন টুক রাখবে সেটা পরিচালক বুঝবে । তোমাদের কাজ হবে আমাকে পরিপূর্ণ ভাবে ব্যবহার করা । ওকে ? ছেলে দুটো হাসলো । এবার মিমির চোখ বাঁধা হল । "এন্ড একশান" রিয়াদের কন্ঠস্বরটা শুনতে পেল মিমি । মিমিকে শোয়ানো হয়েছে একটা প্রস্বস্ত বেঞ্চের উপর । মিমি উপুর হয়ে শুয়ে আছে । ওর হাত পেছন দিক দিয়ে বাঁধা । পায়ের গোড়ালীর কাছে এক সাথে শক্ত করে বাঁধা । চোখটা বাঁধা এবং সেই সাথে মুখে একটা বলগ্যাগ পরানো আছে । ওর শরীরে কোন কাপড় নেই । ওর পুরো শরীরের উপর একবার ক্যামেরা চলে গেল । সব কিছু দেখানো হল । তবে কিছু সরাসরি দেখানো হল না । মুভিতে এসব সরাসরি দেখানোর কোন উপায় নেই । তবে সব কিছু ঘটছে বাস্তবেই । মিমি সেটা সরাসরি এক্সপিরিয়েন্স করছে । মিমির কাছে মনে হল ও যেন কত সময় ধরে অপেক্ষা করে যাচ্ছে । তারপর দুইজন রুমে ঢুকলো । মিমি তাদের পায়ের আওয়াজটা শুনতে পারলো । ছেলে দুজনের একজন মিমির সামনে গিয়ে দাড়াল তারপর একজন গিয়ে দাড়াল পেছনে । মিমির মুখ থেকে বলগ্যাগ টা খুলে নিল অন্য দিকে একজন মিমির বাঁধা হাতটা একটু উপর তুলে ওর নিতম্বের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দিল একই সাথে মিমির মুখে ভেতরে সামনে ছেলেটা তার যৌনাঙ্গ ঢুকিয়ে দিলো । মিমির পুরো শরীর যেন কেঁপে উঠলো । এর আগে ও এমন কাজ করে নি । ও কেন কেউই করেনি । ও এইকাজ টা করে একেবারে পুরো পুরী নিজেকে পর্নস্টার পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে । কোন ভাবে যদি এই র ভিডিও বাইরে লিক হয়ে যায় তাহলে তখন কি হবে সেটা ভাবতেই ওর পুরো শরীর কেপে উঠলো । তবে এখন এই সব চিন্তা করার কথা না । এখনকার বর্তমান পরিস্থির দিকে নজর দিলো ও । পেছনের জন ওর শরীরের উপরে উঠে পড়েছে । তারপর নিজের নিজেকে ওর কাছে অদ্ভুদ মনে হল । এসব কেন করছে ও ? কেবল মাত্র ওর হাজব্যান্ড ওর সাথে বিট্রে করেছে বলে ? এসব ভাবার সময় নেই এখন মিমির কাছে । এখন অন্য কিছু করার সময় । এর আগে মিমি এই কাজ আর করে নি। মিমি অনুভব করছে দুইটা মানুষের দন্ডই সময়ের সাথে যেন আরও শক্তই হচ্ছে। একই সাথে ব্লোজব এবং একই সাথে এনাল সেক্স। মিমির মাথাটা ছেলেটা দুই হাত দিয়ে ধরে রেখেছে। আর বারবার নিজের অঙ্গটা মিমির মুখের ভেতর দিচ্ছে এবং বের করছে। ঠিক একই ভাবে মিমির শরীরের উপর যে ছেলেটা বসে আছে সেও একই কাজ করছে। একটা সময় ছেলে দুটো স্থান পরিবর্তন করলো। মিমির নিজের অসহায়ত্বটা ঠিক ঠিক বুঝতে পারছে। কিন্তু এটাই যেন ওর উত্তেজনা কে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রতিটা মুহুর্তে সে যেন দৃশ্যের আরও ভেতরে চলে যাচ্ছে। এরপর মিমিকে উপুর করা হল। একজন মিমির স্তনের উপর বেশ কয়েকটা থাপ্পড় দিলো। মিমি ব্যাথায় চিৎকার করে উঠতে যাওয়ার আগেই ছেলেটা আবার মিমির মুখে নিজের অঙ্গটা ঢুকিয়ে দিল। অন্যদিকে পেছনের জন একই কাজ শুরু করে দিয়েছে ওর দুই পায়ের মাঝের ছিদ্র দিয়ে। একটা সময়ে দুইজনই মিমিকে ছেড়ে দিল। তখন মিমির অবস্থা দেখার মত। হাত পা আর চোখ বাঁধা অবস্থায় মিমি কোন মতে বেঞ্চের উপর পড়ে আছে। ওর পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। মিমি ভেবেছিল সুটিং বুঝি এখানেই শেষ। কিন্তু ওর জন্য আরও কিছু অপেক্ষা করছিলো। মিমির পায়ের বাঁধন খুলে দেওয়া হল। তারপর পরই ওর মুখে আবারও বল গ্যাগটা দিয়ে আটকে দেওয়া হল। মিমি বুঝতে পারলো না আবার ওর মুখে কেন বল গ্যাগটা পরানো হল। কিন্তু কিছু যে জিজ্ঞেস করবে বলগ্যাগটা মুখে থাকার কারনে পারলো না। কিন্তু কারন টা বুঝতে পারলো কিছু পরেই। এবার একজন বেঞ্চের উপর শুয়ে পড়লো চিত হয়ে। মিমিকে তোলা হল তার উপর। তার এক ছিদ্রের ভেতরে ছেলেটার তার যৌনাঙ্গ ঢুকিয়ে দিল। তারপরপরই মিমির বুঝতে পারলো আসলে ওরা কি করতে চলেছে। বাউন্ড বিপি। দুইজন একজন সাথে ওর সাথে সেক্স করবে, দুই পায়ের দুই ছিদ্র দুটো একসাথে ব্যস্থ থাকবে। মিমি এটার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না। একবার মনে করলো ও প্রটেস্ট করবে কিন্তু সেটা করার কোন উপায় ওর নেই। হাত আর চোখ আগে থেকেই বাঁধা, মুখ খোলা ছিল কিন্তু সেটার ভেতরেও এখন গ্যাগ ঢুকানো। দুটো অঙ্গ যখন দুদিক থেকে মিমির ভেতরে প্রবেশ করলো, মিমির মনে হল এখনই বুঝি উত্তেজনায় ও বিস্ফোরিত হবে। আরেকটু চেষ্টা করলো ও নিজেকে ছাড়ানোর জন্য কিন্তু কোন লাভ হল না। এভাবে বেশ কিছু সময় ছেলে দুটো ইচ্ছে মত মিলির সাথে খেললো। তারপর ওর শান্ত হল। মিমিকে ধরে বসিয়ে দিল মেঝেতে। তারপর মিমির চুলের ঝুটি চেপে ধরে ধরলো একজন। বলল, হা কর মিমির মনে হল একবার বলে যে কে কিছু করবে না । এখনই তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক । তাই হয়তো করা হবে কিন্তু সেটা সে করলো না । হা করলো কথা মত । তারপর ওর পুরো মুখ জুড়ে গরম কামজুস ছড়িয়ে পড়ল । মিমি প্রথম কিছু সময় কেবল চুপ করে বসে রইলো । তার বুকটা এখনও জোড়ে জোড়ে ওঠানামা করছে । এমন সময় রিয়াদের কন্ঠস্বর শোনা গেল । সে বলল "কাট' । মিমি চুপ করে বসে আছে বেঞ্চের উপরে । নিজেকে এখন অনেকটা শান্ত লাগছে । একটা শান্তি চলে এসেছে ওর মাঝে । এতোদিন যে অশান্তির কাজ করছিলো সেটা এখন অনেকটাই শান্ত । ওর চোখের বাঁধন খুলে নেওয়া হয়েছে । মুখের কামসট মুছে ফেলা হয়েছে । কেবল মাত্র মিমির হাতের বাঁধন এখনও খুলা হয় নি । রিয়াদ বলছিল যে কিছু ছবি তুলতে হবে এই জন্য বাঁধন টা থাকুক আরও কিছু সময়ের জন্য । রিয়াদ এসে বসলো ওর পাশে । বলল, আর ইউ ওকে ? মিমি বলল, হ্যা ভাল আছি । ইনফ্যাক্ট ভাল লাগছে । -তুমি যা আজকে দেখালে, আমি কোন দিন ভাবতেও পারি নি এমন কিছু কোন দিন করতে পারবে ! -আমি নিজেও জানতাম না যে আমি পারবো । কিন্তু এখন মনে হচ্ছে শান্তি লাগছে । -যাই হোক তোমার সাথে সবাই ছবি তুলতে চাইছে । কিন্তু ভয়ে আসতে পারছে না । ডাক দিবো ? মিমি হাসলো । তারপর বলল, সবাইকে ডাক দাও আজকে সবার সাথে ছবি তুলবো । সত্যি সত্যি সেট এ যারা যারা ছিল সবার সাথে ছবি তুললো ও । ওর হাত পেছন দিক দিয়ে বাঁধা, শরীরে কোন কাপড় নেই । তারপর সবাইকে বলল তারা এই ছবি যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই ব্যবহার করতে পারে । কোন কার্টেসী নেই । কোন সমস্যা নেই । ঐদিন রাতেই পুরো ইন্টারেন্টে মিমি চৌধুরীর ঐ বন্ডেজ নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়ল । মিমি কেবল হাসল মনে মনে । মিমির হাজব্যন্ড একজন রেপুটেড বিজনেসম্যান । এই ছবির কারনেই তার এই রেপুটেশন একেবারে শেষ হয়ে যাবে । ভাল প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে । মুভি মুক্তির সাথে সাথে দর্শক সেটা দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়লো । আর এই বিশেষ দৃশ্যের জন্য যেন সবাই মুকিয়ে ছিল । সবাই কেবল হা হয়ে গেল এই ভেবে যে মিমি চৌধুরীর মত একজন এই রকম দৃশ্য অভিনয় করতে পারলো কিভাবে । কেউ কেউ তাকে পর্ণ তারকা আখ্যা দিল । তাতে অবশ্য মিমি কিছুই মনে করলো না । কেবল মনে মনে হাসলো । দেখার বেলাতে তো খুব দেখছো আবার সেটা নিয়ে কথাও বলছো । দেখো না তোমাদের তো কেউ দেখতে বলছে না । রিয়াদ বলেছে আরও একটা ভাল থিমের মুভি ওর মাথায় এসেছে । এই মুভিতে এই রকম বেশ কিছু দৃশ্য রাখা হবে । মিমির চোখটা চক চক করে উঠলো । সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেল । তবে সেটা অন্য কোন গল্প । মিমির এডভেঞ্চারের গল্প এখানেই শেষ । repost
By kolpobazz
Saturday, May 25, 2019
Friday, May 24, 2019
অতঃপর প্রতিরাতেই ইচ্ছেগুলোর সাথে ঝগড়া হয়, আক্ষেপে অনুশোচনা হয়, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব হয়। প্রতিরাতেই নিজের অনুভুতির মৃত্যু হয়, বাস্তবতার সাথে স্বপ্নগুলোর যুদ্ধ হয়, যুদ্ধ শেষে স্বপ্নগুলো হেরে যায় অনুভুতিগুলোর জানাজা ছাড়া দাফন হয়। প্রতিরাতেই আত্মউপলদ্ধির ঝড় হয়, ঝড়ের সাথে আকাশ জুড়ে বৃষ্টি হয় বৃষ্টি শেষে নতুন শুরুর প্রতিজ্ঞা হয়, প্রতিরাতেই আত্মাটার নির্বাক সৎকার হয় খানিক বাদে দুরের মিনারে আজান হয় ফযর শেষে সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া হয়, অতঃপর প্রশান্তির ঘুম হয়।
By kolpobazz
Thursday, May 23, 2019
অতঃপর প্রতিরাতেই নিজের ইচ্ছেগুলোর সাথে ঝগড়া হয়, আক্ষেপে অনুশোচনা হয়, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব হয়। প্রতিরাতেই নিজের অনুভুতির মৃত্যু হয়, বাস্তবতার সাথে অনুভুতির যুদ্ধ হয়, অনুভুতিগুলোর জানাজা ছাড়া দাফন হয়। প্রতিরাতেই আত্মউপলদ্ধির ঝড় হয়, নতুন শুরুর প্রতিজ্ঞা হয়, সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া হয়, অতঃপর প্রশান্তির ঘুম হয়।
By kolpobazz
কয়েক ফোটা রক্ত দেখে ভয় পেলে বুঝি? ভয় নেই অরদ্ধি। রক্ত নয় সব ভালোবাসা! গুলিবিদ্ধ ছিদ্র বুকের লাশ দেখে ভয় পেলে বুঝি! ভয় নেই অরু এ এক তুফানে ভেসে আসা মিছিলের শেষ দৃশ্য, এগুলো ভালোবাসার আন্দোলন মিছিল। তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতে শব্দ ছিনিয়ে আনার আন্দোলন, এতো ভাবছো কি? ক্ষুদ্র পাতা নড়ার শব্দ এ নয় সব না না ধ্বনির মিশ্রিত প্রতিরোধ । ক্ষুদ্র পাখির কিচির মিচির নয় এগুলো প্রেমিক জাতির এক হয়ে জোটবদ্ধ, প্রেমিকাকে নিয়ে কবিতা লিখতে পারার তীব্র আকাঙ্খা। . সব বিকৃত মস্তিষ্কের পোশাকি মানুষের টনক নাড়িয়ে দেবার জন্য জোটবদ্ধ প্রেমিকদের অমর যুদ্ধ ছিল। আর আমরা ছিনিয়ে এনেছি অসংখ্য শব্দমালা যার প্রতি বর্ণই প্রতিরোধ , আর একটি বাক্য আমরণ ভালোবাসার প্রকাশ। অরদ্ধি আবার ভয় পেলে বুঝি? শুদ্ধরা মরে গেছে কি না ? না অরু না একটি শুদ্ধও মারা যাইনি, শুধু তোমার ভালোবাসার একগুচ্ছ ফুল পাবার আশায়, শ্যামলীর এখানে ওখানে হৃদয় মন্দিরে চির অমর হয়ে দাড়িয়ে আছে।
By kolpobazz
Wednesday, May 22, 2019
"কারো জিনিস চুরি করা আমার ডায়েরি তে নেই" শুধুমাত্র,,,, এত দিন এক জনকে অনুসরণ করতাম। তার কবিতা থেকে অনুপ্রানিত হয়েছিলাম, তাই তার থেকে টুকিটাকি কিছু নিয়ে জোরাতালি দিচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম সে হয়ত আমায় হেল্প করবে। কিন্ত দেখা যায় দিন শেষে সবাই স্বার্থপর। যাই হোক আজ থেকে নিজের মত লিখব। যা মনে আসে তাই লিখব। কাউকে অনুসরণ, অনুকরণ নয়। মানুষ একি জায়গায় চিরকাল থাকেনা। পরিবর্তন হয়,,, পাহাড় থেকে সমতল, সমতল থেকে নদী সবি হয়েছে পরিবর্তন বাদ থাকেনি কিছু আজ অবধি। ইচ্ছে ছিল মিট করব কিন্ত,,, যতদিন না নিজে কিছু তৈরি করতে পারব ততদিন অবধি তার সামনে যাব না আজ শপথ নিলাম। ইনশল্লাহ,,, #dedicated-only
By kolpobazz
Monday, May 20, 2019
Saturday, May 18, 2019
Friday, May 17, 2019
-নিশি??? -হুম, -যাবি আমার সাথে??? -কোথায়?? -যেখানে নিয়ে যাবো... -তুই যা। -একা যাব না।তুই চল সাথে.... -কিন্তু কোথায় সেটা বলবি তো.... -সারপ্রাইজ আছে,গেলে বুঝবি। -কিসের সারপ্রাইজ?? -বলা যাবেনা।গেট রেডি ম্যাম.... -অপদার্থ। তোকে বলছি না আমার মুড অফ থাকলে হেয়ালি করবিনা। -সত্যি বলছি।চল।গেলে বুঝবি। ★সামনে লঞ্চ, ট্রলার যাচ্ছে,প্রবল ঢেউ।এটা নিশির প্রিয় জায়গা।নদীর পাড়।পানি দেখলে নাকি তার মন ভালো হয়ে যায়। তাই শেস বার দেখাতে নিয়ে এলাম। -এটা তোর সারপ্রাইজ ?? -কেন তোর পছন্দ হয়নি?? -সারপ্রাইজ না কচুপ্রাইজ দিলা তুমি আমার।এ তুই সারপ্রাইজ এর মানে কি বলতো... -ধুরর আরো আছে,এটা তো তোর মন ভালো করলাম। -অহ আচ্ছা,। -চোখ বন্ধ কর.... -পারব না।অন্যদিকে ফিরে তাকাচ্ছি,... প্লিজ চোখ বন্ধ কর। -আচ্ছা, নিশি চোখ বন্ধ করল। আমি তার পেছন গিয়ে আলতো করে তাকে ধাক্কা দিলাম । আচমকা ধক্কায় সে নদিতে পরে গেল। আমার সামনে হাবুডুবু খাচ্ছে মেয়েটা। হয়ত কিছু বলার চেস্টা করছে সে। নাহ হয়ত গালি দিচ্ছে। আমি তাকিয়ে দেখছি। তার ডুবে যাওয়া দেখে আমার হাসি পাচ্ছে। কারন আমার পথের কাটা এখনই শেষ হবে। এই মেয়েটার জন্য ই আমি শশীর সাথে কথা, দেখা কিছুই করতে পারতাম না। সবসময় লেগে থাক্ত আমার পিছনে। নাও এবার বুঝো মজা। শশী কে ফোন দিয়েছিলাম, বলেছিলাম এখানে আসতে। এত দেরি করছে কেন মেয়েটা। ভাবতে ভাবতেই শসি চলে আস্লো। এসে দেখে পানিতে হাবুডুবে খাচ্ছে নিশি। সে বল্ল কি হল মরে যাবে তো ওকে কেন তুলছ না। আমি হাসিমুখে বললাম।দেখ জানু তোমাকে বলেছিলাম না একটা মেয়ে তোমার আর আমার ভালবাসা চায়না। এই যে এই হল।সেই মেয়েটা। আমার কথা শুনে মনে হল।শশী খুসি হয়েছে। একটূ ভেবে সে বল্ল।ঠিক করেছ সোনা। আমাদের মাঝের বাধা তো দুনিয়াতে বেচে থাকতে পারে না। এই বলে সে ডুবে জাওয়া মেয়েটার দিকে তাকাল।আর বলতে লাগ্ল কি।হল।এখন ও মরেনা কেন আপদটা। #এডিটেড #সাইকো
By kolpobazz
Thursday, May 16, 2019
#dedicated_sobar_jonno_noy_post_ta বহুদিন আগে ... কেউ একজন বলেছিল এত কেন মনে হয় আপনাকে কি হইছে আপনার ? সেদিন উত্তর দিতে পারিনি , এরিয়ে গিয়েছিলাম । বলেছিলাম অপেক্ষা করুন । পালিয়ে যাচ্ছি না তো আর আজ অনেক দিন বাদে সেই একই প্রস্ন করে বসল কেউ একজন আবার নাহ আজ আর ফিরিয়ে দিব না। জেনে নিন , বলে দিচ্ছি আজ । আমার ফোনবুকে মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় নামে কোন কন্টাক্ট নেই । সব গুলিই আননোন নাম্বার । কবিতাংশঃ সম্পর্ক এন এম শান্ত #সাইক 5/5/2014
By kolpobazz
#dedicated_sobar_jonno_noy_post_ta বহুদিন আগে ... কেউ একজন বলেছিল এত কেন মনে হয় আপনাকে কি হইছে আপনার ? সেদিন উত্তর দিতে পারিনি , এরিয়ে গিয়েছিলাম । বলেছিলাম অপেক্ষা করুন । পালিয়ে যাচ্ছি না তো আর আজ অনেক দিন বাদে সেই একই প্রস্ন করে বসল কেউ একজন আবার নাহ আজ আর ফিরিয়ে দিব না। জেনে নিন , বলে দিচ্ছি আজ । আমার ফোনবুকে মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় নামে কোন কন্টাক্ট নেই । সব গুলিই আননোন নাম্বার । কবিতাংশঃ সম্পর্ক এন এম শান্ত #সাইক 5/5/2014
By kolpobazz
Sunday, May 12, 2019
Saturday, May 11, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৩৫ [সাইকো থ্রিলার] গোলকধাঁধা লিখাঃএন এম শান্ত রক্তিম সূর্য উঠার সাথে সাথে আমি উঠে পড়লাম। চাদর এলোমেলো ভাবেই পড়ে রইল। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে পড়লাম। আজ অনেক কাজ। কাজে দেরি করে গেলে বস আবার রাগ করতে পারেন। বাসে উঠে গন্তব্যস্থানে পৌছাতে বেশী সময় লাগল না। বাসা থেকে বেশী দূরে নয় আমার অফিস। অফিসের সামনে গিয়ে দেখি লোহা-লক্করে চারিদিক একাকার হয়ে আছে। তার মানে কেউ এখনও আসে নি। আমিই প্রথম। যাক বস আজ কিছু বলতে পারবে না। গতকালের নষ্ট গাড়ির দিকে গেলাম। এটাকে ঠিক করতে পারলে বেশ ভাল উপরি ইনকাম হবে। মনোযোগ দিয়ে গাড়ি ঠিক করতে আড়ম্ভ করলাম। খুটখাট শব্দ করে কাজ করছি। আশে-পাশে কেউ নাই। এক সকালে লোকজনের চলাচল নেই বললেই চলে যেন কোন কবরস্থানে আছি। কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ি'র মৃদু শব্দ শুনতে পেলাম। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকাতেই দেখলাম একটা টয়াটো গাড়ি এসে হাজির। কেউ আসার আগে কোন গাড়ি ঠিক করে দিতে পারলে টাকাটা নিজের হবে ভেবে খুব আনন্দ হচ্ছিল। আবার দুঃখিতও হতে পারি যদি এই অসময়ে কেউ এসে পড়ে। ভাবলাম ৫০০ টাকার কমে তো এটাকে ছাড়বই না। গাড়ির কাছে গিয়ে লম্বা করে সালাম দিলাম। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে কেউ সালামের উত্তর দিল না। একটু যেন অস্বস্থি লাগল। তাহলে কেউ কি নেই ভিতরে। ভয়ে গা শিরশির করে উঠল। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে গাড়ি থেকে এক বৃদ্ধ নেমে আসল। মাঝারি আকৃতি, মাথা ভর্তি চুল বেশ আটসাট চেহাড়া। একটু অবাক না হয়ে পারলাম না তাকে দেখে ততটা সুখি মনে হল না। গেটআপে তো মনে হয় বেশ টাকা-পয়সার মালিক। সে একটু কেশে আমায় বলল, তুমি কি এই গ্যারেজের মালিক? জ্বি না, স্যার। আমাকে স্যার বলার দরকার নেই। বরং আমাকে তুমি বল। ইয়ে য়ে...মানে আপনাকে তুমি। লোকটি হেসে বলল, আরে সমস্যা কি আমিই তো তুমি। মানে.. জানতাম এটা জিজ্ঞাসা করবে কিন্তু আমার কাছে উত্তর নেই। এখন তাড়াতাড়ি গাড়িটাকে যেভাবে পাড় ঠিক করো আমি বসলাম। আমি গাড়ির সামনের অংশ খুলে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছি। কিন্তু কোন সমস্যা খুজে পেলাম না। তারপরও তার কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য ভাব নিলাম গাড়ির কতবড় সমস্যাই না হয়েছে। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে গাড়ি ঠিক করার অভিনয় করে ক্ষ্যান্ত দিলাম। স্যার, আপনার গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে। এত তাড়াতাড়ি। আচ্ছা বল কতটাকা। আমি কিছুটা ইতস্ততা করে বললাম, ৫০০। সে আমার দিকে মৃদু হাসল তারপর পকেট থেকে ৫০০ টাকার কচকচা নোট বের করে দিল। আর যাওয়ার সময় বলে গেল, আমিই তুমি। ধীরে ধীরে তোমাকে সব জানানো হবে। বলে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ধীরে ধীরে চালিয়ে চলে গেল। আমি বোকার মত দাড়িয়ে রইলাম। তার কথার আগামাথা কিছুই বুঝলাম না। ধীরে ধীরে সবাই চলে এল। কোলাহলে ভরে গেল আমাদের কর্মস্থল। সেদিন বস আর কিছু বলে নি। আমিও খুশি ছিলাম। অতিরিক্ত ৫০০ টাকা পেয়ে। রাতে ভাবনাকে খবর দিয়ে বললাম আজ তোকে ঘুরতে নিয়ে যাবো। ভাবনাও খুশি। সন্ধ্যার পরে ভাবনাকে রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে থাকতে বললাম। আমি সেখানে গিয়ে দেখি ও দাড়িয়ে আছে। বললাম, বেশি দেরি করে ফেললাম নাতো। আরে না। আমিও মাত্র আসলাম। একটা রিক্সা ডেকে উঠে পড়লাম। রিক্সাটা খানিক ছোটই মনে হল। এতদিন যত রিক্সায় উঠেছি এত চাপাচাপি হয় নাই। নাকি ভাবনা মুটিয়ে গেছে। যাই হোক আমার ভালই লাগল। রাস্তা খারাপ হওয়ায় একটু পর পর ঝাঁকুনিতে ওর সাথে আমার শরীর লেগে যাচ্ছিল। ও কি অস্বস্থি বোধ করছে কিনা কে জানে অন্ধকারে তো ভাল করে দেখা যাচ্ছে না। ওর একটি স্তনের সাথে আমার দেহের ঘর্ষনে আমি খানিক উত্তেজিতই হয়ে উঠেছি। ও কিছু বলছে না। আমি আমার এক হাত ওর ঘাড়ের উপর দিয়ে রাখলাম। এখন ওর শরীরের সাথে আমার শরীর লেপটে আছে। যেন কাদা দিয়ে বানানো দুটো শরীর জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ওর গালে আলতো করে এক চুমু দিলাম। ও বলল, সমস্যা কি? কিছু না। তুমিও চাইলে দিতে পারো। মনে মনে ভাবছি রাগ করে কিনা। কিন্তু না। সত্যি সত্যি ও আমার গলা ধরে ঠোটে এক দীর্ঘ চুম্বন বসিয়ে দিল। আমি একটু হতবম্ভ হয়ে গেলাম। ভাগ্যিস নির্জন রাস্তা। নির্জন রাস্তা পার হয়ে আমরা মেইন রাস্তায় চলে আসলাম। আলো নিভে যাওয়ায় হলের সামনে আমাদের রিক্সা দাড়িয়ে পড়ল। ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে হলের টিকিট সংগ্রহ করলাম। হলের মধ্যে ভাবনাকে বললাম, আমার বাসা আজ ফাঁকা। ও কিছু বলল না। শুধু হাসল। সেদিন রাতে আমরা দুইজনে হোটেলে খেয়ে-দেয়ে আমার বাসায় আসি। বাসায় ঢুকেই ওকে জাপটে ধরে বিছানায় শুয়ে পড়ি। তারপর কখন যে রাত শেষ হয়ে গেছে বলতে পারব না। ঘুম ভাঙ্গলে দেখি ভাবনা আমার বুকের উপর শুয়ে আছে নিশ্চিতে। আমি ও ডেকে তুললাম। ও কাপড়গুলো পড়তে পড়তে আমাকে বলল, তুমি ভাল একটা চাকড়ি করতে পারো না। এত বড় পাস দিয়ে কেউ মেকানিক্স হয়? আমি শুধুই হাসলাম। ও চলে গেল। আমিও ফ্রেশ হয়ে আমার কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। গতকাল এই সময়ে গিয়ে একজন কাস্টমার পেয়েছিলাম। সেই লোভে আজও ছুটলাম। আজও পৌছে দেখি কেউ নেই। কারো থাকার কথাও না। কয়েকটা পার্টস নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি। তখন আবার গাড়ির মৃদু আওয়াজ কানে এল। গতকালের সেই গাড়িটা আবার এসেছে। আমি গাড়ির সামনে যেতেই বৃদ্ধ লোকটি নামল। আমি বললাম, আবার কি সমস্যা হয়েছে? সেই একই সমস্যা। বলে হাসল। ঠিক আছে আপনি বসুন, আমি দেখছি কি করা যায়? সে বসল। কিন্তু একটু অবাক হলাম তাকে দেখে, আজ তাকে একটু অন্য রকম লাগছে। গতকালের চেয়ে বয়স কম কম মনে হচ্ছে। দূর চোখের ভুলও হতে পারে। আবার গাড়ির দিকে মনোযোগ দিলাম। আধ ঘন্টা ধরে গাড়ি ঠিক করার অভিনয় করতে হল। স্যার, ঠিক হয়ে গেছে। তুমি আবার আমাকে স্যার বলছ। আমি তো তুমি। আপনার কথা বুঝতে পারলাম না। বুঝবে সময় হলে। এখন বলুন। কয়েকটা কাজ সম্পন্ন করে তারপর বলব। কি কাজ আমাকে বলুন। করে দিব, কিন্তু রহস্য করবেন না দয়া করে। রহস্যের কি আছে তুমিই বুঝতে পারছো না। আমি কি করতে পারি। সে আবার ৫০০ টাকার একটা নোট আমাকে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেল। আমি আজও পথের দিকে বোকার মত তাকিয়ে রইলাম। আজ টাকা পেয়ে বেশী খুশি হতে পারলাম না। তার কথাগুলো আমার কানে আটকে আছে। আমিই তুমি। এর মানে কি? সে যদি আমি হই...দূর ছাই চুলায় যাক। এসব ভেবে আমার কাজ নেই। বাসায় ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হল। খাওয়া দাওয়া করে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম । উঠে দেখি ভোর হয়ে গেছদে । তাই দেরি না করে তারাতারি শার্ট টি পড়ে দৌড়াতে লাগ্লাম গ্যরেজের দদিকে এই ভেবে যদি আজ তাকে মিস করে ফেলি। এই নিয়ে কয়েকদিন হল সেই লোকটা আসছে আর আমার হাতে পাঁচশ টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছে । বিনিময়ে শুধু একটি কথাই বলে যাচ্ছে “আমি মানে তুমি”। এইটা নিয়ে টেনশন লাগছে তবু ও টাকার লোভে কিছু মাথায় আনতে পারছিনা। আজ পৌছাতে একটু দেরি হল । কিন্ত লোকটি দেখি গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে । কাছে যেতেই বলল কি হে ইয়াং ম্যন ঘুম থেকে দেরিতে উঠা ঠিক নয় জানো । লোকটার কথা শুনে ঘার বাকিয়ে তার দিকে তাকালাম , কিন্ত তাকে দেখে আশ্চর্য হলাম , আজ তাকে মনে হচ্ছে বিশ বছরের টগবগে তরুন । আমি কোন পাত্তা না দিয়ে আমার কাজ করতে লাগলাম । আর সেইম আধা ঘন্টা পর বললাম হয়ে গেছে। টাকার কথা বলার আগেই সে দেখি টাকা বের করে বসে আছে । যথারিতি সে গাড়ি নিয়ে চলে গেল । কিন্ত যাবার সময় বলে গেল “সময় হলে সব বুঝতে পারবে “ তার কথায় অবাক হচ্ছি প্রতিদিন । তবু ও ওসব ফালতু ব্যপার বলে উরিয়ে দিলাম। আজ ও ফিরতে রাত হল । বাসায় ফিরে রান্না করছি এমন সময় ভাবনা'র ফোন এল। হ্যা, জানু বল। আমি জানু না। ছোটবোন। ও তুমি, কেমন আছো? জ্বি, ভাল। আপনাকে একটা খবর দিতে ফোন দিলাম। দাও। আপুর আজ বিয়ে। আপনাকে কষ্ট পেতে নিষেধ করেছেন। আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। এই দুইদিন আগেই ওর সাথে এক বিছানায় রাত কাটালাম আজ বিয়ে। কই তখন তো কিছু বলল না। আমি আর কথা বলতে পারলাম না। সব কিছু ভুলে গেলাম। কিন্তু ভাবনাকে ভুলতে পারছি না। বেশ কিছুদিন কেটে গেছে ভাবনার বিয়ের। কিন্তু এখনও ওকে ভুলতে পারি নি। জানি চাইলেও ভুলতে পারব না। এক বন্ধু বলেছিল গাজা খেলে নাকি সব কিছু ভুলে থাকতে পারব সে চেষ্টাও করেছি কিন্তু কাজ হয় নি। জানি কোন নেশাই আমাকে ভাবনা'র ভাবনা থেকে মুক্ত করতে পারবে না। আজ সকালে আবার গ্যারেজে এলাম। সেদিনের পর থেকে প্রায় দীর্ঘ একমাস এখানে আসি নি। বস সব কিছু জানেন তাই কিছু বলেন নি। সকালে উঠার অভ্যেস হয়ে গেছে তাই সকাল সকাল আসতে পেরেছি। একটা পরিচিত গাড়ির আওয়াজ কানে এল। বুঝলাম সেই বৃদ্ধ। গাড়ির দিকে ঘুরতেই দেখি যা ভেবেছি তাই। সামনে গেলাম। দীর্ঘ এক সালাম দিলাম। কিন্তু কেউ বের হয় না। একটু পর একজন যুবক বের হয়ে আসল। তাকে দেখে আমি কি বলব ভাষা খুজে পেলাম না। দেখি আমার সামনে আমি দাড়িয়ে আছি। যেন আয়নার সামনে। আমি আমতা আমতা করে বললাম, সেই-ই-ই বৃদ্ধ লোকটি? সে বিদঘুটে হাসি হেসে বলল, আমিই সে, আমিই তুমি। আমি বিশ্বাস করি না। আপনি কোন কিছু লুকাচ্ছেন। বলেন সেটা কি? লোকটি বলল, বলবার নয় তোমাকে দেখাবো সেটা কি? আমি চুপ করে থাকলাম। জানি না সে কি দেখাতে পারবে। চোখ বন্ধ কর সব কিছু দেখতে পাবে। আমি চোখ বন্ধ করলাম। মনে হয় এক সেকেন্ড হবে চেয়ে দেখি সে নেই। গাড়ি আছে কিন্তু লোকটি নেই। আমার মাথা ঘুরতে থাকে। সবকিছু ঝাঁপছা লাগছে। লোহা-লক্কড় স্তূপকে পাহাড়ের মত মনে হচ্ছে। চেয়ারে বসে পড়লাম সবকিছু পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি। কিছুই বুঝে উঠার আগে লোকটি উধাও কেন হল? সে আমাকে দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু দেখালো না। আমারও মনে হল, হ্যা আমিই তো সে। তাকে কেন অযথা খুজছি। গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলাম। ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে বাসার দিকে চলে গেলাম। গাড়ি চালাতে চালাতে মনে হল আরে কোন দিকে যাচ্ছি আমার বাড়ি তো ধানমন্ডি। গাড়ি ঘুড়িয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। একটা ছয়-তলা বিল্ডিংয়ের গেটের ভিতর দিয়ে ঢুকে পড়লাম। গাড়িটা পার্কিং লটে পার্ক করে সিড়ি দিয়ে দুই-তলায় চলে আসলাম। এটাই আমার বাড়ি। সবগুলো ভাড়া দিয়ে আমি দুই-তলায় থাকি। কলিং বেলের সুইজ টিপতেই এক বৃদ্ধ লোক দরজা খুলে দিল। এই লোকটিকে আমি চিনি। তিনি আমার বাবা। গুড মর্নিং বাবা। বাবাও আমাকে গুড মর্নিং জানালো। তারপর বলল, নাস্তা খেয়ে নে। আমরা বেড়াতে যাবো। শুনে খুশি হলাম। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্রেশ হয়ে নাস্তা টেবিলে বসলাম। ভাবনা খাবার নিয়ে এল। ওকে বললাম, ভাবনা তুমি খেয়েছো? সেই আগের মত লাজুক কন্ঠে বলল, হ্যা। আমি খেয়ে বেডরুমে ঢুকে নতুন প্যান্ট, শার্ট পড়তে পড়তে আয়না দেখছি। কিন্তু আয়নায় একি দেখছি। আমি চল্লিশ বছর বয়সীদের মত হয়ে গেছি। মাত্র বাসায় ফিরলাম ত্রিশ বছর বয়সী হয়ে ভাবতে পারছি না। কি হচ্ছে এইসব প্রথম থেকে সব কিছু আবার মনে পড়তে থাকল। কিন্তু কিছুতেই কিছু মিলাতে পারছি না। তাহলে কি কেউ আমার অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে? এটা কি স্বপ্ন নাকি হ্যালুসিনেশন ? #সাইকো
By kolpobazz
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৩৬ [সাইকো থ্রিলার] গোলকধাঁধা লিখাঃএন এম শান্ত রক্তিম সূর্য উঠার সাথে সাথে আমি উঠে পড়লাম। চাদর এলোমেলো ভাবেই পড়ে রইল। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে পড়লাম। আজ অনেক কাজ। কাজে দেরি করে গেলে বস আবার রাগ করতে পারেন। বাসে উঠে গন্তব্যস্থানে পৌছাতে বেশী সময় লাগল না। বাসা থেকে বেশী দূরে নয় আমার অফিস। অফিসের সামনে গিয়ে দেখি লোহা-লক্করে চারিদিক একাকার হয়ে আছে। তার মানে কেউ এখনও আসে নি। আমিই প্রথম। যাক বস আজ কিছু বলতে পারবে না। গতকালের নষ্ট গাড়ির দিকে গেলাম। এটাকে ঠিক করতে পারলে বেশ ভাল উপরি ইনকাম হবে। মনোযোগ দিয়ে গাড়ি ঠিক করতে আড়ম্ভ করলাম। খুটখাট শব্দ করে কাজ করছি। আশে-পাশে কেউ নাই। এক সকালে লোকজনের চলাচল নেই বললেই চলে যেন কোন কবরস্থানে আছি। কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ি'র মৃদু শব্দ শুনতে পেলাম। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকাতেই দেখলাম একটা টয়াটো গাড়ি এসে হাজির। কেউ আসার আগে কোন গাড়ি ঠিক করে দিতে পারলে টাকাটা নিজের হবে ভেবে খুব আনন্দ হচ্ছিল। আবার দুঃখিতও হতে পারি যদি এই অসময়ে কেউ এসে পড়ে। ভাবলাম ৫০০ টাকার কমে তো এটাকে ছাড়বই না। গাড়ির কাছে গিয়ে লম্বা করে সালাম দিলাম। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে কেউ সালামের উত্তর দিল না। একটু যেন অস্বস্থি লাগল। তাহলে কেউ কি নেই ভিতরে। ভয়ে গা শিরশির করে উঠল। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে গাড়ি থেকে এক বৃদ্ধ নেমে আসল। মাঝারি আকৃতি, মাথা ভর্তি চুল বেশ আটসাট চেহাড়া। একটু অবাক না হয়ে পারলাম না তাকে দেখে ততটা সুখি মনে হল না। গেটআপে তো মনে হয় বেশ টাকা-পয়সার মালিক। সে একটু কেশে আমায় বলল, তুমি কি এই গ্যারেজের মালিক? জ্বি না, স্যার। আমাকে স্যার বলার দরকার নেই। বরং আমাকে তুমি বল। ইয়ে য়ে...মানে আপনাকে তুমি। লোকটি হেসে বলল, আরে সমস্যা কি আমিই তো তুমি। মানে.. জানতাম এটা জিজ্ঞাসা করবে কিন্তু আমার কাছে উত্তর নেই। এখন তাড়াতাড়ি গাড়িটাকে যেভাবে পাড় ঠিক করো আমি বসলাম। আমি গাড়ির সামনের অংশ খুলে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছি। কিন্তু কোন সমস্যা খুজে পেলাম না। তারপরও তার কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য ভাব নিলাম গাড়ির কতবড় সমস্যাই না হয়েছে। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে গাড়ি ঠিক করার অভিনয় করে ক্ষ্যান্ত দিলাম। স্যার, আপনার গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে। এত তাড়াতাড়ি। আচ্ছা বল কতটাকা। আমি কিছুটা ইতস্ততা করে বললাম, ৫০০। সে আমার দিকে মৃদু হাসল তারপর পকেট থেকে ৫০০ টাকার কচকচা নোট বের করে দিল। আর যাওয়ার সময় বলে গেল, আমিই তুমি। ধীরে ধীরে তোমাকে সব জানানো হবে। বলে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ধীরে ধীরে চালিয়ে চলে গেল। আমি বোকার মত দাড়িয়ে রইলাম। তার কথার আগামাথা কিছুই বুঝলাম না। ধীরে ধীরে সবাই চলে এল। কোলাহলে ভরে গেল আমাদের কর্মস্থল। সেদিন বস আর কিছু বলে নি। আমিও খুশি ছিলাম। অতিরিক্ত ৫০০ টাকা পেয়ে। রাতে ভাবনাকে খবর দিয়ে বললাম আজ তোকে ঘুরতে নিয়ে যাবো। ভাবনাও খুশি। সন্ধ্যার পরে ভাবনাকে রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে থাকতে বললাম। আমি সেখানে গিয়ে দেখি ও দাড়িয়ে আছে। বললাম, বেশি দেরি করে ফেললাম নাতো। আরে না। আমিও মাত্র আসলাম। একটা রিক্সা ডেকে উঠে পড়লাম। রিক্সাটা খানিক ছোটই মনে হল। এতদিন যত রিক্সায় উঠেছি এত চাপাচাপি হয় নাই। নাকি ভাবনা মুটিয়ে গেছে। যাই হোক আমার ভালই লাগল। রাস্তা খারাপ হওয়ায় একটু পর পর ঝাঁকুনিতে ওর সাথে আমার শরীর লেগে যাচ্ছিল। ও কি অস্বস্থি বোধ করছে কিনা কে জানে অন্ধকারে তো ভাল করে দেখা যাচ্ছে না। ওর একটি স্তনের সাথে আমার দেহের ঘর্ষনে আমি খানিক উত্তেজিতই হয়ে উঠেছি। ও কিছু বলছে না। আমি আমার এক হাত ওর ঘাড়ের উপর দিয়ে রাখলাম। এখন ওর শরীরের সাথে আমার শরীর লেপটে আছে। যেন কাদা দিয়ে বানানো দুটো শরীর জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ওর গালে আলতো করে এক চুমু দিলাম। ও বলল, সমস্যা কি? কিছু না। তুমিও চাইলে দিতে পারো। মনে মনে ভাবছি রাগ করে কিনা। কিন্তু না। সত্যি সত্যি ও আমার গলা ধরে ঠোটে এক দীর্ঘ চুম্বন বসিয়ে দিল। আমি একটু হতবম্ভ হয়ে গেলাম। ভাগ্যিস নির্জন রাস্তা। নির্জন রাস্তা পার হয়ে আমরা মেইন রাস্তায় চলে আসলাম। আলো নিভে যাওয়ায় হলের সামনে আমাদের রিক্সা দাড়িয়ে পড়ল। ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে হলের টিকিট সংগ্রহ করলাম। হলের মধ্যে ভাবনাকে বললাম, আমার বাসা আজ ফাঁকা। ও কিছু বলল না। শুধু হাসল। সেদিন রাতে আমরা দুইজনে হোটেলে খেয়ে-দেয়ে আমার বাসায় আসি। বাসায় ঢুকেই ওকে জাপটে ধরে বিছানায় শুয়ে পড়ি। তারপর কখন যে রাত শেষ হয়ে গেছে বলতে পারব না। ঘুম ভাঙ্গলে দেখি ভাবনা আমার বুকের উপর শুয়ে আছে নিশ্চিতে। আমি ও ডেকে তুললাম। ও কাপড়গুলো পড়তে পড়তে আমাকে বলল, তুমি ভাল একটা চাকড়ি করতে পারো না। এত বড় পাস দিয়ে কেউ মেকানিক্স হয়? আমি শুধুই হাসলাম। ও চলে গেল। আমিও ফ্রেশ হয়ে আমার কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। গতকাল এই সময়ে গিয়ে একজন কাস্টমার পেয়েছিলাম। সেই লোভে আজও ছুটলাম। আজও পৌছে দেখি কেউ নেই। কারো থাকার কথাও না। কয়েকটা পার্টস নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি। তখন আবার গাড়ির মৃদু আওয়াজ কানে এল। গতকালের সেই গাড়িটা আবার এসেছে। আমি গাড়ির সামনে যেতেই বৃদ্ধ লোকটি নামল। আমি বললাম, আবার কি সমস্যা হয়েছে? সেই একই সমস্যা। বলে হাসল। ঠিক আছে আপনি বসুন, আমি দেখছি কি করা যায়? সে বসল। কিন্তু একটু অবাক হলাম তাকে দেখে, আজ তাকে একটু অন্য রকম লাগছে। গতকালের চেয়ে বয়স কম কম মনে হচ্ছে। দূর চোখের ভুলও হতে পারে। আবার গাড়ির দিকে মনোযোগ দিলাম। আধ ঘন্টা ধরে গাড়ি ঠিক করার অভিনয় করতে হল। স্যার, ঠিক হয়ে গেছে। তুমি আবার আমাকে স্যার বলছ। আমি তো তুমি। আপনার কথা বুঝতে পারলাম না। বুঝবে সময় হলে। এখন বলুন। কয়েকটা কাজ সম্পন্ন করে তারপর বলব। কি কাজ আমাকে বলুন। করে দিব, কিন্তু রহস্য করবেন না দয়া করে। রহস্যের কি আছে তুমিই বুঝতে পারছো না। আমি কি করতে পারি। সে আবার ৫০০ টাকার একটা নোট আমাকে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেল। আমি আজও পথের দিকে বোকার মত তাকিয়ে রইলাম। আজ টাকা পেয়ে বেশী খুশি হতে পারলাম না। তার কথাগুলো আমার কানে আটকে আছে। আমিই তুমি। এর মানে কি? সে যদি আমি হই...দূর ছাই চুলায় যাক। এসব ভেবে আমার কাজ নেই। বাসায় ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হল। খাওয়া দাওয়া করে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম । উঠে দেখি ভোর হয়ে গেছদে । তাই দেরি না করে তারাতারি শার্ট টি পড়ে দৌড়াতে লাগ্লাম গ্যরেজের দদিকে এই ভেবে যদি আজ তাকে মিস করে ফেলি। এই নিয়ে কয়েকদিন হল সেই লোকটা আসছে আর আমার হাতে পাঁচশ টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছে । বিনিময়ে শুধু একটি কথাই বলে যাচ্ছে “আমি মানে তুমি”। এইটা নিয়ে টেনশন লাগছে তবু ও টাকার লোভে কিছু মাথায় আনতে পারছিনা। আজ পৌছাতে একটু দেরি হল । কিন্ত লোকটি দেখি গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে । কাছে যেতেই বলল কি হে ইয়াং ম্যন ঘুম থেকে দেরিতে উঠা ঠিক নয় জানো । লোকটার কথা শুনে ঘার বাকিয়ে তার দিকে তাকালাম , কিন্ত তাকে দেখে আশ্চর্য হলাম , আজ তাকে মনে হচ্ছে বিশ বছরের টগবগে তরুন । আমি কোন পাত্তা না দিয়ে আমার কাজ করতে লাগলাম । আর সেইম আধা ঘন্টা পর বললাম হয়ে গেছে। টাকার কথা বলার আগেই সে দেখি টাকা বের করে বসে আছে । যথারিতি সে গাড়ি নিয়ে চলে গেল । কিন্ত যাবার সময় বলে গেল “সময় হলে সব বুঝতে পারবে “ তার কথায় অবাক হচ্ছি প্রতিদিন । তবু ও ওসব ফালতু ব্যপার বলে উরিয়ে দিলাম। আজ ও ফিরতে রাত হল । বাসায় ফিরে রান্না করছি এমন সময় ভাবনা'র ফোন এল। হ্যা, জানু বল। আমি জানু না। ছোটবোন। ও তুমি, কেমন আছো? জ্বি, ভাল। আপনাকে একটা খবর দিতে ফোন দিলাম। দাও। আপুর আজ বিয়ে। আপনাকে কষ্ট পেতে নিষেধ করেছেন। আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। এই দুইদিন আগেই ওর সাথে এক বিছানায় রাত কাটালাম আজ বিয়ে। কই তখন তো কিছু বলল না। আমি আর কথা বলতে পারলাম না। সব কিছু ভুলে গেলাম। কিন্তু ভাবনাকে ভুলতে পারছি না। বেশ কিছুদিন কেটে গেছে ভাবনার বিয়ের। কিন্তু এখনও ওকে ভুলতে পারি নি। জানি চাইলেও ভুলতে পারব না। এক বন্ধু বলেছিল গাজা খেলে নাকি সব কিছু ভুলে থাকতে পারব সে চেষ্টাও করেছি কিন্তু কাজ হয় নি। জানি কোন নেশাই আমাকে ভাবনা'র ভাবনা থেকে মুক্ত করতে পারবে না। আজ সকালে আবার গ্যারেজে এলাম। সেদিনের পর থেকে প্রায় দীর্ঘ একমাস এখানে আসি নি। বস সব কিছু জানেন তাই কিছু বলেন নি। সকালে উঠার অভ্যেস হয়ে গেছে তাই সকাল সকাল আসতে পেরেছি। একটা পরিচিত গাড়ির আওয়াজ কানে এল। বুঝলাম সেই বৃদ্ধ। গাড়ির দিকে ঘুরতেই দেখি যা ভেবেছি তাই। সামনে গেলাম। দীর্ঘ এক সালাম দিলাম। কিন্তু কেউ বের হয় না। একটু পর একজন যুবক বের হয়ে আসল। তাকে দেখে আমি কি বলব ভাষা খুজে পেলাম না। দেখি আমার সামনে আমি দাড়িয়ে আছি। যেন আয়নার সামনে। আমি আমতা আমতা করে বললাম, সেই-ই-ই বৃদ্ধ লোকটি? সে বিদঘুটে হাসি হেসে বলল, আমিই সে, আমিই তুমি। আমি বিশ্বাস করি না। আপনি কোন কিছু লুকাচ্ছেন। বলেন সেটা কি? লোকটি বলল, বলবার নয় তোমাকে দেখাবো সেটা কি? আমি চুপ করে থাকলাম। জানি না সে কি দেখাতে পারবে। চোখ বন্ধ কর সব কিছু দেখতে পাবে। আমি চোখ বন্ধ করলাম। মনে হয় এক সেকেন্ড হবে চেয়ে দেখি সে নেই। গাড়ি আছে কিন্তু লোকটি নেই। আমার মাথা ঘুরতে থাকে। সবকিছু ঝাঁপছা লাগছে। লোহা-লক্কড় স্তূপকে পাহাড়ের মত মনে হচ্ছে। চেয়ারে বসে পড়লাম সবকিছু পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি। কিছুই বুঝে উঠার আগে লোকটি উধাও কেন হল? সে আমাকে দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু দেখালো না। আমারও মনে হল, হ্যা আমিই তো সে। তাকে কেন অযথা খুজছি। গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলাম। ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে বাসার দিকে চলে গেলাম। গাড়ি চালাতে চালাতে মনে হল আরে কোন দিকে যাচ্ছি আমার বাড়ি তো ধানমন্ডি। গাড়ি ঘুড়িয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। একটা ছয়-তলা বিল্ডিংয়ের গেটের ভিতর দিয়ে ঢুকে পড়লাম। গাড়িটা পার্কিং লটে পার্ক করে সিড়ি দিয়ে দুই-তলায় চলে আসলাম। এটাই আমার বাড়ি। সবগুলো ভাড়া দিয়ে আমি দুই-তলায় থাকি। কলিং বেলের সুইজ টিপতেই এক বৃদ্ধ লোক দরজা খুলে দিল। এই লোকটিকে আমি চিনি। তিনি আমার বাবা। গুড মর্নিং বাবা। বাবাও আমাকে গুড মর্নিং জানালো। তারপর বলল, নাস্তা খেয়ে নে। আমরা বেড়াতে যাবো। শুনে খুশি হলাম। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্রেশ হয়ে নাস্তা টেবিলে বসলাম। ভাবনা খাবার নিয়ে এল। ওকে বললাম, ভাবনা তুমি খেয়েছো? সেই আগের মত লাজুক কন্ঠে বলল, হ্যা। আমি খেয়ে বেডরুমে ঢুকে নতুন প্যান্ট, শার্ট পড়তে পড়তে আয়না দেখছি। কিন্তু আয়নায় একি দেখছি। আমি চল্লিশ বছর বয়সীদের মত হয়ে গেছি। মাত্র বাসায় ফিরলাম ত্রিশ বছর বয়সী হয়ে ভাবতে পারছি না। কি হচ্ছে এইসব প্রথম থেকে সব কিছু আবার মনে পড়তে থাকল। কিন্তু কিছুতেই কিছু মিলাতে পারছি না। তাহলে কি কেউ আমার অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে? এটা কি স্বপ্ন নাকি হ্যালুসিনেশন ? #সাইকো
By kolpobazz
Friday, May 10, 2019
#০৪কবিতা পরবাসি প্রেম লিখাঃএন এম শান্ত কিছু রাতে ... কেন জানি মনটা উদাস হয়ে যায় , আর সে রাতে যদি আকাশে চাঁদ থাকে তবে তো কথাই নেই , তখন নদীর পাশের ভেজা মাটিতে ভেজা ঘাসের উপর শুয়ে থাকতে ভাল লাগে , প্রকৃতির সাথে নিজে কে একাকার করে দেওয়ার মাঝে অনেক আনন্দ পাই তখন , আহ ! ভেজা মাটি আর ঘাস এর কি সুবাস । অজান্তেই কিছু স্মৃতি হাতরে বেড়ায় মন। আকাশ থেকে একটু একটু শিশির ঝরে পড়ে সাথে এক ফোটা দু ফোটা করে অশ্রু গড়িয়ে পরে চোখের কোনা বেয়ে , বুকের কোথাও চিমটি দিয়ে উঠে , ভাবি এত কষ্ট কেন , কেনই তারে মনে পড়ে ? ঠিক করেছি আর স্বপ্ন দেখবনা , স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার কষ্ট থেকে স্বপ্ন না দেখেই কিছু পাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি , হোক না সেটা ছোট কিছু হোক না সে অলিক কল্পনা তাতে কি যায় আসে ? যেখানে প্রেমের রাজ্যে আমি পরবাসি । আজ থেকে আমি স্বপ্ন ছাড়া মানুষ , এই দু চোখ আর স্বপ্ন দেখবেনা । কিন্তু মন থেকে একটা কথা কোনও দিন মুছতে পারবনা । আর তা হল - '' ভালবাসি তোমায় ,ভুলতে পারবনা '' #সাইকো
By kolpobazz
[সাইকো থ্রিলার] শোধ (শেষ পর্ব) লিখাঃএন এম শান্ত মাইশা খুন হবার প্রায় এক মাস হয়ে গেছে। খুনিটা এতদিনে একবারও ফোন করেনি। তবে ইনভেস্টিগেশন পুরোদমে চালিয়ে গেছে মুহিবুল, সাথে ছিল আকাশ । রাতে বোধহয় ঘুমাতে পারে না ছেলেটা, চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। হঠাৎই একদিন মুষড়ে পড়া আকাশ কে নিয়ে জার্মান অ্যাম্বেসীতে হাজির হল মুহিবুল। জার্মানীতে যেতে ইচ্ছুক এমন লোকদের জন্য ত্রৈমাসিক জার্মান ভাষার একটা কোর্স করায় তারা। গত দশ বছরে যারা যারা এই কোর্স করেছে প্রত্যেকের ইনফরমেশন নেয়াটাই ছিল উদ্দেশ্য। রিসিপশনে কথাটা বলতেই, অন ডিউটিতে থাকা মেয়েটা এমনভাবে তাকালো যেন মুহিবুল অ্যাম্বেসীতে বোমা ফিট করার জন্য সিকিউরড একটা জায়গা খুঁজছে। বেশ কিছুক্ষণ তদবীর করে শেষ পর্যন্ত ডাটাবেস রুমে যাবার অনুমতি পেল তারা। বেশি না, প্রায় শতক বারোর মত ফাইল ঘাটতে হবে। মুহিবুলের লজিক, ছেলেটা আগে থেকেই জার্মান ভাষা জানত। কেননা প্রতিশোধ নিতে জার্মান ভাষা শিখবে তার কোনো লজিক নেই। তারপরও সব ফোল্ডার সে চেক করবে। শুরু থেকেই শুরু করল ওরা। টানা দুই ঘন্টার ম্যারাথন গরু খোঁজা চালিয়ে অবশেষে পাঁচজনকে বের করা গেল, যাদের ফোল্ডারে থাকা ছবির সাথে খুনির চেহারা অনেকাংশে মেলে। কিন্তু আকাশ অ্যাকিউরেট কোনোটা বাছতে পারছে না। পাঁচজনের ফোল্ডার নিয়েই অফিসে ফিরে এল মুহিবুল। সীমান্তকে অর্ডার করল, “খুঁজে বের কর এদের মধ্যে কে মিসিং।” খুন করে নিশ্চই ঘরে বসে মুভি দেখবে না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য খুঁজে বের করতে হয়নি। ছেলেটা নিজেই ফোন করেছে আকাশ কে। লাউডস্পীকারে শুনছে মুহিবুল। “আকাশ , তোমার ডিটেকটিভের মাথার তারিফ করতেই হয়। জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিক। তোমার কি ধারণা? যাকে খুন করার জন্য পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষা করছি, তার প্রতিটি স্টেপ সম্পর্কে আমি খোঁজ রাখি। এমনকি তুমি যে পর্ন এডিক্টেড সেটাও আমি জানি।” আকাশ এখনও চুপচাপ শুনছে। এদিকে মুহিবুল মনে মনে ভাবছে, ছেলেটা যেই হোক না কেন, দুর্ধর্ষ চালাক। “আমি যদি তোমার কাছে ধরা না দেই, তুমি কোনোভাবেই আমার খোঁজ পাবে না। যে পাঁচজনের ফোল্ডার তোমার হাতে আছে, ভালো করে খেয়াল করে দেখ, একজনও আমি নই।” মুহিবুল হাত দিয়ে টেবিলে মৃদু বাড়ি দিয়ে নিজের চেয়ারে হেলান দিয়ে বসল। “তোমার মনে আছে? আজ থেকে বছর তিনেক আগে মাইশা এক বছরের জন্য ইটালি গিয়েছিল?” “হ্যাঁ। মনে আছে।” এতক্ষনে মুখ খুলল আকাশ । “কেন গিয়েছিল জানো?” “পড়াশুনার জন্য।” “না। ও কোথাও যায় নি। ও দেশেই ছিল। শি ওয়াজ প্রেগনেন্ট। এই ব্যাপারটা তোমার কাছ থেকে লুকানোর জন্যই সে ইটালি যাবার কথা বলেছিল।” আকাশ স্মৃতিচারণ করছে এক রাতের কথা। মাইশা এতবড় একটা ব্যাপার কিভাবে লুকিয়ে গেল? “এই একবছর ও নিজের সন্তানকে একটু একটু করে বড় করেছে, নিজের ভেতর। তারপর ওকে রেখেছে একটি অরফানেজে। প্রতিদিন গিয়ে দেখা করে আসত তোমার মেয়ের সাথে। ও হ্যাঁ। তুমি একটা মেয়ের বাবা।” আকাশ ভীষণ চমকে গেছে। ছেলেটা এ কেমন কথা শোনাচ্ছে তাকে। এ কিসের ইঙ্গিত? “তোমার মেয়ের নাম কি জানো? সারা। কথা বলবে তোমার মেয়ের সাথে?” আঁতকে উঠল মুহিবুল। কানে তালা লেগে গেছে আকাশের । ভয় এবং আশঙ্কার সংমিশ্রণের কালো একটা ছায়া ফুটেছে তার মুখে। মাথায় ঘুরছে, সব শেষ করে দেবে সে। প্রচন্ড কাঁপুনি দিয়ে কেঁদে উঠল আকাশ । “দেখতে চাও তোমার মেয়েকে? চলে এসো তোমার ফ্ল্যাটে। একাই এসো। নয়ত আমি একা এখান থেকে চলে যাব।” কেটে গেল ফোন। ঝড়ের বেগে উঠে গেল আকাশ । পিছু পিছু মুহিবুল আসতে চাইল, আকাশ হাতজোড় করে নিজের মেয়ের জীবন ভিক্ষা চাইল মুহিবুলের কাছে। প্রথমবারের মত নির্মম এক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তরুন এই গোয়েন্দা। পুরো ফ্ল্যাট অন্ধকার, ইলেক্ট্রিসিটি নেই। বুক কাঁপছে আকাশের । বারবার মাথা থেকে কুচিন্তাটা দুর করে দিতে চাইছে। ভাবছে, যত বড় ক্ষতিই করুক না কেন, একটা বাচ্চা মেয়ে কেন নির্মমতার শিকার হবে। হঠাৎ কানে একটা ঝুনঝুনির আওয়াজ পেল। যেন নতুন জীবন ফিরে পেল আকাশ । নিজের রুমে ঢুকতেই দমকা হাওয়ায় খুশির মোমবাতি নিভে গেল যখন দেখল ঝুনঝুনিটি ছেলেটার হাতে। ভরা জোছনা বারান্দার কাঁচ ভেদ করে ঘরে ঢুকছে। “আমার মেয়ে কোথায়?” জানতে চাইল আকাশ । “হুশশশ”, মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করতে বলল ছেলেটা। এক কোণের দোলনাটা দেখিয়ে বলল, “সারা ঘুমুচ্ছে।” টালমাটাল আকাশ দোলনার কাছে গিয়ে ছোট্ট পরীটাকে একনজর দেখল। চোখ ভেঙে অশ্রু বেয়ে পড়ছে দুগাল বেয়ে। কিচ্ছু করার নেই। “বসো আকাশ । কিছু কথা বলি।” ছেলেটার কথায় বিছানায় বসে দোলনার দিকে তাকিয়ে থাকল আকাশ । “তোমাকে একটা গল্প বলি। আজ থেকে ছয় বছর আগের ঘটনা। একটা মেয়েকে খুব ভালোবাসতো একজন। তার নাম জান্নাত । পরিবারের ছোট মেয়ে ছিল সে। আমার একমাত্র স্বপ্ন ছিল জান্নাত । তখন আমি মাত্র কলেজ শেষ করেছি, ও পড়ত ক্লাস টেনে। দিনটি ছিল ১৭ই ফেব্রুয়ারী ২০০৯, যেদিন তুমি নিজ হাতে গলা টিপে মেরে ফেলেছিলে আমার স্বপ্নকে। কিছু মনে পড়ছে তোমার?” আকাশ এখনও দোলনার দিকে তাকিয়ে আছে। অপলক। কিচ্ছু মনে নেই ওর। শুধু ১৭২ সংখ্যাটার অর্থ বুঝতে পারল। “তুমি সেদিন ছিলে বদ্ধ মাতাল। পর্নোগ্রাফি আর মদ ছাড়া তোমার জীবনে আনন্দ বলতে কিছু ছিলনা তখন। আমার জান্নাত কে রেপ করলে তুমি, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে। মনে পড়ছে?” মাথা নিচু করে শুনছে আকাশ । হঠাৎই সব মনে পড়ে গেছে তার। সম্মোহন অবস্থাটা নিমিষেই কেটে গেল। স্পষ্ট চোখের সামনে ভাসছে সেই দিনের কথা। “জান্নাত ” শব্দটাই ট্রাম্প করে তোমাকে হিপনোটাইজড করেছিলেন ডঃ ফখরুল আলম,তোমার বাবা। “জান্নাত র আর্তনাদ, সেই করুণ আকুতি মাখা চিৎকার আমি শুনতে পারছিলাম একশ কিলোমিটার দুর থেকে। এটাকে কি বলে জানো? মনের টান। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলে তুমি। সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছোট্ট মেয়েটা।” স্তব্ধ হয়ে শুনছে আকাশ । কথা বলার মত অবশিষ্ট শক্তি নেই তার। “সেই রাতেই ঘটনা জানতে পারেন তোমার বাবা। সম্মানী একজন ব্যক্তির ছেলে এতটা নিচে নামতে পারে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল তার। তোমার স্মৃতি মুছে দিতে নিজেও ব্যবহার করেন অতি নিম্নমানের কৌশল। এমনভাবে হিপনোটাইজড করে ফেলেন তোমাকে, যেন সেটাকে অ্যামনেসিয়া বলে চালিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু তিনি পারেননি। ভোর হবার আগেই ঝামেলা শেষ করতে চাইছিলেন তোমার বাবা। কিন্তু জান্নাত তো অজ্ঞান। তাকে কিভাবে হিপনোটাইজড করবেন? জ্ঞান ফিরলেও তো শান্ত করা যাবে না তাকে। মনে পড়ে তোমার বাবা কি করেছিলেন সেই রাতে? তিনি এখন কোথায় জানো? বেঁচে আছেন কিনা জানিনা, গতবছর যখন শেষ তার সাথে দেখা হয়েছিল, উনি জার্মানিতে ছিলেন। হাত দুটো ার জিহবা কেটে নিয়ে এসেছিলাম।” আকাশ নিরুত্তর। যেন কোনও কথাই কান দিয়ে ঢুকছে না। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আওড়াতে থাকে, “মেরে ফেল আমাকে, আমার মেয়েটাকে বাঁচতে দাও।” চিৎকার করে ওঠে ছেলেটা। “তুমি আমার সবচেয়ে কাছের মানুষটাকে মেরে ফেলেছিলে। দাফন, জানাজা ছাড়া জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছিল জান্নাত কে। তারপরও কিভাবে বলছ তোমার মেয়েকে ছেড়ে দেব?” তবে হ্য তোমার পরিবারের অন্য সবাইকে যে শাস্তি দিয়েছি তোমাকে তা দেব না । জান্নাত মারা যাবার তিন মাস পর একি রাতে তোমার পরিবারের সবাইকে মেরেছিলাম । শুধু তোমাকে ার তোমার বাবাকে তখন পাইনি । তোমার বোনের কথা মনে আছে । সেবার সে গর্ভবতী ছিল । জননাঙ্গ দিয়ে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম । পেট চিরে দেখলাম , জরায়ু ছিড়ে একটা বাচ্চার মাথা বের হয়ে এসেছে । তাদের সব মাংস গুলি একটা হোটেলে চালান করে দিয়েছিলাম। হোটেল ম্যনেজার পড়ে বলেছিল ফোন করে... মহিলার চেয়ে বাচ্চাটাকেই নাকি সবার সুস্বাদু মনে হয়েছিল বেশি। কাঁদছে আকাশ । একটু পরেই সব শেষ হয়ে যাবে তার। সব। দোলনা থেকে সারাকে কোলে তুলে নিল ছেলেটা। এখন সে চলে যাবে। “আমি আমার সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেছি। তোমাকে আমি মারব না। সারাটা জীবনে অনুতাপের আগুনে পুড়বে তুমি। তোমাকে আত্মহত্যাও করতে দেবনা আমি। আর তোমার মেয়েকে আমি বড় করব। তোমার থেকে অনেক দুরে নিয়ে যাব ওকে। বাজারি বানাবো মেয়েটাকে। প্রতিদিন রেপড হবে এই মেয়েটা। তোমার চোখের সামনে ওকে বেচব আমি। এটাই তোমার শাস্তি। জান্নাত যদি তোমারই পরিবারে জন্মে এতটা জঘন্য পরিনতির শিকার হয়, তোমার শাস্তি তো এর তুলনায় নগন্য। ভালো থেকো আকাশ ।” কঠিন এক শাস্তির মুখোমুখি আকাশ । আজ থেকে শুরু হল দিনগণনা। প্রতিটি সেকেন্ডকে মনে হবে একেকটি আলোকবর্ষ। দুঃসহ এক জীবনের নবসূচনা শুরু হল আজ। #সাইকো
By kolpobazz
Thursday, May 9, 2019
#০৩কবিতা তবুও ভাল থাকুক সে লিখাঃ এন এম শান্ত একটা সময় ছিলো যখন একটা নির্দিষ্ট ফোন নাম্বার সবসময়ই কল লিস্টের প্রথমে থেকে দ্বিতীয়তে যেত না । নাম্বারটা খুজতে কন্টাক্ট লিস্টে বা ফোন বুকে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো না। . সেই একই নাম্বার একটা সময় চলে যায় মনে না থাকার লিস্টে। নাম্বার টা কন্টাক্ট বা ফোন বুকে ঘুমিয়ে থাকে এভাবে একটা সময় আর ডায়াল, রিসিভ বা মিস কল লিস্টেও নাম্বারটা থাকে না। . তবে হঠাৎ হঠাৎ নাম্বারটাতে কল দিতে ইচ্ছে করে। খুঁজে বের করে কল দিবো-কি দিবো না, এই নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে কিছুক্ষণ সময় পার করে "না থাক " এটা বলে আর কল দেওয়া হয়ে ওঠে না। তারপর একটা সময় আসে যখন হঠাৎ আর কল দিতেও ইচ্ছে করেনা। . স্মৃতি তে ধুলো জমে,,, ঝাপসা হয়ে যায় সব অতীত। তারও অনেক পরে একটা সময় আসে যখন দেখা যায় সেই নাম্বারটাই খুঁজে পাওয়া যায় না, যে নাম্বারটা এত ভালো করে মুখস্ত ছিলো, সেই নাম্বারটার শেষের বা মাঝের এক-দুইটা সংখ্যা মনেই পড়ছেনা ! . কোন এক সন্ধ্যায় হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যায়, বুকের মধ্যে হঠাৎ মোচড় দিয়ে উঠে, একটা হাহাকার জেগে উঠে । হয়তোবা সেদিন একটু একটু বৃষ্টি পড়ে, নাম্বারটা যে মানুষটার তার ছবি মনে ভেসে উঠে। আচ্ছা,, মানুষটা এখন কোথায় আছে, কেমন আছে.? হাত বাড়ালেই যাকে ছোঁয়া যেত,, চোখ মেললেই যাকে দেখা যেত, সে এখন যোজন যোজন দূরে। . জীবনের ঘাত--প্রতিঘাতে বাস্তবতাকে আমি অস্বীকার করতে পারিনা। তবুও শত অভিমান বুকে চেপে আমি বেঁচে থাকি। হয়ত এভাবেই একদিন সব শেষ করে হারিয়ে যাব বিষন্ন মেঘমালার ভীড়ে অভিযোগ নেই কোন তাহার তরে ... শুধু আরশের অধিপতির কাছে একটাই আর্জি ভালো থাকুক হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষ টি । ভাল থাকুক অন্য কারো ঘরে। #সাইকো
By kolpobazz
[সাইকো থ্রিলার] শোধ (পর্বঃ০২) লিখাঃএন এম শান্ত পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যথারীতি ব্রেকফাস্ট আনতে দরজা খুলল আকাশ । ওপাশে কেউ হয়ত দাঁড়িয়ে ছিল, সজোরে বুকে একটা লাথি মেরে ছিটকে কয়েক মিটার দুরে ফেলল আকাশ কে। প্রচন্ড ব্যাথায় কুকড়ে গেছে সে। ধুসর রঙের জ্যাকেট পরা ছেলেটা ভেতরে ঢুকল ব্রেকফাস্ট আর পেপার হাতে নিয়ে। কাছে এসে কষিয়ে আরেকটা লাথি মারল আকাশের মাথার পেছনে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলল সে। কতক্ষণ কেটে গেছে কোনো হুশ নেই। কোনোরকম চোখ খুলে দেখল ছেলেটা কফির কাপে দুধ মেশাচ্ছে। একটা চেয়ারের সাথে হাত পা বেঁধে রেখেছে আকাশের । গোঙানির আওয়াজ শুনতেই আকাশের দিকে তাকালো ছেলেটা। “ও তুমি জেগে গেছ? ধ্যাৎ! আজকাল কি যে হয়েছে, পায়ে একদম জোর পাই না। বছরখানেক আগে ওরকম একটা লাথিতে মানুষ মারা যেত”, চামুচ দিয়ে নাড়তে নাড়তে কথাগুলো বলছে ছেলেটা। “কে তুমি?” আকাশের প্রশ্ন। “আমি? আমি কে তা এখনই বলতে চাচ্ছি না। ” শীতল কণ্ঠে ছেলেটা জবাব দিল। “কি চাও?” “তেমন কিছু না। আপাতত কফিটা শেষ করতে চাই। স্পেসিফিকালি, তোমাকে খুন করতে চাই।” চমকে উঠল আকাশ । “মানে?” খানিক চুপ করে বিকট শব্দে হেসে উঠল ছেলেটা। রসিকতার সুরে বলল, “কেন খুন করতে চাই তা সময় হলেই জানতে পারবে।” আকাশ আর কিছু বলল না। ও স্পষ্ট বুঝে গেছে, গতকাল এই ছেলেটাই ঐ তিনজনকে খুন করেছিল। তাকেও করবে। কিন্তু কেন? কি করেছে ও? “বুঝলে আকাশ , তোমাকে চাইলে এখনই মেরে ফেলতে পারি। কিন্তু তাতে কোনো মজা নেই। আমি তোমাকে বাঁচিয়ে রাখব। তোমাকে বোঝাবো, জীবন কতটা কঠিন। তারপর তোমাকে শেষ করে দেব। তুমি চাইলে পালাতে পার। লাভ নেই। তোমাকে ঠিক আমার কাছে ফিরে আসতে হবে।” কোনো কথা বলছে না আকাশ । এখনও ব্যাথার ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। “যাই হোক। তোমাকে আজকে জাস্ট আমার পরিচয়টা দিয়ে গেলাম যেন ভবিষ্যতের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে থাকতে পার। তোমার হাতে সময় বেশি নেই।” পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে টেবিলে রাখল ছেলেটা। “এই কাগজটা আসা করি তোমার একটু কাজে আসতে পারে। তোমার পায়ের কাছে একটা ছুড়ি রাখা আছে। ওটা দিয়ে নিজেকে মুক্ত কর। এই বলে চলে গেল ছেলেটা। সাথে করে কফির কাপটাও নিয়ে গেল। বিছানায় শুয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মনে করছে আকাশ । কাগজটায় ঠিক কি লেখা তা বুঝতে পারছে না। ভাবছে গোয়েন্দা বিভাগের অফিসে একবার যেতে হবে। মুহিবুল হাসানকে সবকিছু জানানো উচিত। নয়ত দেরি হয়ে যেতে পারে। দুপুরের দিকে মুহিবুল হাসানের অফিসে হাজির হল আকাশ । পুরো ঘটনা বর্ণনা করল। গোয়েন্দাকে কেমন চিন্তিত দেখাচ্ছে। “আচ্ছা, আপনি কি এমন করেছেন যার জন্য লোকটা আপনাকে খুন করতে চায়?” আকাশ চুপ করে আছে। কিছু একটা বলতে চাইছে, কিন্তু কিভাবে শুরু করবে তা বুঝতে পারছে না। “আপনাকে আমার একটা বিষয় জানানোর আছে।” মুহিবুল শুরু করতে বলল। “আমি আমার অতীত সম্পর্কে কিছু জানি না। আমি কে, কি আমার পরিচয়, আমার বাবা মা কে, কোথায় আমার জন্ম, এরকম আরো অনেক প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুরপাক খায়। অথচ কোনো উত্তর নেই। ২২শে ফেব্রুয়ারী ২০০৯ এর আগে আমার জীবনে কি ঘটেছে তার কিছুই আমার মনে নেই। আমি একজন স্মৃতিভ্রষ্ট মানুষ।” আকাশ খানিক থামল। কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে আছে মুহিবুল। কিছুই বুঝতে পারেনি সে। “ব্যাপারটা ঠিক একটা রিসাইকেল্ড কম্পিউটারের মত, যার হার্ডডিস্ক সম্পুর্ন ফর্ম্যাটেড। আমি আমার কাজ সম্পর্কে অবহিত, কিন্তু আমার মেমরি সম্পুর্ন শুণ্য। আমার জীবন থেকে চব্বিশটি বছর স্রেফ বাতাসে মিলিয়ে গেছে। আমি হয়ত এমন কিছু করেছি যার প্রতিশোধ নিচ্ছে ছেলেটা। কিন্তু. . . ” আর বলতে পারল না আকাশ । যেন স্পীচ জ্যামার দিয়ে ওকে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। মুহিবুলকে এবার বেশ বিভ্রান্ত দেখাচ্ছে। টেবিলের নিচে রাখা ভদকার বোতলটার দিকে চোখ পড়ছে বারবার। এই মুহুর্তে এক ঢোক বেশ প্রয়োজন। “আপনি ডাক্তার দেখিয়েছেন? অ্যামনেশিয়া হতে পারে।” “না। এই পাঁচ বছর ডাক্তার আর পুলিশ, এই দুটো জিনিস থেকে দুরে ছিলাম। তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।” ভ্রু কুচকে কি যেন ভাবল মুহিবুল, “ঠিক আছে। আপনি এখন বাসায় যান। আমাকে একটু সময় দিন। কাল সকালে আমি আপনার ফ্ল্যাটে যাব।” আকাশ কোনো কথা বলল না। যেতে যেতে আবার ফিরে আসল। পকেট থেকে কাগজটা বের করে মুহিবুলের দিকে বাড়িয়ে দিল। “যাবার আগে ছেলেটা এই কাগজটা রেখে গেছে। কিন্তু এতে কি লেখা তা বুঝতে পারছি না। আপনি একটু চেষ্টা করে দেখুন।” মুহিবুল কাগজটা হাতে নিয়ে দেখল কিসব আকিবুকি করা। কোনো কোড হতে পারে। কাগজটা দিয়েই চলে গেল আকাশ । মুহিবুলের এখন দুটো কাজ। একজন হিউম্যান সাইকোলজি স্পেশালিস্টের সাথে দেখা করতে হবে আর এই কাগজের লেখার মর্মার্থ বের করতে হবে। “ক্রিটিকাল কেস!” রকিং চেয়ারে বসে পুরো ঘটনা শোনার পর দেশের সেরা একজন মনোবিজ্ঞানী ডঃ আব্দুল্লাহ মাহদী ছোট্ট করে উত্তর দিলেন। “খুবই স্ট্রং হিপনোটাইজিং করে এরকমটা ঘটানো সম্ভব।” টেবিলের অপর প্রান্তে বসে আছে মুহিবুল হাসান। “এধরনের হিপনোটাইজিং দ্বারা একজন মানুষকে খুনি বানানো যায়। এমনকি আপনার দেহ থেকে যদি আপনার একটি পা বিচ্ছিন্ন করা হয় তাতেও আপনি কোনো ব্যাথা পাবেন না। ব্রেইনকে পুরো বাইপাস করে দেয়া হয় অন্য কারো ইশারার সাথে। একটা ট্রাম্প কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়, যেটা শুনলে হিপনোটাইজিড অবস্থা পুরো কেটে যাবে। বাইরের দেশে অপারেশনের সময় সাইড এফেক্ট এড়ানোর জন্য পেইন কিলারের পরিবর্তে এরকম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।” “আপনি করতে পারবেন? ” ঝট করে প্রশ্ন ছুড়ল মুহিবুল। ডঃ আব্দুল্লাহকে খানিকটা অপ্রস্তুত দেখাল। “আমি আসলে ইচ্ছে করেই অ্যাডভান্স হিপনোটিজমে আগ্রহ দেখাইনি। একজন মানুষকে সহজেই সম্মোহিত করা যায়, তবে এতটা হাই লেভেলের কাজ আমি করতে পারব না। তবে আমার স্যার এই ট্রিক্সটা জানতেন।” “কিছু মনে করবেন না,” ইতস্তত করে বলল মুহিবুল, “আপনাদের কোন শিক্ষক নি নিখোঁজ হয়েছেন, মানে অনেকদিন ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এমন কেউ আছেন?” চশমার ফাঁক দিয়ে মুহিবুলের দিকে তাকিয়ে উদ্দেশ্যটা বোঝার চেষ্টা করলেন ডঃ আব্দুল্লাহ। নেহাত পুলিশী ঝামেলা না হলে বলতেন না এমন ভাব করে উত্তর দিলেন, “জী আছেন। উনার নাম ডঃ ফখরুল আলম। প্রায় পাঁচবছর যাবৎ উনি স্বপরিবারে নিখোঁজ। মাফ করবেন, এর বেশি আমি আর কিছু জানাতে পারব না আপনাকে।” মুহিবুল বিদায় নিয়ে গাড়িতে এসে বসল। আকাশের বিষয়টা এখন পানির মত স্বচ্ছ। কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর জানাটা এখনও বাকি। কেন এরকমটা একটা ঘটনা ঘটালেন তিনি? কেন? এর সাথে ঐ সিরিয়াল কিলারের সম্পর্কটা কি? পাঁচ বছর আগে আকাশ , তার বাবা এবং কিলার এই তিনজনের মধ্যে ঠিক কি ঘটেছিল? মনে মনে ভাবছে মুহিবুল, আরেকটা প্যাঁচ খুলতে পারলেই জোড়া লাগাতে পারবে প্রত্যেকটা ছেঁড়া সুতো। পকেট থেকে চ্যাপ্টা ড্রিংক পট বের করে একদফা সাবাড় করল মুহিবুল। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটা ফোন আসল মুহিবুলের নামে। ডিসপ্লেতে তাকিয়ে দেখল অ্যাসিসট্যান্টের নাম্বার। রিসিভ করল কলটা, “হুম বল।” “স্যার, ঐ কাগজটায় জার্মান ভাষায় একটা অ্যাম্বিগ্রাম করা ছিল। কিন্তু লেখাটার ঠিক মাঝবরাবর ফ্লুইড দিয়ে ফটোকপি করা হয়েছিল যেটা সাসপেক্ট দিয়ে গিয়েছিল আকাশের হাতে। শালা একটা জিনিয়াস।” উত্তেজিতভাবে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলল সীমান্ত। শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন মুহিবুল, “কি লেখা ছিল তাতে?” “কাগজটায় লেখা ছিল ‘ক্যান্টনমেন্ট’।” “ঠিক আছে।” ফোনটা কেটে দিয়ে আকাশের নাম্বারে ডায়াল করল মুহিবুল। “ক্যান্টনমেন্ট” নামটা শুনতেই বুকের ভেতরটা ছ্যাঁত করে উঠল আকাশের । চোখদুটো ঝাপসা হয়ে আসছে। মুখ দিয়ে একটা নামই উচ্চারণ করতে পারল আকাশ । “মাইশা।” মাইশা। দুর্বিষহ এই পাঁচ বছরের জীবনে আকাশের একমাত্র সঙ্গী ছিল মাইশা। গত তিনমাস কোনো যোগাযোগ নেই মেয়েটার সাথে। অনেকটা অভিমান করেই আকাশের সাথে কথা বন্ধ করে দিয়েছিল সে। আকাশ ট্যাক্সিতে বসে নিজেকে হাজারবার দোষ দিচ্ছে, তারই জন্য নিষ্পাপ মেয়েটা আজ মারা পড়বে। নাকি ইতোমধ্যে মরেই গেছে? মাইশার নম্বর বন্ধ। যত দ্রুত সম্ভব ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছাতে হবে তাকে। ও জানে, মাইশাকে বাঁচাতে পারবে না। তারপরও শেষ আশা বলেও তো কিছু থাকে। মহাখালি ক্রস করার সময় আকাশের ফোনটা বেজে উঠল। “দেরি করে ফেলেছ আকাশ । এসে শেষবারের দেখে যেতে পার তোমার প্রেয়সীকে। আমি বলেছিলাম না, সব শেষ করে দেব।” নির্বাক আকাশ কোনো জবাব দিতে পারল না। কলটা কেটে যেতেও ফোন কানে চেপে বসে থাকল। খুনিটা মত পাল্টাতেও তো পারে। পুরো ফ্ল্যাট বেশ পরিপাটি করে সাজানোই আছে। শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা মাইশার দেহটা পড়ে আছে মাটিতে। চোখ দুটো যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসবে। হাতে ছুড়ির আঁচড়ে ১৭২ লেখাটার চারপাশ লাল দাগ। বাচ্চাদের মত দুহাতে মুখ চেপে কাঁদছে আকাশ । পাশে দাঁড়িয়ে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে আছে মুহিবুল। ক্ষমতার অভাব নেই তার, কিন্তু কাজে লাগাতে পারছে না। যেন ব্যস্ত শহরে মরীচিকার সন্ধান।
By kolpobazz
Wednesday, May 8, 2019
Tuesday, May 7, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৩৭ স্কেলেটন (শেষ পর্ব) লিখাঃএন এম শান্ত লাল আলোতে চারিদিক ঢাকা একটা ঘরে হুশ ফিরে আসে রাফিদের। মাথা যন্ত্রণায় তাকানো মুস্কিল। উঠতে গিয়ে সে বুঝল তার হাত-পা চেয়ারের সাথে শক্ত করে বাধা। নড়ার কোন উপায় পেলনা সে। কাছে কোন ধারাল জিনিষও পেলনা সে। এদিকে ওদিকে তাকাতেই দেখে একটা স্টীলের বড় পাত্র, অনায়াসে তাতে একটা মানুষ ধরে যাবে ওতে। উপরে সিলিং এর সাথে বাধা নোরার লাশ। অবাকভাবে তাকিয়ে আছে শরীরসর্বস্ব বস্তুটা।কোনার দরজা দিয়ে ধাতব কিছুর যেন টেনে আনার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করল রাফিদ কিন্তু সে অপারগ। কিভাবে কি হল হিসাব মেলাতে পারেনা সে। ঘরের চারিদিকে এবার ৬০ ওয়াটের বাল্ব জ্বলে উঠল। আলোতে স্পষ্ট হল আকাশের চেহারা। বিষ্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে রাফিদ। “আকাশ! কি এসব! ঐ পাত্রে কি? আমার এ অবস্থা কেন? তুই এভাবে কি করতেছিস? কিছুই মাথায় আসছেনা” চেচিয়ে বলে রাফিদ। “আস্তে,আস্তে, একটা করে প্রশ্ন কর। নাহলে গুলিয়ে যাবে” বিয়ার শুড বি সার্ভড চিল্ড। সেই চিল্ডের থেকেও বেশি ঠান্ডা আকাশের গলা। “আমি এখন কোথায় এবং কেন?” জিজ্ঞাসা করে রাফিদ। “তুই নিজের ইচ্ছাতেই এখানে। প্রাইভেট ডেটিং এ এসেছিলি। বলতে ভুলে গেছিলাম, আমার বাড়িতে আন্ডারগ্রাউন্ড আছে, তুই সেখানে। উত্তর পরেরটা আগে দিলাম, কিছু মনে করিসনা” নির্লিপ্তভাবে বলে আকাশ “ঐ পাত্রে কি?” ভয়ার্ত কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে রাফিদ। “স্লাকেড লাইম। ক্যালসিয়াম অক্সাইডের সাথে পানি যোগ করলে উৎপন্ন হয়। বাংলাভাষায় চুনের পানিও বলতে পারিস” চেয়ার টানতে টানতে উত্তর দেয় আকাশ। “কি হবে ওটা দিয়ে? আর নোরার লাশ ওরকম ঝুলানো অবস্থায় কেন?” ভয়ের মাত্রা কয়েক ডিগ্রী বাড়িয়ে কাপতে কাপতে প্রশ্ন করে রাফিদ। “ওতে মানুষের দেহ দিলে মাংশ,চামড়া খুলে শুধুই হাড় অর্থাৎ কঙ্কাল থাকে” সোজাসুজি বলে আকাশ। “মানে তুই…………!” “হ্যা আমি এভাবেই কঙ্কাল পাই” রাফিদকে কথা শেষ করতে না দিয়ে বলে আকাশ। “ঠিক আছে, বুঝলাম। কিন্তু আমাকে বেধে রেখেছিস কেন? আমি কি করলাম ভাই?” একরাশ জিজ্ঞাসুদৃষ্টি ছুড়ে তাকিয়ে থাকে রাফিদ। “একটা মেয়েকে খুন করে জিজ্ঞাসা করছিস কি করেছিস?” বলতে বলতে উঠে যায় আকাশ আর দড়ি বেয়ে স্লাকেড লাইম দ্রবণে ডুবিয়ে দেয় নোরার লাশটা। ধোয়া উঠা দ্রবণে নেমে যাওয়ার পর সেটা কেমন হয় তা জানেনা রাফিদ। ঘটনা দেখে রাফিদ চুপ করে থাকে কিছুক্ষণ। “তুই তো বলেছিলি কোন খারাপ কাজ করে স্কেলেটন আনিস না তুই” ভয় কাটিয়ে জিজ্ঞাসা করে রাফিদ। “ঠিকই তো। খারাপ কিছুই করিনি আর করছিনা আমি। আর কোন ব্যাখ্যা পেতে চাইনা তোর থেকে এ ব্যাপারে” ঠান্ডা গলাটা এবার প্রথমই ঝাঝের সাথে শব্দ বের করল। “জানিস ঐ পাত্রে কি আছে?” জিজ্ঞাসা করে আকাশ। “স্লা………” বলে রাফিদ। “ট্যালেন্টেড! ইয়াপ,সেইম সল্যুশন বাডি! স্লাকেড লাইম” হেসে বলে আকাশ। “মানে?” ভয়ার্ত কন্ঠে বলে ওঠে রাফিদ। “মানে তোর পরিণতির ট্রায়াল হল নোরার পরিণতি” হিংস্র বাঘের মত বলে ওঠে আকাশ। সামনে নিজের মৃত্যুকে দেখতে পায় রাফিদ। কান্নাজড়িত কন্ঠটা একবার শুধু বলে ওঠে,“কেন এরকম করছিস?” “ভাল প্রশ্ন! তাহলে শোন, আমার পরিবার সম্পর্কে কিছু জানিস?” বলে আকাশ! “না তো। জিজ্ঞাসা করলেই এড়িয়ে গেছিস তুই” রাফিদ বলে। “হুম। আমার বাবা-মা মারা গেছেন ছোটবেলাতেই। আমি পিকচারাইজ করতে পারিনা এতটাই ছোট ছিলাম। টাকা-পয়সার অভাব কখনোই ছিলনা। ছিল আপন মানুষের অভাব। আমার স্কুল জীবনের একটা বন্ধু ছিল ফারদিন। ওরা গ্রাম থেকে এসেছিল। ওর বাবা ছিল সরকারী চাকুরে। ওর মা অনেক ভাল ছিলেন। আমাকে নিজের ছেলের মত দেখতেন। মাতৃস্নেহের কিছুটা পূরণ করে দিতেন তিনি। এতেই আমি খুশি ছিলাম। ওর একটা বোন ছিল, নিজের বোনের মতই দেখতাম তাকে। আমার বোন ছিলনা কিনা! তাই। শহরে এসেই সে শহুরে সংস্কৃতি ভালবেসে ফেলে। আপডেটেড সোসাইটিতে মিশত সে। আমাদেরই এক ফ্রেন্ড সৌমিকের প্রেমে পড়ে সে। আমি জানতাম। কিন্তু ফারদিনকে জানায়নি। এরকম এক নিউ ইয়ার পার্টিতেই সৌমিক তাকে খুন করে ফেলে, নিজে পালিয়ে যায়। যেরকমটা তুই করেছিস নোরার সাথে। মেয়েটার লাশ দেখে তার বাবা হার্ট ফেইল করে। ফারদিন যখন জানতে পারে এটা সৌমিকের কাজ তখন সে বাসা থেকে বের হয় প্রতিশোধ নিতে কিন্তু রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে মারা যায়। আন্টি পাগলের মত হয়ে যায়। সেদিন সিদ্ধান্ত নিই, আমার সামনে থেকে যে আমার এই পরিবারকে কেড়ে নিল তাকে ছাড়ব না। প্রতিশোধ নিলামও। কিভাবে জানিস?” একটানা বলে গেল আকাশ। “কিভাবে?” প্রশ্ন করে আকাশ। “যেভাবে তুই এখানে অপেক্ষা করছিস মারা যাওয়ার জন্য, যেভাবে তুই মারা যাবি, সেভাবে। সৌমিক ছিল ফার্স্ট টার্গেট। তারপর থেকে এভাবেই প্রত্যেক বছর চলে আসছে এরকম মৃত্যুর খেলা। কিছুদিন তোর মত কুলাঙ্গার খুজি, নজরে রাখি, বন্ধু হই, টাকা উড়াই, তারপর………… বুঝতেই পারছিস” জবাব দেয় আকাশ। “কিন্তু যে মেয়েরা মারা যায়না? মানে স্বেচ্ছায় যারা……… তাদের ক্ষেত্রে কি হয়” আবার প্রশ্ন করে রাফিদ। “আসলেই তুই অনেক ট্যালেন্ডেড দোস্ত! তাদের আমি মারি। আমি চাইনা তাদের কুকর্মের জন্য একটা পরিবার ধ্বংস হোক। তাদের কথা জেনে আরও বাবা-মা কষ্ট পাক। আর এভাবে মারার পর লাশ সেটেলমেন্ট করা একটা ঝামেলা। তাই স্লাকেড লাইমই ভরসা। কাজও হয়, টাকাও হয়” ঠান্ডাভাবে বলে আকাশ। “পুলিশ খুজলে?” আশা খুজে পাওয়ার ভঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করল রাফিদ। “ও কাম অন ম্যান! কত খাবে? এসব আজাইরা পয়েন্ট সামনে আনবিনা প্লিজ” উত্তেজিত হয়ে জবাব দেয় আকাশ। “দোস্ত আমাকে মাফ……” বলার আগেই গলার জুগুলার শিরায় আবার একটা লোকাল এনেস্থেসিয়া পুশ করে আকাশ। তারপর দেহের দড়িগুলো কেটে ফেলে চেয়ার থেকে। মাটিতে শুইয়ে এবার পা আর হাতের সাথে দড়ি বাধে সে। অপেক্ষা করে ৩০ মিনিট হওয়ার। ২৮ মিনিট পর কপিকল ইউজ করে স্লাকেড লাইমে আরো পানি আর চুন মিশায় সে। রাফিদের জ্ঞান ফিরে আসছে। তাই এবার আকাশ তার সেই প্রিয় নীল বস্তুটা প্রয়োগ করে রাফিদের বাম শিরায়। দেখতে দেখেতে রাফিদের পুরো শরীর নীল হয়ে যায় । কথা বলতে পারছে না রাফিদ ।তারপর ও চেষ্টা করে যাচ্ছে। নাহ আর সময় দেয়া যায় না' মনে মনে ভাব্ল আকাশ। এবার কপিকল ব্যবহার করে উলটা করে ঝুলায় তাকে আকাশ। রাফিদ কথা বলার চেস্টা করেই যাচ্ছে কিন্তু আকাশের কানে তা ঢুকছে না। সে এখন উন্মাদ, সে এখন মত্ত, প্রতিশোধের নেশায় মত্ত। আস্তে আস্তে নামিয়ে দেয় সে দড়িটা। রাফিদের বিষ্ফোরিত চোখের দিকে শেষবারের মত তাকিয়ে পুরো দেহটাকে নামিয়ে দেয় চুনগোলা পানিতে। চিৎকারও যে কতটা শান্তি এনে দিতে পারে তা আকাশের চেহারা দেখলে বোঝা অসম্ভব। তীব্র তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় তৈরী হয়ে যায় নতুন দুইটা স্কেলেটন। একবছর পর আবার আকাশকে দেখা যাচ্ছে একটা ছেলের সাথে, অবশ্যই সেটা রাফিদ নয় , এটা তার নতুন বন্ধু।নতুন লিস্ট । “স্কেলেটনটা ভাল দামেই গেল তাই না?” প্রশ্ন করে বাধন, আকাশের নতুন বন্ধু। নির্লিপ্তভঙ্গিতে মাথা নেড়ে হ্যা সূচক উত্তর দেয় আকাশ। “চল, মলে যাব। আমার তো খরচের যায়গা নাই। তাই নিউ ইয়ার উপলক্ষে তোর জন্য ড্রেস আর তোর প্রেমিকার জন্য গিফট কিনব” ঠান্ডা গলায় বলে আকাশ। “চল” বলে দাঁড়ায় বাধন। দুই বন্ধু হাটা শুরু করে। পেছনের যায়গাটা, যেখানে তারা বসে একটু আগে একটা স্কেলেটন বিক্রি করেছে, সেটা জন্ম দেয় একটা নতুন কাহিনীর, নতুন সত্যের বা দাড়ি টানে এক পুরোনো ইতিহাসের……………………………। #সাইকো
By kolpobazz
Sunday, May 5, 2019
Saturday, May 4, 2019
Friday, May 3, 2019
গভীর রাতে সারা শহর যখন ঘুমে আত্তমগ্ন তখন এর মাঝেও জেগে থাকে কিছু মানুষ। নিস্তব্ধ নির্জন অন্ধকার ঘরে বিছানাই শুয়ে শুধু এপাশ ওপাশ করে। এরা ঘুমকে চোখে লালন করে বশ করে দিনের পরে দিন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলে নিজের সাথে। জীবন যুদ্ধে পরাজিত এসব সৈনিকের হৃদয়ের রক্তক্ষরণে চলে বোবা কান্না। অথচ ঝিঁঝিঁ পোকাদের আওয়াজে প্রায় নিশ্চুপ রকমের এই কান্নাগুলো শোনা যায় না। রাতের পর রাত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নির্ঘুম চোখে এপাশ ওপাশ করতে থাকা মানুষগুলোর বাকি গল্পটুকু কেউ জানে না! জানতেও পারেনা। তবে তপ্ত অশ্রুজলে সিক্ত হয়ে নরম বালিশটা সব টের পেয়ে যায় মাঝে মাঝে। তাতে অবশ্য ক্ষতি নেই। সকাল হওয়ার আগেই শুকিয়ে যায় অশ্রু। শুধু ক্ষতটাই শুকায় না, জেগে থাকে রাতের পর রাত!
By kolpobazz
Thursday, May 2, 2019
আমি জানিনা ভালবাসার মানে কি ... শুধু জানি , এ মন ব্যাকুল হয়ে থাকে তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখার জন্য এ চোখ জোড়া চেয়ে থাকে অপলক এক নজর তোমায় দেখবে বলে এ কান যেন অস্থির , কখন শুনবে তোমার মায়া ভরা ডাক কখন আসবে তুমি , কখন বলব '' তোমায় মিস করছিলাম ভীষণ '' আমি জানিনা কষ্টের মানে কি ... শুধু জানি তুমি কষ্ট পেলে আমার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরে কিছুক্ষন তুমি বেখবর থাকলে এ মন অস্থির হয়ে উঠে চোখ দুটো এদিক অদিক তোমায় খোঁজা খুজি করে আমি জানিনা সুখ কাকে বলে ... শুধু জানি যখন তোমার মুখের হাসি দেখি , চোখ জুড়িয়ে যায় যখন তুমি আদর করে নাম ধরে ডাকো , মন জুড়িয়ে যায় যখন আলত করে গাল ছুয়ে দাও , যেন স্বর্গের ছোঁওয়া পাই আমি জানিনা এর মানেই কি ভালোবাসা কিনা??...
By kolpobazz
Wednesday, May 1, 2019
Tuesday, April 30, 2019
Monday, April 29, 2019
Sunday, April 28, 2019
“নীল শাড়ি তে খোলা চুলে আমার হাত ধরে হাটবে তুমি, অনেক বাতাসে যখন তোমার চুল তোমার মুখে এসে পরবে, তখন পরম মমতায় মুখ থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিব আমি। তোমার সুন্দর নিষ্পাপ মুখ টা আলতো করে ছুঁয়ে দিব লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া মুখের পানে । মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকব । আর তুমি আমাকে তোমার অদ্ভুত সুন্দর নিষ্পাপ হাসি উপহার দিবে। যে হাসিতে ফুটবে ফুল আর মুক্তো ঝড়বে । হারিয়ে যাব আমি সেই হাসি তে... আর পরম আদরে নুপুর পড়িয়ে দিব আমি তোমার পায়েতে । তুমি হাঁটবে আর আমি শুনবো তোমার নূপুরের ধ্বনি কান পেতে ! তোমার সুন্দর পা গুলোতে সুন্দর নুপুর বাজবে, আনমনে তাকিয়ে থাকবো আমি। হঠাৎ করেই তুমি জড়িয়ে ধরবে আমায়। আমি বলব এই দেখে ফেলবে তো কেউ করছ এ কেমন পাগলামি ! তোমার শরীরের মিষ্টি গন্ধ আমার নাকে আসবে। আদরে আদরে শিহরিত হবে তুমি... এলোমেলো বাতাসে কোন এক রাজকন্যার শাড়ির আচল উড়ছে, তা দেখে চাঁদ মামা লজ্জায় পালাবে!! পুরো দুনিয়া অন্ধকার হওয়ার আগেই আরো একটা সুন্দর আলো আমার চোখে ভাসবে, তোমার আলোয় আলোকিত হবে পৃথিবী। ফুল ফুটবে, গান গাইবে পাখি, আকাশে সাত রঙা প্রজাপতির মেলা বসবে।!! অবাক পৃথিবী আশ্চর্য হয়ে তোমার পানে তাকিয়ে থাকবে।... গভীর আবেশে তোমার কোলেই ঘুমিয়ে পরবো আমি। হঠাৎ ঘুম ভাঙবে আমার। আমার রাজকন্যা টাও ঘুমিয়ে গেছে তাকিয়ে দেখবো, । তোমার চুল গুলো নেড়ে দিব এই আমি। তখনই তুমি জেগে উঠবে । ঘুম থেকে উঠেই দেখবে তোমার পাশে একটি লাল গোলাপ!! আমার পক্ষ থেকে গোলাপ টা তোমাকে শুভেচ্ছা জানাবে। অবাক হয়ে তাকাবে তুমি। গোলাপ টাকে বলবে, কিগো ফুল, সুগন্ধ নেই কেন তোমার? এই অবস্থা হল কি করে? গোলাপ বলবে, কি করে থাকবে সুবাস এক দেশে কি দুই রানী বাস করে???? #সাইকো
By kolpobazz
Friday, April 26, 2019
এই যে আমায় যখন বলিস, 'ও কলিজা' আলতো করে, ইচ্ছে করে খুন হয়ে যাই, বুকের উপড় আছড়ে পরে। বুকের সাথে বুক মিলিয়ে, মিশিয়ে ফেলি শরীর জুড়ে, 'ও বালিকা' 'গো বালিকা' তোর কি আমার মতই পরাণ পোড়ে? তুইও কি আমার মতন? ওমন ভাঙ্গিস, যেমন আমি? তোরও কি পরলে মনে, নাভীর খাঁজে শিরশিরানি? হাজার প্রজাপতি উড়ে, তোরও কি পেটের উপর? 'ও কলিজা' 'গো কলিজা' তোরও কি শুন্য লাগে বুকের ভিতর? ঝুম বর্ষার সন্ধ্যা বেলায়, দাড়াস কি তুই গ্রীল ধরে? আমায় ভেবে দিস ছুঁয়ে তুই, এমন শ্রাবণ হাত বাড়িয়ে? জল জমে তোর খুব অকারণ, আমার মতই চোখের আঁড়ে? 'কলিজা রে' 'ও কলিজা' তুই ডাকিস এমন জনম ভরে।
By kolpobazz
Wednesday, April 24, 2019
কাকে ম্যাসেজ দিব ।কার কাছে জানতে চাইবো কেমন আছো ? ,, সবাই তো ব্যস্ত ।ভিষন ব্যস্ত । ম্যাসেজ দেখার ই সময় পায় না ।আনসীন ই থেকে যায় প্রতিটি ম্যাসেজ ।শুধু শুধু অন্যকে বিরক্ত করা । ,, কাকে বলবোঃ ফোনটা একটু খোলা রেখো !কয়েক সেকেন্ড কথা বলতে চাই । ,, ফোনটা খোলাই থাকে শুধু কল দিলেই ডিসপ্লে ভেসে আসে ওয়েটিং বা শুনতে হয় সে এখন ব্যস্ত । ,, এখন আর কেউ ফ্রী থাকতে চায় না ।সবাই একটু কথা বলতে চায় ।জমিয়ে আলাপ করতে চায় কিম্বা দিতে চায় অল্প কিছু আড্ডা । ,, কার নরম হাত ধরে একটু ঘুরতে চাইবো ??...
By kolpobazz
“নীল শাড়ি তে খোলা চুলে আমার হাত ধরে হাটবে তুমি, অনেক বাতাসে যখন তোমার চুল তোমার মুখে এসে পরবে, তখন পরম মমতায় মুখ থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিব আমি। ছুঁয়ে দিব তোমার সুন্দর নিষ্পাপ মুখ টা। লজ্জায় তোমার সুন্দর মুখ টা লাল হয়ে যাবে। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকব আমি, আর তুমি আমাকে উপহার দিবে, তোমার অদ্ভুত সুন্দর নিষ্পাপ হাসি টা। যে হাসিতে ঝড়বে মুক্তো আর ফুটবে ফুল, কৃষ্ণচূড়া ফুল !! হারিয়ে যাব আমি সেই হাসি তে... আর তোমার পায়ে নুপুর পড়িয়ে দিব আমি। তুমি হাঁটবে আমি কান পেতে শুনবো তোমার নূপুরের ধ্বনি!! তোমার সুন্দর পা গুলোতে সুন্দর নুপুর বাজবে, আনমনে তাকিয়ে থাকবো আমি। হঠাৎ করেই তুমি জড়িয়ে ধরবে আমায়। তোমার শরীরের মিষ্টি গন্ধ আমার নাকে আসবে। আদরে আদরে শিহরিত হবে তুমি... এলোমেলো বাতাসে কোন এক রাজকন্যার শাড়ির আচল উড়ছে, তা দেখে চাঁদ মামা লজ্জায় পালাবে!! পুরো দুনিয়া অন্ধকার হওয়ার আগেই আরো একটা সুন্দর আলো আমার চোখে ভাসবে, তোমার আলোয় আলোকিত হবে পৃথিবী। ফুল ফুটবে, গান গাইবে পাখি, আকাশে সাত রঙা প্রজাপতির মেলা বসবে।!! অবাক পৃথিবী আশ্চর্য হয়ে তোমার পানে তাকিয়ে থাকবে।... গভীর আবেশে তোমার কোলেই ঘুমিয়ে পরবো আমি। হঠাৎ ঘুম ভাঙবে আমার। তাকিয়ে দেখবো, আমার রাজকন্যা টাও ঘুমিয়ে গেছে। তোমার চুল গুলো নেড়ে দিব আমি। তখনই জেগে উঠবে তুমি। ঘুম থেকে উঠেই দেখবে তোমার পাশে একটি লাল গোলাপ!! আমার পক্ষ থেকে গোলাপ টা তোমাকে শুভেচ্ছা জানাবে। অবাক হয়ে তাকাবে তুমি। গোলাপ টাকে বলবে, কিগো ফুল, সুগন্ধ নেই কেন তোমার??গোলাপ বলবে, এক দেশে কি দুই রানী বাস করে???? এটা যে শুধু ই আমার সপ্ন....
By kolpobazz
Tuesday, April 23, 2019
Monday, April 22, 2019
Sunday, April 21, 2019
Saturday, April 20, 2019
ভেবেছিলাম আর ফিরে তাকাবো না , ফিরে তাকাবো না আমার হৃদয়ের দিকে , আমার ভালোবাসার দিকে , আমার সুখ স্মৃতি গুলোর দিকে , সব কিছু ভেঙে তছ নছ করে দিয়ে চলে যাব অজানা দেশে , যেখানে আমি বেঁচে থাকবো মৃতের ন্যায় , হা মৃতের ন্যায় , কারন তোমাকে ছাড়া আমি ত মৃত ই , চলে তো আমি যাবোই আমাকে তো যেতেই হবে , তবুও কেন জানি ঈচ্ছা করছে বিদায়ের শেষ লগ্নে তোমাকে একবার দেখে যেতে হ্যাঁ শুধু মাত্র তোমাকেই ।। #সাইকো
By kolpobazz
Friday, April 19, 2019
#৪৩কবিতা এই, শোনো! আমায় কি চিনতে পারো? দাড়ি, কমা-ওসব বাদ, কিন্তু-কেনো! তাও ছাড়ো... তাকিয়ে দেখো নাকের উপর...শিশির ভেজা কত্ তো ঘাম.. আমি ঠিক-ই তোমায় চিনি, বলতেও পারি তোমার নাম। মনে আছে? দূর সে রাজ্যে, তুমি ছিলে রাজার মেয়ে!.. আমি তখন রাখাল বালক, লুকিয়ে তোমায় দেখতাম চেয়ে.. কতো-শতো সখী ছিলো! বায়নাও ছিলো পাটে পাটে আমার গল্প অল্প অল্প, ছড়িয়ে দিতাম মাঠে-ঘাটে চলতাম আমি হাঁটি হাঁটি, তোমার দুটি নিটল পায়ে.. থাকতাম দূর বন-পাহাড়ে....নাম না জানা অচীন গাঁয়ে.. জোছনা রাতে চাঁদ দেখতাম, ভাবতাম তুমি চাঁদের বুড়ি ভীষন তোমার রূপের আগুন....আজও দেখো কেমন পুড়ি! ভুলে গেছো চড়ুইভাতি? নেই তো মনে সে সব কথা!.. মন কি আর তোমার আছে? ভুলে যাওয়াই নিজস্বতা... আরে আরে! হাসছো কেনো? টোলও দেখি পড়ছে গালে উড়িয়ে দিলাম আমাকে ফের, বাঁকা হাসির হাওয়ার পালে.. অমন করে চেও নাকো....মরে গেছি সেই সে..কবে! আমার আগেই হাজার জনে...তোমার ছিলো...তোমার হবে.... জন্মাই আমি দেখতে তোমায়, পূজাও করি মাঝে মাঝে বারন যতোই করো জানি, ভাবছি আবার সকাল-সাঁঝে! এভাবেই তো যাচ্ছে জীবন, রাখাল নয়তো চাষার ছেলে.. গরীব তুমি হলে না আর....রাজার ঘরেই ফিরে এলে.. বলেছিলে, "একটু দাঁড়াও, অপেক্ষা আর কয়েকটা কাল... এখনই কেনো হার মেনে যাও? শক্ত করে ধরো তো হাল... সাতটি জনম পরেই দেখো, সত্যি আমি তোমার ঘরে... আমায় নিয়ে লিখবে গান....আবার কোনো জাতিস্বরে"... অপেক্ষা আজো চলছে আমার, জানিনা এর শেষ কবে আদৌ কি তুমি আমার ছিলে? কোনো দিনও আমার হবে? #সাইকো
By kolpobazz
Wednesday, April 17, 2019
আমি তোর আকাশ হব, সকাল বেলার সুয্যি হব গলি গলি অন্ধকারের ছাপাইখানার বাত্তি হব...... আমি তোর অ্যালার্ম হব, কলিংবেলের ঘণ্টি হব রাতদুপুরের ছেড়া ছালায় বস্তিবাসির শান্তি হব ! প্রথম বর্ষার কদম হব, দ্বিতীয় শীতের ভোর হব এক দু তিন নামতা আর সব ব্যঞ্জন-স্বর হব ! আমি তোর সিঁথি হব, তোর নাকের ঘাম হব তিন অক্ষরের চিঠির নামে দুই এক খাম হলুদ হব...... আমি একটু বন্য হব, বকুল ফুলের গন্ধ হব ছন্ন পাতায় রাফ খাতায় তোর ভুল অংক হব। আমি তোর হিস্ট্রি হব, বিকালের ঝালমুড়ি হব শেষরাতের শুকনা হাতে তোর সুড়সুড়ি হব...... তোর চোখের কাজল হব, তোর নামের নালিশ হব ঘুম না আসা কালো রাতে তোর মাথার বালিশ হব।। আমি তোর প্যারা হব, তোর দরজার কড়া হব তোর ঘরের ঠিকানাতে বেল তলার ন্যড়া হব আমি তোর ফ্যান হব, দুই এক ঘণ্টার লোডশেডিং হব বাস ট্রাক পুড়িয়ে দেয়া বিরোধীদলের পিকেটিং হব আমি তোর সেলফি হব, তোর ফোনের কভার হব, দুইএকটা রাত না ঘুমিয়ে, তোর আমার ঝগড়া হব আমি এবার সময় হব, তোর কাঁধের ভার হব তোর লাঠির ডান্ডি হয়ে তোর সাথের ক্লান্তি হব এবার আমি শ্রান্ত হব, তোর শেষ উইশ হব প্রথম প্রেমের স্যাকা খাওয়া তোর প্রেমিকের বিষ হব আমি তোর মৃত্যু হব, তোর কবরের বেড়া হব সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে তোর জোনাক-তারা হব !!
By kolpobazz
Tuesday, April 16, 2019
#৪২ কবিতা... আমি তোর আকাশ হব, নতুন দিনের সূর্য হব আধার রাতে সেই আকাশে জোনাক জলা বাত্তি হব । আমি তোর স্বপ্ন হব , রাত্রি বেলার চন্দ্র হব দুইএকটা রাত না ঘুমিয়ে, তোর আর আমার ঝগড়া হব ঘুম না আসা কালো রাতে তোর মাথারই বালিশ হব।। আমি তোর অ্যালার্ম হব, কলিংবেলের ঘণ্টি হব ছন্ন পাতায় রাফ খাতায় তোর ভুল করা এক অংক হব। রাতদুপুরের ছেড়া ছালায় বস্তিবাসির শান্তি হব ! আমি তোর সিঁথি হব, সিথির মাঝে মুকুট হব । তোর চোখেরই কাজল হব, তোর নামেরই নালিশ হব তিন অক্ষরের চিঠির নামে দুই এক খাম হলুদ হব...... আমি তোর হিস্ট্রি হব, ফিজিক্স আর কেমেস্ট্রি হব তোর মনের যাত্রি হয়ে তোর সাথের ক্লান্তি হব আমি প্রথম বর্ষার কদম হব, দ্বিতীয় শীতের ভোর হব শেষরাতের শুকনা হাতে তোর সুড়সুড়ি হব...... আমি তোর প্যারা হব, তোর দরজার কড়া হব তোর ঘরের ঠিকানাতে বেল তলারই ন্যড়া হব আমি তোর ফ্যান হব, কিছু ঘণ্টার লোডশেডিং হব বাস ট্রাক পুড়িয়ে দেয়া বিরোধীদলের পিকেটিং হব আমি তোর সেলফি হব, তোর ফোনের কভার হব, আলতো করে তোর হাতেরি উষ্ণ করা স্পর্শ নেব আমি এবার সময় হব, তোর কাঁধেরই বোঝা হব প্রথম প্রেমের স্যাকা খাওয়া তোর প্রেমিকের বিষ হব আমি তোর মৃত্যু হব, তোর কবরের বেড়া হব সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে তোর জোনাক ভরা -তারা হব !! #সাইকো
By kolpobazz
Monday, April 15, 2019
রাত আর বাকি কি আছে বল? আজ আর নিদ্রা যাবো না বাকি সময়টুকু তোমার হয়েই নাহয় পার করে দিলাম দিবা আলো ফুটলেই তো মুখর হব কোলাহলে তখন এত মুখের ভিড়ে তোমায় স্মরণ করার সময় কোথায় বল? তাই শুধু রাত হলেই তুমি ভর কর আমার মাঝে চারণ কর পুরো হৃদয় জুড়ে, তোমার পদধ্বনি বাজে মৃদু তালে হৃদয় যেন একরাশ বিশুদ্ধ অক্সিজেন পায়, আর সকল ফুলেরা গায় আর এইটুকু বিশুদ্ধতা নিয়েই তাদের দিন গুলো পার হয় দিন শেষ হতেই তাদের হাঁসফাঁস শুরু হয় একফোঁটা বিশুদ্ধ বায়ুর জন্য তাই তারা অপেক্ষারত থাকে অধীর হয়ে, কখন রাত হবে? আচ্ছা তোমার মনের একটুকু জায়গাও কি আলোকিত হয় আমার নামে? বা তোমার হৃদয় কাননে কি নতুন একটা ফুলও ফুটে যে ফুলের নাম আমি? আমি জানি তুমি কি বলবে, যাক ছেড়ে দেও সে কথা- তোমায় বৃথা কেনই বা প্রশ্ন করব, সেদিন কি আর আছে বল? তবুও মনের কোণে একটুকু অধিকার হুংকার ছাড়ে তোমায় ভেবে মাত্রই যে সময়টা বলি দিলাম, সে সময়ের অধিকার সেও শেষবারের মত একটি ইচ্ছাই জ্ঞাপন করে যায় তুমি কি সত্যিই আমায় ভাবো না প্রিয়তমা? একটি বারের জন্যও না? রাত অনেক হল। তুমি হয়তো নিদ্রারত কোন এক সোনেলা স্বপ্নে বিভোর হয়ে আর আমি? তোমায় নিয়েই নাহয় নতুন একটা আলোকিত ভোর দেখব ভোর এলেই আবার তোমায় ভুলে যাবো, নতুন মুখের মায়ায় বিভোর হব আবার রাত আসবে, নিয়ম করে নির্ঘুম রাত বলি দিয়ে যাবো তোমার নামে।
By kolpobazz
#৪১ কবিতা...। হঠাৎ রাতে বৃষ্টি এলে চুপটি করে থাকিস তুই। তোরে ছাড়া মেঘলা আকাশ একলা আমি কেমনে ছুঁই!! হঠাৎ রাতে বৃষ্টি এলে হাতটি মোর হাতেই রাখ। মেঘলা আকাশ চোখে এঁকে, উড়িয়ে দে পাখির ঝাঁক। হঠাৎ রাতে বৃষ্টি এলে হাত বাড়িয়ে থাকিস ছুঁয়ে। আমি না হয় আসব কাছে। হাজার বর্ষা রাত কাঁপিয়ে হঠাৎ রাতে বৃষ্টি এলে আলতো করে ঠোঁটের ভাজে একটুখানি মুচকি হাসি ছড়িয়ে দিস মনের মাঝে ! হঠাৎ রাতে বৃষ্টি এলে আমায় একটু মনে করিস ভালবাসতে না পারিস তো পারলে একটু ঘৃণা করিস। #সাইকো
By kolpobazz
#৪০কবিতা... থাক না কিছু কথা গোপন থাক না কিছু না বলা, এইতো আছি ভাল হয়তো হোক না একাকী পথচলা !! থাক না হৃদয়ের মাঝে সে নাহয় সে নাই বা জানুক, মনটা একা একা এভাবেই নীরবে তাকে আরও ভাবুক থাকনা সে একটু ভাল আমি পথের কাটা নাইবা হই আর, কিই বা আছে এই জীবনে যেখানে দাম নেই ভালবাসার ? থাক না সে অনেক দূরে আমি থাকবো না হয় পথ চেয়ে, পরুক না আরেকটু গরিয়ে ঝরনাধারা দু'চোখ বেয়ে ।। রাতের পড়ে রাত জেগে যাই সে না হয় স্বপ্ন দেখুক। আমার কথা না না ভাব্লেও হবে সে না হয় ভাল থাকুক। থাক না সে অন্যগ্রহে আমি নাহয় তাকে নাইবা পাবো, পৃথিবীতে আছি যে ক দিন তাকেই নাহয় ভালবেসে যাবো । #সাইকো
By kolpobazz
#৩৯ কবিতা... তোমাকে তালাবদ্ধ করে রেখেছি আমার হৃদয়ের ভেতরাগত কুঠুরিতে , এবং যার চাবি খানি আমি হরিয়ে ফেলেছি আমার ভালবাসার সুদীর্ঘ রাগ পথে সে চাবি হয়ত কোনদিন পাব না খুঁজে আর খুলতে পারবনা গোপন কুঠুরির দরজা , এবং তুমিও পাবে না মুক্তি কোন কালে সে ঘরেই বদ্ধ রেখে তোমায় দিচ্ছি মধুময় সাজা। তোমার কি ভয় হয় সেই গোপন কুঠুরিতে থাকতে ? আমি তো সঙ্গ দিচ্ছি তোমায় প্রতিটা নি:শ্বাসে , ভয় পেওনা ভেবনা তুমি একলা আমি আছি থাকব আজিবন তোমার পাশে । তাইতো তোমাকে তালাবদ্ধ করে রেখেছি আমার ভালবাসার মহান বিশ্বাসে । #সাইকো
By kolpobazz
#মনের কথা ১৪ মাঝে মাঝে মনের মানুষটাকে খুব বেশি আপন করে কাছে পেতে ইচ্ছে করে । ইচ্ছে করে মন খুলে বলি তাকে মনের গহিনে লুকিয়ে রাখা প্রতিটা অনুভূতি, ভালবাসার মিষ্টি মধুর প্রলাপ যে কথাগুলো তাকে বলার জন্য সাজিয়ে রেখেছি বুকের ভেতর অনেক যত্ন করে । যে অনুভূতি গুলো আমার স্বপ্ন দিয়ে রচনা করেছি শুধুই তার জন্য |
By kolpobazz
#মনের কথা ১৩ একটি সম্পর্কের মাঝে থাকে মিষ্টি যুদ্ধ, থাকে বিশ্বাস, থাকে স্বপ্ন, থাকে কান্না, থাকে অভিমান, থাকে মিষ্টি হাসি, থাকে যত্ন, থাকে খুনসুঁটি, থাকে ছোটোখাটো ঝগড়া, থাকে ধৈর্য্য, থাকে যোগাযোগ, থাকে না বলেও বঝে নেয়া অনেক অনুভূতি, থাকে ঈর্ষা, আর সবচাইতে প্রয়োজন যা থাকে তা-সেটা হলো ভালোবাসা।
By kolpobazz
Sunday, April 14, 2019
আমি তোর আকাশ হব, সকাল বেলার সুয্যি হব গলি গলি অন্ধকারের ছাপাইখানার বাত্তি হব...... আমি তোর অ্যালার্ম হব, কলিংবেলের ঘণ্টি হব রাতদুপুরের ছেড়া ছালায় বস্তিবাসির শান্তি হব ! প্রথম বর্ষার কদম হব, দ্বিতীয় শীতের ভোর হব এক দু তিন নামতা আর সব ব্যঞ্জন-স্বর হব ! আমি তোর সিঁথি হব, তোর নাকের ঘাম হব তিন অক্ষরের চিঠির নামে দুই এক খাম হলুদ হব...... আমি একটু বন্য হব, বকুল ফুলের গন্ধ হব ছন্ন পাতায় রাফ খাতায় তোর ভুল অংক হব। আমি তোর হিস্ট্রি হব, বিকালের ঝালমুড়ি হব শেষরাতের শুকনা হাতে তোর সুড়সুড়ি হব...... তোর চোখের কাজল হব, তোর নামের নালিশ হব ঘুম না আসা কালো রাতে তোর মাথার বালিশ হব।। আমি তোর প্যারা হব, তোর দরজার কড়া হব তোর ঘরের ঠিকানাতে বেল তলার ন্যড়া হব আমি তোর ফ্যান হব, দুই এক ঘণ্টার লোডশেডিং হব বাস ট্রাক পুড়িয়ে দেয়া বিরোধীদলের পিকেটিং হব আমি তোর সেলফি হব, তোর ফোনের কভার হব, দুইএকটা রাত না ঘুমিয়ে, তোর আমার ঝগড়া হব আমি এবার সময় হব, তোর কাঁধের ভার হব তোর লাঠির ডান্ডি হয়ে তোর সাথের ক্লান্তি হব এবার আমি শ্রান্ত হব, তোর শেষ উইশ হব প্রথম প্রেমের স্যাকা খাওয়া তোর প্রেমিকের বিষ হব আমি তোর মৃত্যু হব, তোর কবরের বেড়া হব সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে তোর জোনাক-তারা হব !!
By kolpobazz
#৩৮ কবিতা ... [ প্রাক্তন ] আজ মনেতে বৈশাখী ঝর নতুন প্রেমের আস্বাদন শাসন বারন মানছো না তাই উড়ছো শুধু পাখির মতন । আজ যে প্রেম লাল সোহাগি কাল হবে তা পরকীয়া... পুড়বে গোলাপ ডায়রির ভাঁজে বুকের ভেতর ভাঙবে হিয়া। নরম গালে মসৃন আদর, বসন্তে ডুববে প্রেমিকের দল... রোদন করবে গহীন অরণ্য দ্বিধা-আড়িতে বৃষ্টি-বাদল। জমবে ধূলো কবির কফিনে, সাদা গোলাপ ফুটবে পাশে... কেউ মনে রাখে না প্রাক্তন ছেঁড়া কবিতা উড়বে বাতাসে।
By kolpobazz
Saturday, April 13, 2019
#৩৭ কবিতা ... তুমি আমার ত্রিসিমানায় আসলেই আমি জেনে যাই, হয়তো তুমি যানতেও পারবে না কোনোদিন। তোমার পদধনি, বহুদুরে ভেসে আসা তোমার কণ্ঠস্বর, সব, সবই আমার মুখস্ত। তাই চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি তুমি কোথায় আছো কি করছ হয়তো তোমায় কাছে পাইনি কখনও। হয়ত ভালবাসি বলিনি কোন দিনও। হয়ত বা বলা ও হবেনা। -_- তবুও তুমি থাকবে আমার হৃদয় জুড়ে তোমায় হয়ত ভোলা যাবে না প্রিয়তমা :) #সাইকো
By kolpobazz
Friday, April 12, 2019
#৩৬ ভালোবাসার সম্পর্ক গুলোর মাঝে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক হল ঐ দুটি মানুষের ... যারা থাকে দুনিয়ার দুই প্রান্তে ... দুজনের মাঝে হয়না দেখা সামনা সামনি ...... হাত ধরে বসে থাকা হয়না ... একটু ছুঁয়ে দেখা হয়না ... বৃষ্টি পরলে দুটি মন ব্যাকুল হয়ে যায় এক সাথে ভিজবে বলে ... অনেক ইচ্ছে অপূরণ থেকে যায় ... কোনও চাওয়া পাওয়া থাকেনা ... তারপরেও দিনের পর দিন মাসের পর মাস একে অপরের জন্য মরিয়া উন্মাদ হয়ে থাকে ... শুধু মাত্র একটি আশার উপর একদিন তাদের সব স্বপ্ন বাস্তব হবে একে অপরের খুব কাছে থাকবে .... ...!! #সাইকো
By kolpobazz
Thursday, April 11, 2019
#মনের কথা ৫ হয়তো আমি ভেবে ছিলাম তুমি আমার হবে, তাই তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম । সেটাই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো । কিন্তু , তোমাকে ভালো না বাসলে, আমি ভালোবাসার কষ্ট টাই অনুভব করতে পারতাম না । তবুও তোমার জীবনকে অভিশাপ্ত করবো না, কারন, আমি আজ ও তোমায় ভালোবাসি, আমার সব টুকু সুখ কেঁড়ে নিয়েছো, কিন্তু , আমার মনে লুকানো ভালোবাসা গুলো তুমি নিতে পারো নি । এটাই যে আমার বেঁচে থাকার সম্ভল । তাই নিয়ে বেচে আছি :)
By kolpobazz
#মনের কথা ৩ সারাটা দিন যেভাবে সেভাবে কেটে যায় ... শত কষ্টের পরও তোমাকে ভুলিয়ে রাখি নিজের মাঝে! কিন্তু জানো ??... যখনি দিন শেষে বালিশে মাথাটা লাগিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করি ,আমি জানিনা ঠিক তখনই কোত্থেকে সেই কয়েক মুহুর্তে যেনো তুমি কিভাবে চলে আসো ! আমি আসলেই বুঝিনা আর এক মুহুর্ত ও পারিনা তোমাকে ছাড়া থাকতে এক নিমিষেই মনে হয় ছুটে যাই তোমার কাছে ...
By kolpobazz
Wednesday, April 10, 2019
#৩৪ কবিতা... জানো আজ মধ্যরাতে তোমাকে আমি আবারো স্বপ্নে দেখেছি। জানিনা কেনো আমি তোমাকে বার বার স্বপ্নে দেখছি? হয়তোবা তোমার কথা সারাদিন ভাবি বলে। জানিনা তুমি ঘুমের মাঝে কখন চলে আসো? তবে জানো মাঝে মাঝে বুকের মাঝে একটা স্পর্শ অনুভব করি ঠিক যেন সেই হাতের ছোঁয়া।এখন আমি জানিনা সত্যি কি আমি তোমার স্পর্শ আনুভব করেছি নাকি শুধু স্বপ্নেই দেখেছি? হয়তোবা এই স্পর্শটাই আমার কাছে তোমার ভালোবাসা।সবাই ভালোবাসতে পারেনা, আমিও পারিনা। ভালোবাসতে পারলে হয়তো আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারতেনা? তবে আমি শুধু জানি আমি তোমাকে ভালোবাসি। জানো এটা ভাবতে খুব খারাপ লাগে তুমি আমার পাশে নেই। তবে এমন দিনে তোমার হাতে হাতটা রেখে বলতে ইচ্ছে করছে আমি তোমাকে আজও ভালোবাসি, সত্যিই ভালোবাসি, অনেক বেশি ভালোবাসি……… #সাইকো
By kolpobazz
#৩৩ কবিতা... আমি আছি... থাকবো শেষ দিন পর্যন্ত... তোর পাশে, তোর সাথে, তোর মাঝে...! হয়তো কখনো সকালের রদ্দুর হয়ে তোর ঘুম ভাঙ্গাবো.., হয়তো তোর চায়ের কাপে ছোট্ট একটা পিপড়ে হয়ে ভেসে থাকবো...! কখনো হয়তো লাল মেহেদী হয়ে তোর হাতের মাঝে থাকবো..., হয়তো কখনো বাতাস হয়ে তোর এলো চুল গুলোকে ছুঁয়ে যাব...! কখনো হয়তো চশমার গ্লাস হয়ে তোর চোঁখটা জুড়ে থাকবো..., হয়তো কখনো নূপূর হয়ে তোর পাঁয়ের মাঝে বাঁজবো...! প্রখর রোঁদে হয়তো এক বিন্দু ঘাম হয়ে তোর নাকের ডগা বেঁয়ে গড়িয়ে পড়বো.., হয়তোবা কোঁয়াশা ঢাকা ভোঁরে শিঁশির হয়ে তোর পথ ভিঁজিয়ে যাব..., আর নাহয় এক পশলা বৃষ্টি হয়ে তোকেই ভিজিয়ে দিয়ে যাবো! আমি আছি,.. আমি থাকবো.... হয়তো অনেক গোপনে খুব যতনে আগলে রাখা স্মৃতি হয়ে আসবো..., হয়তোবা তোর নীল আকাশে এক টুকরো মেঘ হয়ে ভাঁসবো...! হয়তোবা খুব ক্লান্তিতে তোর চোঁখের পাতায় পরশ হয়ে তোকে ঘুঁম পাড়িয়ে দিয়ে যাব..., হয়তোবা খুব নীরবে তোর অগোচরে তোর স্বঁপ্নটাকে সাজিয়ে দিয়ে যাব...! আমি আছি,... থাকবো শেষ দিন পর্যন্ত তোর পাশে, তোর সাথে, তোরই মাঝে!!...
By kolpobazz
মনের কথা ৩ সারাটা দিন যেভাবে সেভাবে কেটে যায় ... শত কষ্টের পরও তোমাকে ভুলিয়ে রাখি নিজের মাঝে! কিন্তু জানো ??... যখনি দিন শেষে বালিশে মাথাটা লাগিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করি ,আমি জানিনা ঠিক তখনই কোত্থেকে সেই কয়েক মুহুর্তে যেনো তুমি কিভাবে চলে আসো ! আমি আসলেই বুঝিনা আর এক মুহুর্ত ও পারিনা তোমাকে ছাড়া থাকতে এক নিমিষেই মনে হয় ছুটে যাই তোমার কাছে ... মনের কথা ৪ চোঁখের যত জল,মনের ব্যাথা ভয় তুমি দাও আজ করে উজার আমি নেবো আপন করে''' যেন সেই সবই ছিল আমার যত দিন আছি আমি খুজবো তোমায়''' দেখবো এর শেষ কোথায় যত আমি পাশাপাশি সীমানা দুরে দেখা যায়''' মনের কথা ৫ হয়তো আমি ভেবে ছিলাম তুমি আমার হবে, তাই তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম । সেটাই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো । কিন্তু , তোমাকে ভালো না বাসলে, আমি ভালোবাসার কষ্ট টাই অনুভব করতে পারতাম না । তবুও তোমার জীবনকে অভিশাপ্ত করবো না, কারন, আমি আজ ও তোমায় ভালোবাসি, আমার সব টুকু সুখ কেঁড়ে নিয়েছো, কিন্তু , আমার মনে লুকানো ভালোবাসা গুলো তুমি নিতে পারো নি । এটাই যে আমার বেঁচে থাকার সম্ভল । মনের কথা ৬ আমি হয়তো দেখতে কালো, তবুও তোমায় বেসেছি ভালো । তুমি হয়তো অনেক ধনী, যা আমি হতে পারবোনা কোনো দিনৈ । তবুও যদি আমায় বাসো ভালো , আধারে থেকেও তোমায় দিবো সুখের আলো মনের কথা ৭ সময় তো চলে যায় , কতো হাসি বেদনায় ... জীবন চলে যায় , দুঃখ জ্বালা যন্ত্রনায় ... স্বপ্ন আসে চুপি চুপি , কল্পনায় ভেসে যায় ... বসে থাকি নিরবে , শুধু তোমার'ই অপেক্ষায় ! মনের কথা ৮ যখন কেউ কাঁদে, সেটা হলোঃ আবেগ । যখন কেউ কাঁদায়, সেটা হলোঃ প্রতারণা । আর যখন কেউ অন্য কে কাঁদিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলে, সেটা হলোঃ ভালোবাসা । মনের কথা ৯ তুমি নেই বলে, রাত আসে চাঁদ হাসে না। তুমি নেই বলে, ফুল ফোটে ভ্রোমর আসেনা। তুমি নেই বলে, ভোর হয় পাখি ডাকে না। তুমি নেই বলে, একা একা কিছু ভালো লাগে না | মনের কথা ১০ মিথ্যা ভালোবাসা মাটির পুতুলের মত, অল্প আঘাতে ভেঙে যায় । কিন্তু খাঁটি ভালোবাসা হল পানির মত, যা শত শত আঘাতের পরও আবার মিলে যায়। মনের কথা ১১ আমি তোমাকে সারা জীবন একা একাই ভালবেসে যাব,, আমি কখনো তোমার কাছ থেকে ভালবাসা,, চাইব না..কারণ আমার ভয় হয় যদি তুমি আমায় স্বার্থপর ভাবো মনের কথা ১২ হয়তো সেই ভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারবো না, তবে এতো টুকু বলতে পারিঃ আমার মতো করে কেউ তোমাকে এতো বেশি ভালোবাসতে পারবে না, এতো বেশি মিস করবে না । মনের কথা ১৩ একটি সম্পর্কের মাঝে থাকে মিষ্টি যুদ্ধ, থাকে বিশ্বাস, থাকে স্বপ্ন, থাকে কান্না, থাকে অভিমান, থাকে মিষ্টি হাসি, থাকে যত্ন, থাকে খুনসুঁটি, থাকে ছোটোখাটো ঝগড়া, থাকে ধৈর্য্য, থাকে যোগাযোগ, থাকে না বলেও বঝে নেয়া অনেক অনুভূতি, থাকে ঈর্ষা, আর সবচাইতে প্রয়োজন যা থাকে তা-সেটা হলো ভালোবাসা। মনের কথা ১৪ জীবনে যদি কাওকে সত্যিইমন থেকে ভালবাসো, তাহলে তাকেহারিয়ে যেতে দিওনা।কারণ চোখের জল হয়তো মুছতে পারবে,কিন্তু হৃদয়ের কান্নারজল কোনোভাবেই মুছতে পারবেনা। মনের কথা ১৫ মাঝে মাঝে মনের মানুষটাকে খুব বেশি আপন করে কাছে পেতে ইচ্ছে করে । ইচ্ছে করে মন খুলে বলি তাকে মনের গহিনে লুকিয়ে রাখা প্রতিটা অনুভূতি, ভালবাসার মিষ্টি মধুর প্রলাপ যে কথাগুলো তাকে বলার জন্য সাজিয়ে রেখেছি বুকের ভেতর অনেক যত্ন করে । যে অনুভূতি গুলো আমার স্বপ্ন দিয়ে রচনা করেছি শুধুই তার জন্য | মনের কথা ১৬ জানি কেউ আমাকে আমার মতো করে ভাবে না ,, তাই নিজেকে আড়াল করে রাখি ..কেননা আমি কারো কষ্টের কারণ হয়ে চাই না ..কষ্ট পেতে ভালবাসি কষ্ট দিতে নয় মনের কথা ১৭ যাকে তুমি পাবে না, তাকে নিয়ে ভেব না, সে শুধু দিয়ে যাবে,দুঃখ,কষ্ট আর বেদনা | কারন, ভালবাসা বড়ইস্বার্থপর আর ভাল না বাসাই উত্তম কেননা ভালবাসার পূর্ন্য সংজ্ঞা কেউ জানে না...... মনের কথা ১৮ জীবনে কিছু কিছু প্রশ্ন থাকে যার উত্তর কখনো মিলেনা। কিছু কিছু ভুল থাকে যা শুধরানো যায়না। আর কিছু কিছু কষ্ট থাকে যা কাউ কে বলা যায় না. মনের কথা ১৯ ভালবাসা শুরু হয় কিন্তূ শেষ হয় না, হয়ত এক সময় ভালবাসার মানুষ টা হারিয়ে যায়... কিন্তূ তার ভালবাসা কখনো হারায় না... মনের ঘরে রয়ে যায় আজীবন.... মনের কথা ২০ হতাম যদি ভালবাসার কারিগর, রাখতাম না এই পৃথিবীতে কোন স্বার্থপর ... ভালবাসতাম শুধু ভালবাসাকে, ধ্বংস করতাম ভালবাসা নামে ছলনাকারী সেই সব অপরাধিকে . মনের কথা ২১ আসলে জীবনটাকে রঙিন করে রাঙাতে কোন রঙ তুলির প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন হয় একজন ভালো সঙ্গীর। মনের কথা ২২ সত্যিকারের ভালোবাসার জন্য সুন্দর চেহারা বা অঢেল টাকার প্রয়োজন নেই.., একটি সুন্দর আর পবিত্র মনই এর জন্য যথেষ্ঠ. মনের কথা ২৩ কেউ কারো পরিপূরক হতে পারে না, প্রতিটি জীবনই কারো না কারো ভালবাসার মায়ায় বাঁধা। মনের কথা ২৪ হঠাৎ করে পাওয়া সুখ আর হঠাৎ করে আসা ভালোবাসা এই দুটো জিনিসের মধ্যে অনেক মিল, কারন দুটো জিনিসই বেশির ভাগ সময় ক্ষণস্থায়ী হয়।যেমনই হঠাৎ করে আসে তেমনি হঠাৎ করে জীবন থেকে হারিয়ে যায়,মাঝে শুধু রেখে কিছু না ভুলতে পারার মত স্বৃতি. মনের কথা ২৫ অন্যের কাছে তুমি কেমন সেটা ভেবনা, তুমি নিজের কাছে কেমন সেটা ভাব ... তাহলেই বুঝবে তুমি ভাল না খারাপ ... জীবনে সুন্দর মানুস নয়, ভাল মানুষ প্রয়োজন মনের কথা ২৬ আর কোন চাওয়া নেই, আছে না পাবার যন্ত্রণা ! চোখে কোন স্বপ্ন নেই, আছে বুক ভাঙ্গা কান্না ! আর কোন আশা নেই, আছে শুধু হতাশা ! তবুও তোমার জন্যে কোন ঘৃণা নেই,আছে সীমাহীন ভালোবাসা
By kolpobazz
#৩২ কবিতা ... ধর্ষক ধর্ষণে ধর্ষণে .. একটি ফুলের মতো নরম শরীরকে শুধু রক্তাক্ত করে না, রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত করে তার স্বপ্ন আশা, ভালোবাসা আর ভরসা। তার ফুলের মতো গন্ধময় জীবনটা হয়ে ওঠে পঙ্কিল গন্ধময় । বিপরীত লিঙ্গের প্রতি শ্রদ্ধাবোধকে সে চিরতরে হারায় । শরীরের রক্তটা মুছে যায়, ক্ষতটাও শুকিয়ে যায় । ব্যথাটাও মুছে যায় একসময়। কিন্তু, তারপরেও গোটা জীবনধরে মনের মধ্যে রক্তপ্রবাহের ধারা বইতে থাকে সবসময় । থামে না কিছুতেই কুরে কুরে খায় সে ক্ষণে ক্ষণে। ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দিয়ে, না বলা অনেক অভিশাপ আর আভিযোগ লিখতে থাকে সে মনে মনে। এই দায়ভার কে নিবে? কেউ নিবেনা ,কেউ না। আমি তুমি লিখেই যাব , উপরে উপরে বলেই যাব। কিন্ত সুযোগ পেলে তুমি আমিও নারীর মনে , শরীর জুরে কামর দিতে ছাড়ব না। #সাইকো
By kolpobazz
#৩২ কবিতা ... ধর্ষক ধর্ষণে ধর্ষণে .. একটি ফুলের মতো নরম শরীরকে শুধু রক্তাক্ত করে না, রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত করে তার স্বপ্ন আশা, ভালোবাসা আর ভরসা। তার ফুলের মতো গন্ধময় জীবনটা হয়ে ওঠে পঙ্কিল গন্ধময় । বিপরীত লিঙ্গের প্রতি শ্রদ্ধাবোধকে সে চিরতরে হারায় । শরীরের রক্তটা মুছে যায়, ক্ষতটাও শুকিয়ে যায় । ব্যথাটাও মুছে যায় একসময়। কিন্তু, তারপরেও গোটা জীবনধরে মনের মধ্যে রক্তপ্রবাহের ধারা বইতে থাকে সবসময় । থামে না কিছুতেই কুরে কুরে খায় সে ক্ষণে ক্ষণে। ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দিয়ে, না বলা অনেক অভিশাপ আর আভিযোগ লিখতে থাকে সে মনে মনে। এই দায়ভার কে নিবে? কেউ নিবেনা ,কেউ না। আমি তুমি লিখেই যাব , উপরে উপরে বলেই যাব। কিন্ত সুযোগ পেলে তুমি আমিও নারীর মনে , শরীর জুরে কামর দিতে ছাড়ব না। #সাইকো
By kolpobazz
মায়াবতী..☺️☺️ -হুম বোলো ভালবাস ? -হুম ভালবাসি 😍 তোমার কলিজার থেকেও বেশি -হুম অন্নেক বেশি 😍😍 : তাহলে ধরো এমন ই এক রাতে যদি তোমার কলিজা কেটে তোমার সামনে নিয়ে বলি দেখ এই যে আমি আর তোমার কলিজা তোমার সামনে । এখান থেকে একটাকে বেছে নাও যেটা সবথেকে ভালবাস তুমি বেশি। তখন তুমি আমায় বেছে নিতে পারবে কি ? 🙄🙄 -মায়াবতী চুপ হয়ে আছে উত্তর দিচ্ছে না । : হয়ত নিজের কাছে পরাজিত আজ আমার মায়াবতী :) : সত্যি বলতে দিনশেষে হিসেব মিলিয়ে দেখি প্রত্যেকেই আমরা আসলে নিজেকেই সবথেকে ভাল বাসি :) #সাইকো
By kolpobazz
Friday, April 5, 2019
মনে হচ্ছে দিন দিন একটু একটু করে বাড়ছে পাগল হবার ডোজটা । :( [ বউ বিভ্রাট ] #সাইকো ঘুম থেকে উঠেই মনে হল আজ শুক্রবার ...। তারাতারি গোসল করা দরকার ।☺️ ওয়াশরুমে যেতেই দেখি ভিতরে ঝর্না ছাড়া , তাই ভাবলাম বউ হয়ত গোসল করছে , উফ আজ তাহলে জম্পেস হবে গোসলটা 😍😍😍 এই জন্য বউ বউ করে ডাকছি আধা ঘন্টা ধরে কিন্ত কোন সাড়া পাচ্ছি না। প্রচুর চিন্তা হল ্,😔😔 কি হল বউটার ্, আবার মাথা ঘুরে পড়ে টরে গেল কিনা।😟 দরজাটাও লক করা , ভিতরে কি হচ্ছে বুঝতেও পারছিনা। নাহ আর ভাবতে পারছিনা । তাই ভেঙ্গেই ফেললাম দরজাটা ।🤠 কিন্ত একি ্,🧐🧐 দরজা ভেঙ্গে দেখি ঝর্না থেকে পানি পরছে কিন্ত ভিতরে ফাকা।😱😱 আশেপাশে বউ ত ভাল ব এর ছিটে ফোটাও নাইক্কা। কি হছে আমার সাথে বুঝতে পারছিলাম না তাই ... 🥺🥺 আমার কলিজার দুস্ত Tajrian রে ফোন দিয়া কইলাম দোস্ত বল তো কেমন হইল ব্যপারটা। আমার বউ গোসল করতেছিল কিন্ত এখন দেখি গোসলখানা ফাকা।😭😭 আমার কথা শুইনা ও কইল আরে ছাগল গোসল খানায় তোর বউ আসবে কইত্তে তুই তো বিয়াই করস নাই বলদটা।😂😂 ওর কথা শুনে মনে হল হ কথা তো সত্যি ।।😳😳 আমি তো বিয়াই করলাম না বউ আসবে কোত্থেকে। আর এরপর ই মনে পরল ধুরু ... রাতে ওয়াশরুম লক কইরা রাখছিলাম গোসল কইরা। কিন্ত ঝর্না আর বন্ধ করি নাইকা। ভাবছিলাম বউরে নিয়া আরামসে একটু গোসল করুম তা আর হলনা। 😭😭 আইজ শুক্রবার দিন্টাও ছ্যকা খেয়েই কাটিইয়ে দিতে হল ... প্রেম পাওয়া আর হল না। #এই সব দোষ আপনার সুবাহ কাল রাতে আপ্নে দুলাইভাই দুলাইভাই না করলে আজ এমন হত ই না 🤬🤬🤬🤬🤬
By kolpobazz
মনে হচ্ছে দিন দিন একটু একটু করে বাড়ছে পাগল হবার ডোজটা । :( [ বউ বিভ্রাট ] #সাইকো ঘুম থেকে উঠেই মনে হল আজ শুক্রবার ...। তারাতারি গোসল করা দরকার ।☺️ ওয়াশরুমে যেতেই দেখি ভিতরে ঝর্না ছাড়া , তাই ভাবলাম বউ হয়ত গোসল করছে , উফ আজ তাহলে জম্পেস হবে গোসলটা 😍😍😍 এই জন্য বউ বউ করে ডাকছি আধা ঘন্টা ধরে কিন্ত কোন সাড়া পাচ্ছি না। প্রচুর চিন্তা হল ্,😔😔 কি হল বউটার ্, আবার মাথা ঘুরে পড়ে টরে গেল কিনা।😟 দরজাটাও লক করা , ভিতরে কি হচ্ছে বুঝতেও পারছিনা। নাহ আর ভাবতে পারছিনা । তাই ভেঙ্গেই ফেললাম দরজাটা ।🤠 কিন্ত একি ্,🧐🧐 দরজা ভেঙ্গে দেখি ঝর্না থেকে পানি পরছে কিন্ত ভিতরে ফাকা।😱😱 আশেপাশে বউ ত ভাল ব এর ছিটে ফোটাও নাইক্কা। কি হছে আমার সাথে বুঝতে পারছিলাম না তাই ... 🥺🥺 আমার কলিজার দুস্ত Tajrian রে ফোন দিয়া কইলাম দোস্ত বল তো কেমন হইল ব্যপারটা। আমার বউ গোসল করতেছিল কিন্ত এখন দেখি গোসলখানা ফাকা।😭😭 আমার কথা শুইনা ও কইল আরে ছাগল গোসল খানায় তোর বউ আসবে কইত্তে তুই তো বিয়াই করস নাই বলদটা।😂😂 ওর কথা শুনে মনে হল হ কথা তো সত্যি ।।😳😳 আমি তো বিয়াই করলাম না বউ আসবে কোত্থেকে। আর এরপর ই মনে পরল ধুরু ... রাতে ওয়াশরুম লক কইরা রাখছিলাম গোসল কইরা। কিন্ত ঝর্না আর বন্ধ করি নাইকা। ভাবছিলাম বউরে নিয়া আরামসে একটু গোসল করুম তা আর হলনা। 😭😭 আইজ শুক্রবার দিন্টাও ছ্যকা খেয়েই কাটিইয়ে দিতে হল ... প্রেম পাওয়া আর হল না। #এই সব দোষ আপনার সুবাহ কাল রাতে আপ্নে দুলাইভাই দুলাইভাই না করলে আজ এমন হত ই না 🤬🤬🤬🤬🤬
By kolpobazz
Thursday, April 4, 2019
কফি শপটার ঠিক সামনেই তার সাথে প্রথম দেখা।সে উদভ্রান্তেরর মতো বসে ছিল। দেখেই বুঝলাম হয়ত ছিনতাইকারীর হাতে খোঁয়া গেছে তার ব্যাগ, মোবাইল ও টাকা-পয়সা। তারপর ও জিজ্ঞেস করলাম ‘আপনার কি কোনো প্রবলেম হয়েছে?’ মেয়েটি কথা বলতে পারছিল না।সুধু ফুপিয়ে ফুপিয়ে প্রচন্ড কান্না করছিলো। তবুও কোনোমতে টলতে টলতে এসে পাসে দাড়াল এরপর খুলে বলল সব। . তারপরই, একটু একটু করে আমাদের হাতে হাত রেখে পথচলা শুরু। পড়ন্ত বিকেলে ওর কাঁধে মাথা রাখার গল্প শুরু। এই মেয়েটাকে কেন যেন আমি খুব বুঝতাম। একটু-আধটু না। অনেক- অনেক বুঝতাম। আর ভালোবাসা? সেটা ছিলো প্রচন্ড রকমের। এবং শেষে, সেই মেয়েটাই একদিন আমার বিশ্বাসের উপর চরম আঘাত হানে। আমার বিশ্বাস, আমার ভালোবাসা সব গুড়িয়ে দিয়েছে। জান্নাত এখন আমার সামনে বসা। নিজ ইচ্ছেতে বসে নেই। আমি জোর করে বসিয়ে রেখেছি। শক্ত মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছি। মুখে ভারী স্কচটেপ পেঁচিয়ে রেখেছি। ওর সামান্যতম নড়বার শক্তিটুকু নেই। আমি খুব ঠান্ডা মাথায় ইস্ত্রী গরম করছিলাম হাই ভোল্টেজে। ওর হাতের তালুতে ভারী গরম আয়রন চেপে ধরলাম। আস্তে আস্তে আয়রন করতে লাগলাম। ওর চিৎকারটা বেরিয়ে আসতে পারছে না মুখে স্কচটেপ দিয়ে বাঁধার কারণে। যেই হাত দিয়ে ও আমার হাতে হাত রেখে সারাজীবন থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, সেই হাত দিয়ে ও অন্য ছেলেদের শরির ছুঁয়েছে, তাদের আলিংগন করেছে,তাদের ভোগের বস্তু হয়েছে। আমার পবিত্র ভালোবাসাকেও পিষে মেরে ফেলেছে। ওর হাতের তালুর মাংস পোড়া গন্ধ বের হচ্ছে। আমি কয়েক সেকেন্ডের জন্য বিরতি দিলাম। ঠান্ডা গলায় বললাম-‘আমি এমনটা করতে চাই নি জান্নাত, বিশ্বাস করো এমনটা করতে চাই নি। তুমি আমাকে বাধ্য করেছো। জান্নাতে’র চোখের কোণ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। তীব্র কষ্টে মনে হয় এ রকমটা ঘটে। আমি ওর চুলে হালকা করে বিলি কেটে দিলাম। “আমাদের ভালোবাসাটা কত নিষ্পাপ ছিলো, তাই না জান্নাত?”-আমি ইস্ত্রী গরম করতে করতে বললাম ওকে। “আমি কতটা সুখী ছিলাম তোমাকে নিয়ে। কত স্বপ্নও দেখে ফেলেছিলাম। আমাদের একটা সংসার হবে। ঘর আলো করে একটা বাচ্চা থাকবে। আমি রাত করে অফিস থেকে বাসায় ফিরলে তুমি অভিমান নিয়ে বসে থাকবে। আমি মিষ্টি করে রাগ ভাঙ্গাবো”। নাহ সব সপ্ন ভেস্তে গেল। আমি আয়রন টা ওর অন্য হাতে চেপে ধরলাম। ও থরথর করে কাঁপতে লাগলো। তীব্র ব্যাথায় ওর শরীর নীল হয়ে যাচ্ছে। আমি হাসছি,, কেননা নিল রঙ আমার অনেক প্রিয়। : কলেজ থেকে পিকনিকে যাওয়ার একটা ডেট পড়লো। আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। জান্নাত’ও আমাকে বললো-‘হ্যাঁ, যাও। একটু ঘুরে আসা উচিত। সারাদিন তো কত ব্যস্ত থাকো পড়াশোনা নিয়ে। একদিন সবার সাথে না হয় একটু ঘুরে আসো। মনটাও ফ্রেশ হবে” আমি মন খারাপ করে বললাম-তোমাকে ছাড়া যেতে একদম ভালো লাগছে না। ও মুচকি হেসে বললো-‘আর তো কয়েকটা বছর। তারপরই তো আমরা সারাজীবন একসাথে থাকবো।” যাওয়ার দিন আমার প্রচন্ড মাইগ্রেনের ব্যাথা উঠলো। আমি উঠতে পারছিলাম না ব্যাথায়। যতক্ষণে কিছুটা স্বস্তি ফিল করলাম ততক্ষণে পিকনিক বাস মিস করে ফেলেছিলাম। খুব মন খারাপ হলো। তৎক্ষণাৎ ভাবলাম, থাক ও আছে তো। ওর বাসায় চলে যাই। ওকে নিয়ে সারাটা দিন থাকি। জান্নাতের’র বাসায় গিয়ে ওর রুমের দরজা আমাকে নক করতে হয় নি। জানালা দিয়ে যখন ওকে ডাকতে যাবো তখন এক মুহর্তের জন্য রুমের ভেতরের দৃশ্য দেখে আমি পাথর হয়ে গেলাম। আমার জান্নাত তো এটা? হ্যাঁ, আমার জান্নাত অন্য একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে পাগলের মতো ঘন চুম্বনে নিজেদের আবদ্ধ করে রেখেছে।ছেলেটা জান্নাতকে মনে হচ্ছে হিংস্র জন্তুর মত খাব্লে খাবলে খাচ্ছে।আর জান্নাত.. জান্নাতের হাত ছেলেটার পিঠ খামচে ধরে আছে -উফফ, আমি আর এ দৃশ্যটা সহ্য করতে পারছি না। টলতে টলতে কোনোমতে বাসায় আসলাম। কি আশ্চর্য! মাথা ব্যাথাটা যেনো নিমেষে উধাও হয়ে গেলো। : আমি শান্ত চোখে জান্নাতের’র দিকে তাকালাম। তীব্র মাংস পোড়া গন্ধ বের হচ্ছে। হাতের রগ পুড়ে কালশিটে হয়ে গেছে। হাড়ের নরম মাংস উঁকি দিচ্ছে। যাক…পুড়ে যাক। ওর এ দু’হাতে ও আমার দু’হাত ছুঁয়েছিলো। আমার স্পর্শটা মুছে দিতে হবে তো। একটা আয়না এনে ওর সামনে রাখলাম। কাঁটা চামচ দিয়ে ওর ডান চোখটা খুব সযতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেললাম। আয়নাটা রাখলাম যাতে আরেক চোখ দিয়ে ও এই বীভৎস দৃশ্যটা দেখতে পারে। ও হিস্টরিয়া রোগীর মতো কাঁপতে লাগলো। আমি ওর মুখ থেকে স্কচটেপ টা সরিয়ে দিলাম। জান্নাত পাগলের মতো বলতে লাগলো-‘আমাকে মেরে ফেলো শান্ত। আমাকে মেরে ফেলো। এভাবে কষ্ট না দিয়ে আমাকে মেরে ফেলো।” কি আশ্চর্য! এই মেয়েটার সাথে না আমার সারাজীবন পাশাপাশি চলার কথা ছিলো। একটা পৃথিবী গড়ার কথা ছিলো। আর, এ মেয়েটাই এখন আমার কাছে মৃত্যু চাচ্ছে। . আমি ও’র চিবুকে হাত ছোঁয়ালাম। গলগল করে রক্ত পড়ছে। সেই রক্তে আমার হাত ভিজে চপচপ হয়ে গেছে। একটা আঙ্গুল আলতো করে ওর গালে ছুঁইয়ে বললাম-‘এত তাড়া কিসের, ডার্লিং। একটু শান্ত হও’ একটা ফল কাটার ধারালো ছুরি আনলাম। ওর আঙ্গুলগুলোর ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটা নিখুঁত পোচ দিলাম। ওর এই আঙ্গুলগুলোর ফাঁকে আমার আঙ্গুল ছিলো। মাঝে অন্য কারো স্পর্শ কি করে থাকতে পারে। প্লাস দিয়ে আমি ওর নখগুলো উপড়ে ফেলতে ফেলতে বললাম- ‘মনে আছে পাগলি, এই হাত, এই আঙ্গুল আমাকে কত শান্তনা দিতো। কত ভরসা দিতো। মনে আছে, মনে আছে তোমার? বলো না…. ছলনাময়ীরা সহজে জ্ঞান হারায় না।জান্নাত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। ওরা চিৎকার ও দেয় না। এই যে আমি আমার ও’র হাতের আঙ্গুলগুলো এত যত্নে কুঁচিকুঁচি করে কেটে ফেললাম, হাতের কবজি টা আলাদা করে ফেললাম কই আমার পড়িটা তো একটুর জন্যও চেঁচায়নি। কত্ত ভালোবাসে আমায়, তাই না?। ওহ, শীট! চেঁচাবে কি করে, আমি যে ওর মুখে কাপড় ঠেসে গুঁজে রেখেছি। কি বোকা আমি! : বিকেলে আমি জান্নাত’কে বাসায় আসতে বললাম। ও অবাক হয়ে বললো-‘শান্ত,তুমি পিকনিকে যাও নি?’ আমি মুচকি হেসে বললাম-‘মাথাব্যথা করছিলো, মিস করে ফেলেছি’ ও ব্যস্ত কণ্ঠে বললো-বাসায় তুমি? আমি এক্ষুণি আসছি। আর, আগে বলো নি কেন। তাহলে তাড়াতাড়ি চলে আসতাম। কত চিন্তা হয় তোমার জন্য বুঝো তুমি?’ ইশ! কুত্তিটা কি নিঁখুত অভিনয়ই না করে। আচ্ছা, আমি কেনো পারলাম না? আমি কেনো নিজের সবটা দিয়ে ওকে ভালোবাসতে গেলাম। আমি কেনো আমার আত্মার সাথে ওকে মিশিয়ে ফেললাম। হা হা,,,,, what a fool I am! aren’t I? : আমি ওর চুল খামচে ধরে বললাম-কফিটা কেমন ছিলো? ওকে আমি কড়া ডোজের ওষুধ দিয়ে কফি দিয়েছিলাম। ব্যস…খেল খতম। তারপর, খুব যত্ন করে ওকে বেঁধে ফেললাম আমি। ওকে হুট করে মারলে চলবে না। তোমাকে বাঁচতে হবে ডার্লিং, you have to sarvive……..for me,, জান্নাতের’র চোখ বুজে আসছে, আমার ভালোবাসা বুজে যাচ্ছে নাহ। আর কষ্ট দেওয়া যাবে না মেয়েটাকে, অনেক হয়েছে। আমি ওর মাথার খুলিটা গোল করে কাটলাম। স্ক্যাল্পটা সরিয়ে মগজ বের করে আনলাম, ওর শরীর থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে নিথর হয়ে গেলো। শ্বাস নিচ্ছে না, নড়চে না আহারে বেচারা!! ওর মগজটা হাতে নিলাম, একদম ছোট একটা মগজ,,। এত স্বল্প মগজে ও কি করে এত ছেলেকে কাবু করে!? নাহ আমার জানুটা’র বুদ্ধি আছে বলতে হবে।। আমি খুব শান্তভাবে পুলিশকে ফোন দিলাম। ঘটনা সব খুলে বললাম। পুলিশ জানালো তারা আসছে। আমাকে পালাতে বারন করা হয়েছে। আমি ততক্ষনে ফ্রেশ হতে ডুকলাম ওয়াশরুমে। হাতে ঘিলুটা নিয়ে ফরমালড্রিহাইড্রেটের নিল দ্রবনে রাখলাম যত্ন করে। হলদেটে ঘিলুটা নিল দ্রবনে মিশে আস্তে আস্তে গাড় নিল রঙ ধারন করেছে,,,, আমার ভিসন হাসি পাচ্ছে,,, আর ভাবছি,,,, জান্নাত তুমি এভাবেই বেচে থাকবে,,, পঁঁচবে না গলবে না,,,, তোমার চিন্তাগুলিকে মরে যেতে দেই কি করে। ঝরনা ছেরে দিলাম,,,,,, ইশ!! আমার শরীরটা একজন বিশ্বাসঘাতকিনীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে,,,,, #সাইকো
By kolpobazz
Wednesday, April 3, 2019
#ক্রাশ কাকে বলে ? কত প্রকার ও কি কি? এর উপকারিতা ও অপকারিতা সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করা হলো:- #ক্রাশ বর্তমানে একটি অন্যতম খাদ্য। যা ছেলে ও মেয়ে ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় খায়। মূলত ক্রাশ বলতে মুর্হুতের ভাল লাগাকে বোঝায়। এটা ৩ প্রকার, যথা:- ১. #নরমালি_ক্রাশ - এটা সাধারনত আমরা প্রতিদিনই খাই। যেমন, বাসে বা অটোতে বা অন্য কোথাও চলাচলের সময় হঠাৎ কাউকে একমুহুর্তের জন্য দেখে ক্রাশ। ২. #মিডিয়াম_ক্রাশ - এ ক্রাশ খেলে তার বিষয়ে জানতে ইচ্ছা করে, কিন্তু কয়দিন পর মনে থাকেনা তারকথা। ৩. #হার্ডলি ক্রাশ- এ ক্রাশ খেলে আপনার ভিতরে প্রবল আবেগ কাজ করবে। আপনি তাকে জীবনসঙ্গী করার চেষ্টা করবেন। # উপকারিতা - ক্রাশ খেলে মনের ভিতরে আলাদা ফিলিংস হয়। কিছুদিন ভাত খাবার প্রয়োজন পড়ে না। তাই ভাতের ওপর কম প্রেশার পড়ে। # অপকারিতা - মাত্রাতিরিক্ত ক্রাশ আপনার রাতের ঘুম হারামের পক্ষে যথেষ্ট!!
By kolpobazz
Tuesday, April 2, 2019
তা ভাই আপনি আমার সব পোস্টে প্রেম প্রেম কমেন্ট করেন ক্যন।😡😡 -কি করব বলেন আপনার ১৮+ পোস্ট দেখে আমার ফোন টা কেন যানি হট হয়ে যায়,ওর মাথা ঠিক থাকে না।😂😂 আর জানেনই ত হট হয়ে গেলে কোন কিছুই সামলানো সম্ভব না। হ বুঝছি।😠😠 -কি বুঝলেন। তুই আর তোর ফোন দুইটাই এক। তর টাইম হইছে,,নে সালা ব্লক খা।#সাইকো নাহ সত্যের ভাত নাই।বুঝছি অহন এইডা।
By kolpobazz
এইটা কিন্ত রোমান্টিক গল্প,,, পড়তে ভুলবেন না,,,,😂😂 #সাইকো --- এই যে শুনুন? --- জ্বী আমাকে বলছেন? --- প্রতিদিন তো আপনিই ফলো করেন আমাকে, তাহলে নিশ্চয়ই আপনাকেই বলছি। (আমি একটু অবাক হয়ে আমতা আমতা করতে লাগলাম) --- না মানে ইয়ে, আসলে.... --- থাক আর ইয়ে মানে করা লাগবে না। ছাতাটা ধরুন। --- মানে? --- মানে বুঝেন না, বৃষ্টি পড়ছে ছাতাটা ধরুন, দেখছেন না আমি ছাতা নিয়ে আসেনি? (আমি বুঝতেই পারছি না, মেয়েটা সব কীভাবে বুঝে গেলো) --- এতো বড় ছাতা, তাও আবার ফুটো? --- আসলে অনেকদিন ব্যবহার করা হয় নাতো তাই। --- হুমম, তা বৃষ্টির দিনেও আমাকে ফলো করতে আসতে হলো কেনো? আজকে একটু বিশ্রাম নিতে পারতেন। --- না মানে, তোমাকে মানে আপনাকে একদিন না দেখলে আমার মনের মধ্যে শূন্যতা বিরাজ করে, তাই....? --- থাক হইছে হইছে, আর পাম দিতে হবে না, সব ছেলেদের চেনা আছে। --- আমি সবার মত না। --- সবাই একই কথা বলে, আমি সবার মত না। আর হ্যা আপনাকে আর যাওয়া লাগবে না, সামনেই আমার বাসা, এতটুকু আমি একাই যাবো। --- জ্বী ঠিক আছে। --- আর শুনুন আগামীকাল থেকে ছোট ছাতা নিয়ে আসবেন। --- মানে? --- মানে বোঝা লাগবে না। যেটা বলছি সেটা করবেন। কথাটা বলেই মেয়েটা চলে গেলো। এতক্ষন তার সাথে একই ছাতার মধ্যে হাটছিলাম। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না যাকে এতদিন ফলো করছি সে হঠাৎ-ই আমাকে এভাবে অবাক করে দিবে। যখন হাটছিলাম তখন তার শরীর থেকে মাতাল করা ঘ্রান বের হচ্ছিলো। যেটা হাজার পারফিউম কেও হার মানায়। আমি শোভন; বাবা-মার বড় ছেলে আর মায়ের আদরের লক্ষী ছেলে। বাবার বিরাট বড় ব্যবসা আছে তাই আর নিজের কোন চিন্তা নেই। তবে এলাকায় মাঝে মধ্যে দাদাগিরি করি, সেই সুবাদে কিছুটা পরিচিতিও আছে। আর ঠিক একদিন.... --- দোস্ত সিগারেটটা ধরিয়ে দে তো? --- এই নে টানতে থাক। --- কিরে আজকে তো কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। সব মেয়েরা কোন পথ দিয়ে যাচ্ছে এখন। --- আমাদের ভয়তে মনে হয় অন্য পথ ধরেছে। (ঠিক এমন সময় একটা ছেলে এসে বলল) --- ভাইয়ারা আপনারা এখানে দাড়িয়ে ডিস্ট্রার্ব করেন এটা কী ঠিক বলেন। --- এই কে রে তুই আমাদের জ্ঞান দিতে আসছিস? তারপরেই আমরা সবাই মিলে ছেলেটা কে মারতে লাগলাম, কিন্তু এমন সময় পাশ দিয়ে একটা মেয়ে গেলো, সেখান থেকেই দাদাগিরি করার সময় পাই না, ফলো করতে করতেই সময় শেষ। পরের দিন.... --- ছাতাটা মনে হচ্ছে নতুন কিনেছেন? (সুষমা) --- না আসলে, হুমম। (আমি) --- তা আমাকে ফলো করেন কেনো? --- সত্যি বলতে ভালবাসি। --- কতজন কে ভালবাসেন? --- মানে,আমি শুধু তোমাকেই মানে আপনাকেই বাসি। --- তো যারা এলাকায় দাদাগিরি করে, মেয়েদের বিরক্ত করে তেমন ছেলে আমার পছন্দ না। --- আমি সব কমিয়ে দিয়েছি। ঐসব আর তেমন করি না। --- কমালে হবে না, একদম ছেড়ে দিতে হবে। --- আচ্ছা ছেড়ে দিবো, তোমার জন্য মানে আপনার জন্য সব ছেড়ে দিবো। --- ঠিক আছে তুমি করে বলতে পারেন। কিন্তু আপনার বন্ধুরা তো করে, তাদের নিষেধ করে দিবেন। --- হুমম, মাথা নেড়ে হ্যা সূচক জবাব দিলাম। কথাটা বলেই সুষমা আমার ছাতাটা নিয়ে চলে গেলো। এতক্ষন লেকের পাশেই দুজনে এক ছাতার মধ্যে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম। আমার নিজেরই বিশ্বাস হয় না আমি দাদাগিরি করেছি, কারন এই মেয়ের সামনে আসলেই কেমন নিজেকে বিড়াল মনে হয়। তারপর থেকে বন্ধুদেরও বলে দিলাম যাতে এমন দাদাগিরি না করে। আমার এমন পরিবর্তন দেখে আমার বাবা-মাও আমাকে চিনতে পারে না। আর বন্ধুদের কথা নাই বা বললাম। সবাই কী যে ভাবে আমাকে বুঝতেছি না। সুষমাকে প্রথম দেখায় ভাল লেগে গেছিলো, তারপর ভাল লাগা থেকেই ভালবাসা। --- কী ব্যাপার বলে ছিলাম না তাড়াতাড়ি আসতে? (সুষমা) --- আসলে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তাই....? (আমি) --- হইছে হইছে আর বলা লাগবে না। --- সুষমা তুমি আমাকে ভালবাসো? --- হঠাৎ এই প্রশ্ন। --- না আসলে আমি তো বলেছি কিন্তু তুমি তো মুখ ফুটে কিছু বলোনি তাই শুনতে চাচ্ছিলাম আর কী। --- সময় হলেই সব জানতে পারবেন। --- আমাকে তুমি করে বলতে পারো না। --- না পারি না। --- তাহলে আমিও আপনি করে বলবো। --- একদম খুন করে ফেলবো। --- কেনো? --- আমি আপনি করেই বলবো, আর আপনি আমাকে তুমি করেই। (সুষমার কথার কোন আগা মাথায় বুঝতেছি না। ঠিক ভালবাসে কিনা সেটাও বুঝতে পারছি না) --- এই যে কী ভাবছেন। --- নাহ কিছু না। --- শোনেন আগামীকাল থেকে আপনার বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করবেন। --- আমি ব্যবসা....? --- জ্বী আপনিই ব্যবসা, না হলে আর দেখা করব না। --- না,না,না....তোমার কথাই হবে। সুষমা চলে গেলো, অবশ্য আজ বৃষ্টি নেই। কিন্তু প্রতিদিন কোন একটা কাজ ধরিয়ে দিয়ে যাবে।কিভাবে যে বলব বাবাকে, কতদিন ধরে বলেছে তার ব্যবসা দেখাশোনা করতে, কিন্তু সেই সব কথা তখন কানেই তুলিনি, কিন্তু আজ। বাড়ীতে গিয়েই.... --- বাবা আমার একটা কথা ছিলো? --- হ্যা বল। --- আমি তোমার ব্যবসা দেখাশোনা করতে রাজি। কথাটা বাবা শোনার পরেই কেমন চোঁখ করে দেখছে। মনে হচ্ছে চোঁখ দুটো বেড়িয়ে আসবে। --- তা হঠাৎ এমন মনোভাব কিভাবে হলো জানতে পারি। --- এমনিই তো, ভেবে দেখলাম আর কত ঘুরে বেড়াবো, তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম। বাবা আর কিছু বলল না। এরপর থেকেই বাবার ব্যবসা দেখছি এখন। কী আর করব সুষমার ভালবাসা পাওয়ার জন্য সব কিছু করতে পারি।কিন্তু সুষমা আমাকে ভালবাসে তো, সেটাই বুঝতে পারছি না। সুষমার কথা ভাবতে ভাবতেই সুষমার ফোন.... --- এই যে শোভন সাহেব আমার কথা বুঝি আর মনে নেই আপনার। --- কী যে বলো, তোমার কথায় ভাবছিলাম। --- আমার কথা ভাবলে ঠিকই খোঁজ নিতে। --- আসলে ব্যবসার কাজের অনেক চাপ তাই সুযোগ করে উঠতে পারিনি। --- হুম বুঝি তো,আর কিছুদিন পর তো ঠিকই ভুলে যাবেন। --- কখনোই না, যাকে ভালবাসি তাকে এতো সহজে ভুলি কী করে। --- জ্বী হইছে, আর শোনেন ঠিকমত নামাজ পড়বেন। --- আচ্ছা পড়বো তো। --- আর আপনি ভাল আছেন তো? --- হুমম, তুমি? (আমি সুষমার নিঃশ্বাসটা অনুভব করতে পারছি, অনুভুতিটা বোঝানোর মত না) --- হুমম, এখন রাখছি আম্মু ডাকতেছে। আর আগামীকাল বিকাল পাঁচটায় দেখা করবেন কথা আছে। আর আসার সময় পাঞ্জাবি পড়ে আসবেন। কথাটা বলেই সুষমা ফোন কেটে দিলো। পাগলী একটা, এই পাগলীটা এসেই আমার জীবনটা কেমন জানি বদলে দিলো। সুষমা আমার জীবনে না আসলে আমার জীবনটা যে কেমন হতো, হয়তো অন্ধকারে চলে যেতো, হয়তো না। সুষমা আর আমি পাশাপাশি একই ছাতার মধ্যে বসে আছি। একটা সবুজ রঙ্গের পাঞ্জাবি পড়ে আসছি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। আর সুষমা স্বাভাবিক ভাবেই বসে আছে। দুজনেই চুপ এখন, কিন্তু কথাটা আমি শুরু করলাম.... --- সুষমা তুমি আমাকে ভালবাসো? --- জানি না। --- সত্যি জানো না? --- তাও জানি না। চুপ করে বৃষ্টি দেখেন তো। --- সেটা তো দেখবো। কিন্তু কেনো ডেকেছো জানতে পারি? --- তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছিলো তাই ডেকেছি। (আমি ভাবছি এই মেয়েটাকে ঠিক বুঝতে পারছি না, সত্যি আমাকে ভালবাসে তো) --- বলো না ভালবাসো কিনা? --- বললাম তো জানি না। আমি ছাতার মধ্য থেকে বের হয়ে দাড়িয়ে পড়লাম, চলে যাওয়ার উপক্রম, কিন্তু কেউ আমার হাতের একটা আঙ্গুল ধরে বলতে লাগল.... ---- বাসা থেকে ছেলে দেখছে। কী করব আমি? --- কী, তুমি একবার বলো আমাকে ভালবাসো কিনা, বাকিটা আমি দেখছি। (সুষমা ছাতার মধ্যে দাড়িয়ে, আর আমি ভিজছি ছাতার বাইরে দাড়িয়ে) --- গাধারাম সেই একই কথা আবার, তোমাকে ভাল না বাসলে কেনো তোমার সাথে দেখা করব? কেনো তোমাকে শাসন করব? কেনো তোমাকে আমার মনের মত করে গুছিয়ে নিলাম। এসব বোঝনা তুমি, ভালবাসি তাই করেছি, সব কী মুখে বলতে হয়? হ্যা ভালবাসি অনেক ভালবাসি। (কথাগুলো একেবারে বললো সুষমা) আমি কিছু বললাম না,শুধু ছাতাটা উড়িয়ে দিয়ে চেচিয়ে বললাম, আমিও অনেক ভালবাসি। আগামীকাল বিয়ের প্রস্তাব যাবে তোমাদের বাড়ী। --- কীহহ, যদি বাসা থেকে না মানে? --- দাদাগিরি দেখিয়ে তুলে নিয়ে আসবো তাহলে। সুষমা আর কিছু বলল না, আমি আর সুষমা দুজনে দুজনার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজছি, আর বৃষ্টিটা কে উপভোগ করছি,, এর মদ্ধেই হঠাৎ করে বিকট এক শব্দ হল। শব্দের তীব্রতায় কখন বেহুস হয়ে গেছি মনে নেই। তবে যখন হুস ফিরে পেলাম তখন সুষমার কথা মনে হতেই দেখি খাম্বার মত দারিয়ে আছে মেয়েটা। নড়ছেও না, চড়ছে ও না। ভয়ে ভয়ে গায়ে হাত দিতেই,,, ছাইয়ে পরিনত হল সুষমা। সেদিন থেকে আমি আর ভয়ে বৃস্টিতে ভিজি না। বৃষ্টি হলেই ঘরে লেপ মুরি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকি। বাইরেও বের হই না। কেননা আমার জীবন আমার কাছে অনেক প্রিয়। হুদাই ঠাডা পরে মরতে আমি চাইনা।☺ #সাইকো
By kolpobazz
arrow_backবৃষ্টি ভেজা ভালোবাসা arrow_drop_downsettingsmore_vert close বৃষ্টি ভেজা ভালোবাসা বৃষ্টি ভেজা ভালোবাসা Rikto Mahmud Shovon person_addঅনুসরণ রেটিং শেয়ার করুন বৃষ্টি ভেজা ভালোবাসা --- এই যে শুনুন? --- জ্বী আমাকে বলছেন? --- প্রতিদিন তো আপনিই ফলো করেন আমাকে, তাহলে নিশ্চয়ই আপনাকেই বলছি। (আমি একটু অবাক হয়ে আমতা আমতা করতে লাগলাম) --- না মানে ইয়ে, আসলে.... --- থাক আর ইয়ে মানে করা লাগবে না। ছাতাটা ধরুন। --- মানে? --- মানে বুঝেন না, বৃষ্টি পড়ছে ছাতাটা ধরুন, দেখছেন না আমি ছাতা নিয়ে আসেনি? (আমি বুঝতেই পারছি না, মেয়েটা সব কীভাবে বুঝে গেলো) --- এতো বড় ছাতা, তাও আবার ফুটো? --- আসলে অনেকদিন ব্যবহার করা হয় নাতো তাই। --- হুমম, তা বৃষ্টির দিনেও আমাকে ফলো করতে আসতে হলো কেনো? আজকে একটু বিশ্রাম নিতে পারতেন। --- না মানে, তোমাকে মানে আপনাকে একদিন না দেখলে আমার মনের মধ্যে শূন্যতা বিরাজ করে, তাই....? --- থাক হইছে হইছে, আর পাম দিতে হবে না, সব ছেলেদের চেনা আছে। --- আমি সবার মত না। --- সবাই একই কথা বলে, আমি সবার মত না। আর হ্যা আপনাকে আর যাওয়া লাগবে না, সামনেই আমার বাসা, এতটুকু আমি একাই যাবো। --- জ্বী ঠিক আছে। --- আর শুনুন আগামীকাল থেকে ছোট ছাতা নিয়ে আসবেন। --- মানে? --- মানে বোঝা লাগবে না। যেটা বলছি সেটা করবেন। কথাটা বলেই সুষমা চলে গেলো। এতক্ষন সুষমার সাথে একই ছাতার মধ্যে হাটছিলাম। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না যাকে এতদিন ফলো করছি সে হঠাৎ-ই আমাকে এভাবে অবাক করে দিবে। যখন হাটছিলাম তখন সুষমার শরীর থেকে মাতাল করা ঘ্রান বের হচ্ছিলো। যেটা হাজার পারফিউম কেউ হার মানাই। আর আমি শোভন; বাবা-মার বড় ছেলে আর মায়ের আদরের লক্ষী ছেলে। বাবার বিরাট বড় ব্যবসা আছে তাই আর নিজের কোন চিন্তা নেই। তবে এলাকায় মাঝে মধ্যে দাদাগিরি করি, সেই সুবাদে কিছুটা পরিচিতিও আছে। আর ঠিক একদিন.... --- দোস্ত সিগারেটটা ধরিয়ে দে তো? --- এই নে টানতে থাক। --- কিরে আজকে তো কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। সব মেয়েরা কোন পথ দিয়ে যাচ্ছে এখন। --- আমাদের ভয়তে মনে হয় অন্য পথ ধরেছে। (ঠিক এমন সময় একটা ছেলে এসে বলল) --- ভাইয়ারা আপনারা এখানে দাড়িয়ে ডিস্ট্রার্ব করেন এটা কী ঠিক বলেন। --- এই কে রে তুই আমাদের জ্ঞান দিতে আসছিস? তারপরেই আমরা সবাই মিলে ছেলেটা কে মারতে লাগলাম, কিন্তু এমন সময় পাশ দিয়ে একটা মেয়ে গেলো, সেখান থেকেই দাদাগিরি করার সময় পাই না, ফলো করতে করতেই সময় শেষ। পরের দিন.... --- ছাতাটা মনে হচ্ছে নতুন কিনেছেন? (সুষমা) --- না আসলে, হুমম। (আমি) --- তা আমাকে ফলো করেন কেনো? --- সত্যি বলতে ভালবাসি। --- কতজন কে ভালবাসেন? --- মানে,আমি শুধু তোমাকেই মানে আপনাকেই বাসি। --- তো যারা এলাকায় দাদাগিরি করে, মেয়েদের বিরক্ত করে তেমন ছেলে আমার পছন্দ না। --- আমি সব কমিয়ে দিয়েছি। ঐসব আর তেমন করি না। --- কমালে হবে না, একদম ছেড়ে দিতে হবে। --- আচ্ছা ছেড়ে দিবো, তোমার জন্য মানে আপনার জন্য সব ছেড়ে দিবো। --- ঠিক আছে তুমি করে বলতে পারেন। কিন্তু আপনার বন্ধুরা তো করে, তাদের নিষেধ করে দিবেন। --- হুমম, মাথা নেড়ে হ্যা সূচক জবাব দিলাম। কথাটা বলেই সুষমা আমার ছাতাটা নিয়ে চলে গেলো। এতক্ষন লেকের পাশেই দুজনে এক ছাতার মধ্যে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম। আমার নিজেরই বিশ্বাস হয় না আমি দাদাগিরি করেছি, কারন এই মেয়ের সামনে আসলেই কেমন নিজেকে বিড়াল মনে হয়। তারপর থেকে বন্ধুদেরও বলে দিলাম যাতে এমন দাদাগিরি না করে। আমার এমন পরিবর্তন দেখে আমার বাবা-মাও আমাকে চিনতে পারে না। আর বন্ধুদের কথা নাই বা বললাম। সবাই কী যে ভাবে আমাকে বুঝতেছি না। সুষমাকে প্রথম দেখায় ভাল লেগে গেছিলো, তারপর ভাল লাগা থেকেই ভালবাসা। --- কী ব্যাপার বলে ছিলাম না তাড়াতাড়ি আসতে? (সুষমা) --- আসলে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তাই....? (আমি) --- হইছে হইছে আর বলা লাগবে না। --- সুষমা তুমি আমাকে ভালবাসো? --- হঠাৎ এই প্রশ্ন। --- না আসলে আমি তো বলেছি কিন্তু তুমি তো মুখ ফুটে কিছু বলোনি তাই শুনতে চাচ্ছিলাম আর কী। --- সময় হলেই সব জানতে পারবেন। --- আমাকে তুমি করে বলতে পারো না। --- না পারি না। --- তাহলে আমিও আপনি করে বলবো। --- একদম খুন করে ফেলবো। --- কেনো? --- আমি আপনি করেই বলবো, আর আপনি আমাকে তুমি করেই। (সুষমার কথার কোন আগা মাথায় বুঝতেছি না। ঠিক ভালবাসে কিনা সেটাও বুঝতে পারছি না) --- এই যে কী ভাবছেন। --- নাহ কিছু না। --- শোনেন আগামীকাল থেকে আপনার বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করবেন। --- আমি ব্যবসা....? --- জ্বী আপনিই ব্যবসা, না হলে আর দেখা করব না। --- না,না,না....তোমার কথাই হবে। সুষমা চলে গেলো, অবশ্য আজ বৃষ্টি নেই। কিন্তু প্রতিদিন কোন একটা কাজ ধরিয়ে দিয়ে যাবে।কিভাবে যে বলব বাবাকে, কতদিন ধরে বলেছে তার ব্যবসা দেখাশোনা করতে, কিন্তু সেই সব কথা তখন কানেই তুলিনি, কিন্তু আজ। বাড়ীতে গিয়েই.... --- বাবা আমার একটা কথা ছিলো? --- হ্যা বল। --- আমি তোমার ব্যবসা দেখাশোনা করতে রাজি। কথাটা বাবা শোনার পরেই কেমন চোঁখ করে দেখছে। মনে হচ্ছে চোঁখ দুটো বেড়িয়ে আসবে। --- তা হঠাৎ এমন মনোভাব কিভাবে হলো জানতে পারি। --- এমনিই তো, ভেবে দেখলাম আর কত ঘুরে বেড়াবো, তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম। বাবা আর কিছু বলল না। এরপর থেকেই বাবার ব্যবসা দেখছি এখন। কী আর করব সুষমার ভালবাসা পাওয়ার জন্য সব কিছু করতে পারি।কিন্তু সুষমা আমাকে ভালবাসে তো, সেটাই বুঝতে পারছি না। সুষমার কথা ভাবতে ভাবতেই সুষমার ফোন.... --- এই যে শোভন সাহেব আমার কথা বুঝি আর মনে নেই আপনার। --- কী যে বলো, তোমার কথায় ভাবছিলাম। --- আমার কথা ভাবলে ঠিকই খোঁজ নিতে। --- আসলে ব্যবসার কাজের অনেক চাপ তাই সুযোগ করে উঠতে পারিনি। --- হুম বুঝি তো,আর কিছুদিন পর তো ঠিকই ভুলে যাবেন। --- কখনোই না, যাকে ভালবাসি তাকে এতো সহজে ভুলি কী করে। --- জ্বী হইছে, আর শোনেন ঠিকমত নামাজ পড়বেন। --- আচ্ছা পড়বো তো। --- আর আপনি ভাল আছেন তো? --- হুমম, তুমি? (আমি সুষমার নিঃশ্বাসটা অনুভব করতে পারছি, অনুভুতিটা বোঝানোর মত না) --- হুমম, এখন রাখছি আম্মু ডাকতেছে। আর আগামীকাল বিকাল পাঁচটাই দেখা করবেন কথা আছে। আর আসার সময় পাঞ্জাবি পড়ে আসবেন। কথাটা বলেই সুষমা ফোন কেটে দিলো। পাগলী একটা, এই পাগলীটা এসেই আমার জীবনটা কেমন জানি বদলে দিলো। সুষমা আমার জীবনে না আসলে আমার জীবনটা যে কেমন হতো, হয়তো অন্ধকারে চলে যেতো, হয়তো না। সুষমা আর আমি পাশাপাশি একই ছাতার মধ্যে বসে আছি। একটা সবুজ রঙ্গের পাঞ্জাবি পড়ে আসছি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। আর সুষমা স্বাভাবিক ভাবেই বসে আছে। দুজনেই চুপ এখন, কিন্তু কথাটা আমি শুরু করলাম.... --- সুষমা তুমি আমাকে ভালবাসো? --- জানি না। --- সত্যি জানো না? --- তাও জানি না। চুপ করে বৃষ্টি দেখেন তো। --- সেটা তো দেখবো। কিন্তু কেনো ডেকেছো জানতে পারি? --- তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছিলো তাই ডেকেছি। (আমি ভাবছি এই মেয়েটাকে ঠিক বুঝতে পারছি না, সত্যি আমাকে ভালবাসে তো) --- বলো না ভালবাসো কিনা? --- বললাম তো জানি না। আমি ছাতার মধ্য থেকে বের হয়ে দাড়িয়ে পড়লাম, চলে যাওয়ার উপক্রম, কিন্তু কেউ আমার হাতের একটা আঙ্গুল ধরে বলতে লাগল.... ---- বাসা থেকে ছেলে দেখছে। কী করব আমি? --- কী, তুমি একবার বলো আমাকে ভালবাসো কিনা, বাকিটা আমি দেখছি। (সুষমা ছাতার মধ্যে দাড়িয়ে, আর আমি ভিজছি ছাতার বাইরে দাড়িয়ে) --- গাধারাম সেই একই কথা আবার, তোমাকে ভাল না বাসলে কেনো তোমার সাথে দেখা করব? কেনো তোমাকে শাসন করব? কেনো তোমাকে আমার মনের মত করে গুছিয়ে নিলাম। এসব বোঝনা তুমি, ভালবাসি তাই করেছি, সব কী মুখে বলতে হয়? হ্যা ভালবাসি অনেক ভালবাসি। (কথাগুলো একেবারে বললো সুষমা) আমি কিছু বললাম না,শুধু ছাতাটা উড়িয়ে দিয়ে চেচিয়ে বললাম, আমিও অনেক ভালবাসি। আগামীকাল বিয়ের প্রস্তাব যাবে তোমাদের বাড়ী। --- কীহহ, যদি বাসা থেকে না মানে? --- দাদাগিরি দেখিয়ে তুলে নিয়ে আসবো তাহলে। সুষমা আর কিছু বলল না, আমি আর সুষমা দুজনে দুজনার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজছি, আর বৃষ্টিটা কে উপভোগ করছি। শুরু হলো আমাদের বৃষ্টি ভেজা ভালবাসার নতুন জীবন। (সমাপ্ত
By kolpobazz
Monday, April 1, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৩৯ রাতগল্প (পর্ব-০৩ ) নিতু কে একদিন দেখলাম নতুন কারো গাড়িতে একই ভাবে, একই সাজে, একই হাসি তে। সবই ঠিক আছে শুধু কয়েক মূহুর্তের ব্যবধানে পাশের মানুষটির আমূল পরিবর্তন। হয়তো নতুন কারো আঙ্গুলে আঙ্গুল গুঁজে তাকে বৃথা স্বপ্ন দেখানো। যে স্বপ্নে ভবিষ্যৎ বাড়ির ব্যালকনির ডিজাইন পর্যন্ত আঁকা হয়ে যাবে। এঘটনার পর দু একজন কাছের বন্ধু ছাড়া, কোনোরূপ গাঢ় সম্পর্কের পথ আর মাড়াই নি। দুঃখ ভুলে থাকতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ শুরু করলাম। এখনো মাঝেমাঝে হুটহাট বেরিয়ে পড়ি। একবার অবশ্য আত্নহননের চেষ্টাও করেছিলাম। পারিনি বলবো না; আসলে মরিনি। সৃষ্টিকর্তা মারেননি। “কিন্তু এ গল্প আমাকে শোনালেন কেন?” “শোনালাম এজন্য যে আপনারা প্রস্টিটিউট পেটের তাগিদে আর নিতুরা বিলাসিতায়। আর আমি নিতুকে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছিলাম, তবে অনেক কস্টে ধাক্কাটা কাটিয়েছি বলতে পারেন” জরি খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে বলে, “ওমা, তাইলে তো আপনে ভালোই ছ্যাঁক খাইসেন দেখতেসি” “মজা নিচ্ছেন বুঝি! আসলে ওটা একটা মোহ ছিলো, ছ্যাঁক তো খেয়েছি তার আরো পরে, আর সেটা দমাতেই তো এখানে আসা আমার, যখন শুনলাম…। “কি?” “না, থাক” “ক্যান, আপনের ছলনার গল্প শুনলাম, আপনের মায়ার গল্পটাও বলেন” আবির মৃদু হেসে বললো,”অবশ্যই বলবো, বলবো বলেই তো এসেছি। কিন্তু তার আগে তো আমাকে আপনার গল্পটাও শুনতে হবে তাইনা” “আমার গল্প?” “হুমমম, আপনার গল্প! আপনার এ জীবনে আসার গল্প, এপথে আসার গল্প, আপনার দুঃখ দুর্দশার গল্প। যারাই এপথে আসে তাদের প্রত্যেকেরই কারো না কারো কোনো না কোনো গল্প থাকে?” “সে বিরাট হিশটিরি, আপনে শুইনে কি করবেন?” “আহা বললাম তো, কিছু শুনবো এবং কিছু শোনাবো বলেই তো এসেছি, এত ইতস্ততঃ না করে বলে ফেলুন” “বড় দুঃখের কাহিনী সাব, সেই কথা মনে পড়লে আমার এখনো চোখের পানি আসে।” তারপর, খানিকক্ষন দুজনই বেশ নিশ্চুপ, নীরবতা ভেঙে জরিই প্রথম মুখ খোলে.. “ঠিক আছে, শুনতে যখন চাইলেন তখন বলি…চোখে জল নিয়ে জরি বলতে শুরু করলো, ইতিমধ্যেই গলায় স্বরও কেমন কাঁদো কাঁদো শোনাচ্ছে ..মনে হচ্ছে অনেককালের জমেথাকা কোনো কষ্টের মেঘ আজ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ার অপেক্ষায় …… জরিদের গ্রামের নাম ছিলো ফুলপুর। ছ সাত বছর আগেও সে গ্রামের রাস্তাঘাটের চেহারা ছিলো কংকালসার শরীরে চিমসানো গালভাঙা বুড়োদের মতো। একেবারে বেহাল দশা যাকে বলে। মাইল কয়েক দূরে আধাপাকা বিদ্যালয়ই ছিলো ছ সাত গ্রামের শিক্ষা ব্যাবস্থার একমাত্র অবলম্বন। এ অঞ্চলে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে ছিলো হাজী করিম উচ্চ বিদ্যালয়। পায়ে হাটা কাচা পথ পেরিয়েই বিদ্যালয়ে ছুটতে হতো জরিকে। মাঝেমধ্যে এর ওর কাছ থেকে চেয়েচিন্তে বই টই পড়ে টেনেটুনে যখন সপ্তম শ্রেণীতে তখন অকালেই জরির মা মরলো কলেরায়। যাতায়াত ব্যাবস্থা, অন্ধবিশ্বাসের মায়াজাল টপকানো কিংবা যে কোনো অযুহাতেই হোক ডাক্তার হসপিটালের ছিটেফোঁটাও দেখা মিললো না। ধোলু ফকিরের তাবিজ কবচ, অল্পবিস্তর ঝাড়ফুঁক-পানিপড়া কোনরুপ সদগতি করতে না পারায় জরির মাকে বেশ অকালেই দুনিয়া ছাড়তে হলো। জরিকে ছাড়তে হলো মায়ের ভালবাসা। আর জরির বাবা নয়া ভালবাসার খোঁজে ঘরে তুললো জরির নতুন মা কে। প্রথম দিকে নতুন মা মিষ্টি মিষ্টি কথা শোনালেও ধীরে ধীরে সে মিষ্টি তেতো তে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি। মাস কয়েক যেতে না যেতেই সে বুঝতে শুরু করে নতুন মা আর নতুন নেই; বেশ পুরোনো হয়ে গেছে, সেটা তার সৎ মা। দিন গড়াতে লাগলো আর জগৎসংসারে একলা জরির চোখের সামনে সৎমায়ের আসল অবয়বটা ধীরে ধীরে ফুটে বেরুতে লাগলো। তারপরেও মানসিক কিংবা শারীরিক অত্যাচারে জর্জরিত হয়েও কোনরকমে খেয়ে পড়ে বেশ টিকেই ছিলো। কিন্তু সেই টিকে থাকার দৌড়ে আচমকাই একটা দূর্ঘটনায় যেন অকস্মাৎ ই মাথায় বজ্রপাত ঘটলো। বছরের মাঝামাঝি তখন সবে অষ্টম শ্রেণীতে। হাসিখুশি মেয়েটি আচমকা এমন কান্ড বাধিয়ে বসবে তা বোধহয় কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। মাঝে মাঝেই ক্লাসের একটা ছেলে বেশ ইয়ার্কি করেই ক্ষ্যাপাতো, “তুই আমার বউ হবি”…ক্লাসেও অনেকেই তাকে ভাবী বলে ক্ষ্যাপাতো। একদিন মাঠে খেলতে খেলতে আচমকাই ছেলেটা তাকে বলে বসলো “তুই আমার বউ হবি”… আর অমনিই ও রেগে গিয়ে ছেলেটিকে সজোরে ধাক্কা মেরে বসে। তার হয়তো খেয়ালেই ছিলো না একদম ইঞ্চি কয়েক পাশেই গভীর পুকুর। ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেরে ছেলেটি পুকুরে গিয়ে পড়ে। সাঁতার না জানা ছেলেটি গভীর জলে হাবুডুবু খেতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আতংকিত মনে ছুটে সেখান থেকে পালিয়ে আসে সে। গ্রামের চেয়ারম্যান সাহেবের ছোটভাইয়ের ছেলে হওয়ায় জরির পরিবারের ভয় ও উৎকন্ঠাও তখন তুঙ্গে। সেটা পুরোদস্তুর মাত্রা ছাড়ায়, যখন রাতের বেলা রহিম মিয়া ফিসফিসিয়ে খবর দিলো, “বাঁচতে চাইলে মাইয়ারে লইয়া তাড়াতাড়ি পলাও, অবস্থা তো সুবিধার না, পোলা তো শুনলাম মইরা গেছে”… সে রাতেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে জরির পরিবার গ্রাম ছাড়লো। দু দিন বাদে তাদের আশ্রয় হলো ঐ গ্রামেরই নিকটবর্তী মাইল কয়েক দূরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এক গ্রামে। এর মাসকয়েক পরেই জরির বাবা ভারতে চলে যায়। সেই যে গেলো আর ফিরে এলো না। দেখতে দেখতে একবছর পেরিয়ে গেলো কিন্তু জরির বাবার কোনো হদিশ মিললো না। এদিকে তার উপর নেমে এলো সৎমায়ের অত্যাচারের খড়গ। তবে সদ্য কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা দেয়া মেয়েটির চোখ একদিন আনন্দে জ্বলজ্বল করে উঠলো। তবে তা আনন্দ ছিলো নাকি আশার ধোঁয়াশা তা বুঝতে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল … “জরি মা, এদিকে আয়” “কি চাচা?” “আরে জব্বর খবর আছে” “কি?” “আমি যেইডা দেখছি, শুনলে তুই বিশ্বাস করতে পারবি না” “কি??” “আরে, তর বাপের সাথে আমার দেখা হইসিলো তো?? তর কথা জিগাইলো?” “সত্যি!!!” জরির চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে! হয়তো এতোদিনে তার কষ্ট ঘুচবে এই আশায়। “কোনহানে” “কোনহানে আবার? ভারতে” “ক্যামনে?” “তুই তো জানোস আমি মাঝেসাঝে ভারতে যাই, জিনিস-পাতি আনি, আমার আবার গরুর ব্যাবসাটাও দেখতে হয়। গত সপ্তায় গেলাম ভারতে, ওইখানে বাজারে এক লোকেরে দেইখা মনে হইলো ইনারে কই জানি দেখছি মনে হয়, এই বইলা কাছে যাইয়া জিজ্ঞেস করতেই.. আরে বদরুল ভাই না? বইলে আমারে বুকে জড়ায় ধরলো, আমি তো অবাক। যার কথা কইতাছি, এইটাই তর বাপ” “সত্যি” “সত্যি না তো, আমি বানায় কইতেছি নাকি” “তারপর” “তারপর আমার সেকি খাতির যত্ন, এমন যত্ন বিদেশে নিজের লোকরেই মাইনসে করে।” “আব্বা আমার কথা কিছু কইছে”, আনন্দমাখা জলে জরির চোখ চিকচিক করে ওঠে। “আরে কইছে মানে, সেই কথা বলতেই তো এইখানে আসলাম রে পাগলী” “কি কইসে?” “তোকে ঐখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়া যাইতে বলসে” জরি অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, “আমি যাবো??” “নয়তো কি? তোর বাপে আসবে? তোর বাপের কাজ ফালাইয়া এক চুল নড়নের টাইম নাই ঐখানে” উত্তরে জরি নিশ্চুপ থাকে। “কি রে কথা কস না ক্যান, কি চিন্তা করোস” “কিন্তু আমি যাবো ক্যামনে, ঐদেশে যাইতে গেলে শুনসি পাসপোর্ট না কি জানি লাগে?” “আরে ধুর!! পাগলী কয় কি? কিচ্ছু লাগবে না, আরে তর বাপে গেছে না, আমি যাইনা, আরে.. আমারে দেখলে ঐ বিডিআর দেখছস?, খাড়াইয়া ছ্যালুট দেয়, সব হইতেছে গিয়া ট্যাকা, বুঝলি!” “আমি ট্যাকা পাবো কই?” “আমি আছি কি জন্যে, তর বাপেরে কথা দিসি। একবার যখন দায়িত্ব নিছি, তখন যাওয়ার সব দায় দায়িত্ব আমার।” “কবে যাইবেন?” “আমি যাবোনা, আমার অতি বিশ্বস্ত এক লোক আছে, সে নিয়ে যাবে! পরশু রাইত ১২টার পর রেডি থাকবি” “রাইতে?” “হ, রাইতে। আরে বিনা টাকায় চুরি কইরা যাবো, রাইতে নাতো কি দিনে নাকি? তবে বিডিআররে খালি চা পান বাবদ কিছু দিতে হবে। ঐটা আমি দিয়ে দিবোনে” গল্প বলার মাঝে আচমকাই কয়েকবার দরজার খটখট্ শব্দটায় সম্বিত ফেরে আবির ও জরির। তন্ময় হয়ে গল্প শুনছিলো আবির। জরির গল্প বলায় বাধা পড়ে। আবির খানিকটা চমকে ওঠে। “কে এলো দরজায় এতো রাতে” জরি বিরক্ত হয়ে উত্তর দেয়, “আমার এইখানে বদমাইশ মানুষ ছাড়া আর কে আসতে পারে” আবির মৃদু হেসে জিজ্ঞাসা করে,”আমাকেও কি আপনার বদমায়েশ মনে হয়” জরি মুচকি হেসে বলে,”এখন তক তো কোনো বদমাইশি দেখি নাই, হিহিহি দেখি কতক্ষন ভদ্রলোক থাকেন?” “আপনার হাসি টা না বেশ রহস্যময়” “তাই বুঝি?” “হুমমম!” এই কে রে দরজায়? এত রাইতে কে?, হাঁক ছাড়ে জরি। “আমি!”, দরকার ওপারে পুরুষের কন্ঠস্বর। “সকালের আগে দরজা খোলা যাবে না, নিষেধ আছে, রুমে লোক আছে” কিছুক্ষণ পরে আর কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। হঠাৎই আবির বলে, “বেশ ডুবে গিয়েছিলাম আপনার জীবনের ভেতরে, আপনার কষ্টটা অনুভব করতে পারছি” “চা খাবেন!” “যদি বিষটিষ বা ঔষধ না মিশিয়ে দেন তবে চলতে পারে এক কাপ, অবশ্যই চিনি ছাড়া”
By kolpobazz
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৩৯ রাতগল্প (পর্ব-০২ ) নিতু কে একদিন দেখলাম নতুন কারো গাড়িতে একই ভাবে, একই সাজে, একই হাসি তে। সবই ঠিক আছে শুধু কয়েক মূহুর্তের ব্যবধানে পাশের মানুষটির আমূল পরিবর্তন। হয়তো নতুন কারো আঙ্গুলে আঙ্গুল গুঁজে তাকে বৃথা স্বপ্ন দেখানো। যে স্বপ্নে ভবিষ্যৎ বাড়ির ব্যালকনির ডিজাইন পর্যন্ত আঁকা হয়ে যাবে। এঘটনার পর দু একজন কাছের বন্ধু ছাড়া, কোনোরূপ গাঢ় সম্পর্কের পথ আর মাড়াই নি। দুঃখ ভুলে থাকতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ শুরু করলাম। এখনো মাঝেমাঝে হুটহাট বেরিয়ে পড়ি। একবার অবশ্য আত্নহননের চেষ্টাও করেছিলাম। পারিনি বলবো না; আসলে মরিনি। সৃষ্টিকর্তা মারেননি। “কিন্তু এ গল্প আমাকে শোনালেন কেন?” “শোনালাম এজন্য যে আপনারা প্রস্টিটিউট পেটের তাগিদে আর নিতুরা বিলাসিতায়। আর আমি নিতুকে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছিলাম, তবে অনেক কস্টে ধাক্কাটা কাটিয়েছি বলতে পারেন” জরি খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে বলে, “ওমা, তাইলে তো আপনে ভালোই ছ্যাঁক খাইসেন দেখতেসি” “মজা নিচ্ছেন বুঝি! আসলে ওটা একটা মোহ ছিলো, ছ্যাঁক তো খেয়েছি তার আরো পরে, আর সেটা দমাতেই তো এখানে আসা আমার, যখন শুনলাম…। “কি?” “না, থাক” “ক্যান, আপনের ছলনার গল্প শুনলাম, আপনের মায়ার গল্পটাও বলেন” আবির মৃদু হেসে বললো,”অবশ্যই বলবো, বলবো বলেই তো এসেছি। কিন্তু তার আগে তো আমাকে আপনার গল্পটাও শুনতে হবে তাইনা” “আমার গল্প?” “হুমমম, আপনার গল্প! আপনার এ জীবনে আসার গল্প, এপথে আসার গল্প, আপনার দুঃখ দুর্দশার গল্প। যারাই এপথে আসে তাদের প্রত্যেকেরই কারো না কারো কোনো না কোনো গল্প থাকে?” “সে বিরাট হিশটিরি, আপনে শুইনে কি করবেন?” “আহা বললাম তো, কিছু শুনবো এবং কিছু শোনাবো বলেই তো এসেছি, এত ইতস্ততঃ না করে বলে ফেলুন” “বড় দুঃখের কাহিনী সাব, সেই কথা মনে পড়লে আমার এখনো চোখের পানি আসে।” তারপর, খানিকক্ষন দুজনই বেশ নিশ্চুপ, নীরবতা ভেঙে জরিই প্রথম মুখ খোলে.. “ঠিক আছে, শুনতে যখন চাইলেন তখন বলি…চোখে জল নিয়ে জরি বলতে শুরু করলো, ইতিমধ্যেই গলায় স্বরও কেমন কাঁদো কাঁদো শোনাচ্ছে ..মনে হচ্ছে অনেককালের জমেথাকা কোনো কষ্টের মেঘ আজ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ার অপেক্ষায় …… জরিদের গ্রামের নাম ছিলো ফুলপুর। ছ সাত বছর আগেও সে গ্রামের রাস্তাঘাটের চেহারা ছিলো কংকালসার শরীরে চিমসানো গালভাঙা বুড়োদের মতো। একেবারে বেহাল দশা যাকে বলে। মাইল কয়েক দূরে আধাপাকা বিদ্যালয়ই ছিলো ছ সাত গ্রামের শিক্ষা ব্যাবস্থার একমাত্র অবলম্বন। এ অঞ্চলে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে ছিলো হাজী করিম উচ্চ বিদ্যালয়। পায়ে হাটা কাচা পথ পেরিয়েই বিদ্যালয়ে ছুটতে হতো জরিকে। মাঝেমধ্যে এর ওর কাছ থেকে চেয়েচিন্তে বই টই পড়ে টেনেটুনে যখন সপ্তম শ্রেণীতে তখন অকালেই জরির মা মরলো কলেরায়। যাতায়াত ব্যাবস্থা, অন্ধবিশ্বাসের মায়াজাল টপকানো কিংবা যে কোনো অযুহাতেই হোক ডাক্তার হসপিটালের ছিটেফোঁটাও দেখা মিললো না। ধোলু ফকিরের তাবিজ কবচ, অল্পবিস্তর ঝাড়ফুঁক-পানিপড়া কোনরুপ সদগতি করতে না পারায় জরির মাকে বেশ অকালেই দুনিয়া ছাড়তে হলো। জরিকে ছাড়তে হলো মায়ের ভালবাসা। আর জরির বাবা নয়া ভালবাসার খোঁজে ঘরে তুললো জরির নতুন মা কে। প্রথম দিকে নতুন মা মিষ্টি মিষ্টি কথা শোনালেও ধীরে ধীরে সে মিষ্টি তেতো তে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি। মাস কয়েক যেতে না যেতেই সে বুঝতে শুরু করে নতুন মা আর নতুন নেই; বেশ পুরোনো হয়ে গেছে, সেটা তার সৎ মা। দিন গড়াতে লাগলো আর জগৎসংসারে একলা জরির চোখের সামনে সৎমায়ের আসল অবয়বটা ধীরে ধীরে ফুটে বেরুতে লাগলো। তারপরেও মানসিক কিংবা শারীরিক অত্যাচারে জর্জরিত হয়েও কোনরকমে খেয়ে পড়ে বেশ টিকেই ছিলো। কিন্তু সেই টিকে থাকার দৌড়ে আচমকাই একটা দূর্ঘটনায় যেন অকস্মাৎ ই মাথায় বজ্রপাত ঘটলো। বছরের মাঝামাঝি তখন সবে অষ্টম শ্রেণীতে। হাসিখুশি মেয়েটি আচমকা এমন কান্ড বাধিয়ে বসবে তা বোধহয় কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। মাঝে মাঝেই ক্লাসের একটা ছেলে বেশ ইয়ার্কি করেই ক্ষ্যাপাতো, “তুই আমার বউ হবি”…ক্লাসেও অনেকেই তাকে ভাবী বলে ক্ষ্যাপাতো। একদিন মাঠে খেলতে খেলতে আচমকাই ছেলেটা তাকে বলে বসলো “তুই আমার বউ হবি”… আর অমনিই ও রেগে গিয়ে ছেলেটিকে সজোরে ধাক্কা মেরে বসে। তার হয়তো খেয়ালেই ছিলো না একদম ইঞ্চি কয়েক পাশেই গভীর পুকুর। ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেরে ছেলেটি পুকুরে গিয়ে পড়ে। সাঁতার না জানা ছেলেটি গভীর জলে হাবুডুবু খেতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আতংকিত মনে ছুটে সেখান থেকে পালিয়ে আসে সে। গ্রামের চেয়ারম্যান সাহেবের ছোটভাইয়ের ছেলে হওয়ায় জরির পরিবারের ভয় ও উৎকন্ঠাও তখন তুঙ্গে। সেটা পুরোদস্তুর মাত্রা ছাড়ায়, যখন রাতের বেলা রহিম মিয়া ফিসফিসিয়ে খবর দিলো, “বাঁচতে চাইলে মাইয়ারে লইয়া তাড়াতাড়ি পলাও, অবস্থা তো সুবিধার না, পোলা তো শুনলাম মইরা গেছে”… সে রাতেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে জরির পরিবার গ্রাম ছাড়লো। দু দিন বাদে তাদের আশ্রয় হলো ঐ গ্রামেরই নিকটবর্তী মাইল কয়েক দূরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এক গ্রামে। এর মাসকয়েক পরেই জরির বাবা ভারতে চলে যায়। সেই যে গেলো আর ফিরে এলো না। দেখতে দেখতে একবছর পেরিয়ে গেলো কিন্তু জরির বাবার কোনো হদিশ মিললো না। এদিকে তার উপর নেমে এলো সৎমায়ের অত্যাচারের খড়গ। তবে সদ্য কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা দেয়া মেয়েটির চোখ একদিন আনন্দে জ্বলজ্বল করে উঠলো। তবে তা আনন্দ ছিলো নাকি আশার ধোঁয়াশা তা বুঝতে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল … “জরি মা, এদিকে আয়” “কি চাচা?” “আরে জব্বর খবর আছে” “কি?” “আমি যেইডা দেখছি, শুনলে তুই বিশ্বাস করতে পারবি না” “কি??” “আরে, তর বাপের সাথে আমার দেখা হইসিলো তো?? তর কথা জিগাইলো?” “সত্যি!!!” জরির চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে! হয়তো এতোদিনে তার কষ্ট ঘুচবে এই আশায়। “কোনহানে” “কোনহানে আবার? ভারতে” “ক্যামনে?” “তুই তো জানোস আমি মাঝেসাঝে ভারতে যাই, জিনিস-পাতি আনি, আমার আবার গরুর ব্যাবসাটাও দেখতে হয়। গত সপ্তায় গেলাম ভারতে, ওইখানে বাজারে এক লোকেরে দেইখা মনে হইলো ইনারে কই জানি দেখছি মনে হয়, এই বইলা কাছে যাইয়া জিজ্ঞেস করতেই.. আরে বদরুল ভাই না? বইলে আমারে বুকে জড়ায় ধরলো, আমি তো অবাক। যার কথা কইতাছি, এইটাই তর বাপ” “সত্যি” “সত্যি না তো, আমি বানায় কইতেছি নাকি” “তারপর” “তারপর আমার সেকি খাতির যত্ন, এমন যত্ন বিদেশে নিজের লোকরেই মাইনসে করে।” “আব্বা আমার কথা কিছু কইছে”, আনন্দমাখা জলে জরির চোখ চিকচিক করে ওঠে। “আরে কইছে মানে, সেই কথা বলতেই তো এইখানে আসলাম রে পাগলী” “কি কইসে?” “তোকে ঐখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়া যাইতে বলসে” জরি অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, “আমি যাবো??” “নয়তো কি? তোর বাপে আসবে? তোর বাপের কাজ ফালাইয়া এক চুল নড়নের টাইম নাই ঐখানে” উত্তরে জরি নিশ্চুপ থাকে। “কি রে কথা কস না ক্যান, কি চিন্তা করোস” “কিন্তু আমি যাবো ক্যামনে, ঐদেশে যাইতে গেলে শুনসি পাসপোর্ট না কি জানি লাগে?” “আরে ধুর!! পাগলী কয় কি? কিচ্ছু লাগবে না, আরে তর বাপে গেছে না, আমি যাইনা, আরে.. আমারে দেখলে ঐ বিডিআর দেখছস?, খাড়াইয়া ছ্যালুট দেয়, সব হইতেছে গিয়া ট্যাকা, বুঝলি!” “আমি ট্যাকা পাবো কই?” “আমি আছি কি জন্যে, তর বাপেরে কথা দিসি। একবার যখন দায়িত্ব নিছি, তখন যাওয়ার সব দায় দায়িত্ব আমার।” “কবে যাইবেন?” “আমি যাবোনা, আমার অতি বিশ্বস্ত এক লোক আছে, সে নিয়ে যাবে! পরশু রাইত ১২টার পর রেডি থাকবি” “রাইতে?” “হ, রাইতে। আরে বিনা টাকায় চুরি কইরা যাবো, রাইতে নাতো কি দিনে নাকি? তবে বিডিআররে খালি চা পান বাবদ কিছু দিতে হবে। ঐটা আমি দিয়ে দিবোনে” গল্প বলার মাঝে আচমকাই কয়েকবার দরজার খটখট্ শব্দটায় সম্বিত ফেরে আবির ও জরির। তন্ময় হয়ে গল্প শুনছিলো আবির। জরির গল্প বলায় বাধা পড়ে। আবির খানিকটা চমকে ওঠে। “কে এলো দরজায় এতো রাতে” জরি বিরক্ত হয়ে উত্তর দেয়, “আমার এইখানে বদমাইশ মানুষ ছাড়া আর কে আসতে পারে” আবির মৃদু হেসে জিজ্ঞাসা করে,”আমাকেও কি আপনার বদমায়েশ মনে হয়” জরি মুচকি হেসে বলে,”এখন তক তো কোনো বদমাইশি দেখি নাই, হিহিহি দেখি কতক্ষন ভদ্রলোক থাকেন?” “আপনার হাসি টা না বেশ রহস্যময়” “তাই বুঝি?” “হুমমম!” এই কে রে দরজায়? এত রাইতে কে?, হাঁক ছাড়ে জরি। “আমি!”, দরকার ওপারে পুরুষের কন্ঠস্বর। “সকালের আগে দরজা খোলা যাবে না, নিষেধ আছে, রুমে লোক আছে” কিছুক্ষণ পরে আর কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। হঠাৎই আবির বলে, “বেশ ডুবে গিয়েছিলাম আপনার জীবনের ভেতরে, আপনার কষ্টটা অনুভব করতে পারছি” “চা খাবেন!” “যদি বিষটিষ বা ঔষধ না মিশিয়ে দেন তবে চলতে পারে এক কাপ, অবশ্যই চিনি ছাড়া”
By kolpobazz
Sunday, March 31, 2019
Saturday, March 30, 2019
রাস্তার মধ্যে দাঁড়ায়া কমার্স কলেজের দুই প্রেমিক প্রেমিকা সিরিয়াস লেভেলের ঝগড়া করতেসে। আমি ধৈর্য ধরে স্ট্যাচুর মত দাঁড়িয়ে ঝগড়া দেখতেসি। ভাবছিলাম ব্রেকাপ হলেই একটা চান্স নিবো। কিন্ত একি এখন ও ব্রেকাপ হচ্ছে না। এর মধ্যে দেখলাম মেয়েটা কান্না করছে। আমি আবার নরম দিলের মানুষ। কান্না দেখতে পারিনা। মনে মনে রাগ হল। তাই হাতে থাকা ব্যট টা নিয়ে ছেলের মাথায় একটা বারি মেরে দিলাম। বারি খেয়ে রাস্তায় গরাগরি খাচ্ছে শুয়োরটা। মাথা ফেটে রক্ত বের হয়ে কালো পিচ লাল হয়ে গেছে। মা গো বাবা গো বলে চিল্লাচ্ছে। যাক গোল্লায় যাক হারামির পুত। তাতে আমার কি। আমি আবার মেয়েদের ছাড়া ছেলেদের কস্ট বুঝিনা। এদিক ফিরে মেয়েটার দিকে তাকালাম। মেয়েটা থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হয়ত শক খাইছে রক্ত দেইখা। খাক শক তাতে আমার কি। ভাল কাজ করলে আমার খারাপ লাগে না। রাস্তার পাশে একটা জটলা পরে গেছে। সবাই কইতাছে কি হল মিয়া। আমি কইলাম হালা আমার বউরে রেপ করতে আইছিল। দিসি মাথা ফাটাইয়া। আপ্নারা আমার বউরে দেহেন। আমি যাচ্ছি পুলিশ আননের লাইগা। হ দাদা ঠিক করছেন। হাত পা ভাইংা কেন দিলেন না। ভাবছি সালার জনগন কি আবুইল্লা। এরা এমন যে গু রে পিঠা কইলেও মাইন্না নিব, দিধা করব না। যাউকগা তাতে আমার কি। আমি ত জনগন না। প্রেমিকার প্রেমিকটা বেহুস পরে আছে, কেউ ধরছেও না। আরে ধুর যেখানে অভিজিতরে ধরে নাই সেখানে এই শালা কেডা। আমি এখন মিরপুর ১১ চলে আসছি। রাস্তার পাশে একটা বিরি কিনলাম। টাকা দিব এমন সময় সে রক্তমাখা ব্যটের দিকে তাকাইল কয়েকবার। তারপর,, সালার দোকানদার আর টাকা চাইল না। সালারা ও অদ্ভুত টাকা না থাকলে কোন বাল ও দিব না তয় ভয় পাইলে দেখা জায় পরনে লুনগি খুলে দিতেও টাইম নিবে না। সব শুওর কোথাকার। নাহ এখন এসব ভাব্লে চলবে না। একটা ভাল কাজ করে আসলাম তা ত সালারা বুঝবে না। না বুঝলে কি,, এমন ভাল কাজ সামনে আরও আসলে আমি বার বার করতেও পিছপা হব না। #সাইকো
By kolpobazz
সেবার এক গর্ভবতী মহিলাকে ধরেছিলাম । জননাঙ্গ দিয়ে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম । পেট চিরে দেখলাম , জরায়ু ছিড়ে একটা বাচ্চার মাথা বের হয়ে এসেছে । মহিলার চেয়ে বাচ্চাটাকেই সুস্বাদু মনে হয়েছিল বেশি । প্রায় শখানেক খুন করেছি আমি । কিন্তু ধরা পড়ে গেলাম আজ । হাস্পাতাল থেকে একটা বাচ্চাকে চুরি করে নিয়ে এসেছিলাম । ওহ এখন ও খাওয়া সেশ করতে পারিনি। সিঘ্রই শেষ করতে হবে তা না হলে,,,,, অনেক আগে থেকেই লোকজন আমাকে সন্দেহ করা শুরু করেছিল । আরও সচেতন হওয়া উচিৎ ছিল আমার । ঐ তো ! বারান্দায় লোকদের পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে । সময় আর বেশী নেই । দরজা ভাঙার শব্দ শুনতে পাচ্ছি । #সাইকো ২০১৩
By kolpobazz
Friday, March 29, 2019
চাইলে লেখাটা ওয়ালে রেখে দিতে পারেন,,,, "মা" মা এখনও অংক বুঝেনা। একটা রুটি চাইলে দুইটা নিয়ে আসে। স্কুল যাওয়ার সময় ও বুঝেনি। ১০টাকা চাইলে ২০টাকা দিয়ে দিত। মা ইংরেজিও বুঝেনা। কেউ যদি I hate u বলে তখনও সে I love u বলে। মা মিথ্যেবাদী । না খেয়ে বলে খেয়েছি। পেটে ক্ষুধা থাকা সত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবারটা সন্তানের জন্য যত্ন করে তুলে রাখে। মা অনকে বোকা। সারাজীবন রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের পিছনে কাটিয়ে দেয়। মা নির্লজ্জ। মা কে কতবার বলি আমার জিনিসে যেনো হাত না দেয়। তবুও মা আমার এলোমেলো পড়ে থাকা জিনিসগুলো নিজ হাতে গুছিয়ে রাখে। মার কোন সাধারণ জ্ঞানটুকুও নেই। আমার প্লেটে খাবার কম দেখলে কেমন জানি করে। বলে এতো কম কেন? এই বলে প্লেটটা ভর্তি করে দেয়। মা যত্ন নিতে জানেনা। নিজের কোমরের ব্যাথা, পিঠের ব্যাথায় ধুকে ধুকে মারা গেলেও কখনও ঔষধের কথা বলেনা। অথচ আমাদের একটু কাশিতে তার দিনটা যেনো উলট পালট হয়ে যায়। ডাক্তার, হাকিম, বৈধ্য সব এক করে বসে। মা ভালো মন্দ বুঝেনা। দামী শাড়ি পরেনা, ভ্যানিটিব্যাগ ঝুলিয়ে, স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘুরতেও যায়না। সারাদিন খালি রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের চিন্তায় দুঃখে কষ্টে জীবনটা কাটিয়ে দেয়। মা স্বার্থপর। নিজের সন্তান ও স্বামীর জন্য মা দুনিয়ার সবকিছু ত্যাগ করতে পারে। সব শেষে মায়েরা পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ। তাই আমরা সন্তানেরা তাদের এতো কষ্ট দেই তবুও তারা পরিবর্তন হয় না। মা আর সন্তানের ভালবাসার মতো। পৃথিবীতে আর কোন ভালবাসা নাই। আসুন না আমরা মাকে ভালবাসি। কেউ যেন মা কে কষ্ট না দিই। এমন কি তারা পৃথিবীতে না থাকলেও যেন নিজের স্বার্থে কুকুরের সাথে তুলনা না করি। আর আল্লাহ্ সকল সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালোবাসা বৃদ্ধি করুক,"বৃদ্ধশ্রম যেন কোন মায়ের ঠিকানা না হয়।" #রিপোস্ট
By kolpobazz
কিরে সাইকো চান কি আজ দিনে উঠছে নাকি,,,?😒 তোর দেখছি মন খারাপ, ভাবা যায়না 😱😱 কি হইছে দেখি ক? ছ্যকা খাইছি দাদা,,,😭😭 ধুরু তরে প্রেম করতেই দেখলাম না জিবনে আর কস খাইসস কিনা ছ্যকা।😒😒 হুর,, আর কইওনা একজনএর উপর ক্রাশ খাইছিলাম। ত কি হইছে?😒😒 আজ প্রপজ করতে যামু এমন সময় সে কয় আমি বিবাহিতা। 😭😭😭😭 ধুরু সালা তরে দিয়া কিচ্ছু হবেনা 👌 #এখন চিন্তা হচ্ছে,,, সত্যি ই কি আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা।। 😩😩 #সাইকো
By kolpobazz
Thursday, March 28, 2019
Wednesday, March 27, 2019
Tuesday, March 26, 2019
দ্যা রেইপ
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪০
দ্যা রেইপ (পর্ব - ০১)
#সাইকো
বিছানাতে শুয়ে আছে মেয়েটা ।
নগ্ন শরীর টিউবলাইটের আলোতে চক চক করছে ।
চোখ বোজা, বুকে কামড়ের দাগ । গলার কাছটা লাল হয়ে আছে ।
দ্যা রেইপ (পর্ব - ০১)
#সাইকো
বিছানাতে শুয়ে আছে মেয়েটা ।
নগ্ন শরীর টিউবলাইটের আলোতে চক চক করছে ।
চোখ বোজা, বুকে কামড়ের দাগ । গলার কাছটা লাল হয়ে আছে ।
শেষবারের মত ওদিকে তাকিয়ে ঘরটা থেকে বের হয়ে আসে তারেক । দরজার ঠিক বাইরে দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বন্ধু তিয়াস, তার দিকে তাকিয়ে বোকা বোকা একটা হাসি দিল ও । তারপর জানালার পর্দায় মুছে ছুরিটা ঢুকিয়ে রাখে পকেটে ।
‘চেক অন ইয়োর পেশেন্ট প্লিজ, ডক্টর ।’, টলতে টলতে ফ্রিজের দিকে এগিয়ে যায় তারেক ।
কাঁধ ঝাঁকিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে পড়ে তিয়াস । মেয়েটার দুই হাটু ঝুলে আছে বিছানা থেকে । রক্তে ভেসে যাচ্ছে দুই উরুর মাঝখানটা ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সুবাদে লাশ কম দেখার অভিজ্ঞতা হয় নি তিয়াসের । কলেজের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায় ওর । একবার মর্গে এসেছিল এরকম একটা লাশ । রেপ কেস ।
ভুল ভাবল, রেপ অ্যান্ড মার্ডার কেস ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সুবাদে লাশ কম দেখার অভিজ্ঞতা হয় নি তিয়াসের । কলেজের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায় ওর । একবার মর্গে এসেছিল এরকম একটা লাশ । রেপ কেস ।
ভুল ভাবল, রেপ অ্যান্ড মার্ডার কেস ।
লাশটা পাওয়া গেছিল কমলাপুরের দিকে, রাতের বেলাতে কেউ ফেলে দিয়ে গেছে রাস্তাতে । সম্ভবতঃ চলন্ত গাড়ি থেকে ছুঁড়ে মারা হয়েছিল দেহটা, শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে ছিলে যাওয়ার দাগ থেকে এটুকু বোঝা সম্ভব হয়েছিল । তিয়াসের ধারণা অবশ্য আলাদা, মেয়েটাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল সম্ভবতঃ চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ।
বন্ধুরা উড়িয়ে দিয়েছিল ওর কথা, তবে গাড়ি থেকে ফেলা হয়ে থাকলে শুধু কাঁধের কাছে বেশি ক্ষত পাওয়া যাবে না । পুরো শরীরকে বের করে দেওয়া হলে মোটামুটি চাপটা যাওয়ার কথা কোমরের ওপর দিয়ে ।
অথচ, লাশের কোমরের থেকে কাঁধের কাছে ছড়ে যাওয়ার পরিমাণ ছিল সেখানে বেশি ।
অথচ, লাশের কোমরের থেকে কাঁধের কাছে ছড়ে যাওয়ার পরিমাণ ছিল সেখানে বেশি ।
‘শালা, তুই ডিটেকটিভ ব্র্যাঞ্চের স্পেশাল মেম্বার না । গাড়ি আর বাইকের পার্থক্য নিয়ে ক্যাচালে যাচ্ছিস কেন ? মরা এসেছে, মরা কাটবি ।’, সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল বন্ধু রশীদ ।
ওই মরাটা কাটার সুযোগ যদিও হয়নি ওদের কারোই ।
ওই মরাটা কাটার সুযোগ যদিও হয়নি ওদের কারোই ।
বিছানাতে পড়ে থাকা মেয়েটার দিকে নির্বিকারভাবে এগিয়ে যায় ও, বাম হাতটা তুলে নিয়েছে নিজের হাতে ।
পালস পরীক্ষা করার জন্য প্রথম শর্ত, বুড়ো আঙুল ব্যবহার করা যাবে না । তিয়াস তখন পালস পাবে ঠিকই, তবে নিজেরটা । মরার পালস দেখে চোখ উল্টে ফেলে যদি কেউ – নিশ্চিত থাকা চলে ব্যাটা বুড়ো আঙুল ঠেসে ধরেছিল মরাটার হাতে ।
পালস পরীক্ষা করার জন্য প্রথম শর্ত, বুড়ো আঙুল ব্যবহার করা যাবে না । তিয়াস তখন পালস পাবে ঠিকই, তবে নিজেরটা । মরার পালস দেখে চোখ উল্টে ফেলে যদি কেউ – নিশ্চিত থাকা চলে ব্যাটা বুড়ো আঙুল ঠেসে ধরেছিল মরাটার হাতে ।
মৃত মেয়েটার কব্জির হাড়ের সাথে আর্টারিটাকে চেপে ধরে ও । তর্জনী আর মধ্যমাকে ব্যবহার করছে, কোন ধরণের কম্পন অনুভব করতে পারল না অবশ্য । এতেই পেশেন্টের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার মত কিছু হয় নি, তারেকের জন্যও বগল বাজানোর মত কোন ঘটনা এটা না ।
ঠাণ্ডা হতে শুরু করা শরীরটার ঘাড়ে হাত রেখে আরেকবার পালস অনুভব করার চেষ্টা করে ও, পালস পাওয়া গেল না ।
নাকি গেল ?
নিজের দুই হাত ঘষে গরম করার চেষ্টা করে তিয়াস । ঠাণ্ডা পড়ছে সেরকম । আরেকবার ঘাড়ে চেপে ধরে হাতটা ।
মৃদু কাঁপছে জায়গাটা ?তবে হরমোনের প্রভাবটা বোঝা যাচ্ছে না ।
সত্যি নাকি মনের ভুল ?
নাকি গেল ?
নিজের দুই হাত ঘষে গরম করার চেষ্টা করে তিয়াস । ঠাণ্ডা পড়ছে সেরকম । আরেকবার ঘাড়ে চেপে ধরে হাতটা ।
মৃদু কাঁপছে জায়গাটা ?তবে হরমোনের প্রভাবটা বোঝা যাচ্ছে না ।
সত্যি নাকি মনের ভুল ?
ঝুলে থাকা একটা পা তুলে এনে হাঁটুর বিপরীতে আঙুল ছোঁয়ায় তিয়াস, আর্টারির মৃদু কম্পন স্পষ্ট না হলেও – অনুভব করে এবার ও ।
হতাশ ভঙ্গিতে দুই পাশে মাথা নাড়িয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায় তিয়াস । তারেককে দরকার ।
হতাশ ভঙ্গিতে দুই পাশে মাথা নাড়িয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায় তিয়াস । তারেককে দরকার ।
ছেলেটাকে পাওয়া গেল রান্নাঘরে, ঠাণ্ডা একটা পেপসির বোতল বের করে ঢক ঢক করে গলাতে ঢালছে । অন্যহাতে জ্বলছে সিগারেট ।
মাথার দিকের আগুন প্রায় পেট পর্যন্ত চলে এসেছে । শালার অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস হবে শিওর । জন্তুর মত টানছে একেবারে !
মাথার দিকের আগুন প্রায় পেট পর্যন্ত চলে এসেছে । শালার অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস হবে শিওর । জন্তুর মত টানছে একেবারে !
‘শালী মরে নি ।’, ফ্রিজ থেকে আরেকটা বোতল বের করতে করতে বলে তিয়াস ।
ক্লান্ত চোখে তার দিকে তাকায় তারেক, ‘চটকানা মারলেই তো কাজটা হয়ে যায় । আবার আমাকে বলতে আসলি কেন ?’
‘তোর গার্লফ্রেন্ড, তুই চটকানা মার । আমার দায় ওটা না ।’, মুখটা খুলে চুলোর দিকে ছুঁড়ে মারে তিয়াস ।
‘এসেছিস কি করতে তাহলে ?’, বিরক্তিতে গর গর করলেও আবার ঘরটার দিকে ফিরে যেতে থাকে তারেক । যাওয়ার আগে বোতলটা দেওয়ালে আছড়ে ফেলতে ভুলে নি অবশ্য । বিকট শব্দ করে সিংকের ওপর আছড়ে পড়ল ওটা ।
ক্লান্ত চোখে তার দিকে তাকায় তারেক, ‘চটকানা মারলেই তো কাজটা হয়ে যায় । আবার আমাকে বলতে আসলি কেন ?’
‘তোর গার্লফ্রেন্ড, তুই চটকানা মার । আমার দায় ওটা না ।’, মুখটা খুলে চুলোর দিকে ছুঁড়ে মারে তিয়াস ।
‘এসেছিস কি করতে তাহলে ?’, বিরক্তিতে গর গর করলেও আবার ঘরটার দিকে ফিরে যেতে থাকে তারেক । যাওয়ার আগে বোতলটা দেওয়ালে আছড়ে ফেলতে ভুলে নি অবশ্য । বিকট শব্দ করে সিংকের ওপর আছড়ে পড়ল ওটা ।
তিয়াসের এখানে আসার দরকারটা ছিল ভিন্নমাত্রার । নিচের যে গার্ডটা পড়ে আছে তার নিজের রুমে – সে আর কোনদিনও তাকাবে না । কাজটা নিশ্চিত করতে তিয়াসকে দরকার ছিল তারেকের ।
দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে লোকটা, মুখ চোখ ফুলে উঠবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই । ইনজেক্ট করে ফসফলিপেজ, হিস্টামিন আর হিলারোনিডেজ ব্যাটার শরীরে ঢুকিয়ে দিয়েছে তিয়াস শুধু ।
‘মার্ডার ! মার্ডার !!’ – বলে চেঁচামেচি করতে পারে এলাকাবাসী, তবে গলাটা একেবারে মাগনাতেই ভাঙবে ওদের সেক্ষেত্রে ।
দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে লোকটা, মুখ চোখ ফুলে উঠবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই । ইনজেক্ট করে ফসফলিপেজ, হিস্টামিন আর হিলারোনিডেজ ব্যাটার শরীরে ঢুকিয়ে দিয়েছে তিয়াস শুধু ।
‘মার্ডার ! মার্ডার !!’ – বলে চেঁচামেচি করতে পারে এলাকাবাসী, তবে গলাটা একেবারে মাগনাতেই ভাঙবে ওদের সেক্ষেত্রে ।
কজ অফ ডেথ কি তা তিয়াসের খুব ভালো জানা আছেঃ অ্যানাফিলাক্সিস ।
দম আটকে মারা গেছে রোগী, মুখে কোন ধ্বস্তাধস্তির চিহ্নও নেই । বাতাস নেওয়া থেকে শিকারকে ঠেকাতে তিয়াস কোনদিনও হাত ব্যবহার করে না । একফালি কাপড় কাজটা খুব ভালো করতে পারে, কিন্তু কোন রকম দাগ ওটা ফেলে না কখনও ।
পোস্ট মর্টেমের ফলে সিস্টেমে পাওয়া যাবে ফসফলিপেজ, হিস্টামিন আর হিলারোনিডেজ । মৌমাছির হুলে ৮৮% থাকে পানি, আর ১২% বিষ । বিষের কেমিক্যাল ফর্মেশন জানাটা কঠিন, তবে ফসফলিপেজম, হিস্টামিন আর হিলারোনিডেজের আধিক্য আছে ।
এই তিনটে এনজাইম অ্যাক্টিভেট করে দেয় অ্যালার্জিক পেশেন্টের অ্যানাফিলাক্সিস ।
পোস্ট মর্টেমের ফলে সিস্টেমে পাওয়া যাবে ফসফলিপেজ, হিস্টামিন আর হিলারোনিডেজ । মৌমাছির হুলে ৮৮% থাকে পানি, আর ১২% বিষ । বিষের কেমিক্যাল ফর্মেশন জানাটা কঠিন, তবে ফসফলিপেজম, হিস্টামিন আর হিলারোনিডেজের আধিক্য আছে ।
এই তিনটে এনজাইম অ্যাক্টিভেট করে দেয় অ্যালার্জিক পেশেন্টের অ্যানাফিলাক্সিস ।
ফলাফল – শ্বাস নিতে না পেরে রোগীর মৃত্যু । সময়মত হাসপাতালে নিতে পারলে বেঁচে যায় অবশ্য রোগী ।
তবে এখানে অ্যানাফিলাক্সিসের কোন ঝামেলা ছিল না । কাজটা করেছে তিয়াসের দুটো হাত ।
ডক্টর আসিবার পরে রোগী মারা গিয়াছে !
তবে এখানে অ্যানাফিলাক্সিসের কোন ঝামেলা ছিল না । কাজটা করেছে তিয়াসের দুটো হাত ।
ডক্টর আসিবার পরে রোগী মারা গিয়াছে !
তারেক আরেকবারের মত রক্তমাখা ছুরি নিয়ে বের হয়ে আসছে – সেদিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিয়াস । হাল্কাভাবে মনে পড়ে মেয়েটার দুই পায়ের মাঝে ছড়িয়ে থাকা রক্তের ছাপের কথা । এবার অন্য কোথাও মেরেছে তো ?
‘ঝামেলাতে না গিয়ে শালীকে সহই পুড়িয়ে দিতে পারতাম সবকিছু ।’, শান্ত কণ্ঠে বলল ও তিয়াস ।
অন্যদিকে তাকায় তারেক, ‘জ্যান্ত পোড়াতে চাচ্ছি না । জানিস তুই ।’
অন্যদিকে তাকায় তারেক, ‘জ্যান্ত পোড়াতে চাচ্ছি না । জানিস তুই ।’
হারামজাদা !
মরা গার্লফ্রেন্ডের জন্য প্রেম একেবারে উথলে উঠেছে !
খোলা জানালা দিয়ে তারেকের অর্ধসমাপ্ত সিগারেটটা ছুড়ে মারে ও । মেঝের কাছে রাখা ব্যাগ থেকে তুলে নিয়েছে ছোট একটা কুড়াল ।
মরা গার্লফ্রেন্ডের জন্য প্রেম একেবারে উথলে উঠেছে !
খোলা জানালা দিয়ে তারেকের অর্ধসমাপ্ত সিগারেটটা ছুড়ে মারে ও । মেঝের কাছে রাখা ব্যাগ থেকে তুলে নিয়েছে ছোট একটা কুড়াল ।
ওর হাত চেপে ধরে তারেক, ‘আগে গিয়ে তিন্নির ভাইটালস চেক করে আয় ।’
‘আগেই দুর্বল ছিল, স্ট্যাবিং উয়ন্ড সামলানোর মত প্রাণশক্তি থাকার কথা না ।’
‘তবুও ।’, শক্ত হয়ে যায় তারেকের চোয়াল ।
‘আগেই দুর্বল ছিল, স্ট্যাবিং উয়ন্ড সামলানোর মত প্রাণশক্তি থাকার কথা না ।’
‘তবুও ।’, শক্ত হয়ে যায় তারেকের চোয়াল ।
ঘটাং-জাতীয় একটা শব্দের সাথে সাথে দেওয়ালের সাথে থাকা গ্যাসের পাইপটা চুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল । হিস হিস শব্দ হচ্ছে, ছোট্ট রান্না ঘরটা ভরে যাচ্ছে হাল্কা একটা ঝাঁঝালো গন্ধে । ব্যস্ত হাতে জানালা লাগাতে থাকে ও । কুড়ালটা ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে তারেক ।
‘গেলি তুই ?’, হুংকার ছাড়ে পরের মুহূর্তেই ।
‘যাচ্ছি । জানালাগুলো সব দ্রুত লাগিয়ে মেইন গেটে চলে যা তুই ।’, ইশারা করে তিয়াস, ‘TIB, ম্যান !’
‘ইয়েপ… টিআইবি …’, মাথা দোলায় তারেক ।
‘যাচ্ছি । জানালাগুলো সব দ্রুত লাগিয়ে মেইন গেটে চলে যা তুই ।’, ইশারা করে তিয়াস, ‘TIB, ম্যান !’
‘ইয়েপ… টিআইবি …’, মাথা দোলায় তারেক ।
দিস ইজ বাংলাদেশ ।
গ্যাস সিস্টেম নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলেও একটা অ্যাপার্টমেন্ট পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য যতটা এয়ারটাইট করা দরকার ওটাকে – তা করা সম্ভব নাও হতে পারে ।
গ্যাস সিস্টেম নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলেও একটা অ্যাপার্টমেন্ট পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য যতটা এয়ারটাইট করা দরকার ওটাকে – তা করা সম্ভব নাও হতে পারে ।
হুড়মুড় করে ঘরে চলে আসে তিয়াস, মেয়েটার বাম স্তনের নিচে ছুরির ক্ষতটা দেখে বুঝতে পারে, আর পালস চেক না করলেও চলবে ওর । একেবারে জায়গামত বসিয়েছে বন্ধু, রক্তের স্প্রের বাইরে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিল নিশ্চয় ? তারেকের শরীরে রক্তের ছাপ দেখে নি ও পরে ।
ঘরের কোণে মোমবাতিটা রেখে সাবধানে আগুন ধরায় সালেহ মুহম্মদ শোয়াইব তিয়াস, ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন ইন্টার্নি স্টুডেন্ট ।
তারপর প্রাণপনে ছোটে মেইন গেটের দিকে ।
তারপর প্রাণপনে ছোটে মেইন গেটের দিকে ।
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪০
দ্যা রেইপ (পর্ব - ০২)
#সাইকো
‘এবার কোথায় ?’, চেঁচিয়ে বলে তারেক, শব্দটার বেশিরভাগ অংশই উড়িয়ে নিয়ে যায় বাতাস ।
মোটরসাইকেলের পেছনে জোরে চেঁচাতে হয় তিয়াসকে, ‘আমার ফ্ল্যাটের দিকে আগা ।’
‘ট্রিনিটি বার খোলা আছে -’, আপত্তি জানাচ্ছিল বন্ধু, মাঝপথে থামিয়ে দেয় তিয়াস ।
‘আমার ঘরে বোতল আছে দুটো । রাশিয়ান জিনিস ।’
দ্যা রেইপ (পর্ব - ০২)
#সাইকো
‘এবার কোথায় ?’, চেঁচিয়ে বলে তারেক, শব্দটার বেশিরভাগ অংশই উড়িয়ে নিয়ে যায় বাতাস ।
মোটরসাইকেলের পেছনে জোরে চেঁচাতে হয় তিয়াসকে, ‘আমার ফ্ল্যাটের দিকে আগা ।’
‘ট্রিনিটি বার খোলা আছে -’, আপত্তি জানাচ্ছিল বন্ধু, মাঝপথে থামিয়ে দেয় তিয়াস ।
‘আমার ঘরে বোতল আছে দুটো । রাশিয়ান জিনিস ।’
পরের মোড়ে সুড়ুৎ করে মোটরসাইকেল ঢুকিয়ে দেয় তারেক ।
বিনা বাক্যব্যয়ে ! about Cialis tablets
বিনা বাক্যব্যয়ে ! about Cialis tablets
*
গরম পানিতে শাওয়ার সেরে এসে ডাইনিং রুম থেকে মাংসভাজার গন্ধ পেতেই মন ভালো হয়ে যায় তারেকের ।
গরম পানিতে শাওয়ার সেরে এসে ডাইনিং রুম থেকে মাংসভাজার গন্ধ পেতেই মন ভালো হয়ে যায় তারেকের ।
দুইজনই ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র, তবে বন্ধুত্বের গল্পটা শুরু হয়েছিল থার্ড ইয়ারে । একই সংগঠনে ছিল ওরা, ফরেনসিক মেডিসিনের এক লেকচারার খুব বেশি ঝামেলা করছিল তখন । দারুণ একটা চরিত্র বেলাল আহমেদ স্যারের ছিল, অস্বীকার করার কিছু নেই । তবে বামপন্থী মানুষজনের ঘাড় থাকে ত্যাড়া ।
সংগঠনের বড় ভাই যখন খুব সুন্দর করে তারেক আর তিয়াসকে বুঝিয়ে দিলেন, তাদের কি করতে হবে – ওরা ভালো মতই বুঝেছিল । triglyceride metformin 2.5 500mg tabs
সংগঠনের বড় ভাই যখন খুব সুন্দর করে তারেক আর তিয়াসকে বুঝিয়ে দিলেন, তাদের কি করতে হবে – ওরা ভালো মতই বুঝেছিল । triglyceride metformin 2.5 500mg tabs
বুকে একটা মাত্র গুলির ক্ষত নিয়েই বেলাল স্যার রীতিমত চেঁচাচ্ছিলেন, ‘মারা যাচ্ছি ! মারা যাচ্ছি আমি এখানেই – ওহ গড, আ’ম শট !’
স্যার মোটেও মারা যাচ্ছিলেন না । চেস্ট পেনেট্রেটিং উয়ন্ড ছিল বটে, তবে ফুসফুসকে স্রেফ ন্যাকড়া বানিয়ে দিয়েছিল । এক বাক্যে বলতে দিলে তিয়াস বলবে ওটা ছিল পালমোনারি প্যারেনকাইমাল ল্যাসেরেশন । ট্রিটমেন্ট – টিউব থোরাকস্টমি ।
এক ফুসফুস নিয়ে কিভাবে একটা লোক চেঁচাতে পারে তা নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবতে ইচ্ছে করছিল তিয়াসের । কিন্তু ও জানত, এখন চেক করলে দেখা যাবে স্যারের হার্ট রেট ১২০, শ্বাসপ্রশ্বাসের হার ৪০, ব্লাড প্রেশার ৯০/৬০ । মাসকুলার চেস্ট ওয়াল একেবারে ফুটো হয়ে গেছে, নিশ্চিতভাবে ইন্ট্র্যাথোরেকিক অর্গানগুলোর একাধিকে লাগিয়েছে ও ।
এই মুহুর্তে সার্জারিতে নিয়ে গেলে লোকটা বেঁচে যাবে – কিন্তু সেটা হতে দিতে ওরা পারত না । পারত না স্যারের জন্য টিউব থোরাকস্টমির ব্যবস্থা করতে ।
কাজেই যেটা করা দরকার ছিল – সেটাই করে তারেক – পরের বুলেটটা মাথার পেছন দিক দিয়ে ঢুকিয়ে দেয় নির্বিকারচিত্তে । ব্যাথাতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন তিনি, চেটো দেখতে পেয়ে দেরী করার আর মানে ছিল না ।
দুই দুইটি গুলির শব্দ ক্যাম্পাসকে স্তব্ধ করে দেয় !
এই মুহুর্তে সার্জারিতে নিয়ে গেলে লোকটা বেঁচে যাবে – কিন্তু সেটা হতে দিতে ওরা পারত না । পারত না স্যারের জন্য টিউব থোরাকস্টমির ব্যবস্থা করতে ।
কাজেই যেটা করা দরকার ছিল – সেটাই করে তারেক – পরের বুলেটটা মাথার পেছন দিক দিয়ে ঢুকিয়ে দেয় নির্বিকারচিত্তে । ব্যাথাতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন তিনি, চেটো দেখতে পেয়ে দেরী করার আর মানে ছিল না ।
দুই দুইটি গুলির শব্দ ক্যাম্পাসকে স্তব্ধ করে দেয় !
এর ঠিক কয়েকদিন পরেই বামদলের রাজীব বাহিনী তিয়াসকে পাল্টা আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে – বিষয়টা তারেকই প্রথম জানতে পারে । হলের গেটে যখন রাজীব-বাহিনী, তারেক যেভাবে তিয়াসকে ছাদে নিয়ে গিয়ে দড়িতে করে নামিয়ে দেয় – উপকারটা তিয়াস কোনদিনও ভুলতে পারে নি ।
কাজেই, বিশ্বাসঘাতিনী গার্লফ্রেন্ড তিন্নিকে সরিয়ে ফেলার সময় তিয়াসের সহায়তা চাইলে মানা করার প্রশ্নই আসে না ।
কাজেই, বিশ্বাসঘাতিনী গার্লফ্রেন্ড তিন্নিকে সরিয়ে ফেলার সময় তিয়াসের সহায়তা চাইলে মানা করার প্রশ্নই আসে না ।
ছেলেটা ঠাণ্ডা মাথাতে চিন্তা করতে পারে । তারেকের ক্ষেত্রে এ গুণটা বিরল । স্টেলথ তিয়াস বলা হত ওকে ক্যাম্পাসে । এদিকটার সাহায্যও দরকার ছিল আজ রাতে ওদের । আর প্রয়োজন ছিল একটা পারফেক্ট এনভায়রনমেন্ট । বাসা ফাঁকা হতেই কাজ সেরে দিয়েছে ওরা ।
‘মেয়েটার ব্যাপারে ভাবিস না । এটা ওর প্রাপ্য ছিল ।’, ঠাণ্ডা গলাতে উচ্চারণ করে তিয়াস, প্লেট সাজাচ্ছে দুটো ।
তিন্নির সাথে এয়ারফোর্সের ছেলেটার গোপন সম্পর্কের কথা ভাবতে ভাবতে মাথা নাড়ে তারেক, ‘ভাবছিও না ।’
মুচকি হাসে তিয়াস, ‘গুড । খেতে বস ।’
‘আজ রাতে নিশ্চয় লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকবি ?’, তিন টুকরো গরুর গোস্ত প্লেটে তুলে নেয় তারেক ।
একটা ভ্রু উঁচু হয়ে যায় তিয়াসের, ‘কেন মনে হল এ কথা ?’
তারেকের ভ্রুও একটা উঁচু হয়ে গেল, ‘আরেকটা সাইকো স্টোরি লেখার জন্য এনাফ মাল মশলা তো আজকের অভিযানে তোর পেয়ে যাওয়ার কথা ?’
‘আর আমাদের ফাঁসীর দড়িতে ঝুলে পড়াটা একেবারে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যাক, এই তো ? ব্লাডি ইডিয়ট !’
তিন্নির সাথে এয়ারফোর্সের ছেলেটার গোপন সম্পর্কের কথা ভাবতে ভাবতে মাথা নাড়ে তারেক, ‘ভাবছিও না ।’
মুচকি হাসে তিয়াস, ‘গুড । খেতে বস ।’
‘আজ রাতে নিশ্চয় লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকবি ?’, তিন টুকরো গরুর গোস্ত প্লেটে তুলে নেয় তারেক ।
একটা ভ্রু উঁচু হয়ে যায় তিয়াসের, ‘কেন মনে হল এ কথা ?’
তারেকের ভ্রুও একটা উঁচু হয়ে গেল, ‘আরেকটা সাইকো স্টোরি লেখার জন্য এনাফ মাল মশলা তো আজকের অভিযানে তোর পেয়ে যাওয়ার কথা ?’
‘আর আমাদের ফাঁসীর দড়িতে ঝুলে পড়াটা একেবারে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যাক, এই তো ? ব্লাডি ইডিয়ট !’
নিশ্চিন্ত মনে গালির সাথে সাথে মুখের ভেতরে এক লোকমা ভাতও তুলে নেয় তারেক ।
অনলাইন আর অফলাইনে তিয়াসের গল্পগুলোর দাম আছে । দারুণ থ্রিলার লেখতে জানে ছেলেটা । রসবোধের অভাব থাকে না সেখানে । তারেক শুধু ভেবে পায় না – এই ছেলে বাস্তব জীবনে এত কঠোর মুখ নিয়ে থাকলেও লেখার সময় এরকম রস কিভাবে পায় ?
একমাত্র ব্যাখ্যা – অসুস্থ একধরণের আনন্দ পায় তিয়াস লেখার সময় । বিষয়টা তাকে করে তোলে সম্পূর্ণ আলাদা একই চরিত্র । এই চরিত্রটি হাসতে জানে ।
অনলাইন আর অফলাইনে তিয়াসের গল্পগুলোর দাম আছে । দারুণ থ্রিলার লেখতে জানে ছেলেটা । রসবোধের অভাব থাকে না সেখানে । তারেক শুধু ভেবে পায় না – এই ছেলে বাস্তব জীবনে এত কঠোর মুখ নিয়ে থাকলেও লেখার সময় এরকম রস কিভাবে পায় ?
একমাত্র ব্যাখ্যা – অসুস্থ একধরণের আনন্দ পায় তিয়াস লেখার সময় । বিষয়টা তাকে করে তোলে সম্পূর্ণ আলাদা একই চরিত্র । এই চরিত্রটি হাসতে জানে ।
‘একটা কথা জানতে পারি ?’, একটু ভেবে প্রশ্নটা করে তারেক ।
‘নিশ্চিন্তে ।’, সব্জির বাটি থেকে আরেক চামচ তুলে নেয় তিয়াস, ‘সব্জি নিবি না ?’
‘না থাকুক । গোস্তটা চমৎকার হয়েছে ।’, চোখ বন্ধ করে একটু উপভোগ করে তারেক, ‘যাই হোক, যেটা বলছিলাম – তোর গল্পগুলোর চরিত্ররা সবাই কি কাল্পনিক ?’
কাঁধ ঝাঁকায় তিয়াস, ‘বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তো থাকেই । তবে শুধু সেটা দিয়ে তো আর গল্প হয় না, কল্পনারও দরকার আছে একজন লেখকের । অবশ্যই দরকার আছে ।’
‘একটা মেয়েকে নিয়ে একটা গল্পে লেখেছিলি, প্রেমে ব্যর্থতার জের ধরে বয়ফ্রেন্ড তাকে রেইপ করে । তারপর খুন । তবে পদ্ধতিগুলো ছিল নিষ্ঠুর । মনে আছে ?’
ঠোঁট হাল্কা বেঁকে যায় তিয়াসের, হাসছে, ‘মেয়েটার দুই হাত কবজি থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল । আলাজিহ্বাতে একটা তের ইঞ্চির পিনের সামনের দিকটা ঢোকানোর সময় মেয়েটার চিৎকার আচমকা থেমে যায় । তারপর ছেলেটা শুরু করে ওর চামড়া ছেলা । গলা থেকে শুরু, পায়ের পাতাতে শেষ ।’
শুকনো গলাতে পানি ঢালে তারেক, ‘হুঁ, বয়ফ্রেন্ডটার -’
অযথাই কাশে ও ।
সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তিয়াস, ‘বয়ফ্রেন্ডটা ?’
‘তুই ছিলি ?’
‘নিশ্চিন্তে ।’, সব্জির বাটি থেকে আরেক চামচ তুলে নেয় তিয়াস, ‘সব্জি নিবি না ?’
‘না থাকুক । গোস্তটা চমৎকার হয়েছে ।’, চোখ বন্ধ করে একটু উপভোগ করে তারেক, ‘যাই হোক, যেটা বলছিলাম – তোর গল্পগুলোর চরিত্ররা সবাই কি কাল্পনিক ?’
কাঁধ ঝাঁকায় তিয়াস, ‘বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তো থাকেই । তবে শুধু সেটা দিয়ে তো আর গল্প হয় না, কল্পনারও দরকার আছে একজন লেখকের । অবশ্যই দরকার আছে ।’
‘একটা মেয়েকে নিয়ে একটা গল্পে লেখেছিলি, প্রেমে ব্যর্থতার জের ধরে বয়ফ্রেন্ড তাকে রেইপ করে । তারপর খুন । তবে পদ্ধতিগুলো ছিল নিষ্ঠুর । মনে আছে ?’
ঠোঁট হাল্কা বেঁকে যায় তিয়াসের, হাসছে, ‘মেয়েটার দুই হাত কবজি থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল । আলাজিহ্বাতে একটা তের ইঞ্চির পিনের সামনের দিকটা ঢোকানোর সময় মেয়েটার চিৎকার আচমকা থেমে যায় । তারপর ছেলেটা শুরু করে ওর চামড়া ছেলা । গলা থেকে শুরু, পায়ের পাতাতে শেষ ।’
শুকনো গলাতে পানি ঢালে তারেক, ‘হুঁ, বয়ফ্রেন্ডটার -’
অযথাই কাশে ও ।
সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তিয়াস, ‘বয়ফ্রেন্ডটা ?’
‘তুই ছিলি ?’
ঘর কাঁপিয়ে হেসে ফেলে তিয়াস, আরেক টুকরো গোস্ত মুখে তুলে নেয় । ভাজা মাংসের গন্ধে ঘরটা মৌ মৌ করছে ।
বোকা বোকা একটা চাহনি দেয় তারেক তার দিকে ।
বোকা বোকা একটা চাহনি দেয় তারেক তার দিকে ।
‘আরে না ব্যাটা । সব গল্পই কি আমার জীবনের গল্প নিয়ে নাকি ? পানির জগটা এদিকে দে তো ।’
‘তাহলে যে গল্পে মেডিকেলের ছাত্র একজন যুবককে দেখা গেছিল তার বোনের ওপর চড়াও হতে – সে ব্যাপারে কি বলবি ? শুধুই কল্পনা ? নাকি সেটা নিজের জীবনের গল্প ?’
থমথমে মুখে তাকায় তিয়াস ওর দিকে, ‘আমি শুধু যা করি তা থেকেই গল্প লেখি না ।’
‘তারমানে ওটা আমাদের কোন ক্লাসমেটের লাইফ স্টোরি ? তুই না করলেও কেউ করেছিল । জেনেছিস এবং লেখেছিস ।’
‘ওটা ছিল আমার কল্পনা ।’, লাইটের দিকে তাকায় তিয়াস, ‘এখন কম কথা বলে খা । মাথা ধরে যাচ্ছে ।’
‘তাহলে যে গল্পে মেডিকেলের ছাত্র একজন যুবককে দেখা গেছিল তার বোনের ওপর চড়াও হতে – সে ব্যাপারে কি বলবি ? শুধুই কল্পনা ? নাকি সেটা নিজের জীবনের গল্প ?’
থমথমে মুখে তাকায় তিয়াস ওর দিকে, ‘আমি শুধু যা করি তা থেকেই গল্প লেখি না ।’
‘তারমানে ওটা আমাদের কোন ক্লাসমেটের লাইফ স্টোরি ? তুই না করলেও কেউ করেছিল । জেনেছিস এবং লেখেছিস ।’
‘ওটা ছিল আমার কল্পনা ।’, লাইটের দিকে তাকায় তিয়াস, ‘এখন কম কথা বলে খা । মাথা ধরে যাচ্ছে ।’
কিছুক্ষণ বন্ধুর শীতল মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকে তারেক । তারপর একটু হাসে । ভাতের বাটিটা সামনে নিয়ে আসতে আসতে আস্বস্থ করে ওকে, ‘আমি ভাবছি না সবকিছু তোর রিয়েল লাইফের ঘটনা । অবশ্যই তোর কল্পনাশক্তি আছে । আর বেশ ভালই আছে ।’
‘খাওয়া শেষ করে বোতল নিয়ে রুমে আয় ।’, আস্তে করে উঠে দাঁড়ায় তিয়াস, ‘ফ্রিজে পাবি ।’
‘খাওয়া শেষ করে বোতল নিয়ে রুমে আয় ।’, আস্তে করে উঠে দাঁড়ায় তিয়াস, ‘ফ্রিজে পাবি ।’
প্লেটে অর্ধেক খাবার রেখে বেসিনের দিকে রওনা দেয় তিয়াস ।
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪০
দ্যা রেইপ (পর্ব - ০৩)
#সাইকো
এই নিয়ে চতুর্থবার বাজল কলিং বেল ।
চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসে তিয়াস । হাই ঠেকাতে মুখের সামনে নিয়ে এসেছে একটা হাত ।
গতকালের রাশিয়ান ভদকার ধাক্কা এখনও কাটে নি । টলোমলো পায়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায় ও ।
দ্যা রেইপ (পর্ব - ০৩)
#সাইকো
এই নিয়ে চতুর্থবার বাজল কলিং বেল ।
চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসে তিয়াস । হাই ঠেকাতে মুখের সামনে নিয়ে এসেছে একটা হাত ।
গতকালের রাশিয়ান ভদকার ধাক্কা এখনও কাটে নি । টলোমলো পায়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায় ও ।
তিনজন পুলিশ, দুইজনের হাতে পিস্তল, উদ্যত ।
তৃতীয়জন এই মাত্র মাথা থেকে ক্যাপ সরালো । তারপর ঝকঝকে একটা হাসি উপহার দেয় তিয়াসের দিকে তাকিয়ে ।
তৃতীয়জন এই মাত্র মাথা থেকে ক্যাপ সরালো । তারপর ঝকঝকে একটা হাসি উপহার দেয় তিয়াসের দিকে তাকিয়ে ।
‘মি. তিয়াস ?’, একবার হাতের কাগজে নামটা দেখে নেয় সে, ‘সালেহ মোহাম্মদ শোয়াইব তিয়াস ?’
কাঁধ ঝাঁকায় তিয়াস, ‘হ্যাঁ-আআআআম ।’
দ্বিতীয়বারের মত মুখের সামনে হাত নিয়ে এসে উদগত তৃতীয় হাইটিকে ঠেকায় ও ।
কাঁধ ঝাঁকায় তিয়াস, ‘হ্যাঁ-আআআআম ।’
দ্বিতীয়বারের মত মুখের সামনে হাত নিয়ে এসে উদগত তৃতীয় হাইটিকে ঠেকায় ও ।
‘হাতে কি আছে দেখতে পাচ্ছেন তো ?’, চোখের সামনে কাগজ দোলালো মানুষটা ।
‘পরিষ্কার । তুলা রাশি, জন্মলগ্নে গ্রহ দেখতে পাচ্ছি । এই সপ্তাহে একবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন । আয়ু স্বল্প, চল্লিশে পৌঁছানোর আগেই অভিযানে মহাযাত্রা করবেন । প্রেমিকার কাছে ছ্যাঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, বিপদ এড়াতে মধ্যমাতে ঝোলাতে হবে নীলা । বাম হাতের । ’
পিস্তল ধরা পুলিশদের একজন হা হয়ে গেছে ।
আরেকজনও আপাতদৃষ্টিতে হা হল, তারপর হা করার কারণটা বোঝা যায় ।
বাজখাঁই হুংকারটা তিয়াসের কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়, ‘মাদারচো-’
‘পরিষ্কার । তুলা রাশি, জন্মলগ্নে গ্রহ দেখতে পাচ্ছি । এই সপ্তাহে একবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন । আয়ু স্বল্প, চল্লিশে পৌঁছানোর আগেই অভিযানে মহাযাত্রা করবেন । প্রেমিকার কাছে ছ্যাঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, বিপদ এড়াতে মধ্যমাতে ঝোলাতে হবে নীলা । বাম হাতের । ’
পিস্তল ধরা পুলিশদের একজন হা হয়ে গেছে ।
আরেকজনও আপাতদৃষ্টিতে হা হল, তারপর হা করার কারণটা বোঝা যায় ।
বাজখাঁই হুংকারটা তিয়াসের কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়, ‘মাদারচো-’
নেতাটি এক হাত তুলতেই থেমে গেছে অবশ্য ছোট পুলিশ ।
‘এটা একটা ওয়ারেন্ট, স্যার । আমরা আপনার বাসাতে সার্চ চালাবো ।’
‘নোপ প্রব –আআম ।’, আরেকটা হাই তুলে বলে তিয়াস ।
‘এটা একটা ওয়ারেন্ট, স্যার । আমরা আপনার বাসাতে সার্চ চালাবো ।’
‘নোপ প্রব –আআম ।’, আরেকটা হাই তুলে বলে তিয়াস ।
সুড় সুড় করে ভেতরে ঢুকে গেল তিন পাপিষ্ঠ ।
দুই পা গিয়েই একজন আবার ফিরে আসে অবশ্য, পিস্তলের নল আবারও ঘুরিয়ে ফেলেছে তিয়াসের দিকে, ‘আপনি আমার সাথে এখানে বসছেন ।’
‘শিওর ।’
দুই পা গিয়েই একজন আবার ফিরে আসে অবশ্য, পিস্তলের নল আবারও ঘুরিয়ে ফেলেছে তিয়াসের দিকে, ‘আপনি আমার সাথে এখানে বসছেন ।’
‘শিওর ।’
ঠিক ত্রিশ মিনিটের মাথাতে পুলিশের গাড়ির পেছনে বসে থানার দিকে রওনা হতে দেখা গেল সালেহ তিয়াসকে । cialis new c 100
*
‘কাল রাতে আপনার সাথে কে ছিল ?’
‘আমি একাই ছিলাম ।’
‘গতকাল সন্ধ্যাতে আপনি কোথায় ছিলেন বলবেন কি ?’
‘উমম, ঠিক কয়টার কথা বলছেন, তখন একটু বাইরে ছিলাম ।’
‘সাতটা ?’
‘মামা চটপটির দোকানে । এটা হল আপনার ওভারব্রীজের গোড়াতে – মালি-’
হাত তুলে তাকে থামায় অফিসার, ‘আমি জানি । ওখানে কেউ আপনাকে দেখেছে ?’
ঘাড় চুলকালো তিয়াস, ‘আর কেউ না দেখলেও মামা তো দেখেছেই ।’
‘আমরা পরে সেটা দেখব । এর পরে আপনি কোথায় ছিলেন ?’
‘কাল রাতে আপনার সাথে কে ছিল ?’
‘আমি একাই ছিলাম ।’
‘গতকাল সন্ধ্যাতে আপনি কোথায় ছিলেন বলবেন কি ?’
‘উমম, ঠিক কয়টার কথা বলছেন, তখন একটু বাইরে ছিলাম ।’
‘সাতটা ?’
‘মামা চটপটির দোকানে । এটা হল আপনার ওভারব্রীজের গোড়াতে – মালি-’
হাত তুলে তাকে থামায় অফিসার, ‘আমি জানি । ওখানে কেউ আপনাকে দেখেছে ?’
ঘাড় চুলকালো তিয়াস, ‘আর কেউ না দেখলেও মামা তো দেখেছেই ।’
‘আমরা পরে সেটা দেখব । এর পরে আপনি কোথায় ছিলেন ?’
প্যান্টের ভেতরে হাত একটু ঢুকিয়ে ঘ্যাস ঘ্যাস করে চুলকায় তিয়াস, ‘বাসাতে ।’
‘হাত সরান ।’
‘জ্বি ?’
‘পাছার খাঁজ থেকে হাত বের করুন ।’
‘ও – সরি ।’, বাধ্য ছেলের মত হাত বের করে ও ।
‘আপনি বলতে চাইছেন, আপনার সাথে গতকাল আর কেউ ছিল না ?’
সোজা হয়ে বসে তিয়াস প্রথমবারের মত, ‘কি ঘটছে আমাকে কি বলবেন, অফিসার ?’
পাত্তাই দিল না লোকটা, ‘মনে করার চেষ্টা করে দেখুন, আপনার সাথে আর কেউ ছিল কি না ? আমাদের কাছে তথ্য আছে, আপনি আপনার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন ।’
‘আমি গতকাল কারও সাথে দেখা করতে যাই নি । আপনি কার কথা বলছেন ?’
হেলান দিয়ে বসে পুলিশটি, ‘আপনার বন্ধু তারেক আল জাবেরের সাথে দেখা হয়েছে ইদানিং কালের মধ্যে ?’
‘হাত সরান ।’
‘জ্বি ?’
‘পাছার খাঁজ থেকে হাত বের করুন ।’
‘ও – সরি ।’, বাধ্য ছেলের মত হাত বের করে ও ।
‘আপনি বলতে চাইছেন, আপনার সাথে গতকাল আর কেউ ছিল না ?’
সোজা হয়ে বসে তিয়াস প্রথমবারের মত, ‘কি ঘটছে আমাকে কি বলবেন, অফিসার ?’
পাত্তাই দিল না লোকটা, ‘মনে করার চেষ্টা করে দেখুন, আপনার সাথে আর কেউ ছিল কি না ? আমাদের কাছে তথ্য আছে, আপনি আপনার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন ।’
‘আমি গতকাল কারও সাথে দেখা করতে যাই নি । আপনি কার কথা বলছেন ?’
হেলান দিয়ে বসে পুলিশটি, ‘আপনার বন্ধু তারেক আল জাবেরের সাথে দেখা হয়েছে ইদানিং কালের মধ্যে ?’
একটু মনে করার চেষ্টা করে তিয়াস, ‘ছয় বা সাতদিন আগে শেষ দেখা হয়েছে ওর সাথে । কেন, অফিসার ? ওর কোন কিছু হয়েছে ?’
গলাতে উদ্বেগটা ফোটানোর ক্ষেত্রে কোনরকম কমতি ছিল না তিয়াসের, অফিসারকে দেখে অবশ্য মনে হয় না বিন্দুমাত্র প্রভাবিত হয়েছে সে ।
‘তারপরে ? কোথায় ছিলেন চটপটির দোকান থেকে বের হয়ে ?’
‘বাসাতে । আমার দাড়োয়ানকে প্রশ্ন করে দেখলেই পারেন । অযথা বার বার এক প্রশ্ন করার মানে কি ?’, হাল্কা রাগ ফুটে ওঠে তিয়াসের কণ্ঠে এবার ।
গলাতে উদ্বেগটা ফোটানোর ক্ষেত্রে কোনরকম কমতি ছিল না তিয়াসের, অফিসারকে দেখে অবশ্য মনে হয় না বিন্দুমাত্র প্রভাবিত হয়েছে সে ।
‘তারপরে ? কোথায় ছিলেন চটপটির দোকান থেকে বের হয়ে ?’
‘বাসাতে । আমার দাড়োয়ানকে প্রশ্ন করে দেখলেই পারেন । অযথা বার বার এক প্রশ্ন করার মানে কি ?’, হাল্কা রাগ ফুটে ওঠে তিয়াসের কণ্ঠে এবার ।
দীর্ঘ একটা মুহূর্ত তার দিকে তাকিয়ে থাকে অফিসার, ‘আপনার বাসাতে ভদকার দুটো বোতল পাওয়া গেছে ।’
‘বার থেকে কিনেছি । লিগাল বার । আপনি কি রিসিপ্ট দেখতে চান ?’
‘সার্চ পার্টি আপনার রিসিপ্ট পেয়েছে । আমি বলছি না অবৈধ ওগুলো । কিন্তু আপনার সাথে যে ড্রিংকারটি ছিল তার ব্যাপারে জানতে চাইছি আমি ।’
‘কেউ ছিল না ।’
‘বলতে চাইছেন আপনি একাই দু বোতল মেরে দিয়েছেন ? কংগ্র্যাচুলেশন্স ।’, সন্দেহ ঝরে পড়ে লোকটার কণ্ঠ থেকে ।
‘গাড়ি চালাচ্ছিলাম না গিলে – কাজেই আমাকে আটকানোর কোন অধিকার আপনাদের দেখছি না ।’
‘আপনি কি বলতে চান, আপনার ওপর কিছু মেডিকেল চেক আপ করলে এটাই প্রমাণ হবে এক রাতে দুবোতল ভদকা পান করেছিলেন ?’
সরাসরি তাকায় তার দিকে তিয়াস, ‘এক রাতে ? কখন বলেছি আমি গতকালই দু বোতল ভদকা খেয়েছি ? টাকার গাছ নেই আমার স্যার ! রিসিপ্টের ডেট দেখেছিলেন ?’
‘বার থেকে কিনেছি । লিগাল বার । আপনি কি রিসিপ্ট দেখতে চান ?’
‘সার্চ পার্টি আপনার রিসিপ্ট পেয়েছে । আমি বলছি না অবৈধ ওগুলো । কিন্তু আপনার সাথে যে ড্রিংকারটি ছিল তার ব্যাপারে জানতে চাইছি আমি ।’
‘কেউ ছিল না ।’
‘বলতে চাইছেন আপনি একাই দু বোতল মেরে দিয়েছেন ? কংগ্র্যাচুলেশন্স ।’, সন্দেহ ঝরে পড়ে লোকটার কণ্ঠ থেকে ।
‘গাড়ি চালাচ্ছিলাম না গিলে – কাজেই আমাকে আটকানোর কোন অধিকার আপনাদের দেখছি না ।’
‘আপনি কি বলতে চান, আপনার ওপর কিছু মেডিকেল চেক আপ করলে এটাই প্রমাণ হবে এক রাতে দুবোতল ভদকা পান করেছিলেন ?’
সরাসরি তাকায় তার দিকে তিয়াস, ‘এক রাতে ? কখন বলেছি আমি গতকালই দু বোতল ভদকা খেয়েছি ? টাকার গাছ নেই আমার স্যার ! রিসিপ্টের ডেট দেখেছিলেন ?’
সামনের কাগজে একবার চোখ বোলায় অফিসার, ‘ছয় দিন আগে ।’
‘গত পাঁচ দিন আমি বোতল দুটোর পূজো করছিলাম না । এই গ্যারান্টি আপনাকে দিতে পারি ।’
অফিসারের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে ।
‘গত পাঁচ দিন আমি বোতল দুটোর পূজো করছিলাম না । এই গ্যারান্টি আপনাকে দিতে পারি ।’
অফিসারের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে ।
‘এখন প্লিজ বলুন আমার ফ্রেন্ড কোথায় আছে ? ও কি কোন ঝামেলাতে জড়িয়েছে ?’
মাথা নাড়ে পুলিশটি, ‘ঝামেলাতে যে সে জড়িয়েছে সে ব্যাপারে আপনার চেয়ে ভাল কে জানে ? কিন্তু অযথাই তাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন আপনি ।’
মাথা নাড়ে পুলিশটি, ‘ঝামেলাতে যে সে জড়িয়েছে সে ব্যাপারে আপনার চেয়ে ভাল কে জানে ? কিন্তু অযথাই তাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন আপনি ।’
একে অন্যের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে ওরা । তিয়াস জানে, এই জেরা কেন চলছে ।
গতকাল খুন হয়েছে তারেকের গার্লফ্রেন্ড । একই বিল্ডিংয়ের নিচে গার্ডের লাশ আর ওপরে অগ্নিদগ্ধা আরেকজন তরুণী – কাকতাল বলে মেনে নেবে না পুলিশ । পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্টে আসবে গার্ডের কজ অফ ডেথ অ্যানাফিলাক্সিস । মেয়েটির – অ্যাকসিডেন্ট ।
গ্যাস পাইপ কাটার সময় চুলার অংশে কেটেছে ওরা । বিল্ডিংয়ের মেইন গ্যাস লাইনের যে অংশটা রান্নাঘরে বের হয়ে থাকে – ও জায়গা থেকে শুধু চুলার কাটা অংশটা পেচিয়ে খুলে নিয়েছে । কেউ ধরতে পারবে না কাজটা করা হয়েছে ইচ্ছেকৃতভাবে ।
হ্যাঁ, সন্দেহ হবে ।
সন্দেহ হতেই পারে ।
কিন্তু পৃথিবীতে সন্দেহের রেশ ধরে কাওকে বিচার করা হয় নি কখনও । puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
গতকাল খুন হয়েছে তারেকের গার্লফ্রেন্ড । একই বিল্ডিংয়ের নিচে গার্ডের লাশ আর ওপরে অগ্নিদগ্ধা আরেকজন তরুণী – কাকতাল বলে মেনে নেবে না পুলিশ । পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্টে আসবে গার্ডের কজ অফ ডেথ অ্যানাফিলাক্সিস । মেয়েটির – অ্যাকসিডেন্ট ।
গ্যাস পাইপ কাটার সময় চুলার অংশে কেটেছে ওরা । বিল্ডিংয়ের মেইন গ্যাস লাইনের যে অংশটা রান্নাঘরে বের হয়ে থাকে – ও জায়গা থেকে শুধু চুলার কাটা অংশটা পেচিয়ে খুলে নিয়েছে । কেউ ধরতে পারবে না কাজটা করা হয়েছে ইচ্ছেকৃতভাবে ।
হ্যাঁ, সন্দেহ হবে ।
সন্দেহ হতেই পারে ।
কিন্তু পৃথিবীতে সন্দেহের রেশ ধরে কাওকে বিচার করা হয় নি কখনও । puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
‘আপনার বন্ধু গতকাল রাতে অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার রাহাত আলমের মেয়েকে খুন করেছে । মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড ছিল সে । আর কারও কোন মোটিভ দেখলাম না কাজটা করার ।’
‘খুন ? তারেক ?’, এবার ঘর কাঁপিয়ে হেসে ওঠে তিয়াস, ‘বিগেস্ট জোক অফ দ্য ডেয়াআআম …’
পরের হাইটা ঠেকায় ও ।
‘আমার বন্ধুটিকে যে চট করে খুনী বলে দিলেন – কোন প্রমাণ আছে ? নাকি শুধুই সন্দেহের তালিকাতে তুলে রেখেছেন বলে এই খেতাব লাগিয়েছেন ? আমি এটাকে অফেন্সিভ দেখতে পাচ্ছি, স্যার ।’
‘হি ইজ আওয়ার প্রাইম সাসপেক্ট ।’
‘প্রমাণ আছে ?’, দ্বিতীয়বারের মত প্রশ্নটা করে তিয়াস ।
চুপ হয়ে থাকে অফিসার ।
‘আমার বিরুদ্ধে যদি এবার আপনাদের কোন অভিযোগ না থাকে তাহলে উঠতে পারি তো ?’, জবাবের অপেক্ষাতে না থেকে উঠে দাঁড়ায় তিয়াস । নির্দ্বিধাতে এগিয়ে যায় দরজার দিকে ।
‘খুন ? তারেক ?’, এবার ঘর কাঁপিয়ে হেসে ওঠে তিয়াস, ‘বিগেস্ট জোক অফ দ্য ডেয়াআআম …’
পরের হাইটা ঠেকায় ও ।
‘আমার বন্ধুটিকে যে চট করে খুনী বলে দিলেন – কোন প্রমাণ আছে ? নাকি শুধুই সন্দেহের তালিকাতে তুলে রেখেছেন বলে এই খেতাব লাগিয়েছেন ? আমি এটাকে অফেন্সিভ দেখতে পাচ্ছি, স্যার ।’
‘হি ইজ আওয়ার প্রাইম সাসপেক্ট ।’
‘প্রমাণ আছে ?’, দ্বিতীয়বারের মত প্রশ্নটা করে তিয়াস ।
চুপ হয়ে থাকে অফিসার ।
‘আমার বিরুদ্ধে যদি এবার আপনাদের কোন অভিযোগ না থাকে তাহলে উঠতে পারি তো ?’, জবাবের অপেক্ষাতে না থেকে উঠে দাঁড়ায় তিয়াস । নির্দ্বিধাতে এগিয়ে যায় দরজার দিকে ।
পেছন থেকে চেয়ার সরিয়ে উঠে দাঁড়ায় অফিসারটিও, ‘এটাও হয়ত আপনার জানা, তবে আপনার বন্ধুটিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।’
তিয়াস ঘুরে তাকায়, ‘তারেকের অভ্যাস আছে মাঝে মাঝে দিন কয়েকের জন্য বাড়ি না ফেরার । চারদিনেও যদি না ফেরে তবে অস্বাভাবিক বলে ধরে নিতে পারেন ।’ irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
তিয়াস ঘুরে তাকায়, ‘তারেকের অভ্যাস আছে মাঝে মাঝে দিন কয়েকের জন্য বাড়ি না ফেরার । চারদিনেও যদি না ফেরে তবে অস্বাভাবিক বলে ধরে নিতে পারেন ।’ irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
হতবুদ্ধি অফিসারের সামনে দিয়ে বের হয়ে দড়াম করে দরজা লাগিয়ে দেয় ও ।
চারপাশে লক্ষ্য করে দেখে, কেউ আটকাতে আসল না ওকে ।
চারপাশে লক্ষ্য করে দেখে, কেউ আটকাতে আসল না ওকে ।
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪০
দ্যা রেইপ (শেষ পর্ব)
#সাইকো
টিমটিমে আলোতে চোখ মেলে তারেক ।
ঘরটা অপরিচিত ।
দেওয়ালগুলো ধূসর ।
ছাতে একটা ধুলো জমা বাল্ব ।
ফ্যানের কোন ব্যবস্থা নেই ।
সামনে টেবিলের ওপর সাজানো আছে নানা সাইজের সার্জিক্যাল ব্লেড ।
আর তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কলেজ ফ্রেন্ড তিয়াস ।
দ্যা রেইপ (শেষ পর্ব)
#সাইকো
টিমটিমে আলোতে চোখ মেলে তারেক ।
ঘরটা অপরিচিত ।
দেওয়ালগুলো ধূসর ।
ছাতে একটা ধুলো জমা বাল্ব ।
ফ্যানের কোন ব্যবস্থা নেই ।
সামনে টেবিলের ওপর সাজানো আছে নানা সাইজের সার্জিক্যাল ব্লেড ।
আর তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কলেজ ফ্রেন্ড তিয়াস ।
‘হ্যালো ।’, কঠোর চাউনিটা থেকে একটা শব্দই উচ্চারিত হল ।
‘আমি নড়তে পারছি না ।’, মুখ ঘুরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তারেক ।
জবাব না দিয়ে টেবিলের সামনে চলে যায় তিয়াস ।
‘আমি নড়তে পারছি না ।’, মুখ ঘুরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তারেক ।
জবাব না দিয়ে টেবিলের সামনে চলে যায় তিয়াস ।
তারেকের শরীর হাল্কা কেঁপে ওঠে, প্রথমবারের মত খেয়াল করেছে – শরীরে কোন পোষাক নেই তার ।
দুই হাত দু’পাশে ছড়ানো । পা দুটো মোটামুটি পঁয়ত্রিশ ডিগ্রী অ্যাংগেলে ছড়ানো অবস্থাতে আটকে রাখা হয়েছে মেঝের সাথে । ঠিক কি ধরণের মেকানিজম ব্যবহার করা হয়েছে তা অবশ্য দেখতে পাচ্ছে না, চোয়ালের কাছে আটকে রাখা হয়েছে বেল্ট দিয়ে । ঘাড় ঘোরানোর কোন সুযোগ পাচ্ছে না সেজন্য ।
দুই হাত দু’পাশে ছড়ানো । পা দুটো মোটামুটি পঁয়ত্রিশ ডিগ্রী অ্যাংগেলে ছড়ানো অবস্থাতে আটকে রাখা হয়েছে মেঝের সাথে । ঠিক কি ধরণের মেকানিজম ব্যবহার করা হয়েছে তা অবশ্য দেখতে পাচ্ছে না, চোয়ালের কাছে আটকে রাখা হয়েছে বেল্ট দিয়ে । ঘাড় ঘোরানোর কোন সুযোগ পাচ্ছে না সেজন্য ।
হাতের সার্জিক্যাল নাইফটা ঘুরিয়ে দেখায় তিয়াস, ‘কত নম্বর সাইজ ?’
‘তে-ত্তেইশ ।’
‘লীফ শেপড । শার্পেনড অ্যালং ইট’স লিডিং এজ ।’, দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিয়াস, ‘এই ব্লেডের কাজ কি বলতে পারবি ?’
‘তিয়াস, কি করছিস তুই ?’
‘সার্জিক্যাল ব্লেড, নম্বর টুয়েন্টি থ্রি । হোয়্যার ডু ইউ ইউজ ইট ?’
‘টু- ’
‘হোয়াই ডু ইউ ইউজ ইট ?’
‘টু মেইক লং ইনসিসন্স -’
‘লাইক হোয়াট ?’
‘আপার মিডলাইন ইনসিসন অফ দ্য অ্যাবডোমেন ডিউরিং -’
‘ডেলিভারি ।’, মাথা দোলায় তিয়াস, ‘তিন্নি কি সেই সুযোগ পাবে কখনও ?’
‘তে-ত্তেইশ ।’
‘লীফ শেপড । শার্পেনড অ্যালং ইট’স লিডিং এজ ।’, দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিয়াস, ‘এই ব্লেডের কাজ কি বলতে পারবি ?’
‘তিয়াস, কি করছিস তুই ?’
‘সার্জিক্যাল ব্লেড, নম্বর টুয়েন্টি থ্রি । হোয়্যার ডু ইউ ইউজ ইট ?’
‘টু- ’
‘হোয়াই ডু ইউ ইউজ ইট ?’
‘টু মেইক লং ইনসিসন্স -’
‘লাইক হোয়াট ?’
‘আপার মিডলাইন ইনসিসন অফ দ্য অ্যাবডোমেন ডিউরিং -’
‘ডেলিভারি ।’, মাথা দোলায় তিয়াস, ‘তিন্নি কি সেই সুযোগ পাবে কখনও ?’
অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তারেক ।
‘কাম অন ! এটা তিন্নিকে নিয়ে – কাম অন, তিয়াস ! তিন্নির ওখানে তুইও ছিলি আমার সাথে !’
মুচকি হাসে তিয়াস, সময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে ব্লেডটার দিকে । প্রেমে পড়েছে যেন ।
তারপর আস্তে করে বলে, ‘ইয়েপ ! তুই বলেছিলি তিন্নিকে তুই খুন করে ফেলবি । তাই সাথে ছিলাম ।’
‘কেন খুন করে ফেলব সেটা তোর মনে আছে ? কাম অন, ট্রাই টু ফোকাস !’
‘তোকে বিট্রে করেছিল মেয়েটা ।’
‘আমার কি উচিত ছিল না -’, দ্রুত বলে ওঠে তারেক ।
‘ছিল ।’, মাথা দোলায় তিয়াস, ‘কিন্তু কে তোকে অনুমতি দিয়েছে মেয়েটাকে ধর্ষণ করার ?’
‘ধর্ষণ করেছি ? মেয়েটা স্বেচ্ছাতে -’
‘আমি তোর সাথে ছিলাম । ঘরে ঢুকেই বলেছিলি তুই শাহাদতের কথা জানিস । মনে পড়ে ?’, ঠাণ্ডা চোখে তাকায় তিয়াস ওর দিকে । তারপর ঘ্যাচ করে হাল্কা একটা টান দেয় ব্লেডটা ধরে । doctorate of pharmacy online
‘কাম অন ! এটা তিন্নিকে নিয়ে – কাম অন, তিয়াস ! তিন্নির ওখানে তুইও ছিলি আমার সাথে !’
মুচকি হাসে তিয়াস, সময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে ব্লেডটার দিকে । প্রেমে পড়েছে যেন ।
তারপর আস্তে করে বলে, ‘ইয়েপ ! তুই বলেছিলি তিন্নিকে তুই খুন করে ফেলবি । তাই সাথে ছিলাম ।’
‘কেন খুন করে ফেলব সেটা তোর মনে আছে ? কাম অন, ট্রাই টু ফোকাস !’
‘তোকে বিট্রে করেছিল মেয়েটা ।’
‘আমার কি উচিত ছিল না -’, দ্রুত বলে ওঠে তারেক ।
‘ছিল ।’, মাথা দোলায় তিয়াস, ‘কিন্তু কে তোকে অনুমতি দিয়েছে মেয়েটাকে ধর্ষণ করার ?’
‘ধর্ষণ করেছি ? মেয়েটা স্বেচ্ছাতে -’
‘আমি তোর সাথে ছিলাম । ঘরে ঢুকেই বলেছিলি তুই শাহাদতের কথা জানিস । মনে পড়ে ?’, ঠাণ্ডা চোখে তাকায় তিয়াস ওর দিকে । তারপর ঘ্যাচ করে হাল্কা একটা টান দেয় ব্লেডটা ধরে । doctorate of pharmacy online
বাম কাঁধ থেকে বুকে চিরে ডান কাঁধ পর্যন্ত চলে গেছে ক্ষতটা । তারেক কিছুই দেখতে পাচ্ছে না – থুতনিই নাড়াতে পারছে না ও !
এক সেকেন্ড পর আসল যন্ত্রণাটা । আগুন ধরে গেছে যেন ওখানে ! দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে ও ব্যাথাটুকু ।
তিয়াসের মুখের দিকে চোখ পড়ছে শুধু, ছেলেটা জ্বলজ্বলে চোখে তাকিয়ে আছে ওর বুকের দিকে । গিলে গিলে খাচ্ছে যেন দৃশ্যটা !
এক সেকেন্ড পর আসল যন্ত্রণাটা । আগুন ধরে গেছে যেন ওখানে ! দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে ও ব্যাথাটুকু ।
তিয়াসের মুখের দিকে চোখ পড়ছে শুধু, ছেলেটা জ্বলজ্বলে চোখে তাকিয়ে আছে ওর বুকের দিকে । গিলে গিলে খাচ্ছে যেন দৃশ্যটা !
‘ফর গডস সেক, তিয়াস !’, চোখ মুখ ব্যাথাতে কুঁচকে উঠেছে, তার মাঝে বলে তারেক, ‘স্টপ ইট !’
জবাবে সুন্দর করে হাসল তিয়াস, তারেক প্রথমবারের মত তাকে এভাবে প্রাণখুলে হাসতে দেখছে ।
ছেলেটা হাসতে জানে !
জবাবে সুন্দর করে হাসল তিয়াস, তারেক প্রথমবারের মত তাকে এভাবে প্রাণখুলে হাসতে দেখছে ।
ছেলেটা হাসতে জানে !
‘তোকে এখানে কেন এনেছি জানিস তো ?’, আচমকা গম্ভীর হয়ে জানতে চায় তিয়াস ।
বড় বড় করে দম নেয় শুধু তারেক । যন্ত্রণাটা সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে । বুক বেয়ে নেমে আসছে আঠালো গরম তরল ।
চটচটে ।
ওর নিজেরই রক্ত !
বড় বড় করে দম নেয় শুধু তারেক । যন্ত্রণাটা সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে । বুক বেয়ে নেমে আসছে আঠালো গরম তরল ।
চটচটে ।
ওর নিজেরই রক্ত !
‘জানতে চেয়েছিলি আমার গল্পের কতটুকু সত্য আর কতটুকু বাস্তব ।’
তারেক গুঙিয়ে ওঠে একবার ।
‘না, প্রথমে যে গল্পটার কথা তুই বলেছিলি, রেইপড মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড আমি ছিলাম না । কিন্তু মর্গে একবার একটা রেইপড মেয়ে পেয়েছিলাম আমরা । মনে আছে ?’
‘ওহ – আছে … গড !’, দাঁতে দাঁত চেপে ধরে তারেক, ‘আমাকে নামা তিয়াস । তোর কাহিনী আমি শুনছি -’
‘বলেছিলাম, মোটরসাইকেল থেকে ছুঁড়ে মারা হয়েছে মেয়েটাকে ?’
‘মনে আছে, দোস্ত । নামা আমাকে -’, কেঁপে ওঠে তারেকের শরীর ।
‘তোরা সবাই বলেছিলি গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল মেয়েটাকে ?’
তারেক গুঙিয়ে ওঠে একবার ।
‘না, প্রথমে যে গল্পটার কথা তুই বলেছিলি, রেইপড মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড আমি ছিলাম না । কিন্তু মর্গে একবার একটা রেইপড মেয়ে পেয়েছিলাম আমরা । মনে আছে ?’
‘ওহ – আছে … গড !’, দাঁতে দাঁত চেপে ধরে তারেক, ‘আমাকে নামা তিয়াস । তোর কাহিনী আমি শুনছি -’
‘বলেছিলাম, মোটরসাইকেল থেকে ছুঁড়ে মারা হয়েছে মেয়েটাকে ?’
‘মনে আছে, দোস্ত । নামা আমাকে -’, কেঁপে ওঠে তারেকের শরীর ।
‘তোরা সবাই বলেছিলি গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল মেয়েটাকে ?’
থমকে যায় তারেক । বুকের ব্যাথাটা এখন গ্রাহ্য করার মত কিছু বলে মনে হচ্ছে না আর ।
ওর বিস্ফোরিত চোখের দিকে তাকিয়ে আবারও হাসে তিয়াস ।
ওর বিস্ফোরিত চোখের দিকে তাকিয়ে আবারও হাসে তিয়াস ।
‘তুই … তুই কিভাবে জানলি ওকে মোটরসাইকেল থেকে … মেয়েটাকে তুই রেইপ করেছিলি ?’
‘মোটামাথাটা খাটাও, দোস্ত ।’, ডান হাতে ঢুকিয়ে দেয় তিয়াস স্ক্যালপেলের ব্লেডের অংশটা ।
ঘর কাঁপিয়ে চিৎকার করে ওঠে এবার তারেক । নিজেকে ধরে রাখতে পারে নি ।
ট্রাইসেপে ঢুকিয়ে দিয়েছে শালা !
‘মোটামাথাটা খাটাও, দোস্ত ।’, ডান হাতে ঢুকিয়ে দেয় তিয়াস স্ক্যালপেলের ব্লেডের অংশটা ।
ঘর কাঁপিয়ে চিৎকার করে ওঠে এবার তারেক । নিজেকে ধরে রাখতে পারে নি ।
ট্রাইসেপে ঢুকিয়ে দিয়েছে শালা !
‘রশীদ … ওর সাথে তর্ক করছিলি তুই -’, চারপাশটা ব্যাথাতে ঘোলা দেখছে এখন তারেক ।
‘পাস করে গেলি ।’, থমথমে হয়ে গেছে আবার তিয়াসের মুখ, ‘রশীদ জানত । আর জানার তো একটাই উপায় । তাই না ?’
হাত দুটো শক্ত করে মুষ্ঠিবদ্ধ করে তারেক । আঙুলের নখগুলো ঢুকে যাচ্ছে তালুর মাংস কেটে, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসছে এখন ধীরে ধীরে, ‘রশীদ ফাইনাল ইয়ারে উঠে আর ক্লাস করতে আসে নি !’
‘না । আসতে পারে নি ।’, আরেকবার হাত চালায় তিয়াস, তারেকের মনে হয় বামহাতটা জ্বলে পুড়ে গেল ।
আহত জন্তুর মত গুঙিয়ে ওঠে ও ।
টপ টপ শব্দ হচ্ছে ।
দুই হাত ছড়িয়ে বেঁধে রাখাতে মেঝেতে পড়ছে রক্তের ফোঁটাগুলো সরাসরি ।
‘পাস করে গেলি ।’, থমথমে হয়ে গেছে আবার তিয়াসের মুখ, ‘রশীদ জানত । আর জানার তো একটাই উপায় । তাই না ?’
হাত দুটো শক্ত করে মুষ্ঠিবদ্ধ করে তারেক । আঙুলের নখগুলো ঢুকে যাচ্ছে তালুর মাংস কেটে, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসছে এখন ধীরে ধীরে, ‘রশীদ ফাইনাল ইয়ারে উঠে আর ক্লাস করতে আসে নি !’
‘না । আসতে পারে নি ।’, আরেকবার হাত চালায় তিয়াস, তারেকের মনে হয় বামহাতটা জ্বলে পুড়ে গেল ।
আহত জন্তুর মত গুঙিয়ে ওঠে ও ।
টপ টপ শব্দ হচ্ছে ।
দুই হাত ছড়িয়ে বেঁধে রাখাতে মেঝেতে পড়ছে রক্তের ফোঁটাগুলো সরাসরি ।
‘আমরা আমার বিল্ডিংয়েই এখন ।’, মুচকি হাসে তিয়াস, ‘বলতে ভুলে গেছিলাম, এই ফ্ল্যাটটাই শুধু আমার না, আমার আরেকটা ফ্ল্যাট আছে চারতলাতে । আমরা সেখানেই এখন ।’
‘রশীদকে মেরে ফেলেছিলি কেন ?’, চোখের পাতা জোর করে খুলে রেখে জানতে চায় তারেক ।
‘মর্গে শুয়ে থাকা মেয়েটাকে আমি চিনতাম ।’, পেছন ফিরে তাকায় তিয়াস ।
‘রশীদকে মেরে ফেলেছিলি কেন ?’, চোখের পাতা জোর করে খুলে রেখে জানতে চায় তারেক ।
‘মর্গে শুয়ে থাকা মেয়েটাকে আমি চিনতাম ।’, পেছন ফিরে তাকায় তিয়াস ।
তারেক কিছু বলে না ।
‘আমার পিঠাপিঠি খালাত বোন ছিল একটা । নিশি । আমার আপন বোন নেই, এমনটা মনে হয় নি কোনদিন । নিশিকে পেয়েছিলাম । বোনের অভাব আমাকে বুঝতে হয় নি কখনও ।’
তারেক টু শব্দটাও করে না । শারীরিক ব্যাথার সাথে মানসিক ধাক্কাটা ওকে একেবারে স্তব্ধ করে দিয়েছে ।
‘মর্গে ওকে ওই অবস্থাতে দেখেছিলাম । সাইকোলজিক্যাল ট্রমার সংজ্ঞাটা বার বার মনে পড়ছিল তখন, বুঝলি ।
রেজাল্ট অফ অ্যান ওভারহোয়েলমিং স্ট্রেস দ্যাট এক্সিডস ওয়ানস অ্যাবিলিটি টু কোপ অর ইন্ট্রিগেট দ্য ইমোশনস ইনভলড উইথ দ্যাট এক্সপেরিয়েন্স । সাইকোলজিক্যাল ট্রমাতে পড়া যাবে না – জানতাম । জানতাম খালাকে খবর দেওয়ার চিন্তাও করা যাবে না । মেয়েকে এ অবস্থাতে দেখার চাইতে চিরকালের জন্য তাকে হারালেই ভালো করবেন খালা । নিরুদ্দেশ মেয়ের চেয়ে রেইপড মেয়ে একজন মায়ের জন্য অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক – জানিস তো ?’
‘সাইকোলজিক্যাল ট্রমা তুই এড়াতে পারিস নি, তিয়াস ।’, দাঁতে দাঁত চেপে বলে তারেক ।
‘পেরেছি ।’
‘তোর কি কোনদিনও মনে হয় নি তোর মাঝে কোন ধরণের মেন্টাল ডিজঅর্ডার আছে ? আগে ছিল না । আমি জানি । তবে এখন কি তোর মনে হয় – মানসিকভাবে তুই সুস্থ ?’
ঘুরে দাঁড়ায় তিয়াস, দু’চোখ জ্বলছে, ‘যে মানুষটা গতকাল একজন মেয়ের ভ্যাজাইনাতে ছুরি মেরেছে তার কাছে আমি সাইকোলজিক্যাল ট্রমা নিয়ে কিছু শুনতে চাই না ।’
‘শোন, বোনের মৃত্যুর পর -’
রেজাল্ট অফ অ্যান ওভারহোয়েলমিং স্ট্রেস দ্যাট এক্সিডস ওয়ানস অ্যাবিলিটি টু কোপ অর ইন্ট্রিগেট দ্য ইমোশনস ইনভলড উইথ দ্যাট এক্সপেরিয়েন্স । সাইকোলজিক্যাল ট্রমাতে পড়া যাবে না – জানতাম । জানতাম খালাকে খবর দেওয়ার চিন্তাও করা যাবে না । মেয়েকে এ অবস্থাতে দেখার চাইতে চিরকালের জন্য তাকে হারালেই ভালো করবেন খালা । নিরুদ্দেশ মেয়ের চেয়ে রেইপড মেয়ে একজন মায়ের জন্য অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক – জানিস তো ?’
‘সাইকোলজিক্যাল ট্রমা তুই এড়াতে পারিস নি, তিয়াস ।’, দাঁতে দাঁত চেপে বলে তারেক ।
‘পেরেছি ।’
‘তোর কি কোনদিনও মনে হয় নি তোর মাঝে কোন ধরণের মেন্টাল ডিজঅর্ডার আছে ? আগে ছিল না । আমি জানি । তবে এখন কি তোর মনে হয় – মানসিকভাবে তুই সুস্থ ?’
ঘুরে দাঁড়ায় তিয়াস, দু’চোখ জ্বলছে, ‘যে মানুষটা গতকাল একজন মেয়ের ভ্যাজাইনাতে ছুরি মেরেছে তার কাছে আমি সাইকোলজিক্যাল ট্রমা নিয়ে কিছু শুনতে চাই না ।’
‘শোন, বোনের মৃত্যুর পর -’
ঘ্যাচ করে সার্জিক্যাল ব্লেডটা বাম উরুতে গেঁথে গেছে – বাঁধা অবস্থাতেই ছটফট করে ওঠে তারেক ।
‘রশীদকেও এভাবে -’
মুচকি হাসে তিয়াস, ‘রশীদকেও এভাবেই মেরেছি কি না জানতে চাস নে । গতকাল ডিনারের মেনুতে ছিল ও ।’
মুচকি হাসে তিয়াস, ‘রশীদকেও এভাবেই মেরেছি কি না জানতে চাস নে । গতকাল ডিনারের মেনুতে ছিল ও ।’
বাক্যটার অর্থ বুঝতেই কয়েক সেকেন্ড লেগে যায় তারেকের ।
‘বুঝতে পারার কথা । ডীপ ফ্রীজ বলে একটা ইনভেনশন আছে মানুষের ।’, জিভ বের করে সার্জিক্যাল ব্লেড থেকে গড়িয়ে পড়া তারেকের রক্ত চেটে খায় তিয়াস, ‘কিপস আওয়ার মীটস টেস্টি ।’
‘তুই -’
‘তুই -’
তলপেটে কিছু একটা ঢুকে গেল – তারেক কথাটা শেষ করতে পারে না ।
এক পা এগিয়ে আসে তিয়াস, ‘প্রোডাকশনের দিক দিয়ে কোন সাহায্য করতে পারছে না ওগুলো । তাই না ?’
তারেক শুধু গোঙায় একবার ।
‘শরীরে ঝুলিয়ে রেখে কি লাভ তাহলে ? অন্য কারও প্লেটেই ভালো মানাবে । কি বলিস ?’
এক পা এগিয়ে আসে তিয়াস, ‘প্রোডাকশনের দিক দিয়ে কোন সাহায্য করতে পারছে না ওগুলো । তাই না ?’
তারেক শুধু গোঙায় একবার ।
‘শরীরে ঝুলিয়ে রেখে কি লাভ তাহলে ? অন্য কারও প্লেটেই ভালো মানাবে । কি বলিস ?’
তিয়াসের হাত দুটো খুব দ্রুত চলছে এখন । কিছুক্ষণের মাঝেই দেওয়ালে ঝুলন্ত শরীরটার নড়াচড়া থেমে যায় ।
ইন্টার্নির স্টুডেন্টটির হাত তখনও চলছে ।
ব্যস্ত হাতে চামড়া ছাড়াচ্ছে একজন মানুষের ।
ইন্টার্নির স্টুডেন্টটির হাত তখনও চলছে ।
ব্যস্ত হাতে চামড়া ছাড়াচ্ছে একজন মানুষের ।
যাদের মনে কিছু প্রস্ন উঠতে পারে তাদের জন্য ...
[পরিশিষ্ট ]
কালো টয়োটাটাকে গতিসীমার চেয়ে অনেক জোরে চালিয়ে এনেও কিভাবে ঢাকার অলিগলি পার করে ফেলল – সেটা নিয়ে বিস্মিত না হয়ে পারে না জাফর । পাশে দাঁড়ানো যুবকের দিকে তাকিয়ে অর্থপূর্ণ হাসি দেয় ও
[পরিশিষ্ট ]
কালো টয়োটাটাকে গতিসীমার চেয়ে অনেক জোরে চালিয়ে এনেও কিভাবে ঢাকার অলিগলি পার করে ফেলল – সেটা নিয়ে বিস্মিত না হয়ে পারে না জাফর । পাশে দাঁড়ানো যুবকের দিকে তাকিয়ে অর্থপূর্ণ হাসি দেয় ও
প্রজ্ঞাকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট সাহায্য করেছে ছেলেটা ।
দ্যাট গাই নোজ থিংস ।
মেডিকেল স্টুডেন্ট । ডেডলি ।
দ্যাট গাই নোজ থিংস ।
মেডিকেল স্টুডেন্ট । ডেডলি ।
বিশ্বাস রাখতে পারে না যে মেয়ে – তাকে সরিয়ে দেওয়াটা বিবেকের কাছে বড় কোন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে না । এটা জাফর আগে থেকেই জানত ।
আর প্রশ্নটা ওদিক থেকে আসেও নি ।
শুধু সামান্য একটু অতৃপ্তি থেকে গেছে ।
আর প্রশ্নটা ওদিক থেকে আসেও নি ।
শুধু সামান্য একটু অতৃপ্তি থেকে গেছে ।
শেষবারের মত বিছানাতে মেয়েটাকে সে চেয়েছিল নিজের ইচ্ছাতে ।
কিন্তু প্রজ্ঞা প্রথমেই বুঝে ফেলেছিল ব্যাপারটা । রেপ করা ছাড়া উপায় ছিল না ।
কিন্তু প্রজ্ঞা প্রথমেই বুঝে ফেলেছিল ব্যাপারটা । রেপ করা ছাড়া উপায় ছিল না ।
সরাসরি তার দিকে তাকিয়ে আছে নতুন বন্ধু, জাফর মুখ ঘুরিয়ে দেখে একবার ।
‘শুরু করুন ।’, কাঁধ ঝাঁকালো ছেলেটা, মুখ থমথমে । সব সময়ই এমন কি না কে জানে ?
বাটি থেকে নিজের প্লেটে তুলে নেয় জাফর ।
‘চিকেন বলস ।’, আবার বলে সালেহ তিয়াস, ‘ইন্টারনেট থেকে রেসিপি বের করে রান্না করেছি । হোপ ইউ ওন্ট মাইন্ড দ্য টেস্ট ।’
‘শুরু করুন ।’, কাঁধ ঝাঁকালো ছেলেটা, মুখ থমথমে । সব সময়ই এমন কি না কে জানে ?
বাটি থেকে নিজের প্লেটে তুলে নেয় জাফর ।
‘চিকেন বলস ।’, আবার বলে সালেহ তিয়াস, ‘ইন্টারনেট থেকে রেসিপি বের করে রান্না করেছি । হোপ ইউ ওন্ট মাইন্ড দ্য টেস্ট ।’
কিছুক্ষণ চুপচাপ চিবোয় জাফর, তারপর তিয়াসের দিকে ফিরে সামান্য হাসে, ‘টেস্টস গুড, ম্যান । ডেলিশিয়াস !’
আর কিছু না বলে দ্বিতীয় বলটা নিজের প্লেটে তুলে নেয় তিয়াস ।
ফ্রিজে আছে ভদকার বোতল ।
আর কিছু না বলে দ্বিতীয় বলটা নিজের প্লেটে তুলে নেয় তিয়াস ।
ফ্রিজে আছে ভদকার বোতল ।
আজ রাতে ব্যস্ত থাকতে হবে ওকে ।
সাদা ছাগল , কালো ছাগল , রঙ্গিন ছাগল অনেক দেখেছি । কিন্ত শিক্ষিত ছাগল এই প্রথম দেখলাম। Muntasir R Mahdi যদিও তিনি তাহাকে একজন সবজান্তা শমসের মনে করেন। কারন তিনি লিখেছেন... [ প্রশ্ন করুন তো! দেখি উত্তর দিতে পারি কি না! বিষয়গুলো হচ্ছেঃ সাইকোলজি, ফোবিয়া, প্যারাসাইকোলজি, টেকনোলজি, প্রোগ্রামিং, মার্কেটিং, অন্ট্রাপ্রিনিউয়ারশিপ, বিজনেস ইত্যাদি!] বুঝেন কত কিছু সম্পর্কে জানেন তিনি । তবে আমার কাছে তিনি ছাগলতারই পরিচয় দিলেন মাত্র। #প্রমান তার লাস্ট পোষ্টের কমেন্টে।শট দিলাম না। আর হ্যা তিনি কিন্তুক চুলারবাতি । হয়ত আমার আইডি ও খেয়ে দিতে পারেন।
By kolpobazz
Sunday, March 24, 2019
Saturday, March 23, 2019
প্রিয় রাত, তুই অপ্রিয় হয়ে থাক। বারবার কেনো মায়ায় জড়িয়ে, সাদাকালোতে বিলিন হয়ে , পুড়ে করছিস আমায় খাক। বিষাদ মাখা আধার মাখিয়ে অন্তর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে একাই কেন অন্তপুরে, হচ্ছিস হতবাক। ভালবাসা করে বিলিন, এই শহরকে করছিস রঙিন! আমার জন্য না হয় তোর অই ঘৃণাটুকুই রাখ। প্রিয় রাত তোকে আবার বলি অপ্রিয় তুই আগে ও ছিল । এখন না হয় নতুন করে আবার অপ্রিয়ই হয়ে থাক । #সাইকো
By kolpobazz
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (শেষ পর্ব ) আজ নীল শারি পরে এসেছে রিতু। তাই না চাইতেও বার বার তার দিকে তাকাচ্ছি। বিষয়টা ও বুঝতে পেরে বলল কি হচ্ছে শুনি , ওমন করে হ্যংলার মত তাকআচ্ছ যে । আমি ঃ কই না ত হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি। তা এমন করে লুকিয়ে লুকিয়ে জাতে না তাকাতে হয় সেই ব্যবস্থা করলেই পারেন। কথাটা বলেই মুখ নিচু করে ফেল্ল রিতু। হয়ত লজা পেয়েছে। শুনেছি লজ্জা পেলে নাকি মেয়েরা কারো চোখের দিকে তাকাতে পারে না । নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। সারাদিন অনেক ঘুরেছি আজ ওকে নিয়ে। আসলে বলতে গেলে আমার কোন ইচ্ছে ছিল না। কিন্ত আমি চাইছিলাম মেয়েটার শেষ দিনটা যেন ভাল ভাবে কাটে। তাই তো আজ সে যা চেয়েছে তাই পুরন করেছি। তবে মেয়েটা এখন ও বাচ্চা টাইপের । মনেই হয়না এর একটা ছেলে ও আছে। ওর দুরন্তপনা দেখে কেন যেন বার বার ওর মায়ায় পরে যাচ্ছিলাম। কিন্ত অই যে , আমাদের মত মানুষদের আবার মায়া থাকতে নেই । তাই চাইলেও সব ......। ........................... সন্ধ্যে হয়ে আসছে। নাহ আর বেশি ওয়েট করা ঠিক হবে না। রিতু ঘুমিয়ে পরেছে আমার কোলে । তাই তাকে আর জাগালাম না । আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে গারিতে শোয়ালাম । এখন যেন আর ও মায়াবি লাগছে মেয়েটাকে। ঘুমালে হয়ত মেয়েদের রুপ আর ও বেড়ে যায়। বিষয়টা নিয়ে ভাবা হয়নি , তবে ভেবে লাভ নেই , তাহলে হয়ত মায়ায় পরে জেতে হবে। আর একবার কার ও মায়ায় পরে যাওয়া মানে...। না না না ্, তা তো হতে দেয়া যাবে যাবে না। মনে মনে এসব যখন ভাবছি্,ততক্ষণে গারি এসে বুরিঙ্গঙ্গার কাছাকাছি থামল। রিতু এখহন ও ঘুমিয়ে । আমি আসতে করে নিচে নাম্লাম । এইত সাম্নেই ঘরটা দেখা জাচ্ছে । এই খানটায় আস্লেই কেমন যেন চোখ ভিজে আসে । নিজেকে সাম্লাতে কষ্ট হয়। অইত গাছটা দেখা জাচ্ছে । অই যে অই ডালটায় ঝুলন্ত অবস্থায় ওকে লাস্ট দেখেছিলাম। কতইনা কষ্ট পেয়েছে বন্ধুটা আমার । নাহ আর ভাবতে পারছিনা । যা করার এখন ই করতে হবে । রিতু এখন ও ঘুমিয়ে । ওর কাছে গেলাম। আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে আসলাম জারুল গাছটার নিচে। রশি দিয়ে শক্ত করে হাত পা বাধলাম । কোন বেগ পেতে হয়নি। মেয়েটা এখন ও ঘুমুচ্ছে । যাক ঘুমাক। জিবনের শেষ ঘুমটা একটু আরাম করেই ঘুমিয়ে নিক। যদিও এমন করে ঘুমানোর কথা না। আমি শুধু বুদ্ধি করে ওর দাব বেচা আঙ্কেল্কে বলে দিয়েছিলাম যেন ওকে দেয়া ডাবের পানির মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। যদিও ব্যটা রাজি হতে চাইছিল না তবে যখন হাতে পাচশ টাকা গুজে দিলাম। তখন তার কাজটাও ডাবের পানির মত সরল হয়ে গেল। বাধা শেষ । এখন মেয়েটাকে জাগাতে হবে। তাই তার ওরনাটা নিয় গঙ্গার পানি দিয়ে ভিজিয়ে আনলাম। সালি পানিতে না উঠলেও দুর্গন্ধের ফলে ঠিক ই উঠতে বাধ্য হবে । আহা কেমন যেন একটা অন্য অনুভুতি কাজ করছে । ঠিক লাস্টবারের ভিক্টিম টাকে খুন করার সময় যেমন মনে হয়েছিল। হাত নিসপিস করছে, পকেট থেকে ছুরিটা বের করলাম। লাল হয়ে আছে ছুরিটা , যদিও প্রথম যখন কিনেছিলাম তখন দেখতে সাদা ছিল। ব্যটা রক্ত খেতে খেতে লাল হয়ে গেছে। আজ পূর্ণিমা । যদিও আমার বন্ধুটার মৃত্যুর দিনটায় অমাবস্যা ছিল। পূর্ণিমার আলোয় মেয়েটার চেহারাটা থেকে যেন দ্যুতি বের হচ্ছে। হয়ত কোন কবি তাকে এই মুহূর্তে দেখলে কবিতা রচনা করে ফেলত। কিন্ত আমার আবার ওসবের ধারে কাছে জেতেও মানা। জানেন ই তো খুনিদের আবার আবেগ থাকতে নেই । ওহ ভুলেই গিয়েছিলাম মেয়েটাকে জাগাতে হবে। ওরনাটা ভিজিয়ে নিয়ে মেয়েটার কাছে গেলাম । হালকা পানির ঝাপটা দিতেই রিতু জেগে উঠল। হঠাত ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় মেয়েটা এদিক অদিক করছে। হয়ত বুঝতে পারছে না কোথায় আছে । অবাক চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে যেন আমাকে চিনতে পারছে না। হাতের দিকে তাকাতেই চিৎকার দিয়ে উঠল এই তিয়াস তুমি আমাকে এভাবে বেধে রেখেছ কেন। কি হল বল। আর আমি এখানে কেন। কি হচ্ছে এসব কথা বলছ না কেন। আমি একটু হাস্লাম। আমার হাসি দেখে মেয়েটা চুপ হয়ে আছে। হয়ত ভয় পেয়েছে। হয়ত এমন পৈশাচিক হাসি সে তার জিবনে ও দেখেনি। খানিক বাদে নরম সুরে রিতু বলল । দেখ তিয়াস ভাল হচ্ছে না কিন্ত । আমার খুব ভয় করছে। প্লিজ আমায় ছেরে দাও , এমন ফান কিন্ত ঠিক না। আমি বললাম ছেরে দেব হা হা হা। তুমি কি ছেরে দিয়েছিলে জুবায়ের কে। দিয়েছিলে তাকে বাচতে । দাওনি ... জানো কতটা কষ্ট পেয়ে ও আত্মহত্যা বেছে নিয়েছিল । এই যে এই... এই জারুল গাছটার সাথেই গলায় দরি দিয়েছিল সে। তোমায় কি করে ছেরে দেই বল ???? রিতু অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমার দিকে ...। - তুমি । তুমি জুবায়েরের কে? - আর তুমি জানলে কি করে । - দেখ আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল । আমি কি করতাম আর তাকে ছেরে না দিয়ে। কি করতে মানে।তুমি তাকে সব কিছু বুঝিয়ে বলতে পারতে ।কিন্ত তুমি তা করনি । কি মনে করেছ , আমি জানি কি করে । সে তার ডাইরিতে সব লিখে গিয়েছিল, লিখে গিয়েছিল তোমার সব পাপের কথা। তোমাকে তো ছেরে দিতে পারিনা আমি । রিতু আমতা আমতা করছে। এখন আর ওর কথা শুনতে ইচ্ছে করছে না। ওর কাছে গিয়ে হাতের বাধন্টা আর ও টাইট করে নিলাম। ওরনা দিয়ে মুখটা বেধে নিলাম। না হলে ভেজাল করতে পারে । এরপর আস্তে করে হাতের ঠিক মাঝখান দিয়ে একটা ফুটো করলাম। অমনি গল গল করে রক্ত বের হতে শুরু করল। চাদের আলোয় স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি । মেয়েটা কাদছে । ০৬ কাদুক তাতে কি। আমার এতে মায়া লাগে না বরং মনের মধ্যে প্রশান্তি অনুভব করছি। যাক অবশেষে আমার বন্ধুর আত্মাটা শান্তি পাবে । নাহ এত অল্প কষ্ট দিয়ে তাকে মারা যাবে না। তাই গারির কাছে গেলাম । ডেক থেকে প্লাস আর রডটা নিএ আসলাম। এখন মজা হবে হা হ হা। প্লাস দিয়ে এক একটা নখ তুলছি আর মেয়েটার শরির ঝাকুনি দিয়ে উঠছে । চোখের পানি আস্তে আস্তে এসে বুকের কাপর ভিজিয়ে দিচ্ছে। বাহ কি দারুন সিনারি । এটা কিন্ত হলিউড ছবিকেও হার মানাবে রিতু । তুমি কি বল। রিতু কিছু বলছে না। ওহ বলবে কি করে তার তো মুখ বাধা হা হা হা। মেয়েটা হাপাচ্ছে ,কারন তার হারটবিট আমি দূর থেকেই শুনতে পাচ্ছি। হয়ত কিছু বলতে চাচ্ছে মেয়েটা তাই তার মুখ খুলে দিলাম। ভেবেছিলাম হয়ত গালি দিবে কিন্ত নাহ মেয়েটা কিছুই বলছে না। চারদিকে পিনপতন নিরাবতা । সে নিরবতা ভেঙ্গে হঠাত ই বলে উঠল জানো আমি কিন্ত তোমাকে সত্যি ই ভাল বেশেছিলাম। তোমাকে নিয়ে সারাজিবন ঘর করার স্বপ্ন দেখেছিলাম কিন্ত্, কিন্ত্্ তু.....................। আর কিছু বলতে পারছে না মেয়েটা কাদছে । তবে একটু পরে আবার বলল একটু পানি হবে তোমার কাছে। প্লিজ ্্ আমিও এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। যাক কাজটা সহজেই হয়ে গেল। গারি থেকে পানির বোতলটা নিয়ে আসলাম। পকেট থেকে আমার সবথেকে প্রিয় জিনিসটা বের করে তা থেকে কিছু পরিমান বোতলের পানির সাথে মিসালাম। এসে দেখি মেয়েটা এখন ও কাদছে । বুঝতে পারছিনা কেন কাদছে । যন্ত্রণায় নাকি অনুশোচনায় । থাক অত ভেবে কি হবে। পানির বোতল হাতে নিয়ে তাকে বললাম নাও পানি খাও। সে কোন কথা না বলে পানি খেল।এরপর হঠাত বলে উঠল জানো আমার কোন কষ্ট হচ্ছে না । কারন আমি যাকে ভালবাসি তার হাতেই মরতে পারছি এর থেকে সুখের আর কি হতে পারে। মনে মনে ভাব্লাম কি অদ্ভুত মেয়েজাতি। কেউ একজন তাকে ভালবেসে মারা গেল তার জন্য তার কোন ভাবনাই ছিল না। আর যে কিনা তাকে মারার জন্য প্রস্তুত তাকেই ভালবেসে বসে আছে। মেয়েটার হাত পা থেকে বের হওয়া লাল রক্ত আস্তে আস্তে নীল রঙ ধারন করছে। আহ আমার প্রিয় রঙ । দেখতেই ভাল লাগছে । নাহ রাত বেশি হয়ে জাচ্ছে , একাহ্নে বেশি ক্ষণ থাকা ঠিক হবে না। তাই গারিতে গিয়ে তারাতারি রশিটা নিয়ে আসলাম এরপর এক প্রান্ত গাছের সাথে বেধে অপ্র প্রান্ত দিয়ে ফাসির গিট্টু দিলাম। বাহ তৈরি হয়ে গেল একটা মিনি ফাসির মঞ্চ। যেখানে আজ সাজা পেতে জাচ্ছে এক মন ভাঙ্গার দায়ে অভিজুক্ত কয়েদি। ভাবতেই কেমন যেন নেশা লাগছে। ওহ আমার আবার মাদকে নেশা হয়না। নেশা হয় কিছু অদ্ভুত ঘটনা দেখে। হয় সেতা আমার তৈরি না হয় অন্য কারো । মঞ্চ বানানো শেষ । এবার রিতুর সাজা গ্রহনের পালা। শেষ বারের মত রিতুকে জিজ্ঞেস করলাম কিছু বলার আছে শেষবারের মত তোমার। সে শুধু অস্পস্ট একটা কথাই বলল “ ভাল থেক” কি অদ্ভুত মেয়ে । যে তাকে মারতে চলেছে তাকেই কিনা বলে ভাল থেক হা হা হা। রশিটা রিতুর গলায় পেচিয়ে টান দিলাম। চেয়ার সহ দোল খেতে খেতে রিতু উপরে উঠে গেল । একটু ও নরাচরা বা শব্দ করল না। করবেই বা কি করে হয়ত বিসের প্রভাবে আগেই তার সব পেশি অচল হয়ে গেছে। নাহ এখন প্রচুর শান্তি লাগছে। আমার বন্ধুর জন্য প্রতিশোধ নেয়া হয়ে গেছে। নাহ যাবার আগে আর একটি কাজ করে জেতে হবে। আমি চাইনা আমার বন্ধুর খুনির কোন চিনহ থাক এই পৃথিবীতে । তাই লাইটারটা বের করে ঝুলন্ত চেয়ারটাতে আগুন ধরিয়ে দিলাম । গারি ছুটে চলেছে ঢাকার দিকে । পেছন দিকে দাউ দাউ করে জলছে আগুন। লুকিং গ্লাসে দেখছি কিছু মানুষ দৌরে জাচ্ছে আগুন নিভাতে । আর আমি স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি আমার বন্ধু উপরে বসে হাসছে .. #সাইকো
By kolpobazz
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (শেষ পর্ব ) আজ নীল শারি পরে এসেছে রিতু। তাই না চাইতেও বার বার তার দিকে তাকাচ্ছি। বিষয়টা ও বুঝতে পেরে বলল কি হচ্ছে শুনি , ওমন করে হ্যংলার মত তাকআচ্ছ যে । আমি ঃ কই না ত হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি। তা এমন করে লুকিয়ে লুকিয়ে জাতে না তাকাতে হয় সেই ব্যবস্থা করলেই পারেন। কথাটা বলেই মুখ নিচু করে ফেল্ল রিতু। হয়ত লজা পেয়েছে। শুনেছি লজ্জা পেলে নাকি মেয়েরা কারো চোখের দিকে তাকাতে পারে না । নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। সারাদিন অনেক ঘুরেছি আজ ওকে নিয়ে। আসলে বলতে গেলে আমার কোন ইচ্ছে ছিল না। কিন্ত আমি চাইছিলাম মেয়েটার শেষ দিনটা যেন ভাল ভাবে কাটে। তাই তো আজ সে যা চেয়েছে তাই পুরন করেছি। তবে মেয়েটা এখন ও বাচ্চা টাইপের । মনেই হয়না এর একটা ছেলে ও আছে। ওর দুরন্তপনা দেখে কেন যেন বার বার ওর মায়ায় পরে যাচ্ছিলাম। কিন্ত অই যে , আমাদের মত মানুষদের আবার মায়া থাকতে নেই । তাই চাইলেও সব ......। ........................... সন্ধ্যে হয়ে আসছে। নাহ আর বেশি ওয়েট করা ঠিক হবে না। রিতু ঘুমিয়ে পরেছে আমার কোলে । তাই তাকে আর জাগালাম না । আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে গারিতে শোয়ালাম । এখন যেন আর ও মায়াবি লাগছে মেয়েটাকে। ঘুমালে হয়ত মেয়েদের রুপ আর ও বেড়ে যায়। বিষয়টা নিয়ে ভাবা হয়নি , তবে ভেবে লাভ নেই , তাহলে হয়ত মায়ায় পরে জেতে হবে। আর একবার কার ও মায়ায় পরে যাওয়া মানে...। না না না ্, তা তো হতে দেয়া যাবে যাবে না। মনে মনে এসব যখন ভাবছি্,ততক্ষণে গারি এসে বুরিঙ্গঙ্গার কাছাকাছি থামল। রিতু এখহন ও ঘুমিয়ে । আমি আসতে করে নিচে নাম্লাম । এইত সাম্নেই ঘরটা দেখা জাচ্ছে । এই খানটায় আস্লেই কেমন যেন চোখ ভিজে আসে । নিজেকে সাম্লাতে কষ্ট হয়। অইত গাছটা দেখা জাচ্ছে । অই যে অই ডালটায় ঝুলন্ত অবস্থায় ওকে লাস্ট দেখেছিলাম। কতইনা কষ্ট পেয়েছে বন্ধুটা আমার । নাহ আর ভাবতে পারছিনা । যা করার এখন ই করতে হবে । রিতু এখন ও ঘুমিয়ে । ওর কাছে গেলাম। আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে আসলাম জারুল গাছটার নিচে। রশি দিয়ে শক্ত করে হাত পা বাধলাম । কোন বেগ পেতে হয়নি। মেয়েটা এখন ও ঘুমুচ্ছে । যাক ঘুমাক। জিবনের শেষ ঘুমটা একটু আরাম করেই ঘুমিয়ে নিক। যদিও এমন করে ঘুমানোর কথা না। আমি শুধু বুদ্ধি করে ওর দাব বেচা আঙ্কেল্কে বলে দিয়েছিলাম যেন ওকে দেয়া ডাবের পানির মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। যদিও ব্যটা রাজি হতে চাইছিল না তবে যখন হাতে পাচশ টাকা গুজে দিলাম। তখন তার কাজটাও ডাবের পানির মত সরল হয়ে গেল। বাধা শেষ । এখন মেয়েটাকে জাগাতে হবে। তাই তার ওরনাটা নিয় গঙ্গার পানি দিয়ে ভিজিয়ে আনলাম। সালি পানিতে না উঠলেও দুর্গন্ধের ফলে ঠিক ই উঠতে বাধ্য হবে । আহা কেমন যেন একটা অন্য অনুভুতি কাজ করছে । ঠিক লাস্টবারের ভিক্টিম টাকে খুন করার সময় যেমন মনে হয়েছিল। হাত নিসপিস করছে, পকেট থেকে ছুরিটা বের করলাম। লাল হয়ে আছে ছুরিটা , যদিও প্রথম যখন কিনেছিলাম তখন দেখতে সাদা ছিল। ব্যটা রক্ত খেতে খেতে লাল হয়ে গেছে। আজ পূর্ণিমা । যদিও আমার বন্ধুটার মৃত্যুর দিনটায় অমাবস্যা ছিল। পূর্ণিমার আলোয় মেয়েটার চেহারাটা থেকে যেন দ্যুতি বের হচ্ছে। হয়ত কোন কবি তাকে এই মুহূর্তে দেখলে কবিতা রচনা করে ফেলত। কিন্ত আমার আবার ওসবের ধারে কাছে জেতেও মানা। জানেন ই তো খুনিদের আবার আবেগ থাকতে নেই । ওহ ভুলেই গিয়েছিলাম মেয়েটাকে জাগাতে হবে। ওরনাটা ভিজিয়ে নিয়ে মেয়েটার কাছে গেলাম । হালকা পানির ঝাপটা দিতেই রিতু জেগে উঠল। হঠাত ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় মেয়েটা এদিক অদিক করছে। হয়ত বুঝতে পারছে না কোথায় আছে । অবাক চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে যেন আমাকে চিনতে পারছে না। হাতের দিকে তাকাতেই চিৎকার দিয়ে উঠল এই তিয়াস তুমি আমাকে এভাবে বেধে রেখেছ কেন। কি হল বল। আর আমি এখানে কেন। কি হচ্ছে এসব কথা বলছ না কেন। আমি একটু হাস্লাম। আমার হাসি দেখে মেয়েটা চুপ হয়ে আছে। হয়ত ভয় পেয়েছে। হয়ত এমন পৈশাচিক হাসি সে তার জিবনে ও দেখেনি। খানিক বাদে নরম সুরে রিতু বলল । দেখ তিয়াস ভাল হচ্ছে না কিন্ত । আমার খুব ভয় করছে। প্লিজ আমায় ছেরে দাও , এমন ফান কিন্ত ঠিক না। আমি বললাম ছেরে দেব হা হা হা। তুমি কি ছেরে দিয়েছিলে জুবায়ের কে। দিয়েছিলে তাকে বাচতে । দাওনি ... জানো কতটা কষ্ট পেয়ে ও আত্মহত্যা বেছে নিয়েছিল । এই যে এই... এই জারুল গাছটার সাথেই গলায় দরি দিয়েছিল সে। তোমায় কি করে ছেরে দেই বল ???? রিতু অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমার দিকে ...। - তুমি । তুমি জুবায়েরের কে? - আর তুমি জানলে কি করে । - দেখ আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল । আমি কি করতাম আর তাকে ছেরে না দিয়ে। কি করতে মানে।তুমি তাকে সব কিছু বুঝিয়ে বলতে পারতে ।কিন্ত তুমি তা করনি । কি মনে করেছ , আমি জানি কি করে । সে তার ডাইরিতে সব লিখে গিয়েছিল, লিখে গিয়েছিল তোমার সব পাপের কথা। তোমাকে তো ছেরে দিতে পারিনা আমি । রিতু আমতা আমতা করছে। এখন আর ওর কথা শুনতে ইচ্ছে করছে না। ওর কাছে গিয়ে হাতের বাধন্টা আর ও টাইট করে নিলাম। ওরনা দিয়ে মুখটা বেধে নিলাম। না হলে ভেজাল করতে পারে । এরপর আস্তে করে হাতের ঠিক মাঝখান দিয়ে একটা ফুটো করলাম। অমনি গল গল করে রক্ত বের হতে শুরু করল। চাদের আলোয় স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি । মেয়েটা কাদছে । ০৬ কাদুক তাতে কি। আমার এতে মায়া লাগে না বরং মনের মধ্যে প্রশান্তি অনুভব করছি। যাক অবশেষে আমার বন্ধুর আত্মাটা শান্তি পাবে । নাহ এত অল্প কষ্ট দিয়ে তাকে মারা যাবে না। তাই গারির কাছে গেলাম । ডেক থেকে প্লাস আর রডটা নিএ আসলাম। এখন মজা হবে হা হ হা। প্লাস দিয়ে এক একটা নখ তুলছি আর মেয়েটার শরির ঝাকুনি দিয়ে উঠছে । চোখের পানি আস্তে আস্তে এসে বুকের কাপর ভিজিয়ে দিচ্ছে। বাহ কি দারুন সিনারি । এটা কিন্ত হলিউড ছবিকেও হার মানাবে রিতু । তুমি কি বল। রিতু কিছু বলছে না। ওহ বলবে কি করে তার তো মুখ বাধা হা হা হা। মেয়েটা হাপাচ্ছে ,কারন তার হারটবিট আমি দূর থেকেই শুনতে পাচ্ছি। হয়ত কিছু বলতে চাচ্ছে মেয়েটা তাই তার মুখ খুলে দিলাম। ভেবেছিলাম হয়ত গালি দিবে কিন্ত নাহ মেয়েটা কিছুই বলছে না। চারদিকে পিনপতন নিরাবতা । সে নিরবতা ভেঙ্গে হঠাত ই বলে উঠল জানো আমি কিন্ত তোমাকে সত্যি ই ভাল বেশেছিলাম। তোমাকে নিয়ে সারাজিবন ঘর করার স্বপ্ন দেখেছিলাম কিন্ত্, কিন্ত্্ তু.....................। আর কিছু বলতে পারছে না মেয়েটা কাদছে । তবে একটু পরে আবার বলল একটু পানি হবে তোমার কাছে। প্লিজ ্্ আমিও এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। যাক কাজটা সহজেই হয়ে গেল। গারি থেকে পানির বোতলটা নিয়ে আসলাম। পকেট থেকে আমার সবথেকে প্রিয় জিনিসটা বের করে তা থেকে কিছু পরিমান বোতলের পানির সাথে মিসালাম। এসে দেখি মেয়েটা এখন ও কাদছে । বুঝতে পারছিনা কেন কাদছে । যন্ত্রণায় নাকি অনুশোচনায় । থাক অত ভেবে কি হবে। পানির বোতল হাতে নিয়ে তাকে বললাম নাও পানি খাও। সে কোন কথা না বলে পানি খেল।এরপর হঠাত বলে উঠল জানো আমার কোন কষ্ট হচ্ছে না । কারন আমি যাকে ভালবাসি তার হাতেই মরতে পারছি এর থেকে সুখের আর কি হতে পারে। মনে মনে ভাব্লাম কি অদ্ভুত মেয়েজাতি। কেউ একজন তাকে ভালবেসে মারা গেল তার জন্য তার কোন ভাবনাই ছিল না। আর যে কিনা তাকে মারার জন্য প্রস্তুত তাকেই ভালবেসে বসে আছে। মেয়েটার হাত পা থেকে বের হওয়া লাল রক্ত আস্তে আস্তে নীল রঙ ধারন করছে। আহ আমার প্রিয় রঙ । দেখতেই ভাল লাগছে । নাহ রাত বেশি হয়ে জাচ্ছে , একাহ্নে বেশি ক্ষণ থাকা ঠিক হবে না। তাই গারিতে গিয়ে তারাতারি রশিটা নিয়ে আসলাম এরপর এক প্রান্ত গাছের সাথে বেধে অপ্র প্রান্ত দিয়ে ফাসির গিট্টু দিলাম। বাহ তৈরি হয়ে গেল একটা মিনি ফাসির মঞ্চ। যেখানে আজ সাজা পেতে জাচ্ছে এক মন ভাঙ্গার দায়ে অভিজুক্ত কয়েদি। ভাবতেই কেমন যেন নেশা লাগছে। ওহ আমার আবার মাদকে নেশা হয়না। নেশা হয় কিছু অদ্ভুত ঘটনা দেখে। হয় সেতা আমার তৈরি না হয় অন্য কারো । মঞ্চ বানানো শেষ । এবার রিতুর সাজা গ্রহনের পালা। শেষ বারের মত রিতুকে জিজ্ঞেস করলাম কিছু বলার আছে শেষবারের মত তোমার। সে শুধু অস্পস্ট একটা কথাই বলল “ ভাল থেক” কি অদ্ভুত মেয়ে । যে তাকে মারতে চলেছে তাকেই কিনা বলে ভাল থেক হা হা হা। রশিটা রিতুর গলায় পেচিয়ে টান দিলাম। চেয়ার সহ দোল খেতে খেতে রিতু উপরে উঠে গেল । একটু ও নরাচরা বা শব্দ করল না। করবেই বা কি করে হয়ত বিসের প্রভাবে আগেই তার সব পেশি অচল হয়ে গেছে। নাহ এখন প্রচুর শান্তি লাগছে। আমার বন্ধুর জন্য প্রতিশোধ নেয়া হয়ে গেছে। নাহ যাবার আগে আর একটি কাজ করে জেতে হবে। আমি চাইনা আমার বন্ধুর খুনির কোন চিনহ থাক এই পৃথিবীতে । তাই লাইটারটা বের করে ঝুলন্ত চেয়ারটাতে আগুন ধরিয়ে দিলাম । গারি ছুটে চলেছে ঢাকার দিকে । পেছন দিকে দাউ দাউ করে জলছে আগুন। লুকিং গ্লাসে দেখছি কিছু মানুষ দৌরে জাচ্ছে আগুন নিভাতে । আর আমি স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি আমার বন্ধু উপরে বসে হাসছে .. #সাইকো
By kolpobazz
আব্বাজানের ঠেলাঠেলিতে পইরা... এক সফটওয়্যার কম্পানিতে আজ গেছিলাম ইন্টার্ভিউ দিতে। তো সেখানে স্যর মহাদয় আমাকে বললেন মনে কর তুমি এখানে বোর্ড প্রধান আর আমি ইন্টার্ভিউ দিতে আসছি । এখন তুমি আমাকে এমন একটি প্রস্ন কর যার উত্তর আমার জানা নেই। যদি পারো তাহলে চাকরি পাবে। যেহেতু চাকরি করার ইচ্ছা নাই তাই মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি এসে গেল । তাই তাকে প্রস্ন করলাম আচ্ছা বলুন তো HTML এর Elaborate কি ? তিনি বললেন আরেহ এ তো খুব ই সোজা HTML হল Hypertext Markup Language। আমি বললাম নাহ হয়নি HTML মানে হল How To Meet Ladies । আমার উত্তর শুনে তিনি বেহুশ হয়ে গেলেন । আর হুস আসার পর তিনি বললেন ভাই আজ থেকে এই কম্পানি তোমার। আমি এখন গিয়ে টিএসসিতে বাদাম বেচব। :) #সাইকো
By kolpobazz
Friday, March 22, 2019
অনুগল্প[০৫] দোস্ত চল নামাজটা পরে আসি। -নারেহ দোস্ত , কাপর খারাপ । তা ছাড়া এখন একটা ইম্পরট্যান্ট কাজ আছে রে। কাল থেকে পরব। :: এই কথাগুলি বলা ছেলেটাকেই পাশে থাকা বন্ধুটি বলল ... চল দোস্ত হোলি খেলে আসি , খাসা মাল আছে কয়েকটা । আর হোলি শেষে পার্টি ওরেখেছি । - আরেহ কি বলিস সালা , আগে বলবি না। উফ না বললে তো মিস ই করতাম চান্সটা। নে চল তারাতারি । #সাইকো
By kolpobazz
Thursday, March 21, 2019
Wednesday, March 20, 2019
Tuesday, March 19, 2019
আবার ও ছ্যকা[০৬] আমার তিনি আমাকে মেসেজ করে বললেন আচ্ছা বাবু তোমার মেসেঞ্জারে কি ডার্ক মুড অন করেছ ।😋😋 আমিঃ নাহ 😞 সেঃকেন 😡 আমিঃআসলে কেন জানি আমার ফোনে ডার্ক মুড অন হচ্ছে না।😔😔 সেঃ যা সালা তোর সাথে ব্রেকাপ । 🤬🤬 যে ছেলে ফোনে সামান্য ডার্ক মুড আনতে পারে না তার আমার সাথে কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। #সাইকো
By kolpobazz
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (০৪) #সাইকো আমার সামনে বসে আছে রিতু । বাদাম খাচ্ছে , এই মুহুরতে আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে মনে হচ্ছে তার থেকে নিস্পাপ মেয়ে আর দ্বিতীয়টি নেই । কে বলবে এই মেয়ের জন্যই মারা গেছে একটি সহজ সরল ছেলে। কে বলবে এই মেয়েটি ই হয়ত প্লান করে বসে আছে আ,মাকেও ঠকানোর। ওহ বলা হয়নি ্, রিতু নামের এই মেয়েটি এখন আমার গার্লফ্রেন্ড। আমাদের সম্পর্কের বয়স মাত্র ছয় মাস। এর মদ্ধেই নাকি আমি ওর পৃথিবী হয়ে গেছি । যদিও ঘড়ে তার জামাই ও আর এক ছেলে আছে । হয়ত তার জামাই ও তাকে ত্তার [পৃথিবী ভেবে বসে আছে । এই মুহুরতে অই লোকটার জন্য আমার মায়া হচ্ছে । সে হয়ত জানেও না এই মেয়েটা তাকে তিন বছর ধরে ধোঁকা দিয়ে আসছে। জগতের নিওম ই এইটা , তুমি যাকে তোমার সব ভেবে বসে আছ , দেখবে তার কাছে হয়ত তুমি হয়ত কেউ ই না। যা বলছিলাম, রিতুকে লাইনে আনতে যদিও আমার একটু বেগ পেতে হইছে, কারন যেহেতু তার বিয়ে হয়ে গেছে, তাই তাকে পটানোর জন্য তার সম্পর্কে । তার দুর্বলতা সম্পর্কে তার পছন্দ অপছন্দ সব কিছু জেনে তারপর তার পিছনে নামতে হয়েছে। আর তারপরও বাধা ছিল তার দুরন্তপনা। টানা দুইমাস ঘুরিয়েছে নাকে দরি দিয়ে সে আমায় । এমন গেছে চার পাচ রাত ঘুমাতেও পারিনি । তাতে কি ,আমার কলিজার বন্ধুর জন্য এমন সেক্রিফাইস কোন ব্যাপারই না আমার কাছে। আর সে সেক্রিফাইস বিফলে জায়নি । এখন রিতু আমার প্রেমে অন্ধ প্রায়। এইত কাল ফোন দিয়ে বললাম জানুটা আমার তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে কিছু পিক দাও তো । সে পিক দিল , আমি বললাম এমন করে দেখব না সোনা , তাহলে কি ভাবে দেখবে । অই যে অইভাবে । অইভাবে মানে। আরে বুঝনা কেন হুম বুঝছি কি বুঝছ অনেক দুস্ট হইছ তুমি, হুম শুধু তোমার জন্য আমি দুশ্তু কেন ,আর কিছু থাকলে তা ও হতে পারি। হইছে হইছে এখন ঘুমাও ও আসার সময় হয়ে গেছে। তাহলে তুমি দিবা না । নাহ , দুস্টুদের সব কথা শুনতে নেই । দেখ তুমি যদি না দেও তাহলে কিন্ত আমি আজ থেকে আর কিছু খাব না, এই বলে ফোন অফ করে দিলাম। রাত তিন্টায় ফোন খুলে দেখি তার ৪৩ টা মেসেজ । আর ইমতে পঞ্চাশের অধিক নুড পিক। সাথে লেখা দেখ প্লিজ রাগ করনা । আমি তো ফান করছিলাম। প্লিজ তোমার জেভাবে মনে হয় সেভাবে দেখ তবুও রাগ করে থেক না, মনে মনে হেসে নিলাম কিছুখন , যাক ইমোশনাল ব্লাক্মেইলটা তাহলে ভালই কাজে লেগেছে। সকালেই ফোন দিয়ে বললাম দেখ সোনা তুমি ছাড়া কে আছে আমার । তোমার সাথে কি রাগ করতে পারি। বিকালে দেখা করো । আজ আমি অনেক খুশি তুমি যা খাইতে চাইবে তাই খাওয়াব। রিতুকে নিয়ে আজ একটা অনেক বড় প্লান করেছি । প্লান মোতাবেক ই আগাতে হবে । না হলে তো .........
By kolpobazz
Monday, March 18, 2019
Sunday, March 17, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (০৩) #সাইকো এভাবে শান্ত আর রিতুর বন্ধুত্বের সূচনা। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব গভীর হতে লাগল। দিন হতে মাস, মাস হতে বছর। দুইজন একসাথে সবসময় চলে, একে অপরের পারস্পরিকতায় তাদের বন্ধুত্ব। আর রিতুর স্বভাবের সাথে শান্তর অনেক মিল আছে। দুইজনই ঠান্ডা স্বভাবের আর সাদামাটা জীবন যাপন পছন্দ করে। তাই তারা একে অপরকে খুব পছন্দ করে। দুষ্টুমি, হাসি-ঠাট্টা, রাগ, ভালবাসা এই মিলিয়ে তাদের বন্ধুত্ব...... . প্রায় এক বছর কেটে গেল শান্ত আর রিতুর বন্ধুত্বের... ঠিক এমন সময় একদিন হঠাৎ খুব সকালে রিতু শান্তকে ফোন দেয়...... - কি ব্যাপার রিতু এত সকালে ফোন দিলি যে? - শান্ত তুই এখনি ঐ জায়গায়টায় আয় যেখানে আমরা প্রথম বন্ধুত্ব করি। - এত সকালে?? এত সকালে?? কেন? ৮টা বাজে মাত্র। - (উত্তেজিত সুরে) তুই আসবি কিনা বল! - আচ্ছা আসছি ওয়েট। - হুম জলদি আয়... এই বলে ফোন রেখে দেয় রিতু।শান্ত চিন্তায় পরে গেল। কি হল মেয়েটার! মনে হচ্ছে বেশ চিন্তায় আছে আর বিরাট বড় সমস্যায় পড়েছে। যাক দেরি না করে বেরিয়ে পড়ল। . সকাল ৮টা ১৫ বেজে গেল ঐদিকে রিতু অপেক্ষা করতে করতে অস্থির। হঠাৎ দূর থেকে দেখে শান্ত দৌড়ে আসছে। আর এসেই হাঁপাতে হাঁপাতে বলল... - কিহ! বল... - শান্ত আমায় নিয়ে চল! (রিতু শান্তর হাত ধরে বলল)[যদিও এটা ছিল রিতুর বানানো মিত্থা গল্প ] - কোথায়?? - যেথায় ইচ্ছা। বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। কিন্তু আমি তোকে ভালবাসি। - কি বলছিস এসব? - আমি ঠিকই বলছি। তুই প্লিজ আমাকে কোথাও নিয়ে চল। আমাকে বিয়ে কর। - পাগলামি করিস না। (রিতুর হাত ছেড়ে দিয়ে।) - বিশ্বাস কর আমি তোকে ভালবাসি। আই লাভ ইউ শান্ত। আমি থাকতে পারব না তোকে ছাড়া। - তুই বাড়ি যা। - না যাবনা। - তবে আমিই যাচ্ছি। আমি তোকে ভালবাসিনা। সো ইম্পসিবল। এই বলে শান্ত পিছনে ফিরে সজোরে হাটা দিল। রিতু অনেক জোরে চিৎকার করে ডাকছে তাও শুনলো না। হতাশ মনে রিতু বাড়ি গেল। শান্তর নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ করেনা। এরকম বারবার কল দিয়ে যায় রিতু। হঠাৎ রিতুর নাম্বারে একটা ম্যাসেজ আসে। আর সেটা শান্তর দেয়া। তাতে লেখা..... "পাগলি আমিও তোকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি। তবে বলতে পারি নাই বন্ধুত্বটা যেন না হারিয়ে যায়। আই লাভ ইউ রিতু....... . তখন রিতু যে কত খুশি হয়ছে তা বলা অসম্ভব। শুরু হলো তাদের বন্ধু থেকে প্রেম। মাস খানিক হওয়ার পর রিতু শান্তকে বলল সেই বট গাছটার নিচে আসতে। শান্ত এসে দেখল যে রিতু অন্য একটি ছেলের সাথে হাত ধরে বসে আছে। কাছে যেতেই রিতু বলে উঠল দেখ শান্ত এই আমার হবু বর। বাবা তার সাথেই আমার বিয়ে ঠিক করেছে । শান্ত তখন কি বলবে বুঝে উঠতে পারছিল না। আসলে তার মনে কোন কুটিলতা ছিল না । সরল মনে সে ভাল বেসেছিল রিতুকে। কিন্ত রিতু এমন করবে সে কল্পনাতে ও ভাবতে পারে নি / বাসায় গিয়েই শান্ত ফোন করে রিতুকে “এই সত্যি বলতো ছেলেটা কে তুমি ফান করছ তাই না। -ফান করতে যাব কেন । অইটাই আমার জামাই হবে ।কাল আমার বিয়ে। -তাহলে আমার সাথে যে এতদিন… -হা হা ওটা ছিল টাইম্পাস তা ও বুঝনা বকা ছেলে তোমাকে বিয়ে করলে তো আমার না খেয়ে থাকতে হবে । তোমার কি আছে হুম। শান্ত কিছু বলতে পারছে না । তার দম বন্ধ হয়ে আসছে । মানুষ এত খারাপ হয় কি করে বির বির করতে লাগল সে । এর পরের দিন ই শান্তর লাশ পাওয়া যায় তার ঘরে ফ্যনের সাথে ঝুলানো । ডাইরিটা শেষ করে সেইদিন ই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে আমার বন্ধুর মৃত্যুর জন্য দায়ি তাকে ছার দেয়া যাবে না । ওহ বলা হয়নি …। শান্ত আমার এক্মাত্র বন্দু ছিল। ওর সব কিছু আমার সাথে শেয়ার করত । কিন্ত এই প্রেমের কথাটা সে কখনোই বলে নি । তবে তার ডাইরি লেখার সখ ছিল। তাই সব কিছু তার ডাইরিতে লিখে রাখত । ও মারা যাবার প্পর ওর রুমে ওর ডাইরিটা পাই , সেখান থেকেই সব কিছু জানতে পারলাম ।
By kolpobazz
Saturday, March 16, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (০২) #সাইকো পরেরদিন ক্লাস শেষে বাড়ি যাবার পথে শান্তর সাথে রিতুর দেখা হয়। দেখামাত্রই শান্তকে ডাক দেয়...... - এইযে শুনুন...(রিতু) - (হঠাৎ থেমে পিছনে তাকিয়ে) আমাকে বলছেন? (শান্ত) - হ্যাঁ। গতকাল তো হুট করে চলে গেলেন। আজও যাচ্ছেন। ব্যাপার কি? - না মানে...এমনি আর কি। - তাড়া আছে? - নাহ! কিছু বলবেন? - চলেন এক জায়গায় যাব। - কোথায়? - আহ চলুন না! - আচ্ছা চলুন। এক বট গাছের সামনে রিতু শান্তকে নিয়ে গেল। তারা দুইজন সেখানে বসল। চারদিকে হালকা শীতল হাওয়া এসে বইছে। বেশ নিরিবিলি আর সুন্দর একটা জায়গা। ফ্রি টাইমে রিতু প্রায়ই এখানে আসে। আজ সে শান্তকে নিয়ে বসল। শান্তর একটু নার্ভাস ফিল হচ্ছে কারন সে সহজে মেয়েদের সাথে কথা বলেনা। ভয় পায়। এই প্রথম একটা মেয়ে তার সাথে এমন ভাবে হেসে খেলে কথা বলছে যেন মেয়েটি তার অনেক দিনের চেনা। সত্যিই রিতু মেয়েটা বড় অদ্ভুত মনে মনে ভাবছে শান্ত । - নার্ভাস লাগছে? (রিতু) - কই নাতো! (শান্ত) - ভয়ের কিছু নাই। আমি ফ্রেন্ডলি সবার সাথে। - না না তেমন কিছুনা। - তারপর আপনার বন্ধু আছে কে কে? - আছে বর্তমানে দুইজন মেসের রুমমেট। - আর কেউনা! (অবাক হয়ে রিতু) - আমার বাবাই বড় বন্ধু। - হুমম... আরেকটা যে নতুন বন্ধু যোগ হতে যাচ্ছে। তাকে কি এক্সেপ্ট করা যাবে? - বলেন কি? কে সে? - আমি... কি বন্ধু হিসেবে কি নেয়া যায় এই হতভাগীকে! - কি যে বলেন! আমার মত ছেলের সাথে বন্ধুত্ব! - দেখুন এটা ঠিক না! (রাগান্বিত সুরে) - আচ্ছা আচ্ছা। আপনার বন্ধুত্ব গ্রহন করলাম। - তবে এখন হতে আর আপনি নয়। তুই করে বলতে হবে। আমিও বলব। - আচ্ছা ম্যাডাম তাই হবে। (দুষ্টুমির সুরে বলে উঠে শান্ত) - হাহাহা... .
By kolpobazz
Thursday, March 14, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪১ প্রতিশোধ (০১) #সাইকো এখানে বসতে পারি??? (মেয়ে) - জ্বি,বসেন। (ছেলে) - ধন্যবাদ ... একটু ভয় ভয় লাগছে শান্তর। এই প্রথম শহরের কোন মেয়ের সাথে কথা বলছে। তার জানা মতে শহরের মেয়েরা অহংকারী হয় আর সহজে ছেলেদের সাথে কথা বলেনা। আচরনেও হয় রাগী... এজন্য সে শহরের মেয়েদের সাথে কথা বলতে একটু ভয় পায়।কারন সে গ্রামের ছেলে। শহরে এসেছে পড়াশোনা করতে। আজ নতুন ভর্তি হয়েছে ভার্সিটিতে। - আমি রিতু । মিরপুরে থাকি। আপনি? - জ্বি আমি শান্ত । গ্রাম থেকে শহরে এসছি।পড়াশোনার জন্য। - বেশ ভাল। পরিচিত হয়ে ভাল লাগলো।(হেসে) - জ্বি ধন্যবাদ। আমিও খুশি হলাম। রিতুকে দেখে তার শহরের মেয়েদের প্রতি চিন্তাধারা একটু ঘুরে গেল। রিতু ঐরকম নয়। হেসেখেলে কথা বলে। আচরনও বেশ মার্জিত । একটা মেয়ে এত ভাল হয় কি করে। একটু খটকা লাগছে শান্তর কাছে ।. ক্লাস শেষে শান্ত সরাসরি বাসায় আসলো। বাসা বলতে সে মেসে থাকে তার দুই বন্ধু রুমমেটের সাথে। গ্রাম ছেড়ে শহরে পড়াশোনার জন্য তাকে মেসে ভাড়া করে থাকতে হয়। শান্তর মা নেই। যখন সে ক্লাসসিক্সে পড়ে তখন তার মা ক্যান্সারে মারা যায়। এরপর বাবাই ছেলের ভরনপোষনের দায়িত্ব নেয়। বাবা ছোটখাটো মুদির দোকানদার। যদিও পরিবারে শান্তর কোন ভাই বোন নেই। সে একাই বাবার সাথে থাকে। তবুও শুধু মুদি দোকান দ্বারা অনেক সময় তার চাহিদা পুরন করা তার বাবার পক্ষে সম্ভব হয়না। এমনও গেছে বাবা না খেয়ে ছেলেকে খাইয়েছে। এমন অভাবে চলতো বাপ ছেলের সংসার। বাবা সামান্য মুদি দোকানদার হওয়া সত্বেও ছেলের প্রতি ছিলেন খুব দায়িত্বশীল। পড়াশোনার একমাত্র ছেলেকে সে শহরে পাঠাবে, ছেলে বড় হয়ে মানুষ হবে এই আশায়। ছেলে হিসেবে শান্ত ছিল নম্র ভদ্র, আচরন ছিল খুব ভাল। পড়াশোনায় ছিল মেধাবী ছাত্র। তাই তার গ্রামের গুরুজন তাকে বেশ স্নেহ করতো আর ভালবাসতো। শান্ত তার বাবার কথা মতোই সবসময় চলতো। বাবা স্বপ্ন পুরনেও সে কর্তব্যপরায়ন। এজন্যই শান্তর বাবা তার একমাত্র ছেলেকে খুব ভালবাসতো। ছেলেও বাবাকে ভীষন ভালবাসতো। আর মা মারা যাবার পর তার বাবা কখনোই ছেলেকে মায়ের অভাব উপলব্ধি করতে দেন নি। তাই বাবাই ছিল তার কাছে সব। . ঐদিকে রিতু তার বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবা শহরের বড় ব্যবসায়ী, নিজস্ব গাড়ি, বাড়ি আছে। আর মা কলেজের প্রফেসর। আর আছে ছোট ভাই। ছোট বেলা হতেই বড় আদরে মানুষ হয়েছে রিতু। আর খুব ভাল, ভদ্র মেয়ে। চাল-চলন যেমন ছিল সুন্দর তেমনি দেখতেও... .
By kolpobazz
Wednesday, March 13, 2019
এখানে বসতে পারি??? (মেয়ে) - জ্বি,বসেন। (ছেলে) - ধন্যবাদ ... খুব ভয় ভয় লাগছে জুবায়েরের। এই প্রথম শহরের কোন মেয়ে তার সাথে কথা বলছে। তার জানা মতে শহরের মেয়েরা অহংকারী হয় আর সহজে ছেলেদের সাথে কথা বলেনা। আচরনেও হয় রাগী...এজন্য সে শহরের মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পায়। আর তাছাড়া সে গ্রামের ছেলে। শহরে এসেছে পড়াশোনা করতে। আজ নতুন হয়েছে ভর্তি ভার্সিটিতে। - আমি রিতু । মিরপুরে থাকি। আপনি? - জ্বি আমি জুবায়ের। গ্রাম থেকে শহরে এসছি। পড়াশোনার জন্য। - বেশ ভাল। পরিচিত হয়ে ভাল লাগলো। (হেসে) - জ্বি ধন্যবাদ। আমিও খুশি হলাম। . রিতুকে দেখে তার শহরের মেয়েদের প্রতি চিন্তাধারা একটু ঘুরে গেল। রিতু ঐরকম নয়। হেসেখেলে কথা বলে। আচরনও বেশ মার্জিত। স্যার ক্লাসে আসার সময় হয়ে গেছে। ছেলেমেয়ে সবাই প্রস্তুত হয়ে বসলো। কিছুক্ষন বাদেই স্যার ক্লাসে প্রবেশ করল। . ক্লাস শেষে জুবায়ের সরাসরি বাসায় আসলো। বাসা বলতে সে মেসে থাকে তার দুই বন্ধু রুমমেটের সাথে। গ্রাম ছেড়ে শহরে পড়াশোনার জন্য তাকে মেসে ভাড়া করে থাকতে হয়। . জুবায়েরের মা নেই। যখন সে ক্লাস সিক্সে পড়ে তখন তার মা ক্যান্সারে মারা যায়। এরপর বাবাই ছেলের ভরনপোষনের দায়িত্ব নেয়। বাবা ছোটখাটো মুদির দোকানদার। যদিও পরিবারে জুবায়েরের কোন ভাই বোন নেই। সে একাই বাবার সাথে থাকে। তবুও শুধু মুদি দোকান দ্বারা অনেক সময় তার চাহিদা পুরন করা তার বাবার পক্ষে সম্ভব হয়না। এমনও গেছে বাবা না খেয়ে ছেলেকে খাইয়েছে। এমন অভাবে চলতো বাপ ছেলের সংসার। বাবা সামান্য মুদি দোকানদার হওয়া সত্বেও ছেলের প্রতি ছিলেন খুব দায়িত্বশীল। পড়াশোনার একমাত্র ছেলেকে সে শহরে পাঠাবে, ছেলে বড় হয়ে মানুষ হবে এই আশায়। ছেলে হিসেবে জুবায়ের ছিল নম্র ভদ্র, আচরন ছিল খুব ভাল। পড়াশোনায় ছিল মেধাবী ছাত্র। তাই তার গ্রামের গুরুজন তাকে বেশ স্নেহ করতো আর ভালবাসতো।জুবায়ের তার বাবার কথা মতোই সবসময় চলতো। বাবা স্বপ্ন পুরনেও সে কর্তব্যপরায়ন। এজন্যই জুবায়েরের বাবা তার একমাত্র ছেলেকে খুব ভালবাসতো। ছেলেও বাবাকে ভীষন ভালবাসতো। আর মা মারা যাবার পর তার বাবা কখনোই ছেলেকে মায়ের অভাব উপলব্ধি করতে দেন নি। তাই বাবাই ছিল তার কাছে সব। . ঐদিকে রিতু তার বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবা শহরের বড় ব্যবসায়ী, নিজস্ব গাড়ি, বাড়ি আছে। আর মা গৃহিনীই। আর আছে ছোট ভাই। ছোট বেলা হতেই বড় আদরে মানুষ হয়েছে রিতু। আর খুব ভাল, ভদ্র মেয়ে। চাল-চলন যেমন ছিল সুন্দর তেমনি দেখতেও... . পরেরদিন ক্লাস শেষে বাড়ি যাবার পথে জুবায়েরের সাথে রিতুর দেখা হয়। দেখামাত্রই জুবায়েরকে ডাক দেয়...... - এইযে শুনুন...(রিতু) - (হঠাৎ থেমে পিছনে তাকিয়ে) আমাকে বলছেন? (জুবায়ের) - হ্যাঁ। গতকাল তো হুট করে চলে গেলেন। আজও যাচ্ছেন। ব্যাপার কি? - না মানে...এমনি আর কি। - তাড়া আছে? - নাহ! কিছু বলবেন? - চলেন এক জায়গায় যাব। - কোথায়? - আহ চলুন না! - আচ্ছা চলুন। এক বট গাছের সামনে রিতু জুবায়ের কে নিয়ে গেল। তারা দুইজন সেখানে বসল। চারদিকে হালকা শীতল হাওয়া এসে বইছে। বেশ নিরিবিলি আর সুন্দর একটা জায়গা। ফ্রি টাইমে রিতু প্রায়ই এখানে আসে। আজ সে জুবায়েরকে নিয়ে বসল। জুবায়েরের একটু নার্ভাস ফিল হচ্ছে কারন সে সহজে মেয়েদের সাথে কথা বলেনা। ভয় পায়। এই প্রথম একটা মেয়ে তার সাথে এমন ভাবে হেসে খেলে কথা বলছে যেন মেয়েটি তার অনেক দিনের চেনা। সত্যিই রিতু মেয়েটা বড় অদ্ভুত মনে মনে ভাবছে জুবায়ের । - নার্ভাস লাগছে? (রিতু) - কই নাতো! (জুবায়ের) - ভয়ের কিছু নাই। আমি ফ্রেন্ডলি সবার সাথে। - না না তেমন কিছুনা। - তারপর আপনার বন্ধু আছে কে কে? - আছে বর্তমানে দুইজন মেসের রুমমেট। - আর কেউনা! (অবাক হয়ে রিতু) - আমার বাবাই বড় বন্ধু। - হুমম... আরেকটা যে নতুন বন্ধু যোগ হতে যাচ্ছে। তাকে কি এক্সেপ্ট করা যাবে? - বলেন কি? কে সে? - আমি... কি বন্ধু হিসেবে কি নেয়া যায় এই হতভাগীকে! (কবি কন্ঠে বলে উঠল সিমি) - কি যে বলেন! আমার মত ছেলের সাথে বন্ধুত্ব! (মাথা চুলকিয়ে সিফাত) - দেখুন এটা ঠিক না! (রাগান্বিত সুরে) - আচ্ছা আচ্ছা। আপনার বন্ধুত্ব গ্রহন করলাম। - তবে এখন হতে আর আপনি নয়। তুই করে বলতে হবে। আমিও বলব। - আচ্ছা ম্যাডাম তাই হবে। (দুষ্টুমির সুরে বলে উঠে জুবায়ের) - হাহাহা... . এভাবে জুবায়ের আর রিতুর বন্ধুত্বের সূচনা। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব গভীর হতে লাগল। দিন হতে মাস, মাস হতে বছর। দুইজন একসাথে সবসময় চলে, একে অপরের পারস্পরিকতায় তাদের বন্ধুত্ব। আর রিতুর স্বভাবের সাথে জুবায়েরের অনেক মিল আছে। দুইজনই ঠান্ডা স্বভাবের আর সাদামাটা জীবন যাপন পছন্দ করে। তাই তারা একে অপরকে খুব পছন্দ করে। দুষ্টুমি, হাসি-ঠাট্টা, রাগ, ভালবাসা এই মিলিয়ে তাদের বন্ধুত্ব...... . প্রায় এক বছর কেটে গেল জুবায়ের আর রিতুর বন্ধুত্বের... ঠিক এমন সময় একদিন হঠাৎ খুব সকালে রিতু জুবায়েরকে ফোন দেয়...... - কি ব্যাপার রিতু এত সকালে ফোন দিলি যে? - জুবায়ের তুই এখনি ঐ জায়গায়টায় আয় যেখানে আমরা প্রথম বন্ধুত্ব করি। - এত সকালে?? এত সকালে?? কেন? ৮টা বাজে মাত্র। - (উত্তেজিত সুরে) তুই আসবি কিনা বল! - আচ্ছা আসছি ওয়েট। - হুম জলদি আয়... এই বলে ফোন রেখে দেয় রিতু।জুবায়ের চিন্তায় পরে গেল। কি হল মেয়েটার! মনে হচ্ছে বেশ চিন্তায় আছে আর বিরাট বড় সমস্যায় পড়েছে। যাক দেরি না করে বেরিয়ে পড়ল জুবায়ের। . সকাল ৮টা ১৫ বেজে গেল ঐদিকে রিতু অপেক্ষা করতে করতে অস্থির। হঠাৎ দূর থেকে দেখে জুবায়ের দৌড়ে আসছে। আর এসেই হাঁপাতে হাঁপাতে বলল... - কিহ! বল... - জুবায়ের আমায় নিয়ে চল! (রিতু জুবায়েরের হাত ধরে বলল) - কোথায়?? - যেথায় ইচ্ছা। বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। কিন্তু আমি তোকে ভালবাসি। - কি বলছিস এসব? - আমি ঠিকই বলছি। তুই প্লিজ আমাকে কোথাও নিয়ে চল। আমাকে বিয়ে কর। - পাগলামি করিস না। (রিতুর হাত ছেড়ে দিয়ে।) - বিশ্বাস কর আমি তোকে ভালবাসি। আই লাভ ইউ জুবায়ের। আমি থাকতে পারব না তোকে ছাড়া। - তুই বাড়ি যা। - না যাবনা। - তবে আমিই যাচ্ছি। আমি তোকে ভালবাসিনা। সো ইম্পসিবল। এই বলে জুবায়ের পিছনে ফিরে সজোরে হাটা দিল। রিতু অনেক জোরে চিৎকার করে ডাকছে তাও শুনলো না। হতাশ মনে রিতু বাড়ি গেল। জুবায়েরের নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ করেনা। এরকম বারবার কল দিয়ে যায় রিতু। হঠাৎ রিতুর নাম্বারে একটা ম্যাসেজ আসে। আর সেটা জুবায়েরের দেয়া। তাতে লেখা..... "পাগলি আমিও তোকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি। তবে বলতে পারি নাই বন্ধুত্বটা যেন না হারিয়ে যাই।আই লাভ ইউ রিতু....... . তখন রিতু যে কত খুশি হয়ছে তা বলা অসম্ভব। শুরু হলো তাদের বন্ধু থেকে প্রেম। মাস হানিক হওয়ার পর।জুবায়ের রিতুকে বলতেছে তারা কোনো এক নদীর পাড় ঘুরতে যাবে।তো রিতুও রাজি হলো। একদিন বিকেল বেলা দুজনে গেল নদীর পাড় ঘুরতে। অনেক্ষন যাবত দুইজনে বসে গল্প করতেছে।সন্ধা ঘনিয়ে আসতেছে...চারদিক ে নির্জন আবাস..জনবহুল বলতে নেই। হঠাৎ জুবায়ের রিতু কে ধাক্কা মেরে দূরে ঠেলে দেই।রিতু কিছুই বুঝতেছে না।দুইজনেই দাঁড়িয়ে যাই।সাথে সাথে জুবায়ের তার পিছন থেকে একটা দাড়ালো ছুরি বের করে। ছুরি দেখে রিতু বলতেছে... -জুবায়ের ছুরি বের করছ কেন,আর আমাকেই বা ধাক্কা মারলা কেন -তকে খুন করব -কি বলতেছ এসব -হুম,সত্যি বলতেছি তকে খুন করব (জুবায়েরের মাঝে এক ভয়ালি রুপ ধারণ করেছে।মনে হয় সত্যিই রিতুকে খুন করবে) -কিন্তু কেন আমাকে খুন করবে,তুমি বলে আমাকে ভালোবাস,তাহলে -আমি তকে ভালোবাসতে যাব কোন দুঃখে,আমি তো তর সাথে এতদিন যাবত অভিনয় করে আসছি শুধু আজকের দিনটার জন্য।তকে খুন করব বলে আমি সেই দিন থেকে অপেক্ষা করে আসছি।যেই দিন আমার বন্ধু রিফাত মারা গেছিল। (রিফাতের নাম শুনে রিতু চমকে ওঠল। জুবায়ের তাহলে কি রিফাতের বন্ধু। রিতুর আর বুঝতে বাকি রইল না) . জুবায়ের আবার বলতে লাগল... -তুই চমকে ওঠলি কেন।রিফাত তকে অনেক ভালোবাসত।যেই দিন তুই রিফাতকে দূরে ঠেলে দিয়েছিলি,সেই দিন রিফাতে অনেক কাঁদছে।শেষ পর্যন্ত আমার বন্ধুটা আত্মহত্যা করে।তকে তো ও অনেক ভালোবাসত। তাহলে তুই কেন ওর সাথে এমন করলি।কি দুষ ছিল ওর।আর আমার উপরোক্ত যে পরিচয় দিছি সবগুলো বানোয়াট। একমাত্র আমার প্রেমে তকে ঝড়ানোর জন্য। এসব অভিনয় করছি।যেই দিন রিফাতে মারা যাই।সেই দিন আমি অনেক কাঁদছি।আর প্রতিজ্ঞা করছিলাম।তকে আমি নিজ হাতে খুন করব।আর আজকে আমার সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে।আমি আজও আমার বন্ধু রিফাতের কথা ভেবে রাত্রে চোখের অশ্রু ঝড়াই। তকে ও অনেক ভালোবাসত। কিন্তু তুই ওরে বাঁচতে দিলি না।এরকম আর কয়টা ছেলের সাথে তুই করছত।আমি এতদিন যাবত ভাল ছেলের অভিনয় করে আসছি তকে খুন করব বলে।তকে খুন করে আমি আমার বন্ধুর আত্মার শান্তি দিতে চাই। . এই বলে জুবায়ের কাঁদতে লাগল।আর রিতু হতবম্ব। কি হতে যাচ্ছে তার সাথে। অবশেষে জুবায়ের রিতুকে ছুড়ি দিয়ে তার গলাটা কেটে ফেলে। আর জোরে জোরে হাসতে থাকে,আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে... -বন্ধু আমি পেরেছি তর আত্মহত্যার প্রতিশোধ নিতে।তর আত্মা শান্তি পাচ্ছে। আর সাথে কান্নারও আওয়াজ আসতেছে। রিতুর লাশটাকে নদীতে ফেলে। জুবায়ের হাটা শুরু করে তার গন্তব্যে।সন্ধায় আধার করে আসল চারদিকে। . এই গল্পে জুবায়েরের যে পরিচয় দেওয়া হয়ছে সবগুলো বানোয়াট।কারণ এটার মাধ্যমেই জুবায়ের রিতুকে খুন করতে পারে। তাই মিথ্যে পরিচয় দিয়ে রিতুর সাথে ভালোবাসার অভিনয়টা করে। জুবায়ের এর অনেক কাছের বন্ধু ছিল রিফাত।বছর হানিক আগে রিফাতের সাথে রিতুর রিলেশন হয়। কি এক কারণে রিফাতকে দূরে ঠেলে দেয় রিতু।সেই সুখে রিফাত আত্মহত্যা করে। আর জুবায়ের তার প্রতিশোধ নেয়। ভালোবাসার নামে সাইকো বেশে। . ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন "সবাইকে ধন্যবাদ"
By kolpobazz
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো (শেষ ) নতুন আইফোন এক্সটা মাত্র কিনলাম । দেখতে হেব্বি , একেবারে নিধির মত হট । ওহ নিধির কথা মনে পরতেই ছুটে গেলাম পশ্চিম পারার ডাস্টবিন্টার কাছে। ময়লার গন্ধে দাঁড়ানো জাচ্ছে না এখানে কিন্ত বেচারি সানন্দে এখনও ঘুমাচ্ছে । হয়ত ঘুমের মদ্ধেও আইফোন এর স্বপ্ন দেখছে। কারন বোঝা জাচ্ছে স্বপ্নটা মজার , চেহারায় তার ছাপ ফুটে উঠছে । হালকা পানি ছিটালাম নিধির মুখে। জেগে উঠল সে, উঠেই অবাক দৃষ্টিতে এদিক অদিক করছে। হয়ত বুঝতে পারছে না জান্নাত নাকি জাহান্নামে আছে সে। আর যখন বুঝতে পারল ওয়াক করে বমি করা শুরু করল। আর বমির সাথে বেড়িয়ে আসতে লাগল রক্ত । রক্ত দেখে ভয়ে কথা বলতে পারছে না মেয়েটা । দেখে মায়া লাগবে যে কারোর ই । তবে আমার লাগছে না। মনের মধ্যে খুব শান্তি লাগছে এক কথায়। একচল্লিশটা খুন করার পর হয়ত এম্নিতে ও কারো মনে মায়া থাকে না। নিধি বিয়াল্লিশ নম্বরে আছে । এইসব কথা যখন ভাবছি দেখলাম নিধি কথা বলতে চাইছে । কিন্ত ফিস ফিস করা ছাড়া আর আওয়াজ বের হচ্ছে না। আমি তার কথা শুনতে তার কানের কাছে মুখ নিলাম। অস্পষ্ট জা শুনতে পেলাম তা হল " জানোয়ার , কি করছিস তুই আমার সাথে।" তোকে আল্লাহ ক্ষমা করবে না বলে দিলাম আমার সাথে খ্রাপ কিছু করলে।আর তুই আমায় এখানে রাখছিস কেন , অই কুত্তা , বজ্জাত । আমি বললাম বেশি কিছুনা বেব্বি । শুধু তোমার কিডনি নিয়েছি । হয়ত তুমি আর বাচবা না তবে তোমার স্বপ্ন আমি পুরন করে দিচ্ছি । এই যে দেখ আইফোন এক্স ।যেহেতু আজ থেকে তুমিও আমার এক্স হবা। তাই এটাই কিনলাম তোমার জন্য । এই নাও তোমার ফোন আর এই যে ক্যমেরা এনে দিলাম সুন্দর করে একটা পিক তুলে আমাকে সেন্ড কর , আমি না হয় তোমাকে ট্যগ করে পোস্ট দিয়ে দিব । নিধি কাদছে।হয়ত ভুল বুঝতে পেরে। হয়ত বা আইফোন পাবার খুশিতে। শুনেছি মেয়েরা ঙ্কি খুশিতেও কাদে। কি জানি ওসব ভাবতে ইচ্ছে করছে না । মেয়েটার এক হাতে আইফোন আর এক হাত দিয়ে কোমর চেপে শুয়ে আছে । উঠতে পারছে না। হয়ত গালি দিচ্ছে এখন ও আমায় । কিন্ত তাতে কি আমার ওতে কিছু আসে যায় না। মেয়েটার ঠোট কাপছে । হয়ত আবার কিছু বলতে চাচ্ছে । আমি আবার কানের কাছে মুখ নিলাম । সে বলছে পানি পানি। পকেট থেকে পানির বোতলটা বের করলাম , নিজ হাতে পানি খাওয়াচ্ছি নিধিকে ।আগে ও তাকে এমন করে অনেক খাইয়েছি । তবে আজকের আর তখনকার মধ্যে অনেক তফাৎ । পানি খেয়েই মেয়েটা আবার ঘুমিয়ে পরল । সন্ধ্যে হয়ে জাচ্ছে । নীল আকাশ ধারন করছে কালো বর্ণ । আর অইদিকে নিধির সাদা শরিরে জমাট বাধছে নীল রক্ত। আমি ডাইরিটা খুললাম , নীল কালি দিয়ে নিধি নামটাকে আন্ডারলাইন করলাম । নিচে লিখলাম অনুশোচনার মৃত্যু । #সাইকো
By kolpobazz
Tuesday, March 12, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো ০২ ডাক্তার সাব ইনজেকশন বানাচ্ছেন আমি বসে আছি , কিন্ত খেয়াল করলাম তিনি প্যথেড্রিন রেডি করছেন , ওষুধ বিসয়ে কিছু জানা ছিল বিধায় বুঝতে পারলাম কোন গণ্ডগোল হতে জাচ্ছে । তাই আমি সাত পাচ না ভেবেই ডাক্তার সাব কে বললাম আচ্ছা ডাক্তার সাব রক্ত নিতে কি অজ্ঞান করতে হয় , কি চলছে এখানে । বলেই পকেট থকে চাকুটা বের করে বললাম । চাকু দেখে তিনি ভয় পেয়ে বললেন দেখুন আমার কোন দোষ নেই । অই নিধি ই সব করতে বলছে । ওর নাকি আইফন দরকার কিন্ত আপনি দিচ্ছেন না তাই বল্ল কিডনি নিতে । ডাক্তারের কথা শুনে আমি তব্দা খেয়ে গেলাম। মাথা কাজ করছে না। ইস যদি এখন না বুঝতে পারতাম কি হত তাহলে। মাথার রক্ত গরম হয়ে ফুটছে , আমার সাথে চালাকি , দারাও বেব্বি দেখাচ্ছি মজা । ডক্টরকে বললাম এখন আমি জা বলব আপনি তাই করবেন । উলটা পালটা হলে খবর আছে। বলেই ছুটে গেলাম নিধির কাছে। নিধি আমাকে দেখে ঝটকা খেল ।হয়ত মনে মনে ভাবছে সালা এখন ও ড্যং ড্যং করে হেটে বেরাচ্ছে। কিছুখন বাদে বল্ল তুমি এখন ও রক্ত দাওনি । তুমি কি চাও আমি মরে যাই । আমি বললাম না বেব্বি , তা হবে কেন । আসলে হইছে কি তোমার রক্তের একটু স্যম্পল লাগবে তাই ডক্টর তোমাকে ডাকছে । সে বল্ল দেখ আমি নড়তে পারছি না । আমাকে কোলে তুল না ও । আমিও তাহার কথামত ভদ্র বফের মত তাকে কোলে নিয়ে বেডে শুয়ালাম । ডক্টর কে বললাম আপনি স্যম্পল নিন। ডক্টর কথামত তাহার কাজ কমপ্লিট করল ।
By kolpobazz
একটা ডাবল মাইয়ার পোষ্টে দুইদিন ধরে উরাধুরা কমেন্ট করছি কিন্ত কিরে এখন ও কেউ ওয়ারেন্ট জারি করে না ক্যন । এই ভেবে ঘুম আসছিল না। ভাবতে না ভাবতেই সদ্য একভাই এসে "অই বুইঝা শুইনা কমেন্ট করিস , আর লাভ রিএক্ট কম দিস বুঝলি । নইলে ব্লা ব্লা ব্লা বলে গেল । আমি এখন সেই মেয়ের সব পোষ্টে গিয়ে আই লেবু আর লাভ রিএক্ট দিয়ে আসছি । আলহামদুলিল্লাহ । এখন আমার প্রচুর ঘুম হবে ।🙃🙃🙃 #সাইকো
By kolpobazz
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো ০১ নিধির কল এল, ধরতেই -- কুত্তা হারামজাদা, লম্পট, জানোয়ার..!! -- কি হয়েছে ব্যব্বি? তুমি বোকছো কেন? -- শুয়োর, তোরে বলছিলাম ******না.. লুইচ্চা, বেজন্মা, এখন আমার কি হবে..!! -- কি বলো? আমি-তো ভিতরে ফালাইনি.. -- ফালাইসোস, নাইলে আমার পেটে বাচ্চা আইলো ক্যমনে? তুই-তো আর স্বপ্নে দিয়া যাস নাই.. ঢোক গিললাম, হতেও পারে স্বপ্নে ওরে কতবার **** তার হিসাব নাই.. আর শেষ বার যদিও বেলুন ইউজ করছি, তবুও হয়তো বেলুন ফুটো ছিলো... মনে মনে প্যান্থার কোম্পানিরে গালি দিলাম ৷ আবার বলা শুরু করলাম .. -- এখন কি করবো ব্যব্বি? নিধি - কি আর করবা? হসপিটালে আসো যলদি.. এ্যবরেশন ছাড়া উপায় কি? আমি আর কিছু ভাবলাম না, উঠে কিছু টাকা পয়সা ধার করে চললাম হসপিটালের দিকে ৷ যেতেই দেখলাম নিধি বসে আছে, খুব টেনশনে আছে মেয়েটি মায়া হলো ৷ আমার জন্য মেয়েটি একটি জীবনকে ধংস করতে যাচ্ছে.. ডাক্তার সাব আসতেই ওকে নিয়ে ঢুকলো অটিতে.. আমি বাহিরে অপেক্ষা করছি, খুব ভয় হচ্ছে আমার.. হঠাৎ ডক্টর এসে বললো নিধির রক্ত লাগবে, না হলে তাকে বাচানো যাবেনা ৷ আমি রক্ত খুজতে যাবো ডাক্টার বললো আপনার ব্লাড গ্রুপ O+ না? আমি বললাম হ্যাঁ ৷ ডাক্তার বললো আপনি পারবেন রক্ত দিতে ৷ কিন্তু আমার ব্লাড গ্রুপ নিধির ব্লাড গ্রুপ এক না৷ ডাক্তার বললো আপনি সবাইকে রক্ত দিতে পারবেন, আপনি সর্বজনিন দাতা.. সাঁত-পাঁচ না ভেবে আমি ঢুকলাম রক্ত দিতে
By kolpobazz
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো ০১ নিধির কল এল, ধরতেই -- কুত্তা হারামজাদা, লম্পট, জানোয়ার..!! -- কি হয়েছে ব্যব্বি? তুমি বোকছো কেন? -- শুয়োর, তোরে বলছিলাম ******না.. লুইচ্চা, বেজন্মা, এখন আমার কি হবে..!! -- কি বলো? আমি-তো ভিতরে ফালাইনি.. -- ফালাইসোস, নাইলে আমার পেটে বাচ্চা আইলো ক্যমনে? তুই-তো আর স্বপ্নে দিয়া যাস নাই.. ঢোক গিললাম, হতেও পারে স্বপ্নে ওরে কতবার **** তার হিসাব নাই.. আর শেষ বার যদিও বেলুন ইউজ করছি, তবুও হয়তো বেলুন ফুটো ছিলো... মনে মনে প্যান্থার কোম্পানিরে গালি দিলাম ৷ আবার বলা শুরু করলাম .. -- এখন কি করবো ব্যব্বি? নিধি - কি আর করবা? হসপিটালে আসো যলদি.. এ্যবরেশন ছাড়া উপায় কি? আমি আর কিছু ভাবলাম না, উঠে কিছু টাকা পয়সা ধার করে চললাম হসপিটালের দিকে ৷ যেতেই দেখলাম নিধি বসে আছে, খুব টেনশনে আছে মেয়েটি মায়া হলো ৷ আমার জন্য মেয়েটি একটি জীবনকে ধংস করতে যাচ্ছে.. ডাক্তার সাব আসতেই ওকে নিয়ে ঢুকলো অটিতে.. আমি বাহিরে অপেক্ষা করছি, খুব ভয় হচ্ছে আমার.. হঠাৎ ডক্টর এসে বললো নিধির রক্ত লাগবে, না হলে তাকে বাচানো যাবেনা ৷ আমি রক্ত খুজতে যাবো ডাক্টার বললো আপনার ব্লাড গ্রুপ O+ না? আমি বললাম হ্যাঁ ৷ ডাক্তার বললো আপনি পারবেন রক্ত দিতে ৷ কিন্তু আমার ব্লাড গ্রুপ নিধির ব্লাড গ্রুপ এক না৷ ডাক্তার বললো আপনি সবাইকে রক্ত দিতে পারবেন, আপনি সর্বজনিন দাতা.. সাঁত-পাঁচ না ভেবে আমি ঢুকলাম রক্ত দিতে
By kolpobazz
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো ০১ নিধির কল এল, ধরতেই -- কুত্তা হারামজাদা, লম্পট, জানোয়ার..!! -- কি হয়েছে ব্যব্বি? তুমি বোকছো কেন? -- শুয়োর, তোরে বলছিলাম ******না.. লুইচ্চা, বেজন্মা, এখন আমার কি হবে..!! -- কি বলো? আমি-তো ভিতরে ফালাইনি.. -- ফালাইসোস, নাইলে আমার পেটে বাচ্চা আইলো ক্যমনে? তুই-তো আর স্বপ্নে দিয়া যাস নাই.. ঢোক গিললাম, হতেও পারে স্বপ্নে ওরে কতবার **** তার হিসাব নাই.. আর শেষ বার যদিও বেলুন ইউজ করছি, তবুও হয়তো বেলুন ফুটো ছিলো... মনে মনে প্যান্থার কোম্পানিরে গালি দিলাম ৷ আবার বলা শুরু করলাম .. -- এখন কি করবো ব্যব্বি? নিধি - কি আর করবা? হসপিটালে আসো যলদি.. এ্যবরেশন ছাড়া উপায় কি? আমি আর কিছু ভাবলাম না, উঠে কিছু টাকা পয়সা ধার করে চললাম হসপিটালের দিকে ৷ যেতেই দেখলাম নিধি বসে আছে, খুব টেনশনে আছে মেয়েটি মায়া হলো ৷ আমার জন্য মেয়েটি একটি জীবনকে ধংস করতে যাচ্ছে.. ডাক্তার সাব আসতেই ওকে নিয়ে ঢুকলো অটিতে.. আমি বাহিরে অপেক্ষা করছি, খুব ভয় হচ্ছে আমার.. হঠাৎ ডক্টর এসে বললো নিধির রক্ত লাগবে, না হলে তাকে বাচানো যাবেনা ৷ আমি রক্ত খুজতে যাবো ডাক্টার বললো আপনার ব্লাড গ্রুপ O+ না? আমি বললাম হ্যাঁ ৷ ডাক্তার বললো আপনি পারবেন রক্ত দিতে ৷ কিন্তু আমার ব্লাড গ্রুপ নিধির ব্লাড গ্রুপ এক না৷ ডাক্তার বললো আপনি সবাইকে রক্ত দিতে পারবেন, আপনি সর্বজনিন দাতা.. সাঁত-পাঁচ না ভেবে আমি ঢুকলাম রক্ত দিতে,
By kolpobazz
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪২ অনুশোচনার মৃত্যু #সাইকো নিধির কল এল, ধরতেই -- কুত্তা হারামজাদা, লম্পট, জানোয়ার..!! -- কি হয়েছে ব্যব্বি? তুমি বোকছো কেন? -- শুয়োর, তোরে বলছিলাম ******না.. লুইচ্চা, বেজন্মা, এখন আমার কি হবে..!! -- কি বলো? আমি-তো ভিতরে ফালাইনি.. -- ফালাইসোস, নাইলে আমার পেটে বাচ্চা আইলো ক্যমনে? তুই-তো আর স্বপ্নে দিয়া যাস নাই.. ঢোক গিললাম, হতেও পারে স্বপ্নে ওরে কতবার **** তার হিসাব নাই.. আর শেষ বার যদিও বেলুন ইউজ করছি, তবুও হয়তো বেলুন ফুটো ছিলো... মনে মনে প্যান্থার কোম্পানিরে গালি দিলাম ৷ আবার বলা শুরু করলাম .. -- এখন কি করবো ব্যব্বি? নিধি - কি আর করবা? হসপিটালে আসো যলদি.. এ্যবরেশন ছাড়া উপায় কি? আমি আর কিছু ভাবলাম না, উঠে কিছু টাকা পয়সা ধার করে চললাম হসপিটালের দিকে ৷ যেতেই দেখলাম নিধি বসে আছে, খুব টেনশনে আছে মেয়েটি মায়া হলো ৷ আমার জন্য মেয়েটি একটি জীবনকে ধংস করতে যাচ্ছে.. ডাক্তার সাব আসতেই ওকে নিয়ে ঢুকলো অটিতে.. আমি বাহিরে অপেক্ষা করছি, খুব ভয় হচ্ছে আমার.. হঠাৎ ডক্টর এসে বললো নিধির রক্ত লাগবে, না হলে তাকে বাচানো যাবেনা ৷ আমি রক্ত খুজতে যাবো ডাক্টার বললো আপনার ব্লাড গ্রুপ O+ না? আমি বললাম হ্যাঁ ৷ ডাক্তার বললো আপনি পারবেন রক্ত দিতে ৷ কিন্তু আমার ব্লাড গ্রুপ নিধির ব্লাড গ্রুপ এক না৷ ডাক্তার বললো আপনি সবাইকে রক্ত দিতে পারবেন, আপনি সর্বজনিন দাতা.. সাঁত-পাঁচ না ভেবে আমি ঢুকলাম রক্ত দিতে, ০২ ডাক্তার সাব ইনজেকশন বানাচ্ছেন আমি বসে আছি , কিন্ত খেয়াল করলাম তিনি প্যথেড্রিন রেডি করছেন , ওষুধ বিসয়ে কিছু জানা ছিল বিধায় বুঝতে পারলাম কোন গণ্ডগোল হতে জাচ্ছে । তাই আমি সাত পাচ না ভেবেই ডাক্তার সাব কে বললাম আচ্ছা ডাক্তার সাব রক্ত নিতে কি অজ্ঞান করতে হয় , কি চলছে এখানে । বলেই পকেট থকে চাকুটা বের করে বললাম । চাকু দেখে তিনি ভয় পেয়ে বললেন দেখুন আমার কোন দোষ নেই । অই নিধি ই সব করতে বলছে । ওর নাকি আইফন দরকার কিন্ত আপনি দিচ্ছেন না তাই বল্ল কিডনি নিতে । ডাক্তারের কথা শুনে আমি তব্দা খেয়ে গেলাম। মাথা কাজ করছে না। ইস যদি এখন না বুঝতে পারতাম কি হত তাহলে। মাথার রক্ত গরম হয়ে ফুটছে , আমার সাথে চালাকি , দারাও বেব্বি দেখাচ্ছি মজা । ডক্টরকে বললাম এখন আমি জা বলব আপনি তাই করবেন । উলটা পালটা হলে খবর আছে। বলেই ছুটে গেলাম নিধির কাছে। নিধি আমাকে দেখে ঝটকা খেল ।হয়ত মনে মনে ভাবছে সালা এখন ও ড্যং ড্যং করে হেটে বেরাচ্ছে। কিছুখন বাদে বল্ল তুমি এখন ও রক্ত দাওনি । তুমি কি চাও আমি মরে যাই । আমি বললাম না বেব্বি , তা হবে কেন । আসলে হইছে কি তোমার রক্তের একটু স্যম্পল লাগবে তাই ডক্টর তোমাকে ডাকছে । সে বল্ল দেখ আমি নড়তে পারছি না । আমাকে কোলে তুল না ও । আমিও তাহার কথামত ভদ্র বফের মত তাকে কোলে নিয়ে বেডে শুয়ালাম । ডক্টর কে বললাম আপনি স্যম্পল নিন। ডক্টর কথামত তাহার কাজ কমপ্লিট করল । ০৩ নতুন আইফোন এক্সটা মাত্র কিনলাম । দেখতে হেব্বি , একেবারে নিধির মত হট । ওহ নিধির কথা মনে পরতেই ছুটে গেলাম পশ্চিম পারার ডাস্টবিন্টার কাছে। ময়লার গন্ধে দাঁড়ানো জাচ্ছে না এখানে কিন্ত বেচারি সানন্দে এখনও ঘুমাচ্ছে । হয়ত ঘুমের মদ্ধেও আইফোন এর স্বপ্ন দেখছে। কারন বোঝা জাচ্ছে স্বপ্নটা মজার , চেহারায় তার ছাপ ফুটে উঠছে । হালকা পানি ছিটালাম নিধির মুখে। জেগে উঠল সে, উঠেই অবাক দৃষ্টিতে এদিক অদিক করছে। হয়ত বুঝতে পারছে না জান্নাত নাকি জাহান্নামে আছে সে। আর যখন বুঝতে পারল ওয়াক করে বমি করা শুরু করল। আর বমির সাথে বেড়িয়ে আসতে লাগল রক্ত । রক্ত দেখে ভয়ে কথা বলতে পারছে না মেয়েটা । দেখে মায়া লাগবে যে কারোর ই । তবে আমার লাগছে না। মনের মধ্যে খুব শান্তি লাগছে এক কথায়। একচল্লিশটা খুন করার পর হয়ত এম্নিতে ও কারো মনে মায়া থাকে না। নিধি বিয়াল্লিশ নম্বরে আছে । এইসব কথা যখন ভাবছি দেখলাম নিধি কথা বলতে চাইছে । কিন্ত ফিস ফিস করা ছাড়া আর আওয়াজ বের হচ্ছে না। আমি তার কথা শুনতে তার কানের কাছে মুখ নিলাম। অস্পষ্ট জা শুনতে পেলাম তা হল " জানোয়ার , কি করছিস তুই আমার সাথে।" তোকে আল্লাহ ক্ষমা করবে না বলে দিলাম আমার সাথে খ্রাপ কিছু করলে।আর তুই আমায় এখানে রাখছিস কেন , অই কুত্তা , বজ্জাত । আমি বললাম বেশি কিছুনা বেব্বি । শুধু তোমার কিডনি নিয়েছি । হয়ত তুমি আর বাচবা না তবে তোমার স্বপ্ন আমি পুরন করে দিচ্ছি । এই যে দেখ আইফোন এক্স ।যেহেতু আজ থেকে তুমিও আমার এক্স হবা। তাই এটাই কিনলাম তোমার জন্য । এই নাও তোমার ফোন আর এই যে ক্যমেরা এনে দিলাম সুন্দর করে একটা পিক তুলে আমাকে সেন্ড কর , আমি না হয় তোমাকে ট্যগ করে পোস্ট দিয়ে দিব । নিধি কাদছে।হয়ত ভুল বুঝতে পেরে। হয়ত বা আইফোন পাবার খুশিতে। শুনেছি মেয়েরা ঙ্কি খুশিতেও কাদে। কি জানি ওসব ভাবতে ইচ্ছে করছে না । মেয়েটার এক হাতে আইফোন আর এক হাত দিয়ে কোমর চেপে শুয়ে আছে । উঠতে পারছে না। হয়ত গালি দিচ্ছে এখন ও আমায় । কিন্ত তাতে কি আমার ওতে কিছু আসে যায় না। মেয়েটার ঠোট কাপছে । হয়ত আবার কিছু বলতে চাচ্ছে । আমি আবার কানের কাছে মুখ নিলাম । সে বলছে পানি পানি। পকেট থেকে পানির বোতলটা বের করলাম , নিজ হাতে পানি খাওয়াচ্ছি নিধিকে ।আগে ও তাকে এমন করে অনেক খাইয়েছি । তবে আজকের আর তখনকার মধ্যে অনেক তফাৎ । পানি খেয়েই মেয়েটা আবার ঘুমিয়ে পরল । সন্ধ্যে হয়ে জাচ্ছে । নীল আকাশ ধারন করছে কালো বর্ণ । আর অইদিকে নিধির সাদা শরিরে জমাট বাধছে নীল রক্ত। আমি ডাইরিটা খুললাম , নীল কালি দিয়ে নিধি নামটাকে আন্ডারলাইন করলাম । নিচে লিখলাম অনুশোচনার মৃত্যু । #সাইকো rpst bt edited
By kolpobazz
Saturday, March 9, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ০১ (পর্বঃ০১) #সাইকো তখন আমি খুব ছোট । সবে মাত্র ক্লাস ফোর কি ফাইভ এ পড়ি । ক্লাসে খুব একটা না পারলে ও খারাপ ছিলাম না। তবে কেন জানি ক্লাসের মেয়েদের ঝোঁকটা কেবল আমার ওপর ই ছিল । কিন্ত তাদের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র ও আগ্রহ ছিল না। আমার আগ্রহের বিসয়বস্তু ছিল অন্যরকম । এই যেমন সবাই যখন মাঠে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকত , আমি তখন বেরিয়ে পরতাম নতুন কোন শিকারের খোজে । হয়ত কোন পাখি ধরে জ্যন্ত চামড়া ছারিয়ে তাতে লবন মরিচ দিয়ে দিতাম ।পাখিটা মারা জাবার আগ পর্যন্ত ছটফট করত , আর আমার কেন জানি মনের ভেতর খুশি লাগত।একবার এমন পাশের বাসার বিড়ালটা যখন আমার মাছে টুক্রাটায় হানা দিল,প্রতিজ্ঞা করেছিলাম একে তিল তিল করে কষ্ট না দেয়া পর্যন্ত আর ভাত খাব না। বেশি কষ্ট করতে হয়নি । পরদিন ই শায়েস্তা করেছিলাম শুয়োরটাকে । কত বড় সাহস আমার প্লেট থেকে মাছ নেয়া। চুরি করায় পটু হলে ও সালা আসলে ছিল ছাগল একটা । মাথায় বুদ্ধি সুদ্ধি কিছুই নেই । একটা মাছএর লোভ দেখাআতেই কিছু না ভেবে আমার পেতে রাখা মাছ ধরার কারেন্ট জালের মধ্যে ঢুকে পরল । দেরি করিনি এক্টুও । সোজা বারি বসিয়ে দিয়েছিলাম মাথার উপর । বারি খেয়ে লাট্টুর মত কতখন ঘুরে ফিরে যখন ঠাণ্ডা হয়ে গেল আমি তাহাকে নিয়ে একটা তক্তায় শোয়ালাম । চার পায়ে চারটা পেরেক মারলাম।বেচারা একটু ও শব্দ করেনি।হয়ত আগের বারির শকেই সালা বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল । পেরেক মেরে বাসা থেকে আনা কেরোসিন তার গায়ে ঢাললাম ।সালা তখন ও চোখ মেলে টিপ টিপ[ করে তাকাচ্ছে কিন্ত কিছু বলতে পারছে না।কেরোসিন লাগিয়ে একটা গাছের সঙ্গে উলটা করে বাদলাম । এরপর দিলাম তার গায়ে আগুন লাগিয়ে । আগুন জ্বলছে । আস্তে আস্তে আগুন ছরিয়ে পরছে পুরো গায়ে। বিড়ালটা চি চি করছে । হয়ত বলছে ভাই ভুল হইছে । ক্ষমা করে দেন। কিন্ত কি করব তখন ক্ষমা চেয়ে কি লাভ।তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে । বাতাসে ঘুরছে বেধে রাখা তক্তাটা । আস্তে আস্তে আগুন বারছে । চি চি শব্দটাও আর শোনা জাচ্ছে না ।আহ পথের একটা কাটা দূর হল ভেবেই শান্তি লাগছে। নাহ সন্ধে হয়ে জাচ্ছে বাড়ি জেতে হবে ভাবতে ভাবতে বাড়ির দিকে হাটা ধরলাম আর ভাবতে লাগ্লাম আজকে একটা জম্পেস ঘুম হবে ।
By kolpobazz
Friday, March 8, 2019
নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪৩ #সাইকো মেয়েটা গর্বিত ভঙ্গিতে বললো, ‘এখন পর্যন্ত আমার জন্য তেরোজন ছেলে সুইসাইড করেছে। তার মধ্যে আবার দুইজন ভার্সিটি পড়ুয়া আর একজন ডাক্তার।’ এই কথা শুনে আমার ঠিক কোন ধরনের রিয়্যাকশন দেয়া উচিত আমি বুঝতে পারলাম না। হাসবো, দুঃখ পাবো, নাকি অবাক হবো? আমি অবিশ্বাসের ভঙ্গি করে বললাম, ‘সিরিয়াসলি? এতোজন ছেলে?’ মেয়েটা কিছুক্ষণ চুপ করে আমার দিকে চেয়ে রইলো। তারপর ব্যাগ থেকে ডায়েরী মতো কিছু একটা বের করে খুলে আমার সামনে রেখে বললো, দেখেন। আমি দেখলাম একটা লিস্ট। এক থেকে তেরো পর্যন্ত তেরোজনের নাম লেখা। আমি চোখ বুলালাম। লিস্টের এক নাম্বার নাম, আসিফ ইকবাল। পাশে লেখা, সুইসাইডের কারন- ‘তিনমাস প্রেম করার পর ছ্যাকা।’ তার পাশে লেখা, সুইসাইডের মাধ্যম- ‘ঘুমের ঔষধ খেয়ে মৃত্যু।’ লিস্টের দুই নাম্বারে, সঞ্জয় সরকার। সুইসাইডের কারণ, ‘হিন্দু বলে কয়েকমাস ঘুরিয়ে তার প্রেমে শেষ অবধি সাড়া না দেয়া।’ সুইসাইডের মাধ্যম- ‘গলায় দড়ি।’ এইভাবে মোট তেরজনের ব্যাপারে সুন্দরভাবে বিস্তারিত লিখে রাখা। মাঝে আট আর এগারো নাম্বার নীল কালিতে লেখা, তের নাম্বার লেখা সবুজ কালিতে। আমি প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে চাইতেই মেয়েটা বললো, নীল কালিতে লেখা দুজন ভার্সিটি পড়ুয়া। একজন ডিইউ আরেকজন চিটাগাং ইউনি। আর সবুজ কালিতে যে জনের নাম লেখা সে ডাক্তার ছিলো। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের। তারপর একটু আফসোস করে বললো, বুয়েট আর কুয়েটের দুইজনও আমার জন্য এটেম্পট করেছিলো কিন্তু শেষপর্যন্ত বেঁচে যায়। বুয়েটের জন তো চারতলা থেকে লাফ দিয়ে টানা তিনদিন আইসিইউতে ছিল। ডাক্তার বলেছে তার বেঁচে ফেরাটা মিরাকল। ইস! ০২ আমি ভালোভাবে মেয়েটার দিকে চাইলাম। রেস্টুরেন্টের মৃদু আলোতেও বেশ স্পষ্ট টের পাওয়া যাচ্ছে। অনিন্দ্য সুন্দরী। এরকম কোনো মেয়েকে দেখেই বুঝি কবি বলেছিলেন, ‘মুনিগণ ধ্যান ভাঙি দেয় পদে তপস্যার ফল।’ মেয়েটার সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে। আমার লেখা গল্পের নাকি খুব ফ্যান ও। একদিন রাতে ইনবক্সে নক করে বলে, আমাকে একটা ইন্টারেস্টিং গল্প শোনাতে চায়। মেসেঞ্জারে বা ফোনে না, সামনাসামনি। প্রোপিকে ডল পুতুল আর কভারে লতাপাতার ছবি দেয়া প্রায় ফেক আইডির মতো কারো এই টাইপ আহবানে সাড়া দেয়ার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিলোনা। আমি না বলে দেই সরাসরি। মেয়েটা তখন মেসেঞ্জারে একটা ভয়েস এসএমএস পাঠায়। মেয়েলী কন্ঠের অনুরোধ, ‘সোহাইল প্লিজ, আমার সাথে একটা বার দেখা করেন। প্লিজ প্লিজ প্লিজ।’ আমি কন্ঠ শুনে টানা বিশ মিনিট সোজা বাংলায় যাকে বলে তব্দা খেয়ে বসে থাকি। এতো সুন্দর, আইমিন এতো এতো সুন্দর কন্ঠ একটা মানুষের কিভাবে হতে পারে? উফ! যেকোনো বিখ্যাত গায়িকা এই মেয়ের কাছে জাস্ট ডালভাত। আমি তখনই সিদ্ধান্ত নেই এই অদ্ভুত সুন্দর কন্ঠের মালকীনকে যেভাবেই হোক সামনাসামনি দেখতেই হবে আমার। আর আজ তার গল্প শুনতে এসে মেয়েটাকে দেখে আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসলো। বুকের মধ্যে এতো জোরে জোরে ধুকপুক শব্দ শুরু হলো যে আমি ভয়ই পেয়ে গেলাম রেস্টুরেন্টের মানুষজন বাইর থেকে আমার হৃদযন্ত্রের ধুকপুকানি শুনে না ফেলে। শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়া গলা ভেজাতে এক চুমুকে সামনে রাখা গ্লাসের পানি শেষ করে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আমি মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেছি। ০৩ মেয়েটা বলে আর কতক্ষণ চালাবো এবারে একটা নাম দেই। আসলা নামটা বলা যাবেনা, তাই একটা ফেক নাম দিয়ে দেই গল্প এগিয়ে নেয়ার খাতিরে। আচ্ছা ধরি ওর নাম তৃষা। আমাকে চুপ করে থাকা দেখে তৃষা বললো, ‘আপনি কিছু ভাবছেন?’ ওর কথায় বাস্তবে ফিরলাম। আমতা আমতা করে বললাম, ‘তোমার গল্পটা বললা না তো। কি গল্প যেন শুনাতে চাইছিলা।’ হ্যা, হ্যা, তৃষা ভুলে গেছিলো এখন মনে পড়েছে টাইপ ভঙ্গি করে হাসলো। হাসি দেখে আমার হার্ট অলমোস্ট আরো কয়েকটা বিট মিস করলো। তৃষা বললো, ‘গল্পটা আসলে লাস্ট যে ছেলে সুইসাইড করেছে আমার জন্য তাকে নিয়ে। ঐ যে বললাম না ডাক্তার যে জন। নাম রাফি আহমেদ। ওর সাথে আমার পরিচয় হয় একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে। আমার কাজিনরা ওকে দেখে কানাঘুষা করছিলো। ছেলেটা ডাক্তার, তার উপরে খুবই হ্যান্ডসাম, সব মেয়েদের ক্রাশ, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি ওদের কথা শুনেই ঠিক করে ফেলি রাফি নেক্সট টার্গেট। কারন আমার অনেকদিনের স্বপ্ন কোনো ডাক্তার ছেলেকে ফাঁসানো। ডাক্তার ছেলে ছাড়া আমার লিস্টটা কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগছিলো। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে এরকম অনেককেই সুইসাইডের চেষ্টা পর্যন্ত তো অন্তত নিতে পেরেছি, কিন্তু এখন অবধি কোনো ডাক্তারের সাথেই আমার প্রেম করা হয়নি। হ্যা, আপনাকে বলে রাখি যে আমি নিজে একজন মেডিকেল পড়ুয়া। সুতরাং ডাক্তার ছেলে বিহীন আমার লিস্টটা থাকা আমার জন্য অপমানেরও বটে। তো যেই ভাবা সেই কাজ, আমি কাজিনকে বলি ছেলেটার সাথে আমার যেন পরিচয় করিয়ে দেয়। কাজিন রাজি হয়। রাফিকে ডেকে এনে আমার সাথে পরিচয় করায়। আমিও ডাক্তারি পড়ছি শুনে খুব ইমপ্রেস হয়ে যায় ও। আমরা ঘন্টাখানেক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করে ফিরে যাওয়ার সময় একে অন্যের ফোন নাম্বার নিয়ে রাখি। ০৪ পরদিন রাতে কল দেয় রাফি। তার পরদিন আবার। তার পরদিন আবার। ঠিক দুইসপ্তাহ হর আমাকে প্রপোজ করে ছেলেটা। আমি ভেবেছিলাম এক সপ্তাহতেই কাজ হবে। কিন্তু আমার ধারনা ভুল প্রমাণিত হওয়ায় আমার ভীষণ রাগ হয়। আমি ঠিক করি, আমাকে এতোদিন ঘুরানোর জন্য কঠিন প্রতিশোধ নিবো। সুইসাইড করাবো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। অন্যদের মতো দীর্ঘদিন অপেক্ষা করবো না। সেইমত আমি একটা প্লান ঠিক করি। তারপর ওর প্রপোজ একসেপ্ট করি। পরবর্তী দশদিন আমরা টানা পাগলের মতন প্রেম করি। পুরা সখি ধর ধর অবস্থা। গল্পের মাঝে তৃষা হাসে হি হি করে। হাসি থামিয়ে বলতে থাকে, আমি এমন ভাব করি যেন এক মুহুর্ত ওকে ছাড়া থাকতে পারিনা টাইপ। একটু পর পর ফোন দেয়া, ডেইলি ওর হোস্টেলের সামনে এসে দাঁড়ায়ে থাকা, ওকে বাসা থেকে রান্না করে নিয়ে গিয়ে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি যখন বুঝতে পারলাম ছেলেটা আমার প্রেমে পাগলপ্রায় তখন ঠিক দশদিন পর ওকে বলি তুমি আজ এক্ষুণি আমাকে বিয়ে করবা। আমি তোমাকে আমার ভেতরে ধারণ করতে চাই। কিন্তু ইউ নো, বিয়ে ছাড়া শারিরীক সম্পর্ক হারাম। সো তুমি আজই বিয়ে করবা আমাকে কাজি অফিসে। রাফি আমতা আমতা করে। বলে, ‘বিয়ে করলে খাওয়াবো কি? আমাদের ফ্যামিলি কি বলবে? হ্যান ত্যান।’ আমি সমাধান দেই। দেখ, আমরা বিয়ে করে রাখবো কিন্তু কাউকে বলবো না। মাঝে মাঝে একসাথে রাতে থাকবো শুধু। দুজনই যেহেতু হোস্টেলে থাকি সেহেতু প্রবলেম হবে না। তারপর কয়েক বছর পর আমাদের লেখাপড়া শেষ হলে ফ্যামিলিকে সব জানাবো। রাফি খুশি হয়ে রাজি হয়। আমরা সেদিনই কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করি। রাতে একটা হোটেলে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে কাবিননামা দেখিয়ে রুম ভাড়া করি। আমাদের বাসর হয় হোটেল কক্ষে। ফিজিকাল রিলেশন করি আমি আর রাফি। ‘হোয়াট! এইবার আমি ছোটখাটো একটা চিৎকার দেই। তুমি সিরিয়াসলি ওর সাথে সেক্স করেছিলে?’ ‘হ্যা, করেছিলাম। এগুলো নিয়ে আমার তেমন কোনো এলার্জী নেই। আগেও বহুবার করেছি। তুমি গল্প শুনো।’ আমি লক্ষ্য করলাম সে আমাকে আপনি থেকে তুমিতে নামিয়ে এনেছে। আমি গল্প শুনতে আগ্রহী ছিলাম। চোখমুখ শক্ত করে বললাম, ‘তারপর কি হলো বলো।’ ‘তারপরের গল্প খুব বেশি না। পরদিন সকালে আমি হোটেল থেকে চলে আসি। দুইদিন ওর সাথে কোনো যোগাযোগ রাখিনা। ও প্রায় পাগল হয়ে যায় আমার কোনো খোজ না পেয়ে। তৃতীয় দিন আমি ওকে বলি আমার ডিভোর্স চাই। কারণ হিসাবে বলি, তুমি শারীরিক ভাবে অক্ষম। আমাকে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারোনি। তোমার সাথে সম্পর্ক রাখা সম্ভব না।’ ০৫ ইউ নো, তোমার জানার কথা একটা ছেলের কাছে এই জিনিস কতটা অপমানের। রাফি উত্তরে কিছুই বলতে পারেনা। চুপচাপ চলে যায় সামনে থেকে। পুরোপুরি ভেঙে পড়ে ও। ড্রাগ নেয়া শুরু করে। আমি তখন ওকে আরো জ্বালিয়ে দিতে দুইদিন পরই অন্য এক ছেলের সাথে রিলেশনে যাই। ফেসবুকে ইন এ রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেই। আমাদের কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ওকে পাঠাই। বলি তুমি যেটা পারোনি এই ছেলে সেটা আমাকে নিয়মিত দিতে পারছে। রাফি আর সহ্য করতে পারেনা। প্রচন্ড ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আমি ওকে আরো নানাভাবে অপমান করতে থাকি। মেসেজ দেই, আজ আমার বাবু পুরো বিশ মিনিট করেছে। আর তুমি তো ছিলে পুরুষত্বহীন। ভাগ্যিস তোমাকে ছেড়েছিলাম টাইম মতো। ফাইনালি সহ্যের ক্ষমতা বুঝি শেষ হয় ওর। পরদিন ঘুম থেকে উঠে আমি কাঙ্ক্ষিত খবর পাই। তখনই সবুজ কালিতে ডায়েরীর পাতায় লিস্টটা বারো থেকে তের করি। গল্প শেষ করে তৃষা আমার দিকে তাকায়। আমি সামনে রাখা ডায়েরী দেখি। নাম্বার তের, রাফি আহমেদ। বিয়ে, ডিভোর্স, পুরুষত্বহীনতার অপবাদ। ছয়তলার ছাদ থেকে লাফ দেয়া। ০৬ শুরুতেই ধারনা করেছিলাম, এবার শিওর হলাম। তৃষা নামের এই অতি সুন্দরী মেয়েটা একজন সাইকো। কিন্তু আমি তারপরও সিদ্ধান্ত নিলাম প্রেম আমার এর সাথেই করতে হবে। আমার নিজের উপর ভরসা অনেক। এই সাইকো মেয়েকে আমি ঠিক সুস্থ করে তুলবো। আমি তৃষার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি। আসার সময় নাম্বার চাই। ও দেয়। আমিও আমার নাম্বার দিই। তৃষা বাসায় গিয়ে ডায়েরীটা বের করে। লাল কালী দিয়ে বড় বড় করে লেখে, ‘নেক্সট টার্গেট সোহাইল রহমান- একজন লেখক।’ আমি পরদিন ওকে ফোন দিয়ে বিকালে দেখা করতে বলি। রেস্টুরেন্টে আবারো আমার মুখোমুখি তৃষা। আমি কথা বলি, ‘দেখ, আমি খুব স্ট্রেইট কাট একজন মানুষ। যা বলার সরাসরিই বলি। আমি তোমার গল্প শুনেই বুঝেছি তুমি মানসিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু তারপরও আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। আমি আমার লাইফে তোমাকে চাই। সারা জীবনের জন্য। আমি তোমার অতীতের সবকিছু ভুলে যেতে রাজি আছি। তোমার বাকি জীবনের জন্য তুমি আমাকে একমাত্র পুরুষ বানাও, আমি তোমাকে সুস্থ করে তুলবো। আই লাভ ইউ, ডু ইউ লাভ মি? হ্যা অথবা না বলো। যদি হ্যা বলো, তো আমি প্রমিজ করছি তোমার জীবন বদলে দেব একদম। তোমার জন্য আর কোনোদিন কোনো ছেলে সুইসাইড করবে না। তবে, তুমি এটা ভেবেও হ্যা বলতে পারো যে আমি তোমার নেক্সট টার্গেট। সেক্ষেত্রে আমি তোমাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। চলো প্রেম করি। দেখি কে সাকসেসফুল হয়। আমি তোমাকে ঠিক করে ফেলি, নাকি তোমার জন্য আমিই সুইসাইড করি। ধরবা বাজি? লাগবা চ্যালেঞ্জ?’ তৃষা অনেক্ষণ চোখ সরু করে রেখে বলে, ‘লাভ ইউ টু। আমিও আসলে ভালো হয়ে যেতে চাই সোহাইল। প্লিজ হেল্প মি।’ মনে মনে অবশ্য কুৎসিত একটা হাসি দিয়ে বলে, ‘চ্যালেঞ্জ একসেপ্টেড।’ ০৭ তৃষা আমার প্রেমিকা। আমরা এখন বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড। মাত্র চার পাঁচ দিনেই আমি বুঝে ফেলি পাগলের মতো প্রেম বলতে আসলে কি বুঝায়! তৃষা যেন একদম বদলে গেছে। আমাকে একটা রুটিন করে দিয়েছে, যেটা ও আর আমি দুজনই মানবো এখন থেকে। রুটিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আছে, ঠিকমতো খাওয়া আছে, ফেসবুকিং করার জন্য সময় আছে, ওর সাথে কতক্ষণ ফোনে কথা হবে আর কতক্ষণের জন্য দেখা হবে ডেইলি, সেটাও লেখা আছে। আমি রুটিন মেনে চলি। দিনগুলো কাটে স্বপ্নের মতন। তারপর ঠিক এক সপ্তাহ পর তৃষা আমাকে মেসেজ পাঠায়, ‘তোমাকে এক্ষুণি হাগ করতে ইচ্ছা করতেছে আমার। এক্ষুণি এক্ষুণি এক্ষুণি। তুমি ব্যবস্থা করো।’ আমি এক বন্ধুর ফ্লাটের চাবি নিয়ে বন্ধুকে পাঠিয়ে দেই সিনেমা দেখতে। আসতে বলি তৃষাকে। তৃষা আসে। কপট ঢং করে বলে, ‘শুধু হাগ হবে কিন্তু, আর কিচ্ছুনা, ওকে?’ আমি আচ্ছা বলে জড়িয়ে ধরি ওকে। হাগ আস্তে আস্তে কিস অবধি গডায়। কিস সেক্স অবধি। তৃষা আমার পাশে শুয়ে জামা পরতে পরতে বলে, কাজটা তুমি কিন্তু একদম ঠিক করলা না। আমি ভেবেছিলাম ভালো হয়ে যাবো। তোমার জন্য পারলাম না। ফাজিল কোথাকার। আচ্ছা স্যরি, আমি প্রমিজ করি, এই ভুল আর কক্ষণো হবে না। তুমি বসো আমি কফি বানিয়ে আনছি। ক্যাপুচিনো না এক্সপ্রেসো? বাসায় কফি মেকার আছে। তৃষা মুচকি হেসে বলে, ‘আমি ডায়েট করছি। সিম্পিল ব্লাক।’ ব্লাক কফি খেয়ে তৃষা নীল হয়ে যায়। আমি চাদর দিয়ে ওর শরীর ঢেকে নিজের ব্যাগ থেকে ডায়েরী বের করি। নীল কলম বের করে লিখি তেতাল্লিশ। ফারজানা হাসান মিম। সেক্স প্লাস খুন; দুটোই কমপ্লিট। হ্যা, ওর আসল নাম এইটা। আমার মিশন কমপ্লিট, এখন আর ফেক নাম দিয়ে কি হবে। আর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের পার্থক্য নেই, সবার জন্যই আমি নীল ব্যবহার করি। কেন, কে জানে! হয়তো বিষের রঙ নীল এজন্য। অথবা হয়তো কারনটা নীল- বেদনার রঙ বলে! নীল ডায়েরির সব গল্পগুলি এখন থেকে নিয়মিত পোষ্ট করব।
By kolpobazz
Thursday, March 7, 2019
আজ শুক্রবার সবার ছুটি, আজকের রাত টা একটু লম্বা হবে, সকাল টা একটু দেরীতে হবে। অনেক গুলি পছন্দের খাবার থাকবে টেবিলে সাঁজানো। আমি নিশ্চিত আমি যখন পোস্ট টা লিখছি তখন সবার ছুটি হলেও, একটা মানুষের আজীবনে কোনো ছুটি নেই। আজ সে মানুষ টার ছুটি থাকলে, রাত টা আরো ছোট হত, সকাল টা আরো সকালে হত। হ্যা আমি তার কথাই বলছি যে মানুষ টা জেগে উঠে বলেই সবার জীবনে ছুটি আসে। আমি আমার আম্মার কথা বলছি, আমি তোমাদের আম্মার কথা বলছি। আজ মা দিবস না, বিশ্ব নারী দিবস। তবু কেন মায়ের কথা বলছি? আমার কাছে মা দিবস আর নারী দিবস একই মনে হয়। পানি যেমন যত রুপেই দেখ আদতে সে পানি, নারীও তেমন যত রুপে দেখ আদতে সে একজন মা। আজ যে মা, সেও একজন মেয়ে, সেও একজন বউ। মায়েরা মা হয়ে জন্মায় না, মেয়ে হয়েই জন্মায়। এখন যে মেয়েটাকে মেয়ে ভেবে যা খুশি করছ সেই একদিন তোমার সন্তানের জননী হবে। পৃথিবীর অনেক নারী খারাপ হতে পারে কিন্তু মায়েরা কখনো খারাপ হতে পারেনা। প্রতিটা মেয়ের মাঝে একজন মা থাকে, দোষ ত্রুটি সামলে নিয়ে একদিন সে মা হয়ে ঋন মুক্ত হয়ে যায়। সব নারী বেহেশতে যাবেনা, অথচ স্বর্গ সব নারীর পদতলে, যাকে তুমি প্রেমিকা ভেবে ঠকাচ্ছ বা বউ করে পিটাচ্ছ তার দুটি পায়ের নিচে তোমার সন্তানের ঠাঁই! #আচ্ছা নারী দিবস টা নারীদের ইচ্ছা পূরনের দিন হতে পারেনা? আজ তো শুক্রবার ছুটির দিন, আজ যার যার ঘরের নারীদের একটা ইচ্ছা পূরন করা যায়না? কিছু না হোক হাতে এক গুচ্ছ ফুল তুলে দিয়ে বলা যায়না আজ তোমার ছুটি!! crtsy asiq vai
By kolpobazz
Wednesday, March 6, 2019
Tuesday, March 5, 2019
Monday, March 4, 2019
বিশ্বাষঘাতকদের চেনা বড় কঠিন, এরা ভালো মানুষের আবরনে নিজেদের এমন ভাবে আবৃত করে রাখে যেনো ওরা এই দুনিয়ার সব থেকে ইনোসেন্ট। সব কিছুর একটা লিমিট থাকে বাট বেঈমানদের বেঈমানীর কোন লিমিটেশন থাকে না। আর এই বেইমানিটা করবে আপনার সব থেকে কাছের মানুষটাই। আর যখন আপনি তা বুঝতে পারবেন তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে। আপনার হাতে কিছুই করার থাকবে না। #kolpobazz
By kolpobazz
Sunday, March 3, 2019
ফেসবুকে নিউজফিড স্ক্রল করছিলাম এমন সময় ইনবক্সে পকাত করে একটা মেসেজ এর শব্দ হলো।মেসেজ চেক করে দেখি একটা মেয়ে মেসেজ দিয়েছে, ---আমিও আপনাকে ভাবলোবাসি(লজ্জার ইমোজি) মেসেজ টা দেখে সাধারনত আমার খুশিতে গদগদ হওয়ার কথা ছিলো।কারণ আমি জন্ম-জন্মাতরের সিঙ্গেল।কিন্তু আমি মেসেজ টা দেখে কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখালাম না।তার কারণ আজকাল মেয়েরা ইনবক্সে এরকম আমিও ভালোবাসি মেসেজ দিয়ে প্রথমে খুশি করায় তারপর "সরি ভাইয়া ভুল করে আপনার কাছে চলে গেছে" নামক জাতীয় বাক্য শুনিয়ে মন ভেঙে কাঁচের টুকরা বানিয়ে দেয়।তাই আমি শান্তভাবে মেয়েটিকে মেসেজ দিলাম, ---- সমস্যা নেই আপু।আমি জানি এটা ভুলে আমার কাছে চলে এসেছে।আপনার বিএফ কে দেওয়ার কথা ছিলো।কোনো ব্যাপার না।মানুষের দ্বারা ভুল হতেই পারে। ---আরে তুমি এতো লজ্জা পাও কেনো?ইনবক্সে সরাসরি বলতে পারো না তুমি আমাকে ভালোবাসো? ---আপু বুঝতে পেরেছি।আপনার হয়তো বারবার ভুল হচ্ছে।কোনো সমস্যা নেই। ---আচ্ছা শোনো আমরা কিন্তু হানিমুনে সুইজারল্যান্ডে যাবো। এবার আমার টনক নড়ে উঠলো।মনে হচ্ছে মেয়েটি সত্যি সত্যি আমাকেই বলছে।মেয়েটিকে রিপ্লাই দিলাম, ---আপনি কি সিরিয়াসলি আমাকে বলছেন?আপনি ভুলে মেসেজ দেননি তো? ---জানু শোনো আমরা কিন্তু অনেকগুলো বাচ্চা নিবো।তুমি কিন্তু আমাকে অনেক ভালোবাসবা বিয়ের পর। মেসেজটা সিন করতে পারলাম না
By kolpobazz
তিনি বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য। তার ভাষায় ছাত্র জীবন থেকেই তিনি দেশ সেবার লক্ষ্যে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছিলেন, এবং এভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে দেশের সেবা করে আসছেন। পর্যায়ক্রমে-৩ বার পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সে হিসেবে বলাই যায়, দেশ সেবার কাজে তিনি ওতপ্রোত ভাবে কাজ করেছেন। . কিন্তু আদৌ কি তা-ই? . আজ রবিবার সকাল ৭টায় তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে প্রায় মৃত্যুশয্যায় আছেন বলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষনা দেয়। জরুরি ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অতঃপর দেশের সবকটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ সংবাদ প্রচারিত হতে থাকে। অথচ অদ্ভুত এক দৃশ্য প্রতিটি নিউজ পোর্টালের কমেন্ট সেকশানে দৃশ্যত হয়। দেশের সাধারণ জনগন তার মৃত্যু কামনা করে দোয়া করছে, তার জুলুম সমূহের বর্ণনা দিয়ে তার কঠিন মৃত্যু কামনায় দোয়া করছে। একজন মুমূর্ষু রোগীর সুস্থতার জন্য দো’য়া না করে অজস্র মানুষ তার মৃত্যু কামনা করছে, তার অসুস্থতা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছে। . একটাবার চিন্তা করুন তো? জীবনের তিন চতুর্থাংশ যিনি এদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে গেছেন, অথচ তার মৃত্যু কামনায় পুরো দেশ যেন এক হয়ে গেছে! . আপনি কি বুঝতে পারছেন, মানুষটার কর্ম বা আমল এর ব্যাপারে নিজ দেশের মানুষ সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে! এমন একজন ব্যক্তি যদি মারা যান, তবে পুরো জীবনের সমস্ত আমল কি ভেলায় ভেসে গেল না? দেশ সেবার নমূনা মানুষ সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করছে। আমরা কি জানি, এটা কতোটা ভয়ংকর একটি ব্যাপার? এব্যাপারে নিম্নে দু'টি হাদিস উল্লেখ করছি- . হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “কিছু সাহাবা ও রাসূল ﷺ একটি জানাযার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছু সংখ্যক লোক; তারা মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির ভাল গুণাবলী আলোচনা করছিলেন, তখন প্রিয় নবী ﷺ বললেন, (তোমাদের ভাল প্রশংসার দ্বারা) ওয়াজিব হয়ে গেল। অপর আরেকটি জানাযার পাশ দিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে লোকেরা মৃত ব্যক্তিদের মন্দ বিষয়াদি আলোচনা করছিলেন, তখন প্রিয় নবী ﷺ বলেন, (তোমাদের মন্দ আলোচনার দ্বারা) ওয়াজিব হয়ে গেল। হযরত উমর (রা.) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কী চূড়ান্ত বা ওয়াজিব হয়ে গেল? প্রিয় নবী ﷺ বললেন, যে মৃত ব্যক্তিটির (ব্যাপারে) তোমরা ভাল গুণাবলী আলোচনা করেছ, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। আর যে মৃত ব্যক্তির মন্দ আলোচনা করেছ তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেল। কেননা তোমরা জমিনে আল্লাহর সাক্ষী স্বরূপ।” [১] . রাসূল ﷺ বলেন, চার জন ঈমানদার ব্যক্তি যদি একজন মুসলমানকে ভাল ঈমানদার বলে সাক্ষ্য দেয়, তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি (বর্ণনাকারী) জিজ্ঞাসা করলাম, যদি তিনজন হয়? রাসূল ﷺ বললেন, তাহলেও। তারপর জিজ্ঞাসা করলাম, যদি দুই জন সাক্ষ্য দেয়? রাসূল ﷺ বললেন, তাহলেও। বর্ণনাকারী (উমর রা.) বলেন, তারপর একজনের ব্যাপারে আমি আর প্রশ্ন করিনি।” [২] . যেখানে মাত্র চারজন ঈমানদারের সাক্ষ্য আল্লাহ কবুল করে নিবেন, তবে আমরা কি আমাদের আমলের ব্যাপারে সতর্ক হব না? আমাদের মু’য়ামালাত, মু’য়াশারাত, আমানত, ওয়াদা এসব ঠিকাছে তো? আল্লাহর অবাধ্যতা, পাপ-জুলুমে দিন-রাত অতিবাহিত করা এই আমরা কি চিন্তিত, আমাদের মৃত্যুর পর লোকেদের দেয়া সাক্ষ্য নিয়ে? আর এটাই ধ্রুব সত্য; তাই জীবিত অবস্থায় যতোটুকু পারি আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে নিজেদের বিরত রাখি, ভালো আমল, সদকা, পরোপকারে নিজেদের ব্রত রাখি, হয়তো কাল কঠিন কিয়ামাহর দিনে এসবই আমার জান্নাতকে আমার জন্য ওয়াজিব করে দেবে, ইনশা’আল্লাহ। . . ❒ তথ্যসূত্রঃ _________ . [১] সহীহ বুখারী, জানাযা অধ্যায়: হাদিস: ১৩৬৭। সহীহ মুসলিম, জানাযা অধ্যায়: হাদিস : ৯৪৯। [২] সহীহ বুখারী, জানাযা অধ্যায়: হাদিস: ১০৬১। সুনানে নাসায়ী, হাদিস: ১৯৩৪। ▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂ সংগৃহীত
By kolpobazz
Friday, March 1, 2019
আমার কপালটাই এমন। দোষ করে একজন। আর সে দোষের দায় এসে পরে আমার উপর। রাগ করে একজনের উপর আর সে রাগ এসে ঝারে আমার উপর। তাকে ব্লক দেয় একজনে আর সে এসে ব্লক দেয় আমাকে। তাকে গালি দেয় একজন আর সে এসে গালি দেয় আমারে। বলতে গেলে আমি এখন রিলিফের চাল ডালের মত হয়ে গেছি। যে পারে নিয়ে নেয়। টিস্যু পেপারের মত হয়ে গেছি জেন। চাইলে ইউজ করে,, সেশে ফেলে দেয়। (চলুক,, চলতে থাকুক,, যে যত আমায় চায় বাজাতে। বাজাতে থাকুক। হয়ত আমি এখন তাদের কাছে,, জং ধরা অই লোহার মত। পিটাতে পিটাতে হয়ত একদিন,, ঠিক ই খাটি হব।) #kolpobazz
By kolpobazz
Thursday, February 28, 2019
আজ রাতে মুত এফ এম এ যা ঘটবে তার প্রিভিউ,,, জানেন রাস্কেল ভাই।। আমার সাথে যে ঘটনা টা ঘটছে তার কারন আজ ও কেউ জানে না। কথা না বলে আমি সোজা গটনায় চলে যাচ্ছি,,, সেদিন ছিল চইত্তির মাসের এক বরশন্মুখর দিন। আমি আমার ফেসবুক দরসন করছিলাম। যদিও ফেবুতে আগে এক ঘন্টা ও থাকতাম না। না থাকতাম মেসেঞ্জারে। তবে অই দুদিন থেকে একটু থাকা হচ্ছিল বেশি। তো আম্মাজান এই পরিবর্তন দেখে বলতেছে "তা বাবা আপ্নে এত কি করতাছেন মোবাইল টা নিয়া। আমি বললাম চ্যট করি চ্যট। " জানেন রাস্কেল ভাই এরপর জা ঘটছিল তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। তা ভাব্লে এখন ও আমার দউর দিতে ইচ্ছে করে। এরপর এরপর পিছন ফিরে দেখি আম্মাজান আমার একটা ঝারু নিয়ে আমার কাছে দউরে আসতেছে আর বলতেছে। খারা দামড়া খারা তর চ্যট আমি ছুডাইতাছি। তর কত্ত বড় সাহস আমার লগে মজা করিস। জানেন রাস্কেল ভাই এটা দেখে আমি এক দউর দিয়েছিলাম কিন্ত তারপর কি ঘটেছিল তা মনে নেই কারন যখন আমার হুস আসে তখন আমি আমাকে আমাদের গোয়াল ঘরের গোবর ফেলার গর্তে আবিস্কার করি। এই ঘটনা এখনও ভাব্লে গা শিউরে ঊঠে। আর অইদিনের আম্মাজানের অই দউরানির কারন আজ ও অজানা ভাই। তো এই ছিল আজকের আমার কাহানি। রাস্কেল ভাই। আগে রাস্কেল ভাইকে নিয়ে অনেক লিখতাম কিন্ত অনেক দিন লেখা হয়ে ওঠেনি। আজ আবার একটু ইচ্ছে হল লিখতে। #kolpobazz
By kolpobazz
Wednesday, February 27, 2019
মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মত সে শব্দ। ♥♥ আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জামগাছের পাতায় সরসর শব্দ হয়।♥♥ সব মিলিয়ে হৃদয় হাহাকার করে ওঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষণ্নতাই না অনুভব করি। হেই মায়াবতী,,, কেমন আছো? 😁😁😁 হয়তবা অনেকটা ভালো! পরিচয় টা বেশি দিনের নয়! খুব অল্প সময়ে হয়ে গেছেন আপনি নিজের চাইতেও আপন একজন ব্যক্তি! ইদানিং একটা জিনিস নোটিস করতেসি যে 'এক মুহূর্ত আপনাকে ছাড়া চলে না'! কেনো সেইটা নিজেরও জানা নেই! যাই হউক! আপনার চোখে কি রয়েছে? এতো মায়া খুজে পাই কেন? এই মায়াগুলো নিয়েই বেচে থাকার স্বপ্ন বুনি! জানি ত এই কাল্পনিকতা কোনোদিন বাস্তবোচিত হবে কিনা!.... না হওয়াটা আমি আমার ব্যর্থতা বলছি না কিন্তু! আবার আপনার কোনো প্রকার দোষের সমতুল্য ও করছি না! কারন ' ভাগ্যে যা আছে তা হবেই! শত চেষ্টা করার পরও সেইটাই হবে' জানেন? খুব ইচ্ছে আপনাকে নিয়ে বৃষ্টি বিলাস দেখবো! বৃষ্টির ফুটার সাথে পায়ে পা মিলিয়ে হাটবো! গ্রীষ্মের কড়া রোদে আপনার ছায়া হয়ে থাকবো! যদি ঘেমে যাই? আচঁল দিয়ে মুছে দিবেন না? আপনি কি জানেন?... কতটুকো ভালোবাসা নিয়ে আপনার কাছে এসেছিলাম? হয়তবা না! জানার প্রয়োজন মনে করেন নি কখনও! ভালোবাসি ত এখনও!... অনেকটা ♥♥♥♥ যাই হউক!... ভালো থাকবেন! আজ এ বৃষ্টি স্নাত দিনে আপনার শূন্যতা অনুভব করছি! এমন কি কখনও হবে না? - ' ছাদে বসে হাতে হাত রেখে জ্যোৎস্নার গান গাইবো! ঠিক তখন মৃদু বাতাসে আপনার চুল গুলোর উড়ে এসে আপনার মায়া মাখা চোখ আর কপাল ঢেকে দিবে! আর আমি আলতো করে সড়িয়ে বলবো! ভালোবাসা বুঝি এমনই হয়? #kolpobazz
By kolpobazz
এই যে,,মায়াবতী,,, তোমাকেই বলছি,, কে বলেছিল তোমাকে আমার এত সযত্নে রাখা হৃদয়টাতে খপ করে ঢুকে পড়তে,,? মেঘলা দিনের বৃষ্টির মত তপ্ত বুকে শীতল পরশ বইয়ে দিতে। হ্যা,তোমাকেই বলছি এতো গোছালো কেন তুমি?? বড্ড বেশী!! ভয়ানক রকম ভালবেসে ফেলেছি তোমায় বুঝতেই পারিনি। এখনতো আমাতে আমার চেয়ে তোমার বেশী অস্তিত্ব। আমার হৃদয়ের সেইখানে তোমার বসবাস যেখানে রক্তের স্রোত তীব্র.. আর আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছ তোমার অনুভূতির মৃদু কম্পনে। এখন আমার সপ্নগুলো তুমি,, আমার হাতের আঙুলের ভাজে রটে যাওয়া হাজারটা কাব্য তুমি। তুমি সেই প্রতিক্ষীত বৃষ্টি যার অপেক্ষায়য় থাকে উষ্নতম শহরটি। তোমারই উষ্নতার আশায় আমি নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি। তোমার সেই..নির্ঘুম রাতের আত্নচিংকার তুমি,,সব কিছুর উর্ধে থাকা সেই চাওয়ার জিনিসটা তুমি। হ্যা ভালোবাসি তোমাকেই,, তোমাকেই ভালবাসি.. তোমার চক্ষুজোড়া যখন আমার চোখে পড়েছিল তখন আমি তোমার চোখে সর্বনাশ দেখিনি,, একরাশ মুগ্ধতা ছাড়া। অনেক খুঁজেছি এই মুগ্ধতা,,কোথাও পাইনি খুঁজে। অন্ধকারেই হোক, তোমাকে অনুভবে যেটুকু পেয়েছি সেটুকুই পাওয়া,,সেসবই পূর্ণতা। তবুও তোমাকে দেখলে মনে হয় আবার শুরু থেকে শুরু করি,, তুমি কি আসলেই আমার সে,,,, নাকি শুধুই মায়াব।।।। #kolpobazz
By kolpobazz
Tuesday, February 26, 2019
Sunday, February 24, 2019
পৃথিবীর অন্যতম দুর্লভ জিনিস হলো ভালোবাসা … আর যাই হোক, ওটা অত সহজে পাওয়া যায় না … হাজার হাজার মানুষের ভীড়েও তোমাকে কেউ একজন ভালোবাসে, ব্যাপারটা মোটেও সস্তা না … কিন্তু সেই মানুষটার প্রতি তোমার কোন অনুভূতি কাজ না করলে, নিশ্চিতভাবেই তার ভালোবাসাকে তোমার কাছে মূল্যহীন মনে হবে !! একমুখী ভালোবাসা বড্ড নিষ্ঠুর … একটা মানুষ দিনের পর দিন্ রাতের পর রাত কাঁদতে থাকে, কিন্তু সেই চোখের পানি অন্য মানুষটাকে একদমই স্পর্শ করে না … একটা মানুষ প্রতিদিন দাঁতে দাঁত চেপে অপেক্ষা করে যায় অন্য মানুষটার জন্য, অন্য মানুষটার কাছে সেই অপেক্ষার কোনই মূল্য থাকে না !! পরিণতি জেনেও কেউ কেউ ভুলতে পারে না, সরতে পারে না, আশা ছাড়তে পারে না … বুকের ভেতর জন্ম নেয়া ভালোবাসাটা একটা নিষ্পাপ শিশুর মত … যত যাই হোক, একবার জন্মে গেলে, তাকে কিছুতেই ফেলে দেয়া যায় না … ফেরত যেতে হবে জেনেও সে তাই বারবার ভালোবাসার মানুষটার দুয়ারে কড়া নাড়তে থাকে !! বড্ড স্বার্থপর মানুষ … সে অন্যের ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে ভালোবাসে … কিন্তু নিজে ভালোবাসা নিয়ে ফেরত যেতে একদমই ভালোবাসে না !! #kolpobazz
By kolpobazz
Saturday, February 23, 2019
Thursday, February 14, 2019
এই শুনো? _হ্যাঁ বলো- _না, কিছু না। _কিছু বলবা? _সাবধানে যাবে কেমন। _আচ্ছা ঠিক আছে। _এই শুনো? _বলো- _বাহিরে অনেক রোদ, প্লিজ ছাতাটা নিয়ে যাও। _আচ্ছা ছাতা নিয়ে আসো। _ওয়েট . একমিনিট পর- _এই নাও ছাতা। _আচ্ছা তাহলে এখন যাই, অফিসের টাইম হয়ে গেছে। _আচ্ছা যাও, কিন্তু? _কিন্তু কি? _আমার হাতে বানানো রুমাল’টা নিয়ে যাও প্লিজ। ক্লান্ত হয়ে ঘামিয়ে গেলে ঘাম গুলো মুছে নিবা। _আচ্ছা দাও। . আবার একমিনিট পর। _এই নাও। _তাহলে যাই আল্লাহ হাফেজ। _আল্লাহ হাফেজ, সাবধানে যাও। _আচ্ছা- _দুপুরে ঠিক টাইমে খাবার খেয়ে নিবা। _আচ্ছা- _বাহিরে একদম কিছু খাবা না। _আচ্ছা ঠিক আছে। _সন্ধ্যা একটু তাড়াতাড়ি আসার চেষ্টা করো প্লিজ। _আচ্ছা ঠিক আছে কাজ শেষ করে চলে আসবো। _যাও তাহলে, _ওকে, _ছাতাটা খুলে মাথার উপরে ধরো না। _আচ্ছা খুলে নিলাম। _যাও তাহলে। _ঠিক আছে, বাই। _একবার ও জড়িয়ে ধরবে না হুমম। _আচ্ছা এ দেখো জড়িয়ে ধরলাম, এখন হ্যাপি তো? _হ্যাঁ অনেক হ্যাপি, যাও তাড়াতাড়ি অফিসে না হয় গাড়ি পাবে না। _অাল্লাহ হাফেজ। . দুপুর ঠিক ১.৩০ মিনিট এর পর- _হ্যালো – _হ্যাঁ হ্যালো – _আসসালামুআলাইকুম। _ওয়ালাইকুমসালাম। _তুমি আমাকে একটু ও ভালোবাসো না হু। _হঠাৎ এ কথা কেন? সত্যি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। _যদি ভালোবাসতা তাহলে সকালে অফিসে গিয়ে মেসেজ করতা। _সরি, আসলে সকালে আসার সাথে সাথে অনেক কাজ করতে হয়েছে। _সত্যি তাই? _হুম- _জোহরের নামাজ অাদায় করছো। _না- _কেন, অাজান’তো দিয়ে দিছে। _হুম, এখন পড়তে যাবো। _তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ে নাও, পরে অামার হাতে বানানো রান্না গুলো খাবা কেমন? _আচ্ছা ঠিক আছে। _আল্লাহ হাফেজ, নামাজ পড়ে নাও। _ওকে। . সত্যি বলতে কি মেয়েরা যাকে মন থেকে ভালোবাসে থাকে এমন করে তার খেয়াল রাখে। ছেলেরা হয়ত মেয়েদের মত এমন করে বলে না, তবে তার প্রিয়তমকে অনেক ভালোবাসে।হয়ত ফোনে বলে না – __আচ্ছা তোমার জন্য আসার সময় কি নিয়ে আসতাম? যদিও এটা বলে না তবে ঠিকে তার প্রিয়তমা বউয়ের জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসে।আর সেগুলো হচ্ছে সে মেয়েটার ফেভারিট জিনিস। ফেভারিট জিনিস গুলোর কথাতো একজনে জানবে আর সে মানুষটি হচ্ছে- →তার সবচেয়ে কাছের মানুষ সবার থেকে প্রিয় তার স্বামী। . সব মেয়েরা কিন্তু চায় তার স্বামী বাহিরে কোথাও যাওয়ার সময় এমন করে বলতে। কিন্তু কেউ কেউ বলে না যদি তার স্বামী বিরক্তবোধ করে, তাই বলে না। তবে আমার মতে এমন করে যখন মেয়েরা বলে, ছেলেরা শুধু উওরে যদি বলে- *আচ্ছা ঠিক আছে। *হুম মনে থাকবে। *না একদম ভুলে যাবো না, ইত্যাদি ইত্যাদি। . তখন কিন্তু মেয়েরা এ কথাগুলো শুনলে সবচেয়ে বেশি খুশি হয় যা কোনো কিছুর সাথে তুলনা করা যাবে না। স্বামী চায় নিজে রাজা না হলেও তার স্ত্রীকে রাণী করে রাখতে তবে সব স্ত্রী রাণী হয়ে থাকতে চায় না। আবার সব স্ত্রী চায় তার স্বামীর কাছে রাণী হয়ে থাকতে তবে সব স্বামী রাণীর মতো রাখতে চায় না। . ছুটির দিনে স্ত্রী আবাদার এই না যে – → আজকে তুমি ফ্রি আছো চলো পার্কে ঘুরাফেরা করবো এরপর বড় কোনো রেস্টুরেন্ট এ খাবো। . ছুটির দিনে স্ত্রী অাবদার হচ্ছে- →আজকে তুমি ফ্রি আছো ফজরের নামাজ পড়ে নিভো নিভো অন্ধকারে তোমার হাত ধরে হাঁটবো। এরপরে দুইজন মিলে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার বানাবো। এমন আবাদার যে মেয়ে করে তারা সত্যি খুব ভাগ্যবতী। আর সে মেয়েগুলোর আবদার ও স্বামীরা রাখে।
By kolpobazz
Wednesday, February 13, 2019
কোন নতুন অভ্যাস গড়ে ঊঠতে নাকি একুশ দিন সময় লাগে। আবার কাউকে ভুলে যেতেও নাকি লাগে একুশ দিন। এটা নাকি প্রমানিত। কিন্ত আমি বুঝতে পারছিনা আমার ক্ষেত্রে এমন কেন হল না। আজ একুশ দিন হল মেয়েটির থেকে দূরে আছি। বলতে গেলে সব কিছুই বন্ধ ছিল। ফেবুতেও আসা হয়নি। বন্ধ মেসেঞ্জারটাও। কিন্ত এখনও তাকে ভুলে যাওয়া তো ভাল,তার চিন্তাই মাথা থেকে নামাতে পারছি না। যদিও মেয়েটাকে আমি ভালবাসিনা। দেখিনিও কোনদিন। তারপর ও কেমন একটা অদ্ভুত মায়া যেন তার কথা ভুলতে দিচ্ছে না। আচ্ছা সে কি মানবি।নাকি? মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে। জানিনা এই পোস্ট টা সে দেখতে পাবে কিনা তবে,,, *সত্যি বলছি, জানি হয়ত কোনদিন আমাদের আর দেখা হবে না কথা হবে না, তবে আমি কোনদিন ভুলতে ও তোমায় পারব না। * ভাল থেক আমার (#কেউ না) #ddctd
By kolpobazz
আজ নাকি ভালবাসা দিবস। সেদিন একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ চোখে পড়ে দোকানের সামনে একটি ব্যানার টাঙ্গানো। দু’টি ছেলে মেয়ে একে অপরকে গভীরভাবে আলিঙ্গন করে কিস করছে। আমি দৃশ্যটা ভালো করে দেখতে পারি না। কেন পারি না। তা জানি না। আমার কেমন জঘন্য লাগে। ব্যানারে নিচের দিকে সারিবদ্ধভাবে কয়েকটি লাইন লিপিবদ্ধ আছে। প্রতিটি লাইনে ফেব্রুয়ারী মাসের কয়েকটি তারিখ আর এই তারিখে কী দিবস তা লেখা। আমি লেখাগুলো হালকা নজরে পড়তে থাকি। এখন পুরোপুরি পড়ছে না। যেটুকু মনে পড়ছে তা অগোছালো। কোন ডে’তে কী তা মনে নেই, তবে নামটুকু মনে আছে। যেমন, হাগ ডে, কিস ডে, প্রপোজ ডে, চকোলেট ডে, রোজ ডে, সর্বোপরি ভ্যালেন্টাইনস ডে এইসব। আমি আপন মনে হাসতে থাকি। দুনিয়ায় কত ধান্ধা বিরাজমান। কেউ রাজনীতির ধান্ধা করছে। কেউ ধার্মিকতার লেবাসে ধান্ধা করছে। কেউ সমাজের উন্নতি, অগ্রগতির জন্য ধান্ধা করছে। তাদেরকে কথাবার্তা শুনলে মনে হবে মানব হয়ে জন্ম গ্রহণ করে মহান সৃষ্টিকর্তার সকল অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলছে। আমার প্রায় পুরোপুরি বিশ্বাস, এই ধান্ধাবাজরা সবচেয়ে সুখে আছে। কারণ, তার যখন যেটা দরকার, ধান্ধায় মশগুল হয়ে যায়। ভালবাসা নিয়ে সবচেয়ে গভীরভাবে গবেষণা করেছে যারা তারা হলো, কবি-সাহিত্যিকরা। এটা আমার ধারণা। আমি টুকটাক সাহিত্য সাধনা করি। এই জন্য কবিতা-উপন্যাস পড়তে হয়। কবিতা-উপন্যাস আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি পড়াশুনা শিখেছি, মানুষের সাথে আচার-আচরণের ভঙ্গিমা শিখেছি, কিছুটা হলেও মনের আবেগ প্রকাশ করতে শিখেছি। সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি শিখেছি, প্রেম-ভালবাসার স্বরূপতা। ভালবাসা আসলেই একটি অপার্থিব বিষয়। যেটা হৃদয়ে ধারণ করে। আমরা ভালবাসাকে ঘোলাটে করে ফেলেছি। একটা নোংরা বস্তুতে পরিণত করেছি। যেটা কাম্য নয়। আমি আমার মাকে ভালবাসি। আমার শ্রদ্ধেয় পিতাকে ভালবাসি। ভাই-বোনকে ভালবাসি। সর্বোপরি একটি সঙ্গীকে ভালবাসি, যার সাথে সারাজীবন সুখে-দুঃখে কাটাব। ভালবসার আসল স্বরূপতা এখানেই নিহিত আছে। এটা সম্পূর্ণ আমার মত। বলা যায়, এই অনুভূতিটা সাহিত্য আমাকে শিখিয়েছে। সোশ্যাল সাইটগুলোতে অনেকে অনেক কিছু লেখে। কেউ ভালবাসা দিবসকে একটি সুন্দর, আনন্দঘন দিন হিসেবে বিবেচিত করে। কেউ এটাকে অত্যন্ত খারাপ, জঘন্য একটি দিন হিসাবে প্রচার করে। আমি কোনটাকে ভাল-মন্দ বলতে পারব না। কেউ যদি খারাপ কাজ করে, সে যেমন পার্কে, কলেজ-ভার্সিটির কোনায় কানায় দিব্যি সবার চোখকে মোটেই পাত্তা না দিয়ে আরামসে করতে পারে তেমনি মসজিদে কিংবা মাদরাসায় বসে নেহায়ত কাবিলিয়্যতের সাথে কাজটা আঞ্জাম করতে পারে। নোংরা মন-মানসিকতাকে স্থান-কাল-ভেদ কেউ কখনো ঠেকাতে পারে নি। হররোজ এইসব কাজ চলছে। ভালবাসা দিবস আলাদা কিছু না। ওরাই করে। হয়তো একটু রঙ-চঙ থাকবে। এই যা। একটি ধর্মের দু’চারজন অনুসারী নিন্দনীয় কাজ করলে ধর্ম খারাপ হয় না। এভাবেও বলা যায়, কোন রাজনৈতিক দলের কিছু সংখ্যক মন্দ কর্মীর জঘন্য কাজকে দলের কাজ হিসেবে বিবেচ্য হয় না। ঠিক তেমনি মানব সমাজের কিছু অসভ্য লোকের অসভ্যতামীর দ্বারা একটি অপার্থিব আনন্দময় বিষয়কে অসভ্যতামী বলা যায় না। ভালবাসা আসলেই একটি মহান বিষয়। যেটা সবার হৃদয়ে ধারণ করে না। সবাইকে মোহিত করে না। যাদেরকে করে শুধু তারাই বুঝতে পারে এটার গভীরতম উচ্ছাস। ভালবাসা বলতে আমরা বুঝি, একটি ছেলে একটি মেয়েকে প্রপোজ করে, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কিংবা ইমু-হোয়াটসঅ্যাপে ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাট করা। নির্ধারিত দিনে পার্কে ঘোরা, রিক্সার হুড তোলে কাছাকাছি বসা। আরেকটু অ্যাডভান্স হলে কিস করা। এভাবে হয়তো অ্যাডভান্সের ধাপটা আরো উপরের দিকে উঠতে থাকে। এটাকে কখনো ভালবাসা বলা যায় না। জগতে সবচেয়ে রহস্যময় জিনিষ হলো, মানুষের মন। বছরের পর বছর একসঙ্গে পাশাপাশি থাকার পরও একজন আরেকজনের মনের গতিবিধি বুঝতে পারে না। এই অসম্ভব কাজটা যে দু’জনের মাঝে সম্ভব হবে তাদেরকে প্রেমিক-প্রেমিকা বলা যায়। আরেকভাবে বলা যায়, তাদের মধ্যখানে যে কারবারটা হয় বা হচ্ছে তা-ই ভালবাসা। বর্তমানে পুরো বিশ্বে যে হারে দিবস প্রবর্তন হচ্ছে। আমার পুরোপুরি বিশ্বাস আরো দু’চার বছর পর দেখা যাবে, প্রতিদিন একটি করে দিবস উদযাপন হচ্ছে। হয়তো এখনই চালু আছে। আমি জানি না। এই দিবসগুলো মানব সমাজকে কতটুকু উপকৃত করছে তা আমার মত অদম মাথা চুলকে চুলকে সব চুল বিনাশ সাধন করলেও মাথা টাক হবে কিন্তু অনুধাবন করতে পারব বলে সাহস করতে পারছি না। #rpst 2017
By kolpobazz
Friday, January 25, 2019
Thursday, January 24, 2019
ভাবতেই অবাক লাগে .........। সবাই শুধু জান্নাতের কথাই ভাবে [মা]। তাকে নিয়ে হাজার হাজার পোস্ট /কবিতা রচনা করে থাকে । কিন্ত মাথার উপর ছায়া দেয়া বট গাছটার কথা অনেকেই ভাবে না [বাবা] । তাকে নিয়ে পোস্ট তো ভাল কাউকে সচরাচর ভাবতে ও দেখা যায়না । অথচ এই মানুষটাই সারাজিবন খেটে ... নিজে না খেয়ে , একটা লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরে সারাজিবন পার করে সন্তানদের বড় করে থাকে । দেখেছি মা মামনি বলে আলহাদে মেয়েদের তাদের মায়ের সাথে জন্মদিন পালন করে পিক আপলোড দিতে । কিন্ত আজ ও দেখিনি কেউ তার বাবার জন্মদিন পালন করে ফেবুতে পোস্ট করেছে । অথচ এই মানুষটাই নাকি তার লাইফের সুপার হিরো । আর এমন কোন ছেলে পাওয়া জা বে না যে বাপের পকেট কাটেনি , কিন্ত সেই বাবা সব জেনে ও কিচ্ছু বলে নি । হয়ত যে টাকা ছেলেটা মেরে দিয়ে তার গফ কে খাওয়াচ্ছে সেই টাকাটা কারেন্ট বিল এর ছিল হয়তবা ছিল আজ বাজারের অথবা অসুধ কেনার । আরে ভাই মা শুধু জন্মই দেয় , কিন্ত তোমাকে বড় করে তোলে অই বাবাই । কি করে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসো তোমরা । কলিজায় কি এক্টুও লাগে না । মহানবি [সা.] বলেছেন, পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি, তার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি। তাহলে কি করে তুমি পিতাকে কষ্টে রেখে জান্নাতের আসা কর। মা দিবসে দেখি সব জায়গায় ঘটা করে আয়োজন করা হয়। টিভি তে ঘটা করে অনুষ্ঠান কত কি করা হয়। কিন্ত বাবা দিবসে তার কানাকড়ি ও দেখা যায়না। খোজ নিয়ে দেখবেন অনেকে বলতেই পারবেনা বাবা দিবস কবে । আর হ্যা এই মানুষটা কিন্ত বেশি কিছু চায়না আপনার কাছে । পারলে দিনে মাত্র একবার তাকে হাশিমুখে জিজ্ঞেস করুন বাবা তুমি চিন্তা করনা ,দেখ একদিন আর তোমাকে কাজ করতে হবে না আমি ই তোমাকে খাওয়াব । বিশ্বাস করুন তার চোখ থেকে তখন অস্রু গরিয়ে পরবে । কষ্টে নয় খুসিতে । পরিশেষে বলি "ভাই /আপু প্লিজ পারলে এই কলুর বলদ বাবার প্রতি একটু খেয়াল রেখ। বৃদ্ধাশ্রমে না রেখে তারে একটু পাশে রেখ " #kolpobazz
By kolpobazz
Wednesday, January 23, 2019
যাকে ভালো লাগে না, তার কোন কিছুই ভালো লাগে না। সে হাসলেও তাকে ডাইনির মত লাগে। কখনো ভুল করে তাকে সুন্দর লাগলেও চিন্তা হয়, নিশ্চয়ই চেহারাটা ফটোশপ দিয়ে এডিট করা!! . আর যাকে ভালো লাগে, কোন কারণ ছাড়াই তার সবকিছুই ভালো লাগে। কাঁদলেও তাকে খারাপ লাগে না, কেমন যেন মায়াবতী লাগে। তার প্রচন্ড রাগ কে সামান্য 'অভিমান' মনে হয়। তার চিৎকার করে বলা কথাগুলোকে 'খুনসুটি' বলে দিব্যি চালিয়ে দেয়া যায়!! . "ভালোলাগা" ব্যাপারটা আসলে পুরোটাই নিজের মনের ব্যাপার। কোন একটা মানুষকে, কোন এক জোড়া চোখকে, কোন একটা কন্ঠস্বর কে সেদিন তোমার তীব্রভাবে ভালো লেগেছিলো আজকে সেই একই মানুষ, একই জোড়া চোখ, একই কন্ঠস্বর কে তোমার অসহ্য লাগছে !! . কারণ মানুষটা আগের মতই আছে, শুধু তোমার মন বদলে গেছে !! খুব সম্ভবত এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বদলে যাওয়া জিনিসটার নাম "মানুষের মন"। পৃথিবীর সমস্ত ভালো লাগার জন্ম হয় ওখানটাতে আবার পৃথিবীর সমস্ত ভালোলাগার সমাধিও হয় ঐ ওখানটাতেই!! #Dedicated Again Repost .. 11/27/17
By kolpobazz
যেই মেয়েটার জন্য ছেলেটা নামাজ পড়া ধরেছিল । ঠিক সেই মেয়েটার জন্যই ছেলেটা আজ গাজা খাওয়া ধরেছে । কারন???? #সময় বদলায় , সাথে বদলে যায় মানুষটাও । আস্তে আস্তে কোন কিছুই আর আগের মত থাকেনা। পুরনো জিনিসে আর রুচি ধরেনা । সবাই শুধু নতুন চায় । আর এর মাঝেই ব্যকডেটেড নামক তকমা লাগা কিছু মানুষ হরহামেশা পিস্ট হয়। #kolpobazz
By kolpobazz
Tuesday, January 22, 2019
কোন একসময় মায়াবতিকে নিয়ে লিখতে খুব ভাল লাগত ...... বলতে গেলে তাকে নিয়ে লিখতে লিখতে হয়ে গিয়েছিল ১০০ এর বেশি পর্ব ...। আজ ইচ্ছে হল আবার তাকে নিয়ে একটু লিখতে । মায়াবতীর স্পর্শ ( ১০১) সদ্য ভেজানো কেশযুগল থেকে যেমন , ঝরে পরছে পবিত্র পানির ফোটা । আমি ও তোমাকে এমনি পবিত্র রুপেই চাই । জানি বাড়াবাড়িটা হয়ত একটু বেশি ই । তাই বলে কি চাইতে পারিনা । যদি ছুতে পাবে না জেনে সবাই চাদকে ভালবাসতে পারে । তবে আমি কএন তোমায় পাবার আশা করতে পারিনা । তুমি তো পর কেউ নও। আল্লাহকে সাক্ষি রেখেই তো আমি তোমায় , আমার করতে চেয়েছি , বলছি আমি , তুমি তাকিয়ে অপলক , চাইলে ও চোখ ফেরাতে পারছি না । তুমি কি মায়াবতি !! শুনেছি , দেখা হয়নি কখন ও । হয়ত মায়াবতিরা এমন ই হয় । কিছু না বলে ও তাদের মন হরন করে নেয় । আচ্ছা কিছু তো বল ্ আর কিছুখন তাকিয়ে থাকলে তো মরেই যাব । এতখনে মুখ খুলল মায়াবতি " ভালবাসেন বুঝি" "একদিনেই এত ভালবাসা" " তা সুধু কি আমার জন্যই " নাকি বিলানো হয়েছে আর ও " মায়াবতির ঠোট কাপছে , জড়িয়ে জাচ্ছে কথা , হয়ত মনে মনে হাসছে আমার কান্ড দেখে , যাই হোক , ছেরে দেবার পাত্র আমি নই। পঁচিশটা বছর কাউকে ঠাই দেইনি অন্তরে , শুধুমাত্র একটা মায়াবতির আশায় , আজ কি করে ছেরে তেই তারে , হাত দুটি ধরলাম মায়াবতির ্, বললাম " আল্লাহকে ভয় করতাম খুব দেখিনি তাই কু নজরে অন্য মেয়ের মুখ , করিনি প্রেম জিবনে । পঁচিশটি বছর পার করেছি ।। শুধুমাত্র একটা মায়াবতির জন্যে । :: একটা প্রাপ্তির রাত........ তারপর তুমি আর আমি ঘুম থেকে জেগে উঠবো। চোখ খুলে স্মিত হাসি তোমার ঠোঁটে, তুমি ভুলেই যাবে পিছনে ফেলে আসা সব গল্প, চায়ের কাপে ভালবাসার পরশ মেখে , হব দুজন ছন্নছাড়া । পৃথিবীর সকল মমতা একসাথে জমিয়ে , ছুয়ে দিব আলতো করে , তোমার নিস্পাপ চিবুকে । হরিণীর মত মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে তুমি । আর আমি গ্রীষ্মের রোদে ক্লান্ত পথিক যেমন পিপাসিত , তেমনি করে দাড়িয়ে তোমার সম্মুখে । এ চাওয়ায় কোন পাপ থাকবে না । থাকবে না কোন মোহ।
By kolpobazz
ভালোবাসা প্রকাশ করার মত কোন ভাষা আজো আবিষ্কার হয়নি, তাই নীরবতাকেই বেছে নিলাম । কতটুকু ভালোবাসি তা প্রকাশ করার জন্য কোন স্কেল আবিস্কার হয়নি, তাই হৃদয় জুড়ে ভালবাসলাম । কেন শুধু তোমাকেই... ভালোবাসি,কারন জানি না বলে কিছু বোলো না, অকারন কে দোষ দিয়ে দিতে পার ।। গতকালের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসি আজ, কাল ভালবাসবো অনেক বেশি আরও । ভুলে যেতে বলেছিলে তোমায়, হুম্মম...এ জীবনে তো আর সম্ভব না, আর একবার জন্ম নিলে চেষ্টা করে দেখতে পারি । যদি প্রশ্ন করো কেন এতোটা ভালোবাসি !!! যা প্রকাশ করার ভাষা ,পরিমাপ করার স্কেল অথবা কোন কারন আজো পাইনি । উত্তর একটাই ..."ভালবাসতে ভালোবাসি.
By kolpobazz
Monday, January 21, 2019
মানুষ বেচে থাকলে বদলায় কিন্তু আজব কথা যেটা মেয়েরা সবসময়ই বদলায় বেচে থাকলে বদলায় সকালে বিকালে বদলায় দিনে রাতে বদলায়নে বদলায় সময়ে অসময়ে বদলায় কারনে অকারনে বদলায় মিনিটে মিনিটে বদলায় ঘুমের ঘরে বদলায় ছেকা খেলে বদলায় ভাব দেখানোর জন্য বদলায় সুন্দরী হলে বদলায় প্রশংসা করলে বদলায় রুপ বদলানো মনে হয় এই প্রাণী টার জন্যই সাজে।
By kolpobazz
যেই ছেলেটা আগে নামাজ তো দুরের কথা মসজিদের পাশ দিয়েও হাঁটত না । আর এখন তাকে পাচ ওয়াক্ত নামাজে সামনের সারিতে পাওয়া যায় । : যেই ছেলেটা পাড়ায় বুক উচু করে হাটত , মেয়েদের দেখলেই যার রক্ত গরম হয়ে যেত । সেই ছেলেটাকে এখন মাথা মাটির দিকে দিয়ে হাটতে দেখা যায় । : কারন বেশি কিছু না । ডক্টর যখন বাচার সম্ভাবনা নেই বলে তাকে বারিতে পাঠিয়ে দিয়েছিল , সে তখন একটা মাত্র প্রার্থনা করেছিল আল্লাহর কাছে। : "আল্লাহ আমাকে একটা সুযোগ দাও , আমি ইনশাল্লহ তোমার রাস্তায় ফিরে আসব " আল্লাহ তার দুয়া কবুল করেছিলেন । আর ছেলেটিও তাই আজ ও তার কথা অনুসরন করে চলছে । : #আসলে হেদায়েতের মালিক আল্লাহ । তিনি কখন কাকে , কিভাবে হেদায়েত দিবেন কেউ জানেনা। আর হ্যা আল্লাহ আমাদের তার পথে চলাত তৌফিক দান করুন । #kolpobazz
By kolpobazz
Sunday, January 20, 2019
যখন তুমি কাউকে আপন করতে চাও সে কেন এই টান টুকু অনুভব করে না বা বুঝে না বা.... বুঝতে চায় না...।। আর যখন তুমি কারোর দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নাও সে কেন তোমার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয় না. জানেন কি, তিন জনের মধ্যে কার কি রকম যন্ত্রণা হচ্ছে ? প্রথম জন কোনো কষ্টই হচ্ছে নাহ। কারন সে জানেই না তার জন্য হয়ত কেউ ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। দ্বিতীয় জনের মাঝামাঝি কষ্ট হচ্ছে। কারন সে ভাবছে, আমি যাকে ভালোবাসি সে আমাকে কেন ভালোবাসেনা? আর যাকে আমি না চাই সেই বা কেন আসে আমার কাছে ? আর তৃতীয় জনের চিন্তা কি জানেন..... আমি যাকে ভালোবাসি... সে ভালোবাসে অন্যকে। হায়রে ভালোবাসা..... বেঁচে থাকতেও নরকের যন্ত্রণা . #kolpobazz
By kolpobazz
Friday, January 18, 2019
ভালোবাসা কি? সংজ্ঞা খুঁজে যাচ্ছি ডিকশনারির পাতা ঘেটে শেষ করে ফেলেছি নেট এ খুঁজে যাচ্ছি সেই কত কাল ধরে এখনো জানতে পারি নি ভালোবাসা কি। তোমার সাথে কথা না হলে যে কষ্ট হয় বুকে তার নাম কি ভালোবাসা? তোমায় না দেখলে মনটা যেমন উদাস হয়ে ওঠে সে কি ভালোবাসা? তুমি অভিমান করলে মনের মাঝে যে উথাল পাথাল ঝড় বয়ে যায় তার নামই কি ভালোবাসা? তোমায় খুঁজে না পেয়ে যে ছন্নছাড়া দিন কাটাই তাকে কি ভালোবাসা বলে? কি জানি কিছুতেই ভালোবাসার মানে বুঝতে পারি না। কেও বলে ভালোবাসা একটা অনুভুতি যা চাইলেও পাওয়া যায় না, আবার অনেক সময় না চাইতেও পাওয়া যায় কেও কেও এত বেশি পায় যে ভালোবাসার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে যায়; যেমন তুমি। আবার অনেকে ভালোবাসা না পেয়েও যন্ত্রণায় কাতরায় ভালোবাসার কাঙাল হয়ে থাকে যেমন আমি, তোমার ভালোবাসার পথ চেয়ে থাকি আর ভালোবাসার মানে খুঁজে বেড়াই শুধু তুমিই বোঝো না কিংবা বুঝেও না বোঝার ভান ধরে থাক আমায় কষ্ট দিতে। ভালোবাসা কি জ্যোৎস্নার চেয়ে সুন্দর ভালোবাসা কি কবিতার চেয়ে কষ্টের ভালোবাসা কি ফুলের সৌরভ ভালোবাসা কি সাগরের বিশালতা কিংবা নদীর বয়ে যাওয়া জল আমি বুঝতে পারি না আমার কাছে ভালোবাসা মানে তোমার বাড়ানো হাত আমায় কাছে টানার কিংবা "শুধুই তুমি"। আমি কষ্ট কষ্ট সুখ পেয়ে যাচ্ছি তোমার প্রতিক্ষার প্রহর গুনে তুমি যেন আবার কষ্ট কষ্ট দুঃখ পেয় না ভালোবাসার নষ্ট খেলা খেলতে গিয়ে।
By kolpobazz
Thursday, January 17, 2019
জীবনের সবকিছু ক্ষণস্থায়ী ... সব ... হাসি, কান্না, আনন্দ, কষ্ট ... সব কারো জন্য জীবন থেমে যায় নাই ... হয়তো ক্ষণিকের জন্য থমকে গিয়েছিল, কিন্তু থেমে যায় নাই ... থামবেও না !! একটা সময় সবকিছু ঠিক হয়ে যায় - এটা ভুল কথা ... কখনোই সবকিছু ঠিক হয় না ... সব যেমন ছিল, তেমনই থাকে ... শুধু অভ্যাস বদলে যায় ... শুধু সহ্য ক্ষমতা বেড়ে যায় !! কষ্টটা আগের তীব্রতা নিয়েই থাকে ... কিন্তু সময় গড়ালে একসময় আর ঐ কষ্ট গায়ে লাগে না !! একদিন আর কিছুতেই কিছু যায় আসে না !!" :) #musfiq vai
By kolpobazz
Wednesday, January 16, 2019
Tuesday, January 15, 2019
Monday, January 14, 2019
মনটা খুব বিষন্নআজ, মনের মধ্যে খুব হাহাকার করছে।। কেন জানি মনে হচ্ছে কি যেন হারিয়ে যাচ্ছে জীবনথেকে।। সেদিনেরভালো লাগা গুলো আগেরমত স্পর্শকরে না মনকে।। মনটা আজ ভীষণএকা।। আকাশ টাকে আজ খুববিষন্ন লাগছে।। অনেকখুজেঁও একটা তারা পেলাম না, চাদঁ তো দূরের কথা।। অনেকদিন ধরে বৃষ্টির ছোয়াঁ পাচ্ছি না।। ভুলে গেছি কয়েকদিন আগেও বৃষ্টি নেমেছে, তবুও মনে হচ্ছে অনন্তকাল ধরে বৃষ্টি হয় নি।। জীবনে চলার পথে হারিয়েছি অনেক, যাদেরকে পেয়েছি তাদের থেকে দূরে সরে গিয়েছি, একা পথ চলবো বলে।। কিন্তু যখন একা থাকি, খুব ইচ্ছে হয় সবাই আমার পাশে থাকুক, খুব কাছে থেকে ভালোবাসুক, যতটা আমি চেয়েছি তার থেকে অনেক বেশী, rpst
By kolpobazz
Sunday, January 13, 2019
খুনসুটি প্রেম :: আমি তোকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাবো..... ছেলে : চুপ থাক..... মেয়ে : তুই কথায় কথায় বলিস আমাকে ভালবাসিস না..... ছেলে : চুপ থাক..... মেয়ে : হু.. এখন তো আমার কথাও শুনতে ভাল লাগেনা... ছেলে : চুপ থাকতে বলসি নইলে কানের নিচে একটা দিব..... মেয়ে : দে.. ওইটাই দে..... ভালোবাসা তো দিবিনা..... কানের নিচেই দে..... ছেলে : চুপ করবি নাকি সত্যি লাগাব ?? মেয়ে : মেরে ফেল আর কতো কষ্ট দিবি ?? ছেলে : আমি তোরে কষ্ট দেই?? মেয়ে : হু দেস..... ছেলে : তাহলে চলে যা দূরে.. আর কষ্ট পেতে হবেনা..... মেয়ে : সেটাই তো চাস যে আমি দূরে চলে যাই..... ছেলে : হু যা ভাগ তুই..... মেয়ে : রাগ উঠতেছে কিন্তু...... ছেলে : ওইটার অপেক্ষায় তো আসি..... মেয়ে : মানে?? ছেলে : মানে রাগলে তোকে অনেক সুন্দর লাগে..... মন চায় বুকে চেপে ধরে রাখি অনন্ত কাল.....♥♥ মেয়ে : তুই এতো ফাজিল কেন? ছেলে : তুই এতো ভাল তাই আমি এতো ফাজিল..... এখন চুপ করে করে মাথা রেখে ঘুমা..... আমি তোর নিঃশ্বাস শুনি.....♥♥ #kolpobazz rpst 2013/03/07
By kolpobazz
Saturday, January 12, 2019
Friday, January 11, 2019
আগে লিখতে ভাল লাগত, এখন ইচ্ছে হয় না... কিবোর্ডে আঙুল ছোঁয়ালেই মনে হয় কি লিখব??!! কিছু লিখি, আবার ব্যাকস্পেস মারি.. শেষতক ফাঁকা স্ক্রিন ফাঁকা ই থেকে যায়... আগে সব ভাল লাগত, এখন কিছুই লাগে না... সকাল বিকাল চায়ে চুমুক দেয়ার সময় মুখটা মিস্টার বিনের মত হয়ে থাকে.... শেষতক চা পূর্ণ কাপ পূর্ণ ই থাকে... আগে কথা দিলে কথা রাখতাম, এখন ভয় জেঁকে বসে, তাই কথা ই দেই না... একটা সময় সবথেকে লেইম জোকটাতে গলা ফাটিয়ে হাসার মত আবেগ ছিল, খুশি হবার জন্য ছোটখাট বায়না ই যথেষ্ট ছিল... আর এখন আমরা সবাই রুটিন ফলো করে ভালবাসি, স্বার্থমেপে কদম বাড়াই। এখন আমরা সবাই ই "আমি" তে আটকে গেছি, আর আমাদের হ্যাপিনেস টা আমাদের আটকে দিয়ে চলে গিয়েছে :)
By kolpobazz
আবেগহীন লোকদের মাঝে মাঝে বিপাকে পড়ে যেতে হয়। আবেগহীন লোকজন এর ভেতরটা থাকে অনেকটা ভ্যাজিটেবল রোল এর মত সরল। একটা কথার খুব সরল সাপ্টা মিনিং নিয়েই তারা বলে। সম্ভবত এ কারণেই জগতের সকল স্পষ্টবাদীরাই আবেগ বিকারগ্রস্তদের দলে। . বিপত্তি হচ্ছে এই সরল মিনিংটাই মিলাদ মাহফিলের চিকন জিলেপির মত প্যাঁচালো অন্তঃস্থলের অধিকারী স্বাভাবিক মানুষদের বিশেষত নারীকুলের ভেতরে গিয়ে প্যাঁচ খেয়ে দশটা উলটা মিনিং হয়ে যায়। নারীর মন বোঝা আর হাইয়ার কোয়ান্টাম ফিজিক্স বোঝা একই কথা। দুটোই আপেক্ষিক। দুটোই বদলায় !! . আমি দুঃখিত। মাঝে মাঝে আমার অতি জঘন্য কিন্তু চাঁছাছোলা সত্য কথায় আপনারা মর্মাহত হন। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে আমার একচুয়ালি কিঞ্চিৎ ইগো, বিষণ্ণতা এবং অল্প মেজাজ ছাড়া অন্য কোন ফিলিংস তেমন একটা কাজ করে না।যেমন সো কলড ভাসিয়ে ফেলা স্যাডনেস,কিংবা অতিরিক্ত সেন্টিমেন্টাল ইমোশনগুলো। এই ব্যাপারগুলো একদিনে হয়নি, ধীরে ধীরে হয়েছে। মানুষ থেকে প্রায় আবেগহীন ইলেকট্রিকের খাম্বা হওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। একটানা আঘাত, ইগ্নোরেন্স, মনের বিরুদ্ধে চলা, অন্যের মত করে নিজেকে গড়তে গিয়ে উল্টোটা হয়ে গেছে। এখন আর কোন কিছুতেই তেমন কিছু যায় আসে না আমার। যা হবার তা হবে নীতিতে অটল আস্থা এসে গেছে!! . তা যা বলছিলাম হয়ত আপনাদের ইমোশনগুলো আমি ধরতে পারি না, বুঝতে পারি না বলেই আমি সেগুলোতে হার্ট করে ফেলি।না আমি গিল্ট থেকে বলছি না। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমি আবার আগের মত হতে পারলে ভাল হত, আপনাদের মত করে ব্যাপারগুলো বুঝতাম, বলতাম। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যেভাবে বলি সেভাবে বলাটা ঠিক না। দ্যটস ইট !! . চার্লস ল্যাম্ব এর একটা প্রিয় উক্তি দিয়ে শেষ করছি- Pain is life, the sharper, the more evidence of life.
By kolpobazz
Thursday, January 10, 2019
স্বার্থপরতা একটা রোগ। এই রোগের রুগীরা জীবনের একটা সময় পর্যন্ত প্রচন্ড সুখে থাকে যাকে বলে পিউর হ্যাপিনেস। স্বার্থপরদের আরাম ই আরাম।তাদের আগপিছ ভাবতে হয় না।তাদের প্রত্যাশা নেই, যার ফলে হতাশাও নেই।নিজের আখের গুটি গুছাতে, নিজেকে নিয়েই তারা ব্যস্ত।তাদের কষ্ট থাকে না, গভীর রাতে মন খারাপের কারণ থাকে না। কারণ সবাই সবাইকে ধোঁকা দিলেও কেউ আয়নার সামনে দাঁড়ালে আয়নার পিছনের মানুষটা কখনো তাকে ধোঁকা দিবে না। স্বার্থপরেরা একারণেই সুখী।কারণ তারা নিজেকে ভালবাসে... কিন্তু একটা সময় পেরুলে জীবনের শেষপ্রান্তে এসে যখন ঘরের এককোণে শুয়ে তারা একা একা মৃত্যুর অপেক্ষা করে তখন তারা বুঝতে পারে শূন্যতা কি জিনিস !! তীব্র একাকীত্বের যন্ত্রণাটা কি !! সারাজীবন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা মানুষটা বুঝতে পারে কিছু সময় কিছু বোকা মানুষদের সাথে কাটালে হয়ত খুব একটা মন্দ হত নাহ ..... স্বার্থপররা চালাক হয়, স্বার্থহীনরা বোকা হয়। সবশেষে চালাকেরাই একা হয় আর বোকারা সুখী হয়। আর আমি বোকাদের ই দলে :) #kolpobazz
By kolpobazz
Tuesday, January 8, 2019
বন্ধুত্বের ডেফিনেশন টা কি? যে বা যিনি আপনার জন্য তার ক্ষুদ্র স্বার্থটা স্যাক্রিফাইস করতে পারবে সেই আপনার বন্ধু। এখন এমন একটা কাজ যেখানে আপনি এবং সে দুজনের ই কিছু না কিছু লাভ আছে; সেই কাজটা দিয়ে বন্ধু চেনা যায় না :) বন্ধু চেনা যায় বিপদে, বন্ধু চেনা যায় স্যাক্রিফাইসে। - বিপদে আপনাকে ভরসা দেয়া, সাহায্য করা, দরকারে পাশে পাওয়া বন্ধুদের উপকারটা খুব ভাল করে মাথায় গেঁথে নিবেন। এদের নামটা বেশি করে মনে রাখবেন।কারণ দুনিয়ায় আলগা পিরিতি দেখানো ধান্দাবাজের কমতি নেই।আপনার আশেপাশে তাদের ই পাবেন, তারাই থাকবে।তাদের কোন বিপদে পারলে তিনগুণ বড় মন নিয়ে এগিয়ে আসবেন। আর অবশ্যই পাশাপাশি ধান্দাবাজ চিনে রাখুন। কারণ সময় ঘুরেফিরে সবার ই আসে। আগে কিংবা পরে :) মানুষ চেনাটা এই দুনিয়ায় সব থেকে বড় আর্ট... নিজ স্বার্থটা তো সবাই চিনে, কিন্তু ছাড়তে পারে কয়জন
By kolpobazz
অনেকের মাঝে যে কেউ হয়ে থাকাটা খুব সোজা, খুবই সোজা.. কিন্তু অনেকের মাঝে অন্যতম হওয়াটা কঠিন... যে তোমাকে ভালবাসে সে তোমাকে অনেকের মধ্য থেকেই বেছে নিয়েছে। তার কাছে তুমি আর আট দশজনের মত নও... একজনের কাছেই অন্যতম হও, দশজনের সাথে নয়... স্পেশাল কাউকে ধীরে ধীরে এভারেজ হয়ে যেতে দেখাটা কষ্টের। আসলেই কষ্টের :)
By kolpobazz
তোমার প্রতি কারো অতিরিক্ত আবেগ, ভালবাসা, আবেগটাকেই তুমি হাওয়া বদলের যুগে "ওভার ডমিনেটিং" বলে চালিয়ে দিয়ে ব্রেকাপের উছিলা খোঁজ। কারণ তোমার ভিতরটা আজ কারো ভালবাসা চায় না। চায় সময় কাটানোর মত একটা খেলনা। মনে আছে ছোটবেলায় কেউ যখন নতুন কোন খেলনা কিনে দিত খুব যত্নে সেটাকে তুমি আগলে রাখতে। তিন চারদিন পরে সেটাকেই আছাড় মারতে.... ব্যাপারটা অনেকটা এমন ই। আজ যাকে তোমার ভাল লাগে, যার কারণে হাতের রগে ধারালো ব্লেড ধরতেও তুমি দ্বিধা কর না, দুদিন পরেই তাকে তুমি নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলবে। তার নামটা তোমার মনে মোটেই দাগ কাটবে না :) ভুল কাউকে এ কারণেই ভালবাসতে নেই। ভুল জায়গায় এ কারণেই আবেগ দিতে নেই। জীবনের প্রতিটা ইমোশন অনেক দামী। যে তোমার ইমোশনের বিন্দুমাত্র মূল্য দেয় না, যে তোমার কথা আর এরশাদের বক্তব্য দুটাকে একই মনে করে তাকে অযথা ভালবসা দেখিয়ে লাভ নেই, তাকে মন থেকে কথা বলে লাভ নেই... কারণ তার ভিতরটা আজ নষ্ট হয়ে গেছে। সে আর তোমাকে ভালবাসে না। সে আজ নিজেকে ভালবাসে, কেবলই নিজেকে :) আর নিজেকে ভালবাসা মানুষেরা ভয়ংকর হয়, খুব ভয়ংকর :)
By kolpobazz
Monday, January 7, 2019
Sunday, January 6, 2019
মেয়েরা দুই ধরনের পুরুষদের বেশি পছন্দ করে,,,,, ১.যে তাকে হাসাতে পারে। ২.যে তার মন পড়তে পারে। আর এই দুইটি কাজে বখাটে বা প্লেবয় টাইপের ছেলেরা খুবি পারদর্শী। তাই দেখা যায় এলাকার সবথেকে সুন্দরি মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড হয় বখাটে বা কোন প্লেবয়। সুন্দর ছেলেরা কখনও এইসবে অভ্যস্ত নয়। তাই দেখা যায় অন্য সবার যখন ৪-৫ টা গফ পাল্টানো শেষ। তখন ভাল ছেলেটার হয়ত একটা জিএফ ও ভাগ্যে জোটে না। #kolpobazz
By kolpobazz
Saturday, January 5, 2019
শুধু রাগটাই দেখলে, ভেতরের ক্ষোভ টা দেখলে না... শুধু অফেন্সিভ ওয়ার্ড গুলাই শুনলে, ভিতরে আটকে পড়া শব্দের হাহাকারটুক শুনলে না.... কোচঁকানো ভ্রু টা দেখলে কেবল, চোখ ফেটে বেরিয়ে আসতে চাওয়া জলটুকু দেখলে না... আমার চিৎকার শুনলে, ভিতরের শূন্যতা টের পেলে না. কেবল এই বেয়াড়া আমাকেই দেখলে, আমার "আমি" টাকে দেখলে না। কারন তো একটাই,,,, আমি তোমার জন্যে পারফেক্ট না। #kolpobazz Rep
By kolpobazz
ভালোবাসার মানুষটি সত্যিই সবার থেকে আলাদা..
ভালোবাসার মানুষটি সত্যিই সবার থেকে আলাদা.....
সে যেন সবার মাঝে থেকেও সবার ওপরে.....
চোখ বন্ধ করলেও তার অস্তিত্ব ভেসে ওঠে চোখের সামনে.....♥ :)
তাকে জড়িয়ে ধরার মূহুর্ত.....
উফ্ !
সে এক অসাধারণ ফিলিংস.....♥ :D
তার কপালে আলতো করে kiss করে তাকে " i love you " বলার পর যখন প্রতিউত্তরে তার মুখ থেকে " i love u too " শুনি তখন মনে হয় এটাই পৃথিবীর সেরা বাক্য.....♥ :p
তার হাতটি ধরে বহুধুর চলার পরও মনে হয় যেন এইমাত্রই তো হাঁটা শুরু করলাম, আরো অনেক পথ পেরোলেও তখন ক্লান্তি গ্রাস করবে না.....♥ :)
তার ছোট ছোট কথায় রাগ-অভিমান করা, নাক ফুলে লাল হয়ে যাওয়ার পর যেন তাকে আরও বেশি সুন্দর লাগে তখন মনে হয় তাকে এই বুকের মাঝেই সারাটি জীবন জড়িয়ে রাখি.....♥ ^_^
আমি ভূল করলে তাকে sorry বলতেও খারাপ লাগে না.....
কারণ sorry বলা মানে তার কাছে ছোট হওয়া নয় বরং সর্ম্পকটাকেই সবকিছুর উর্ধ্বে দেখা.....♥ :)
মাঝে মাঝে গলা ফাটিয়ে চিত্কার করে বলতে ইচ্ছা করে " অননেক
বেশি ভালোবাসি তোমাকে, অননেক বেশি "......♥
সে যেন সবার মাঝে থেকেও সবার ওপরে.....
চোখ বন্ধ করলেও তার অস্তিত্ব ভেসে ওঠে চোখের সামনে.....♥ :)
তাকে জড়িয়ে ধরার মূহুর্ত.....
উফ্ !
সে এক অসাধারণ ফিলিংস.....♥ :D
তার কপালে আলতো করে kiss করে তাকে " i love you " বলার পর যখন প্রতিউত্তরে তার মুখ থেকে " i love u too " শুনি তখন মনে হয় এটাই পৃথিবীর সেরা বাক্য.....♥ :p
তার হাতটি ধরে বহুধুর চলার পরও মনে হয় যেন এইমাত্রই তো হাঁটা শুরু করলাম, আরো অনেক পথ পেরোলেও তখন ক্লান্তি গ্রাস করবে না.....♥ :)
তার ছোট ছোট কথায় রাগ-অভিমান করা, নাক ফুলে লাল হয়ে যাওয়ার পর যেন তাকে আরও বেশি সুন্দর লাগে তখন মনে হয় তাকে এই বুকের মাঝেই সারাটি জীবন জড়িয়ে রাখি.....♥ ^_^
আমি ভূল করলে তাকে sorry বলতেও খারাপ লাগে না.....
কারণ sorry বলা মানে তার কাছে ছোট হওয়া নয় বরং সর্ম্পকটাকেই সবকিছুর উর্ধ্বে দেখা.....♥ :)
মাঝে মাঝে গলা ফাটিয়ে চিত্কার করে বলতে ইচ্ছা করে " অননেক
বেশি ভালোবাসি তোমাকে, অননেক বেশি "......♥
আবোলতাবোল
আবোলতাবোল
::
ঘুণ ধরা খয়েরী বেঞ্চ,
আমাদের কত চুপচাপ বিকেল।
আমার ক্ষ্যাপা ছেলেমানুষি;
পকেটে আধ খাওয়া কিট ক্যাট।
কপট শাসনে তুমি,
মুখ ভ্যাংচানো আমি।
আমার অগোছালো চুল,
তোমার আঙুলের চিরুনী।
আগের মতই আছি আমি,
ক্ষ্যাপা,পাগলাটে।
দেখো চুলটাও পাখির বাসা,
আজও পকেটে একটা আধ খাওয়া কিট ক্যাট তোমার জন্য রাখা।
:
কিন্ত তুমি নেই :(
#kolpobazz
::
ঘুণ ধরা খয়েরী বেঞ্চ,
আমাদের কত চুপচাপ বিকেল।
আমার ক্ষ্যাপা ছেলেমানুষি;
পকেটে আধ খাওয়া কিট ক্যাট।
কপট শাসনে তুমি,
মুখ ভ্যাংচানো আমি।
আমার অগোছালো চুল,
তোমার আঙুলের চিরুনী।
আগের মতই আছি আমি,
ক্ষ্যাপা,পাগলাটে।
দেখো চুলটাও পাখির বাসা,
আজও পকেটে একটা আধ খাওয়া কিট ক্যাট তোমার জন্য রাখা।
:
কিন্ত তুমি নেই :(
#kolpobazz
এই যে,,,, ঘুমন্তপুরির রাজকুমারী ...
এই যে,,,,
ঘুমন্তপুরির রাজকুমারী ...
আজ লিখেই ফেলছি চিঠি তোমায় ।
জানি হচ্ছে একটু বাড়াবাড়ি ।
কীভাবে শুরু করব বুঝতে পাড়ছি না।
হয়ত তোমায় নিয়ে লিখতে গেলে শেষ হবে না।
তোমার এই কাজল কালো চোখ আর ঘন কালো চুলএর মায়া হয়ত কাটাতে পারবনা।
সত্যি বলতে কি তোমার অই অদ্ভুত হাসি আমাকে পাগল করে দিয়েছে।
কেউ কেউ আমায় দেখে বলে , মনে হয় ছেলেটাকে ভুতে ধরেছে।
কিভাবে বলি তাদের ভুত নয় এক পেত্নির প্রেমে পরেছি।
সব কিছু বাদ দিয়ে আজ দেবদাস হয়েছি।
জানো তোমকে আমি প্রত্যেক দিন দেখি আর নতুন করে তোমার প্রেমে পড়ি।
মনে হয় যেন প্রতিদিন আমি নতুন রুপে তোমায় আবিস্কার করি ।
জানোকি তোমকে শাড়িতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে 😍
প্রতিবার ই নতুন করে তোমার প্রেমে পড়তে ইচ্ছে জাগে।
তোমকে দেখার জন্য সেই সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠি
মা বলে কিরে শান্ত সূর্য আজ পশ্চিম দিকে উঠল নাকি ।
রোজ রাতে ভাবি আগামি কাল সকালে তোমার সামনে গিয়ে একটি লাল গোলাপ দিয়ে বলব
"তুমি আমার রাজ্যের রানী হবে কী "
কিন্তু আমার সাহস করতে পাড়ি না যদি তুমি ফিরিয় দেও আমায়।
আবার তোমার কাছে গেলে হাত পা কাপে ,
কলিজাটা একেবারে শুকিয়ে যায় :(
আর হ্যা আর একটা কথা ছাত্র-ছাত্রীদের এত যত্ন নেন নিজের একটু যত্ন নিও।
আর কত কাল অন্যের বাচ্চাকে খাওয়াবে, নিজের কথাও একটু ভাবিও।
দিন দিন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছ আল্লাহ জানে কোন দিন আমার বদলে বাতাস নিয়ে যায় 😃
চাইনা আমি আমার রাজকুমারি অন্য কারো হয়।
পরিশেষে .........
" তোমার মুখের হাসি,
আমার বাগানে তোমাকে ভালোবাসি,
আসো একবার কাছে
হাতটা ধরে পাশে,
তোমায় নিয়ে যাব আমার স্বপ্নপুরিতে।
ভাল থেক রাজকুমারি ......... ।
নিজের জন্য না হলেও তোমার অপেক্ষায় থাকা এই রাজকুমার জন্য
একটুখানি .........।
""প্লিজ নিজের খেয়াল রেখ ""
ইতি ,,,
অপেক্ষায় থাকা ঘুমন্তপুরির রাজকুমার ।
#kolpobazz
ঘুমন্তপুরির রাজকুমারী ...
আজ লিখেই ফেলছি চিঠি তোমায় ।
জানি হচ্ছে একটু বাড়াবাড়ি ।
কীভাবে শুরু করব বুঝতে পাড়ছি না।
হয়ত তোমায় নিয়ে লিখতে গেলে শেষ হবে না।
তোমার এই কাজল কালো চোখ আর ঘন কালো চুলএর মায়া হয়ত কাটাতে পারবনা।
সত্যি বলতে কি তোমার অই অদ্ভুত হাসি আমাকে পাগল করে দিয়েছে।
কেউ কেউ আমায় দেখে বলে , মনে হয় ছেলেটাকে ভুতে ধরেছে।
কিভাবে বলি তাদের ভুত নয় এক পেত্নির প্রেমে পরেছি।
সব কিছু বাদ দিয়ে আজ দেবদাস হয়েছি।
জানো তোমকে আমি প্রত্যেক দিন দেখি আর নতুন করে তোমার প্রেমে পড়ি।
মনে হয় যেন প্রতিদিন আমি নতুন রুপে তোমায় আবিস্কার করি ।
জানোকি তোমকে শাড়িতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে 😍
প্রতিবার ই নতুন করে তোমার প্রেমে পড়তে ইচ্ছে জাগে।
তোমকে দেখার জন্য সেই সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠি
মা বলে কিরে শান্ত সূর্য আজ পশ্চিম দিকে উঠল নাকি ।
রোজ রাতে ভাবি আগামি কাল সকালে তোমার সামনে গিয়ে একটি লাল গোলাপ দিয়ে বলব
"তুমি আমার রাজ্যের রানী হবে কী "
কিন্তু আমার সাহস করতে পাড়ি না যদি তুমি ফিরিয় দেও আমায়।
আবার তোমার কাছে গেলে হাত পা কাপে ,
কলিজাটা একেবারে শুকিয়ে যায় :(
আর হ্যা আর একটা কথা ছাত্র-ছাত্রীদের এত যত্ন নেন নিজের একটু যত্ন নিও।
আর কত কাল অন্যের বাচ্চাকে খাওয়াবে, নিজের কথাও একটু ভাবিও।
দিন দিন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছ আল্লাহ জানে কোন দিন আমার বদলে বাতাস নিয়ে যায় 😃
চাইনা আমি আমার রাজকুমারি অন্য কারো হয়।
পরিশেষে .........
" তোমার মুখের হাসি,
আমার বাগানে তোমাকে ভালোবাসি,
আসো একবার কাছে
হাতটা ধরে পাশে,
তোমায় নিয়ে যাব আমার স্বপ্নপুরিতে।
ভাল থেক রাজকুমারি ......... ।
নিজের জন্য না হলেও তোমার অপেক্ষায় থাকা এই রাজকুমার জন্য
একটুখানি .........।
""প্লিজ নিজের খেয়াল রেখ ""
ইতি ,,,
অপেক্ষায় থাকা ঘুমন্তপুরির রাজকুমার ।
#kolpobazz
আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামে।
সপ্তর্ষি
::
আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামে।
তবু শুকনো আমার মনের উঠান।
আমার সজীবতা আজ নিষ্প্রাণ,
বিষণ্ণতার পরিমাণ মেপে,
আমার মনের স্কেলটা আজ সন্দিহান…..
নিকোটিনে কষ্ট পোড়াই .........
রাতের অন্ধকারে ।
আমার মনটা আজ না পাওয়ার বেদনায় কুরে কুরে মরে…..
নিষ্প্রাণ এই শীতের ভোরে ।
কেনো আমি ভুলবো তোমায় মিছেমিছি?
ভালোবাসবো তোমায় আমি আগের চেয়েও বেশি!
সপ্তর্ষি , সপ্তর্ষি , সপ্তর্ষি ।
আমার সপ্তর্ষি ।
#kolpobazz
::
আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামে।
তবু শুকনো আমার মনের উঠান।
আমার সজীবতা আজ নিষ্প্রাণ,
বিষণ্ণতার পরিমাণ মেপে,
আমার মনের স্কেলটা আজ সন্দিহান…..
নিকোটিনে কষ্ট পোড়াই .........
রাতের অন্ধকারে ।
আমার মনটা আজ না পাওয়ার বেদনায় কুরে কুরে মরে…..
নিষ্প্রাণ এই শীতের ভোরে ।
কেনো আমি ভুলবো তোমায় মিছেমিছি?
ভালোবাসবো তোমায় আমি আগের চেয়েও বেশি!
সপ্তর্ষি , সপ্তর্ষি , সপ্তর্ষি ।
আমার সপ্তর্ষি ।
#kolpobazz
বর্ষার কদম ফুল নিয়ে একটা মিথ আছে যে,
বর্ষার কদম ফুল নিয়ে একটা মিথ আছে যে,
যদি কোনো প্রেমিক যুগল বর্ষার প্রথম কদম ফুল দেওয়া-নেওয়া করে তাতে নাকি প্রেমিক যুগলের সম্পর্কটা বিষাদময় হয়ে যায়।
কিন্তু আমি চাই সে কোনো এক বর্ষার দিনে আমার সামনে আসুক।
আমার হাত থেকে একটা কদম ফুল নিক।
হোক সেটা বর্ষার প্রথম কিংবা শেষ কদম ফুল।
সেদিন তার মাথায় ছাতা না থাকুক।
নীল শাড়ি না পড়ে কালো বসনে আসুক।
সে যদি কাকভেজা হয়ে আমার সামনে আসে
আমিও তার সংগে ভিজে কাকভেজা হব।
শুধু এই সময়টার জন্য ......
আমি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।
#kolpobazz
যদি কোনো প্রেমিক যুগল বর্ষার প্রথম কদম ফুল দেওয়া-নেওয়া করে তাতে নাকি প্রেমিক যুগলের সম্পর্কটা বিষাদময় হয়ে যায়।
কিন্তু আমি চাই সে কোনো এক বর্ষার দিনে আমার সামনে আসুক।
আমার হাত থেকে একটা কদম ফুল নিক।
হোক সেটা বর্ষার প্রথম কিংবা শেষ কদম ফুল।
সেদিন তার মাথায় ছাতা না থাকুক।
নীল শাড়ি না পড়ে কালো বসনে আসুক।
সে যদি কাকভেজা হয়ে আমার সামনে আসে
আমিও তার সংগে ভিজে কাকভেজা হব।
শুধু এই সময়টার জন্য ......
আমি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।
#kolpobazz
যেদিন থেকে আমি তোমার অপ্রিয় হলাম
"যেদিন থেকে আমি
তোমার অপ্রিয় হলাম,সেদিন থেকেই ঘুম আমার প্রিয়।
জানি,ঘুম তোমার খুব অপছন্দ।কিন্তু কী করবো বলো।তোমার পেছনে ছুটতে ছুটতে এতোটাই বদ অভ্যাস হয়েছে যে,এখন আর তোমাকে ছাড়া ভালো থাকা হয়না।একটা কথা জানো?আমি আজও তোমাকে ভালোবাসি।নির্দ্বিধায়,নি:সঙ্কোচে,নিশ্চুপে,
অভিমানে।তোমার অস্তিত্ব আজও আমার শিরায় শিরায় বয়ে বেড়ায়।তোমার সেই ঘ্রাণ আজও আমায়…নাহ্!আর বলতে পারছিনা।তোমাকে ভুল করে ভুলে যেতে চেষ্টা করতে যতটা কষ্ট হয়েছে,ঘুম কে আপন করতে ততটা কষ্ট হয়নি।কারণ ঘুম এখন দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।রোজ ঘুম কিনে আনি আর রোজ রাতে আমি আকাশের তারাগুলোতে তোমাকে খোঁজার চেষ্টা করি।রোজই আমি তোমাকে খুজে পেতে ব্যর্থ হই।
আচ্ছা,তুমিও কি তারা হয়েছো?নাকি তুমি কখনও ছিলেই না?আমি জানিনা।সত্যি আমি জানিনা।ক’দিন ধরে মনে মনে কথা বলা শিখেছি।নির্ঘুম রাতে যখন মরে যাবার মতোন করে কষ্ট হতো… ঠিক তখন এর সাথে অভ্যস্ততা নিয়ে আসলাম।মনে মনে কথা বলে একটি কেন হাজারটি রাত পার করে দেয়া অসম্ভব কিছু নয় এখন আর আমার জন্য।আমার এতোটা মন খারাপ কেন হয়,যেটা আমি সহ্য করতে পারিনা!
একটা কথা জানো ইদানিং না আমি কাঁদতে পারিনা।আমার কান্নার যে মৃত্যু হয়েছে।চোখের যেখানটায় কান্না করব,ঠিক সেখানটায় মরুভুমি জন্মেছে।মরুভুমির বালিগুলো হতাশার রোদে শুকিয়ে প্রচন্ড লাল হয়ে থাকে।বড্ড জ্বলে।আমার খুব কষ্ট হয়।সেই কষ্ট তুমি ছাড়া কেউ বোঝেনি।
কেউ কোনোদিন বোঝার চেষ্টাও করেনা।আর তুমি ছাড়া কেউ বুঝবেও না।ক’দিন ধরে আমি কষ্ট লুকাতে হাসি।হাসতে হাসতে নিজেকে মাতাল করে ফেলি।বুক-পেট সব ব্যাথা হয়ে যায়।
তবু…তবু কষ্ট লুকাতে পারিনা।
জানো,আজকাল ঘুমও তার কর্ম ভুলে গেছে।আমার ঘুম কে আপন করে পাবার প্রচেষ্টা দেখে শিরায় শিরায় লোহিত কণিকারা আফসোসে ডুকরে ওঠে।কষ্টরা মুখ চেপে হাসে।আমি বোবা হয়ে রই।চিন্তা করি তোমার মত যদি ঘুম টাও আমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে কি হবে আমার।আরও ভাবি,আমার মতো একটা মানুষ ঘুমের সাথে হারিয়ে গেলে কতটুকুই বা ক্ষতি হবে পৃথিবীর।কতটুকুই বা শূন্যতা তৈরি হবে।কিছুই হবেনা।
সময় নাকি কারো জন্য অপেক্ষা করে না।আমার জন্যও করবে না।সময় বড্ড স্বার্থপর।যেমন স্বার্থপর তুমি।শুনো,কাউকে কেউ কোনোদিন মনে রাখে না।ইতিহাস শুধু সফলদের জন্যই।
ব্যর্থ,পরাজিতদের জন্য না।আমাকেও কেউ মনে রাখবেনা।এক সেকেন্ডও মনে রাখবে না।কারো মনে রাখার দরকারও নেই।তবে তোমার কাছে অনুরোধ তুমি আমাকে ভুলে যেও।আমি তো তোমাকে কবেই ভুলে গেছি।
শুধু মনে আছে সেই কবিতাটা
যেটা শুনে প্রথম দেখার দিন তুমি বলেছিলে আমি পাগল।
আমার কিছু ভালো লাগুক আর না লাগুক অন্তত আমাকে কষ্ট দিতে তো তোমার ভালো লাগে।আমাকে কষ্ট দিয়ে তোমার ভাল লাগে এটাই তো আমার সবচেয়ে বড় সার্থকতা।তবে মাঝে মাঝে ভয় লাগে এই ভেবে যে,
একটা সময় কষ্ট পেতে পেতে হয়তো আমি একদিন প্রানহীন হয়ে পড়বো।তখন এই প্রাণহীন বস্তু টাকে কষ্ট দিতে তোমার আগের মতো ভাল লাগবে তো?তুমি হাজার অপরাধ করো।হাজার বার আমার মন ভাঙো।
কিন্তু তোমার মিথ্যা ভাবে দেওয়া হাসিতেও আমার মন জোড়া লেগে যায়।
তুমি আমার জীবনের দেখা সুন্দর স্বপ্নগুলোর মধ্যে একটি।যেটা তোমার কাছে শুধু দুঃস্বপ্ন।তোমার পাগল করা ঘ্রাণ আজও আমায় রাত জাগায়।যে মায়ের সাথে আমি মিথ্যা বলি না,সে মায়ের সাথে মিথ্যা বলেছি শুধু তোমার জন্য।আমি কেন এত খারাপ হয়ে যাচ্ছি?জানি না।তুমি চলে যেতে পারবে,কিন্তু তোমার সাথে জড়িয়ে থাকা স্মৃতিগুলোকে নিয়ে যেতে পারবে না।জানি না কেন আজও আমি নিজের অজান্তেই নিজেকে হারিয়ে ফেলি।
হাজারো কোলাহল থেকে কেন নিজেকে লুকিয়ে রাখি।আমি নিজেকে বোঝাতে পারিনা চাওয়া পাওয়ার আরেক নাম কষ্ট।সব কিছুর পর হার মেনে নেই নিজের কাছে।বার বার পরাজিত আমার আমি কে কাঁদতে দেই।স্বপ্ন ভাঙ্গার কষ্ট ,অবহেলা,প্রতারণা অপরিচিত এই শব্দ গুলোই যেন হৃদয়ের মাঝে অপ্রত্যাশিত এক যন্ত্রণা এখন।
পৃথিবীর কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আমাকে কষ্ট দেয়নি।কিন্তু তোমার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আমাকে কষ্ট দিয়েছে।আজও কেন জানি মানতে কষ্ট হয় তুমি আমার পাশে নেই।আমি চাইনা আমাকে কেউ ভালোবাসুক।
আমি শুধু চাই তোমার জন্য অপেক্ষা করতে।
শুধুই অপেক্ষা,শুধুই অপেক্ষা,শুধুই….."
তোমার অপ্রিয় হলাম,সেদিন থেকেই ঘুম আমার প্রিয়।
জানি,ঘুম তোমার খুব অপছন্দ।কিন্তু কী করবো বলো।তোমার পেছনে ছুটতে ছুটতে এতোটাই বদ অভ্যাস হয়েছে যে,এখন আর তোমাকে ছাড়া ভালো থাকা হয়না।একটা কথা জানো?আমি আজও তোমাকে ভালোবাসি।নির্দ্বিধায়,নি:সঙ্কোচে,নিশ্চুপে,
অভিমানে।তোমার অস্তিত্ব আজও আমার শিরায় শিরায় বয়ে বেড়ায়।তোমার সেই ঘ্রাণ আজও আমায়…নাহ্!আর বলতে পারছিনা।তোমাকে ভুল করে ভুলে যেতে চেষ্টা করতে যতটা কষ্ট হয়েছে,ঘুম কে আপন করতে ততটা কষ্ট হয়নি।কারণ ঘুম এখন দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।রোজ ঘুম কিনে আনি আর রোজ রাতে আমি আকাশের তারাগুলোতে তোমাকে খোঁজার চেষ্টা করি।রোজই আমি তোমাকে খুজে পেতে ব্যর্থ হই।
আচ্ছা,তুমিও কি তারা হয়েছো?নাকি তুমি কখনও ছিলেই না?আমি জানিনা।সত্যি আমি জানিনা।ক’দিন ধরে মনে মনে কথা বলা শিখেছি।নির্ঘুম রাতে যখন মরে যাবার মতোন করে কষ্ট হতো… ঠিক তখন এর সাথে অভ্যস্ততা নিয়ে আসলাম।মনে মনে কথা বলে একটি কেন হাজারটি রাত পার করে দেয়া অসম্ভব কিছু নয় এখন আর আমার জন্য।আমার এতোটা মন খারাপ কেন হয়,যেটা আমি সহ্য করতে পারিনা!
একটা কথা জানো ইদানিং না আমি কাঁদতে পারিনা।আমার কান্নার যে মৃত্যু হয়েছে।চোখের যেখানটায় কান্না করব,ঠিক সেখানটায় মরুভুমি জন্মেছে।মরুভুমির বালিগুলো হতাশার রোদে শুকিয়ে প্রচন্ড লাল হয়ে থাকে।বড্ড জ্বলে।আমার খুব কষ্ট হয়।সেই কষ্ট তুমি ছাড়া কেউ বোঝেনি।
কেউ কোনোদিন বোঝার চেষ্টাও করেনা।আর তুমি ছাড়া কেউ বুঝবেও না।ক’দিন ধরে আমি কষ্ট লুকাতে হাসি।হাসতে হাসতে নিজেকে মাতাল করে ফেলি।বুক-পেট সব ব্যাথা হয়ে যায়।
তবু…তবু কষ্ট লুকাতে পারিনা।
জানো,আজকাল ঘুমও তার কর্ম ভুলে গেছে।আমার ঘুম কে আপন করে পাবার প্রচেষ্টা দেখে শিরায় শিরায় লোহিত কণিকারা আফসোসে ডুকরে ওঠে।কষ্টরা মুখ চেপে হাসে।আমি বোবা হয়ে রই।চিন্তা করি তোমার মত যদি ঘুম টাও আমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে কি হবে আমার।আরও ভাবি,আমার মতো একটা মানুষ ঘুমের সাথে হারিয়ে গেলে কতটুকুই বা ক্ষতি হবে পৃথিবীর।কতটুকুই বা শূন্যতা তৈরি হবে।কিছুই হবেনা।
সময় নাকি কারো জন্য অপেক্ষা করে না।আমার জন্যও করবে না।সময় বড্ড স্বার্থপর।যেমন স্বার্থপর তুমি।শুনো,কাউকে কেউ কোনোদিন মনে রাখে না।ইতিহাস শুধু সফলদের জন্যই।
ব্যর্থ,পরাজিতদের জন্য না।আমাকেও কেউ মনে রাখবেনা।এক সেকেন্ডও মনে রাখবে না।কারো মনে রাখার দরকারও নেই।তবে তোমার কাছে অনুরোধ তুমি আমাকে ভুলে যেও।আমি তো তোমাকে কবেই ভুলে গেছি।
শুধু মনে আছে সেই কবিতাটা
যেটা শুনে প্রথম দেখার দিন তুমি বলেছিলে আমি পাগল।
আমার কিছু ভালো লাগুক আর না লাগুক অন্তত আমাকে কষ্ট দিতে তো তোমার ভালো লাগে।আমাকে কষ্ট দিয়ে তোমার ভাল লাগে এটাই তো আমার সবচেয়ে বড় সার্থকতা।তবে মাঝে মাঝে ভয় লাগে এই ভেবে যে,
একটা সময় কষ্ট পেতে পেতে হয়তো আমি একদিন প্রানহীন হয়ে পড়বো।তখন এই প্রাণহীন বস্তু টাকে কষ্ট দিতে তোমার আগের মতো ভাল লাগবে তো?তুমি হাজার অপরাধ করো।হাজার বার আমার মন ভাঙো।
কিন্তু তোমার মিথ্যা ভাবে দেওয়া হাসিতেও আমার মন জোড়া লেগে যায়।
তুমি আমার জীবনের দেখা সুন্দর স্বপ্নগুলোর মধ্যে একটি।যেটা তোমার কাছে শুধু দুঃস্বপ্ন।তোমার পাগল করা ঘ্রাণ আজও আমায় রাত জাগায়।যে মায়ের সাথে আমি মিথ্যা বলি না,সে মায়ের সাথে মিথ্যা বলেছি শুধু তোমার জন্য।আমি কেন এত খারাপ হয়ে যাচ্ছি?জানি না।তুমি চলে যেতে পারবে,কিন্তু তোমার সাথে জড়িয়ে থাকা স্মৃতিগুলোকে নিয়ে যেতে পারবে না।জানি না কেন আজও আমি নিজের অজান্তেই নিজেকে হারিয়ে ফেলি।
হাজারো কোলাহল থেকে কেন নিজেকে লুকিয়ে রাখি।আমি নিজেকে বোঝাতে পারিনা চাওয়া পাওয়ার আরেক নাম কষ্ট।সব কিছুর পর হার মেনে নেই নিজের কাছে।বার বার পরাজিত আমার আমি কে কাঁদতে দেই।স্বপ্ন ভাঙ্গার কষ্ট ,অবহেলা,প্রতারণা অপরিচিত এই শব্দ গুলোই যেন হৃদয়ের মাঝে অপ্রত্যাশিত এক যন্ত্রণা এখন।
পৃথিবীর কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আমাকে কষ্ট দেয়নি।কিন্তু তোমার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আমাকে কষ্ট দিয়েছে।আজও কেন জানি মানতে কষ্ট হয় তুমি আমার পাশে নেই।আমি চাইনা আমাকে কেউ ভালোবাসুক।
আমি শুধু চাই তোমার জন্য অপেক্ষা করতে।
শুধুই অপেক্ষা,শুধুই অপেক্ষা,শুধুই….."
হরিণী আমার না ভীষণ অবাক লাগে,
হরিণী আমার না ভীষণ অবাক লাগে,
ভীইইইইষণণণণণ!
কি করে এতটা কাল আমি তুমিহীন আছি?
হরিণীহীন প্রতিটিক্ষণের,প্রতিটি মুহুর্তের,প্রতিটি সেকেন্ডের হিসেব আমি জানি।প্রতিটি সেকেন্ডের অনুভূতি আমার কাছে স্পষ্ট!এতটাই বেশি স্পষ্ট যে,মাঝে মাঝে ভাবি তুমিও আমার কাছে এতটা স্পষ্ট নও।
তুমিহীন আমার দুঃখবোধগুলো এতটাই স্পষ্ট যে তোমাকে বড় আবছা লাগে।তখন তোমার মুখখানি হাজার চেষ্টা করেও মনে করতে পারিনা।
তোমাকে নিয়ে একটি সুখের স্মৃতি মনে করার জন্য আমি স্মৃতিভ্রষ্টের মত আমার মগজের নিউরনগুলো হাতরাতে থাকি।
প্রতিটিক্ষণ আমি রাত নামার জন্য অপেক্ষা করি।কারণ এই সময়টাতে আমি আমার কল্পনায়, আমার অনুভবে নিজের মত করে তোমাকে সুক্ষ্মরূপে পেতে পারি।আমাকে তখন নিউরোনের অলিতে গলিতে তোমাকে খুঁজতে হয়না।তুমি এমনিতেই এসে ধরা দাও।
তোমার স্পষ্ট অবয়ব আমি চোখ বন্ধ করেও দেখতে পাই,তোমার ঘ্রাণ আমি নাক বন্ধ করেও শুঁকতে পাই!রাত্রিগুলো পাড়ি দেয়া আমার জন্য খুব কঠিন কিছু না।তোমার দেয়া আঘাত কিংবা ভালোবাসার এক টুকরা স্মৃতিকে নিয়ে কয়েক হাজার রাত কাটানো কি কঠিন কিছু?
আচ্ছা,হরিণী
শাদা কাশফুলের ভেতর দিয়ে কখনো কি আমরা হাত ধরাধরি করে হেঁটেছিলাম?
তোমাকে খুউব মনে পড়ছে।সারাটি রাত ধরে আমি যে কেবল তোমাকেই ডেকেছি।তুমি কি একবারও শুনেছো?জীবনটা এত জটিল হবে কখনো বুঝিনি।কখনো বুঝিনি কোন এক ছোট্ট চাওয়া এতটা ভোগাবে।প্রচন্ড অস্থিরতায় কেবল তোমার মুখটিই সামনে ভাসে।
কেবল ভাবি একবার যদি তুমি আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে হাতটি ধরতে তবেই বোধহয় সকল অস্থিরতা আর কষ্টের অবসান হত।তুমি জানো তুমিহীন প্রতিটি সেকেন্ড আমি উপলব্ধি করতে পারি।একটি সেকেন্ডের পরে আরেকটি সেকেন্ড আসতে ঠিক কতগুলো
মুহুর্ত লাগে আমার চেয়ে’ ভালো কে জানে?সেকেন্ডের অন্তর্বতী মুহুর্তগুলোতেও আমি তোমাকে ডাকতে থাকি আর কেবল ভাবি “তুমি কি শুনছো?”তুমি কি শুনতে পাও?তোমার বুকের ভেতরটাও কি এমন করে কখনোই কেঁপে ওঠেনা?কখনোই কি তোমার হৃদয়ের কোন এক গলিতে কিছুটা রক্তক্ষরণ হয়না?তুমি একটিবারের জন্যও কি বুঝোনা?
তুমিহীন আমি কিছু ছাড়া ছাড়া আত্মা কাঁপানো দুঃস্বপ্ন ছাড়া র্যাপিড আই মুভমেন্টে কোন স্বপ্নও দেখিনা।এইতো সেইদিন দেখলাম আমি সিএনজির মধ্যে বাসের চাপায় পৃষ্ট হয়ে পড়ে আছি।তোমাকে ভেবে ভেবে কষ্ট পাওয়া ছাড়া আমি কিছুই পাই না।
তোমাকে ভাববো না ভাববো না ভেবেও তোমাকে ভেবেই আমার প্রহর শেষ হয়।আমি পাগলের মত করে তোমায় ভালোবেসে মরে যেতে থাকি।এ এক বিষাদময় অনুভূতি।ভীষণ একলা লাগে।
নির্জনতার ভিড়ে আমি আরো বেশি নির্জন হতে থাকি।কোন এক জটিল রোগের যন্ত্রণায় আমি কাতরাতে থাকি।মাঝেমাঝে এটা সেটা কত কিছু নিয়েই না তোমার সাথে গল্পে মেতে উঠি আমি।
এই যেমন ভরদুপুরে স্নান সেরে এসে টাওয়ালটা বারান্দায় রাখতে গিয়েই দৃষ্টি আঁটকে যায় একটা দোয়েল পাখির দিকে।আমি খুব করেই জানি এই দোয়েল পাখিটা তুমি!আমি কেমন আছি দেখতে চলে এসেছো!
এই সময়টায় আমি তোমাকে “তুই” বলে সম্বোধন করি।তোমাকে আমার বেশ আপন লাগে তখন!কি রে? কেমন আছিস? ভালো তো?এমন শুকিয়ে গেছিস কেন রে?দুপুরে এখনও খাওয়া হয়নি বুঝি?
তুই এমন ক্যান বলতো?আমাকে আর কত জ্বালাবি?কি ভেবেছিস?দোয়েল পাখি হয়ে এসেছিস বলে আমি তোকে চিনতে পারবো না?তোর গন্ধ আমি চিনতে পারবো না, না?”
এমন শত সহস্র ছেলেমানুষী কথায় আমার এক একটি প্রহর শেষ হয়।আমি তোমাকে ফোন করি না।আমি জানতেও চাইনা তুমি খেয়েছো কি না?শুধু বিড়বিড়িয়ে দোয়েল পাখিটাকে বলি “খেয়ে নিস, অনিয়ম করিস না।
অসুখ বাঁধালে কে দেখবে তোকে?” দোয়েল পাখিটা উড়ে চলে যায়।আমি তোমাকে জানতেও দেই না আমি মরে যাচ্ছি তোমাকে ছাড়া!
নাইবা জানলে তুমি!
ভালোবাসার মানে তো তুমি আমার চাইতে ঢের বেশি জানো!আমি বেশ আছি তোমাকে নিয়ে!!!
পৃথিবীর বুকে আমার চাইতে ভালো বোধ করি আর কেউ নেই।তুমি যেমন করে আমার সাথে আছো,পাশে থাকলেও এমন করে থাকা হতো না তোমার!এরচেয়ে তুমি দূরেই থাকো,অনেক দূরে!যেখানে আমার স্পর্শ পৌঁছায় না,
আমার দৃষ্টি পৌঁছায় না, আমার অশ্রু পৌঁছায় না!
শুধু ভালো থেকো!আগের মত এখন আর জানতে ইচ্ছে হয় না “তোমার আকাশেও কি আমার চাঁদটা উঠে কিনা?”
আমি এখন আর কিছুই জানতে চাই না।
আমি জানি আমার চাঁদটিই তোমার আকাশে এখনো ভাসমান।আমি এও জানি সেই চাঁদ দেখার সময় তোমার নেই।সময় নেই শুকতারাটিকে খুঁজার।তবু আমি রাতের পর রাত;দিনের পর দিন সীমাহীন অপেক্ষা করি।
আমার অপেক্ষার যে কোন বিরামচিহ্ন নেই।
ভীইইইইষণণণণণ!
কি করে এতটা কাল আমি তুমিহীন আছি?
হরিণীহীন প্রতিটিক্ষণের,প্রতিটি মুহুর্তের,প্রতিটি সেকেন্ডের হিসেব আমি জানি।প্রতিটি সেকেন্ডের অনুভূতি আমার কাছে স্পষ্ট!এতটাই বেশি স্পষ্ট যে,মাঝে মাঝে ভাবি তুমিও আমার কাছে এতটা স্পষ্ট নও।
তুমিহীন আমার দুঃখবোধগুলো এতটাই স্পষ্ট যে তোমাকে বড় আবছা লাগে।তখন তোমার মুখখানি হাজার চেষ্টা করেও মনে করতে পারিনা।
তোমাকে নিয়ে একটি সুখের স্মৃতি মনে করার জন্য আমি স্মৃতিভ্রষ্টের মত আমার মগজের নিউরনগুলো হাতরাতে থাকি।
প্রতিটিক্ষণ আমি রাত নামার জন্য অপেক্ষা করি।কারণ এই সময়টাতে আমি আমার কল্পনায়, আমার অনুভবে নিজের মত করে তোমাকে সুক্ষ্মরূপে পেতে পারি।আমাকে তখন নিউরোনের অলিতে গলিতে তোমাকে খুঁজতে হয়না।তুমি এমনিতেই এসে ধরা দাও।
তোমার স্পষ্ট অবয়ব আমি চোখ বন্ধ করেও দেখতে পাই,তোমার ঘ্রাণ আমি নাক বন্ধ করেও শুঁকতে পাই!রাত্রিগুলো পাড়ি দেয়া আমার জন্য খুব কঠিন কিছু না।তোমার দেয়া আঘাত কিংবা ভালোবাসার এক টুকরা স্মৃতিকে নিয়ে কয়েক হাজার রাত কাটানো কি কঠিন কিছু?
আচ্ছা,হরিণী
শাদা কাশফুলের ভেতর দিয়ে কখনো কি আমরা হাত ধরাধরি করে হেঁটেছিলাম?
তোমাকে খুউব মনে পড়ছে।সারাটি রাত ধরে আমি যে কেবল তোমাকেই ডেকেছি।তুমি কি একবারও শুনেছো?জীবনটা এত জটিল হবে কখনো বুঝিনি।কখনো বুঝিনি কোন এক ছোট্ট চাওয়া এতটা ভোগাবে।প্রচন্ড অস্থিরতায় কেবল তোমার মুখটিই সামনে ভাসে।
কেবল ভাবি একবার যদি তুমি আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে হাতটি ধরতে তবেই বোধহয় সকল অস্থিরতা আর কষ্টের অবসান হত।তুমি জানো তুমিহীন প্রতিটি সেকেন্ড আমি উপলব্ধি করতে পারি।একটি সেকেন্ডের পরে আরেকটি সেকেন্ড আসতে ঠিক কতগুলো
মুহুর্ত লাগে আমার চেয়ে’ ভালো কে জানে?সেকেন্ডের অন্তর্বতী মুহুর্তগুলোতেও আমি তোমাকে ডাকতে থাকি আর কেবল ভাবি “তুমি কি শুনছো?”তুমি কি শুনতে পাও?তোমার বুকের ভেতরটাও কি এমন করে কখনোই কেঁপে ওঠেনা?কখনোই কি তোমার হৃদয়ের কোন এক গলিতে কিছুটা রক্তক্ষরণ হয়না?তুমি একটিবারের জন্যও কি বুঝোনা?
তুমিহীন আমি কিছু ছাড়া ছাড়া আত্মা কাঁপানো দুঃস্বপ্ন ছাড়া র্যাপিড আই মুভমেন্টে কোন স্বপ্নও দেখিনা।এইতো সেইদিন দেখলাম আমি সিএনজির মধ্যে বাসের চাপায় পৃষ্ট হয়ে পড়ে আছি।তোমাকে ভেবে ভেবে কষ্ট পাওয়া ছাড়া আমি কিছুই পাই না।
তোমাকে ভাববো না ভাববো না ভেবেও তোমাকে ভেবেই আমার প্রহর শেষ হয়।আমি পাগলের মত করে তোমায় ভালোবেসে মরে যেতে থাকি।এ এক বিষাদময় অনুভূতি।ভীষণ একলা লাগে।
নির্জনতার ভিড়ে আমি আরো বেশি নির্জন হতে থাকি।কোন এক জটিল রোগের যন্ত্রণায় আমি কাতরাতে থাকি।মাঝেমাঝে এটা সেটা কত কিছু নিয়েই না তোমার সাথে গল্পে মেতে উঠি আমি।
এই যেমন ভরদুপুরে স্নান সেরে এসে টাওয়ালটা বারান্দায় রাখতে গিয়েই দৃষ্টি আঁটকে যায় একটা দোয়েল পাখির দিকে।আমি খুব করেই জানি এই দোয়েল পাখিটা তুমি!আমি কেমন আছি দেখতে চলে এসেছো!
এই সময়টায় আমি তোমাকে “তুই” বলে সম্বোধন করি।তোমাকে আমার বেশ আপন লাগে তখন!কি রে? কেমন আছিস? ভালো তো?এমন শুকিয়ে গেছিস কেন রে?দুপুরে এখনও খাওয়া হয়নি বুঝি?
তুই এমন ক্যান বলতো?আমাকে আর কত জ্বালাবি?কি ভেবেছিস?দোয়েল পাখি হয়ে এসেছিস বলে আমি তোকে চিনতে পারবো না?তোর গন্ধ আমি চিনতে পারবো না, না?”
এমন শত সহস্র ছেলেমানুষী কথায় আমার এক একটি প্রহর শেষ হয়।আমি তোমাকে ফোন করি না।আমি জানতেও চাইনা তুমি খেয়েছো কি না?শুধু বিড়বিড়িয়ে দোয়েল পাখিটাকে বলি “খেয়ে নিস, অনিয়ম করিস না।
অসুখ বাঁধালে কে দেখবে তোকে?” দোয়েল পাখিটা উড়ে চলে যায়।আমি তোমাকে জানতেও দেই না আমি মরে যাচ্ছি তোমাকে ছাড়া!
নাইবা জানলে তুমি!
ভালোবাসার মানে তো তুমি আমার চাইতে ঢের বেশি জানো!আমি বেশ আছি তোমাকে নিয়ে!!!
পৃথিবীর বুকে আমার চাইতে ভালো বোধ করি আর কেউ নেই।তুমি যেমন করে আমার সাথে আছো,পাশে থাকলেও এমন করে থাকা হতো না তোমার!এরচেয়ে তুমি দূরেই থাকো,অনেক দূরে!যেখানে আমার স্পর্শ পৌঁছায় না,
আমার দৃষ্টি পৌঁছায় না, আমার অশ্রু পৌঁছায় না!
শুধু ভালো থেকো!আগের মত এখন আর জানতে ইচ্ছে হয় না “তোমার আকাশেও কি আমার চাঁদটা উঠে কিনা?”
আমি এখন আর কিছুই জানতে চাই না।
আমি জানি আমার চাঁদটিই তোমার আকাশে এখনো ভাসমান।আমি এও জানি সেই চাঁদ দেখার সময় তোমার নেই।সময় নেই শুকতারাটিকে খুঁজার।তবু আমি রাতের পর রাত;দিনের পর দিন সীমাহীন অপেক্ষা করি।
আমার অপেক্ষার যে কোন বিরামচিহ্ন নেই।
কারো প্রায়োরিটি লিস্টে আপনি যত তাড়াতাড়ি উঠবেন
কারো প্রায়োরিটি লিস্টে আপনি যত তাড়াতাড়ি উঠবেন। ঠিক তত তাড়াতাড়ি সে আপনাকে ব্লক লিস্টে দিয়ে দেবে। এটাই তিক্ত সত্যি যে আমরা দ্রুত মানুষের খুব আপন হয়ে যাই। খুব কাছে চলে যাই।
কিন্তু দেখবেন সে মানুষটি আসলে আপনাকে কোন গুরুত্ব ই দেয় না। হোক আপনার প্রিয় মানুষ, কাছের বন্ধু, বেস্টি, কিংবা কাজিন।
yeah, he/she doesn't care about you. সে একটা সময় নিজেকে নিজেই ব্যস্ত হয়ে যাবে। like u mean nothing to that person.. but once you people call each other besti!! right?
আমাদের সমস্যাটা কি জানেন? আমরা যার কাছে যতটুক এক্সপেক্ট করা উচিত ততটুক এক্সপেক্ট করতে পারি না। আমরা আরো বেশি এক্সপেক্ট করে বসি।
মানুষটা যতটুক কাছের না, তার অনেক গুন কাছের ভেবে বসি। কিন্তু বাস্তবতা ভাবনা চিন্তা দিয়ে চলে না।
আপনার খারাপ সময়ে যে মানুষটা আপনার সামান্যতম কাছেও ছিলো, আপনি কি সত্যি সেই মানুষটার প্রায়োরিটি লিস্টে ছিলেন?
নাকি শুধুই u guys call each other besti?
কিন্তু দেখবেন সে মানুষটি আসলে আপনাকে কোন গুরুত্ব ই দেয় না। হোক আপনার প্রিয় মানুষ, কাছের বন্ধু, বেস্টি, কিংবা কাজিন।
yeah, he/she doesn't care about you. সে একটা সময় নিজেকে নিজেই ব্যস্ত হয়ে যাবে। like u mean nothing to that person.. but once you people call each other besti!! right?
আমাদের সমস্যাটা কি জানেন? আমরা যার কাছে যতটুক এক্সপেক্ট করা উচিত ততটুক এক্সপেক্ট করতে পারি না। আমরা আরো বেশি এক্সপেক্ট করে বসি।
মানুষটা যতটুক কাছের না, তার অনেক গুন কাছের ভেবে বসি। কিন্তু বাস্তবতা ভাবনা চিন্তা দিয়ে চলে না।
আপনার খারাপ সময়ে যে মানুষটা আপনার সামান্যতম কাছেও ছিলো, আপনি কি সত্যি সেই মানুষটার প্রায়োরিটি লিস্টে ছিলেন?
নাকি শুধুই u guys call each other besti?
বলেছিলে
বলেছিলে ...
পৃথিবী বদলে গেলেও বদলাবে না তুমি।
হুম ... ঠিক ই বলেছিলে।
তুমি সত্যি ই বদলাওনি শুধুমাত্র তোমার মনটা বদলে গেছে।
পৃথিবী বদলে গেলেও বদলাবে না তুমি।
হুম ... ঠিক ই বলেছিলে।
তুমি সত্যি ই বদলাওনি শুধুমাত্র তোমার মনটা বদলে গেছে।
তাহার নামের পাশের সবুজ বাতিটা এখনও জ্বলে।
তাহার নামের পাশের সবুজ বাতিটা এখনও জ্বলে।
তবে তা আমি দেখতে না পেলেও ।
অন্য কেউ ঠিকই দেখতে পায়।
ভালবাসাটা এমনই.........।
কেউ পায় , কেউবা হারায়। :)
তবে তা আমি দেখতে না পেলেও ।
অন্য কেউ ঠিকই দেখতে পায়।
ভালবাসাটা এমনই.........।
কেউ পায় , কেউবা হারায়। :)
তুমি যদি কিছুকে ভালোবাস,
ক’দিন যাবত
আমার নিজেকে ভীষণ বোকা বোকা লাগে।
আর মনে হয় আমি বোধহয় সাইকো হয়ে গেছি।
:
তুমি যদি কিছুকে ভালোবাস,
তবে তাকে মুক্ত করে দাও;যদি তা তোমার কাছে আসে তবে তা তোমার আর যদি না আসে তবে তা কোনদিন তোমার ছিল না।”
কথাটি শেক্সপিয়রের।আচ্ছা এই কথাটির মানে কী?জানি না।আমি এই কথাটির মানে জানি না।তবে কথাটিকে আমি অদ্ভূতভাবে বিশ্বাস করি।মাঝেমাঝে জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোকে নিয়ে ভাবলে আপনাতেই মনটা ছোট হয়ে আসে। মনে হয় কি পেলাম জীবনে?
তবে ফেলে আসা দিনগুলো আমার সবসময়ই ভালো লাগে।আমার জীবনে ফেলে আসা সময়ের কেবলই পুনরাবৃত্তি হয়।বায়োষ্কোপের মতো।আমি বোধহয় পরিবর্তন সইতে পারিনা।নতুন পরিবেশ,নতুন অনুভূতি,আমাকে ভীত করে তুলে।
সময়ের চক্রের মাঝে ধুঁকে ধুঁকে বড় হওয়া আমার মাঝে মাঝে এক অস্থির অনুভূতি এনে দেয়।মাঝে মাঝে আমার চোখ ভিজে আসে কিছু না পাওয়ার আর্তিতে।আচ্ছা,ক’জন পারে আমার মত নিজের ভেতরের অতৃপ্তিকে ধরে রাখতে?
এই জগতের মাঝে আমি বেঁচে থাকি থাকতে হয় বলে।আমার নিজেকে নদীর স্রোতে ভেসে থাকা এক টুকরা পাতার মতই মনে হয়।জীবনটা অদ্ভূত।অদ্ভূত এই ঘোর।অদ্ভূত এই স্মৃতিকাতরতা।ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে পারে আমার জানা ছিলো না।আমি হয়ত বাস্তববাদীদের মত অনেককিছু করার মতন নই।
আমি সবকিছুতে থেকেও নেই। আমি আসলে কোন মানুষের আপন হবার মতনও নই।অনেক মানুষের ভীড়ে নিজেকে একা আর অবাঞ্চিত মনে হবার অনুভূতিটা বড় হতচ্ছাড়া।
একবার মাথায় এলে আর যেতে চায় না।মাথার ভেতরে পিনপিন করে বাজতেই থাকে,”তুমি একা-তুমি একা!”খালি
মনে হয় কোথাও কিছু একটা গড়মিল আছে।জীবনটা ঠিক ট্র্যাকে নেই।এই যে আমার বেঁচে থেকেও হারিয়ে যাওয়া,এর জন্যে কি আমি দায়ী?কোন এক ভুলভাল চিঠির ফাঁদে পড়েছিলাম একদিন।
সেই ঘোরে আজ আমি সবহারা।আমার গোটা জীবনটা অনিশ্চয়তায় ভরা।আমি নিশ্চয়ই ভীষন বেহায়া।কারণ সারাদিন,ঘন্টায়-ঘন্টায় সেই ভীষন ভীষন স্পেশাল মানুষটার কথাই ভাবি।
স্পেশাল শব্দটার অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাখ্যা করে বোঝানোর সাধ্য আমার নেই।আমি শুধু জানি,এই মানুষটা আমার জন্য ভীষন জরুরী।আমি চাই বা না চাই এই মানুষটার সাথে আমার আগামী প্রতিটা দিন বাঁধা হয়ে গেছে।এই বাঁধা থেকে বের হবার মতো দৃঢ়তা বিধাতা আমায় দেন নি।
সময়ে-অসময়ে বুকের বামপাশটায় আড়াআড়ি পোঁচ দেয়ার তীব্র জ্বালা অনুভব করি।আমিই কেবল জানি প্রতিটা সকাল-রাত কতটা তীব্রভাবে আমি এই জ্বালা অনুভব করছি।হয়ত চুপ করেই হারিয়ে যাবো কোন একদিন।
খোদা আমাকে একটু শান্তি দাও,প্লিজ!
আমি তো আর সহ্য করতে পারি না
আমার নিজেকে ভীষণ বোকা বোকা লাগে।
আর মনে হয় আমি বোধহয় সাইকো হয়ে গেছি।
:
তুমি যদি কিছুকে ভালোবাস,
তবে তাকে মুক্ত করে দাও;যদি তা তোমার কাছে আসে তবে তা তোমার আর যদি না আসে তবে তা কোনদিন তোমার ছিল না।”
কথাটি শেক্সপিয়রের।আচ্ছা এই কথাটির মানে কী?জানি না।আমি এই কথাটির মানে জানি না।তবে কথাটিকে আমি অদ্ভূতভাবে বিশ্বাস করি।মাঝেমাঝে জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোকে নিয়ে ভাবলে আপনাতেই মনটা ছোট হয়ে আসে। মনে হয় কি পেলাম জীবনে?
তবে ফেলে আসা দিনগুলো আমার সবসময়ই ভালো লাগে।আমার জীবনে ফেলে আসা সময়ের কেবলই পুনরাবৃত্তি হয়।বায়োষ্কোপের মতো।আমি বোধহয় পরিবর্তন সইতে পারিনা।নতুন পরিবেশ,নতুন অনুভূতি,আমাকে ভীত করে তুলে।
সময়ের চক্রের মাঝে ধুঁকে ধুঁকে বড় হওয়া আমার মাঝে মাঝে এক অস্থির অনুভূতি এনে দেয়।মাঝে মাঝে আমার চোখ ভিজে আসে কিছু না পাওয়ার আর্তিতে।আচ্ছা,ক’জন পারে আমার মত নিজের ভেতরের অতৃপ্তিকে ধরে রাখতে?
এই জগতের মাঝে আমি বেঁচে থাকি থাকতে হয় বলে।আমার নিজেকে নদীর স্রোতে ভেসে থাকা এক টুকরা পাতার মতই মনে হয়।জীবনটা অদ্ভূত।অদ্ভূত এই ঘোর।অদ্ভূত এই স্মৃতিকাতরতা।ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে পারে আমার জানা ছিলো না।আমি হয়ত বাস্তববাদীদের মত অনেককিছু করার মতন নই।
আমি সবকিছুতে থেকেও নেই। আমি আসলে কোন মানুষের আপন হবার মতনও নই।অনেক মানুষের ভীড়ে নিজেকে একা আর অবাঞ্চিত মনে হবার অনুভূতিটা বড় হতচ্ছাড়া।
একবার মাথায় এলে আর যেতে চায় না।মাথার ভেতরে পিনপিন করে বাজতেই থাকে,”তুমি একা-তুমি একা!”খালি
মনে হয় কোথাও কিছু একটা গড়মিল আছে।জীবনটা ঠিক ট্র্যাকে নেই।এই যে আমার বেঁচে থেকেও হারিয়ে যাওয়া,এর জন্যে কি আমি দায়ী?কোন এক ভুলভাল চিঠির ফাঁদে পড়েছিলাম একদিন।
সেই ঘোরে আজ আমি সবহারা।আমার গোটা জীবনটা অনিশ্চয়তায় ভরা।আমি নিশ্চয়ই ভীষন বেহায়া।কারণ সারাদিন,ঘন্টায়-ঘন্টায় সেই ভীষন ভীষন স্পেশাল মানুষটার কথাই ভাবি।
স্পেশাল শব্দটার অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাখ্যা করে বোঝানোর সাধ্য আমার নেই।আমি শুধু জানি,এই মানুষটা আমার জন্য ভীষন জরুরী।আমি চাই বা না চাই এই মানুষটার সাথে আমার আগামী প্রতিটা দিন বাঁধা হয়ে গেছে।এই বাঁধা থেকে বের হবার মতো দৃঢ়তা বিধাতা আমায় দেন নি।
সময়ে-অসময়ে বুকের বামপাশটায় আড়াআড়ি পোঁচ দেয়ার তীব্র জ্বালা অনুভব করি।আমিই কেবল জানি প্রতিটা সকাল-রাত কতটা তীব্রভাবে আমি এই জ্বালা অনুভব করছি।হয়ত চুপ করেই হারিয়ে যাবো কোন একদিন।
খোদা আমাকে একটু শান্তি দাও,প্লিজ!
আমি তো আর সহ্য করতে পারি না
জীবনে যাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চেয়েছি
জীবনে যাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চেয়েছি
তীব্রতম ধাক্কাটা সেখানেই খেয়েছি।
আমার স্মৃতিতে কিছু জিনিস এত গভীরে দাগ কেটে গেছে যে তা কখনই
মুছে যাবে না।
আমি কোনদিন ভাবিনি আমার মন এখনকার মতন হবে।
ইদানিং একটা কথাই মনে হয়,সম্ভবত এই পৃথিবীর কিছুতেই আর আমার আকর্ষণ হবেনা।
আমার আর কিছুই ভালো লাগেনা।
এই জীবনকে নিয়ে আমার কত আয়োজন ছিলো!
অথচ,এখন আমার জীবনজুড়ে এক অদ্ভূত শূণ্যতা।
ফিরে তাকালে এই আমার সাথে মেলাতেই পারিনা!
যোজন-যোজন পার্থক্য এই দুই মানুষে!আমার কাছে আশা করা নির্বোধের কাজ।
পৃথিবীতে সবচাইতে সুখী সেই যার জীবনে আশা বলে কিছু নেই।
কারণ কোন জিনিস আশা করার পর পেলেও পাওয়াটা হয় খুব কালেভদ্রে।আমার অস্তিত্বের ৯৯ ভাগ কাঠামোই কেন যেন ম্লান হয়ে গেছে।
আমি জানি,আমার আত্মা মৃতপ্রায়।আমার ভিতরে সেই ভালোবাসা আর নাড়া দেয়না।
আমি তো অপদার্থ।
বহুদিন আমি জীবনটার কোন মানে খুঁজে পাই না।সময় বয়ে চলে।আমার জীবন কখনো কখনো আর বয়ে চলতে চায়না।
হয়ত চায়,আমি টের পাইনা।আমি হাল ছেড়ে দিতে চাই।আমার সবকিছু থেকে মুক্তি পেতে ইচ্ছে করে।
এই জীবনে আমি অস্থিরতা ছাড়া আর কিছু পাইনা।সবকিছুতে থেকেও না থাকার একটা অনুভূতি।আজকাল আমার বুকের ভেতর কেমন যেন আড়ষ্ট ভয় করে।আমি গুটিয়ে আসছি।
মানুষের সাথে যোগাযোগ কমে আসছে।
রাত বাড়ছে ...।
সব কিছু গোল্লায় যাক তাতে আমার কি ?
রাত্রি জাগা এখন অভ্যাস হয়ে গেছে...
ঘড়ির কাটা ঘুরছে...
কানে হেডফোন ...
প্রিয় মানুষের প্রিয় গানটা বাজছে ...।
:
“তোমার জন্য নীলছে তারার একটুখানি আলো,
ভোরের রঙ রাতে মিশে কালো।
কাঠগোলাপের সাদার মায়ায় মিশিয়ে দিয়ে ভাবি।
আবছা নীল তোমার লাগে ভালো…
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুণ জ্বালে,
মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে…
তীব্রতম ধাক্কাটা সেখানেই খেয়েছি।
আমার স্মৃতিতে কিছু জিনিস এত গভীরে দাগ কেটে গেছে যে তা কখনই
মুছে যাবে না।
আমি কোনদিন ভাবিনি আমার মন এখনকার মতন হবে।
ইদানিং একটা কথাই মনে হয়,সম্ভবত এই পৃথিবীর কিছুতেই আর আমার আকর্ষণ হবেনা।
আমার আর কিছুই ভালো লাগেনা।
এই জীবনকে নিয়ে আমার কত আয়োজন ছিলো!
অথচ,এখন আমার জীবনজুড়ে এক অদ্ভূত শূণ্যতা।
ফিরে তাকালে এই আমার সাথে মেলাতেই পারিনা!
যোজন-যোজন পার্থক্য এই দুই মানুষে!আমার কাছে আশা করা নির্বোধের কাজ।
পৃথিবীতে সবচাইতে সুখী সেই যার জীবনে আশা বলে কিছু নেই।
কারণ কোন জিনিস আশা করার পর পেলেও পাওয়াটা হয় খুব কালেভদ্রে।আমার অস্তিত্বের ৯৯ ভাগ কাঠামোই কেন যেন ম্লান হয়ে গেছে।
আমি জানি,আমার আত্মা মৃতপ্রায়।আমার ভিতরে সেই ভালোবাসা আর নাড়া দেয়না।
আমি তো অপদার্থ।
বহুদিন আমি জীবনটার কোন মানে খুঁজে পাই না।সময় বয়ে চলে।আমার জীবন কখনো কখনো আর বয়ে চলতে চায়না।
হয়ত চায়,আমি টের পাইনা।আমি হাল ছেড়ে দিতে চাই।আমার সবকিছু থেকে মুক্তি পেতে ইচ্ছে করে।
এই জীবনে আমি অস্থিরতা ছাড়া আর কিছু পাইনা।সবকিছুতে থেকেও না থাকার একটা অনুভূতি।আজকাল আমার বুকের ভেতর কেমন যেন আড়ষ্ট ভয় করে।আমি গুটিয়ে আসছি।
মানুষের সাথে যোগাযোগ কমে আসছে।
রাত বাড়ছে ...।
সব কিছু গোল্লায় যাক তাতে আমার কি ?
রাত্রি জাগা এখন অভ্যাস হয়ে গেছে...
ঘড়ির কাটা ঘুরছে...
কানে হেডফোন ...
প্রিয় মানুষের প্রিয় গানটা বাজছে ...।
:
“তোমার জন্য নীলছে তারার একটুখানি আলো,
ভোরের রঙ রাতে মিশে কালো।
কাঠগোলাপের সাদার মায়ায় মিশিয়ে দিয়ে ভাবি।
আবছা নীল তোমার লাগে ভালো…
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুণ জ্বালে,
মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে…
একদিন অনেক অপরিচিত মানুষটাই কিভাবে করে যেনো পরিচিত হয়ে যায় চোখের পলকেই।
একদিন অনেক অপরিচিত মানুষটাই কিভাবে করে যেনো পরিচিত হয়ে যায় চোখের পলকেই। কয়েকদিন কথা বলার পরে মানুষটাকে কেমন যেনো খুব চেনা জানা মনে হয়। মনে হয় এই মানুষটাকেই, ঠিক এই মানুষটাকেই মনে মনে এতোদিন খুজছিলাম। এমন একজন কে এতো দিন কাছে চেয়েছিলাম।
অল্প চেনাজানা মানুষটাই তখন অনেক জানাশোনা একজন হয়ে যায় আমাদের জীবনে। তাকে কিছু না বলে করতেও নিজের মধ্যে একটা সংকোচ কাজ করে। মানুষটাকে কিছু না বললে নিজেকে অপরাধী মনে হয় না। মনে হয়, এতো খুঁজে তাকে পেলাম। তাকে কিভাবে এতো সহজে হারাতে দেই? তাকে কথাটা বলতেই হবে।
অল্প পরিচয়ের সেই মানুষটা আর অপরিচিত থাকে না। আস্তে আস্তে আমাদের জীবনের গল্পের একটা একটা শব্দ হয়ে, একটা লাইন হয়ে উঠে।
প্রথম প্রথম, "আপনাকে বলতে হবে কেনো!!" কথা গুলোই পরে, "এই তুমি আসবে না" হয়ে যায়।
"ছবি চাচ্ছেন কেনো!!" কথাটাই হয়ে যায়, "তোমার একটা ছবি দিবে? অনেক দিন দেখি না তোমাকে"
একেকটা লাইন একেকটা লাইন নয় তখন। একেকটা লাইন পুরো একটা বাক্যের ভালোবাসা তখন। অথচ মুখ ফুটে বলে না কেউ। বলতে গেলেই একটা ভয় কাজ করে। মানুষটা কি আমাকে সেভাবে ভাবে যেভাবে আমি তাকে ভাবি। এই ভয় থেকে পিছিয়ে আসে অনেকেই।
অনেক সাহসী মানুষ ও শুধু একটা বাক্য পুরোপুরি বলতে না পারায় হারিয়ে ফেলে অনেক পরিচিত কাউকে। কি অদ্ভুত তাই না?
জগতে যারাই সাহস করে লাইন গুলোকে বাক্য করতে পেরেছে তারাই অচেনা অজানা অপরিচিত মানুষটাকে একটা গদ্য, কবিতা, উপন্যাস করে গেছে। কিছু গল্প তখন পড়তেই ভালো লাগে। আর মনে চিন্তা আসে,
"আমার ও এমন একজন হবে একদিন" সত্যি কি হবে? হবে ত?
banna vai
অল্প চেনাজানা মানুষটাই তখন অনেক জানাশোনা একজন হয়ে যায় আমাদের জীবনে। তাকে কিছু না বলে করতেও নিজের মধ্যে একটা সংকোচ কাজ করে। মানুষটাকে কিছু না বললে নিজেকে অপরাধী মনে হয় না। মনে হয়, এতো খুঁজে তাকে পেলাম। তাকে কিভাবে এতো সহজে হারাতে দেই? তাকে কথাটা বলতেই হবে।
অল্প পরিচয়ের সেই মানুষটা আর অপরিচিত থাকে না। আস্তে আস্তে আমাদের জীবনের গল্পের একটা একটা শব্দ হয়ে, একটা লাইন হয়ে উঠে।
প্রথম প্রথম, "আপনাকে বলতে হবে কেনো!!" কথা গুলোই পরে, "এই তুমি আসবে না" হয়ে যায়।
"ছবি চাচ্ছেন কেনো!!" কথাটাই হয়ে যায়, "তোমার একটা ছবি দিবে? অনেক দিন দেখি না তোমাকে"
একেকটা লাইন একেকটা লাইন নয় তখন। একেকটা লাইন পুরো একটা বাক্যের ভালোবাসা তখন। অথচ মুখ ফুটে বলে না কেউ। বলতে গেলেই একটা ভয় কাজ করে। মানুষটা কি আমাকে সেভাবে ভাবে যেভাবে আমি তাকে ভাবি। এই ভয় থেকে পিছিয়ে আসে অনেকেই।
অনেক সাহসী মানুষ ও শুধু একটা বাক্য পুরোপুরি বলতে না পারায় হারিয়ে ফেলে অনেক পরিচিত কাউকে। কি অদ্ভুত তাই না?
জগতে যারাই সাহস করে লাইন গুলোকে বাক্য করতে পেরেছে তারাই অচেনা অজানা অপরিচিত মানুষটাকে একটা গদ্য, কবিতা, উপন্যাস করে গেছে। কিছু গল্প তখন পড়তেই ভালো লাগে। আর মনে চিন্তা আসে,
"আমার ও এমন একজন হবে একদিন" সত্যি কি হবে? হবে ত?
banna vai
ফেসবুকের প্রতিটা নর নারীর প্রতিটা পোষ্টই কাউকে না কাউকে ডেডিকেট করেই লেখা হয়
"ফেসবুকের
প্রতিটা নর নারীর প্রতিটা পোষ্টই কাউকে না কাউকে
ডেডিকেট করেই লেখা হয়।তবে
সবথেকে সাংঘাতিক ব্যাপারটা হল।
সেই পোষ্টটা সবাই দেখতে পায়
শুধুমাত্র ডেডিকেটেট মানুষটা ছাড়া।
#kolpobazz"
প্রতিটা নর নারীর প্রতিটা পোষ্টই কাউকে না কাউকে
ডেডিকেট করেই লেখা হয়।তবে
সবথেকে সাংঘাতিক ব্যাপারটা হল।
সেই পোষ্টটা সবাই দেখতে পায়
শুধুমাত্র ডেডিকেটেট মানুষটা ছাড়া।
#kolpobazz"
ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়া করা কোন পাপ নয়।এমন কাউকে বিয়ে করা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।
ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়া করা কোন পাপ নয়।এমন কাউকে বিয়ে করা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।
এদের কেউ ভালোবসতে বা বিয়ে করতে চায় না কেন জানেন কেননা "ডিভোর্স " হওয়া মেয়েদেরকে আমরা এবং আমাদের সমাজ এ সবাই "এক দৃষ্টি-ভঙ্গী" তে দেখি।আর বলি যে সে কুলক্ষী।কিন্তু তাকে কি বিয়ে করা যাবেনা?সে কি সংসার জীবনটা বুঝে না?তার ছেলে বা মেয়ে আছে বলে তাকে বিয়ে করা যাবে না?আরে ভাই হউক সন্তান অন্য কারো উপায়ে হইছে তাই বলে কি সে বাবা শব্দটা উচ্চারণ করতে পারবে না?মেয়েটি কি আর স্বামীর ভালোবাসা পাবে না?
★সবার ত সে একটাই কথা:-
"মেয়েটা কুমারী নয়"!!
আজিব কথা কুমারী হওয়াটাকি খুব প্রয়োজন?
সে কি আপনাকে অন্য মেয়ের মত সুখে রাখতে পারবে না?
যারা কষ্ট পায় আমার মনে হয় তাদের মত সুখে আপনাকে কেউ রাখতে পারবে না।তারা অভিশাপ নয়।তাদের ও আমাদের মত ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছে আছে।আমাদের প্রয়োজন কুমারীত্ব না খুজে ভালোবাসা খুঁজা।বাবা হওয়ার আগে বাবা ডাক শুনা খারাপ কিছু না এর মত ভাগ্য সবার হয় না।
★বেশির ভাগ মেয়ের ডিভোর্স ' হয় কেন জানেন?
বিয়ে হওয়ার পর বিভিন কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মেয়েটিকে পছন্দ করে না,ছেলে বাচ্চার জন্য চাপ দেয়,বাড়ী থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়।ঠিক এরপর থেকে ''মেয়েটা একটু এমন" "একটু তেমন" "এইটা করে" "ওইটা করে'' হ্যান-ত্যান নানা রকম বাক্যে "মেয়েটাকে বিশ্লেষণ" করা হয় প্রতিনিয়িত!আর সমাজের কাছে সত্যি খারাপ হয়ে যায়।
★"ডিভোর্স '' দিয়ে ছেলেটা আরেকটা বিয়ে করে নিলো, আর মেয়েটা হয়ে গেলো খারাপ।কেননা সবাই বলে হয়ত মেয়েটা ভালো ছিল না তাই হয়ত ছেলেটা বিয়ে করছে।কিন্তু এটা জানার চেষ্টা করে না যে হয়ত পরিবারের ইচ্ছাগুলো মানতে গিয়ে মেয়েটার এই উপাধি পেতে হল।
★"সদ্য বিধবা মেয়েটার স্বামী মারা" গেছে, আর "মেয়েটা হয়ে গেলো খারাপ"!! কেননা মেয়েটা হয়ত কুলক্ষী ছিল তাই স্বামী মারা গেছে।কিন্তু আমরা এটা বুঝি না যে বাচা মরা সব আল্লাহর হাতে।এতে কারো হাত নেয়।তাহলে সে কুলক্ষী হয় কেমনে??
★এই কাজগুলো কি সে নিজ থেকে করছে?একি হাতে তালি বাজে না।সে এমন হয়ত এমন কষ্টে ছিল যে তার এটা ছাড়া উপায় ছিল না।কেউ নিজ থেকে এই অভিশাপ বয়ে বেড়াতে চায় না।
এখানে তার পরিবার এবং ছেলের পরিবার জড়িত ছিলো!
★একই কাজ করে শুধু মেয়েদের বদনাম হয়, আর কি এমন কাজ করলে ছেলেদের নামেও বদনাম হবে বলতে পারেন কি?
বিঃদ্রঃ- অনেকেই হয়তো বলবেন এগুলো গল্পে বলা যায় এবং লিখা যায়, আমি বলবো না এমন কিছু সত্যিকারের সচ্ছ,সৎ,ত্যাগী,নির্লোভী মানুষ এখনো সমাজে আছে, তাই এই সমাজ এখনো টিকে রয়েছে।আমারো ইচ্ছে আছে এতিম/অসহায়/ডিভোর্সি অথবা ভালবেসে যে তার সর্বশ বিলিয়ে দিয়েছে এবং যে খুব ডিপ্রেশন নিয়ে থাকে তাদের মধ্যে কাউকে বিয়ে করার। ধন্যবাদ।
post: Collected
এদের কেউ ভালোবসতে বা বিয়ে করতে চায় না কেন জানেন কেননা "ডিভোর্স " হওয়া মেয়েদেরকে আমরা এবং আমাদের সমাজ এ সবাই "এক দৃষ্টি-ভঙ্গী" তে দেখি।আর বলি যে সে কুলক্ষী।কিন্তু তাকে কি বিয়ে করা যাবেনা?সে কি সংসার জীবনটা বুঝে না?তার ছেলে বা মেয়ে আছে বলে তাকে বিয়ে করা যাবে না?আরে ভাই হউক সন্তান অন্য কারো উপায়ে হইছে তাই বলে কি সে বাবা শব্দটা উচ্চারণ করতে পারবে না?মেয়েটি কি আর স্বামীর ভালোবাসা পাবে না?
★সবার ত সে একটাই কথা:-
"মেয়েটা কুমারী নয়"!!
আজিব কথা কুমারী হওয়াটাকি খুব প্রয়োজন?
সে কি আপনাকে অন্য মেয়ের মত সুখে রাখতে পারবে না?
যারা কষ্ট পায় আমার মনে হয় তাদের মত সুখে আপনাকে কেউ রাখতে পারবে না।তারা অভিশাপ নয়।তাদের ও আমাদের মত ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছে আছে।আমাদের প্রয়োজন কুমারীত্ব না খুজে ভালোবাসা খুঁজা।বাবা হওয়ার আগে বাবা ডাক শুনা খারাপ কিছু না এর মত ভাগ্য সবার হয় না।
★বেশির ভাগ মেয়ের ডিভোর্স ' হয় কেন জানেন?
বিয়ে হওয়ার পর বিভিন কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মেয়েটিকে পছন্দ করে না,ছেলে বাচ্চার জন্য চাপ দেয়,বাড়ী থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়।ঠিক এরপর থেকে ''মেয়েটা একটু এমন" "একটু তেমন" "এইটা করে" "ওইটা করে'' হ্যান-ত্যান নানা রকম বাক্যে "মেয়েটাকে বিশ্লেষণ" করা হয় প্রতিনিয়িত!আর সমাজের কাছে সত্যি খারাপ হয়ে যায়।
★"ডিভোর্স '' দিয়ে ছেলেটা আরেকটা বিয়ে করে নিলো, আর মেয়েটা হয়ে গেলো খারাপ।কেননা সবাই বলে হয়ত মেয়েটা ভালো ছিল না তাই হয়ত ছেলেটা বিয়ে করছে।কিন্তু এটা জানার চেষ্টা করে না যে হয়ত পরিবারের ইচ্ছাগুলো মানতে গিয়ে মেয়েটার এই উপাধি পেতে হল।
★"সদ্য বিধবা মেয়েটার স্বামী মারা" গেছে, আর "মেয়েটা হয়ে গেলো খারাপ"!! কেননা মেয়েটা হয়ত কুলক্ষী ছিল তাই স্বামী মারা গেছে।কিন্তু আমরা এটা বুঝি না যে বাচা মরা সব আল্লাহর হাতে।এতে কারো হাত নেয়।তাহলে সে কুলক্ষী হয় কেমনে??
★এই কাজগুলো কি সে নিজ থেকে করছে?একি হাতে তালি বাজে না।সে এমন হয়ত এমন কষ্টে ছিল যে তার এটা ছাড়া উপায় ছিল না।কেউ নিজ থেকে এই অভিশাপ বয়ে বেড়াতে চায় না।
এখানে তার পরিবার এবং ছেলের পরিবার জড়িত ছিলো!
★একই কাজ করে শুধু মেয়েদের বদনাম হয়, আর কি এমন কাজ করলে ছেলেদের নামেও বদনাম হবে বলতে পারেন কি?
বিঃদ্রঃ- অনেকেই হয়তো বলবেন এগুলো গল্পে বলা যায় এবং লিখা যায়, আমি বলবো না এমন কিছু সত্যিকারের সচ্ছ,সৎ,ত্যাগী,নির্লোভী মানুষ এখনো সমাজে আছে, তাই এই সমাজ এখনো টিকে রয়েছে।আমারো ইচ্ছে আছে এতিম/অসহায়/ডিভোর্সি অথবা ভালবেসে যে তার সর্বশ বিলিয়ে দিয়েছে এবং যে খুব ডিপ্রেশন নিয়ে থাকে তাদের মধ্যে কাউকে বিয়ে করার। ধন্যবাদ।
post: Collected
মাঝে মাঝে বেশি এক্সপেক্টেশান আমার কাছে পেইনফুল মনে হয়।
মাঝে মাঝে বেশি এক্সপেক্টেশান
আমার কাছে পেইনফুল মনে হয়।ইদানিং নিজের ভিতর কি রকম একটা অতৃপ্তি বিরাজ করে।
অতৃপ্ত অনুভূতি।এই অতৃপ্ত অনুভূতি আমার পিছু ছাড়ে না।
নিজের ভিতর সব উলট পালট করে দেয়।দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়।এক ধরনের চাপা কষ্ট কাজ করে।
অদ্ভুত অদৃশ্য এক যন্ত্রণা আমাকে গ্রাস করে।নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা চালাই।নিশ্চুপ ভাবে এই ধকল সহ্য করে নিই।
কাউকে বলা যায় না সে অতৃপ্ত রহস্যময় অনুভূতির কথা।কাউকে সেটা বলে বুঝানো যায় না।এই সব অমীমাংসিত বিষয়ে নিজেকে জড়িয়ে নিজেই বিলীন হওয়ার উপক্রম।ভালো লাগছে না কিছুই…
খুব বাজে একটা সময় যাচ্ছে আমার…
সব কিছুতেই নিজেকে ব্যর্থ মনে হয়…
মাঝে মাঝে আকাশ কুসুম ভাবি।অসম্ভব কে সম্ভবপর ভেবে একধরনের রহস্যময় অসম্পূর্ণ ভালো লাগা বোধ অনুভব করি।
আবার পরক্ষনে খুব খারাপ লাগে কারণ তা অসম্পূর্ণ ও অবাস্তব।এই সব ভাবনা গুলো এত বেশী আবেগ তাড়িত যা আমাকে সব নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নিয়ে যায়।সে আমার সমস্ত শিরা উপশিরাকে ভালবাসার আত্মিক বাধনে বেঁধে রেখেছিল।
তার দূরে সরে যাওয়াটা আমার কাছে অনেকটা শিরা ধমনী ছিড়ে যাওয়ার মতই হয়েছে।জানি অর্থহীন আমার জীবন,অর্থহীন আমার দীর্ঘশ্বাস।
আজকাল কোন স্বপ্নই আমায় আর স্পর্শ করেনা!চোখ বন্ধ করে কিছু পেতে ইচ্ছে করেনা!
আচ্ছা,শুধু কি আমিই এত অসহায়?
হয়ত একদিন মানুষ হবো,একজন সত্যিকার মানুষ।
আমার কাছে পেইনফুল মনে হয়।ইদানিং নিজের ভিতর কি রকম একটা অতৃপ্তি বিরাজ করে।
অতৃপ্ত অনুভূতি।এই অতৃপ্ত অনুভূতি আমার পিছু ছাড়ে না।
নিজের ভিতর সব উলট পালট করে দেয়।দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়।এক ধরনের চাপা কষ্ট কাজ করে।
অদ্ভুত অদৃশ্য এক যন্ত্রণা আমাকে গ্রাস করে।নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা চালাই।নিশ্চুপ ভাবে এই ধকল সহ্য করে নিই।
কাউকে বলা যায় না সে অতৃপ্ত রহস্যময় অনুভূতির কথা।কাউকে সেটা বলে বুঝানো যায় না।এই সব অমীমাংসিত বিষয়ে নিজেকে জড়িয়ে নিজেই বিলীন হওয়ার উপক্রম।ভালো লাগছে না কিছুই…
খুব বাজে একটা সময় যাচ্ছে আমার…
সব কিছুতেই নিজেকে ব্যর্থ মনে হয়…
মাঝে মাঝে আকাশ কুসুম ভাবি।অসম্ভব কে সম্ভবপর ভেবে একধরনের রহস্যময় অসম্পূর্ণ ভালো লাগা বোধ অনুভব করি।
আবার পরক্ষনে খুব খারাপ লাগে কারণ তা অসম্পূর্ণ ও অবাস্তব।এই সব ভাবনা গুলো এত বেশী আবেগ তাড়িত যা আমাকে সব নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নিয়ে যায়।সে আমার সমস্ত শিরা উপশিরাকে ভালবাসার আত্মিক বাধনে বেঁধে রেখেছিল।
তার দূরে সরে যাওয়াটা আমার কাছে অনেকটা শিরা ধমনী ছিড়ে যাওয়ার মতই হয়েছে।জানি অর্থহীন আমার জীবন,অর্থহীন আমার দীর্ঘশ্বাস।
আজকাল কোন স্বপ্নই আমায় আর স্পর্শ করেনা!চোখ বন্ধ করে কিছু পেতে ইচ্ছে করেনা!
আচ্ছা,শুধু কি আমিই এত অসহায়?
হয়ত একদিন মানুষ হবো,একজন সত্যিকার মানুষ।
ফেসবুকে কিছু কিছু স্ট্যাটাস
ফেসবুকে কিছু কিছু স্ট্যাটাস
শুধু একজনকে" দেখানোর জন্যে দেওয়া হয় !
ফেসবুকে কিছু কিছু মানুষ আসে
শুধু একজনের" স্ট্যাটাস আপডেট পড়ার জন্যে !
ফেসবুকে কিছু কিছু মানুষ আসে,
শুধু "একজনের" সাথে চ্যাটিং করার জন্যে !
ফেসবুকে কিছু কিছু মানুষ
শুধু "একজনকে" উদ্দেশ্য করেই ছবি আপলোড দেয় !! .
ফেসবুকে কিছু কিছু মানুষ
শুধু "একজনের" পোস্টেই লাইক কমেন্ট দেয় !
কেউ কেউ "একজনের" একটা "ম্যাসেজের" জন্যে
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ।
ফেসবুকে কেউ কেউ "একজন" কে ম্যাসেজ করতে
হাজারবার চেষ্টা করে,,
আবার হাজার বার ট্যাব কেটে দেয়,,
মনের দোলাচালে আর লেখা হয় না,
আবার কেউ কেউ ফেসবুকে আসে শুধু ঐ "একজন"কে খোঁজার জন্যেই !! "
আজব মানুষ । আজব আমি ।।আজব তুমি ।। আজব দুনিয়া ।
#rpst
শুধু একজনকে" দেখানোর জন্যে দেওয়া হয় !
ফেসবুকে কিছু কিছু মানুষ আসে
শুধু একজনের" স্ট্যাটাস আপডেট পড়ার জন্যে !
ফেসবুকে কিছু কিছু মানুষ আসে,
শুধু "একজনের" সাথে চ্যাটিং করার জন্যে !
ফেসবুকে কিছু কিছু মানুষ
শুধু "একজনকে" উদ্দেশ্য করেই ছবি আপলোড দেয় !! .
ফেসবুকে কিছু কিছু মানুষ
শুধু "একজনের" পোস্টেই লাইক কমেন্ট দেয় !
কেউ কেউ "একজনের" একটা "ম্যাসেজের" জন্যে
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ।
ফেসবুকে কেউ কেউ "একজন" কে ম্যাসেজ করতে
হাজারবার চেষ্টা করে,,
আবার হাজার বার ট্যাব কেটে দেয়,,
মনের দোলাচালে আর লেখা হয় না,
আবার কেউ কেউ ফেসবুকে আসে শুধু ঐ "একজন"কে খোঁজার জন্যেই !! "
আজব মানুষ । আজব আমি ।।আজব তুমি ।। আজব দুনিয়া ।
#rpst
আমার জীবনে কোন বিশেষ দিন নেই। আমার কাছে প্রতিটি দিনই সাধারণ।
আমার জীবনে কোন বিশেষ দিন নেই।
আমার কাছে প্রতিটি দিনই সাধারণ।
আমার জন্য প্রতিটি দিন একই বার্তা নিয়ে আসে।সেই একঘেয়ে একাকী জীবন।কখনো কখনো মনে হয় মানুষ না হয়ে ফুল হলে ভালো হতো।
একটা দিন অপূর্ব সুবাস ছড়িয়ে মানুষকে মুগ্ধ করে দেওয়া যেতো।
তারপর আরেকটা
দিনের ভোরের আলো ফোঁটার আগেই হারিয়ে যাওয়া যেতো নীরবে।আমার জীবনে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে সময় হারিয়ে যায়, কখনো খুঁজে না পাবার মতো করে।আমার জীবন অভিধানে কোথাও স্বপ্ন নেই।
সেখানে একাকীত্ব আর শূণ্যতা ভরপুর।মাঝে মাঝে মনে হয় এমন একটা জীবন হোক,যে জীবন সব পাওয়ার না হোক অন্তত কিছু না হারাবার হোক।
আমার এটা বুঝতে বাকি নেই যে,আমার জীবনটা সত্যিই দুঃখ,কষ্টে পূর্ণ একটা গল্প।
আমার প্রতিটা মুহূর্ত কাটে দুঃখ,কষ্টে।সত্যিকার অর্থেই আমি আমার জীবণের ভবিষ্যত্ নিয়ে কখনোই ভাবিনা।পৃথিবীর শোক বা আনন্দ কিছুই আমাকে স্পর্শ করে না।আমার মাঝে মাঝে মনে হয়,পৃথিবীটা টুকরো টুকরো হয়ে ফেটে গেছে,যেন যে কোন মুহূর্তে ছাদটা আমার উপর ভেঙে পড়বে।
আমি জানি আমি ভীষণ বিষন্ন হতে পারি।আমি খুব uncontrolled অনেক কিছুর ব্যাপারে।আমি কোন কিছু মেপে মেপে করতে পারি না।
জুতা কিনতে গেলেও এক সাইজ বড় জুতা কিনে খুশি হয়ে বাসায় চলে আসি।আমি ঘুমে ঢলে পড়তে পড়তে আবার জেগে উঠি অন্য আরেকটা দু:স্বপ্নে।
আমি যেমনটা ”যোগ্য” হতে পারতাম কিছুই হইনি।
হয়ত আগামীতেও পারবো না।
ইচ্ছে থাকলেও পারবো না।কীভাবে কী হতে হয় সেই পথ আমার জানা নেই।আমার কল্পনা গুলো মাঝে মাঝে কথা বলে,আমার সাথে গল্প করে।ইদানিং কিছুই যেন ভালো হচ্ছে না আমার সাথে।একদম কিছুই না।আমার ভীষণ একা লাগে।মনে হয় আমি একটা বিশাল মহাশূণ্যে একটা ছোট্ট ছায়াপথ।পৃথিবীতে আমাকে শোনার জন্য কোথাও কেউ নেই।
প্রিয় জিনিসগুলো আর প্রিয় মানুষগুলো সব দূরে সরে যাচ্ছে।এই পৃথিবীর সবার মাঝে একজন হয়ে বেঁচে থাকার খুব ইচ্ছা ছিল আমার।কিন্তু সেই ইচ্ছা হয়ত স্বপ্নই রয়ে যাবে।জীবনে না পাওয়ার তালিকাটা আরও দীর্ঘ হচ্ছে।প্রেমহীন রাতে ভালোবাসাহীন বিছানায় একাকীত্বের গন্ধে পড়ে থাকি অলসতায়।হঠাৎ আমার মনটা আপনাআপনি খারাপ হয়ে যায়।
একটা গান শুনতে শুনতে হঠাৎ করেই মনটা বিষণ্ণ হয়ে উঠে।আমি একটা ছোট্ট বাচ্চার মতো একই ফরমুলা দিয়ে সব বড় বড় সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করি। আর ভুল উত্তরের চোরাবালিতে ডুবতে থাকি একা একা।মাঝে মাঝে নিজের ব্যর্থতার কথা মনে করে নিজের উপর খুব রাগ হয়।
সবসময় মনে হয় আমি কিছু দুঃস্বপ্ন দেখছি।
একদিন ভোরে উঠে দেখবো সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে।
সময়টাকে অনেক বড় মনে হয় আর নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র।খুব প্রিয় প্রিয় গানগুলোও হঠাৎ করে কেমন যেন বিষণ্ণ হয়ে উঠে।
পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ অনেক ঝড়ঝাপটা পাড়ি দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করে, আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা ব্যস্ত থাকে প্রিয় মানুষটির স্বপ্ন পূরণে,তারপর এমন একদিন আসে যখন তারা নিজেদের জন্যই স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায়।আমি কোনো এক অদ্ভূত শক্তিতে ভর করেই বেঁচে আছি।
আমি দিব্যি জানি,বেঁচে থাকতে যেই জীবনীশক্তি,আর স্বপ্ন দরকার,
তার শতভাগের একভাগও আমার নাই।
মাঝে মাঝে আমার চোখদুটো কোনো এক মন্ত্রবলে বন্ধ হয়ে আসতে চায়।আমি কবে এই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো?
এভাবে তো জীবন কাটিয়ে দেয়া যায় না!আমি এখন আমার চোখের সামনে একটা একটা করে স্বপ্ন জ্বলতে দেখি।আমি আজো চিৎকার করে কাঁদি,আমার একাকীত্ব আজো আমাকে তাচ্ছিল্য করে।
নিজেকে অনেক ক্লান্ত মনে হয়।মনে হয় জীবনের কাছে বিধ্বস্ত এক পরাজিত সৈনিক।নিজেকে নিজে মিথ্যে আশ্বাস দেই, “একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।হঠাৎ কোনো একদিন একটা ম্যাজিক হবে।
”কখনো কখনো মনে হয়,যা কিছুকে আমি সুখ ভাবতাম তার সবকিছু ওই সময়টায় দাঁড়িয়ে আছে যেই সময়টায় আমি আর কখনো ফিরে যেতে পারবো না।অনেকদিন প্রিয় শহরটাকে দেখি না।অনেকদিন হয়ে গেছে বাসায় যাই না,অনেকদিন মায়ের হাতে ভাত খেতে পারি না।বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিতে পারি না।
ইদানিং সময়টা অনেক অনেক দীর্ঘ মনে হচ্ছে।আমার মতো হয়ত কেউ নেই যারা অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিজেদের প্রিয় শহর আর প্রিয় মানুষদের ছেড়ে অনেক দূরে থাকে।কখনও কখনও মধ্যরাতে যখন পুরা শহর ঘুমিয়ে পড়ে, তখন আমার মনে হয় কেউ একজন আলোটা জ্বালিয়ে দিক।
ঘুমন্ত শহরটা আরেকবার জেগে উঠুক আমার মতো করে।এই ছোট্ট জীবনে নিজের কষ্টের বোঝাগুলো আমি আর বইতে পারছি না।দুঃখ, শোক সব নাকি সময়ের সাথে সাথে মিলিয়ে যায়।
সময় নাকি সব ক্ষত পূরণ করে দেয়।কিন্তু একেবারে কাছের মানুষ হারানোর শোক যে এতটা হতে পারে তা আমি বুঝতে পারিনি।
সত্যি বুঝতে পারিনি।
আমার কাছে প্রতিটি দিনই সাধারণ।
আমার জন্য প্রতিটি দিন একই বার্তা নিয়ে আসে।সেই একঘেয়ে একাকী জীবন।কখনো কখনো মনে হয় মানুষ না হয়ে ফুল হলে ভালো হতো।
একটা দিন অপূর্ব সুবাস ছড়িয়ে মানুষকে মুগ্ধ করে দেওয়া যেতো।
তারপর আরেকটা
দিনের ভোরের আলো ফোঁটার আগেই হারিয়ে যাওয়া যেতো নীরবে।আমার জীবনে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে সময় হারিয়ে যায়, কখনো খুঁজে না পাবার মতো করে।আমার জীবন অভিধানে কোথাও স্বপ্ন নেই।
সেখানে একাকীত্ব আর শূণ্যতা ভরপুর।মাঝে মাঝে মনে হয় এমন একটা জীবন হোক,যে জীবন সব পাওয়ার না হোক অন্তত কিছু না হারাবার হোক।
আমার এটা বুঝতে বাকি নেই যে,আমার জীবনটা সত্যিই দুঃখ,কষ্টে পূর্ণ একটা গল্প।
আমার প্রতিটা মুহূর্ত কাটে দুঃখ,কষ্টে।সত্যিকার অর্থেই আমি আমার জীবণের ভবিষ্যত্ নিয়ে কখনোই ভাবিনা।পৃথিবীর শোক বা আনন্দ কিছুই আমাকে স্পর্শ করে না।আমার মাঝে মাঝে মনে হয়,পৃথিবীটা টুকরো টুকরো হয়ে ফেটে গেছে,যেন যে কোন মুহূর্তে ছাদটা আমার উপর ভেঙে পড়বে।
আমি জানি আমি ভীষণ বিষন্ন হতে পারি।আমি খুব uncontrolled অনেক কিছুর ব্যাপারে।আমি কোন কিছু মেপে মেপে করতে পারি না।
জুতা কিনতে গেলেও এক সাইজ বড় জুতা কিনে খুশি হয়ে বাসায় চলে আসি।আমি ঘুমে ঢলে পড়তে পড়তে আবার জেগে উঠি অন্য আরেকটা দু:স্বপ্নে।
আমি যেমনটা ”যোগ্য” হতে পারতাম কিছুই হইনি।
হয়ত আগামীতেও পারবো না।
ইচ্ছে থাকলেও পারবো না।কীভাবে কী হতে হয় সেই পথ আমার জানা নেই।আমার কল্পনা গুলো মাঝে মাঝে কথা বলে,আমার সাথে গল্প করে।ইদানিং কিছুই যেন ভালো হচ্ছে না আমার সাথে।একদম কিছুই না।আমার ভীষণ একা লাগে।মনে হয় আমি একটা বিশাল মহাশূণ্যে একটা ছোট্ট ছায়াপথ।পৃথিবীতে আমাকে শোনার জন্য কোথাও কেউ নেই।
প্রিয় জিনিসগুলো আর প্রিয় মানুষগুলো সব দূরে সরে যাচ্ছে।এই পৃথিবীর সবার মাঝে একজন হয়ে বেঁচে থাকার খুব ইচ্ছা ছিল আমার।কিন্তু সেই ইচ্ছা হয়ত স্বপ্নই রয়ে যাবে।জীবনে না পাওয়ার তালিকাটা আরও দীর্ঘ হচ্ছে।প্রেমহীন রাতে ভালোবাসাহীন বিছানায় একাকীত্বের গন্ধে পড়ে থাকি অলসতায়।হঠাৎ আমার মনটা আপনাআপনি খারাপ হয়ে যায়।
একটা গান শুনতে শুনতে হঠাৎ করেই মনটা বিষণ্ণ হয়ে উঠে।আমি একটা ছোট্ট বাচ্চার মতো একই ফরমুলা দিয়ে সব বড় বড় সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করি। আর ভুল উত্তরের চোরাবালিতে ডুবতে থাকি একা একা।মাঝে মাঝে নিজের ব্যর্থতার কথা মনে করে নিজের উপর খুব রাগ হয়।
সবসময় মনে হয় আমি কিছু দুঃস্বপ্ন দেখছি।
একদিন ভোরে উঠে দেখবো সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে।
সময়টাকে অনেক বড় মনে হয় আর নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র।খুব প্রিয় প্রিয় গানগুলোও হঠাৎ করে কেমন যেন বিষণ্ণ হয়ে উঠে।
পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ অনেক ঝড়ঝাপটা পাড়ি দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করে, আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা ব্যস্ত থাকে প্রিয় মানুষটির স্বপ্ন পূরণে,তারপর এমন একদিন আসে যখন তারা নিজেদের জন্যই স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায়।আমি কোনো এক অদ্ভূত শক্তিতে ভর করেই বেঁচে আছি।
আমি দিব্যি জানি,বেঁচে থাকতে যেই জীবনীশক্তি,আর স্বপ্ন দরকার,
তার শতভাগের একভাগও আমার নাই।
মাঝে মাঝে আমার চোখদুটো কোনো এক মন্ত্রবলে বন্ধ হয়ে আসতে চায়।আমি কবে এই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো?
এভাবে তো জীবন কাটিয়ে দেয়া যায় না!আমি এখন আমার চোখের সামনে একটা একটা করে স্বপ্ন জ্বলতে দেখি।আমি আজো চিৎকার করে কাঁদি,আমার একাকীত্ব আজো আমাকে তাচ্ছিল্য করে।
নিজেকে অনেক ক্লান্ত মনে হয়।মনে হয় জীবনের কাছে বিধ্বস্ত এক পরাজিত সৈনিক।নিজেকে নিজে মিথ্যে আশ্বাস দেই, “একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।হঠাৎ কোনো একদিন একটা ম্যাজিক হবে।
”কখনো কখনো মনে হয়,যা কিছুকে আমি সুখ ভাবতাম তার সবকিছু ওই সময়টায় দাঁড়িয়ে আছে যেই সময়টায় আমি আর কখনো ফিরে যেতে পারবো না।অনেকদিন প্রিয় শহরটাকে দেখি না।অনেকদিন হয়ে গেছে বাসায় যাই না,অনেকদিন মায়ের হাতে ভাত খেতে পারি না।বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিতে পারি না।
ইদানিং সময়টা অনেক অনেক দীর্ঘ মনে হচ্ছে।আমার মতো হয়ত কেউ নেই যারা অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিজেদের প্রিয় শহর আর প্রিয় মানুষদের ছেড়ে অনেক দূরে থাকে।কখনও কখনও মধ্যরাতে যখন পুরা শহর ঘুমিয়ে পড়ে, তখন আমার মনে হয় কেউ একজন আলোটা জ্বালিয়ে দিক।
ঘুমন্ত শহরটা আরেকবার জেগে উঠুক আমার মতো করে।এই ছোট্ট জীবনে নিজের কষ্টের বোঝাগুলো আমি আর বইতে পারছি না।দুঃখ, শোক সব নাকি সময়ের সাথে সাথে মিলিয়ে যায়।
সময় নাকি সব ক্ষত পূরণ করে দেয়।কিন্তু একেবারে কাছের মানুষ হারানোর শোক যে এতটা হতে পারে তা আমি বুঝতে পারিনি।
সত্যি বুঝতে পারিনি।
সকালে ঘুম ভাংগার পর থেকেই এই গানটা কানে বাজছে
সকালে ঘুম ভাংগার পর থেকেই এই গানটা কানে বাজছে
“দুটি মন আর নেই দুজনার,
রাত বলে আমি সাথি হব যে…..
তার মানে মন কি বদল আই মিন এক্সচেন্জ হয়ে গেলো।
আমার ক্ষেত্রে মনে হয় এটা প্রযোজ্য না।
কারণ আমার ক্ষেত্রে তো দুটি মন না।একটি মন।শুধু আমার টাই।
হা হা হা।
আসলে রিয়েলিটি ব্যাপারটাই অদ্ভুত!
আমার এখন কোন মান নেই।কোন অভিমান নেই।সুরেলা কোন সুখ নেই।মিহিন কোন কষ্টও নেই।আজকাল যেন সব কিছু এলোমেলো মনে হয়।যেন কিছুই আগের মতো নেই।এখন আর কারো উপর রাগ অভিমান হয়না।এখন যেন ভাল লাগা বলতে কিছুই নেই।
আচ্ছা,পৃথিবীতে কি রক্তের সম্পর্কটাই আসল?আর সব কি ভিত্তিহীন?হয়তোএটাই সত্য।কারন শুধু রক্তের সম্পর্কটাই চাইলে ছিন্ন করা যায় না।আর সব বাধনই খুব ঠুনকো।ইচ্ছেমতন ভাঙ্গা যায়-গড়া যায়।মাঝে মাঝে এত বেশি এলোমেলো ও অস্থির লাগে যে,মনে হয় যদি সেন্ট মার্টিনের মত জনমানবহীন একটা জায়াগায় তাবু নিয়ে অন্তত ক’টা দিন থাকতে পারতাম!ইদানিং কেন জানি ভাললাগা অনুভূতি গুলো বুঝতে পারিনা! খারাপ লাগাটাও মনের মাঝে তেমন করে আর ছুয়ে যায় না!অনুভূতিদের হয়ত আলাদা তরঙ্গ আছে,তারা কেবল তাতেই সঞ্চারিত হয়।
আমি জানিনা।
আমি কিছুই জানিনা।
কিছু কিছু অনুভূতি নাকি জানান দিতে নেই।সময় কত দ্রুত চলে যায়!মনে হয় এইতো সেদিনের কথা।স্মৃতিতে কত তরতাজা এক একটা ঘটনা।হয়ত সম্পূর্ণ অবাস্তব কিছু কল্পনা সবাইকেই তাড়িত করে।জানি জীবন খুবই ক্ষুদ্র।যে যায়,বা যারা যায়,চিরতরেই যায়।তবুও আমার হৃদয়ের কোথায় যেন ‘মন যেন চায় কারে’ ধরনের একটা শূন্যতা এসে ভর করে।যে জিনিসটা আমাকে খুব পীড়া দেয় তা হলো,আমার জীবন কেমন করে এতটা অর্থহীন হতে পারে?জীবনের প্রতিটি বেলা,প্রতিটি ঘটনা সবকিছুই আমার কাছে নিরর্থক মনে হয়।মাঝে মাঝেই মনে হয় আমি এমন কেন?আমি তো এমন হতে চাইনি।এমন জটিল ধাঁধাঁ আমি বুঝিনা।বুঝিনি কখনো।আমি ভেসে যাই।আমি ভেসে যেতে থাকি।কিন্তু কোথায়?আমি জানিনা।কী অদ্ভুত,তাইনা?ক’জন আছে আমার মতন?আমি যেন থেকেও নেই।আমার জীবনের হঠাৎ হঠাৎ কিছু ঘটনাকে নিষ্ঠুর রসিকতার মতন মনে হয়।আমার অসহায় চিতকারে কার কী আসে যায়?জীবনটাই তো Temporary।
প্রতিটি জীবনই মনে হয় একেকটা উপন্যাসের মতন…
শুধু লেখা হয়না,
এই যা!
হয়তো সবার জীবনেই কঠিন সময় থাকে,কষ্ট থাকে।একটা সময় পরে তা আবার কেটেও যায়।আবার হয়তো কাটেও না।আমার মাঝে মাঝে জীবনটাকে,জীবনের বাস্তবতাগুলোকে,জীবনের ইচ্ছেগুলোকে দুমড়ে মুচড়ে ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটে ছুঁড়ে ফেলতে ইচ্ছা করে।
মাঝে মাঝে নিজেকে শূণ্য করে দিতে ইচ্ছা করে।মাঝে মাঝে যেন মনে হয় আর কিছুই চাইনা আমি।আমার যন্ত্রণারাই অমন।তারা আমাকে খুবলে খুবলে খায়।তারা আমাকে হত্যা করে।
আমার হাসি,আমার কথা তোর ভাল লাগতো,সেই তুই আজ কোথায়?কোথায় হারিয়ে গেলি?কোথায় লুকালো তোর ভাল লাগা?আমি জানতাম না অন্য কারো হাসির কাছে আমার হাসি হার মানবে।
তাহলে আমি হাসতাম না।
তবে তোর হাসি চিরদিন আমার কাছে চিরসবুজ এবং মিষ্টি ছিল-আছে-থাকবে।তুই হারিয়ে গেলেও আমার স্মৃতিতে তুই চিরকাল থাকবি
তুই আর কখনো ফিরে আসবিনা।
জীবনের এক অপ্রতিরোধ্য স্রোত তোকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে দূরে-অনেক দূরে।
তুই আমার কাছে চলে আয় pls…
তোকে ছাড়া আমার চলেনা।
“দুটি মন আর নেই দুজনার,
রাত বলে আমি সাথি হব যে…..
তার মানে মন কি বদল আই মিন এক্সচেন্জ হয়ে গেলো।
আমার ক্ষেত্রে মনে হয় এটা প্রযোজ্য না।
কারণ আমার ক্ষেত্রে তো দুটি মন না।একটি মন।শুধু আমার টাই।
হা হা হা।
আসলে রিয়েলিটি ব্যাপারটাই অদ্ভুত!
আমার এখন কোন মান নেই।কোন অভিমান নেই।সুরেলা কোন সুখ নেই।মিহিন কোন কষ্টও নেই।আজকাল যেন সব কিছু এলোমেলো মনে হয়।যেন কিছুই আগের মতো নেই।এখন আর কারো উপর রাগ অভিমান হয়না।এখন যেন ভাল লাগা বলতে কিছুই নেই।
আচ্ছা,পৃথিবীতে কি রক্তের সম্পর্কটাই আসল?আর সব কি ভিত্তিহীন?হয়তোএটাই সত্য।কারন শুধু রক্তের সম্পর্কটাই চাইলে ছিন্ন করা যায় না।আর সব বাধনই খুব ঠুনকো।ইচ্ছেমতন ভাঙ্গা যায়-গড়া যায়।মাঝে মাঝে এত বেশি এলোমেলো ও অস্থির লাগে যে,মনে হয় যদি সেন্ট মার্টিনের মত জনমানবহীন একটা জায়াগায় তাবু নিয়ে অন্তত ক’টা দিন থাকতে পারতাম!ইদানিং কেন জানি ভাললাগা অনুভূতি গুলো বুঝতে পারিনা! খারাপ লাগাটাও মনের মাঝে তেমন করে আর ছুয়ে যায় না!অনুভূতিদের হয়ত আলাদা তরঙ্গ আছে,তারা কেবল তাতেই সঞ্চারিত হয়।
আমি জানিনা।
আমি কিছুই জানিনা।
কিছু কিছু অনুভূতি নাকি জানান দিতে নেই।সময় কত দ্রুত চলে যায়!মনে হয় এইতো সেদিনের কথা।স্মৃতিতে কত তরতাজা এক একটা ঘটনা।হয়ত সম্পূর্ণ অবাস্তব কিছু কল্পনা সবাইকেই তাড়িত করে।জানি জীবন খুবই ক্ষুদ্র।যে যায়,বা যারা যায়,চিরতরেই যায়।তবুও আমার হৃদয়ের কোথায় যেন ‘মন যেন চায় কারে’ ধরনের একটা শূন্যতা এসে ভর করে।যে জিনিসটা আমাকে খুব পীড়া দেয় তা হলো,আমার জীবন কেমন করে এতটা অর্থহীন হতে পারে?জীবনের প্রতিটি বেলা,প্রতিটি ঘটনা সবকিছুই আমার কাছে নিরর্থক মনে হয়।মাঝে মাঝেই মনে হয় আমি এমন কেন?আমি তো এমন হতে চাইনি।এমন জটিল ধাঁধাঁ আমি বুঝিনা।বুঝিনি কখনো।আমি ভেসে যাই।আমি ভেসে যেতে থাকি।কিন্তু কোথায়?আমি জানিনা।কী অদ্ভুত,তাইনা?ক’জন আছে আমার মতন?আমি যেন থেকেও নেই।আমার জীবনের হঠাৎ হঠাৎ কিছু ঘটনাকে নিষ্ঠুর রসিকতার মতন মনে হয়।আমার অসহায় চিতকারে কার কী আসে যায়?জীবনটাই তো Temporary।
প্রতিটি জীবনই মনে হয় একেকটা উপন্যাসের মতন…
শুধু লেখা হয়না,
এই যা!
হয়তো সবার জীবনেই কঠিন সময় থাকে,কষ্ট থাকে।একটা সময় পরে তা আবার কেটেও যায়।আবার হয়তো কাটেও না।আমার মাঝে মাঝে জীবনটাকে,জীবনের বাস্তবতাগুলোকে,জীবনের ইচ্ছেগুলোকে দুমড়ে মুচড়ে ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটে ছুঁড়ে ফেলতে ইচ্ছা করে।
মাঝে মাঝে নিজেকে শূণ্য করে দিতে ইচ্ছা করে।মাঝে মাঝে যেন মনে হয় আর কিছুই চাইনা আমি।আমার যন্ত্রণারাই অমন।তারা আমাকে খুবলে খুবলে খায়।তারা আমাকে হত্যা করে।
আমার হাসি,আমার কথা তোর ভাল লাগতো,সেই তুই আজ কোথায়?কোথায় হারিয়ে গেলি?কোথায় লুকালো তোর ভাল লাগা?আমি জানতাম না অন্য কারো হাসির কাছে আমার হাসি হার মানবে।
তাহলে আমি হাসতাম না।
তবে তোর হাসি চিরদিন আমার কাছে চিরসবুজ এবং মিষ্টি ছিল-আছে-থাকবে।তুই হারিয়ে গেলেও আমার স্মৃতিতে তুই চিরকাল থাকবি
তুই আর কখনো ফিরে আসবিনা।
জীবনের এক অপ্রতিরোধ্য স্রোত তোকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে দূরে-অনেক দূরে।
তুই আমার কাছে চলে আয় pls…
তোকে ছাড়া আমার চলেনা।
Subscribe to:
Posts (Atom)
Popular Posts
-
সাইকো ডায়েরি https://ift.tt/3297LcL
-
রুপাকে নিয়ে অনেক গল্প হয়, অনেক কথা, কিন্তু কেউ তাকে প্রকাশ্যে কিছু বলে না। যেন কী এক গোপন শলাপরামর্শের মতো—কেবলই ফিসফাস, কেবলই কানাকানি, ...